জলবায়ু পরিবর্তন থেকে শুরু করে দারিদ্র্য দূরীকরণের মতো বিশ্বের বড় বড় সমস্যা সমাধানে নিজের সময় ও অর্থ খরচ করেন মাইক্রোসফটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস। তবে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ‘ভুয়া বা মিথ্যা তথ্য’ নিয়ে বেশ উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এই প্রযুক্তি বিলিয়নিয়ার। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের কাছে মিথ্যা বা ভুয়া তথ্য পৌঁছানোর ব্যাপারে বেশ উদ্বিগ্ন তিনি। এমনকি তাঁর কনিষ্ঠ কন্যা ফিবিও ভুয়া তথ্যের মাধ্যমে অনলাইনে হয়রানির শিকার হয়েছেন।
অনলাইনে ভুল তথ্যের ব্যাপকতা স্বীকার করেছেন বিল গেটস। তবে তিনি উল্লেখ করেছেন যে, কিছু মানুষ কেন এমন প্ল্যাটফর্মে আকৃষ্ট হন তা তিনি বোঝেন। কারণ এসব প্ল্যাটফর্মের কনটেন্ট তাদের বিদ্যমান বিশ্বাসের সঙ্গে মেলে। এই প্রবণতাকে ‘কনফারমেশন বায়াস’ বলা হয়। যেখানে মানুষ তাদের আগে থেকেই ধারণা বা বিশ্বাসের সঙ্গে মিল রেখে তথ্য গ্রহণ করেন এবং তাদের মতামতকে সমর্থন করে। পাশাপাশি এমন তথ্যকেই গুরুত্ব দেন।
সিএনবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে গেটস বলেন, ‘যখন আমরা সকলের জন্য তথ্য পাওয়ার সুবিধা নিশ্চিত করছিল তখন ভেবেছিলাম মানুষ শুধু সঠিক তথ্য চাইবে।’
এর আগে বিল গেটসের কনিষ্ঠ কন্যা এই ধরনের ভুয়া তথ্যের বিষয়ে কথা বলেন। তিনি জানান, তার পরিবার ও সম্পর্কগুলো নিয়ে ভুয়া তথ্য ছড়ানো হয়েছে। আর বিভিন্ন মিম তৈরি করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমার মেয়েকে কীভাবে অনলাইনে হয়রানি করা হয়েছে এবং কীভাবে তার বন্ধুরাও একই অভিজ্ঞতা মুখোমুখি হয়েছে তা জেনে এই সমস্যা উপলব্ধি করেছি। এর আগে এভাবে আমি ভাবিনি।’
অনলাইনের মানুষের প্রবণতা সম্পর্কে বোঝাতে গিয়ে বিল গেটস বলেন, ‘আমরা এমন একটি পরিস্থিতিতে আছি যেখানে সবাই সঠিক তথ্য চায় যেমনটি মেডিকেল পরামর্শের ক্ষেত্রে। কিন্তু অপরদিকে নিজস্ব সম্প্রদায় বা বিশেষ গোষ্ঠীতে ভাগ হয়ে যাই এবং কিছু সাধারণ মতামত বা বিশ্বাস থাকে যা আমাদের একত্রিত করে। এমনকি আমি নিজেও এই প্রবণতার শিকার। ধরুন এমন একজন রাজনীতিবিদ আছেন যাকে আমি অপছন্দ করি এবং অনলাইনে তার সমালোচনা করে একটি অতিরঞ্জিত প্রবন্ধ লেখা হলোও আমি সেটি পড়ি এবং ভাবি ‘ওহ, এটা খুবই ভালো সমালোচনা।’
বিল গেটস মনে করেন, মানুষের বাক স্বাধীনতা থাকলেও কোনো সহিংসতার উসকানি দিলে বা টিকা গ্রহণে নিরুৎসাহিত করলে তা সীমা অতিক্রম করে। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের মতো উন্নত দেশে এমন কিছু নিয়ম থাকা উচিত যা অনলাইনে তথ্য সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ ও মনিটর করা যায়।
বিল গেটসের মতে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) মডেল নিয়মগুলো প্রয়োগ করতে সাহায্য করবে। তবে নিয়মগুলো কীভাবে কার্যকর হবে তা নিয়েও তিনি প্রশ্ন তোলেন। এছাড়া অনলাইনে প্রচুর কার্যকলাপ হয়। আর যদি কোনো ভুল বা ক্ষতিকর বিষয় একদিন পরে ধরা পড়লেও ক্ষতি এর মধ্যেই ঘটে যেতে পারে।
