
মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার জন্য স্পাই স্যাটেলাইট বা গুপ্তচর উপগ্রহের নেটওয়ার্ক তৈরি করছে স্পেসএক্স। এবিষয়ে বিলিয়নিয়র ইলন মাস্কের মহাকাশ সংস্থা ও জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার মধ্যে চুক্তি হয়েছে প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত পাঁচটি সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে।
সূত্রগুলো বলছে, ন্যাশনাল রিকনেসেন্স অফিস (এনআরও) গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে ২০২১ সালের ১৮০ কোটি ডলারের চুক্তির অধীনে স্পেসএক্সের স্টারশিল্ড ব্যবসায়িক ইউনিট নেটওয়ার্কটি তৈরি করছে। এই গোয়েন্দা সংস্থাটি গোয়েন্দা স্যাটেলাইটগুলো পরিচালনা করে।
মার্কিন গোয়েন্দা ও সামরিক প্রকল্পগুলোতে স্পেসএক্স-এর সম্পৃক্ততা দেখা যায়। পাশাপাশি স্থল বাহিনীকে সমর্থনের জন্য পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথে প্রদক্ষিণকারী বিশাল স্যাটেলাইট সিস্টেমগুলোতে পেন্টাগনের ব্যাপক বিনিয়োগের চিত্র উঠে আসে।
পরিকল্পনাটি সফল হলে বিশ্বের যে কোন জায়গায় যুক্তরাষ্ট্রের সরকার ও সেনাবাহিনীর সম্ভাব্য লক্ষ্যগুলো দ্রুত চিহ্নিত করার ক্ষমতাকে উল্লেখযোগ্যভাবে এগিয়ে নেবে।
সূত্রগুলো বলছে, চুক্তিটির মাধ্যমে গোয়েন্দা সংস্থা এমন একটি কোম্পানির ওপর ক্রমবর্ধমান আস্থার ইঙ্গিত দেয় যার মালিকের (ইলন মাস্ক) সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনের দ্বন্দ্ব রয়েছে। বিশেষ করে ইউক্রেন যুদ্ধে স্টারলিংক স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ইন্টারনেট সংযোগের ব্যবহার নিয়ে এই দ্বন্দ্ব হয়। তাই ঘটনাটি একটি বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
প্রকল্পের উদ্দেশ্যগুলোর কোন স্পষ্ট ব্যাখ্যা ছাড়াই একটি অজানা গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে স্টার শিল্ডের ১৮০ কোটি ডলারের গোপন চুক্তি গত ফেব্রুয়ারিতে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে উঠে আসে।
রয়টার্স বলছে, একটি শক্তিশালী নতুন গুপ্তচর ব্যবস্থার জন্য শত শত স্যাটেলাইট তৈরি করে দেবে স্পেসএক্স। এসব স্যাটেলাইটের আর্থ ইমেজিং ক্ষমতা রয়েছে। এটি স্যাটেলাইটের একটি ঝাঁক হিসেবে কাজ করবে। মাস্কের কোম্পানি যে গুপ্তচর সংস্থার সঙ্গে কাজ করছে তা হল এনআরও।
তবে নতুন নেটওয়ার্কের স্যাটেলাইটগুলো কখন অনলাইনে আসবে তা নির্ধারণ করতে পারেনি রয়টার্স। এই প্রকল্পের সঙ্গে অন্যান্য কোন কোম্পানি নিজস্ব নিয়ে জড়িত রয়েছে নাকি তাও নির্ধারণ করতে পারেনি সংবাদসংস্থাটি।
এসব স্যাটেলাইট চুক্তি নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি স্পেসএক্স। এনআরও ও স্পেসএক্সের সঙ্গে প্রকল্প নিয়ে জানতে চেয়েছে পেন্টাগন।
তবে অত্যাধুনিক স্যাটেলাইট সিস্টেম বিকাশে অন্যান্য সরকারি সংস্থা, কোম্পানি, গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও দেশের সঙ্গে অংশীদারত্বের কথা স্বীকার করেছে এনআরও। তবে স্পেসএক্সে এই প্রকল্পে কতটুকু জড়িত সে সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করেনি সংস্থাটি।
সংস্থাটির এক মুখপাত্র বলেন, ‘ন্যাশনাল রিকনেসান্স অফিস বিশ্বের সবচেয়ে সক্ষম, বৈচিত্র্যময় ও স্থিতিস্থাপক মহাকাশ-ভিত্তিক বুদ্ধিমত্তা, নজরদারি এবং রিকনেসান্স সিস্টেম তৈরি করছে।’
স্যাটেলাইটগুলো মাটিতে থাকা লক্ষ্যবস্তুগুলোকে ট্র্যাক করতে পারবে এবং মার্কিন গোয়েন্দা ও সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে সেই ডেটা শেয়ার করতে পারবে। অর্থাৎ বিশ্বের প্রায় যেকোনো জায়গার ভূস্থলে ক্রিয়াকলাপগুলোর চিত্র দ্রুত ধারণ করে স্যাটেলাইটগুলো মার্কিন সরকারকে গোয়েন্দা তথ্য দিয়ে এবং সামরিক অভিযানে সহায়তা করবে।
তিনটি সূত্র জানিয়েছে, অন্যান্য স্যাটেলাইটসহ স্পেসএক্সের ফ্যালকন ৯ রকেট ২০২০ সাল থেকে প্রায় এক ডজন প্রোটোটাপট চালু করেছে।
কক্ষপথে স্যাটেলাইট নিয়ে মার্কিন সরকারের একটি ডেটাবেইস দেখায় যায় যে, স্পেসএক্স প্রকল্পের মাধ্যমে কয়েকটি স্যাটেলাইট স্থাপন করা হয়েছে যা কোম্পানি বা সরকার কেউই স্বীকার করেনি। তবে সেগুলো স্টারশিল্ড নেটওয়ার্কের প্রোটোটাইপ বলে দুটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে এসব সূত্রগুলোর পরিচয় উল্লেখ করা হয়নি। কারণ মার্কিন সরকারের কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা করার জন্য তাদের কাছে কোনো অনুমোদন নেই।
পেন্টাগন ইতিমধ্যেই স্পেসএক্স একটি বড় গ্রাহক। ফ্যালকন ৯ রকেট ব্যবহার করে মহাকাশে সামরিক পেলোড (একটি লক্ষ্য বা গন্তব্যে বোমা, ওয়ারহেড, কার্গো বা বিমানের যাত্রী, একটি রকেট, ক্ষেপণাস্ত্র ইত্যাদি ডেলিভারির জন্য একটি যান) পাঠানো হয়। ২০২০ সালে স্টারশিল্ডের প্রথম প্রোটোটাইপ স্যাটেলাইট চালু হয়। এটি একটি পৃথক চুক্তির অংশ ছিল। এই চুক্তির আওতায় স্পেসএক্সকে ২০ কোটি ডলার হয়। এই প্রকল্পের সাফল্যেই পরবর্তীতে স্পেসএক্সে ১৮০ কোটি ডলারের চুক্তিটি পেয়েছে।
স্টারশিল্ড নেটওয়ার্ক স্টারলিংক থেকে আলাদা একটি প্রকল্প। স্পেসএক্সের একটি ক্রমবর্ধমান বাণিজ্যিক ব্রডব্যান্ড, যার ভোক্তা, কোম্পানি ও সরকারি সংস্থাগুলোকে বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেট সেবা দেওয়ার জন্য জন্য মহাকাশে প্রায় ৫,৫০০টি স্যাটেলাইট রয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে আকাঙ্ক্ষিত ক্ষমতাগুলো মধ্যে গোপনীয় স্পাই স্যাটেলাইটগুলো রয়েছে। কারণ পৃথিবীর স্থলের ক্রিয়াকলাপ জানার জন্য সবচেয়ে স্থায়ী, বিস্তৃত ও দ্রুত ডেটা পাওয়ার জন্য নকশা করা হয়েছে।
টেসলার প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্ক স্টারলিংকের স্যাটেলাইট নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বাইডেন প্রশাসনের কিছু কর্মকর্তাদের মধ্যে হতাশা সৃষ্টি হয়েছিল। কারণ ইউক্রেনে কিয়েভের সামরিক বাহিনী রাশিয়ার সঙ্গে নিরাপদ যোগাযোগের জন্য এটি ব্যবহার করেছিল। মাস্কের যুদ্ধ অঞ্চলে স্টারলিংকের ওপর সেই কর্তৃত্ব মার্কিন সরকারের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছিল।
চীন তার নিজস্ব স্যাটেলাইট নির্মাণ শুরু করার পরিকল্পনা করেছে এবং রাশিয়ার কাছ থেকে মহাকাশ অস্ত্রের হুমকির বিষয়ে সতর্ক করেছে পেন্টাগন যা সমগ্র স্যাটেলাইট নেটওয়ার্কগুলোকে নিষ্ক্রিয় করতে পারে।
স্টারশিল্ডের নেটওয়ার্কটি মার্কিন সরকারের রিমোট সেন্সিং ক্ষমতাকে ব্যাপকভাবে প্রসারিত করার উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছে। এই প্রকল্পে ইমেজিং সেন্সরসহ বৃহৎ স্যাটেলাইট থাকবে। সেই সঙ্গে বৃহত্তর সংখ্যক রিলে (পৃথিবীর বিভিন্ন সংকেত গ্রহরন করে যে স্টেশন) স্যাটেলাইট থাকবে যা ইমেজিং ডেটা ও অন্যান্য যোগাযোগের জন্য নেটওয়ার্ক জুড়ে আন্ত–স্যাটেলাইট লেসারের সঙ্গে কাজ করবে।
এনআরও তে মার্কিন মহাকাশ বাহিনী ও সিআইএ-এর কর্মীরা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এই সংস্থা পেন্টাগন এবং অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার জন্য ভূস্থলে গোপনীয় চিত্র সরবরাহ করে।

মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার জন্য স্পাই স্যাটেলাইট বা গুপ্তচর উপগ্রহের নেটওয়ার্ক তৈরি করছে স্পেসএক্স। এবিষয়ে বিলিয়নিয়র ইলন মাস্কের মহাকাশ সংস্থা ও জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার মধ্যে চুক্তি হয়েছে প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত পাঁচটি সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে।
সূত্রগুলো বলছে, ন্যাশনাল রিকনেসেন্স অফিস (এনআরও) গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে ২০২১ সালের ১৮০ কোটি ডলারের চুক্তির অধীনে স্পেসএক্সের স্টারশিল্ড ব্যবসায়িক ইউনিট নেটওয়ার্কটি তৈরি করছে। এই গোয়েন্দা সংস্থাটি গোয়েন্দা স্যাটেলাইটগুলো পরিচালনা করে।
মার্কিন গোয়েন্দা ও সামরিক প্রকল্পগুলোতে স্পেসএক্স-এর সম্পৃক্ততা দেখা যায়। পাশাপাশি স্থল বাহিনীকে সমর্থনের জন্য পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথে প্রদক্ষিণকারী বিশাল স্যাটেলাইট সিস্টেমগুলোতে পেন্টাগনের ব্যাপক বিনিয়োগের চিত্র উঠে আসে।
পরিকল্পনাটি সফল হলে বিশ্বের যে কোন জায়গায় যুক্তরাষ্ট্রের সরকার ও সেনাবাহিনীর সম্ভাব্য লক্ষ্যগুলো দ্রুত চিহ্নিত করার ক্ষমতাকে উল্লেখযোগ্যভাবে এগিয়ে নেবে।
সূত্রগুলো বলছে, চুক্তিটির মাধ্যমে গোয়েন্দা সংস্থা এমন একটি কোম্পানির ওপর ক্রমবর্ধমান আস্থার ইঙ্গিত দেয় যার মালিকের (ইলন মাস্ক) সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনের দ্বন্দ্ব রয়েছে। বিশেষ করে ইউক্রেন যুদ্ধে স্টারলিংক স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ইন্টারনেট সংযোগের ব্যবহার নিয়ে এই দ্বন্দ্ব হয়। তাই ঘটনাটি একটি বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
প্রকল্পের উদ্দেশ্যগুলোর কোন স্পষ্ট ব্যাখ্যা ছাড়াই একটি অজানা গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে স্টার শিল্ডের ১৮০ কোটি ডলারের গোপন চুক্তি গত ফেব্রুয়ারিতে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে উঠে আসে।
রয়টার্স বলছে, একটি শক্তিশালী নতুন গুপ্তচর ব্যবস্থার জন্য শত শত স্যাটেলাইট তৈরি করে দেবে স্পেসএক্স। এসব স্যাটেলাইটের আর্থ ইমেজিং ক্ষমতা রয়েছে। এটি স্যাটেলাইটের একটি ঝাঁক হিসেবে কাজ করবে। মাস্কের কোম্পানি যে গুপ্তচর সংস্থার সঙ্গে কাজ করছে তা হল এনআরও।
তবে নতুন নেটওয়ার্কের স্যাটেলাইটগুলো কখন অনলাইনে আসবে তা নির্ধারণ করতে পারেনি রয়টার্স। এই প্রকল্পের সঙ্গে অন্যান্য কোন কোম্পানি নিজস্ব নিয়ে জড়িত রয়েছে নাকি তাও নির্ধারণ করতে পারেনি সংবাদসংস্থাটি।
এসব স্যাটেলাইট চুক্তি নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি স্পেসএক্স। এনআরও ও স্পেসএক্সের সঙ্গে প্রকল্প নিয়ে জানতে চেয়েছে পেন্টাগন।
তবে অত্যাধুনিক স্যাটেলাইট সিস্টেম বিকাশে অন্যান্য সরকারি সংস্থা, কোম্পানি, গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও দেশের সঙ্গে অংশীদারত্বের কথা স্বীকার করেছে এনআরও। তবে স্পেসএক্সে এই প্রকল্পে কতটুকু জড়িত সে সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করেনি সংস্থাটি।
সংস্থাটির এক মুখপাত্র বলেন, ‘ন্যাশনাল রিকনেসান্স অফিস বিশ্বের সবচেয়ে সক্ষম, বৈচিত্র্যময় ও স্থিতিস্থাপক মহাকাশ-ভিত্তিক বুদ্ধিমত্তা, নজরদারি এবং রিকনেসান্স সিস্টেম তৈরি করছে।’
স্যাটেলাইটগুলো মাটিতে থাকা লক্ষ্যবস্তুগুলোকে ট্র্যাক করতে পারবে এবং মার্কিন গোয়েন্দা ও সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে সেই ডেটা শেয়ার করতে পারবে। অর্থাৎ বিশ্বের প্রায় যেকোনো জায়গার ভূস্থলে ক্রিয়াকলাপগুলোর চিত্র দ্রুত ধারণ করে স্যাটেলাইটগুলো মার্কিন সরকারকে গোয়েন্দা তথ্য দিয়ে এবং সামরিক অভিযানে সহায়তা করবে।
তিনটি সূত্র জানিয়েছে, অন্যান্য স্যাটেলাইটসহ স্পেসএক্সের ফ্যালকন ৯ রকেট ২০২০ সাল থেকে প্রায় এক ডজন প্রোটোটাপট চালু করেছে।
কক্ষপথে স্যাটেলাইট নিয়ে মার্কিন সরকারের একটি ডেটাবেইস দেখায় যায় যে, স্পেসএক্স প্রকল্পের মাধ্যমে কয়েকটি স্যাটেলাইট স্থাপন করা হয়েছে যা কোম্পানি বা সরকার কেউই স্বীকার করেনি। তবে সেগুলো স্টারশিল্ড নেটওয়ার্কের প্রোটোটাইপ বলে দুটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে এসব সূত্রগুলোর পরিচয় উল্লেখ করা হয়নি। কারণ মার্কিন সরকারের কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা করার জন্য তাদের কাছে কোনো অনুমোদন নেই।
পেন্টাগন ইতিমধ্যেই স্পেসএক্স একটি বড় গ্রাহক। ফ্যালকন ৯ রকেট ব্যবহার করে মহাকাশে সামরিক পেলোড (একটি লক্ষ্য বা গন্তব্যে বোমা, ওয়ারহেড, কার্গো বা বিমানের যাত্রী, একটি রকেট, ক্ষেপণাস্ত্র ইত্যাদি ডেলিভারির জন্য একটি যান) পাঠানো হয়। ২০২০ সালে স্টারশিল্ডের প্রথম প্রোটোটাইপ স্যাটেলাইট চালু হয়। এটি একটি পৃথক চুক্তির অংশ ছিল। এই চুক্তির আওতায় স্পেসএক্সকে ২০ কোটি ডলার হয়। এই প্রকল্পের সাফল্যেই পরবর্তীতে স্পেসএক্সে ১৮০ কোটি ডলারের চুক্তিটি পেয়েছে।
স্টারশিল্ড নেটওয়ার্ক স্টারলিংক থেকে আলাদা একটি প্রকল্প। স্পেসএক্সের একটি ক্রমবর্ধমান বাণিজ্যিক ব্রডব্যান্ড, যার ভোক্তা, কোম্পানি ও সরকারি সংস্থাগুলোকে বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেট সেবা দেওয়ার জন্য জন্য মহাকাশে প্রায় ৫,৫০০টি স্যাটেলাইট রয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে আকাঙ্ক্ষিত ক্ষমতাগুলো মধ্যে গোপনীয় স্পাই স্যাটেলাইটগুলো রয়েছে। কারণ পৃথিবীর স্থলের ক্রিয়াকলাপ জানার জন্য সবচেয়ে স্থায়ী, বিস্তৃত ও দ্রুত ডেটা পাওয়ার জন্য নকশা করা হয়েছে।
টেসলার প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্ক স্টারলিংকের স্যাটেলাইট নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বাইডেন প্রশাসনের কিছু কর্মকর্তাদের মধ্যে হতাশা সৃষ্টি হয়েছিল। কারণ ইউক্রেনে কিয়েভের সামরিক বাহিনী রাশিয়ার সঙ্গে নিরাপদ যোগাযোগের জন্য এটি ব্যবহার করেছিল। মাস্কের যুদ্ধ অঞ্চলে স্টারলিংকের ওপর সেই কর্তৃত্ব মার্কিন সরকারের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছিল।
চীন তার নিজস্ব স্যাটেলাইট নির্মাণ শুরু করার পরিকল্পনা করেছে এবং রাশিয়ার কাছ থেকে মহাকাশ অস্ত্রের হুমকির বিষয়ে সতর্ক করেছে পেন্টাগন যা সমগ্র স্যাটেলাইট নেটওয়ার্কগুলোকে নিষ্ক্রিয় করতে পারে।
স্টারশিল্ডের নেটওয়ার্কটি মার্কিন সরকারের রিমোট সেন্সিং ক্ষমতাকে ব্যাপকভাবে প্রসারিত করার উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছে। এই প্রকল্পে ইমেজিং সেন্সরসহ বৃহৎ স্যাটেলাইট থাকবে। সেই সঙ্গে বৃহত্তর সংখ্যক রিলে (পৃথিবীর বিভিন্ন সংকেত গ্রহরন করে যে স্টেশন) স্যাটেলাইট থাকবে যা ইমেজিং ডেটা ও অন্যান্য যোগাযোগের জন্য নেটওয়ার্ক জুড়ে আন্ত–স্যাটেলাইট লেসারের সঙ্গে কাজ করবে।
এনআরও তে মার্কিন মহাকাশ বাহিনী ও সিআইএ-এর কর্মীরা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এই সংস্থা পেন্টাগন এবং অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার জন্য ভূস্থলে গোপনীয় চিত্র সরবরাহ করে।

মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার জন্য স্পাই স্যাটেলাইট বা গুপ্তচর উপগ্রহের নেটওয়ার্ক তৈরি করছে স্পেসএক্স। এবিষয়ে বিলিয়নিয়র ইলন মাস্কের মহাকাশ সংস্থা ও জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার মধ্যে চুক্তি হয়েছে প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত পাঁচটি সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে।
সূত্রগুলো বলছে, ন্যাশনাল রিকনেসেন্স অফিস (এনআরও) গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে ২০২১ সালের ১৮০ কোটি ডলারের চুক্তির অধীনে স্পেসএক্সের স্টারশিল্ড ব্যবসায়িক ইউনিট নেটওয়ার্কটি তৈরি করছে। এই গোয়েন্দা সংস্থাটি গোয়েন্দা স্যাটেলাইটগুলো পরিচালনা করে।
মার্কিন গোয়েন্দা ও সামরিক প্রকল্পগুলোতে স্পেসএক্স-এর সম্পৃক্ততা দেখা যায়। পাশাপাশি স্থল বাহিনীকে সমর্থনের জন্য পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথে প্রদক্ষিণকারী বিশাল স্যাটেলাইট সিস্টেমগুলোতে পেন্টাগনের ব্যাপক বিনিয়োগের চিত্র উঠে আসে।
পরিকল্পনাটি সফল হলে বিশ্বের যে কোন জায়গায় যুক্তরাষ্ট্রের সরকার ও সেনাবাহিনীর সম্ভাব্য লক্ষ্যগুলো দ্রুত চিহ্নিত করার ক্ষমতাকে উল্লেখযোগ্যভাবে এগিয়ে নেবে।
সূত্রগুলো বলছে, চুক্তিটির মাধ্যমে গোয়েন্দা সংস্থা এমন একটি কোম্পানির ওপর ক্রমবর্ধমান আস্থার ইঙ্গিত দেয় যার মালিকের (ইলন মাস্ক) সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনের দ্বন্দ্ব রয়েছে। বিশেষ করে ইউক্রেন যুদ্ধে স্টারলিংক স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ইন্টারনেট সংযোগের ব্যবহার নিয়ে এই দ্বন্দ্ব হয়। তাই ঘটনাটি একটি বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
প্রকল্পের উদ্দেশ্যগুলোর কোন স্পষ্ট ব্যাখ্যা ছাড়াই একটি অজানা গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে স্টার শিল্ডের ১৮০ কোটি ডলারের গোপন চুক্তি গত ফেব্রুয়ারিতে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে উঠে আসে।
রয়টার্স বলছে, একটি শক্তিশালী নতুন গুপ্তচর ব্যবস্থার জন্য শত শত স্যাটেলাইট তৈরি করে দেবে স্পেসএক্স। এসব স্যাটেলাইটের আর্থ ইমেজিং ক্ষমতা রয়েছে। এটি স্যাটেলাইটের একটি ঝাঁক হিসেবে কাজ করবে। মাস্কের কোম্পানি যে গুপ্তচর সংস্থার সঙ্গে কাজ করছে তা হল এনআরও।
তবে নতুন নেটওয়ার্কের স্যাটেলাইটগুলো কখন অনলাইনে আসবে তা নির্ধারণ করতে পারেনি রয়টার্স। এই প্রকল্পের সঙ্গে অন্যান্য কোন কোম্পানি নিজস্ব নিয়ে জড়িত রয়েছে নাকি তাও নির্ধারণ করতে পারেনি সংবাদসংস্থাটি।
এসব স্যাটেলাইট চুক্তি নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি স্পেসএক্স। এনআরও ও স্পেসএক্সের সঙ্গে প্রকল্প নিয়ে জানতে চেয়েছে পেন্টাগন।
তবে অত্যাধুনিক স্যাটেলাইট সিস্টেম বিকাশে অন্যান্য সরকারি সংস্থা, কোম্পানি, গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও দেশের সঙ্গে অংশীদারত্বের কথা স্বীকার করেছে এনআরও। তবে স্পেসএক্সে এই প্রকল্পে কতটুকু জড়িত সে সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করেনি সংস্থাটি।
সংস্থাটির এক মুখপাত্র বলেন, ‘ন্যাশনাল রিকনেসান্স অফিস বিশ্বের সবচেয়ে সক্ষম, বৈচিত্র্যময় ও স্থিতিস্থাপক মহাকাশ-ভিত্তিক বুদ্ধিমত্তা, নজরদারি এবং রিকনেসান্স সিস্টেম তৈরি করছে।’
স্যাটেলাইটগুলো মাটিতে থাকা লক্ষ্যবস্তুগুলোকে ট্র্যাক করতে পারবে এবং মার্কিন গোয়েন্দা ও সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে সেই ডেটা শেয়ার করতে পারবে। অর্থাৎ বিশ্বের প্রায় যেকোনো জায়গার ভূস্থলে ক্রিয়াকলাপগুলোর চিত্র দ্রুত ধারণ করে স্যাটেলাইটগুলো মার্কিন সরকারকে গোয়েন্দা তথ্য দিয়ে এবং সামরিক অভিযানে সহায়তা করবে।
তিনটি সূত্র জানিয়েছে, অন্যান্য স্যাটেলাইটসহ স্পেসএক্সের ফ্যালকন ৯ রকেট ২০২০ সাল থেকে প্রায় এক ডজন প্রোটোটাপট চালু করেছে।
কক্ষপথে স্যাটেলাইট নিয়ে মার্কিন সরকারের একটি ডেটাবেইস দেখায় যায় যে, স্পেসএক্স প্রকল্পের মাধ্যমে কয়েকটি স্যাটেলাইট স্থাপন করা হয়েছে যা কোম্পানি বা সরকার কেউই স্বীকার করেনি। তবে সেগুলো স্টারশিল্ড নেটওয়ার্কের প্রোটোটাইপ বলে দুটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে এসব সূত্রগুলোর পরিচয় উল্লেখ করা হয়নি। কারণ মার্কিন সরকারের কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা করার জন্য তাদের কাছে কোনো অনুমোদন নেই।
পেন্টাগন ইতিমধ্যেই স্পেসএক্স একটি বড় গ্রাহক। ফ্যালকন ৯ রকেট ব্যবহার করে মহাকাশে সামরিক পেলোড (একটি লক্ষ্য বা গন্তব্যে বোমা, ওয়ারহেড, কার্গো বা বিমানের যাত্রী, একটি রকেট, ক্ষেপণাস্ত্র ইত্যাদি ডেলিভারির জন্য একটি যান) পাঠানো হয়। ২০২০ সালে স্টারশিল্ডের প্রথম প্রোটোটাইপ স্যাটেলাইট চালু হয়। এটি একটি পৃথক চুক্তির অংশ ছিল। এই চুক্তির আওতায় স্পেসএক্সকে ২০ কোটি ডলার হয়। এই প্রকল্পের সাফল্যেই পরবর্তীতে স্পেসএক্সে ১৮০ কোটি ডলারের চুক্তিটি পেয়েছে।
স্টারশিল্ড নেটওয়ার্ক স্টারলিংক থেকে আলাদা একটি প্রকল্প। স্পেসএক্সের একটি ক্রমবর্ধমান বাণিজ্যিক ব্রডব্যান্ড, যার ভোক্তা, কোম্পানি ও সরকারি সংস্থাগুলোকে বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেট সেবা দেওয়ার জন্য জন্য মহাকাশে প্রায় ৫,৫০০টি স্যাটেলাইট রয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে আকাঙ্ক্ষিত ক্ষমতাগুলো মধ্যে গোপনীয় স্পাই স্যাটেলাইটগুলো রয়েছে। কারণ পৃথিবীর স্থলের ক্রিয়াকলাপ জানার জন্য সবচেয়ে স্থায়ী, বিস্তৃত ও দ্রুত ডেটা পাওয়ার জন্য নকশা করা হয়েছে।
টেসলার প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্ক স্টারলিংকের স্যাটেলাইট নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বাইডেন প্রশাসনের কিছু কর্মকর্তাদের মধ্যে হতাশা সৃষ্টি হয়েছিল। কারণ ইউক্রেনে কিয়েভের সামরিক বাহিনী রাশিয়ার সঙ্গে নিরাপদ যোগাযোগের জন্য এটি ব্যবহার করেছিল। মাস্কের যুদ্ধ অঞ্চলে স্টারলিংকের ওপর সেই কর্তৃত্ব মার্কিন সরকারের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছিল।
চীন তার নিজস্ব স্যাটেলাইট নির্মাণ শুরু করার পরিকল্পনা করেছে এবং রাশিয়ার কাছ থেকে মহাকাশ অস্ত্রের হুমকির বিষয়ে সতর্ক করেছে পেন্টাগন যা সমগ্র স্যাটেলাইট নেটওয়ার্কগুলোকে নিষ্ক্রিয় করতে পারে।
স্টারশিল্ডের নেটওয়ার্কটি মার্কিন সরকারের রিমোট সেন্সিং ক্ষমতাকে ব্যাপকভাবে প্রসারিত করার উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছে। এই প্রকল্পে ইমেজিং সেন্সরসহ বৃহৎ স্যাটেলাইট থাকবে। সেই সঙ্গে বৃহত্তর সংখ্যক রিলে (পৃথিবীর বিভিন্ন সংকেত গ্রহরন করে যে স্টেশন) স্যাটেলাইট থাকবে যা ইমেজিং ডেটা ও অন্যান্য যোগাযোগের জন্য নেটওয়ার্ক জুড়ে আন্ত–স্যাটেলাইট লেসারের সঙ্গে কাজ করবে।
এনআরও তে মার্কিন মহাকাশ বাহিনী ও সিআইএ-এর কর্মীরা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এই সংস্থা পেন্টাগন এবং অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার জন্য ভূস্থলে গোপনীয় চিত্র সরবরাহ করে।

মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার জন্য স্পাই স্যাটেলাইট বা গুপ্তচর উপগ্রহের নেটওয়ার্ক তৈরি করছে স্পেসএক্স। এবিষয়ে বিলিয়নিয়র ইলন মাস্কের মহাকাশ সংস্থা ও জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার মধ্যে চুক্তি হয়েছে প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত পাঁচটি সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে।
সূত্রগুলো বলছে, ন্যাশনাল রিকনেসেন্স অফিস (এনআরও) গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে ২০২১ সালের ১৮০ কোটি ডলারের চুক্তির অধীনে স্পেসএক্সের স্টারশিল্ড ব্যবসায়িক ইউনিট নেটওয়ার্কটি তৈরি করছে। এই গোয়েন্দা সংস্থাটি গোয়েন্দা স্যাটেলাইটগুলো পরিচালনা করে।
মার্কিন গোয়েন্দা ও সামরিক প্রকল্পগুলোতে স্পেসএক্স-এর সম্পৃক্ততা দেখা যায়। পাশাপাশি স্থল বাহিনীকে সমর্থনের জন্য পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথে প্রদক্ষিণকারী বিশাল স্যাটেলাইট সিস্টেমগুলোতে পেন্টাগনের ব্যাপক বিনিয়োগের চিত্র উঠে আসে।
পরিকল্পনাটি সফল হলে বিশ্বের যে কোন জায়গায় যুক্তরাষ্ট্রের সরকার ও সেনাবাহিনীর সম্ভাব্য লক্ষ্যগুলো দ্রুত চিহ্নিত করার ক্ষমতাকে উল্লেখযোগ্যভাবে এগিয়ে নেবে।
সূত্রগুলো বলছে, চুক্তিটির মাধ্যমে গোয়েন্দা সংস্থা এমন একটি কোম্পানির ওপর ক্রমবর্ধমান আস্থার ইঙ্গিত দেয় যার মালিকের (ইলন মাস্ক) সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনের দ্বন্দ্ব রয়েছে। বিশেষ করে ইউক্রেন যুদ্ধে স্টারলিংক স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ইন্টারনেট সংযোগের ব্যবহার নিয়ে এই দ্বন্দ্ব হয়। তাই ঘটনাটি একটি বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
প্রকল্পের উদ্দেশ্যগুলোর কোন স্পষ্ট ব্যাখ্যা ছাড়াই একটি অজানা গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে স্টার শিল্ডের ১৮০ কোটি ডলারের গোপন চুক্তি গত ফেব্রুয়ারিতে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে উঠে আসে।
রয়টার্স বলছে, একটি শক্তিশালী নতুন গুপ্তচর ব্যবস্থার জন্য শত শত স্যাটেলাইট তৈরি করে দেবে স্পেসএক্স। এসব স্যাটেলাইটের আর্থ ইমেজিং ক্ষমতা রয়েছে। এটি স্যাটেলাইটের একটি ঝাঁক হিসেবে কাজ করবে। মাস্কের কোম্পানি যে গুপ্তচর সংস্থার সঙ্গে কাজ করছে তা হল এনআরও।
তবে নতুন নেটওয়ার্কের স্যাটেলাইটগুলো কখন অনলাইনে আসবে তা নির্ধারণ করতে পারেনি রয়টার্স। এই প্রকল্পের সঙ্গে অন্যান্য কোন কোম্পানি নিজস্ব নিয়ে জড়িত রয়েছে নাকি তাও নির্ধারণ করতে পারেনি সংবাদসংস্থাটি।
এসব স্যাটেলাইট চুক্তি নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি স্পেসএক্স। এনআরও ও স্পেসএক্সের সঙ্গে প্রকল্প নিয়ে জানতে চেয়েছে পেন্টাগন।
তবে অত্যাধুনিক স্যাটেলাইট সিস্টেম বিকাশে অন্যান্য সরকারি সংস্থা, কোম্পানি, গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও দেশের সঙ্গে অংশীদারত্বের কথা স্বীকার করেছে এনআরও। তবে স্পেসএক্সে এই প্রকল্পে কতটুকু জড়িত সে সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করেনি সংস্থাটি।
সংস্থাটির এক মুখপাত্র বলেন, ‘ন্যাশনাল রিকনেসান্স অফিস বিশ্বের সবচেয়ে সক্ষম, বৈচিত্র্যময় ও স্থিতিস্থাপক মহাকাশ-ভিত্তিক বুদ্ধিমত্তা, নজরদারি এবং রিকনেসান্স সিস্টেম তৈরি করছে।’
স্যাটেলাইটগুলো মাটিতে থাকা লক্ষ্যবস্তুগুলোকে ট্র্যাক করতে পারবে এবং মার্কিন গোয়েন্দা ও সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে সেই ডেটা শেয়ার করতে পারবে। অর্থাৎ বিশ্বের প্রায় যেকোনো জায়গার ভূস্থলে ক্রিয়াকলাপগুলোর চিত্র দ্রুত ধারণ করে স্যাটেলাইটগুলো মার্কিন সরকারকে গোয়েন্দা তথ্য দিয়ে এবং সামরিক অভিযানে সহায়তা করবে।
তিনটি সূত্র জানিয়েছে, অন্যান্য স্যাটেলাইটসহ স্পেসএক্সের ফ্যালকন ৯ রকেট ২০২০ সাল থেকে প্রায় এক ডজন প্রোটোটাপট চালু করেছে।
কক্ষপথে স্যাটেলাইট নিয়ে মার্কিন সরকারের একটি ডেটাবেইস দেখায় যায় যে, স্পেসএক্স প্রকল্পের মাধ্যমে কয়েকটি স্যাটেলাইট স্থাপন করা হয়েছে যা কোম্পানি বা সরকার কেউই স্বীকার করেনি। তবে সেগুলো স্টারশিল্ড নেটওয়ার্কের প্রোটোটাইপ বলে দুটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে এসব সূত্রগুলোর পরিচয় উল্লেখ করা হয়নি। কারণ মার্কিন সরকারের কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা করার জন্য তাদের কাছে কোনো অনুমোদন নেই।
পেন্টাগন ইতিমধ্যেই স্পেসএক্স একটি বড় গ্রাহক। ফ্যালকন ৯ রকেট ব্যবহার করে মহাকাশে সামরিক পেলোড (একটি লক্ষ্য বা গন্তব্যে বোমা, ওয়ারহেড, কার্গো বা বিমানের যাত্রী, একটি রকেট, ক্ষেপণাস্ত্র ইত্যাদি ডেলিভারির জন্য একটি যান) পাঠানো হয়। ২০২০ সালে স্টারশিল্ডের প্রথম প্রোটোটাইপ স্যাটেলাইট চালু হয়। এটি একটি পৃথক চুক্তির অংশ ছিল। এই চুক্তির আওতায় স্পেসএক্সকে ২০ কোটি ডলার হয়। এই প্রকল্পের সাফল্যেই পরবর্তীতে স্পেসএক্সে ১৮০ কোটি ডলারের চুক্তিটি পেয়েছে।
স্টারশিল্ড নেটওয়ার্ক স্টারলিংক থেকে আলাদা একটি প্রকল্প। স্পেসএক্সের একটি ক্রমবর্ধমান বাণিজ্যিক ব্রডব্যান্ড, যার ভোক্তা, কোম্পানি ও সরকারি সংস্থাগুলোকে বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেট সেবা দেওয়ার জন্য জন্য মহাকাশে প্রায় ৫,৫০০টি স্যাটেলাইট রয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে আকাঙ্ক্ষিত ক্ষমতাগুলো মধ্যে গোপনীয় স্পাই স্যাটেলাইটগুলো রয়েছে। কারণ পৃথিবীর স্থলের ক্রিয়াকলাপ জানার জন্য সবচেয়ে স্থায়ী, বিস্তৃত ও দ্রুত ডেটা পাওয়ার জন্য নকশা করা হয়েছে।
টেসলার প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্ক স্টারলিংকের স্যাটেলাইট নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বাইডেন প্রশাসনের কিছু কর্মকর্তাদের মধ্যে হতাশা সৃষ্টি হয়েছিল। কারণ ইউক্রেনে কিয়েভের সামরিক বাহিনী রাশিয়ার সঙ্গে নিরাপদ যোগাযোগের জন্য এটি ব্যবহার করেছিল। মাস্কের যুদ্ধ অঞ্চলে স্টারলিংকের ওপর সেই কর্তৃত্ব মার্কিন সরকারের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছিল।
চীন তার নিজস্ব স্যাটেলাইট নির্মাণ শুরু করার পরিকল্পনা করেছে এবং রাশিয়ার কাছ থেকে মহাকাশ অস্ত্রের হুমকির বিষয়ে সতর্ক করেছে পেন্টাগন যা সমগ্র স্যাটেলাইট নেটওয়ার্কগুলোকে নিষ্ক্রিয় করতে পারে।
স্টারশিল্ডের নেটওয়ার্কটি মার্কিন সরকারের রিমোট সেন্সিং ক্ষমতাকে ব্যাপকভাবে প্রসারিত করার উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছে। এই প্রকল্পে ইমেজিং সেন্সরসহ বৃহৎ স্যাটেলাইট থাকবে। সেই সঙ্গে বৃহত্তর সংখ্যক রিলে (পৃথিবীর বিভিন্ন সংকেত গ্রহরন করে যে স্টেশন) স্যাটেলাইট থাকবে যা ইমেজিং ডেটা ও অন্যান্য যোগাযোগের জন্য নেটওয়ার্ক জুড়ে আন্ত–স্যাটেলাইট লেসারের সঙ্গে কাজ করবে।
এনআরও তে মার্কিন মহাকাশ বাহিনী ও সিআইএ-এর কর্মীরা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এই সংস্থা পেন্টাগন এবং অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার জন্য ভূস্থলে গোপনীয় চিত্র সরবরাহ করে।

প্রস্তাবিত টেলিযোগাযোগ অধ্যাদেশে ইন্টারনেট বন্ধের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপসহ বিদ্যমান আইন ও নীতিতে বেশ কিছু মৌলিক পরিবর্তন আনা হয়েছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ খাতে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও নাগরিক অধিকারের সুরক্ষা আরও সুদৃঢ় হবে বলে মনে করছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ।
১২ মিনিট আগে
হুয়াওয়ে বলতে সাধারণ মানুষ একটি মোবাইল ফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানকে জানে। প্রায় পাঁচ বছর ধরে বাংলাদেশের বাজারে তাদের নতুন কোনো মোবাইল ফোন যদিও আসেনি। তবু দেশে গ্রাহক সমাধান, টেলিকম নেটওয়ার্ক, নবায়নযোগ্য শক্তি, শিক্ষা ও সামাজিক উদ্যোগে হুয়াওয়ে বেশ বড় পরিসরে কাজ করে যাচ্ছে।
১ দিন আগে
সম্প্রতি অ্যান্ড্রয়েড ফোনসেট গুলোতে একধরনের সাইবার আক্রমণের হুমকি দেখা দিয়েছে। হ্যাকারদের এক বিশেষ ধরনের আক্রমণের শিকার হয়েছে কিছু মোবাইল ফোনসেট। ব্যক্তিগত তথ্যসহ টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন কোড পর্যন্ত চুরি করছে হ্যাকাররা।
১ দিন আগে
গ্রাফিক ডিজাইনে যাঁরা পারদর্শী নন, তাঁদের কাছে ক্যানভা নতুন এক দুয়ার খুলে দিয়েছে। যে কেউ এখন এটি ব্যবহার করে ব্যক্তিগত অথবা পেশাদার কাজ করতে পারেন। সময়ের সঙ্গে আরও উন্নত হয়েছে এই ডিজাইন প্ল্যাটফর্ম। এবার তাতে যোগ হলো তাদের নিজস্ব এআই-চালিত মডেল।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ প্রস্তাবিত ‘বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ অধ্যাদেশ ২০২৫’-এর খসড়া প্রকাশ করেছে। বিভাগের ওয়েবসাইটে গিয়ে যে কেউ প্রস্তাবিত এই অধ্যাদেশের খসড়া দেখতে পারবে এবং ই-মেইলের মাধ্যমে মতামত জানাতে পারবে।
আজ বুধবার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রস্তাবিত টেলিযোগাযোগ অধ্যাদেশে ইন্টারনেট বন্ধের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপসহ বিদ্যমান আইন ও নীতিতে বেশ কিছু মৌলিক পরিবর্তন আনা হয়েছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ খাতে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও নাগরিক অধিকারের সুরক্ষা আরও সুদৃঢ় হবে বলে মনে করছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ। তবে ইন্টারনেট সেবাদাতাসহ টেলিযোগাযোগ সংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকটি পক্ষের এই অধ্যাদেশ নিয়ে ভিন্নমত করেছে।
অধ্যাদেশের ওপর মতামত পাঠানো যাবে:
ই-মেইল: [email protected] - এই ইমেইলের মাধ্যমে। এ ছাড়া চিঠি পাঠিয়েও মতামত জানানো যাবে। ঠিকানা: সচিব, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ প্রস্তাবিত ‘বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ অধ্যাদেশ ২০২৫’-এর খসড়া প্রকাশ করেছে। বিভাগের ওয়েবসাইটে গিয়ে যে কেউ প্রস্তাবিত এই অধ্যাদেশের খসড়া দেখতে পারবে এবং ই-মেইলের মাধ্যমে মতামত জানাতে পারবে।
আজ বুধবার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রস্তাবিত টেলিযোগাযোগ অধ্যাদেশে ইন্টারনেট বন্ধের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপসহ বিদ্যমান আইন ও নীতিতে বেশ কিছু মৌলিক পরিবর্তন আনা হয়েছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ খাতে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও নাগরিক অধিকারের সুরক্ষা আরও সুদৃঢ় হবে বলে মনে করছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ। তবে ইন্টারনেট সেবাদাতাসহ টেলিযোগাযোগ সংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকটি পক্ষের এই অধ্যাদেশ নিয়ে ভিন্নমত করেছে।
অধ্যাদেশের ওপর মতামত পাঠানো যাবে:
ই-মেইল: [email protected] - এই ইমেইলের মাধ্যমে। এ ছাড়া চিঠি পাঠিয়েও মতামত জানানো যাবে। ঠিকানা: সচিব, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা।

মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার জন্য স্পাই স্যাটেলাইট বা গুপ্তচর উপগ্রহের নেটওয়ার্ক তৈরি করছে স্পেসএক্স। এবিষয়ে বিলিয়নিয়র ইলন মাস্কের মহাকাশ সংস্থা ও জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার মধ্যে চুক্তি হয়েছে প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত পাঁচটি সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে।
১৭ মার্চ ২০২৪
হুয়াওয়ে বলতে সাধারণ মানুষ একটি মোবাইল ফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানকে জানে। প্রায় পাঁচ বছর ধরে বাংলাদেশের বাজারে তাদের নতুন কোনো মোবাইল ফোন যদিও আসেনি। তবু দেশে গ্রাহক সমাধান, টেলিকম নেটওয়ার্ক, নবায়নযোগ্য শক্তি, শিক্ষা ও সামাজিক উদ্যোগে হুয়াওয়ে বেশ বড় পরিসরে কাজ করে যাচ্ছে।
১ দিন আগে
সম্প্রতি অ্যান্ড্রয়েড ফোনসেট গুলোতে একধরনের সাইবার আক্রমণের হুমকি দেখা দিয়েছে। হ্যাকারদের এক বিশেষ ধরনের আক্রমণের শিকার হয়েছে কিছু মোবাইল ফোনসেট। ব্যক্তিগত তথ্যসহ টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন কোড পর্যন্ত চুরি করছে হ্যাকাররা।
১ দিন আগে
গ্রাফিক ডিজাইনে যাঁরা পারদর্শী নন, তাঁদের কাছে ক্যানভা নতুন এক দুয়ার খুলে দিয়েছে। যে কেউ এখন এটি ব্যবহার করে ব্যক্তিগত অথবা পেশাদার কাজ করতে পারেন। সময়ের সঙ্গে আরও উন্নত হয়েছে এই ডিজাইন প্ল্যাটফর্ম। এবার তাতে যোগ হলো তাদের নিজস্ব এআই-চালিত মডেল।
১ দিন আগে
হুয়াওয়ে বলতে সাধারণ মানুষ একটি মোবাইল ফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানকে জানে। প্রায় পাঁচ বছর ধরে বাংলাদেশের বাজারে তাদের নতুন কোনো মোবাইল ফোন যদিও আসেনি। তবু দেশে গ্রাহক সমাধান, টেলিকম নেটওয়ার্ক, নবায়নযোগ্য শক্তি, শিক্ষা ও সামাজিক উদ্যোগে হুয়াওয়ে বেশ বড় পরিসরে কাজ করে যাচ্ছে। এসব বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির দক্ষিণ এশিয়ার হেড অব এক্সটার্নাল কমিউনিকেশনস অ্যান্ড মার্কেটিং তানভীর আহমেদের মুখোমুখি হয়েছে আজকের পত্রিকা। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মোস্তাফিজ মিঠু।
মোস্তাফিজ মিঠু

