
বর্তমান ডিজিটাল যুগে ব্যবসায়িক যোগাযোগের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ। ব্যবসায়ীরা তাঁদের গ্রাহকদের সঙ্গে সরাসরি, দ্রুত এবং কার্যকরভাবে যোগাযোগ স্থাপন করতে হোয়াটসঅ্যাপ বিজনেস অ্যাপ ব্যবহার করে। প্ল্যাটফর্মটির বিভিন্ন টুল ব্যবসার প্রসারে সাহায্য করে। এই টুলগুলো যেমন গ্রাহকের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করে, তেমনি ব্যবসায়িক কার্যক্রমকে আরও প্রভাবশালী ও সুসংগঠিত করে তোলে।
নিজের ব্যবসার প্রচার ও প্রসারে হোয়াটসঅ্যাপের বিজনেস টুলগুলো ব্যবহার করতে পারেন। এই ধরনের কিছু টুল সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হলো—
ক্যাটালগ
ক্যাটালগের মাধ্যমে আপনি পণ্য এবং সেবার তথ্য, মূল্য, ছবি এবং লিংক সরাসরি হোয়াটসঅ্যাপ বিজনেস অ্যাপে আপলোড করতে পারেন।
ক্যাটালগ টুল ব্যবহারের জন্য নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন—
১. প্রথমে হোয়াটসঅ্যাপের সেটিংসে যেতে হবে। আইফোনে নিচের ডান দিকে সেটিংস অপশন থাকে। আর অ্যান্ড্রয়েড ওপরের বাঁ দিকে থাকা তিন ডট মেনুতে ‘সেটিংস’ অপশন পাওয়া যাবে।
২. এরপর ‘ক্যাটালগ’ অপশন নির্বাচন করুন। নতুন একটি পণ্য যোগ করুন।
৩. প্লাস আইকনে ক্লিক করে একটি ছবি আপলোড করুন। এরপর পণ্যের বিবরণ লিখুন এবং মূল্য ও লিংক যুক্ত করুন।
একবার পণ্যটি আপলোড হয়ে গেলে, গ্রাহকেরা সহজেই ক্যাটালগ ব্রাউজ করতে পারবেন। এ ছাড়া একটি নির্দিষ্ট পণ্য সরাসরি চ্যাটের মাধ্যমে তাদের সঙ্গে শেয়ারও করা যাবে। আপনি একসঙ্গে সর্বোচ্চ ৫০০টি পণ্য আপলোড করতে পারবেন।
বাল্ক মেসেজ
বাল্ক মেসেজ এমন একটি ফিচার, যা ব্যবহার করে আপনি একসঙ্গে অনেক কন্টাক্টকে একই সময়ে একই মেসেজ পাঠাতে পারবেন। এটি হোয়াটসঅ্যাপ বিজনেস অ্যাপে ‘ব্রডকাস্ট’ টুলের মাধ্যমে করা যায়।
১. হোয়াটসঅ্যাপ বিজনেস অ্যাপে লগইন করুন।
২. ওপরের ডান দিকের তিন ডটে (মেনু আইকন) ক্লিক করুন।
৩. মেনু থেকে ‘ব্রডকাস্ট লিস্ট’ অপশনটি নির্বাচন করুন।
৪. এরপর ‘নিউ লিস্ট’ অপশনে ক্লিক করুন।
৫. নতুন ব্রডকাস্ট লিস্ট তৈরির পর আপনি যাদের কাছে বাল্ক মেসেজ পাঠাতে চান তাদের কন্টাক্ট নির্বাচন করুন। (আপনার কন্টাক্টের নম্বর অবশ্যই তাদের ফোনবুকে সেভ থাকতে হবে।)
৬. এখন ‘ক্রিয়েট’ বাটনে ক্লিক করুন।
৭. ব্রডকাস্ট লিস্ট তৈরি হওয়ার পর পনি মেসেজ টাইপ করার জন্য একটি নতুন চ্যাট উইন্ডো পাবেন। এখানে আপনি যেকোনো মেসেজ যুক্ত করতে পারেন, যেমন—টেক্সট, ছবি, ভিডিও বা ফাইল।
৮. পছন্দমতো মেসেজ লেখা হলে ‘সেন্ড’ বাটনে ক্লিক করুন।
এখন ব্রডকাস্ট লিস্টে থাকা সব কন্টাক্টের কাছে মেসেজটি একযোগে পৌঁছে যাবে।
ব্লাক মেসেজ পাঠানোর ক্ষেত্রে নিচের বিষয়গুলো লক্ষ্য রাখতে হবে—
মেসেজ টেমপ্লেট
হোয়াটসঅ্যাপ বিজনেস অ্যাপে কিছু নির্দিষ্ট মেসেজ টেমপ্লেট ব্যবহার করা যায়। এর মাধ্যমে স্বাগত বার্তা, অনলাইনে না থাকার মেসেজ এবং অন্যান্য ধরনের তথ্য ‘কুইক রিপ্লাই’-এর মাধ্যমে পাঠানো যাবে।
এখানে কুইক রিপ্লাই টেমপ্লেট তৈরি করার পদ্ধতি তুলে ধরা হলো—
১. হোয়াটসঅ্যাপ বিজনেস অ্যাপ খুলুন।
২. স্ক্রিনের ওপরের ডান দিকে থাকা তিন ডট আইকনে (মেনু আইকন) ক্লিক করুন। এরপর ‘সেটিংস’ অপশনটি নির্বাচন করুন।
৩. সেটিংস থেকে ‘বিজনেস টুল’ অপশনটি নির্বাচন করুন।
৪. এখন ‘কুইক রিপ্লাইস’ নির্বাচন করুন।
৫. এবার ‘অ্যাড টু কুইক রিপ্লাই’ বা ‘নিউ কুইক রিপ্লাই’ বাটনে ট্যাপ করুন।
এখন, আপনি শর্টকাট নামক একটি অপশন দেখতে পাবেন। সহজে মনে রাখা যায় এমন শর্টকাট নাম (যেমন—ওপেনিং আওয়ারস বা কন্টাক্ট ইনফো) এখানে টাইপ করুন।
৬. এবার মেসেজ বক্সে মেসেজ লিখুন (যেমন: আপনার ব্যবসার কাজের সময়, যোগাযোগের নম্বর, বা অন্যান্য তথ্য)। এই মেসেজে আপনি ছবি, ভিডিও বা অন্যান্য মিডিয়া ফাইলও যুক্ত করতে পারেন।
৭. এখন ‘সেভ’ বাটনে বাটনে ক্লিক করুন।
কুইক রিপ্লাই ব্যবহার করবেন যেভাবে
যখন আপনি একটি চ্যাটে এই কুইক রিপ্লাই ব্যবহার করতে চান। তখন চ্যাট বক্সে ‘/’ টাইপ করুন এবং এরপর শর্টকাট নামটি টাইপ করুন (যেমন: ওপেনিং আওয়ারস) আপনার তৈরি করা মেসেজটি চলে আসবে এবং আপনি এক ক্লিকে পাঠাতে পারবেন।
কুইক রিপ্লাইয়ের ক্ষেত্রে নিচের বিষয়গুলো লক্ষ্য রাখতে হবে—
লেবেল
হোয়াটসঅ্যাপ বিজনেস অ্যাপে আপনি আপনার কন্টাক্টদের জন্য লেবেল (যেমন—নতুন গ্রাহক, পেন্ডিং অর্ডার) তৈরি করতে পারেন এবং চ্যাটগুলোকে শ্রেণিবদ্ধ করতে পারেন। এই লেবেল ব্যবহার করে আপনি সহজে গ্রাহকদের এবং তাদের চ্যাটগুলোকে শনাক্ত করতে পারবেন, যা আপনার ব্যবসা পরিচালনায় সাহায্য করবে। উদাহরণস্বরূপ, আপনি নতুন গ্রাহক এবং পুরোনো গ্রাহকেরা কোন ধরনের প্রশ্ন করেছেন তা আলাদা আলাদা লেবেল দিয়ে চিহ্নিত করতে পারবেন।
কিউআর কোড
হোয়াটসঅ্যাপ বিজনেসের জন্য কিউআর কোড তৈরি করা যায়, যা স্ক্যান করে আপনার গ্রাহকেরা সরাসরি আপনার হোয়াটসঅ্যাপে চলে আসতে পারেন। এই কোডটি আপনি আপনার দোকানে, প্রোডাক্ট প্যাকেজিং বা অন্যান্য মার্কেটিং উপকরণে ব্যবহার করতে পারেন।
ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে বিজ্ঞাপন
‘ক্লিক টু হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাডস’ হলো এমন একটি বিজ্ঞাপন পদ্ধতি যা আপনি ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রামে চালু করতে পারেন। এটি গ্রাহকদের সরাসরি আপনার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে নিয়ে আসবে। এর ফলে তাদের পণ্য বা সেবা সম্পর্কে কোনো প্রশ্ন থাকলে তারা সহজেই জিজ্ঞেস করতে পারবে।

