আজকের পত্রিকা ডেস্ক
শিক্ষায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির প্রভাব নিয়ে বেশির ভাগ আলোচনা হয় শিক্ষার্থীদের দিক থেকে। অনেকেই আশঙ্কা করেন, এআই ব্যবহার করে সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনা ছাড়া চটজলদি কাজ করার প্রবণতা শিক্ষার গুণগত মান হ্রাস করতে পারে। তবে, এ বিষয়ে শিক্ষকদের দিক নিয়ে গবেষণা করে এআই কোম্পানি অ্যানথ্রোপিক। এই গবেষণায় কিছু অপ্রত্যাশিত দিকও সামনে আনে।
এআই কোম্পানিগুলো সচেতন যে, ব্যবহারকারীরা এআইকে সহকারী বা সহযোগী হিসেবে ব্যবহার করার এবং কাজের নির্দিষ্ট অংশ স্বয়ংক্রিয় করার মধ্যে দ্বন্দ্ব অনুভব করেন। বিশ্লেষণে দেখা যায় শিক্ষকেরাও এ দ্বন্দ্বের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন, আর তা ক্ষেত্রভেদে ভিন্ন রকম।
এই প্রতিবেদন তৈরির জন্য ক্লাউড ডট এআই চ্যাটবটের সঙ্গে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর ইমেইল অ্যাকাউন্ট ব্যবহারকারীদের গত মে ও জুনের ৭৪ হাজার সংলাপ বিশ্লেষণ করেছে অ্যানথ্রোপিক। এই সংলাপগুলোতে সিলেবাস তৈরি, অ্যাসাইনমেন্ট মূল্যায়নসহ বিভিন্ন শিক্ষামূলক কাজের আলোচনা ছিল। এরপর, প্রতিটি কথোপকথনকে যুক্তরাষ্ট্রের শ্রম দপ্তরের ওনেট (ONET) ডেটাবেইসের শিক্ষাগত কাজের তালিকার সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হয়। পাশাপাশি, নর্থইস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২ জন এআই প্রথমে ব্যবহারকারী শিক্ষকদের মতামত ও জরিপ তথ্যও যুক্ত করা হয়েছে।
অ্যানথ্রোপিকের তথ্য অনুসারে, শিক্ষকদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি এআই ব্যবহৃত হচ্ছে পাঠ্যক্রম উন্নয়নে (৫৭ শতাংশ) এবং একাডেমিক গবেষণায় (১৩ শতাংশ)। তবে ছোট একটা অংশ, অর্থাৎ ৭ শতাংশ শিক্ষক ক্লাউডকে ব্যবহার করছে শিক্ষার্থীদের পারফরম্যান্স মূল্যায়নের কাজে, যার মধ্যে রয়েছে ফিডব্যাক দেওয়া, গ্রেড বা নম্বর দেওয়া এবং মূল্যায়নের সারসংক্ষেপ তৈরি। যদিও বেশির ভাগ শিক্ষক মনে করেন, শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নে এআই ব্যবহার ঠিক নয়।
যখন শিক্ষকেরা গ্রেডিংয়ে ক্লাউড ব্যবহার করেন, তখন প্রায় ৪৮ দশমিক ৯ শতাংশ সময় স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে কাজ করে। তবে অ্যানথ্রোপিক বলেছে, ‘এটা শিক্ষকদের মধ্যে গ্রেডিং স্বয়ংক্রিয় করার ব্যাপারে উদ্বেগ থাকা সত্ত্বেও ঘটে। আর জরিপে দেখা গেছে, এআইকে এ কাজে সবচেয়ে কম কার্যকর মনে করেন তাঁরা।’
শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের বাইরেও শিক্ষকেরা এআইকে সহযোগী হিসেবে ব্যবহার করছেন, যেমন—শেখানো, নির্দেশনা দেওয়া, গবেষণা তহবিলের প্রস্তাব লেখা এবং একাডেমিক কাজ তদারকি করা। মূল্যায়নের বাইরে আরও বেশি স্বয়ংক্রিয় হওয়ার কাজগুলোর মধ্যে রয়েছে—শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অর্থ পরিচালনা, তহবিল সংগ্রহ, ছাত্র রেকর্ড রাখা, ভর্তি প্রক্রিয়া পরিচালনা ইত্যাদি। এগুলো বেশ প্রশাসনিক প্রকৃতির কাজ।