বাংলাদেশের মোবাইল ফোন গ্রাহকেরা স্মার্টফোন দিয়ে হুয়াওয়েকে চেনে। যদিও এটি হুয়াওয়ের একটি অংশমাত্র। পুরো প্রতিষ্ঠান নিয়ে শুরুতে সংক্ষেপে জানতে চাইব।
বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে হুয়াওয়ের জনপ্রিয়তা আসে মোবাইল ফোন দিয়েই। আমাদের হ্যান্ডসেটগুলো বরাবরই জনপ্রিয়। ডিভাইসের ডিজাইন, টেক্সচার, ক্যামেরা কোয়ালিটি—সবকিছুই গ্রাহকের কাছে আকর্ষণীয় ছিল। আমি বহু মানুষকে এখনো হুয়াওয়ের মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে দেখছি। কিন্তু হুয়াওয়ের যাত্রাটা আসলে মোবাইল ফোন দিয়ে শুরু হয়নি। আমাদের প্রতিষ্ঠাতা রেন ঝেংফেই ১৯৮৭ সালে বাংলাদেশি মুদ্রায় মাত্র তিন লাখের মতো টাকা দিয়ে চীনে হুয়াওয়ের যাত্রা শুরু করেন। আমাদের মূল ব্যবসা টেলিকম নেটওয়ার্ক সল্যুশন। টেলিকম প্রযুক্তি আর প্রজন্ম নিয়ে আমরা কাজ করি। এই যে টু-জি, থ্রি-জি, ফোর-জি, ফাইভ-জি বা সিক্স-জি—এমন প্রতিটি টেলিকম জেনারেশন উদ্ভাবনে আমরা সক্রিয়ভাবে ভূমিকা রাখি এবং এই প্রযুক্তিগুলো সরবরাহ করি। শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা বিশ্বে আমাদের সরঞ্জাম প্রয়োগ করার মধ্য দিয়ে মোবাইল টাওয়ারগুলোয় জিএসএম সল্যুশন ব্যবহার করা হয়।
এখন তো বাংলাদেশের বাজারে হুয়াওয়ের মোবাইল ফোন নেই। বর্তমানে আপনারা কোন সেবাগুলো নিয়ে কাজ করছেন?
নেটওয়ার্ক সল্যুশন থেকে প্রযুক্তি, বিভিন্ন খাতে হুয়াওয়ে কাজ করছে। বাংলাদেশ হাইওয়ে পুলিশকে আমরা ইন্টেলিজেন্ট ক্যামেরা সল্যুশন দিয়েছি; যার মাধ্যমে পুলিশ কন্ট্রোল রুম মনিটর করতে পারছে, কোনো নির্দিষ্ট রুটে কোথাও কোনো দুর্ঘটনা ঘটল কি না, কোনো আইন কেউ ভাঙল কি না ইত্যাদি বিষয়। আমরা শুধু হার্ডওয়্যারই দিই না। এর সঙ্গে সফটওয়্যার, নেটওয়ার্কিং সিস্টেম, ডেটা সেন্টার, ক্লাউড সল্যুশনসহ কাস্টমাইজড সমাধান দিয়ে থাকি। যেমন বিকাশকে আমরা হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার সরবরাহ করছি। বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে নেটওয়ার্কিং ল্যাব গড়ে তুলেছি। মেডিকেল সেক্টরে ডেটাবেইস ও ডেটা ম্যানেজমেন্ট দিয়ে থাকি; যাতে হাসপাতাল এবং সংশ্লিষ্ট সেবা আরও দক্ষভাবে পরিচালিত হয়।
আপনারা দেশের সৌরবিদ্যুৎ খাতেরও একটি সহযোগী। এ বিষয়ে বিস্তারিত বলবেন।
নবায়নযোগ্য শক্তি উৎপাদনে প্রযুক্তি সরবরাহ করাও আমাদের বড় একটি ব্যবসায়িক দিক। ২০২০ সালে ময়মনসিংহে বাংলাদেশের তৎকালীন সবচেয়ে বড় সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপিত হয়। আমরা সেই প্রকল্পে পিভি ইনভার্টার প্রযুক্তি ও সমাধান দিয়েছি। সেখানে এখন প্রতিদিন প্রায় ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন শিল্পকারখানা ও প্রতিষ্ঠানকে রুফটপ সোলার সল্যুশন, পিভি ইনভার্টার এবং এনার্জি স্টোরেজ সল্যুশন সরবরাহ করা হয়েছে। অন্যদিকে আমরা ইউআইইউ ও সিইআরের সঙ্গে ইউআইইউতে সম্মিলিতভাবে একটি সোলার পাওয়ার ল্যাব চালু করেছি। সেখানে শিক্ষানবিশ ও পেশাদারেরা সোলার এনার্জি উৎপাদন, প্রকল্পের বিভিন্ন খুঁটিনাটি বিষয়ে হাতেকলমে শিক্ষার সুযোগ পাচ্ছেন। অন্যদিকে টেলিকম অপারেটরদের যে টাওয়ারগুলো রয়েছে, সেগুলোকে সৌরবিদ্যুৎনির্ভর করে তুলতে আমরা অনেক বছর ধরে কাজ করে যাচ্ছি।
বিশ্ববিদ্যালয় ও তরুণদের জন্য আপনাদের কয়েকটি উদ্যোগ রয়েছে। সেগুলোর উদ্দেশ্য ও কার্যক্রম বিষয়ে জানতে চাই।
সব ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানেরই সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা আছে। আমরা এ ক্ষেত্রে তরুণদের উন্নয়নের বিষয়টিতে বেশি গুরুত্ব দিই। আমাদের মাধ্যমে যেন তারা একটি গাইডলাইন বা প্ল্যাটফর্ম পায়। এ রকম আমাদের বেশ কিছু আয়োজন আছে। সেগুলোর মধ্যে ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার’ বেশ জনপ্রিয় একটি উদ্যোগ। প্রতিবছর বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ থেকে ১২ জনের একটি ব্যাচ বেছে নিয়ে তাদের প্রশিক্ষণের জন্য চীনে পাঠানো হয়। এখানে নারী-পুরুষের সমতা বজায় রাখার চেষ্টা করি। এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীরা ডিজাইন থিংকিং, ডিপ-থিংকিং মেথডোলজি, টিমওয়ার্ক, সেলফ প্রেজেন্টেশনসহ বিভিন্ন বিষয়ে উৎকর্ষ অর্জন করেন। এগুলো ভবিষ্যতে তাদের ক্যারিয়ারে কাজে লাগে। সাবেক অংশগ্রহণকারীরা গ্লোবাল এবং রিজিওনাল রাউন্ডে অংশ নেয়। অন্যদিকে আমরা নিয়মিত ক্যাম্পাস রিক্রুটমেন্ট প্রোগ্রাম করি। ইঞ্জিনিয়ারিং ও টেক বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্রেশ গ্র্যাজুয়েটরা এতে অংশ নেন।

বাংলাদেশে এখন ফাইভ-জি চলে এসেছে। এর সঙ্গেও হুয়াওয়ের সরাসরি সম্পৃক্ততা রয়েছে। আপনাদের ভূমিকার বিষয়টি পাঠকদের জানাতে চাই।
সম্প্রতি বাংলাদেশে দুটি টেলিকম প্রতিষ্ঠান ফাইভ-জি ঘোষণার পর মূলত এ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে; যাদের সল্যুশন দিচ্ছে হুয়াওয়ে। যদিও এই আলোচনার শুরু ২০১৮ সালে। বাংলাদেশে প্রথম ফাইভ-জি ট্রায়াল পরিচালনা করে হুয়াওয়ে। তখন আমাদের
সঙ্গে ছিল রবি। ২০২০ সালে আমরা এক প্রদর্শনীতে ফাইভ-জি নিয়ে জনসমক্ষে এর অভিজ্ঞতা উপস্থাপন করেছিলাম। সম্প্রতি দুই টেলিকম অপারেটর বাণিজ্যিকভাবে ফাইভ-জি বাজারে নিয়ে আসে। এখন যেকোনো অপারেটরকেই ফাইভ-জি প্রযুক্তির সাপোর্ট দিতে হুয়াওয়ে পুরোপুরি প্রস্তুত রয়েছে।
প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো এআইকে বিভিন্নভাবে কাজে লাগাচ্ছে। আপনারা কোন ধরনের কাজে এ প্রযুক্তি ব্যবহার করছেন?
এখন আসলে এআইয়ের সময়। আমাদের বিভিন্ন সমাধানের উচ্চক্ষমতা নিশ্চিত করতে সেগুলোতে প্রয়োজন অনুযায়ী এআই রয়েছে। যেমন সোলার পাওয়ার সিস্টেমে পিভি
ইনভার্টার ও উৎপাদন ডিস্ট্রিবিউশন ম্যানেজমেন্টের অ্যালগরিদমগুলো এআইভিত্তিক। এতে উৎপাদন, ম্যানেজমেন্ট ও ডিস্ট্রিবিউশন আরও দক্ষভাবে পরিচালনা করা যায়। হুয়াওয়ে ক্লাউডেও অনেক রকম এআইয়ের ইন্টিগ্রেশন রয়েছে, যা এর ব্যবহারকারীদের বাড়তি সুবিধা ও নিরাপত্তা দেয়।
বাংলাদেশে আপনাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী? নতুন বছরে বিশেষ কিছু আসছে?
বাংলাদেশের প্রযুক্তি অবকাঠামো, বিশেষত ক্লাউড, নবায়নযোগ্য শক্তি, এআই ও শিক্ষা খাতে আরও অনেক সুযোগ রয়েছে কাজ করার। স্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়, স্টার্টআপ ও শিল্প খাতের সঙ্গে অংশীদারত্ব বাড়িয়ে বিভিন্ন সল্যুশন নিয়ে কাজ করে যেতে চাই। লক্ষ্য হচ্ছে, প্রযুক্তির মাধ্যমে সামগ্রিক জীবনযাত্রার মান উন্নত করা এবং কর্মসংস্থান বাড়ানো। আমরা প্রথম থেকে বাংলাদেশের আইসিটির অগ্রযাত্রার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হতে চেয়েছি। আমাদের মূল ভিশন হলো ‘বিল্ডিং আ ফুললি কানেক্টেড, ইন্টেলিজেন্ট বাংলাদেশ’। এই উদ্দেশ্য নিয়েই আমরা বাংলাদেশের জন্য কাজ করে যাব।
বাংলাদেশের মোবাইল ফোন গ্রাহকেরা স্মার্টফোন দিয়ে হুয়াওয়েকে চেনে। যদিও এটি হুয়াওয়ের একটি অংশমাত্র। পুরো প্রতিষ্ঠান নিয়ে শুরুতে সংক্ষেপে জানতে চাইব।
বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে হুয়াওয়ের জনপ্রিয়তা আসে মোবাইল ফোন দিয়েই। আমাদের হ্যান্ডসেটগুলো বরাবরই জনপ্রিয়। ডিভাইসের ডিজাইন, টেক্সচার, ক্যামেরা কোয়ালিটি—সবকিছুই গ্রাহকের কাছে আকর্ষণীয় ছিল। আমি বহু মানুষকে এখনো হুয়াওয়ের মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে দেখছি। কিন্তু হুয়াওয়ের যাত্রাটা আসলে মোবাইল ফোন দিয়ে শুরু হয়নি। আমাদের প্রতিষ্ঠাতা রেন ঝেংফেই ১৯৮৭ সালে বাংলাদেশি মুদ্রায় মাত্র তিন লাখের মতো টাকা দিয়ে চীনে হুয়াওয়ের যাত্রা শুরু করেন। আমাদের মূল ব্যবসা টেলিকম নেটওয়ার্ক সল্যুশন। টেলিকম প্রযুক্তি আর প্রজন্ম নিয়ে আমরা কাজ করি। এই যে টু-জি, থ্রি-জি, ফোর-জি, ফাইভ-জি বা সিক্স-জি—এমন প্রতিটি টেলিকম জেনারেশন উদ্ভাবনে আমরা সক্রিয়ভাবে ভূমিকা রাখি এবং এই প্রযুক্তিগুলো সরবরাহ করি। শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা বিশ্বে আমাদের সরঞ্জাম প্রয়োগ করার মধ্য দিয়ে মোবাইল টাওয়ারগুলোয় জিএসএম সল্যুশন ব্যবহার করা হয়।
এখন তো বাংলাদেশের বাজারে হুয়াওয়ের মোবাইল ফোন নেই। বর্তমানে আপনারা কোন সেবাগুলো নিয়ে কাজ করছেন?
নেটওয়ার্ক সল্যুশন থেকে প্রযুক্তি, বিভিন্ন খাতে হুয়াওয়ে কাজ করছে। বাংলাদেশ হাইওয়ে পুলিশকে আমরা ইন্টেলিজেন্ট ক্যামেরা সল্যুশন দিয়েছি; যার মাধ্যমে পুলিশ কন্ট্রোল রুম মনিটর করতে পারছে, কোনো নির্দিষ্ট রুটে কোথাও কোনো দুর্ঘটনা ঘটল কি না, কোনো আইন কেউ ভাঙল কি না ইত্যাদি বিষয়। আমরা শুধু হার্ডওয়্যারই দিই না। এর সঙ্গে সফটওয়্যার, নেটওয়ার্কিং সিস্টেম, ডেটা সেন্টার, ক্লাউড সল্যুশনসহ কাস্টমাইজড সমাধান দিয়ে থাকি। যেমন বিকাশকে আমরা হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার সরবরাহ করছি। বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে নেটওয়ার্কিং ল্যাব গড়ে তুলেছি। মেডিকেল সেক্টরে ডেটাবেইস ও ডেটা ম্যানেজমেন্ট দিয়ে থাকি; যাতে হাসপাতাল এবং সংশ্লিষ্ট সেবা আরও দক্ষভাবে পরিচালিত হয়।
আপনারা দেশের সৌরবিদ্যুৎ খাতেরও একটি সহযোগী। এ বিষয়ে বিস্তারিত বলবেন।
নবায়নযোগ্য শক্তি উৎপাদনে প্রযুক্তি সরবরাহ করাও আমাদের বড় একটি ব্যবসায়িক দিক। ২০২০ সালে ময়মনসিংহে বাংলাদেশের তৎকালীন সবচেয়ে বড় সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপিত হয়। আমরা সেই প্রকল্পে পিভি ইনভার্টার প্রযুক্তি ও সমাধান দিয়েছি। সেখানে এখন প্রতিদিন প্রায় ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন শিল্পকারখানা ও প্রতিষ্ঠানকে রুফটপ সোলার সল্যুশন, পিভি ইনভার্টার এবং এনার্জি স্টোরেজ সল্যুশন সরবরাহ করা হয়েছে। অন্যদিকে আমরা ইউআইইউ ও সিইআরের সঙ্গে ইউআইইউতে সম্মিলিতভাবে একটি সোলার পাওয়ার ল্যাব চালু করেছি। সেখানে শিক্ষানবিশ ও পেশাদারেরা সোলার এনার্জি উৎপাদন, প্রকল্পের বিভিন্ন খুঁটিনাটি বিষয়ে হাতেকলমে শিক্ষার সুযোগ পাচ্ছেন। অন্যদিকে টেলিকম অপারেটরদের যে টাওয়ারগুলো রয়েছে, সেগুলোকে সৌরবিদ্যুৎনির্ভর করে তুলতে আমরা অনেক বছর ধরে কাজ করে যাচ্ছি।
বিশ্ববিদ্যালয় ও তরুণদের জন্য আপনাদের কয়েকটি উদ্যোগ রয়েছে। সেগুলোর উদ্দেশ্য ও কার্যক্রম বিষয়ে জানতে চাই।
সব ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানেরই সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা আছে। আমরা এ ক্ষেত্রে তরুণদের উন্নয়নের বিষয়টিতে বেশি গুরুত্ব দিই। আমাদের মাধ্যমে যেন তারা একটি গাইডলাইন বা প্ল্যাটফর্ম পায়। এ রকম আমাদের বেশ কিছু আয়োজন আছে। সেগুলোর মধ্যে ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার’ বেশ জনপ্রিয় একটি উদ্যোগ। প্রতিবছর বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ থেকে ১২ জনের একটি ব্যাচ বেছে নিয়ে তাদের প্রশিক্ষণের জন্য চীনে পাঠানো হয়। এখানে নারী-পুরুষের সমতা বজায় রাখার চেষ্টা করি। এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীরা ডিজাইন থিংকিং, ডিপ-থিংকিং মেথডোলজি, টিমওয়ার্ক, সেলফ প্রেজেন্টেশনসহ বিভিন্ন বিষয়ে উৎকর্ষ অর্জন করেন। এগুলো ভবিষ্যতে তাদের ক্যারিয়ারে কাজে লাগে। সাবেক অংশগ্রহণকারীরা গ্লোবাল এবং রিজিওনাল রাউন্ডে অংশ নেয়। অন্যদিকে আমরা নিয়মিত ক্যাম্পাস রিক্রুটমেন্ট প্রোগ্রাম করি। ইঞ্জিনিয়ারিং ও টেক বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্রেশ গ্র্যাজুয়েটরা এতে অংশ নেন।

বাংলাদেশে এখন ফাইভ-জি চলে এসেছে। এর সঙ্গেও হুয়াওয়ের সরাসরি সম্পৃক্ততা রয়েছে। আপনাদের ভূমিকার বিষয়টি পাঠকদের জানাতে চাই।
সম্প্রতি বাংলাদেশে দুটি টেলিকম প্রতিষ্ঠান ফাইভ-জি ঘোষণার পর মূলত এ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে; যাদের সল্যুশন দিচ্ছে হুয়াওয়ে। যদিও এই আলোচনার শুরু ২০১৮ সালে। বাংলাদেশে প্রথম ফাইভ-জি ট্রায়াল পরিচালনা করে হুয়াওয়ে। তখন আমাদের
সঙ্গে ছিল রবি। ২০২০ সালে আমরা এক প্রদর্শনীতে ফাইভ-জি নিয়ে জনসমক্ষে এর অভিজ্ঞতা উপস্থাপন করেছিলাম। সম্প্রতি দুই টেলিকম অপারেটর বাণিজ্যিকভাবে ফাইভ-জি বাজারে নিয়ে আসে। এখন যেকোনো অপারেটরকেই ফাইভ-জি প্রযুক্তির সাপোর্ট দিতে হুয়াওয়ে পুরোপুরি প্রস্তুত রয়েছে।
প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো এআইকে বিভিন্নভাবে কাজে লাগাচ্ছে। আপনারা কোন ধরনের কাজে এ প্রযুক্তি ব্যবহার করছেন?
এখন আসলে এআইয়ের সময়। আমাদের বিভিন্ন সমাধানের উচ্চক্ষমতা নিশ্চিত করতে সেগুলোতে প্রয়োজন অনুযায়ী এআই রয়েছে। যেমন সোলার পাওয়ার সিস্টেমে পিভি
ইনভার্টার ও উৎপাদন ডিস্ট্রিবিউশন ম্যানেজমেন্টের অ্যালগরিদমগুলো এআইভিত্তিক। এতে উৎপাদন, ম্যানেজমেন্ট ও ডিস্ট্রিবিউশন আরও দক্ষভাবে পরিচালনা করা যায়। হুয়াওয়ে ক্লাউডেও অনেক রকম এআইয়ের ইন্টিগ্রেশন রয়েছে, যা এর ব্যবহারকারীদের বাড়তি সুবিধা ও নিরাপত্তা দেয়।
বাংলাদেশে আপনাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী? নতুন বছরে বিশেষ কিছু আসছে?
বাংলাদেশের প্রযুক্তি অবকাঠামো, বিশেষত ক্লাউড, নবায়নযোগ্য শক্তি, এআই ও শিক্ষা খাতে আরও অনেক সুযোগ রয়েছে কাজ করার। স্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়, স্টার্টআপ ও শিল্প খাতের সঙ্গে অংশীদারত্ব বাড়িয়ে বিভিন্ন সল্যুশন নিয়ে কাজ করে যেতে চাই। লক্ষ্য হচ্ছে, প্রযুক্তির মাধ্যমে সামগ্রিক জীবনযাত্রার মান উন্নত করা এবং কর্মসংস্থান বাড়ানো। আমরা প্রথম থেকে বাংলাদেশের আইসিটির অগ্রযাত্রার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হতে চেয়েছি। আমাদের মূল ভিশন হলো ‘বিল্ডিং আ ফুললি কানেক্টেড, ইন্টেলিজেন্ট বাংলাদেশ’। এই উদ্দেশ্য নিয়েই আমরা বাংলাদেশের জন্য কাজ করে যাব।

মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার জন্য স্পাই স্যাটেলাইট বা গুপ্তচর উপগ্রহের নেটওয়ার্ক তৈরি করছে স্পেসএক্স। এবিষয়ে বিলিয়নিয়র ইলন মাস্কের মহাকাশ সংস্থা ও জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার মধ্যে চুক্তি হয়েছে প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত পাঁচটি সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে।
১৭ মার্চ ২০২৪
প্রস্তাবিত টেলিযোগাযোগ অধ্যাদেশে ইন্টারনেট বন্ধের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপসহ বিদ্যমান আইন ও নীতিতে বেশ কিছু মৌলিক পরিবর্তন আনা হয়েছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ খাতে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও নাগরিক অধিকারের সুরক্ষা আরও সুদৃঢ় হবে বলে মনে করছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ।
১২ মিনিট আগে
সম্প্রতি অ্যান্ড্রয়েড ফোনসেট গুলোতে একধরনের সাইবার আক্রমণের হুমকি দেখা দিয়েছে। হ্যাকারদের এক বিশেষ ধরনের আক্রমণের শিকার হয়েছে কিছু মোবাইল ফোনসেট। ব্যক্তিগত তথ্যসহ টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন কোড পর্যন্ত চুরি করছে হ্যাকাররা।
১ দিন আগে
গ্রাফিক ডিজাইনে যাঁরা পারদর্শী নন, তাঁদের কাছে ক্যানভা নতুন এক দুয়ার খুলে দিয়েছে। যে কেউ এখন এটি ব্যবহার করে ব্যক্তিগত অথবা পেশাদার কাজ করতে পারেন। সময়ের সঙ্গে আরও উন্নত হয়েছে এই ডিজাইন প্ল্যাটফর্ম। এবার তাতে যোগ হলো তাদের নিজস্ব এআই-চালিত মডেল।
১ দিন আগেটি এইচ মাহির

সম্প্রতি অ্যান্ড্রয়েড ফোনসেটগুলোতে একধরনের সাইবার আক্রমণের হুমকি দেখা দিয়েছে। হ্যাকারদের এক বিশেষ ধরনের আক্রমণের শিকার হয়েছে কিছু মোবাইল ফোনসেট। ব্যক্তিগত তথ্যসহ টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন কোড পর্যন্ত চুরি করছে হ্যাকাররা। নতুন এই কৌশল ব্যবহার করে অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসগুলো থেকে ৩০ সেকেন্ডের কম সময়ে তারা তথ্য চুরি করতে সক্ষম।
‘পিক্সন্যাপিং’ নামে নতুন ধরনের এই হ্যাকিং কীভাবে হচ্ছে, তা আবিষ্কার করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয় ও কার্নেগি মেলন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক। তাইওয়ানের ৩২তম এসিএম কম্পিউটার ও যোগাযোগ সুরক্ষা সম্মেলনে এই গবেষণা প্রকাশ করেন তাঁরা।
অনুমতি ছাড়া তথ্য চুরি সম্ভব
পিক্সন্যাপিং নামে এই নতুন হ্যাকিং কৌশলে একধরনের অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ দিয়ে তথ্য চুরি করা হয়। অ্যাপটির জন্য মোবাইল ফোনসেটের কোনো সিস্টেমের অনুমতির প্রয়োজন হয় না। এই ক্ষতিকর অ্যাপ ডিভাইসে থাকা অন্যান্য অ্যাপ এবং ওয়েবসাইট ভিজিটের তথ্য পড়তে পারে। পাশাপাশি জিমেইল ও গুগল অথেনটিকেটরের মতো নন-ব্রাউজার অ্যাপ থেকেও তথ্য চুরি করতে পারে। গবেষকেরা পাঁচটি অ্যান্ড্রয়েড ফোনসেটকে গবেষণায় ব্যবহার করেছেন। গুগল পিক্সেল সিরিজের ৬, ৭, ৮, ৯ এবং স্যামসাং গ্যালাক্সি এস২৫, এই ডিভাইসগুলোতে ঝুঁকি খুঁজে পেয়েছেন গবেষকেরা। অন্যান্য ফোনসেট এখনো আক্রমণের শিকার হয়নি। কিন্তু হ্যাকিংয়ের আশঙ্কা একেবারে উড়িয়ে দেননি গবেষকেরা। গুগল ইতিমধ্যে ব্যবস্থা নিলেও গবেষকেরা বলছেন, হ্যাকাররা পরিবর্তিত কৌশল ব্যবহার করতে পারে।
লিংক পাঠানোর কৌশল
হ্যাকাররা এই আক্রমণ করার সময় প্রথমে একটি ক্ষতিকর অ্যাপ ব্যবহার করে। এই অ্যাপ বিভিন্ন রকমের হতে পারে। মেসেজ, হোয়াটসঅ্যাপ ও অন্যান্য মাধ্যমে লিংক পাঠিয়ে এই অ্যাপ ডাউনলোড করানো হতে পারে। ভুক্তভোগী এসব লিংকে ক্লিক করলে ফোনসেটে অ্যাপ ইনস্টল হয়ে যাবে। কখনো নকল অ্যাপ স্টোর, বিজ্ঞাপন, কিউআর কোডের মাধ্যমেও ফোনসেট ব্যবহারকারীদের প্রলুব্ধ করা হতে পারে। মোবাইল ফোনসেটে হ্যাকারদের অ্যাপ ইনস্টল হলে তার পিক্সেলের দুর্বলতা কাজে লাগিয়ে তথ্য চুরি করা হয়।
পিক্সন্যাপিং হলো একটি চতুর কৌশল, যেখানে একটি ক্ষতিকর অ্যাপ ফোনসেটের গ্রাফিকস সিস্টেম থেকে ক্ষুদ্র সংকেতগুলো পর্যবেক্ষণ করে এবং ধাপে ধাপে অন্য অ্যাপগুলো স্ক্রিনে কী করছে তা বের করে।
এটি টু ফ্যাক্টর কোড বা মেসেজ প্রিভিউর
মতো সংক্ষিপ্ত এবং সংবেদনশীল জিনিসগুলো দেখতে পারে। এটি সিস্টেমের কোনো রকম অনুমতি ছাড়াই কাজ করে। এই সাইবার আক্রমণ অনেকটা ২০২৩ সালের জিপিইউ ডট জিপ আক্রমণের মতো।
পিক্সন্যাপিং নামে নতুন এই সাইবার আক্রমণ থেকে সুরক্ষিত থাকার জন্য অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোনসেট যাঁরা ব্যবহার করেন, তাঁদের বিশেষভাবে সতর্ক থাকা প্রয়োজন। অ্যান্ড্রয়েডের নতুন প্যাচ, আপডেট বা সিকিউরিটি আপডেট এলে তা ইনস্টল করা উচিত। বেনামি অ্যাপ স্টোর এবং ওয়েবসাইট থেকে অ্যাপ ইনস্টল করা থেকে যথাসম্ভব বিরত থাকতে হবে। ফোনসেট ডাউনলোড করা সব অ্যাপের সিস্টেম পারমিশন যাচাই করতে হবে। পাশাপাশি ব্যাংকিং অ্যাপগুলোতে একাধিক সিকিউরিটি ব্যবহার করতে হবে। যেমন পিন বা ফিঙ্গারপ্রিন্টের পাশাপাশি আলাদা একটি অ্যাপ লক ব্যবহার করা যায়। যদি সম্ভব হয়, তাহলে ফিজিক্যাল কি ব্যবহার করতে হবে।
সূত্র: দ্য হ্যাকার নিউজ, দ্য রেজিস্ট্রার

সম্প্রতি অ্যান্ড্রয়েড ফোনসেটগুলোতে একধরনের সাইবার আক্রমণের হুমকি দেখা দিয়েছে। হ্যাকারদের এক বিশেষ ধরনের আক্রমণের শিকার হয়েছে কিছু মোবাইল ফোনসেট। ব্যক্তিগত তথ্যসহ টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন কোড পর্যন্ত চুরি করছে হ্যাকাররা। নতুন এই কৌশল ব্যবহার করে অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসগুলো থেকে ৩০ সেকেন্ডের কম সময়ে তারা তথ্য চুরি করতে সক্ষম।
‘পিক্সন্যাপিং’ নামে নতুন ধরনের এই হ্যাকিং কীভাবে হচ্ছে, তা আবিষ্কার করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয় ও কার্নেগি মেলন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক। তাইওয়ানের ৩২তম এসিএম কম্পিউটার ও যোগাযোগ সুরক্ষা সম্মেলনে এই গবেষণা প্রকাশ করেন তাঁরা।
অনুমতি ছাড়া তথ্য চুরি সম্ভব
পিক্সন্যাপিং নামে এই নতুন হ্যাকিং কৌশলে একধরনের অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ দিয়ে তথ্য চুরি করা হয়। অ্যাপটির জন্য মোবাইল ফোনসেটের কোনো সিস্টেমের অনুমতির প্রয়োজন হয় না। এই ক্ষতিকর অ্যাপ ডিভাইসে থাকা অন্যান্য অ্যাপ এবং ওয়েবসাইট ভিজিটের তথ্য পড়তে পারে। পাশাপাশি জিমেইল ও গুগল অথেনটিকেটরের মতো নন-ব্রাউজার অ্যাপ থেকেও তথ্য চুরি করতে পারে। গবেষকেরা পাঁচটি অ্যান্ড্রয়েড ফোনসেটকে গবেষণায় ব্যবহার করেছেন। গুগল পিক্সেল সিরিজের ৬, ৭, ৮, ৯ এবং স্যামসাং গ্যালাক্সি এস২৫, এই ডিভাইসগুলোতে ঝুঁকি খুঁজে পেয়েছেন গবেষকেরা। অন্যান্য ফোনসেট এখনো আক্রমণের শিকার হয়নি। কিন্তু হ্যাকিংয়ের আশঙ্কা একেবারে উড়িয়ে দেননি গবেষকেরা। গুগল ইতিমধ্যে ব্যবস্থা নিলেও গবেষকেরা বলছেন, হ্যাকাররা পরিবর্তিত কৌশল ব্যবহার করতে পারে।
লিংক পাঠানোর কৌশল
হ্যাকাররা এই আক্রমণ করার সময় প্রথমে একটি ক্ষতিকর অ্যাপ ব্যবহার করে। এই অ্যাপ বিভিন্ন রকমের হতে পারে। মেসেজ, হোয়াটসঅ্যাপ ও অন্যান্য মাধ্যমে লিংক পাঠিয়ে এই অ্যাপ ডাউনলোড করানো হতে পারে। ভুক্তভোগী এসব লিংকে ক্লিক করলে ফোনসেটে অ্যাপ ইনস্টল হয়ে যাবে। কখনো নকল অ্যাপ স্টোর, বিজ্ঞাপন, কিউআর কোডের মাধ্যমেও ফোনসেট ব্যবহারকারীদের প্রলুব্ধ করা হতে পারে। মোবাইল ফোনসেটে হ্যাকারদের অ্যাপ ইনস্টল হলে তার পিক্সেলের দুর্বলতা কাজে লাগিয়ে তথ্য চুরি করা হয়।
পিক্সন্যাপিং হলো একটি চতুর কৌশল, যেখানে একটি ক্ষতিকর অ্যাপ ফোনসেটের গ্রাফিকস সিস্টেম থেকে ক্ষুদ্র সংকেতগুলো পর্যবেক্ষণ করে এবং ধাপে ধাপে অন্য অ্যাপগুলো স্ক্রিনে কী করছে তা বের করে।
এটি টু ফ্যাক্টর কোড বা মেসেজ প্রিভিউর
মতো সংক্ষিপ্ত এবং সংবেদনশীল জিনিসগুলো দেখতে পারে। এটি সিস্টেমের কোনো রকম অনুমতি ছাড়াই কাজ করে। এই সাইবার আক্রমণ অনেকটা ২০২৩ সালের জিপিইউ ডট জিপ আক্রমণের মতো।
পিক্সন্যাপিং নামে নতুন এই সাইবার আক্রমণ থেকে সুরক্ষিত থাকার জন্য অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোনসেট যাঁরা ব্যবহার করেন, তাঁদের বিশেষভাবে সতর্ক থাকা প্রয়োজন। অ্যান্ড্রয়েডের নতুন প্যাচ, আপডেট বা সিকিউরিটি আপডেট এলে তা ইনস্টল করা উচিত। বেনামি অ্যাপ স্টোর এবং ওয়েবসাইট থেকে অ্যাপ ইনস্টল করা থেকে যথাসম্ভব বিরত থাকতে হবে। ফোনসেট ডাউনলোড করা সব অ্যাপের সিস্টেম পারমিশন যাচাই করতে হবে। পাশাপাশি ব্যাংকিং অ্যাপগুলোতে একাধিক সিকিউরিটি ব্যবহার করতে হবে। যেমন পিন বা ফিঙ্গারপ্রিন্টের পাশাপাশি আলাদা একটি অ্যাপ লক ব্যবহার করা যায়। যদি সম্ভব হয়, তাহলে ফিজিক্যাল কি ব্যবহার করতে হবে।
সূত্র: দ্য হ্যাকার নিউজ, দ্য রেজিস্ট্রার

মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার জন্য স্পাই স্যাটেলাইট বা গুপ্তচর উপগ্রহের নেটওয়ার্ক তৈরি করছে স্পেসএক্স। এবিষয়ে বিলিয়নিয়র ইলন মাস্কের মহাকাশ সংস্থা ও জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার মধ্যে চুক্তি হয়েছে প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত পাঁচটি সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে।
১৭ মার্চ ২০২৪
প্রস্তাবিত টেলিযোগাযোগ অধ্যাদেশে ইন্টারনেট বন্ধের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপসহ বিদ্যমান আইন ও নীতিতে বেশ কিছু মৌলিক পরিবর্তন আনা হয়েছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ খাতে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও নাগরিক অধিকারের সুরক্ষা আরও সুদৃঢ় হবে বলে মনে করছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ।
১২ মিনিট আগে
হুয়াওয়ে বলতে সাধারণ মানুষ একটি মোবাইল ফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানকে জানে। প্রায় পাঁচ বছর ধরে বাংলাদেশের বাজারে তাদের নতুন কোনো মোবাইল ফোন যদিও আসেনি। তবু দেশে গ্রাহক সমাধান, টেলিকম নেটওয়ার্ক, নবায়নযোগ্য শক্তি, শিক্ষা ও সামাজিক উদ্যোগে হুয়াওয়ে বেশ বড় পরিসরে কাজ করে যাচ্ছে।
১ দিন আগে
গ্রাফিক ডিজাইনে যাঁরা পারদর্শী নন, তাঁদের কাছে ক্যানভা নতুন এক দুয়ার খুলে দিয়েছে। যে কেউ এখন এটি ব্যবহার করে ব্যক্তিগত অথবা পেশাদার কাজ করতে পারেন। সময়ের সঙ্গে আরও উন্নত হয়েছে এই ডিজাইন প্ল্যাটফর্ম। এবার তাতে যোগ হলো তাদের নিজস্ব এআই-চালিত মডেল।
১ দিন আগেফিচার ডেস্ক

গ্রাফিক ডিজাইনে যাঁরা পারদর্শী নন, তাঁদের কাছে ক্যানভা নতুন এক দুয়ার খুলে দিয়েছে। যে কেউ এখন এটি ব্যবহার করে ব্যক্তিগত অথবা পেশাদার কাজ করতে পারেন। সময়ের সঙ্গে আরও উন্নত হয়েছে এই ডিজাইন প্ল্যাটফর্ম। এবার তাতে যোগ হলো তাদের নিজস্ব এআই-চালিত মডেল।
নতুন এই মডেল ডিজাইনের লেয়ার ও ফরম্যাট বুঝে আরও ভালোভাবে কাজ করতে সক্ষম। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটি এনেছে নতুন কিছু ফিচার, স্প্রেডশিট টুলস, মিনি অ্যাপ তৈরির সুবিধা।
ডিজাইন মডেলে বড় পরিবর্তন
ক্যানভা জানিয়েছে, তাদের নতুন ডিজাইন মডেলটি নিজেরাই তৈরি করেছে। এটি সাধারণ বা সমতল ছবি তৈরি করা ছাড়াও লেয়ার, অবজেক্টসহ ডিজাইন করতে পারে। এর ফলে যাঁরা অ্যাপটি ব্যবহার করবেন, তাঁরা চাইলে সহজে নিজের মতো সম্পাদনা করতে পারবেন। এটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পোস্ট, প্রেজেন্টেশন, হোয়াইট বোর্ড বা ওয়েবসাইট—সব জায়গায় কাজ করবে। ক্যানভার প্রোডাক্টের প্রধান রবার্ট কাওয়ালস্কি বলেছেন, ‘আগে আমরা শুধু সাধারণ ছবি তৈরি করতাম। তবে এখন ব্যবহারকারীরা চান প্রম্পট দিয়ে ছবি বা ডিজাইন তৈরি করতে এবং সেটি তাঁদের নিজের মতো সম্পাদনা করতে; যাতে ডিজাইন আরও প্রয়োজন অনুযায়ী হয়।’
আরও উন্নত ক্যানভা এআই
ক্যানভায় এর আগেও এআই-সুবিধা চালু ছিল। যাকে বলা হতো ক্যানভা এআই অ্যাসিস্ট্যান্ট। এখানে শুধু লেখা প্রম্পট দিয়ে ছবি বা ডিজাইন তৈরি করা যেত। কিন্তু নতুন আপডেটে ব্যবহারকারীরা আরও উন্নত উপায়ে ছবি তৈরি করতে পারবেন।

স্প্রেডশিট ও অ্যাপ সংযুক্তির নতুন সুবিধা
ক্যানভা তাদের স্প্রেডশিট ও মিনি অ্যাপ ফিচার এনেছে একসঙ্গে। এর ফলে স্প্রেডশিটে রাখা তথ্য ব্যবহার করে সহজে চার্ট, গ্রাফ বা অন্যান্য ভিজ্যুয়াল উইজেট তৈরি করা যাবে। এটি ডিজাইন কিংবা প্রেজেন্টেশনে ব্যবহার করা যাবে। ফলে ডেটা উপস্থাপনা অনেক সহজ ও দ্রুত হবে।
ক্যানভা বলছে, এই নতুন উদ্ভাবনের মাধ্যমে তারা শুধু একটি সাধারণ ডিজাইন প্ল্যাটফর্ম নয়, এআই-চালিত সম্পূর্ণ ডিজাইন ইকোসিস্টেমে পরিণত হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, অ্যাডোবির মতো পেশাদার টুলসের সঙ্গে সরাসরি প্রতিযোগিতায় নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে ক্যানভা।
সূত্র: টেকক্রাঞ্চ

গ্রাফিক ডিজাইনে যাঁরা পারদর্শী নন, তাঁদের কাছে ক্যানভা নতুন এক দুয়ার খুলে দিয়েছে। যে কেউ এখন এটি ব্যবহার করে ব্যক্তিগত অথবা পেশাদার কাজ করতে পারেন। সময়ের সঙ্গে আরও উন্নত হয়েছে এই ডিজাইন প্ল্যাটফর্ম। এবার তাতে যোগ হলো তাদের নিজস্ব এআই-চালিত মডেল।
নতুন এই মডেল ডিজাইনের লেয়ার ও ফরম্যাট বুঝে আরও ভালোভাবে কাজ করতে সক্ষম। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটি এনেছে নতুন কিছু ফিচার, স্প্রেডশিট টুলস, মিনি অ্যাপ তৈরির সুবিধা।
ডিজাইন মডেলে বড় পরিবর্তন
ক্যানভা জানিয়েছে, তাদের নতুন ডিজাইন মডেলটি নিজেরাই তৈরি করেছে। এটি সাধারণ বা সমতল ছবি তৈরি করা ছাড়াও লেয়ার, অবজেক্টসহ ডিজাইন করতে পারে। এর ফলে যাঁরা অ্যাপটি ব্যবহার করবেন, তাঁরা চাইলে সহজে নিজের মতো সম্পাদনা করতে পারবেন। এটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পোস্ট, প্রেজেন্টেশন, হোয়াইট বোর্ড বা ওয়েবসাইট—সব জায়গায় কাজ করবে। ক্যানভার প্রোডাক্টের প্রধান রবার্ট কাওয়ালস্কি বলেছেন, ‘আগে আমরা শুধু সাধারণ ছবি তৈরি করতাম। তবে এখন ব্যবহারকারীরা চান প্রম্পট দিয়ে ছবি বা ডিজাইন তৈরি করতে এবং সেটি তাঁদের নিজের মতো সম্পাদনা করতে; যাতে ডিজাইন আরও প্রয়োজন অনুযায়ী হয়।’
আরও উন্নত ক্যানভা এআই
ক্যানভায় এর আগেও এআই-সুবিধা চালু ছিল। যাকে বলা হতো ক্যানভা এআই অ্যাসিস্ট্যান্ট। এখানে শুধু লেখা প্রম্পট দিয়ে ছবি বা ডিজাইন তৈরি করা যেত। কিন্তু নতুন আপডেটে ব্যবহারকারীরা আরও উন্নত উপায়ে ছবি তৈরি করতে পারবেন।

স্প্রেডশিট ও অ্যাপ সংযুক্তির নতুন সুবিধা
ক্যানভা তাদের স্প্রেডশিট ও মিনি অ্যাপ ফিচার এনেছে একসঙ্গে। এর ফলে স্প্রেডশিটে রাখা তথ্য ব্যবহার করে সহজে চার্ট, গ্রাফ বা অন্যান্য ভিজ্যুয়াল উইজেট তৈরি করা যাবে। এটি ডিজাইন কিংবা প্রেজেন্টেশনে ব্যবহার করা যাবে। ফলে ডেটা উপস্থাপনা অনেক সহজ ও দ্রুত হবে।
ক্যানভা বলছে, এই নতুন উদ্ভাবনের মাধ্যমে তারা শুধু একটি সাধারণ ডিজাইন প্ল্যাটফর্ম নয়, এআই-চালিত সম্পূর্ণ ডিজাইন ইকোসিস্টেমে পরিণত হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, অ্যাডোবির মতো পেশাদার টুলসের সঙ্গে সরাসরি প্রতিযোগিতায় নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে ক্যানভা।
সূত্র: টেকক্রাঞ্চ

মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার জন্য স্পাই স্যাটেলাইট বা গুপ্তচর উপগ্রহের নেটওয়ার্ক তৈরি করছে স্পেসএক্স। এবিষয়ে বিলিয়নিয়র ইলন মাস্কের মহাকাশ সংস্থা ও জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার মধ্যে চুক্তি হয়েছে প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত পাঁচটি সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে।
১৭ মার্চ ২০২৪
প্রস্তাবিত টেলিযোগাযোগ অধ্যাদেশে ইন্টারনেট বন্ধের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপসহ বিদ্যমান আইন ও নীতিতে বেশ কিছু মৌলিক পরিবর্তন আনা হয়েছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ খাতে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও নাগরিক অধিকারের সুরক্ষা আরও সুদৃঢ় হবে বলে মনে করছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ।
১২ মিনিট আগে
হুয়াওয়ে বলতে সাধারণ মানুষ একটি মোবাইল ফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানকে জানে। প্রায় পাঁচ বছর ধরে বাংলাদেশের বাজারে তাদের নতুন কোনো মোবাইল ফোন যদিও আসেনি। তবু দেশে গ্রাহক সমাধান, টেলিকম নেটওয়ার্ক, নবায়নযোগ্য শক্তি, শিক্ষা ও সামাজিক উদ্যোগে হুয়াওয়ে বেশ বড় পরিসরে কাজ করে যাচ্ছে।
১ দিন আগে
সম্প্রতি অ্যান্ড্রয়েড ফোনসেট গুলোতে একধরনের সাইবার আক্রমণের হুমকি দেখা দিয়েছে। হ্যাকারদের এক বিশেষ ধরনের আক্রমণের শিকার হয়েছে কিছু মোবাইল ফোনসেট। ব্যক্তিগত তথ্যসহ টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন কোড পর্যন্ত চুরি করছে হ্যাকাররা।
১ দিন আগে