বর্তমান ডিজিটাল যুগে ব্যবসায়িক যোগাযোগের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ। ব্যবসায়ীরা তাঁদের গ্রাহকদের সঙ্গে সরাসরি, দ্রুত এবং কার্যকরভাবে যোগাযোগ স্থাপন করতে হোয়াটসঅ্যাপ বিজনেস অ্যাপ ব্যবহার করে। প্ল্যাটফর্মটির বিভিন্ন টুল ব্যবসার প্রসারে সাহায্য করে। এই টুলগুলো যেমন গ্রাহকের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করে, তেমনি ব্যবসায়িক কার্যক্রমকে আরও প্রভাবশালী ও সুসংগঠিত করে তোলে।
নিজের ব্যবসার প্রচার ও প্রসারে হোয়াটসঅ্যাপের বিজনেস টুলগুলো ব্যবহার করতে পারেন। এই ধরনের কিছু টুল সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হলো—
ক্যাটালগ
ক্যাটালগের মাধ্যমে আপনি পণ্য এবং সেবার তথ্য, মূল্য, ছবি এবং লিংক সরাসরি হোয়াটসঅ্যাপ বিজনেস অ্যাপে আপলোড করতে পারেন।
ক্যাটালগ টুল ব্যবহারের জন্য নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন—
১. প্রথমে হোয়াটসঅ্যাপের সেটিংসে যেতে হবে। আইফোনে নিচের ডান দিকে সেটিংস অপশন থাকে। আর অ্যান্ড্রয়েড ওপরের বাঁ দিকে থাকা তিন ডট মেনুতে ‘সেটিংস’ অপশন পাওয়া যাবে।
২. এরপর ‘ক্যাটালগ’ অপশন নির্বাচন করুন। নতুন একটি পণ্য যোগ করুন।
৩. প্লাস আইকনে ক্লিক করে একটি ছবি আপলোড করুন। এরপর পণ্যের বিবরণ লিখুন এবং মূল্য ও লিংক যুক্ত করুন।
একবার পণ্যটি আপলোড হয়ে গেলে, গ্রাহকেরা সহজেই ক্যাটালগ ব্রাউজ করতে পারবেন। এ ছাড়া একটি নির্দিষ্ট পণ্য সরাসরি চ্যাটের মাধ্যমে তাদের সঙ্গে শেয়ারও করা যাবে। আপনি একসঙ্গে সর্বোচ্চ ৫০০টি পণ্য আপলোড করতে পারবেন।
বাল্ক মেসেজ
বাল্ক মেসেজ এমন একটি ফিচার, যা ব্যবহার করে আপনি একসঙ্গে অনেক কন্টাক্টকে একই সময়ে একই মেসেজ পাঠাতে পারবেন। এটি হোয়াটসঅ্যাপ বিজনেস অ্যাপে ‘ব্রডকাস্ট’ টুলের মাধ্যমে করা যায়।
১. হোয়াটসঅ্যাপ বিজনেস অ্যাপে লগইন করুন।
২. ওপরের ডান দিকের তিন ডটে (মেনু আইকন) ক্লিক করুন।
৩. মেনু থেকে ‘ব্রডকাস্ট লিস্ট’ অপশনটি নির্বাচন করুন।
৪. এরপর ‘নিউ লিস্ট’ অপশনে ক্লিক করুন।
৫. নতুন ব্রডকাস্ট লিস্ট তৈরির পর আপনি যাদের কাছে বাল্ক মেসেজ পাঠাতে চান তাদের কন্টাক্ট নির্বাচন করুন। (আপনার কন্টাক্টের নম্বর অবশ্যই তাদের ফোনবুকে সেভ থাকতে হবে।)
৬. এখন ‘ক্রিয়েট’ বাটনে ক্লিক করুন।
৭. ব্রডকাস্ট লিস্ট তৈরি হওয়ার পর পনি মেসেজ টাইপ করার জন্য একটি নতুন চ্যাট উইন্ডো পাবেন। এখানে আপনি যেকোনো মেসেজ যুক্ত করতে পারেন, যেমন—টেক্সট, ছবি, ভিডিও বা ফাইল।
৮. পছন্দমতো মেসেজ লেখা হলে ‘সেন্ড’ বাটনে ক্লিক করুন।
এখন ব্রডকাস্ট লিস্টে থাকা সব কন্টাক্টের কাছে মেসেজটি একযোগে পৌঁছে যাবে।
ব্লাক মেসেজ পাঠানোর ক্ষেত্রে নিচের বিষয়গুলো লক্ষ্য রাখতে হবে—
মেসেজ টেমপ্লেট
হোয়াটসঅ্যাপ বিজনেস অ্যাপে কিছু নির্দিষ্ট মেসেজ টেমপ্লেট ব্যবহার করা যায়। এর মাধ্যমে স্বাগত বার্তা, অনলাইনে না থাকার মেসেজ এবং অন্যান্য ধরনের তথ্য ‘কুইক রিপ্লাই’-এর মাধ্যমে পাঠানো যাবে।
এখানে কুইক রিপ্লাই টেমপ্লেট তৈরি করার পদ্ধতি তুলে ধরা হলো—
১. হোয়াটসঅ্যাপ বিজনেস অ্যাপ খুলুন।
২. স্ক্রিনের ওপরের ডান দিকে থাকা তিন ডট আইকনে (মেনু আইকন) ক্লিক করুন। এরপর ‘সেটিংস’ অপশনটি নির্বাচন করুন।
৩. সেটিংস থেকে ‘বিজনেস টুল’ অপশনটি নির্বাচন করুন।
৪. এখন ‘কুইক রিপ্লাইস’ নির্বাচন করুন।
৫. এবার ‘অ্যাড টু কুইক রিপ্লাই’ বা ‘নিউ কুইক রিপ্লাই’ বাটনে ট্যাপ করুন।
এখন, আপনি শর্টকাট নামক একটি অপশন দেখতে পাবেন। সহজে মনে রাখা যায় এমন শর্টকাট নাম (যেমন—ওপেনিং আওয়ারস বা কন্টাক্ট ইনফো) এখানে টাইপ করুন।
৬. এবার মেসেজ বক্সে মেসেজ লিখুন (যেমন: আপনার ব্যবসার কাজের সময়, যোগাযোগের নম্বর, বা অন্যান্য তথ্য)। এই মেসেজে আপনি ছবি, ভিডিও বা অন্যান্য মিডিয়া ফাইলও যুক্ত করতে পারেন।
৭. এখন ‘সেভ’ বাটনে বাটনে ক্লিক করুন।
কুইক রিপ্লাই ব্যবহার করবেন যেভাবে
যখন আপনি একটি চ্যাটে এই কুইক রিপ্লাই ব্যবহার করতে চান। তখন চ্যাট বক্সে ‘/’ টাইপ করুন এবং এরপর শর্টকাট নামটি টাইপ করুন (যেমন: ওপেনিং আওয়ারস) আপনার তৈরি করা মেসেজটি চলে আসবে এবং আপনি এক ক্লিকে পাঠাতে পারবেন।
কুইক রিপ্লাইয়ের ক্ষেত্রে নিচের বিষয়গুলো লক্ষ্য রাখতে হবে—
লেবেল
হোয়াটসঅ্যাপ বিজনেস অ্যাপে আপনি আপনার কন্টাক্টদের জন্য লেবেল (যেমন—নতুন গ্রাহক, পেন্ডিং অর্ডার) তৈরি করতে পারেন এবং চ্যাটগুলোকে শ্রেণিবদ্ধ করতে পারেন। এই লেবেল ব্যবহার করে আপনি সহজে গ্রাহকদের এবং তাদের চ্যাটগুলোকে শনাক্ত করতে পারবেন, যা আপনার ব্যবসা পরিচালনায় সাহায্য করবে। উদাহরণস্বরূপ, আপনি নতুন গ্রাহক এবং পুরোনো গ্রাহকেরা কোন ধরনের প্রশ্ন করেছেন তা আলাদা আলাদা লেবেল দিয়ে চিহ্নিত করতে পারবেন।
কিউআর কোড
হোয়াটসঅ্যাপ বিজনেসের জন্য কিউআর কোড তৈরি করা যায়, যা স্ক্যান করে আপনার গ্রাহকেরা সরাসরি আপনার হোয়াটসঅ্যাপে চলে আসতে পারেন। এই কোডটি আপনি আপনার দোকানে, প্রোডাক্ট প্যাকেজিং বা অন্যান্য মার্কেটিং উপকরণে ব্যবহার করতে পারেন।
ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে বিজ্ঞাপন
‘ক্লিক টু হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাডস’ হলো এমন একটি বিজ্ঞাপন পদ্ধতি যা আপনি ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রামে চালু করতে পারেন। এটি গ্রাহকদের সরাসরি আপনার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে নিয়ে আসবে। এর ফলে তাদের পণ্য বা সেবা সম্পর্কে কোনো প্রশ্ন থাকলে তারা সহজেই জিজ্ঞেস করতে পারবে।

বর্তমান ডিজিটাল যুগে ব্যবসায়িক যোগাযোগের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ। ব্যবসায়ীরা তাঁদের গ্রাহকদের সঙ্গে সরাসরি, দ্রুত এবং কার্যকরভাবে যোগাযোগ স্থাপন করতে হোয়াটসঅ্যাপ বিজনেস অ্যাপ ব্যবহার করে। প্ল্যাটফর্মটির বিভিন্ন টুল ব্যবসার প্রসারে সাহায্য করে। এই টুলগুলো যেমন গ্রাহকের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করে, তেমনি ব্যবসায়িক কার্যক্রমকে আরও প্রভাবশালী ও সুসংগঠিত করে তোলে।
নিজের ব্যবসার প্রচার ও প্রসারে হোয়াটসঅ্যাপের বিজনেস টুলগুলো ব্যবহার করতে পারেন। এই ধরনের কিছু টুল সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হলো—
ক্যাটালগ
ক্যাটালগের মাধ্যমে আপনি পণ্য এবং সেবার তথ্য, মূল্য, ছবি এবং লিংক সরাসরি হোয়াটসঅ্যাপ বিজনেস অ্যাপে আপলোড করতে পারেন।
ক্যাটালগ টুল ব্যবহারের জন্য নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন—
১. প্রথমে হোয়াটসঅ্যাপের সেটিংসে যেতে হবে। আইফোনে নিচের ডান দিকে সেটিংস অপশন থাকে। আর অ্যান্ড্রয়েড ওপরের বাঁ দিকে থাকা তিন ডট মেনুতে ‘সেটিংস’ অপশন পাওয়া যাবে।
২. এরপর ‘ক্যাটালগ’ অপশন নির্বাচন করুন। নতুন একটি পণ্য যোগ করুন।
৩. প্লাস আইকনে ক্লিক করে একটি ছবি আপলোড করুন। এরপর পণ্যের বিবরণ লিখুন এবং মূল্য ও লিংক যুক্ত করুন।
একবার পণ্যটি আপলোড হয়ে গেলে, গ্রাহকেরা সহজেই ক্যাটালগ ব্রাউজ করতে পারবেন। এ ছাড়া একটি নির্দিষ্ট পণ্য সরাসরি চ্যাটের মাধ্যমে তাদের সঙ্গে শেয়ারও করা যাবে। আপনি একসঙ্গে সর্বোচ্চ ৫০০টি পণ্য আপলোড করতে পারবেন।
বাল্ক মেসেজ
বাল্ক মেসেজ এমন একটি ফিচার, যা ব্যবহার করে আপনি একসঙ্গে অনেক কন্টাক্টকে একই সময়ে একই মেসেজ পাঠাতে পারবেন। এটি হোয়াটসঅ্যাপ বিজনেস অ্যাপে ‘ব্রডকাস্ট’ টুলের মাধ্যমে করা যায়।
১. হোয়াটসঅ্যাপ বিজনেস অ্যাপে লগইন করুন।
২. ওপরের ডান দিকের তিন ডটে (মেনু আইকন) ক্লিক করুন।
৩. মেনু থেকে ‘ব্রডকাস্ট লিস্ট’ অপশনটি নির্বাচন করুন।
৪. এরপর ‘নিউ লিস্ট’ অপশনে ক্লিক করুন।
৫. নতুন ব্রডকাস্ট লিস্ট তৈরির পর আপনি যাদের কাছে বাল্ক মেসেজ পাঠাতে চান তাদের কন্টাক্ট নির্বাচন করুন। (আপনার কন্টাক্টের নম্বর অবশ্যই তাদের ফোনবুকে সেভ থাকতে হবে।)
৬. এখন ‘ক্রিয়েট’ বাটনে ক্লিক করুন।
৭. ব্রডকাস্ট লিস্ট তৈরি হওয়ার পর পনি মেসেজ টাইপ করার জন্য একটি নতুন চ্যাট উইন্ডো পাবেন। এখানে আপনি যেকোনো মেসেজ যুক্ত করতে পারেন, যেমন—টেক্সট, ছবি, ভিডিও বা ফাইল।
৮. পছন্দমতো মেসেজ লেখা হলে ‘সেন্ড’ বাটনে ক্লিক করুন।
এখন ব্রডকাস্ট লিস্টে থাকা সব কন্টাক্টের কাছে মেসেজটি একযোগে পৌঁছে যাবে।
ব্লাক মেসেজ পাঠানোর ক্ষেত্রে নিচের বিষয়গুলো লক্ষ্য রাখতে হবে—
মেসেজ টেমপ্লেট
হোয়াটসঅ্যাপ বিজনেস অ্যাপে কিছু নির্দিষ্ট মেসেজ টেমপ্লেট ব্যবহার করা যায়। এর মাধ্যমে স্বাগত বার্তা, অনলাইনে না থাকার মেসেজ এবং অন্যান্য ধরনের তথ্য ‘কুইক রিপ্লাই’-এর মাধ্যমে পাঠানো যাবে।
এখানে কুইক রিপ্লাই টেমপ্লেট তৈরি করার পদ্ধতি তুলে ধরা হলো—
১. হোয়াটসঅ্যাপ বিজনেস অ্যাপ খুলুন।
২. স্ক্রিনের ওপরের ডান দিকে থাকা তিন ডট আইকনে (মেনু আইকন) ক্লিক করুন। এরপর ‘সেটিংস’ অপশনটি নির্বাচন করুন।
৩. সেটিংস থেকে ‘বিজনেস টুল’ অপশনটি নির্বাচন করুন।
৪. এখন ‘কুইক রিপ্লাইস’ নির্বাচন করুন।
৫. এবার ‘অ্যাড টু কুইক রিপ্লাই’ বা ‘নিউ কুইক রিপ্লাই’ বাটনে ট্যাপ করুন।
এখন, আপনি শর্টকাট নামক একটি অপশন দেখতে পাবেন। সহজে মনে রাখা যায় এমন শর্টকাট নাম (যেমন—ওপেনিং আওয়ারস বা কন্টাক্ট ইনফো) এখানে টাইপ করুন।
৬. এবার মেসেজ বক্সে মেসেজ লিখুন (যেমন: আপনার ব্যবসার কাজের সময়, যোগাযোগের নম্বর, বা অন্যান্য তথ্য)। এই মেসেজে আপনি ছবি, ভিডিও বা অন্যান্য মিডিয়া ফাইলও যুক্ত করতে পারেন।
৭. এখন ‘সেভ’ বাটনে বাটনে ক্লিক করুন।
কুইক রিপ্লাই ব্যবহার করবেন যেভাবে
যখন আপনি একটি চ্যাটে এই কুইক রিপ্লাই ব্যবহার করতে চান। তখন চ্যাট বক্সে ‘/’ টাইপ করুন এবং এরপর শর্টকাট নামটি টাইপ করুন (যেমন: ওপেনিং আওয়ারস) আপনার তৈরি করা মেসেজটি চলে আসবে এবং আপনি এক ক্লিকে পাঠাতে পারবেন।
কুইক রিপ্লাইয়ের ক্ষেত্রে নিচের বিষয়গুলো লক্ষ্য রাখতে হবে—
লেবেল
হোয়াটসঅ্যাপ বিজনেস অ্যাপে আপনি আপনার কন্টাক্টদের জন্য লেবেল (যেমন—নতুন গ্রাহক, পেন্ডিং অর্ডার) তৈরি করতে পারেন এবং চ্যাটগুলোকে শ্রেণিবদ্ধ করতে পারেন। এই লেবেল ব্যবহার করে আপনি সহজে গ্রাহকদের এবং তাদের চ্যাটগুলোকে শনাক্ত করতে পারবেন, যা আপনার ব্যবসা পরিচালনায় সাহায্য করবে। উদাহরণস্বরূপ, আপনি নতুন গ্রাহক এবং পুরোনো গ্রাহকেরা কোন ধরনের প্রশ্ন করেছেন তা আলাদা আলাদা লেবেল দিয়ে চিহ্নিত করতে পারবেন।
কিউআর কোড
হোয়াটসঅ্যাপ বিজনেসের জন্য কিউআর কোড তৈরি করা যায়, যা স্ক্যান করে আপনার গ্রাহকেরা সরাসরি আপনার হোয়াটসঅ্যাপে চলে আসতে পারেন। এই কোডটি আপনি আপনার দোকানে, প্রোডাক্ট প্যাকেজিং বা অন্যান্য মার্কেটিং উপকরণে ব্যবহার করতে পারেন।
ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে বিজ্ঞাপন
‘ক্লিক টু হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাডস’ হলো এমন একটি বিজ্ঞাপন পদ্ধতি যা আপনি ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রামে চালু করতে পারেন। এটি গ্রাহকদের সরাসরি আপনার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে নিয়ে আসবে। এর ফলে তাদের পণ্য বা সেবা সম্পর্কে কোনো প্রশ্ন থাকলে তারা সহজেই জিজ্ঞেস করতে পারবে।

