Ajker Patrika

এআই যুগে নতুন প্রজন্মের জরুরি দক্ষতা কোনটি, জানালেন নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৬: ২৮
২০১০ সালে লন্ডনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ডিপমাইন্ড প্রতিষ্ঠা করেন ডেমিস হাসাবিস। ছবি: সংগৃহীত
২০১০ সালে লন্ডনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ডিপমাইন্ড প্রতিষ্ঠা করেন ডেমিস হাসাবিস। ছবি: সংগৃহীত

শিক্ষা ও কর্মক্ষেত্রে বিপ্লব ঘটাতে যাচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)। এই প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে টিকে থাকতে হলে আগামী প্রজন্মের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতা কী হবে, তা জানিয়েছেন গুগলের শীর্ষ বিজ্ঞানী এবং ২০২৪ সালের নোবেল বিজয়ী ডেমিস হাসাবিস। তাঁর মতে, এই দক্ষতা হলো—শিক্ষণ পদ্ধতি রপ্ত করা।

শুক্রবার গ্রিসের রাজধানী অ্যাথেন্সে অ্যাক্রোপলিসের পাদদেশে অবস্থিত প্রাচীন রোমান থিয়েটারে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে কথা বলেন ডিপমাইন্ডের সিইও হাসাবিস।

তিনি বলেন, ‘সাধারণ সময়েও ১০ বছর পর কী হবে তা অনুমান করা কঠিন। তবে এখন তো আরও কঠিন, কারণ এআই প্রতিনিয়ত এমনকি সপ্তাহে সপ্তাহে বদলে যাচ্ছে। একমাত্র নিশ্চিত বলা যায়—বৃহৎ পরিবর্তন আসছে।’

স্নায়ুবিজ্ঞানী এবং একসময়ের দাবার বিস্ময়বালক হাসাবিস বলেন, ‘আর্টিফিশিয়াল জেনারেল ইন্টেলিজেন্স’ (এজিআই)—অর্থাৎ এমন মেশিন, যা মানুষের মতো বা কাছাকাছি মাত্রায় বহু দক্ষতায় পারদর্শী—আগামী এক দশকের মধ্যেই চলে আসতে পারে। এটি মানুষের জীবনে বিপ্লব ঘটাবে এবং ‘র‍্যাডিক্যাল অ্যাবান্ড্যান্স’ বা ‘চরম প্রাচুর্যের’ যুগ নিয়ে আসতে পারে। যদিও এ ধরনের ঘটনায় কিছু ঝুঁকি রয়েছে বলেও স্বীকার করেন তিনি।

শিক্ষাব্যবস্থার দৃষ্টিকোণ থেকে হাসাবিস বলেন, কেবল গণিত, বিজ্ঞান বা মানবিক বিদ্যার মতো ঐতিহ্যবাহী বিষয়ের পাশাপাশি প্রয়োজন হবে ‘মেটা-স্কিল’ বা উচ্চস্তরের দক্ষতা। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো—কীভাবে শেখা যায়, কীভাবে নতুন বিষয় শেখার কৌশল আয়ত্ত করা যায়।

তিনি বলেন, ‘এটা নিশ্চিত যে, আপনার কর্মজীবনে বারবার নতুন জিনিস শিখতে হবে। এটি চলতেই থাকবে।’

২০১০ সালে লন্ডনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ডিপমাইন্ড প্রতিষ্ঠা করেন ডেমিস হাসাবিস। ২০১৪ সালে গুগল এটি কিনে নেয়। ২০২৪ সালে তিনি রসায়নে নোবেল পুরস্কার পান প্রোটিন ফোল্ডিংয়ের কাঠামো নির্ধারণে এআই ব্যবহারের যুগান্তকারী অবদানের জন্য। চিকিৎসা ও ওষুধ আবিষ্কারে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে এই উদ্ভাবন।

অনুষ্ঠানে গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিৎসোটাকিসও অংশ নেন। এর আগে তিনি সরকারের বিভিন্ন খাতে এআই ব্যবহারের সম্ভাবনা নিয়ে হাসাবিসের সঙ্গে বৈঠক করেন।

প্রধানমন্ত্রী মিৎসোটাকিস বলেন, এআই খাতে কয়েকটি বড় কোম্পানি যে হারে সম্পদ অর্জন করছে, তা দুনিয়াজুড়ে আর্থিক বৈষম্য বাড়িয়ে দিতে পারে।

তিনি বলেন, ‘যদি মানুষ ব্যক্তিগতভাবে এই প্রযুক্তিগত বিপ্লবের সুফল না পায়, তাহলে তারা সন্দিহান হয়ে উঠবে। আর যদি দেখে কিছু কোম্পানি অঢেল সম্পদের মালিক হচ্ছে, তবে তা বড় ধরনের সামাজিক অস্থিরতার জন্ম দিতে পারে।’

গ্রিসের তরফ থেকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে মিৎসোটাকিস বলেন, হাসাবিস তাঁর উপস্থাপনার সময়সূচি পেছান, যেন সেটি গ্রিস বনাম তুরস্কের ইউরোপিয়ান বাস্কেটবল চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনাল ম্যাচের সঙ্গে না মিলে যায়। পরে অবশ্য গ্রিস ম্যাচটি ৯৪-৬৮ পয়েন্টে হেরে যায়।

হাসাবিসের বাবা গ্রিক সাইপ্রিয়ট হওয়ায় গ্রিসের প্রতি তাঁর একটি বিশেষ সংযোগ রয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয় আয়োজনে।

তথ্যসূত্র: এবিসি নিউজ

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মেঘমল্লারের জবাবের পর ডাকসু ও বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে যা লিখলেন শশী থারুর

জাতিসংঘে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের প্রস্তাব বিপুল ভোটে পাস, বিপক্ষে ভোট দিল যারা

একটি রাজনৈতিক দলের মুখে আল্লাহর নাম, নির্বাচনে জিততে করে মিথ্যাচার: জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম

রপ্তানিতে দ্বিতীয় থেকে ১০ নম্বরে নামল চিংড়ি

২০ শতাংশ অতিরিক্ত ভোটার কারা, প্রশ্ন অধ্যাপক মাফরুহী সাত্তারের

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত