অনলাইন ডেস্ক
মার্কিন বিচার বিভাগের একচেটিয়া আধিপত্য মামলায় আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে গুগল। কোম্পানিটি ইচ্ছাকৃতভাবে পাবলিশার অ্যাড সার্ভার ও অ্যাড এক্সচেঞ্জের বাজারে একচেটিয়া আধিপত্য বিস্তার করেছে বলে গত বৃহস্পতিবার রায় দিয়েছিলেন ভার্জিনিয়ার মার্কিন জেলা বিচারক লিওনি ব্রিনকেমা।
পাবলিশার অ্যাড সার্ভার এমন একটি প্ল্যাটফর্ম, যা অনলাইন ওয়েবসাইটগুলো তাদের বিজ্ঞাপন কনটেন্ট সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনায় ব্যবহার করে। অ্যাড এক্সচেঞ্জের সঙ্গে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে সংবাদমাধ্যমসহ অনলাইন কনটেন্ট নির্মাতারা বিজ্ঞাপন বিক্রির মাধ্যমে আয় করে থাকেন।
বিচারক আরও বলেছেন, অনলাইন বিজ্ঞাপন প্রযুক্তির দুটি বাজারে অবৈধভাবে আধিপত্য স্থাপন করেছে গুগল।
গত শুক্রবার কোম্পানিটি জানিয়েছে, বিচারক একটি মিশ্র রায় দিয়েছেন। কারণ রায়ে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ (ডিওজে) প্রমাণ করতে পারেনি যে, গুগলের বিজ্ঞাপনদাতাদের জন্য তৈরি টুলস বা তাদের ডাবলক্লিক ও অ্যাডমেল্ড নামের দুই কোম্পানিকে অধিগ্রহণ করাটা প্রতিযোগিতাবিরোধী ছিল। তবে অন্যদিকে, বিচারক এটাও রায় দিয়েছেন যে গুগলে পাবলিশার-সংক্রান্ত বিজ্ঞাপন টুলসগুলো এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে, যা প্রতিদ্বন্দ্বীদের বাজার থেকে সরিয়ে দেয় এবং যা যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিযোগিতা আইনের লঙ্ঘন।
মামলায় মার্কিন বিচার বিভাগ বলেছিল, গুগলের প্রকাশক অ্যাড সার্ভার ও অ্যাড এক্সচেঞ্জসহ ‘গুগল অ্যাড ম্যানেজার’ বিক্রি করতে বাধ্য করা উচিত।
ভার্জিনিয়ার ইউএস ডিস্ট্রিক্ট জজ লিওনি ব্রিনকেমা তিন সপ্তাহের বিচার প্রক্রিয়ার পর গত বৃহস্পতিবার এই রায় দিয়েছেন। এই রায় মার্কিন বিচার বিভাগের সঙ্গে একমত, যারা বিশাল ডিজিটাল বিজ্ঞাপন বাজারে গুগলের ক্ষমতা সীমিত করতে চায়।
আদালতের ১১৫ পৃষ্ঠার রায়ে বিচারক ব্রিনকেমা বলেন, গুগল তাদের পাবলিশার অ্যাড সার্ভার ও অ্যাড এক্সচেঞ্জ ব্যবসাকে প্রযুক্তি ও নীতিমালার মাধ্যমে এমনভাবে একীভূত করেছে, যা তাদের ওই বাজারে একচেটিয়া ক্ষমতা প্রতিষ্ঠা এবং তা রক্ষায় সহায়তা করেছে।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার গুগলের বিরুদ্ধে ৫ বিলিয়ন পাউন্ড বা ৬৬০ কোটি ডলারের মামলা করেছে যুক্তরাজ্যও। অনলাইন সার্চ বাজারে নিজেদের আধিপত্যের অপব্যবহার করে বিজ্ঞাপনদাতাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগে এই মামলা করা হয়।
যুক্তরাজ্যের মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, প্রতিযোগিতাহীন পরিবেশ তৈরি করে গুগল তাদের বিজ্ঞাপনমূল্য ইচ্ছেমতো নির্ধারণ করছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে হাজার হাজার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান।
অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে গুগল সার্চ ও ক্রোম ব্রাউজার আগেই ইনস্টল করে রাখার জন্য মোবাইল নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে চুক্তি করেছে গুগল। সেই সঙ্গে নিজেদের সার্চ ইঞ্জিনকে আইফোনের ডিফল্ট সার্চ ইঞ্জিন হিসেবে রাখতেও অ্যাপলকে অর্থ দিয়েছে কোম্পানিটি।
গুগলের মূল কোম্পানি অ্যালফাবেট বর্তমানে বিজ্ঞাপন থেকেই অধিকাংশ আয় করে। এখন নতুন এই বিজ্ঞাপন প্রযুক্তিসংক্রান্ত রায়ের ফলে গুগলকে হয়তো আরও কিছু ব্যবসা থেকে সরে আসতে হবে।
তথ্যসূত্র: রয়টার্স
মার্কিন বিচার বিভাগের একচেটিয়া আধিপত্য মামলায় আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে গুগল। কোম্পানিটি ইচ্ছাকৃতভাবে পাবলিশার অ্যাড সার্ভার ও অ্যাড এক্সচেঞ্জের বাজারে একচেটিয়া আধিপত্য বিস্তার করেছে বলে গত বৃহস্পতিবার রায় দিয়েছিলেন ভার্জিনিয়ার মার্কিন জেলা বিচারক লিওনি ব্রিনকেমা।
পাবলিশার অ্যাড সার্ভার এমন একটি প্ল্যাটফর্ম, যা অনলাইন ওয়েবসাইটগুলো তাদের বিজ্ঞাপন কনটেন্ট সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনায় ব্যবহার করে। অ্যাড এক্সচেঞ্জের সঙ্গে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে সংবাদমাধ্যমসহ অনলাইন কনটেন্ট নির্মাতারা বিজ্ঞাপন বিক্রির মাধ্যমে আয় করে থাকেন।
বিচারক আরও বলেছেন, অনলাইন বিজ্ঞাপন প্রযুক্তির দুটি বাজারে অবৈধভাবে আধিপত্য স্থাপন করেছে গুগল।
গত শুক্রবার কোম্পানিটি জানিয়েছে, বিচারক একটি মিশ্র রায় দিয়েছেন। কারণ রায়ে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ (ডিওজে) প্রমাণ করতে পারেনি যে, গুগলের বিজ্ঞাপনদাতাদের জন্য তৈরি টুলস বা তাদের ডাবলক্লিক ও অ্যাডমেল্ড নামের দুই কোম্পানিকে অধিগ্রহণ করাটা প্রতিযোগিতাবিরোধী ছিল। তবে অন্যদিকে, বিচারক এটাও রায় দিয়েছেন যে গুগলে পাবলিশার-সংক্রান্ত বিজ্ঞাপন টুলসগুলো এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে, যা প্রতিদ্বন্দ্বীদের বাজার থেকে সরিয়ে দেয় এবং যা যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিযোগিতা আইনের লঙ্ঘন।
মামলায় মার্কিন বিচার বিভাগ বলেছিল, গুগলের প্রকাশক অ্যাড সার্ভার ও অ্যাড এক্সচেঞ্জসহ ‘গুগল অ্যাড ম্যানেজার’ বিক্রি করতে বাধ্য করা উচিত।
ভার্জিনিয়ার ইউএস ডিস্ট্রিক্ট জজ লিওনি ব্রিনকেমা তিন সপ্তাহের বিচার প্রক্রিয়ার পর গত বৃহস্পতিবার এই রায় দিয়েছেন। এই রায় মার্কিন বিচার বিভাগের সঙ্গে একমত, যারা বিশাল ডিজিটাল বিজ্ঞাপন বাজারে গুগলের ক্ষমতা সীমিত করতে চায়।
আদালতের ১১৫ পৃষ্ঠার রায়ে বিচারক ব্রিনকেমা বলেন, গুগল তাদের পাবলিশার অ্যাড সার্ভার ও অ্যাড এক্সচেঞ্জ ব্যবসাকে প্রযুক্তি ও নীতিমালার মাধ্যমে এমনভাবে একীভূত করেছে, যা তাদের ওই বাজারে একচেটিয়া ক্ষমতা প্রতিষ্ঠা এবং তা রক্ষায় সহায়তা করেছে।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার গুগলের বিরুদ্ধে ৫ বিলিয়ন পাউন্ড বা ৬৬০ কোটি ডলারের মামলা করেছে যুক্তরাজ্যও। অনলাইন সার্চ বাজারে নিজেদের আধিপত্যের অপব্যবহার করে বিজ্ঞাপনদাতাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগে এই মামলা করা হয়।
যুক্তরাজ্যের মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, প্রতিযোগিতাহীন পরিবেশ তৈরি করে গুগল তাদের বিজ্ঞাপনমূল্য ইচ্ছেমতো নির্ধারণ করছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে হাজার হাজার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান।
অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে গুগল সার্চ ও ক্রোম ব্রাউজার আগেই ইনস্টল করে রাখার জন্য মোবাইল নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে চুক্তি করেছে গুগল। সেই সঙ্গে নিজেদের সার্চ ইঞ্জিনকে আইফোনের ডিফল্ট সার্চ ইঞ্জিন হিসেবে রাখতেও অ্যাপলকে অর্থ দিয়েছে কোম্পানিটি।
গুগলের মূল কোম্পানি অ্যালফাবেট বর্তমানে বিজ্ঞাপন থেকেই অধিকাংশ আয় করে। এখন নতুন এই বিজ্ঞাপন প্রযুক্তিসংক্রান্ত রায়ের ফলে গুগলকে হয়তো আরও কিছু ব্যবসা থেকে সরে আসতে হবে।
তথ্যসূত্র: রয়টার্স
কয়েক সপ্তাহ আগে নিজেদের তৈরি ‘ক্লদ ওপাস’ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) মডেলের বিরুদ্ধে ব্ল্যাকমেলের অভিযোগ তুলে আলোচনায় এসেছিল এআই গবেষণাপ্রতিষ্ঠান অ্যানথ্রপিক। এবার আরও বিস্তৃত গবেষণা প্রকাশ করে প্রতিষ্ঠানটি বলছে—এই প্রবণতা শুধু ক্লদে নয়, বরং বিশ্বের শীর্ষ এআই মডেলগুলোর মধ্যেই এই ঝুঁকি রয়েছে।
১৫ ঘণ্টা আগেভূগর্ভস্থ পানির পাইপে কোনো ছিদ্র বা ফাটল খুঁজে বের করা যেমন কষ্টসাধ্য, তেমনি ব্যয়বহুল ও সময়সাপেক্ষ। প্রায়ই এই কাজের জন্য রাস্তা খুঁড়ে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করতে হয়। তবে এ চিত্র বদলে দিতে পারে ক্ষুদ্রাকৃতির এক রোবট, যা নিজে থেকেই পাইপে ঢুকে ছিদ্র শনাক্ত করে মেরামত করতে পারে।
১৬ ঘণ্টা আগেইন্টারনেটের ইতিহাসে অন্যতম বৃহৎ তথ্য ফাঁসের ঘটনার প্রমাণ পেয়েছেন সাইবার নিরাপত্তা গবেষকরা। ডেটা ব্রিচ বা তথ্য লঙ্ঘনের এই ঘটনায় ফাঁস (লিক) হয়েছে ১৬ বিলিয়ন বা ১৬ শ কোটি লগইন তথ্য ও পাসওয়ার্ড। সাইবারনিউজ ও ফোর্বসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ফাঁস বিশ্বব্যাপী লাখ লাখ ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত...
১৭ ঘণ্টা আগেকৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক প্রযুক্তি চ্যাটজিপিটি মানুষের মস্তিষ্কে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলে প্রমাণ পেয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি)-এর বিজ্ঞানীরা। প্রতিষ্ঠানটির খ্যাতনামা মিডিয়া ল্যাব পরিচালিত এক নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, যারা লেখালেখির কাজে...
২০ ঘণ্টা আগে