বর্তমান ডিজিটাল যুগে ব্যবসায়িক যোগাযোগের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ। ব্যবসায়ীরা তাঁদের গ্রাহকদের সঙ্গে সরাসরি, দ্রুত এবং কার্যকরভাবে যোগাযোগ স্থাপন করতে হোয়াটসঅ্যাপ বিজনেস অ্যাপ ব্যবহার করে। প্ল্যাটফর্মটির বিভিন্ন টুল ব্যবসার প্রসারে সাহায্য করে। এই টুলগুলো যেমন গ্রাহকের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করে, তেমনি ব্যবসায়িক কার্যক্রমকে আরও প্রভাবশালী ও সুসংগঠিত করে তোলে।
নিজের ব্যবসার প্রচার ও প্রসারে হোয়াটসঅ্যাপের বিজনেস টুলগুলো ব্যবহার করতে পারেন। এই ধরনের কিছু টুল সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হলো—
ক্যাটালগ
ক্যাটালগের মাধ্যমে আপনি পণ্য এবং সেবার তথ্য, মূল্য, ছবি এবং লিংক সরাসরি হোয়াটসঅ্যাপ বিজনেস অ্যাপে আপলোড করতে পারেন।
ক্যাটালগ টুল ব্যবহারের জন্য নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন—
১. প্রথমে হোয়াটসঅ্যাপের সেটিংসে যেতে হবে। আইফোনে নিচের ডান দিকে সেটিংস অপশন থাকে। আর অ্যান্ড্রয়েড ওপরের বাঁ দিকে থাকা তিন ডট মেনুতে ‘সেটিংস’ অপশন পাওয়া যাবে।
২. এরপর ‘ক্যাটালগ’ অপশন নির্বাচন করুন। নতুন একটি পণ্য যোগ করুন।
৩. প্লাস আইকনে ক্লিক করে একটি ছবি আপলোড করুন। এরপর পণ্যের বিবরণ লিখুন এবং মূল্য ও লিংক যুক্ত করুন।
একবার পণ্যটি আপলোড হয়ে গেলে, গ্রাহকেরা সহজেই ক্যাটালগ ব্রাউজ করতে পারবেন। এ ছাড়া একটি নির্দিষ্ট পণ্য সরাসরি চ্যাটের মাধ্যমে তাদের সঙ্গে শেয়ারও করা যাবে। আপনি একসঙ্গে সর্বোচ্চ ৫০০টি পণ্য আপলোড করতে পারবেন।
বাল্ক মেসেজ
বাল্ক মেসেজ এমন একটি ফিচার, যা ব্যবহার করে আপনি একসঙ্গে অনেক কন্টাক্টকে একই সময়ে একই মেসেজ পাঠাতে পারবেন। এটি হোয়াটসঅ্যাপ বিজনেস অ্যাপে ‘ব্রডকাস্ট’ টুলের মাধ্যমে করা যায়।
১. হোয়াটসঅ্যাপ বিজনেস অ্যাপে লগইন করুন।
২. ওপরের ডান দিকের তিন ডটে (মেনু আইকন) ক্লিক করুন।
৩. মেনু থেকে ‘ব্রডকাস্ট লিস্ট’ অপশনটি নির্বাচন করুন।
৪. এরপর ‘নিউ লিস্ট’ অপশনে ক্লিক করুন।
৫. নতুন ব্রডকাস্ট লিস্ট তৈরির পর আপনি যাদের কাছে বাল্ক মেসেজ পাঠাতে চান তাদের কন্টাক্ট নির্বাচন করুন। (আপনার কন্টাক্টের নম্বর অবশ্যই তাদের ফোনবুকে সেভ থাকতে হবে।)
৬. এখন ‘ক্রিয়েট’ বাটনে ক্লিক করুন।
৭. ব্রডকাস্ট লিস্ট তৈরি হওয়ার পর পনি মেসেজ টাইপ করার জন্য একটি নতুন চ্যাট উইন্ডো পাবেন। এখানে আপনি যেকোনো মেসেজ যুক্ত করতে পারেন, যেমন—টেক্সট, ছবি, ভিডিও বা ফাইল।
৮. পছন্দমতো মেসেজ লেখা হলে ‘সেন্ড’ বাটনে ক্লিক করুন।
এখন ব্রডকাস্ট লিস্টে থাকা সব কন্টাক্টের কাছে মেসেজটি একযোগে পৌঁছে যাবে।
ব্লাক মেসেজ পাঠানোর ক্ষেত্রে নিচের বিষয়গুলো লক্ষ্য রাখতে হবে—
মেসেজ টেমপ্লেট
হোয়াটসঅ্যাপ বিজনেস অ্যাপে কিছু নির্দিষ্ট মেসেজ টেমপ্লেট ব্যবহার করা যায়। এর মাধ্যমে স্বাগত বার্তা, অনলাইনে না থাকার মেসেজ এবং অন্যান্য ধরনের তথ্য ‘কুইক রিপ্লাই’-এর মাধ্যমে পাঠানো যাবে।
এখানে কুইক রিপ্লাই টেমপ্লেট তৈরি করার পদ্ধতি তুলে ধরা হলো—
১. হোয়াটসঅ্যাপ বিজনেস অ্যাপ খুলুন।
২. স্ক্রিনের ওপরের ডান দিকে থাকা তিন ডট আইকনে (মেনু আইকন) ক্লিক করুন। এরপর ‘সেটিংস’ অপশনটি নির্বাচন করুন।
৩. সেটিংস থেকে ‘বিজনেস টুল’ অপশনটি নির্বাচন করুন।
৪. এখন ‘কুইক রিপ্লাইস’ নির্বাচন করুন।
৫. এবার ‘অ্যাড টু কুইক রিপ্লাই’ বা ‘নিউ কুইক রিপ্লাই’ বাটনে ট্যাপ করুন।
এখন, আপনি শর্টকাট নামক একটি অপশন দেখতে পাবেন। সহজে মনে রাখা যায় এমন শর্টকাট নাম (যেমন—ওপেনিং আওয়ারস বা কন্টাক্ট ইনফো) এখানে টাইপ করুন।
৬. এবার মেসেজ বক্সে মেসেজ লিখুন (যেমন: আপনার ব্যবসার কাজের সময়, যোগাযোগের নম্বর, বা অন্যান্য তথ্য)। এই মেসেজে আপনি ছবি, ভিডিও বা অন্যান্য মিডিয়া ফাইলও যুক্ত করতে পারেন।
৭. এখন ‘সেভ’ বাটনে বাটনে ক্লিক করুন।
কুইক রিপ্লাই ব্যবহার করবেন যেভাবে
যখন আপনি একটি চ্যাটে এই কুইক রিপ্লাই ব্যবহার করতে চান। তখন চ্যাট বক্সে ‘/’ টাইপ করুন এবং এরপর শর্টকাট নামটি টাইপ করুন (যেমন: ওপেনিং আওয়ারস) আপনার তৈরি করা মেসেজটি চলে আসবে এবং আপনি এক ক্লিকে পাঠাতে পারবেন।
কুইক রিপ্লাইয়ের ক্ষেত্রে নিচের বিষয়গুলো লক্ষ্য রাখতে হবে—
লেবেল
হোয়াটসঅ্যাপ বিজনেস অ্যাপে আপনি আপনার কন্টাক্টদের জন্য লেবেল (যেমন—নতুন গ্রাহক, পেন্ডিং অর্ডার) তৈরি করতে পারেন এবং চ্যাটগুলোকে শ্রেণিবদ্ধ করতে পারেন। এই লেবেল ব্যবহার করে আপনি সহজে গ্রাহকদের এবং তাদের চ্যাটগুলোকে শনাক্ত করতে পারবেন, যা আপনার ব্যবসা পরিচালনায় সাহায্য করবে। উদাহরণস্বরূপ, আপনি নতুন গ্রাহক এবং পুরোনো গ্রাহকেরা কোন ধরনের প্রশ্ন করেছেন তা আলাদা আলাদা লেবেল দিয়ে চিহ্নিত করতে পারবেন।
কিউআর কোড
হোয়াটসঅ্যাপ বিজনেসের জন্য কিউআর কোড তৈরি করা যায়, যা স্ক্যান করে আপনার গ্রাহকেরা সরাসরি আপনার হোয়াটসঅ্যাপে চলে আসতে পারেন। এই কোডটি আপনি আপনার দোকানে, প্রোডাক্ট প্যাকেজিং বা অন্যান্য মার্কেটিং উপকরণে ব্যবহার করতে পারেন।
ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে বিজ্ঞাপন
‘ক্লিক টু হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাডস’ হলো এমন একটি বিজ্ঞাপন পদ্ধতি যা আপনি ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রামে চালু করতে পারেন। এটি গ্রাহকদের সরাসরি আপনার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে নিয়ে আসবে। এর ফলে তাদের পণ্য বা সেবা সম্পর্কে কোনো প্রশ্ন থাকলে তারা সহজেই জিজ্ঞেস করতে পারবে।

শীতকালে কলা খাওয়া যাবে কি না, এ বিষয়ে বিতর্কের অন্ত নেই। কারণ আমাদের দেশে বেশির ভাগ মানুষ মনে করেন, কলা একটি ঠান্ডা ফল। এটি খেলা সর্দি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া শীতকালে কলা খেলে ‘বুক দেবে যাওয়া’র মতো ঘটনা ঘটতে পারে। অর্থাৎ কফ বসে যেতে পারে। এ জন্য শীতকালে আমাদের দেশে সাধারণত কলা খাওয়ার প্রবণতা...
১ ঘণ্টা আগে
সুস্থ, সচেতন ও সক্রিয় নগরজীবন গঠনের বিভিন্ন আন্দোলন আছে ঢাকা শহরে। আছে তাদের নিয়মিত ইভেন্ট। এ ইতিহাসে যুক্ত হলো ‘ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে’ ম্যারাথন। এর আয়োজক ছিল ক্রীড়া প্রতিষ্ঠান ট্রায়াথলন ড্রিমার্স। আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, এটি ছিল ঢাকায় অনুষ্ঠিত দেশের প্রথম এআইএমএস সার্টিফায়েড ৩০ কিলোমিটার ম্যারাথন।...
১৩ ঘণ্টা আগে
আমাদের শরীর ও মন পরস্পর ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত। আমরা যখন দুশ্চিন্তা করি বা মানসিক চাপে থাকি, তখন শরীরে এর প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়; যা আমাদের স্নায়ুতন্ত্রকে প্রভাবিত করে এবং এর ফলে অনেক সময় শরীরে চুলকানি বা জ্বালাপোড়ার মতো হতে পারে। এই অবস্থাকেই বলে ‘অ্যাংজাইটি ইচিং’ বা উদ্বেগজনিত চুলকানি।...
১৫ ঘণ্টা আগে
বিলাসিতা কেমন হতে পারে? এর উত্তর খুঁজতে গেলে আমাদের চোখ চলে যায় পৃথিবীর সেই সব বিরল উপাদানের দিকে, যেগুলোর মূল্য প্রায় আকাশছোঁয়া। এই উপাদানগুলোর দুর্লভতা এবং অনন্যতাই তাদের করে তুলেছে বিশেষ। যারা জীবনের সেরা জিনিসগুলোর খোঁজ করেন তাদের জন্য এই ধরনের খাবার উপভোগ করতে পারা একটি বিশেষ চাহিদা হতে পারে।
২১ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

শীতকালে কলা খাওয়া যাবে কি না, এ বিষয়ে বিতর্কের অন্ত নেই। কারণ আমাদের দেশে বেশির ভাগ মানুষ মনে করেন, কলা একটি ঠান্ডা ফল। এটি খেলা সর্দি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া শীতকালে কলা খেলে ‘বুক দেবে যাওয়া’র মতো ঘটনা ঘটতে পারে। অর্থাৎ কফ বসে যেতে পারে। এ জন্য শীতকালে আমাদের দেশে সাধারণত কলা খাওয়ার প্রবণতা কমে যায়।
কিন্তু এ বিষয়টি নিয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে প্রচুর গবেষণা হয়েছে। সেগুলোতে শীতকালে কলা খাওয়ার ব্যাপারে কোনো নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়নি। তাই বলাই যায়, শীতকালে কলা খাওয়া নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যকর। তবে একটি বিষয় মনে রাখতে হবে, খাবার খাওয়া এবং তা থেকে শারীরিক সমস্যা সৃষ্টি হওয়ার বিষয়টি নির্ভর করে ব্যক্তিগত সংবেদনশীলতা থেকে। যেসব খাবারে অ্যালার্জি আছে, সেসব খাবার না খাওয়া ভালো। তাতে শারীরিক সমস্যা থেকে মুক্ত থাকা যায়।
যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগ কলাকে স্বাস্থ্যকর ফল হিসেবে সব ঋতুতে খাওয়ার সুপারিশ করেছে। এ ছাড়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দিনে কলাসহ ৪০০ গ্রাম ফল ও সবজি খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।
কিছু প্রচলিত ভুল ধারণা এবং তার সঠিক বৈজ্ঞানিক তথ্য জেনে নিন।
শীতে কলার পুষ্টিগুণ বদলে যায়
এ ধারণা ঠিক নয়। কলার পুষ্টিগুণ অর্থাৎ পটাশিয়াম, ভিটামিন বি৬, আঁশ ইত্যাদি ঋতুভেদে একই থাকে। আমেরিকান ডায়াবেটিস অ্যাসোসিয়েশন কলাকে একটি পুষ্টিকর স্ন্যাক্স বা হালকা নাশতা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।

হজমে সমস্যা ও সর্দি-কাশি
আমাদের দেশেই শুধু নয়, পৃথিবীতে এমন বহু মানুষ আছেন যাঁরা বিশ্বাস করেন, কলা ঠান্ডা প্রকৃতির বলে শীতকালে খেলে সর্দি-কাশি বা হজমে সমস্যা করতে পারে। এটি আজ পর্যন্ত বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত হয়নি। স্বাভাবিকভাবে যেকোনো ব্যক্তি শীতকালে কলা খেতে পারেন। বরং কলা দ্রুত শক্তি দেয় বলে শীতকালে এটি শরীরের উষ্ণতা বজায় রাখতে সহায়ক হতে পারে। তবে কলায় কারও অ্যালার্জি থাকলে খাওয়া ঠিক হবে না।
আয়ুর্বেদিক ধারণা
আয়ুর্বেদের মতো কিছু প্রথাগত চিকিৎসা পদ্ধতি কলাকে ‘শীতল’ প্রকৃতির বলে বিবেচনা করে। সে জন্য রাতে বা শীতে বেশি পরিমাণে না খাওয়ার পরামর্শ দেয়। তবে এ পরামর্শ সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।
বিশেষ পরিস্থিতিতে সতর্কতা
অ্যালার্জি ও কফ: যাঁদের কলায় অ্যালার্জি আছে এবং যাঁদের শীতকালে কফ জমে থাকা বা অ্যাজমার সমস্যা আছে, তাঁদের শীতকালে কলা খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কলায় কোনো ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া নেই। তবে যাঁদের আগে থেকে অ্যালার্জি বা অ্যাজমার সমস্যা আছে, তাঁদের অত্যধিক মিউকাস উৎপাদনে এটি কিছু ভূমিকা রাখতে পারে। সে জন্য যাঁদের আগে থেকে এসব সমস্যা আছে, তাঁদের শীতকালে কলা খাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।
ডায়াবেটিস: কলায় প্রাকৃতিক শর্করা থাকে, তাই ডায়াবেটিস রোগীদের এটি পরিমিত খাওয়া উচিত।

শীতকালে কলা খাওয়ার উপকারিতা
কলা প্রাকৃতিক এনার্জি বার: কলায় থাকে ফ্রুকটোজ ও গ্লুকোজের মতো প্রাকৃতিক চিনি। এটি দ্রুত শক্তি সরবরাহ করে, যা শীতকালে শরীরের তাপমাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
ইমিউনিটি বুস্টার: ভিটামিন ‘সি’ এবং ‘বি৬’ রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় কলা। এতে শীতকালীন সর্দি-কাশি থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
সেরোটোনিন উৎপাদন: কলায় ট্রিপটোফ্যান নামে একটি অ্যামাইনো অ্যাসিড থাকে, যা মস্তিষ্কে সেরোটোনিন (মুড-রেগুলেটর) উৎপাদনে সাহায্য করে, শীতকালীন বিষণ্নতা মোকাবিলায় সহায়ক।
শীতকালে কলা খাওয়ার টিপস
রাতের বদলে সকাল বা দুপুরে খাওয়া ভালো। এ ছাড়া কলা বিভিন্ন জিনিসের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন। যেমন ওটমিল ও দারুচিনির সঙ্গে কলা মিশিয়ে খেলে উষ্ণতা বাড়বে। কলার স্মুদির সঙ্গে আদা ও কাঁচা হলুদ যোগ করে খাওয়া যেতে পারে। সম্পূর্ণ পাকা কলায় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বেশি থাকে। এ ধরনের কলা দিনে ১ থেকে ২টি খান।
শীতকালে কলা খাওয়া সম্পূর্ণ নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যকর, যদি ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য অবস্থা ও পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়। তাই নিয়মিত কলা খেতে কোনো বৈজ্ঞানিক নিষেধ নেই। তবে অ্যাজমা, দীর্ঘস্থায়ী কফ, কিডনি রোগী ইত্যাদি সংবেদনশীল গ্রুপের মানুষেরা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে কলা খাবেন। এ ছাড়া কলাকে শীতের খাদ্যতালিকার একটি উপাদান হিসেবে দেখুন, একমাত্র উৎস হিসেবে নয়। অন্যান্য শীতকালীন ফলের সঙ্গে এর ভারসাম্য বজায় রাখুন।
তথ্যসূত্র

শীতকালে কলা খাওয়া যাবে কি না, এ বিষয়ে বিতর্কের অন্ত নেই। কারণ আমাদের দেশে বেশির ভাগ মানুষ মনে করেন, কলা একটি ঠান্ডা ফল। এটি খেলা সর্দি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া শীতকালে কলা খেলে ‘বুক দেবে যাওয়া’র মতো ঘটনা ঘটতে পারে। অর্থাৎ কফ বসে যেতে পারে। এ জন্য শীতকালে আমাদের দেশে সাধারণত কলা খাওয়ার প্রবণতা কমে যায়।
কিন্তু এ বিষয়টি নিয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে প্রচুর গবেষণা হয়েছে। সেগুলোতে শীতকালে কলা খাওয়ার ব্যাপারে কোনো নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়নি। তাই বলাই যায়, শীতকালে কলা খাওয়া নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যকর। তবে একটি বিষয় মনে রাখতে হবে, খাবার খাওয়া এবং তা থেকে শারীরিক সমস্যা সৃষ্টি হওয়ার বিষয়টি নির্ভর করে ব্যক্তিগত সংবেদনশীলতা থেকে। যেসব খাবারে অ্যালার্জি আছে, সেসব খাবার না খাওয়া ভালো। তাতে শারীরিক সমস্যা থেকে মুক্ত থাকা যায়।
যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগ কলাকে স্বাস্থ্যকর ফল হিসেবে সব ঋতুতে খাওয়ার সুপারিশ করেছে। এ ছাড়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দিনে কলাসহ ৪০০ গ্রাম ফল ও সবজি খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।
কিছু প্রচলিত ভুল ধারণা এবং তার সঠিক বৈজ্ঞানিক তথ্য জেনে নিন।
শীতে কলার পুষ্টিগুণ বদলে যায়
এ ধারণা ঠিক নয়। কলার পুষ্টিগুণ অর্থাৎ পটাশিয়াম, ভিটামিন বি৬, আঁশ ইত্যাদি ঋতুভেদে একই থাকে। আমেরিকান ডায়াবেটিস অ্যাসোসিয়েশন কলাকে একটি পুষ্টিকর স্ন্যাক্স বা হালকা নাশতা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।

হজমে সমস্যা ও সর্দি-কাশি
আমাদের দেশেই শুধু নয়, পৃথিবীতে এমন বহু মানুষ আছেন যাঁরা বিশ্বাস করেন, কলা ঠান্ডা প্রকৃতির বলে শীতকালে খেলে সর্দি-কাশি বা হজমে সমস্যা করতে পারে। এটি আজ পর্যন্ত বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত হয়নি। স্বাভাবিকভাবে যেকোনো ব্যক্তি শীতকালে কলা খেতে পারেন। বরং কলা দ্রুত শক্তি দেয় বলে শীতকালে এটি শরীরের উষ্ণতা বজায় রাখতে সহায়ক হতে পারে। তবে কলায় কারও অ্যালার্জি থাকলে খাওয়া ঠিক হবে না।
আয়ুর্বেদিক ধারণা
আয়ুর্বেদের মতো কিছু প্রথাগত চিকিৎসা পদ্ধতি কলাকে ‘শীতল’ প্রকৃতির বলে বিবেচনা করে। সে জন্য রাতে বা শীতে বেশি পরিমাণে না খাওয়ার পরামর্শ দেয়। তবে এ পরামর্শ সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।
বিশেষ পরিস্থিতিতে সতর্কতা
অ্যালার্জি ও কফ: যাঁদের কলায় অ্যালার্জি আছে এবং যাঁদের শীতকালে কফ জমে থাকা বা অ্যাজমার সমস্যা আছে, তাঁদের শীতকালে কলা খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কলায় কোনো ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া নেই। তবে যাঁদের আগে থেকে অ্যালার্জি বা অ্যাজমার সমস্যা আছে, তাঁদের অত্যধিক মিউকাস উৎপাদনে এটি কিছু ভূমিকা রাখতে পারে। সে জন্য যাঁদের আগে থেকে এসব সমস্যা আছে, তাঁদের শীতকালে কলা খাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।
ডায়াবেটিস: কলায় প্রাকৃতিক শর্করা থাকে, তাই ডায়াবেটিস রোগীদের এটি পরিমিত খাওয়া উচিত।

শীতকালে কলা খাওয়ার উপকারিতা
কলা প্রাকৃতিক এনার্জি বার: কলায় থাকে ফ্রুকটোজ ও গ্লুকোজের মতো প্রাকৃতিক চিনি। এটি দ্রুত শক্তি সরবরাহ করে, যা শীতকালে শরীরের তাপমাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
ইমিউনিটি বুস্টার: ভিটামিন ‘সি’ এবং ‘বি৬’ রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় কলা। এতে শীতকালীন সর্দি-কাশি থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
সেরোটোনিন উৎপাদন: কলায় ট্রিপটোফ্যান নামে একটি অ্যামাইনো অ্যাসিড থাকে, যা মস্তিষ্কে সেরোটোনিন (মুড-রেগুলেটর) উৎপাদনে সাহায্য করে, শীতকালীন বিষণ্নতা মোকাবিলায় সহায়ক।
শীতকালে কলা খাওয়ার টিপস
রাতের বদলে সকাল বা দুপুরে খাওয়া ভালো। এ ছাড়া কলা বিভিন্ন জিনিসের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন। যেমন ওটমিল ও দারুচিনির সঙ্গে কলা মিশিয়ে খেলে উষ্ণতা বাড়বে। কলার স্মুদির সঙ্গে আদা ও কাঁচা হলুদ যোগ করে খাওয়া যেতে পারে। সম্পূর্ণ পাকা কলায় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বেশি থাকে। এ ধরনের কলা দিনে ১ থেকে ২টি খান।
শীতকালে কলা খাওয়া সম্পূর্ণ নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যকর, যদি ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য অবস্থা ও পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়। তাই নিয়মিত কলা খেতে কোনো বৈজ্ঞানিক নিষেধ নেই। তবে অ্যাজমা, দীর্ঘস্থায়ী কফ, কিডনি রোগী ইত্যাদি সংবেদনশীল গ্রুপের মানুষেরা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে কলা খাবেন। এ ছাড়া কলাকে শীতের খাদ্যতালিকার একটি উপাদান হিসেবে দেখুন, একমাত্র উৎস হিসেবে নয়। অন্যান্য শীতকালীন ফলের সঙ্গে এর ভারসাম্য বজায় রাখুন।
তথ্যসূত্র

বর্তমান ডিজিটাল যুগে ব্যবসায়িক যোগাযোগের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ। ব্যবসায়ীরা তাঁদের গ্রাহকদের সঙ্গে সরাসরি, দ্রুত এবং কার্যকরভাবে যোগাযোগ স্থাপন করতে হোয়াটসঅ্যাপ বিজনেস অ্যাপ ব্যবহার করে।
১৭ মার্চ ২০২৫
সুস্থ, সচেতন ও সক্রিয় নগরজীবন গঠনের বিভিন্ন আন্দোলন আছে ঢাকা শহরে। আছে তাদের নিয়মিত ইভেন্ট। এ ইতিহাসে যুক্ত হলো ‘ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে’ ম্যারাথন। এর আয়োজক ছিল ক্রীড়া প্রতিষ্ঠান ট্রায়াথলন ড্রিমার্স। আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, এটি ছিল ঢাকায় অনুষ্ঠিত দেশের প্রথম এআইএমএস সার্টিফায়েড ৩০ কিলোমিটার ম্যারাথন।...
১৩ ঘণ্টা আগে
আমাদের শরীর ও মন পরস্পর ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত। আমরা যখন দুশ্চিন্তা করি বা মানসিক চাপে থাকি, তখন শরীরে এর প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়; যা আমাদের স্নায়ুতন্ত্রকে প্রভাবিত করে এবং এর ফলে অনেক সময় শরীরে চুলকানি বা জ্বালাপোড়ার মতো হতে পারে। এই অবস্থাকেই বলে ‘অ্যাংজাইটি ইচিং’ বা উদ্বেগজনিত চুলকানি।...
১৫ ঘণ্টা আগে
বিলাসিতা কেমন হতে পারে? এর উত্তর খুঁজতে গেলে আমাদের চোখ চলে যায় পৃথিবীর সেই সব বিরল উপাদানের দিকে, যেগুলোর মূল্য প্রায় আকাশছোঁয়া। এই উপাদানগুলোর দুর্লভতা এবং অনন্যতাই তাদের করে তুলেছে বিশেষ। যারা জীবনের সেরা জিনিসগুলোর খোঁজ করেন তাদের জন্য এই ধরনের খাবার উপভোগ করতে পারা একটি বিশেষ চাহিদা হতে পারে।
২১ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

সুস্থ, সচেতন ও সক্রিয় নগরজীবন গঠনের বিভিন্ন আন্দোলন আছে ঢাকা শহরে। আছে তাদের নিয়মিত ইভেন্ট। এ ইতিহাসে যুক্ত হলো ‘ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে’ ম্যারাথন। এর আয়োজক ছিল ক্রীড়া প্রতিষ্ঠান ট্রায়াথলন ড্রিমার্স। আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, এটি ছিল ঢাকায় অনুষ্ঠিত দেশের প্রথম এআইএমএস সার্টিফায়েড ৩০ কিলোমিটার ম্যারাথন।
গতকাল ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর হাতিরঝিলে অনুষ্ঠিত হয়েছে ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে নামের এই ম্যারাথনটি। ‘এক শহর, এক দৌড়, এক ইতিহাস’ স্লোগানে আয়োজিত এ আন্তর্জাতিক রোড রেসে অংশ নেন হাজারো দৌড়বিদ। এদের মধ্যে ছিলেন দেশ-বিদেশের অভিজ্ঞ রানার ও শৌখিন অ্যাথলেটরা।

ঢাকার হাতিরঝিল অ্যাম্ফিথিয়েটার থেকে ভোর ৪টা ৩০ মিনিটে ৩০ কিলোমিটার ক্যাটাগির এ ম্যারাথনের উদ্বোধন করা হয়। এ ছাড়া ১৫ এবং ৭ দশমিক ৫ কিলোমিটার রেসের উদ্বোধন হয় ভোর ৫টা। অংশগ্রহণকারী দৌড়বিদেরা হাতিরঝিলের চারপাশে বিস্তৃত একটি চ্যালেঞ্জিং ও মনোরম ট্র্যাকে তাঁদের দৌড় সম্পন্ন করেন।
আয়োজকেরা জানিয়েছেন, এ ইভেন্টে অন্তর্ভুক্ত ছিল চারটি প্রতিযোগিতা ক্যাটাগরি। এগুলো হলো,
৩০ কিলোমিটার ম্যারাথনে ছেলেদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন মামুন আহম্মেদ। দৌড়ের পথ শেষ করতে তিনি সময় নেন ১ ঘণ্টা ৫৩ মিনিট ৪৭ সেকেন্ড। একই ইভেন্টে মেয়েদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন হামিদা আক্তার জেবা। তিনি শেষ করতে সময় নিয়েছে ২ ঘণ্টা ৪৪ মিনিট ৫৩ সেকেন্ড।
এদিকে ১৫ কিলোমিটার ম্যারাথনে ছেলেদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন পলাশ শেখ। এ পথ শেষ করতে তিনি সময় নেন ৫৩ মিনিট ৩৭ সেকেন্ড। একই ইভেন্টে মেয়েদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন সাজিয়া হেপ্পি। তিনি দৌড় শেষ করতে সময় নেন ১ ঘণ্টা ২১ মিনিট ৭ সেকেন্ড।

৭ দশমিক ৫ কিলোমিটার ম্যারাথনে ছেলেদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন মোস্তাক আহমেদ আভিন। দৌড় শেষ করতে তিনি সময় নেন ২৬ মিনিট ৫৭ সেকেন্ড। একই ইভেন্টে মেয়েদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন সাবরিনা আক্তার স্বর্ণা। তিনি ৭ দশমিক ৫ কিলোমিটার দৌড় শেষ করতে সময় নিয়েছেন ৪৩ মিনিট ৫৩ সেকেন্ড।
এ ছাড়া এক কিলোমিটার ওভারল চ্যাম্পিয়ন হয় সাইফান ওময়ের।
দৌড়বিদদের সুবিধার্থে ইভেন্ট এরিয়ায় স্থাপন করা হয়েছিল মেডিকেল সাপোর্ট সিস্টেম, একাধিক হাইড্রেশন ও কুলিং জোন, লাইভ টাইমিং সুবিধা। ইভেন্ট নিরাপদ করতে ছিল শক্তিশালী নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এ ইভেন্টে কাজ করেন শতাধিক প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবক। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিবিড় সহযোগিতায় ইভেন্ট ব্যবস্থাপনা ছিল অত্যন্ত সমন্বিত।

ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে ম্যারাথন রেস ডিরেক্টর মো. আল-আমীন বলেন, ‘ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে শুধু একটি রেস নয়, এটি একটি সুস্থ, সচেতন ও সক্রিয় নগরজীবন গঠনের আন্দোলন। আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে, দৌড়ের পাশাপাশি আমরা চাই ঢাকাকে একটি প্রাণবন্ত ও ইতিবাচক শহরে রূপান্তরিত করতে।’
আন্তর্জাতিক সার্টিফিকেশন, বিশাল অংশগ্রহণ, পেশাদার ব্যবস্থাপনা এবং নিরাপদ আয়োজন, সব মিলিয়ে ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে আজ বাংলাদেশের দৌড় ইতিহাসে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করল।

সুস্থ, সচেতন ও সক্রিয় নগরজীবন গঠনের বিভিন্ন আন্দোলন আছে ঢাকা শহরে। আছে তাদের নিয়মিত ইভেন্ট। এ ইতিহাসে যুক্ত হলো ‘ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে’ ম্যারাথন। এর আয়োজক ছিল ক্রীড়া প্রতিষ্ঠান ট্রায়াথলন ড্রিমার্স। আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, এটি ছিল ঢাকায় অনুষ্ঠিত দেশের প্রথম এআইএমএস সার্টিফায়েড ৩০ কিলোমিটার ম্যারাথন।
গতকাল ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর হাতিরঝিলে অনুষ্ঠিত হয়েছে ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে নামের এই ম্যারাথনটি। ‘এক শহর, এক দৌড়, এক ইতিহাস’ স্লোগানে আয়োজিত এ আন্তর্জাতিক রোড রেসে অংশ নেন হাজারো দৌড়বিদ। এদের মধ্যে ছিলেন দেশ-বিদেশের অভিজ্ঞ রানার ও শৌখিন অ্যাথলেটরা।

ঢাকার হাতিরঝিল অ্যাম্ফিথিয়েটার থেকে ভোর ৪টা ৩০ মিনিটে ৩০ কিলোমিটার ক্যাটাগির এ ম্যারাথনের উদ্বোধন করা হয়। এ ছাড়া ১৫ এবং ৭ দশমিক ৫ কিলোমিটার রেসের উদ্বোধন হয় ভোর ৫টা। অংশগ্রহণকারী দৌড়বিদেরা হাতিরঝিলের চারপাশে বিস্তৃত একটি চ্যালেঞ্জিং ও মনোরম ট্র্যাকে তাঁদের দৌড় সম্পন্ন করেন।
আয়োজকেরা জানিয়েছেন, এ ইভেন্টে অন্তর্ভুক্ত ছিল চারটি প্রতিযোগিতা ক্যাটাগরি। এগুলো হলো,
৩০ কিলোমিটার ম্যারাথনে ছেলেদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন মামুন আহম্মেদ। দৌড়ের পথ শেষ করতে তিনি সময় নেন ১ ঘণ্টা ৫৩ মিনিট ৪৭ সেকেন্ড। একই ইভেন্টে মেয়েদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন হামিদা আক্তার জেবা। তিনি শেষ করতে সময় নিয়েছে ২ ঘণ্টা ৪৪ মিনিট ৫৩ সেকেন্ড।
এদিকে ১৫ কিলোমিটার ম্যারাথনে ছেলেদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন পলাশ শেখ। এ পথ শেষ করতে তিনি সময় নেন ৫৩ মিনিট ৩৭ সেকেন্ড। একই ইভেন্টে মেয়েদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন সাজিয়া হেপ্পি। তিনি দৌড় শেষ করতে সময় নেন ১ ঘণ্টা ২১ মিনিট ৭ সেকেন্ড।

৭ দশমিক ৫ কিলোমিটার ম্যারাথনে ছেলেদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন মোস্তাক আহমেদ আভিন। দৌড় শেষ করতে তিনি সময় নেন ২৬ মিনিট ৫৭ সেকেন্ড। একই ইভেন্টে মেয়েদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন সাবরিনা আক্তার স্বর্ণা। তিনি ৭ দশমিক ৫ কিলোমিটার দৌড় শেষ করতে সময় নিয়েছেন ৪৩ মিনিট ৫৩ সেকেন্ড।
এ ছাড়া এক কিলোমিটার ওভারল চ্যাম্পিয়ন হয় সাইফান ওময়ের।
দৌড়বিদদের সুবিধার্থে ইভেন্ট এরিয়ায় স্থাপন করা হয়েছিল মেডিকেল সাপোর্ট সিস্টেম, একাধিক হাইড্রেশন ও কুলিং জোন, লাইভ টাইমিং সুবিধা। ইভেন্ট নিরাপদ করতে ছিল শক্তিশালী নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এ ইভেন্টে কাজ করেন শতাধিক প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবক। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিবিড় সহযোগিতায় ইভেন্ট ব্যবস্থাপনা ছিল অত্যন্ত সমন্বিত।

ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে ম্যারাথন রেস ডিরেক্টর মো. আল-আমীন বলেন, ‘ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে শুধু একটি রেস নয়, এটি একটি সুস্থ, সচেতন ও সক্রিয় নগরজীবন গঠনের আন্দোলন। আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে, দৌড়ের পাশাপাশি আমরা চাই ঢাকাকে একটি প্রাণবন্ত ও ইতিবাচক শহরে রূপান্তরিত করতে।’
আন্তর্জাতিক সার্টিফিকেশন, বিশাল অংশগ্রহণ, পেশাদার ব্যবস্থাপনা এবং নিরাপদ আয়োজন, সব মিলিয়ে ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে আজ বাংলাদেশের দৌড় ইতিহাসে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করল।

বর্তমান ডিজিটাল যুগে ব্যবসায়িক যোগাযোগের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ। ব্যবসায়ীরা তাঁদের গ্রাহকদের সঙ্গে সরাসরি, দ্রুত এবং কার্যকরভাবে যোগাযোগ স্থাপন করতে হোয়াটসঅ্যাপ বিজনেস অ্যাপ ব্যবহার করে।
১৭ মার্চ ২০২৫
শীতকালে কলা খাওয়া যাবে কি না, এ বিষয়ে বিতর্কের অন্ত নেই। কারণ আমাদের দেশে বেশির ভাগ মানুষ মনে করেন, কলা একটি ঠান্ডা ফল। এটি খেলা সর্দি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া শীতকালে কলা খেলে ‘বুক দেবে যাওয়া’র মতো ঘটনা ঘটতে পারে। অর্থাৎ কফ বসে যেতে পারে। এ জন্য শীতকালে আমাদের দেশে সাধারণত কলা খাওয়ার প্রবণতা...
১ ঘণ্টা আগে
আমাদের শরীর ও মন পরস্পর ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত। আমরা যখন দুশ্চিন্তা করি বা মানসিক চাপে থাকি, তখন শরীরে এর প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়; যা আমাদের স্নায়ুতন্ত্রকে প্রভাবিত করে এবং এর ফলে অনেক সময় শরীরে চুলকানি বা জ্বালাপোড়ার মতো হতে পারে। এই অবস্থাকেই বলে ‘অ্যাংজাইটি ইচিং’ বা উদ্বেগজনিত চুলকানি।...
১৫ ঘণ্টা আগে
বিলাসিতা কেমন হতে পারে? এর উত্তর খুঁজতে গেলে আমাদের চোখ চলে যায় পৃথিবীর সেই সব বিরল উপাদানের দিকে, যেগুলোর মূল্য প্রায় আকাশছোঁয়া। এই উপাদানগুলোর দুর্লভতা এবং অনন্যতাই তাদের করে তুলেছে বিশেষ। যারা জীবনের সেরা জিনিসগুলোর খোঁজ করেন তাদের জন্য এই ধরনের খাবার উপভোগ করতে পারা একটি বিশেষ চাহিদা হতে পারে।
২১ ঘণ্টা আগেফারিয়া রহমান খান

আমাদের শরীর ও মন পরস্পর ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত। আমরা যখন দুশ্চিন্তা করি বা মানসিক চাপে থাকি, তখন শরীরে এর প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়; যা আমাদের স্নায়ুতন্ত্রকে প্রভাবিত করে এবং এর ফলে অনেক সময় শরীরে চুলকানি বা জ্বালাপোড়ার মতো হতে পারে। এই অবস্থাকেই বলে ‘অ্যাংজাইটি ইচিং’ বা উদ্বেগজনিত চুলকানি।
অতিরিক্ত উদ্বেগ থেকে হওয়া ‘সোমাটিক সিম্পটম’ বা শারীরিক প্রতিক্রিয়াগুলোর মধ্যে একটি হলো অ্যাংজাইটি ইচিং বা সাইকোজেনিক চুলকানি। উদ্বিগ্নতার তীব্রতা বেশি হলে করটিসল হরমোনের মাত্রা বেড়ে যায়। এর কারণে ত্বকে প্রদাহ সৃষ্টি হয়। পাশাপাশি সেরোটোনিন বা ডোপামিনের মতো নিউরোট্রান্সমিটারের ভারসাম্যহীনতার ফলেও অনেক সময় চুলকানি শুরু হয়। এই সমস্যা সাধারণত মাথার তালু, মুখ বা পিঠের উপরিভাগে বেশি দেখা যায়। তাই মানসিক চাপের কারণ খুঁজে বের করে চিকিৎসকের সহায়তা নিয়ে তা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। তা ছাড়া মেডিটেশন বা ইয়োগা করা যেতে পারে; পাশাপাশি চুলকানি কমাতে ভালো মানের ময়শ্চরাইজার ব্যবহার করতে হবে, পর্যাপ্ত পানি পান করাসহ অতিরিক্ত ঠান্ডা বা গরম পানি দিয়ে গোসল এড়াতে হবে। ডা. তাহরিয়াত আহমেদ শরীফ, সহকারী রেজিস্ট্রার, মেডিসিন বিভাগ, কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল, ঢাকা
মানসিক চাপের কারণে চুলকানি কেন হয়
উদ্বেগ ও চুলকানি আপাতদৃষ্টে সম্পর্কহীন মনে হলেও এই দুটি একে অপরের সঙ্গে বেশ কিছু বিষয়ে জড়িত। মানসিক চাপের প্রভাবে শরীরে কিছু সমস্যা দেখা দেয়, যেগুলোর ফলে চুলকানি হয়। যেমন—
স্ট্রেস হাইভস: মানসিক চাপের কারণে অনেক সময় শরীরের রোগ প্রতিরোধব্যবস্থার প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে। ফলে শরীরে চুলকানিযুক্ত ফুসকুড়ি দেখা দেয়।
ঘামাচি বা র্যাশ: উদ্বেগের ফলে ঘাম বেড়ে যায়। ফলে শরীরে ঘামাচি বা র্যাশ দেখা দেয়। এগুলো খুবই চুলকায় এবং ২ সপ্তাহ পর্যন্ত স্থায়ী হয়।
বিদ্যমান রোগ বাড়িয়ে দেওয়া: যাদের আগে থেকে একজিমা বা সোরিয়াসিসের মতো ত্বকের সমস্যা আছে, মানসিক চাপ ও উদ্বেগ তাদের এই রোগগুলো আরও বাড়িয়ে দেয়। ফলে চুলকানির মাত্রা বেড়ে যায়।
চুলকানির তীব্রতা বৃদ্ধি: মানসিক চাপ ও উদ্বেগ সামান্য চুলকানির তীব্রতাও বহুগুণে বাড়িয়ে দেয়, যা রোগীর কাছে অসহনীয় মনে হতে পারে।
অ্যাংজাইটি ইচিং নিয়ন্ত্রণের কিছু উপায়
অ্যাংজাইটি ইচিং নিয়ন্ত্রণ করতে হলে প্রথমে মানসিক চাপের কারণ বের করে তার সমাধান করতে হবে। পাশাপাশি কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করলে আরাম পাওয়া যেতে পারে। সেগুলো হলো—
কীভাবে অ্যাংজাইটি ইচিং নির্ণয় করা হয়
প্রথমে চিকিৎসক চুলকানির শারীরিক কারণ; যেমন পোকামাকড়ের কামড়, ত্বকের শুষ্কতা, একজিমা বা অ্যালার্জি আছে কি না, তা নির্ণয় করা হয়। তারপর ডায়াবেটিস, অ্যানিমিয়া বা থাইরয়েডের মতো রোগগুলোও খতিয়ে দেখা হয়। সঠিক সিদ্ধান্তে আসার জন্য রোগীর মানসিক স্বাস্থ্যসহ সম্পূর্ণ রোগের সব তথ্য চিকিৎসককে জানাতে হবে। এর ওপর ভিত্তি করে চিকিৎসক নিশ্চিত হবেন, চুলকানি মানসিক চাপের জন্য হচ্ছে, নাকি অন্য কোনো কারণে। মানসিক চাপের জন্য চুলকানি হচ্ছে নিশ্চিত হলে সেই অনুযায়ী চিকিৎসক উপযুক্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা করবেন।
কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন
কারণ ছাড়া অতিরিক্ত চুলকানি অনেক সময় কোনো অভ্যন্তরীণ স্বাস্থ্য সমস্যার কারণেও হতে পারে। মূল কারণ জানা এবং সঠিক চিকিৎসার জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। অ্যাংজাইটি ইচিং যদি আপনার দৈনন্দিন জীবনযাত্রা ব্যাহত করে, ত্বকে সংক্রমণ বা গুরুতর ক্ষতি করে বা দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ঘরোয়া চিকিৎসায়ও না কমে, তবে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। এ ছাড়া চুলকানির সঙ্গে জ্বর, রাতে ঘাম হওয়া বা অস্বাভাবিক হারে ওজন কমার মতো লক্ষণ থাকলেও দেরি না করে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। মনে রাখবেন, সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমেই অ্যাংজাইটি ইচিংয়ের মতো সমস্যা কার্যকরভাবে মোকাবিলা করা সম্ভব।
সূত্র: স্টাইলক্রেজ ও অন্যান্য