এটিই প্রথমবার নয় যে গেটস মিথ্যা তথ্য ও ডিপফেকের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য উদীয়মান প্রযুক্তির পক্ষে মতামত দিয়েছেন। জুলাই মাসে তার ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি ব্লগ পোস্টে গেটস বলেন, ‘এটি একটি পরস্পর সম্পর্কিত প্রক্রিয়া হবে, কেউ ভুয়া তথ্য শনাক্ত করার একটি উপায় খুঁজে বের করবে, অন্য কেউ তা মোকাবিলা করার পদ্ধতি আবিষ্কার করবে, কেউবা পাল্টা-প্রতিকার তৈরি করবে এবং এইভাবে চলতে থাকবে।’
তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
জলবায়ু পরিবর্তন থেকে শুরু করে দারিদ্র্য দূরীকরণের মতো বিশ্বের বড় বড় সমস্যা সমাধানে নিজের সময় ও অর্থ খরচ করেন মাইক্রোসফটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস। তবে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ‘ভুয়া বা মিথ্যা তথ্য’ নিয়ে বেশ উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এই প্রযুক্তি বিলিয়নিয়ার। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের কাছে মিথ্যা বা ভুয়া তথ্য পৌঁছানোর ব্যাপারে বেশ উদ্বিগ্ন তিনি। এমনকি তাঁর কনিষ্ঠ কন্যা ফিবিও ভুয়া তথ্যের মাধ্যমে অনলাইনে হয়রানির শিকার হয়েছেন।
অনলাইনে ভুল তথ্যের ব্যাপকতা স্বীকার করেছেন বিল গেটস। তবে তিনি উল্লেখ করেছেন যে, কিছু মানুষ কেন এমন প্ল্যাটফর্মে আকৃষ্ট হন তা তিনি বোঝেন। কারণ এসব প্ল্যাটফর্মের কনটেন্ট তাদের বিদ্যমান বিশ্বাসের সঙ্গে মেলে। এই প্রবণতাকে ‘কনফারমেশন বায়াস’ বলা হয়। যেখানে মানুষ তাদের আগে থেকেই ধারণা বা বিশ্বাসের সঙ্গে মিল রেখে তথ্য গ্রহণ করেন এবং তাদের মতামতকে সমর্থন করে। পাশাপাশি এমন তথ্যকেই গুরুত্ব দেন।
সিএনবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে গেটস বলেন, ‘যখন আমরা সকলের জন্য তথ্য পাওয়ার সুবিধা নিশ্চিত করছিল তখন ভেবেছিলাম মানুষ শুধু সঠিক তথ্য চাইবে।’
এর আগে বিল গেটসের কনিষ্ঠ কন্যা এই ধরনের ভুয়া তথ্যের বিষয়ে কথা বলেন। তিনি জানান, তার পরিবার ও সম্পর্কগুলো নিয়ে ভুয়া তথ্য ছড়ানো হয়েছে। আর বিভিন্ন মিম তৈরি করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমার মেয়েকে কীভাবে অনলাইনে হয়রানি করা হয়েছে এবং কীভাবে তার বন্ধুরাও একই অভিজ্ঞতা মুখোমুখি হয়েছে তা জেনে এই সমস্যা উপলব্ধি করেছি। এর আগে এভাবে আমি ভাবিনি।’
অনলাইনের মানুষের প্রবণতা সম্পর্কে বোঝাতে গিয়ে বিল গেটস বলেন, ‘আমরা এমন একটি পরিস্থিতিতে আছি যেখানে সবাই সঠিক তথ্য চায় যেমনটি মেডিকেল পরামর্শের ক্ষেত্রে। কিন্তু অপরদিকে নিজস্ব সম্প্রদায় বা বিশেষ গোষ্ঠীতে ভাগ হয়ে যাই এবং কিছু সাধারণ মতামত বা বিশ্বাস থাকে যা আমাদের একত্রিত করে। এমনকি আমি নিজেও এই প্রবণতার শিকার। ধরুন এমন একজন রাজনীতিবিদ আছেন যাকে আমি অপছন্দ করি এবং অনলাইনে তার সমালোচনা করে একটি অতিরঞ্জিত প্রবন্ধ লেখা হলোও আমি সেটি পড়ি এবং ভাবি ‘ওহ, এটা খুবই ভালো সমালোচনা।’
বিল গেটস মনে করেন, মানুষের বাক স্বাধীনতা থাকলেও কোনো সহিংসতার উসকানি দিলে বা টিকা গ্রহণে নিরুৎসাহিত করলে তা সীমা অতিক্রম করে। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের মতো উন্নত দেশে এমন কিছু নিয়ম থাকা উচিত যা অনলাইনে তথ্য সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ ও মনিটর করা যায়।
বিল গেটসের মতে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) মডেল নিয়মগুলো প্রয়োগ করতে সাহায্য করবে। তবে নিয়মগুলো কীভাবে কার্যকর হবে তা নিয়েও তিনি প্রশ্ন তোলেন। এছাড়া অনলাইনে প্রচুর কার্যকলাপ হয়। আর যদি কোনো ভুল বা ক্ষতিকর বিষয় একদিন পরে ধরা পড়লেও ক্ষতি এর মধ্যেই ঘটে যেতে পারে।
এটিই প্রথমবার নয় যে গেটস মিথ্যা তথ্য ও ডিপফেকের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য উদীয়মান প্রযুক্তির পক্ষে মতামত দিয়েছেন। জুলাই মাসে তার ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি ব্লগ পোস্টে গেটস বলেন, ‘এটি একটি পরস্পর সম্পর্কিত প্রক্রিয়া হবে, কেউ ভুয়া তথ্য শনাক্ত করার একটি উপায় খুঁজে বের করবে, অন্য কেউ তা মোকাবিলা করার পদ্ধতি আবিষ্কার করবে, কেউবা পাল্টা-প্রতিকার তৈরি করবে এবং এইভাবে চলতে থাকবে।’
তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল বৃহস্পতিবার এক নির্বাহী আদেশে জানিয়েছেন, চীনা মালিকানাধীন ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম টিকটকের বিক্রির বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়েছে। এই বিক্রিতে টিকটকের মূল্য ধরা হয়েছে ১৪ বিলিয়ন ডলার। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, টিকটকের মার্কিন কার্যক্রম মার্কিন
২৪ মিনিট আগেবিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রাম পৌঁছে গেল এক নতুন উচ্চতায়। প্ল্যাটফর্মটির মাসিক সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা পেরিয়ে গেছে ৩০০ কোটির গণ্ডি। গতকাল বুধবার মেটা চ্যানেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেন সিইও মার্ক জাকারবার্গ।
১ দিন আগেইন্টারনেটে রীতিমতো ঝড় তুলেছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চ্যাটবট জেমিনির নতুন ন্যানো ব্যানানা টুল। প্রচলিত ইমেজ জেনারেটরের চেয়ে ভিন্নভাবে কাজ করে এই এআই। খুব সহজেই সাধারণ ছবি থেকে বাস্তবধর্মী ৩ডি মডেলের ছবি তৈরি করে।
১ দিন আগেভারতের কর্ণাটক হাইকোর্ট ইলন মাস্কের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এর দায়ের করা একটি মামলা খারিজ করে দিয়েছে। এক্সের অভিযোগ ছিল, ভারত সরকারের ‘সহযোগ’ নামের পোর্টাল ব্যবহার করে তাদের প্ল্যাটফর্মে নির্বিচারে কনটেন্ট সেন্সর করা হচ্ছে, যা বাক স্বাধীনতার মূল্যবোধের বিরোধী।
১ দিন আগে