এই ব্যবহারের ধরন থেকে বোঝা যায়, শিক্ষকেরা প্রযুক্তিগত ও ক্লান্তিকর কাজগুলো স্বয়ংক্রিয় করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন। তবে যেখানে জটিল ও সমালোচনামূলক চিন্তা প্রয়োজন, সেখানে এআইকে সহযোগী হিসেবে রাখতে চাইছেন।
অ্যানথ্রোপিক উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যে, শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের মতো সংবেদনশীল কাজে এআইকে এত বেশি ব্যবহার করা যথেষ্ট বিপজ্জনক। তারা মনে করে, এ ধরনের কাজ এআইয়ের জন্য উপযুক্ত নয়।
নর্থইস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক বলেছেন, ‘আমি চেষ্টা করেছি এলএলএম দিয়ে গ্রেডিং করতে, তবে মডেলগুলো যথেষ্ট ভালো না। শিক্ষার্থীরা এলএলএমের সময়ের জন্য টিউশন ফি দেয় না, তারা আমার সময়ের জন্য দেয়। তাই আমার নৈতিক দায়িত্ব ভালো কাজ করা (এআইয়ের সহায়তায় হলেও)।’
গবেষণায় দেখা যায়, গ্রেডিংয়ের ক্ষেত্রে এআইয়ের ব্যবহার কম হলেও এটিই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্বয়ংক্রিয়করণের কাজ।
অ্যানথ্রোপিক লিখেছে, ‘এআইয়ের মাধ্যমে দেওয়া নম্বরগুলো শিক্ষার্থীর চূড়ান্ত গ্রেড বা ফিডব্যাকে কতটা প্রভাব ফেলে তা স্পষ্ট নয়। তবে আমাদের গবেষণায় দেখা গেছে, কিছু অংশ বা দায়িত্ব ক্লাউড ডট এআইয়ের ওপর ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে।
তথ্য থেকে আরও দেখা গেছে, পাঠদানে নকল আইনগত পরিস্থিতি তৈরিতে এআই ব্যবহার করছেন শিক্ষকেরা। এ ছাড়া কর্মক্ষেত্র প্রশিক্ষণের কনটেন্ট তৈরি, সুপারিশপত্র লেখার খসড়া তৈরিতে এবং বৈঠকের এজেন্ডা তৈরিতেও এই প্রযুক্তি ব্যবহার করছেন তাঁরা।
নর্থইস্টার্নের শিক্ষকদের মতে, তাঁরা নিজেদের শেখার জন্যও এআই ব্যবহার করছেন। তবে প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতার কারণে সেটি নিশ্চিত করা যায়নি। শিক্ষকেরা বলছেন, তাঁরা এআই ব্যবহার করছেন ক্লান্তিকর কাজ স্বয়ংক্রিয় করতে, চিন্তার সহযোগী হিসেবে এবং শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যক্তিগতকৃত শিক্ষার অভিজ্ঞতা তৈরিতে।
শিক্ষকেরা শুধু বিদ্যমান এআই টুল ব্যবহার করছেন না, নিজেরাই নতুন নতুন এআই টুল তৈরি করছেন। যেমন—অ্যানথ্রোপিকের ‘আর্থিফ্যাক্টস’ ফিচার ব্যবহার করে কোডিং ছাড়া অ্যাপ তৈরি করে শিক্ষামূলক ইন্টারেক্টিভ গেম, মূল্যায়ন টুল, ডেটা ভিজুয়ালাইজেশন, একাডেমিক ক্যালেন্ডার, বাজেট পরিকল্পনা ইত্যাদি তৈরি করছেন।
শিক্ষায় এআইয়ের প্রভাব ক্রমবর্ধমান
এআই কোম্পানিগুলো শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের জন্য বাজারজাত করছে নতুন নতুন টুল। অ্যানথ্রোপিক সম্প্রতি ক্লাউড. এআইতে ‘লার্নিং মোড’ ও ‘ক্লাউড কোড’ চালু করেছে, যা ওপেনএআইয়ের স্টাডি মোডের মতো, ব্যবহারকারীর সঙ্গে সংলাপ চালিয়ে শেখায়। অন্যদিকে, টেক্সট-টু-স্পিচ অ্যাপ স্পিচিফাই চালু করেছে নতুন পডকাস্ট টুল, আর গুগল কলেজ শিক্ষার্থীদের জন্য ২০ ডলারের এআই টুলস ফ্রি করেছে।