আমাদের শরীর ও মন পরস্পর ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত। আমরা যখন দুশ্চিন্তা করি বা মানসিক চাপে থাকি, তখন শরীরে এর প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়; যা আমাদের স্নায়ুতন্ত্রকে প্রভাবিত করে এবং এর ফলে অনেক সময় শরীরে চুলকানি বা জ্বালাপোড়ার মতো হতে পারে। এই অবস্থাকেই বলে ‘অ্যাংজাইটি ইচিং’ বা উদ্বেগজনিত চুলকানি।
অতিরিক্ত উদ্বেগ থেকে হওয়া ‘সোমাটিক সিম্পটম’ বা শারীরিক প্রতিক্রিয়াগুলোর মধ্যে একটি হলো অ্যাংজাইটি ইচিং বা সাইকোজেনিক চুলকানি। উদ্বিগ্নতার তীব্রতা বেশি হলে করটিসল হরমোনের মাত্রা বেড়ে যায়। এর কারণে ত্বকে প্রদাহ সৃষ্টি হয়। পাশাপাশি সেরোটোনিন বা ডোপামিনের মতো নিউরোট্রান্সমিটারের ভারসাম্যহীনতার ফলেও অনেক সময় চুলকানি শুরু হয়। এই সমস্যা সাধারণত মাথার তালু, মুখ বা পিঠের উপরিভাগে বেশি দেখা যায়। তাই মানসিক চাপের কারণ খুঁজে বের করে চিকিৎসকের সহায়তা নিয়ে তা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। তা ছাড়া মেডিটেশন বা ইয়োগা করা যেতে পারে; পাশাপাশি চুলকানি কমাতে ভালো মানের ময়শ্চরাইজার ব্যবহার করতে হবে, পর্যাপ্ত পানি পান করাসহ অতিরিক্ত ঠান্ডা বা গরম পানি দিয়ে গোসল এড়াতে হবে। ডা. তাহরিয়াত আহমেদ শরীফ, সহকারী রেজিস্ট্রার, মেডিসিন বিভাগ, কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল, ঢাকা
মানসিক চাপের কারণে চুলকানি কেন হয়
উদ্বেগ ও চুলকানি আপাতদৃষ্টে সম্পর্কহীন মনে হলেও এই দুটি একে অপরের সঙ্গে বেশ কিছু বিষয়ে জড়িত। মানসিক চাপের প্রভাবে শরীরে কিছু সমস্যা দেখা দেয়, যেগুলোর ফলে চুলকানি হয়। যেমন—
স্ট্রেস হাইভস: মানসিক চাপের কারণে অনেক সময় শরীরের রোগ প্রতিরোধব্যবস্থার প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে। ফলে শরীরে চুলকানিযুক্ত ফুসকুড়ি দেখা দেয়।
ঘামাচি বা র্যাশ: উদ্বেগের ফলে ঘাম বেড়ে যায়। ফলে শরীরে ঘামাচি বা র্যাশ দেখা দেয়। এগুলো খুবই চুলকায় এবং ২ সপ্তাহ পর্যন্ত স্থায়ী হয়।
বিদ্যমান রোগ বাড়িয়ে দেওয়া: যাদের আগে থেকে একজিমা বা সোরিয়াসিসের মতো ত্বকের সমস্যা আছে, মানসিক চাপ ও উদ্বেগ তাদের এই রোগগুলো আরও বাড়িয়ে দেয়। ফলে চুলকানির মাত্রা বেড়ে যায়।
চুলকানির তীব্রতা বৃদ্ধি: মানসিক চাপ ও উদ্বেগ সামান্য চুলকানির তীব্রতাও বহুগুণে বাড়িয়ে দেয়, যা রোগীর কাছে অসহনীয় মনে হতে পারে।
অ্যাংজাইটি ইচিং নিয়ন্ত্রণের কিছু উপায়
অ্যাংজাইটি ইচিং নিয়ন্ত্রণ করতে হলে প্রথমে মানসিক চাপের কারণ বের করে তার সমাধান করতে হবে। পাশাপাশি কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করলে আরাম পাওয়া যেতে পারে। সেগুলো হলো—
কীভাবে অ্যাংজাইটি ইচিং নির্ণয় করা হয়
প্রথমে চিকিৎসক চুলকানির শারীরিক কারণ; যেমন পোকামাকড়ের কামড়, ত্বকের শুষ্কতা, একজিমা বা অ্যালার্জি আছে কি না, তা নির্ণয় করা হয়। তারপর ডায়াবেটিস, অ্যানিমিয়া বা থাইরয়েডের মতো রোগগুলোও খতিয়ে দেখা হয়। সঠিক সিদ্ধান্তে আসার জন্য রোগীর মানসিক স্বাস্থ্যসহ সম্পূর্ণ রোগের সব তথ্য চিকিৎসককে জানাতে হবে। এর ওপর ভিত্তি করে চিকিৎসক নিশ্চিত হবেন, চুলকানি মানসিক চাপের জন্য হচ্ছে, নাকি অন্য কোনো কারণে। মানসিক চাপের জন্য চুলকানি হচ্ছে নিশ্চিত হলে সেই অনুযায়ী চিকিৎসক উপযুক্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা করবেন।
কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন
কারণ ছাড়া অতিরিক্ত চুলকানি অনেক সময় কোনো অভ্যন্তরীণ স্বাস্থ্য সমস্যার কারণেও হতে পারে। মূল কারণ জানা এবং সঠিক চিকিৎসার জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। অ্যাংজাইটি ইচিং যদি আপনার দৈনন্দিন জীবনযাত্রা ব্যাহত করে, ত্বকে সংক্রমণ বা গুরুতর ক্ষতি করে বা দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ঘরোয়া চিকিৎসায়ও না কমে, তবে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। এ ছাড়া চুলকানির সঙ্গে জ্বর, রাতে ঘাম হওয়া বা অস্বাভাবিক হারে ওজন কমার মতো লক্ষণ থাকলেও দেরি না করে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। মনে রাখবেন, সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমেই অ্যাংজাইটি ইচিংয়ের মতো সমস্যা কার্যকরভাবে মোকাবিলা করা সম্ভব।
সূত্র: স্টাইলক্রেজ ও অন্যান্য

বর্তমান ডিজিটাল যুগে ব্যবসায়িক যোগাযোগের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ। ব্যবসায়ীরা তাঁদের গ্রাহকদের সঙ্গে সরাসরি, দ্রুত এবং কার্যকরভাবে যোগাযোগ স্থাপন করতে হোয়াটসঅ্যাপ বিজনেস অ্যাপ ব্যবহার করে।
১৭ মার্চ ২০২৫
শীতকালে কলা খাওয়া যাবে কি না, এ বিষয়ে বিতর্কের অন্ত নেই। কারণ আমাদের দেশে বেশির ভাগ মানুষ মনে করেন, কলা একটি ঠান্ডা ফল। এটি খেলা সর্দি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া শীতকালে কলা খেলে ‘বুক দেবে যাওয়া’র মতো ঘটনা ঘটতে পারে। অর্থাৎ কফ বসে যেতে পারে। এ জন্য শীতকালে আমাদের দেশে সাধারণত কলা খাওয়ার প্রবণতা...
১ ঘণ্টা আগে
সুস্থ, সচেতন ও সক্রিয় নগরজীবন গঠনের বিভিন্ন আন্দোলন আছে ঢাকা শহরে। আছে তাদের নিয়মিত ইভেন্ট। এ ইতিহাসে যুক্ত হলো ‘ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে’ ম্যারাথন। এর আয়োজক ছিল ক্রীড়া প্রতিষ্ঠান ট্রায়াথলন ড্রিমার্স। আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, এটি ছিল ঢাকায় অনুষ্ঠিত দেশের প্রথম এআইএমএস সার্টিফায়েড ৩০ কিলোমিটার ম্যারাথন।...
১৩ ঘণ্টা আগে
বিলাসিতা কেমন হতে পারে? এর উত্তর খুঁজতে গেলে আমাদের চোখ চলে যায় পৃথিবীর সেই সব বিরল উপাদানের দিকে, যেগুলোর মূল্য প্রায় আকাশছোঁয়া। এই উপাদানগুলোর দুর্লভতা এবং অনন্যতাই তাদের করে তুলেছে বিশেষ। যারা জীবনের সেরা জিনিসগুলোর খোঁজ করেন তাদের জন্য এই ধরনের খাবার উপভোগ করতে পারা একটি বিশেষ চাহিদা হতে পারে।
২১ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

বিলাসিতা কেমন হতে পারে? এর উত্তর খুঁজতে গেলে আমাদের চোখ চলে যায় পৃথিবীর সেই সব বিরল উপাদানের দিকে, যেগুলোর মূল্য প্রায় আকাশছোঁয়া। এই উপাদানগুলোর দুর্লভতা এবং অনন্যতাই তাদের করে তুলেছে বিশেষ। যারা জীবনের সেরা জিনিসগুলোর খোঁজ করেন তাদের জন্য এই ধরনের খাবার উপভোগ করতে পারা একটি বিশেষ চাহিদা হতে পারে। এই খাবারগুলো কেবল খাদ্য নয় বরং শিল্পের এক একটি অংশ হয়ে উঠেছে। আর তাই এরা তাদের ক্রেতাদের কাছে ক্ষমতা, প্রাচুর্য এবং এক বিশেষ জীবনযাত্রার প্রতীক।
সবচেয়ে দামি খাবারের তালিকায় প্রথমে আসে সেই মাটির নিচের রহস্য। যা সোনার চেয়েও মূল্যবান। ইতালির পিডমন্ট অঞ্চলের স্থানীয় সাদা ট্রাফল এমনই এক ছত্রাক, যা অত্যন্ত দুর্লভ ও ব্যয়বহুল। একবার চীনের ম্যাকাও-এর এক ক্যাসিনো মালিক প্রায় দেড় কেজি ওজনের একটি ট্রাফল ৩,৩০, ০০০ ডলারে কিনেছিলেন। টাকায় হিসাব করলে যার দাম হয় ৪ কোটি ১ লাখ ৯৩ হাজার ৪০০ টাকা। অন্যদিকে, মসলার জগতে রাজা হলো জাফরান। যাকে ডাকা হয় ’লাল সোনা’ নামে। এক কেজি জাফরান তৈরি করতে হাজার হাজার ফুল লাগে। এ জন্য এর দাম পৃথিবীর সবচেয়ে দামি মসলার স্থানে নিয়ে গেছে। ফরাসি দ্বীপ নুয়ারমুতিয়ে-তে জন্মানো লা বোনোটে আলুর ক্ষেত্রেও সেই বিরলতা দেখা যায়। বিশেষ পরিবেশে ও শৈবালের কারণে এদের প্রতি কেজির দাম প্রায় ৬০০ ডলার বা ৭৩,১৭৮ টাকা।
মাংস এবং সামুদ্রিক খাবারের জগতেও রয়েছে মহাযজ্ঞের ছোঁয়া। জাপানের ওয়াগিউ বিফ কেবল সুস্বাদুই নয়, এর পেছনের প্রক্রিয়াটিও রাজকীয়। এই গরুগুলোকে বিশেষ খাবার দেওয়া হয়। এমনকি প্রতিদিন মালিশও করা হয়। যার ফলস্বরূপ এর ১০০ গ্রাম মাংসের দাম প্রায় ৫০ ডলার। অর্থাৎ ৬০৯৯ টাকা। আরও একধাপ এগিয়ে, ২০১৯ সালে জাপানে একটি স্নো ক্র্যাব। যা নিলামে বিক্রি হয়েছিল প্রায় ৪৬,০০০ ডলারে। তবে সামুদ্রিক খাবারের মুকুট হলো অ্যালমাস ক্যাভিয়ার। এই বিরল বেলুগা ক্যাভিয়ার প্রতি কেজি ৩৪,৫০০ ডলারে বিক্রি হয়ে থাকে। যার বাংলাদেশি মূল্য দাঁড়ায় ৪২,০৮৩১০ টাকা। যা সত্যিকারের বিলাসিতার প্রতিচ্ছবি। অন্যদিকে, স্পেনের ঐতিহ্যবাহী ইবেরিকো হ্যাম-এর এক পা বা লেগ ৪,৫০০ ডলারের মতো দামে বিক্রি হওয়ার বিশ্ব রেকর্ড গড়েছে।

রেস্টুরেন্টে গেলে ৮০০ টাকা থাকে শুরু করে ৩০০০ টাকায় পিৎজা পাওয়া যায়। তবে ১২,০০০ ডলার বা ১,৪৬৩, ৭৬০ টাকার পিৎজা কখনো শুনেছেন? আপনি না শুনে থাকলেও পৃথিবীতে তা আছে। পিৎজা নির্মাতা রেনাটো ভায়োলা তৈরি করেছিলেন লিউস XIII পিৎজা। যার উপাদানগুলোর মধ্যে ছিল তিন ধরনের ক্যাভিয়ার। আবার স্কটল্যান্ডের ডোমিনিকো ক্রলা-এর তৈরি পিৎজা রয়্যাল ০০৭ বিকোয় ৪,২০০ ডলারে। যেখানে কগনাক-এ ম্যারিনেট করা লবস্টার ও শ্যাম্পেনে ভেজানো ক্যাভিয়ার ব্যবহার করা হয়েছিল। মেক্সিকোর গ্র্যান্ড ভেলাস রিসোর্টে পাওয়া গ্র্যান্ড ভেলাস লস কাবোস টাকো। যার মূল্য ২৫,০০০ ডলার, যেখানে ছিল কোবে বিফ এবং সোনা-মিশ্রিত টর্টিলা। এমনকি নিউ ইয়র্কের একটি সাধারণ গ্রিলড চিজ স্যান্ডউইচও যখন শ্যাম্পেনে ভেজানো রুটি আর সোনার ফ্লেক্সের সঙ্গে আসে, তখন সেই কুইন্টেসেনশিয়াল গ্রিলড চিজ-এর দাম দাঁড়ায় ২১৪ ডলার।
মিষ্টি এবং পানীয়ের ক্ষেত্রেও বিলাসিতা তার ছাপ ফেলেছে। পেস্ট্রি শেফ জেওং হং-ইয়ংটো এক মাস সময় নিয়ে একটি ক্রিসমাস কেক তৈরি করেছিলেন, যাতে ছিল ২২৩টি হিরা, আর এর দাম ছিল অবিশ্বাস্য ১.৭ মিলিয়ন ডলার। অন্যদিকে, জাপানি ফলগুলোর মধ্যেও রয়েছে রাজকীয়তা। একটি ডেনসুকে ওয়াটারমেলন নিলামে ৬,১০০ ডলারে বিক্রি হয়েছিল এবং দুটি ইউবারি কিং মেলন ৪৫,০০০ ডলারের বেশি দামে বিক্রি হয়েছিল। পানীয়ের ক্ষেত্রে, ১৯৫২ সালের বিরল টুলিবার্ডিন হুইস্কির একটি বোতলের দাম ৪১,০০০ ডলার পর্যন্ত পৌঁছেছিল। তবে প্রকৃতির অদ্ভুত খেয়ালের ফল হলো কপি লুয়াক কফি। সিভেট ক্যাট বা গন্ধগোকুলের হজম প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তৈরি এই কফি প্রতি কেজি প্রায় ৭০০ ডলারে বিক্রি হয়।
সূত্র: স্টার্স ইনসাইডার

বিলাসিতা কেমন হতে পারে? এর উত্তর খুঁজতে গেলে আমাদের চোখ চলে যায় পৃথিবীর সেই সব বিরল উপাদানের দিকে, যেগুলোর মূল্য প্রায় আকাশছোঁয়া। এই উপাদানগুলোর দুর্লভতা এবং অনন্যতাই তাদের করে তুলেছে বিশেষ। যারা জীবনের সেরা জিনিসগুলোর খোঁজ করেন তাদের জন্য এই ধরনের খাবার উপভোগ করতে পারা একটি বিশেষ চাহিদা হতে পারে। এই খাবারগুলো কেবল খাদ্য নয় বরং শিল্পের এক একটি অংশ হয়ে উঠেছে। আর তাই এরা তাদের ক্রেতাদের কাছে ক্ষমতা, প্রাচুর্য এবং এক বিশেষ জীবনযাত্রার প্রতীক।
সবচেয়ে দামি খাবারের তালিকায় প্রথমে আসে সেই মাটির নিচের রহস্য। যা সোনার চেয়েও মূল্যবান। ইতালির পিডমন্ট অঞ্চলের স্থানীয় সাদা ট্রাফল এমনই এক ছত্রাক, যা অত্যন্ত দুর্লভ ও ব্যয়বহুল। একবার চীনের ম্যাকাও-এর এক ক্যাসিনো মালিক প্রায় দেড় কেজি ওজনের একটি ট্রাফল ৩,৩০, ০০০ ডলারে কিনেছিলেন। টাকায় হিসাব করলে যার দাম হয় ৪ কোটি ১ লাখ ৯৩ হাজার ৪০০ টাকা। অন্যদিকে, মসলার জগতে রাজা হলো জাফরান। যাকে ডাকা হয় ’লাল সোনা’ নামে। এক কেজি জাফরান তৈরি করতে হাজার হাজার ফুল লাগে। এ জন্য এর দাম পৃথিবীর সবচেয়ে দামি মসলার স্থানে নিয়ে গেছে। ফরাসি দ্বীপ নুয়ারমুতিয়ে-তে জন্মানো লা বোনোটে আলুর ক্ষেত্রেও সেই বিরলতা দেখা যায়। বিশেষ পরিবেশে ও শৈবালের কারণে এদের প্রতি কেজির দাম প্রায় ৬০০ ডলার বা ৭৩,১৭৮ টাকা।
মাংস এবং সামুদ্রিক খাবারের জগতেও রয়েছে মহাযজ্ঞের ছোঁয়া। জাপানের ওয়াগিউ বিফ কেবল সুস্বাদুই নয়, এর পেছনের প্রক্রিয়াটিও রাজকীয়। এই গরুগুলোকে বিশেষ খাবার দেওয়া হয়। এমনকি প্রতিদিন মালিশও করা হয়। যার ফলস্বরূপ এর ১০০ গ্রাম মাংসের দাম প্রায় ৫০ ডলার। অর্থাৎ ৬০৯৯ টাকা। আরও একধাপ এগিয়ে, ২০১৯ সালে জাপানে একটি স্নো ক্র্যাব। যা নিলামে বিক্রি হয়েছিল প্রায় ৪৬,০০০ ডলারে। তবে সামুদ্রিক খাবারের মুকুট হলো অ্যালমাস ক্যাভিয়ার। এই বিরল বেলুগা ক্যাভিয়ার প্রতি কেজি ৩৪,৫০০ ডলারে বিক্রি হয়ে থাকে। যার বাংলাদেশি মূল্য দাঁড়ায় ৪২,০৮৩১০ টাকা। যা সত্যিকারের বিলাসিতার প্রতিচ্ছবি। অন্যদিকে, স্পেনের ঐতিহ্যবাহী ইবেরিকো হ্যাম-এর এক পা বা লেগ ৪,৫০০ ডলারের মতো দামে বিক্রি হওয়ার বিশ্ব রেকর্ড গড়েছে।

রেস্টুরেন্টে গেলে ৮০০ টাকা থাকে শুরু করে ৩০০০ টাকায় পিৎজা পাওয়া যায়। তবে ১২,০০০ ডলার বা ১,৪৬৩, ৭৬০ টাকার পিৎজা কখনো শুনেছেন? আপনি না শুনে থাকলেও পৃথিবীতে তা আছে। পিৎজা নির্মাতা রেনাটো ভায়োলা তৈরি করেছিলেন লিউস XIII পিৎজা। যার উপাদানগুলোর মধ্যে ছিল তিন ধরনের ক্যাভিয়ার। আবার স্কটল্যান্ডের ডোমিনিকো ক্রলা-এর তৈরি পিৎজা রয়্যাল ০০৭ বিকোয় ৪,২০০ ডলারে। যেখানে কগনাক-এ ম্যারিনেট করা লবস্টার ও শ্যাম্পেনে ভেজানো ক্যাভিয়ার ব্যবহার করা হয়েছিল। মেক্সিকোর গ্র্যান্ড ভেলাস রিসোর্টে পাওয়া গ্র্যান্ড ভেলাস লস কাবোস টাকো। যার মূল্য ২৫,০০০ ডলার, যেখানে ছিল কোবে বিফ এবং সোনা-মিশ্রিত টর্টিলা। এমনকি নিউ ইয়র্কের একটি সাধারণ গ্রিলড চিজ স্যান্ডউইচও যখন শ্যাম্পেনে ভেজানো রুটি আর সোনার ফ্লেক্সের সঙ্গে আসে, তখন সেই কুইন্টেসেনশিয়াল গ্রিলড চিজ-এর দাম দাঁড়ায় ২১৪ ডলার।
মিষ্টি এবং পানীয়ের ক্ষেত্রেও বিলাসিতা তার ছাপ ফেলেছে। পেস্ট্রি শেফ জেওং হং-ইয়ংটো এক মাস সময় নিয়ে একটি ক্রিসমাস কেক তৈরি করেছিলেন, যাতে ছিল ২২৩টি হিরা, আর এর দাম ছিল অবিশ্বাস্য ১.৭ মিলিয়ন ডলার। অন্যদিকে, জাপানি ফলগুলোর মধ্যেও রয়েছে রাজকীয়তা। একটি ডেনসুকে ওয়াটারমেলন নিলামে ৬,১০০ ডলারে বিক্রি হয়েছিল এবং দুটি ইউবারি কিং মেলন ৪৫,০০০ ডলারের বেশি দামে বিক্রি হয়েছিল। পানীয়ের ক্ষেত্রে, ১৯৫২ সালের বিরল টুলিবার্ডিন হুইস্কির একটি বোতলের দাম ৪১,০০০ ডলার পর্যন্ত পৌঁছেছিল। তবে প্রকৃতির অদ্ভুত খেয়ালের ফল হলো কপি লুয়াক কফি। সিভেট ক্যাট বা গন্ধগোকুলের হজম প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তৈরি এই কফি প্রতি কেজি প্রায় ৭০০ ডলারে বিক্রি হয়।
সূত্র: স্টার্স ইনসাইডার

বর্তমান ডিজিটাল যুগে ব্যবসায়িক যোগাযোগের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ। ব্যবসায়ীরা তাঁদের গ্রাহকদের সঙ্গে সরাসরি, দ্রুত এবং কার্যকরভাবে যোগাযোগ স্থাপন করতে হোয়াটসঅ্যাপ বিজনেস অ্যাপ ব্যবহার করে।
১৭ মার্চ ২০২৫
শীতকালে কলা খাওয়া যাবে কি না, এ বিষয়ে বিতর্কের অন্ত নেই। কারণ আমাদের দেশে বেশির ভাগ মানুষ মনে করেন, কলা একটি ঠান্ডা ফল। এটি খেলা সর্দি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া শীতকালে কলা খেলে ‘বুক দেবে যাওয়া’র মতো ঘটনা ঘটতে পারে। অর্থাৎ কফ বসে যেতে পারে। এ জন্য শীতকালে আমাদের দেশে সাধারণত কলা খাওয়ার প্রবণতা...
১ ঘণ্টা আগে
সুস্থ, সচেতন ও সক্রিয় নগরজীবন গঠনের বিভিন্ন আন্দোলন আছে ঢাকা শহরে। আছে তাদের নিয়মিত ইভেন্ট। এ ইতিহাসে যুক্ত হলো ‘ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে’ ম্যারাথন। এর আয়োজক ছিল ক্রীড়া প্রতিষ্ঠান ট্রায়াথলন ড্রিমার্স। আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, এটি ছিল ঢাকায় অনুষ্ঠিত দেশের প্রথম এআইএমএস সার্টিফায়েড ৩০ কিলোমিটার ম্যারাথন।...
১৩ ঘণ্টা আগে
আমাদের শরীর ও মন পরস্পর ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত। আমরা যখন দুশ্চিন্তা করি বা মানসিক চাপে থাকি, তখন শরীরে এর প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়; যা আমাদের স্নায়ুতন্ত্রকে প্রভাবিত করে এবং এর ফলে অনেক সময় শরীরে চুলকানি বা জ্বালাপোড়ার মতো হতে পারে। এই অবস্থাকেই বলে ‘অ্যাংজাইটি ইচিং’ বা উদ্বেগজনিত চুলকানি।...
১৫ ঘণ্টা আগে