বেশ কয়েক বছরের প্রচেষ্টার পর বিশ্বের প্রথম রোলেবল ডিসপ্লের ল্যাপটপ ‘থিংকবুক প্লাস জেন ৬’ নিয়ে এল লেনেভো। এই ল্যাপটপের বিশেষত্ব হলো—এর ডিসপ্লে প্রয়োজন অনুয়ায়ী ছোট-বড় করা যাবে।
গত ৭ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া যুক্তরাষ্ট্রের লাসভেগাসের প্রযুক্তি মহাসম্মেলন কনজ্যুমার ইলেকট্রনিক শো (সিইএস)–এ ল্যাপটপটি উন্মোচন করা হয়।
দুই বছর আগে প্রথমবারের মতো ল্যাপটপটির ধারণা প্রকাশ করে লেনোভো। তবে ২০২৫ সালে এটি বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনের পর্যায়ে চলে এসেছে। এতে প্রসেসর হিসেবে থাকবে—ইন্টেল কোর আলট্রা ২০০ ভি সিরিজ (সর্বোচ্চ কোর আলট্রা ৭)। এ ছাড়া ল্যাপটপটিতে থাকবে ৩২ জিবি এলপিডিডিআর ৫ এক্স ডুয়েল চ্যানেল র্যাম এবং ১ টিবি পিসিআইই ৪.০ এসএসডি স্টোরেজ। এই ল্যাপটপে ইন্টেল এক্সই ২ গ্রাফিকসও অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এর ফলে এই ল্যাপটপের মাধ্যমে বেশ ভালোভাবে নিজেদের কাজ করতে পারবে গ্রাফিক ডিজাইনাররা। বিশেষ করে যারা পোর্ট্রেট ডকুমেন্ট নিয়ে কাজ করেন।
তবে, ল্যাপটপটির মূল আকর্ষণ হলো—এর রোলেবল ডিসপ্লে। যাদের ভার্টিক্যাল বা উলম্ব ডিসপ্লে প্রয়োজন তাদের এই ল্যাপটপ বেশ কাজে দেবে। যেমন: সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার বা ব্যবসায়ী যারা অনেক ডকুমেন্ট নিয়ে কাজ করেন, তাদের জন্য থিংকবুক প্লাস জেন ৬ রোলেবল মডেলটি আদর্শ ডিভাইস হবে।
ব্যবহারকারীদের একটি গেসচার বা বাটন প্রেসের মাধ্যমে স্ক্রিনটি ওপরের দিকে প্রসারিত হয়। ডিসপ্লের হিঞ্জে (দুটি বস্তুকে একত্রে রাখতে ব্যবহৃত টুল) থাকা মোটরগুলোর সাহায্যে ডিসপ্লেটি বড়-ছোট হয়।
এই ল্যাপটপের মূলত ১৪ ইঞ্চির ডিসপ্লে রয়েছে, যার রেজ্যুলেশন ২০০০ x ১৬০০ পিক্সেলস। তবে, রোলেবল ডিসপ্লে ফিচারের মাধ্যমে এটি মাত্র ১০ সেকেন্ডে স্ক্রিনটিকে ১৬ দশমিক ৭ ইঞ্চি পর্যন্ত প্রসারিত করতে পারে, যার নতুন রেজ্যুলেশন দাঁড়ায় ২০০০ x ২৩৫০ পিক্সেলস।
তবে, ল্যাপটপটির মোটরগুলো যথেষ্ট শব্দ করে, যা একটি নীরব পরিবেশে সহজেই দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারে।
লেনেভো থিংকবুক প্লাস জেন ৬ রোলেবল ল্যাপটপটির সম্প্রসারিত স্ক্রিনটি যথেষ্ট বড়। দুটি ১৬: ৯ অনুপাতের উইন্ডো ডিসপ্লে একে ওপরেই স্থাপন করার মতো। অর্থাৎ, এতে মাল্টিটাস্কিংয়ে আরও সহজ হবে। কারণ সমান তালে দুটি উইন্ডো এই ডিসপ্লেতে দেখা যাবে। স্ক্রিনটি প্রয়োজনে ছোট করা হলে ডিসপ্লের নিচের অংশ ল্যাপটপের চেসিসের মধ্যে ঢুকে যায় এবং কিবোর্ড ডেকের নিচে চলে আসে।
প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট দ্য ভার্জ বলে, স্ক্রিনের মোটর ও যন্ত্রপাতি কমপক্ষে ৩০ হাজার বার খোলা এবং বন্ধ করার পরীক্ষায় সফলতা পেয়েছে। এ ছাড়া স্ক্রিনটি কমপক্ষে ২০ হাজার বার ওপরে এবং নিচে রোল করার জন্য পরীক্ষিত।
ল্যাপটপটির স্ক্রিনটি একটি স্যামসাং ডিসপ্লের আইটি ফোল্ডেবল প্যানেল, যার নিচের অর্ধাংশে ছোট ছোট ভাঁজ রয়েছে।
এতে শুধু দুটি থান্ডারবোল্ট ৪ পোর্ট এবং একটি ৩.৫ মিমি হেডফোন জ্যাক রয়েছে। তাই ইউএসবিতে বা কার্ড রিডারের জন্য আলাদা ডংগল ব্যবহার করতে হবে।
ল্যাপটপটির ডান পাশে শুধু পাওয়ার বাটন রয়েছে এবং এতে এইচডিএমআই আউট নেই। উল্লেখ্য, এইচডিএমআই আউট একটি পোর্ট, যা ডিভাইস থেকে ভিডিও এবং অডিও সিগন্যাল আউটপুট করতে ব্যবহৃত হয়। এই পোর্টের মাধ্যমে ল্যাপটপ বা ডিভাইসটি টেলিভিশন, মনিটর বা প্রজেক্টরের মতো অন্যান্য ডিসপ্লে ডিভাইসের সঙ্গে সংযুক্ত করা যায়।
ল্যাপটপটিতে ওয়াইফাই-৭ এবং ব্লুটুথ ৫.৪ সংযোগ, ২ x ২ ডব্লিউ হারম্যান/কারডন স্পিকার এবং ৫ মেগাপিক্সেল আইআর ওয়েবক্যামসহ ডুয়েল মাইক অ্যারে থাকছে, যা এই ল্যাপটপকে ওয়ার্কস্টেশন হিসেবে পরিণত করবে। বিশেষত পেশাদার ব্যবহারকারীদের জন্য।
এ ছাড়া, বাজারে অনেক ডুয়েল-স্ক্রিন ল্যাপটপ থাকলেও সেগুলো ব্যবহারের জন্য সাধারণত অতিরিক্ত আনুষঙ্গিক যেমন—ওয়্যারলেস কিবোর্ড ও ভাঁজযোগ্য স্ট্যান্ডের প্রয়োজন হয়। তবে, থিংকবুক প্লাস জেন ৬ রোলেবল ল্যাপটপের ক্ষেত্রে সবকিছু একটি পূর্ণাঙ্গ ইউনিটে পাওয়া যায়। অর্থাৎ, ব্যবহারকারীদের অতিরিক্ত উপকরণ বহন করতে হবে না।
চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে ল্যাপটপটি বাজারে আসবে, যার দাম হবে ৩ হাজার ৪৯৯ ডলার।
বেশ কয়েক বছরের প্রচেষ্টার পর বিশ্বের প্রথম রোলেবল ডিসপ্লের ল্যাপটপ ‘থিংকবুক প্লাস জেন ৬’ নিয়ে এল লেনেভো। এই ল্যাপটপের বিশেষত্ব হলো—এর ডিসপ্লে প্রয়োজন অনুয়ায়ী ছোট-বড় করা যাবে।
গত ৭ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া যুক্তরাষ্ট্রের লাসভেগাসের প্রযুক্তি মহাসম্মেলন কনজ্যুমার ইলেকট্রনিক শো (সিইএস)–এ ল্যাপটপটি উন্মোচন করা হয়।
দুই বছর আগে প্রথমবারের মতো ল্যাপটপটির ধারণা প্রকাশ করে লেনোভো। তবে ২০২৫ সালে এটি বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনের পর্যায়ে চলে এসেছে। এতে প্রসেসর হিসেবে থাকবে—ইন্টেল কোর আলট্রা ২০০ ভি সিরিজ (সর্বোচ্চ কোর আলট্রা ৭)। এ ছাড়া ল্যাপটপটিতে থাকবে ৩২ জিবি এলপিডিডিআর ৫ এক্স ডুয়েল চ্যানেল র্যাম এবং ১ টিবি পিসিআইই ৪.০ এসএসডি স্টোরেজ। এই ল্যাপটপে ইন্টেল এক্সই ২ গ্রাফিকসও অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এর ফলে এই ল্যাপটপের মাধ্যমে বেশ ভালোভাবে নিজেদের কাজ করতে পারবে গ্রাফিক ডিজাইনাররা। বিশেষ করে যারা পোর্ট্রেট ডকুমেন্ট নিয়ে কাজ করেন।
তবে, ল্যাপটপটির মূল আকর্ষণ হলো—এর রোলেবল ডিসপ্লে। যাদের ভার্টিক্যাল বা উলম্ব ডিসপ্লে প্রয়োজন তাদের এই ল্যাপটপ বেশ কাজে দেবে। যেমন: সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার বা ব্যবসায়ী যারা অনেক ডকুমেন্ট নিয়ে কাজ করেন, তাদের জন্য থিংকবুক প্লাস জেন ৬ রোলেবল মডেলটি আদর্শ ডিভাইস হবে।
ব্যবহারকারীদের একটি গেসচার বা বাটন প্রেসের মাধ্যমে স্ক্রিনটি ওপরের দিকে প্রসারিত হয়। ডিসপ্লের হিঞ্জে (দুটি বস্তুকে একত্রে রাখতে ব্যবহৃত টুল) থাকা মোটরগুলোর সাহায্যে ডিসপ্লেটি বড়-ছোট হয়।
এই ল্যাপটপের মূলত ১৪ ইঞ্চির ডিসপ্লে রয়েছে, যার রেজ্যুলেশন ২০০০ x ১৬০০ পিক্সেলস। তবে, রোলেবল ডিসপ্লে ফিচারের মাধ্যমে এটি মাত্র ১০ সেকেন্ডে স্ক্রিনটিকে ১৬ দশমিক ৭ ইঞ্চি পর্যন্ত প্রসারিত করতে পারে, যার নতুন রেজ্যুলেশন দাঁড়ায় ২০০০ x ২৩৫০ পিক্সেলস।
তবে, ল্যাপটপটির মোটরগুলো যথেষ্ট শব্দ করে, যা একটি নীরব পরিবেশে সহজেই দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারে।
লেনেভো থিংকবুক প্লাস জেন ৬ রোলেবল ল্যাপটপটির সম্প্রসারিত স্ক্রিনটি যথেষ্ট বড়। দুটি ১৬: ৯ অনুপাতের উইন্ডো ডিসপ্লে একে ওপরেই স্থাপন করার মতো। অর্থাৎ, এতে মাল্টিটাস্কিংয়ে আরও সহজ হবে। কারণ সমান তালে দুটি উইন্ডো এই ডিসপ্লেতে দেখা যাবে। স্ক্রিনটি প্রয়োজনে ছোট করা হলে ডিসপ্লের নিচের অংশ ল্যাপটপের চেসিসের মধ্যে ঢুকে যায় এবং কিবোর্ড ডেকের নিচে চলে আসে।
প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট দ্য ভার্জ বলে, স্ক্রিনের মোটর ও যন্ত্রপাতি কমপক্ষে ৩০ হাজার বার খোলা এবং বন্ধ করার পরীক্ষায় সফলতা পেয়েছে। এ ছাড়া স্ক্রিনটি কমপক্ষে ২০ হাজার বার ওপরে এবং নিচে রোল করার জন্য পরীক্ষিত।
ল্যাপটপটির স্ক্রিনটি একটি স্যামসাং ডিসপ্লের আইটি ফোল্ডেবল প্যানেল, যার নিচের অর্ধাংশে ছোট ছোট ভাঁজ রয়েছে।
এতে শুধু দুটি থান্ডারবোল্ট ৪ পোর্ট এবং একটি ৩.৫ মিমি হেডফোন জ্যাক রয়েছে। তাই ইউএসবিতে বা কার্ড রিডারের জন্য আলাদা ডংগল ব্যবহার করতে হবে।