এআই শিক্ষাক্ষেত্রে যেভাবে ঢুকছে, তা অস্বীকার করা যায় না। এআই কোম্পানিগুলো নিজেরাই উদ্বেগ প্রকাশ করে যে, শিক্ষকেরা এআই দিয়ে কাজ স্বয়ংক্রিয় করছে। তাই প্রশ্ন ওঠে, নিজেদের টুল ব্যবহারের জন্য কোনো নীতিমালা বা নির্দেশিকা তৈরি করেছে কি না।
এখনো পর্যন্ত শিক্ষাক্ষেত্রে এআইয়ের ব্যবহার নতুন, ভবিষ্যৎ কেমন হবে বলা যাচ্ছে না। তবে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিজস্ব নীতি এবং নিয়ন্ত্রণই শেষ কথা নির্ধারণ করবে। তার পরও যেহেতু টুলগুলো সহজলভ্য, তাই নিয়ন্ত্রণ বেশ সীমিতই থাকবে।
তথ্যসূত্র: জেডনেট ডট কম
শিক্ষায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির প্রভাব নিয়ে বেশির ভাগ আলোচনা হয় শিক্ষার্থীদের দিক থেকে। অনেকেই আশঙ্কা করেন, এআই ব্যবহার করে সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনা ছাড়া চটজলদি কাজ করার প্রবণতা শিক্ষার গুণগত মান হ্রাস করতে পারে। তবে, এ বিষয়ে শিক্ষকদের দিক নিয়ে গবেষণা করে এআই কোম্পানি অ্যানথ্রোপিক। এই গবেষণায় কিছু অপ্রত্যাশিত দিকও সামনে আনে।
এআই কোম্পানিগুলো সচেতন যে, ব্যবহারকারীরা এআইকে সহকারী বা সহযোগী হিসেবে ব্যবহার করার এবং কাজের নির্দিষ্ট অংশ স্বয়ংক্রিয় করার মধ্যে দ্বন্দ্ব অনুভব করেন। বিশ্লেষণে দেখা যায় শিক্ষকেরাও এ দ্বন্দ্বের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন, আর তা ক্ষেত্রভেদে ভিন্ন রকম।
এই প্রতিবেদন তৈরির জন্য ক্লাউড ডট এআই চ্যাটবটের সঙ্গে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর ইমেইল অ্যাকাউন্ট ব্যবহারকারীদের গত মে ও জুনের ৭৪ হাজার সংলাপ বিশ্লেষণ করেছে অ্যানথ্রোপিক। এই সংলাপগুলোতে সিলেবাস তৈরি, অ্যাসাইনমেন্ট মূল্যায়নসহ বিভিন্ন শিক্ষামূলক কাজের আলোচনা ছিল। এরপর, প্রতিটি কথোপকথনকে যুক্তরাষ্ট্রের শ্রম দপ্তরের ওনেট (ONET) ডেটাবেইসের শিক্ষাগত কাজের তালিকার সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হয়। পাশাপাশি, নর্থইস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২ জন এআই প্রথমে ব্যবহারকারী শিক্ষকদের মতামত ও জরিপ তথ্যও যুক্ত করা হয়েছে।
অ্যানথ্রোপিকের তথ্য অনুসারে, শিক্ষকদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি এআই ব্যবহৃত হচ্ছে পাঠ্যক্রম উন্নয়নে (৫৭ শতাংশ) এবং একাডেমিক গবেষণায় (১৩ শতাংশ)। তবে ছোট একটা অংশ, অর্থাৎ ৭ শতাংশ শিক্ষক ক্লাউডকে ব্যবহার করছে শিক্ষার্থীদের পারফরম্যান্স মূল্যায়নের কাজে, যার মধ্যে রয়েছে ফিডব্যাক দেওয়া, গ্রেড বা নম্বর দেওয়া এবং মূল্যায়নের সারসংক্ষেপ তৈরি। যদিও বেশির ভাগ শিক্ষক মনে করেন, শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নে এআই ব্যবহার ঠিক নয়।
যখন শিক্ষকেরা গ্রেডিংয়ে ক্লাউড ব্যবহার করেন, তখন প্রায় ৪৮ দশমিক ৯ শতাংশ সময় স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে কাজ করে। তবে অ্যানথ্রোপিক বলেছে, ‘এটা শিক্ষকদের মধ্যে গ্রেডিং স্বয়ংক্রিয় করার ব্যাপারে উদ্বেগ থাকা সত্ত্বেও ঘটে। আর জরিপে দেখা গেছে, এআইকে এ কাজে সবচেয়ে কম কার্যকর মনে করেন তাঁরা।’
শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের বাইরেও শিক্ষকেরা এআইকে সহযোগী হিসেবে ব্যবহার করছেন, যেমন—শেখানো, নির্দেশনা দেওয়া, গবেষণা তহবিলের প্রস্তাব লেখা এবং একাডেমিক কাজ তদারকি করা। মূল্যায়নের বাইরে আরও বেশি স্বয়ংক্রিয় হওয়ার কাজগুলোর মধ্যে রয়েছে—শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অর্থ পরিচালনা, তহবিল সংগ্রহ, ছাত্র রেকর্ড রাখা, ভর্তি প্রক্রিয়া পরিচালনা ইত্যাদি। এগুলো বেশ প্রশাসনিক প্রকৃতির কাজ।
এই ব্যবহারের ধরন থেকে বোঝা যায়, শিক্ষকেরা প্রযুক্তিগত ও ক্লান্তিকর কাজগুলো স্বয়ংক্রিয় করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন। তবে যেখানে জটিল ও সমালোচনামূলক চিন্তা প্রয়োজন, সেখানে এআইকে সহযোগী হিসেবে রাখতে চাইছেন।
অ্যানথ্রোপিক উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যে, শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের মতো সংবেদনশীল কাজে এআইকে এত বেশি ব্যবহার করা যথেষ্ট বিপজ্জনক। তারা মনে করে, এ ধরনের কাজ এআইয়ের জন্য উপযুক্ত নয়।
নর্থইস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক বলেছেন, ‘আমি চেষ্টা করেছি এলএলএম দিয়ে গ্রেডিং করতে, তবে মডেলগুলো যথেষ্ট ভালো না। শিক্ষার্থীরা এলএলএমের সময়ের জন্য টিউশন ফি দেয় না, তারা আমার সময়ের জন্য দেয়। তাই আমার নৈতিক দায়িত্ব ভালো কাজ করা (এআইয়ের সহায়তায় হলেও)।’
গবেষণায় দেখা যায়, গ্রেডিংয়ের ক্ষেত্রে এআইয়ের ব্যবহার কম হলেও এটিই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্বয়ংক্রিয়করণের কাজ।
অ্যানথ্রোপিক লিখেছে, ‘এআইয়ের মাধ্যমে দেওয়া নম্বরগুলো শিক্ষার্থীর চূড়ান্ত গ্রেড বা ফিডব্যাকে কতটা প্রভাব ফেলে তা স্পষ্ট নয়। তবে আমাদের গবেষণায় দেখা গেছে, কিছু অংশ বা দায়িত্ব ক্লাউড ডট এআইয়ের ওপর ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে।
তথ্য থেকে আরও দেখা গেছে, পাঠদানে নকল আইনগত পরিস্থিতি তৈরিতে এআই ব্যবহার করছেন শিক্ষকেরা। এ ছাড়া কর্মক্ষেত্র প্রশিক্ষণের কনটেন্ট তৈরি, সুপারিশপত্র লেখার খসড়া তৈরিতে এবং বৈঠকের এজেন্ডা তৈরিতেও এই প্রযুক্তি ব্যবহার করছেন তাঁরা।
নর্থইস্টার্নের শিক্ষকদের মতে, তাঁরা নিজেদের শেখার জন্যও এআই ব্যবহার করছেন। তবে প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতার কারণে সেটি নিশ্চিত করা যায়নি। শিক্ষকেরা বলছেন, তাঁরা এআই ব্যবহার করছেন ক্লান্তিকর কাজ স্বয়ংক্রিয় করতে, চিন্তার সহযোগী হিসেবে এবং শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যক্তিগতকৃত শিক্ষার অভিজ্ঞতা তৈরিতে।