ল্যাপটপটির ডান পাশে শুধু পাওয়ার বাটন রয়েছে এবং এতে এইচডিএমআই আউট নেই। উল্লেখ্য, এইচডিএমআই আউট একটি পোর্ট, যা ডিভাইস থেকে ভিডিও এবং অডিও সিগন্যাল আউটপুট করতে ব্যবহৃত হয়। এই পোর্টের মাধ্যমে ল্যাপটপ বা ডিভাইসটি টেলিভিশন, মনিটর বা প্রজেক্টরের মতো অন্যান্য ডিসপ্লে ডিভাইসের সঙ্গে সংযুক্ত করা যায়।
ল্যাপটপটিতে ওয়াইফাই-৭ এবং ব্লুটুথ ৫.৪ সংযোগ, ২ x ২ ডব্লিউ হারম্যান/কারডন স্পিকার এবং ৫ মেগাপিক্সেল আইআর ওয়েবক্যামসহ ডুয়েল মাইক অ্যারে থাকছে, যা এই ল্যাপটপকে ওয়ার্কস্টেশন হিসেবে পরিণত করবে। বিশেষত পেশাদার ব্যবহারকারীদের জন্য।
এ ছাড়া, বাজারে অনেক ডুয়েল-স্ক্রিন ল্যাপটপ থাকলেও সেগুলো ব্যবহারের জন্য সাধারণত অতিরিক্ত আনুষঙ্গিক যেমন—ওয়্যারলেস কিবোর্ড ও ভাঁজযোগ্য স্ট্যান্ডের প্রয়োজন হয়। তবে, থিংকবুক প্লাস জেন ৬ রোলেবল ল্যাপটপের ক্ষেত্রে সবকিছু একটি পূর্ণাঙ্গ ইউনিটে পাওয়া যায়। অর্থাৎ, ব্যবহারকারীদের অতিরিক্ত উপকরণ বহন করতে হবে না।
চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে ল্যাপটপটি বাজারে আসবে, যার দাম হবে ৩ হাজার ৪৯৯ ডলার।
বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক পেমেন্ট গেটওয়ে পেপ্যাল, ওয়াইজ ও স্ট্রাইপের মতো পেমেন্ট সেবাগুলো চালুর দাবি জানিয়েছেন ফ্রিল্যান্সার ও আইটি পেশাজীবীরা। তাঁরা বলছেন, দেশের তরুণ উদ্যোক্তা ও ফ্রিল্যান্সাররা আন্তর্জাতিক ক্লায়েন্টের সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে আন্তর্জাতিক পেমেন্ট গেটওয়ের অভাবে বড় ধরনের সীমাবদ্ধতায় পড়ছেন।
১ ঘণ্টা আগেনতুন মডুলার ফোন নিয়ে আসছে নাথিংয়ের সাব-ব্র্যান্ড সিএমএফ। তাদের দ্বিতীয় মডুলার ফোন সিএমএফ ফোন ২ প্রো ঘোষণা করা হয়েছে। আগের মতোই স্ক্রু দিয়ে লাগানো যায় এমন একাধিক অ্যাকসেসরিজ যুক্ত করা যাবে ফোনটিতে। ডিভাইসটি ৩ বছরের অ্যান্ড্রয়েড আপডেট এবং ৬ বছরের নিরাপত্তা আপডেট পাবে।
২ ঘণ্টা আগেনতুন চিপসেট ‘স্ন্যাপড্রাগন ৮ এলিট ২’ নিয়ে কাজ করছে চিপ নির্মাতা কোম্পানি কোয়ালকম। এই চিপ পরবর্তী প্রজন্মের একটি শক্তিশালী প্রসেসর, যা নতুন আইফোন ১৭-এর পারফরম্যান্সকেও ছাপিয়ে যেতে পারে বলে গুঞ্জন উঠেছে।
৫ ঘণ্টা আগেব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট কনস্টেলেশন প্রকল্প ‘প্রজেক্ট কুইপার’-এর প্রথম ২৭টি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছে ই–কমার্স জায়ান্ট আমাজন। এর মাধ্যমে ইলন মাস্কের স্পেসএক্সের স্টারলিংককে চ্যালেঞ্জ জানাল কোম্পানিটি। গতকাল সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা থেকে স্যাটেলাইটগুলো উৎক্ষেপণ করা হয়।
৬ ঘণ্টা আগে