শিক্ষকেরা শুধু বিদ্যমান এআই টুল ব্যবহার করছেন না, নিজেরাই নতুন নতুন এআই টুল তৈরি করছেন। যেমন—অ্যানথ্রোপিকের ‘আর্থিফ্যাক্টস’ ফিচার ব্যবহার করে কোডিং ছাড়া অ্যাপ তৈরি করে শিক্ষামূলক ইন্টারেক্টিভ গেম, মূল্যায়ন টুল, ডেটা ভিজুয়ালাইজেশন, একাডেমিক ক্যালেন্ডার, বাজেট পরিকল্পনা ইত্যাদি তৈরি করছেন।
শিক্ষায় এআইয়ের প্রভাব ক্রমবর্ধমান
এআই কোম্পানিগুলো শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের জন্য বাজারজাত করছে নতুন নতুন টুল। অ্যানথ্রোপিক সম্প্রতি ক্লাউড. এআইতে ‘লার্নিং মোড’ ও ‘ক্লাউড কোড’ চালু করেছে, যা ওপেনএআইয়ের স্টাডি মোডের মতো, ব্যবহারকারীর সঙ্গে সংলাপ চালিয়ে শেখায়। অন্যদিকে, টেক্সট-টু-স্পিচ অ্যাপ স্পিচিফাই চালু করেছে নতুন পডকাস্ট টুল, আর গুগল কলেজ শিক্ষার্থীদের জন্য ২০ ডলারের এআই টুলস ফ্রি করেছে।
এআই শিক্ষাক্ষেত্রে যেভাবে ঢুকছে, তা অস্বীকার করা যায় না। এআই কোম্পানিগুলো নিজেরাই উদ্বেগ প্রকাশ করে যে, শিক্ষকেরা এআই দিয়ে কাজ স্বয়ংক্রিয় করছে। তাই প্রশ্ন ওঠে, নিজেদের টুল ব্যবহারের জন্য কোনো নীতিমালা বা নির্দেশিকা তৈরি করেছে কি না।
এখনো পর্যন্ত শিক্ষাক্ষেত্রে এআইয়ের ব্যবহার নতুন, ভবিষ্যৎ কেমন হবে বলা যাচ্ছে না। তবে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিজস্ব নীতি এবং নিয়ন্ত্রণই শেষ কথা নির্ধারণ করবে। তার পরও যেহেতু টুলগুলো সহজলভ্য, তাই নিয়ন্ত্রণ বেশ সীমিতই থাকবে।
তথ্যসূত্র: জেডনেট ডট কম
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রযুক্তি জায়ান্ট স্যামসাং হঠাৎ করেই ঘোষণা দিয়েছে তাদের পরবর্তী গ্যালাক্সি ইভেন্টের। আগামী ৪ সেপ্টেম্বর এই ভার্চুয়াল ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। গ্যালাক্সি ইভেন্টে নতুন প্রিমিয়াম আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) ট্যাবলেট এবং গ্যালাক্সি এস ২৫ সিরিজের নতুন সদস্য...
৫ ঘণ্টা আগেব্যস্ততার সময় একটা সাধারণ মেসেজ টাইপ করাও যেন অনেক সময় কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়ায়। এ সমস্যার সমাধান দিতেই নতুন একটি এআইভিত্তিক ফিচার এনেছে হোয়াটসঅ্যাপ, যার নাম ‘এআই রাইটিং হেল্প’। এই ফিচার ব্যবহারকারীর মনের মতো বার্তা বানিয়ে দেবে।
৬ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার পালো আল্টোর ক্রিসেন্ট পার্ক এলাকায় নিজের বাসভবন সম্প্রসারণ এবং সংস্কারের কাজ করছেন বিলিয়নিয়ার ও মেটার সিইও মার্ক জাকারবার্গ। দীর্ঘদিন ধরে চলমান এই নির্মাণকাজ থেকে সৃষ্ট শব্দদূষণ প্রতিবেশীদের মধ্যে তীব্র বিরক্তি ছড়িয়েছে। এই ঝামেলা সামাল দিতে এবং মনোমালিন্য প্রশমনে...
৭ ঘণ্টা আগেস্মার্টফোন ব্যবহারে আসক্তি রোধে অভিনব এক প্রস্তাব নিয়ে এসেছে জাপানের কেন্দ্রীয় অঞ্চলের আয়িচি জেলার তোইয়োকে শহর। শহরটির প্রশাসন সেখানে বসবাসকারী প্রায় ৬৯ হাজার বাসিন্দার জন্য দৈনিক স্মার্টফোন ব্যবহারে সর্বোচ্চ দুই ঘণ্টার সীমা নির্ধারণের প্রস্তাব দিয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগে