
সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক স্টার্টআপ ‘উইজ’ কোম্পানিকে কিনে নিতে পারে সার্চ জায়ান্ট গুগল। প্রায় ২৩ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৩০০ কোটি মার্কিন ডলারের বিনিময়ে স্টার্টআপটিকে অধিগ্রহণ করতে পারে কোম্পানিটি। চুক্তিটি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে দুই কোম্পানির মধ্যে। এই চুক্তি কার্যকর হলে গুগলের ইতিহাসে এটাই হবে সবচেয়ে বড় অঙ্কের অধিগ্রহণ। সিএনএনের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়।
ক্লাউড কম্পিউটিংয়ের জন্য সাইবার নিরাপত্তা সফটওয়্যার তৈরি করে উইজ। অধিগ্রহণের পর গুগলের সাইবার নিরাপত্তার বিষয়টির দেখাশোনা করবে কোম্পানিটি।
গত বছর ভেঞ্চার ক্যাপিটাল বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ১০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ পায় উইজ। এরপর থেকেই স্টার্টআপটির সঙ্গে অধিগ্রহণের চুক্তি নিয়ে আলোচনা করছে গুগল। তবে অধিগ্রহণের সবগুলো শর্ত এখনো চূড়ান্ত হয়নি ও এই আলোচনা শর্তের বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছালে শিগগিরই অধিগ্রহণ সম্পন্ন হবে।
এ বিষয়ে গুগল বা উইজের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো তথ্য জানানো হয়নি।
বর্তমানে অধিগ্রহণের বিভিন্ন শর্ত নিয়ে উইজের সঙ্গে চূড়ান্ত আলোচনা করছে গুগলের মূল প্রতিষ্ঠান অ্যালফাবেট। এসব শর্তের বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছালে শিগগিরই অধিগ্রহণ সম্পন্ন হবে।
প্রায় এক দশক আগে ১ হাজার ২৫০ কোটি ডলারে মটোরোলা কোম্পানিকে কিনে নেয় গুগল। তবে উইজের অধিগ্রহণ মটোরোলার অধিগ্রহণের হিসাবকে সহজেই ছাড়িয়ে যাবে। তবে ব্যাপক পরিমাণে ক্ষতির জন্য মাত্র দুই বছর পর মটোরোলার সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে গুগল।
উইজ কোম্পানির বর্তমান বাজারমূল্য ১২ বিলিয়ন বা ১ হাজার ২০০ কোটি ডলার। আর গুগলের এই বিনিয়োগ স্টার্টআপটির মূল মূল্যেরও দ্বিগুণ হবে।
সাইবার নিরাপত্তা ও ক্লাউড কম্পিউটিং ব্যবসার নিরাপত্তা আরও শক্তিশালী করতে ২০২২ সালের মার্চ মাসে ৫৪০ কোটি ডলারে ‘ম্যানডিয়ান্ট’ অধিগ্রহণ করেছিল গুগলে মূল কোম্পানি অ্যালফাবেট।
নিজের সার্চ ইঞ্জিন ছাড়াও ক্লাউড কম্পিউটিং ব্যবসাকে আরও শক্তিশালী করার জন্য নিরাপত্তার ওপর জোর দিচ্ছে গুগল। সম্প্রতি গুগলের ক্লাউড সেবার বিক্রি বেড়ে গেলেও মাইক্রোসফট ও আমাজনের মতো কোম্পানি থেকে পিছিয়ে আছে এই টেক জায়ান্ট।
নিরাপত্তা বিষয়ক কোম্পানি ওয়েডবুশ গত সোমবার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিনিয়র ইক্যুইটি গবেষণা বিশ্লেষক ড্যান আইভস বলেন, গুগল ক্লাউডের সাইবার নিরাপত্তার ওপর বেশ জোর দিচ্ছে।
সম্প্রতি বছরগুলোতে ক্লাউডের সেবার নিরাপত্তা অনেক গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। কারণ বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো তাদের ডেটা ক্লাউডে রাখছে। ফলে ক্লাউড প্রযুক্তিতে টেক জায়ান্টদের বিনিয়োগ যেমন বাড়ছে, তেমনি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে ক্লাউড সার্ভিসের নিরাপত্তা নিশ্চিতের বিষয়টিও। তাই উইজের মতো স্টার্টআপের প্রয়োজনীয়তাও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
২০২২ সালে ইতিহাসের দ্রুততম বর্ধনশীল সফটওয়্যার কোম্পানিতে পরিণত হয় উইজ। প্রতিষ্ঠার ১৮ মাসেরও কম সময়ের মধ্যে বার্ষিক দশ কোটি ডলার আয় করে কোম্পানিটি।
গুগলের অধিগ্রহণের চুক্তি চূড়ান্ত হলে এটি উইজ ও এর প্রতিষ্ঠাতাদের জন্য বড় বিষয় হয়ে দাঁড়াবে।
২০২০ সালের মার্চ মাসে করোনা মহামারি সময়ে উইজের যাত্রা শুরু হয়। এর চারজন প্রতিষ্ঠাতা হলেন—আসাফ র্যাপাপোর্ট, অমি লুটওয়াক, ইয়ানন কস্টিকা ও রয় রেজনিক। কোম্পানিটি বলছে, উইজের ৪০ শতাংশ লাভ ১০০টি কোম্পানির গ্রাহক থেকে আসে।
উল্লেখযোগ্য গ্রাহকদের মধ্যে রয়েছে বিএমডাব্লু, স্ল্যাক ও সেলসফোর্স। সেই সঙ্গে অ্যামাজন, মাইক্রোসফট ও গুগলের মতো ক্লাউড কোম্পানির সঙ্গেও কাজ করছে।

সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক স্টার্টআপ ‘উইজ’ কোম্পানিকে কিনে নিতে পারে সার্চ জায়ান্ট গুগল। প্রায় ২৩ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৩০০ কোটি মার্কিন ডলারের বিনিময়ে স্টার্টআপটিকে অধিগ্রহণ করতে পারে কোম্পানিটি। চুক্তিটি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে দুই কোম্পানির মধ্যে। এই চুক্তি কার্যকর হলে গুগলের ইতিহাসে এটাই হবে সবচেয়ে বড় অঙ্কের অধিগ্রহণ। সিএনএনের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়।
ক্লাউড কম্পিউটিংয়ের জন্য সাইবার নিরাপত্তা সফটওয়্যার তৈরি করে উইজ। অধিগ্রহণের পর গুগলের সাইবার নিরাপত্তার বিষয়টির দেখাশোনা করবে কোম্পানিটি।
গত বছর ভেঞ্চার ক্যাপিটাল বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ১০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ পায় উইজ। এরপর থেকেই স্টার্টআপটির সঙ্গে অধিগ্রহণের চুক্তি নিয়ে আলোচনা করছে গুগল। তবে অধিগ্রহণের সবগুলো শর্ত এখনো চূড়ান্ত হয়নি ও এই আলোচনা শর্তের বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছালে শিগগিরই অধিগ্রহণ সম্পন্ন হবে।
এ বিষয়ে গুগল বা উইজের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো তথ্য জানানো হয়নি।
বর্তমানে অধিগ্রহণের বিভিন্ন শর্ত নিয়ে উইজের সঙ্গে চূড়ান্ত আলোচনা করছে গুগলের মূল প্রতিষ্ঠান অ্যালফাবেট। এসব শর্তের বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছালে শিগগিরই অধিগ্রহণ সম্পন্ন হবে।
প্রায় এক দশক আগে ১ হাজার ২৫০ কোটি ডলারে মটোরোলা কোম্পানিকে কিনে নেয় গুগল। তবে উইজের অধিগ্রহণ মটোরোলার অধিগ্রহণের হিসাবকে সহজেই ছাড়িয়ে যাবে। তবে ব্যাপক পরিমাণে ক্ষতির জন্য মাত্র দুই বছর পর মটোরোলার সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে গুগল।
উইজ কোম্পানির বর্তমান বাজারমূল্য ১২ বিলিয়ন বা ১ হাজার ২০০ কোটি ডলার। আর গুগলের এই বিনিয়োগ স্টার্টআপটির মূল মূল্যেরও দ্বিগুণ হবে।
সাইবার নিরাপত্তা ও ক্লাউড কম্পিউটিং ব্যবসার নিরাপত্তা আরও শক্তিশালী করতে ২০২২ সালের মার্চ মাসে ৫৪০ কোটি ডলারে ‘ম্যানডিয়ান্ট’ অধিগ্রহণ করেছিল গুগলে মূল কোম্পানি অ্যালফাবেট।
নিজের সার্চ ইঞ্জিন ছাড়াও ক্লাউড কম্পিউটিং ব্যবসাকে আরও শক্তিশালী করার জন্য নিরাপত্তার ওপর জোর দিচ্ছে গুগল। সম্প্রতি গুগলের ক্লাউড সেবার বিক্রি বেড়ে গেলেও মাইক্রোসফট ও আমাজনের মতো কোম্পানি থেকে পিছিয়ে আছে এই টেক জায়ান্ট।
নিরাপত্তা বিষয়ক কোম্পানি ওয়েডবুশ গত সোমবার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিনিয়র ইক্যুইটি গবেষণা বিশ্লেষক ড্যান আইভস বলেন, গুগল ক্লাউডের সাইবার নিরাপত্তার ওপর বেশ জোর দিচ্ছে।
সম্প্রতি বছরগুলোতে ক্লাউডের সেবার নিরাপত্তা অনেক গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। কারণ বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো তাদের ডেটা ক্লাউডে রাখছে। ফলে ক্লাউড প্রযুক্তিতে টেক জায়ান্টদের বিনিয়োগ যেমন বাড়ছে, তেমনি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে ক্লাউড সার্ভিসের নিরাপত্তা নিশ্চিতের বিষয়টিও। তাই উইজের মতো স্টার্টআপের প্রয়োজনীয়তাও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
২০২২ সালে ইতিহাসের দ্রুততম বর্ধনশীল সফটওয়্যার কোম্পানিতে পরিণত হয় উইজ। প্রতিষ্ঠার ১৮ মাসেরও কম সময়ের মধ্যে বার্ষিক দশ কোটি ডলার আয় করে কোম্পানিটি।
গুগলের অধিগ্রহণের চুক্তি চূড়ান্ত হলে এটি উইজ ও এর প্রতিষ্ঠাতাদের জন্য বড় বিষয় হয়ে দাঁড়াবে।
২০২০ সালের মার্চ মাসে করোনা মহামারি সময়ে উইজের যাত্রা শুরু হয়। এর চারজন প্রতিষ্ঠাতা হলেন—আসাফ র্যাপাপোর্ট, অমি লুটওয়াক, ইয়ানন কস্টিকা ও রয় রেজনিক। কোম্পানিটি বলছে, উইজের ৪০ শতাংশ লাভ ১০০টি কোম্পানির গ্রাহক থেকে আসে।
উল্লেখযোগ্য গ্রাহকদের মধ্যে রয়েছে বিএমডাব্লু, স্ল্যাক ও সেলসফোর্স। সেই সঙ্গে অ্যামাজন, মাইক্রোসফট ও গুগলের মতো ক্লাউড কোম্পানির সঙ্গেও কাজ করছে।

সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক স্টার্টআপ ‘উইজ’ কোম্পানিকে কিনে নিতে পারে সার্চ জায়ান্ট গুগল। প্রায় ২৩ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৩০০ কোটি মার্কিন ডলারের বিনিময়ে স্টার্টআপটিকে অধিগ্রহণ করতে পারে কোম্পানিটি। চুক্তিটি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে দুই কোম্পানির মধ্যে। এই চুক্তি কার্যকর হলে গুগলের ইতিহাসে এটাই হবে সবচেয়ে বড় অঙ্কের অধিগ্রহণ। সিএনএনের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়।
ক্লাউড কম্পিউটিংয়ের জন্য সাইবার নিরাপত্তা সফটওয়্যার তৈরি করে উইজ। অধিগ্রহণের পর গুগলের সাইবার নিরাপত্তার বিষয়টির দেখাশোনা করবে কোম্পানিটি।
গত বছর ভেঞ্চার ক্যাপিটাল বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ১০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ পায় উইজ। এরপর থেকেই স্টার্টআপটির সঙ্গে অধিগ্রহণের চুক্তি নিয়ে আলোচনা করছে গুগল। তবে অধিগ্রহণের সবগুলো শর্ত এখনো চূড়ান্ত হয়নি ও এই আলোচনা শর্তের বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছালে শিগগিরই অধিগ্রহণ সম্পন্ন হবে।
এ বিষয়ে গুগল বা উইজের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো তথ্য জানানো হয়নি।
বর্তমানে অধিগ্রহণের বিভিন্ন শর্ত নিয়ে উইজের সঙ্গে চূড়ান্ত আলোচনা করছে গুগলের মূল প্রতিষ্ঠান অ্যালফাবেট। এসব শর্তের বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছালে শিগগিরই অধিগ্রহণ সম্পন্ন হবে।
প্রায় এক দশক আগে ১ হাজার ২৫০ কোটি ডলারে মটোরোলা কোম্পানিকে কিনে নেয় গুগল। তবে উইজের অধিগ্রহণ মটোরোলার অধিগ্রহণের হিসাবকে সহজেই ছাড়িয়ে যাবে। তবে ব্যাপক পরিমাণে ক্ষতির জন্য মাত্র দুই বছর পর মটোরোলার সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে গুগল।
উইজ কোম্পানির বর্তমান বাজারমূল্য ১২ বিলিয়ন বা ১ হাজার ২০০ কোটি ডলার। আর গুগলের এই বিনিয়োগ স্টার্টআপটির মূল মূল্যেরও দ্বিগুণ হবে।
সাইবার নিরাপত্তা ও ক্লাউড কম্পিউটিং ব্যবসার নিরাপত্তা আরও শক্তিশালী করতে ২০২২ সালের মার্চ মাসে ৫৪০ কোটি ডলারে ‘ম্যানডিয়ান্ট’ অধিগ্রহণ করেছিল গুগলে মূল কোম্পানি অ্যালফাবেট।
নিজের সার্চ ইঞ্জিন ছাড়াও ক্লাউড কম্পিউটিং ব্যবসাকে আরও শক্তিশালী করার জন্য নিরাপত্তার ওপর জোর দিচ্ছে গুগল। সম্প্রতি গুগলের ক্লাউড সেবার বিক্রি বেড়ে গেলেও মাইক্রোসফট ও আমাজনের মতো কোম্পানি থেকে পিছিয়ে আছে এই টেক জায়ান্ট।
নিরাপত্তা বিষয়ক কোম্পানি ওয়েডবুশ গত সোমবার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিনিয়র ইক্যুইটি গবেষণা বিশ্লেষক ড্যান আইভস বলেন, গুগল ক্লাউডের সাইবার নিরাপত্তার ওপর বেশ জোর দিচ্ছে।
সম্প্রতি বছরগুলোতে ক্লাউডের সেবার নিরাপত্তা অনেক গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। কারণ বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো তাদের ডেটা ক্লাউডে রাখছে। ফলে ক্লাউড প্রযুক্তিতে টেক জায়ান্টদের বিনিয়োগ যেমন বাড়ছে, তেমনি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে ক্লাউড সার্ভিসের নিরাপত্তা নিশ্চিতের বিষয়টিও। তাই উইজের মতো স্টার্টআপের প্রয়োজনীয়তাও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
২০২২ সালে ইতিহাসের দ্রুততম বর্ধনশীল সফটওয়্যার কোম্পানিতে পরিণত হয় উইজ। প্রতিষ্ঠার ১৮ মাসেরও কম সময়ের মধ্যে বার্ষিক দশ কোটি ডলার আয় করে কোম্পানিটি।
গুগলের অধিগ্রহণের চুক্তি চূড়ান্ত হলে এটি উইজ ও এর প্রতিষ্ঠাতাদের জন্য বড় বিষয় হয়ে দাঁড়াবে।
২০২০ সালের মার্চ মাসে করোনা মহামারি সময়ে উইজের যাত্রা শুরু হয়। এর চারজন প্রতিষ্ঠাতা হলেন—আসাফ র্যাপাপোর্ট, অমি লুটওয়াক, ইয়ানন কস্টিকা ও রয় রেজনিক। কোম্পানিটি বলছে, উইজের ৪০ শতাংশ লাভ ১০০টি কোম্পানির গ্রাহক থেকে আসে।
উল্লেখযোগ্য গ্রাহকদের মধ্যে রয়েছে বিএমডাব্লু, স্ল্যাক ও সেলসফোর্স। সেই সঙ্গে অ্যামাজন, মাইক্রোসফট ও গুগলের মতো ক্লাউড কোম্পানির সঙ্গেও কাজ করছে।

সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক স্টার্টআপ ‘উইজ’ কোম্পানিকে কিনে নিতে পারে সার্চ জায়ান্ট গুগল। প্রায় ২৩ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৩০০ কোটি মার্কিন ডলারের বিনিময়ে স্টার্টআপটিকে অধিগ্রহণ করতে পারে কোম্পানিটি। চুক্তিটি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে দুই কোম্পানির মধ্যে। এই চুক্তি কার্যকর হলে গুগলের ইতিহাসে এটাই হবে সবচেয়ে বড় অঙ্কের অধিগ্রহণ। সিএনএনের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়।
ক্লাউড কম্পিউটিংয়ের জন্য সাইবার নিরাপত্তা সফটওয়্যার তৈরি করে উইজ। অধিগ্রহণের পর গুগলের সাইবার নিরাপত্তার বিষয়টির দেখাশোনা করবে কোম্পানিটি।
গত বছর ভেঞ্চার ক্যাপিটাল বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ১০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ পায় উইজ। এরপর থেকেই স্টার্টআপটির সঙ্গে অধিগ্রহণের চুক্তি নিয়ে আলোচনা করছে গুগল। তবে অধিগ্রহণের সবগুলো শর্ত এখনো চূড়ান্ত হয়নি ও এই আলোচনা শর্তের বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছালে শিগগিরই অধিগ্রহণ সম্পন্ন হবে।
এ বিষয়ে গুগল বা উইজের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো তথ্য জানানো হয়নি।
বর্তমানে অধিগ্রহণের বিভিন্ন শর্ত নিয়ে উইজের সঙ্গে চূড়ান্ত আলোচনা করছে গুগলের মূল প্রতিষ্ঠান অ্যালফাবেট। এসব শর্তের বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছালে শিগগিরই অধিগ্রহণ সম্পন্ন হবে।
প্রায় এক দশক আগে ১ হাজার ২৫০ কোটি ডলারে মটোরোলা কোম্পানিকে কিনে নেয় গুগল। তবে উইজের অধিগ্রহণ মটোরোলার অধিগ্রহণের হিসাবকে সহজেই ছাড়িয়ে যাবে। তবে ব্যাপক পরিমাণে ক্ষতির জন্য মাত্র দুই বছর পর মটোরোলার সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে গুগল।
উইজ কোম্পানির বর্তমান বাজারমূল্য ১২ বিলিয়ন বা ১ হাজার ২০০ কোটি ডলার। আর গুগলের এই বিনিয়োগ স্টার্টআপটির মূল মূল্যেরও দ্বিগুণ হবে।
সাইবার নিরাপত্তা ও ক্লাউড কম্পিউটিং ব্যবসার নিরাপত্তা আরও শক্তিশালী করতে ২০২২ সালের মার্চ মাসে ৫৪০ কোটি ডলারে ‘ম্যানডিয়ান্ট’ অধিগ্রহণ করেছিল গুগলে মূল কোম্পানি অ্যালফাবেট।
নিজের সার্চ ইঞ্জিন ছাড়াও ক্লাউড কম্পিউটিং ব্যবসাকে আরও শক্তিশালী করার জন্য নিরাপত্তার ওপর জোর দিচ্ছে গুগল। সম্প্রতি গুগলের ক্লাউড সেবার বিক্রি বেড়ে গেলেও মাইক্রোসফট ও আমাজনের মতো কোম্পানি থেকে পিছিয়ে আছে এই টেক জায়ান্ট।
নিরাপত্তা বিষয়ক কোম্পানি ওয়েডবুশ গত সোমবার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিনিয়র ইক্যুইটি গবেষণা বিশ্লেষক ড্যান আইভস বলেন, গুগল ক্লাউডের সাইবার নিরাপত্তার ওপর বেশ জোর দিচ্ছে।
সম্প্রতি বছরগুলোতে ক্লাউডের সেবার নিরাপত্তা অনেক গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। কারণ বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো তাদের ডেটা ক্লাউডে রাখছে। ফলে ক্লাউড প্রযুক্তিতে টেক জায়ান্টদের বিনিয়োগ যেমন বাড়ছে, তেমনি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে ক্লাউড সার্ভিসের নিরাপত্তা নিশ্চিতের বিষয়টিও। তাই উইজের মতো স্টার্টআপের প্রয়োজনীয়তাও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
২০২২ সালে ইতিহাসের দ্রুততম বর্ধনশীল সফটওয়্যার কোম্পানিতে পরিণত হয় উইজ। প্রতিষ্ঠার ১৮ মাসেরও কম সময়ের মধ্যে বার্ষিক দশ কোটি ডলার আয় করে কোম্পানিটি।
গুগলের অধিগ্রহণের চুক্তি চূড়ান্ত হলে এটি উইজ ও এর প্রতিষ্ঠাতাদের জন্য বড় বিষয় হয়ে দাঁড়াবে।
২০২০ সালের মার্চ মাসে করোনা মহামারি সময়ে উইজের যাত্রা শুরু হয়। এর চারজন প্রতিষ্ঠাতা হলেন—আসাফ র্যাপাপোর্ট, অমি লুটওয়াক, ইয়ানন কস্টিকা ও রয় রেজনিক। কোম্পানিটি বলছে, উইজের ৪০ শতাংশ লাভ ১০০টি কোম্পানির গ্রাহক থেকে আসে।
উল্লেখযোগ্য গ্রাহকদের মধ্যে রয়েছে বিএমডাব্লু, স্ল্যাক ও সেলসফোর্স। সেই সঙ্গে অ্যামাজন, মাইক্রোসফট ও গুগলের মতো ক্লাউড কোম্পানির সঙ্গেও কাজ করছে।

গোপন নথি চুরির অভিযোগে চাকরিচ্যুত এক কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে প্রযুক্তি কোম্পানি ইন্টেল। মার্কিন গণমাধ্যম দ্য মারকিউরি নিউজ-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইন্টেলের সাবেক সফটওয়্যার প্রকৌশলী জিনফেং লুং ১৮ হাজার নথি চুরি করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বৃহৎ আর্থিক প্রতিষ্ঠান ব্যাংক অব আমেরিকা এক বিশাল আইনি জটিলতার মুখে পড়েছে। অভিযোগ উঠেছে, এই সংস্থা তাদের ঘণ্টাভিত্তিক শত শত কর্মীকে বঞ্চিত করেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
‘ডেটা গভর্নেন্স আইন থামাতে, ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা আইন বন্ধ করতে-আমাদের এসব কাজকে ডিলিজিটিমেট করতে দেশ-বিদেশ থেকে সংঘবদ্ধভাবে প্রোপাগান্ডা চালানো হয়েছে। এ জন্য আমাকে এবং আমার টিমকে প্রচণ্ড রকম যুদ্ধ করতে হয়েছে, অনেক যন্ত্রণা দেওয়া হয়েছে, এবং অপবাদ দেওয়া হয়েছে, আমরা সেগুলোতে থেমে যাইনি।
২০ ঘণ্টা আগে
বিশ্বজুড়ে শিশুদের ওপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ক্ষতিকর কনটেন্ট ও বাণিজ্যিক প্রলোভনের প্রভাব বাড়ছে। এ উদ্বেগের প্রেক্ষিতে এবার ১৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ডেনমার্ক। দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্টের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

গোপন নথি চুরির অভিযোগে চাকরিচ্যুত এক কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে প্রযুক্তি কোম্পানি ইন্টেল। মার্কিন গণমাধ্যম দ্য মারকিউরি নিউজ-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইন্টেলের সাবেক সফটওয়্যার প্রকৌশলী জিনফেং লুং ১৮ হাজার নথি চুরি করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এর মধ্যে ইন্টেলের ‘টপ সিক্রেট’ তথ্যও রয়েছে। এই কর্মীর বিরুদ্ধে ২ লাখ ৫০ হাজার ডলারের ক্ষতিপূরণ দাবি করে মামলা করেছে কোম্পানিটি।
প্রকৌশলী জিনফেং লু ২০১৪ সালে ইন্টেলে যোগ দেন। গত ৭ জুলাই তাঁকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
ইন্টেলের অভিযোগ, চাকরিচ্যুতির আগে লু কোম্পানির সার্ভার থেকে প্রায় ১৮ হাজার ফাইল ডাউনলোড করেছেন। এসব ফাইলের মধ্যে ‘ইন্টেল টপ সিক্রেট’ লেখা গোপন তথ্যও ছিল। এরপর তিনি হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যান। কোম্পানি এখন সেসব নথি ফেরত পেতে আদালতের শরণাপন্ন হয়েছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বড় আকারে কর্মী ছাঁটাই করছে ইন্টেল। গত দুই বছরে প্রায় ৩৫ হাজার কর্মীকে ছাঁটাই করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, সেই ছাঁটাই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবেই লুর চাকরি গিয়েছিল। পরে তাঁর অনিয়মের প্রমাণ হাতে আসে।
গত বছরের জুলাইয়ের শেষ দিক এবং আগস্টের শুরুতে কোম্পানির আর্থিক সংকট প্রকাশ্যে আসে। সেই সময় থেকেই ইন্টেল খরচ কমাতে কর্মীসংখ্যা কমিয়ে আনার পথে হাঁটছে।
মামলার নথিতে বলা হয়, চাকরি ছাড়ার প্রায় এক সপ্তাহ আগে জিনফেং লু কোম্পানির দেওয়া ল্যাপটপ থেকে একটি এক্সটারনাল ড্রাইভে ফাইল কপি করার চেষ্টা করেন। তবে ইন্টেলের নিরাপত্তা ব্যবস্থার কারণে সে সময় তিনি সফল হননি।
তিন দিন পর অর্থাৎ চাকরির শেষ দিনের আগেই আবার চেষ্টা করেন তিনি। এবার তিনি সফলভাবে ডেটা স্থানান্তর করেন একটি নেটওয়ার্ক অ্যাটাচড স্টোরেজ (এনএএস) ডিভাইসে। চাকরি ছেড়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি যতগুলো সম্ভব তথ্য ডাউনলোড করতে থাকেন।
ডেটা ট্রান্সফারের বিষয়টি সামনে এলে ইন্টেল তদন্ত শুরু করে। এরপর টানা তিন মাস ধরে কোম্পানিটি জিনফেং লুর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চালায়। ফোন-ইমেইল, এমনকি ডাকযোগেও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়।
তবে লু কোনো সাড়া দেননি। শেষ পর্যন্ত ইন্টেল চুরি হওয়া তথ্য ও নথি পুনরুদ্ধারে আদালতে মামলা করে।
অবশ্য এ ধরনের ঘটনা ইন্টেলের জন্য নতুন নয়। এর আগেও কোম্পানিটি সাবেক এক কর্মীর বিরুদ্ধে তথ্যচুরির মামলা করেছিল। ওই প্রকৌশলীকে সম্প্রতি দুই বছরের প্রবেশন এবং ৩৪ হাজার ডলার জরিমানার দণ্ড দিয়েছে আদালত।
অভিযোগ ছিল, তিনি ইন্টেলের তথ্য গোপনে কপি করে নিয়েছিলেন। পরে সেই তথ্য কাজে লাগিয়ে মাইক্রোসফটে চাকরি পান। আদালতের শুনানিতে জানা যায়, ইন্টেলের সঙ্গে আলোচনায় সুবিধা নিতে মাইক্রোসফট ওই তথ্য ব্যবহার করেছিল।
বর্তমানে নিরুদ্দেশ জিনফেং লু এখনো কোনো অভিযোগের জবাব দেননি। তবে ইন্টেল তাঁর কাছ থেকে ২ লাখ ৫০ হাজার ডলারের ক্ষতিপূরণ দাবি করেছে। পাশাপাশি, কোম্পানির সব চুরি হওয়া তথ্য ফেরত দেওয়ারও নির্দেশ চাওয়া হয়েছে আদালতের কাছে।

গোপন নথি চুরির অভিযোগে চাকরিচ্যুত এক কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে প্রযুক্তি কোম্পানি ইন্টেল। মার্কিন গণমাধ্যম দ্য মারকিউরি নিউজ-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইন্টেলের সাবেক সফটওয়্যার প্রকৌশলী জিনফেং লুং ১৮ হাজার নথি চুরি করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এর মধ্যে ইন্টেলের ‘টপ সিক্রেট’ তথ্যও রয়েছে। এই কর্মীর বিরুদ্ধে ২ লাখ ৫০ হাজার ডলারের ক্ষতিপূরণ দাবি করে মামলা করেছে কোম্পানিটি।
প্রকৌশলী জিনফেং লু ২০১৪ সালে ইন্টেলে যোগ দেন। গত ৭ জুলাই তাঁকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
ইন্টেলের অভিযোগ, চাকরিচ্যুতির আগে লু কোম্পানির সার্ভার থেকে প্রায় ১৮ হাজার ফাইল ডাউনলোড করেছেন। এসব ফাইলের মধ্যে ‘ইন্টেল টপ সিক্রেট’ লেখা গোপন তথ্যও ছিল। এরপর তিনি হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যান। কোম্পানি এখন সেসব নথি ফেরত পেতে আদালতের শরণাপন্ন হয়েছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বড় আকারে কর্মী ছাঁটাই করছে ইন্টেল। গত দুই বছরে প্রায় ৩৫ হাজার কর্মীকে ছাঁটাই করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, সেই ছাঁটাই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবেই লুর চাকরি গিয়েছিল। পরে তাঁর অনিয়মের প্রমাণ হাতে আসে।
গত বছরের জুলাইয়ের শেষ দিক এবং আগস্টের শুরুতে কোম্পানির আর্থিক সংকট প্রকাশ্যে আসে। সেই সময় থেকেই ইন্টেল খরচ কমাতে কর্মীসংখ্যা কমিয়ে আনার পথে হাঁটছে।
মামলার নথিতে বলা হয়, চাকরি ছাড়ার প্রায় এক সপ্তাহ আগে জিনফেং লু কোম্পানির দেওয়া ল্যাপটপ থেকে একটি এক্সটারনাল ড্রাইভে ফাইল কপি করার চেষ্টা করেন। তবে ইন্টেলের নিরাপত্তা ব্যবস্থার কারণে সে সময় তিনি সফল হননি।
তিন দিন পর অর্থাৎ চাকরির শেষ দিনের আগেই আবার চেষ্টা করেন তিনি। এবার তিনি সফলভাবে ডেটা স্থানান্তর করেন একটি নেটওয়ার্ক অ্যাটাচড স্টোরেজ (এনএএস) ডিভাইসে। চাকরি ছেড়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি যতগুলো সম্ভব তথ্য ডাউনলোড করতে থাকেন।
ডেটা ট্রান্সফারের বিষয়টি সামনে এলে ইন্টেল তদন্ত শুরু করে। এরপর টানা তিন মাস ধরে কোম্পানিটি জিনফেং লুর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চালায়। ফোন-ইমেইল, এমনকি ডাকযোগেও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়।
তবে লু কোনো সাড়া দেননি। শেষ পর্যন্ত ইন্টেল চুরি হওয়া তথ্য ও নথি পুনরুদ্ধারে আদালতে মামলা করে।
অবশ্য এ ধরনের ঘটনা ইন্টেলের জন্য নতুন নয়। এর আগেও কোম্পানিটি সাবেক এক কর্মীর বিরুদ্ধে তথ্যচুরির মামলা করেছিল। ওই প্রকৌশলীকে সম্প্রতি দুই বছরের প্রবেশন এবং ৩৪ হাজার ডলার জরিমানার দণ্ড দিয়েছে আদালত।
অভিযোগ ছিল, তিনি ইন্টেলের তথ্য গোপনে কপি করে নিয়েছিলেন। পরে সেই তথ্য কাজে লাগিয়ে মাইক্রোসফটে চাকরি পান। আদালতের শুনানিতে জানা যায়, ইন্টেলের সঙ্গে আলোচনায় সুবিধা নিতে মাইক্রোসফট ওই তথ্য ব্যবহার করেছিল।
বর্তমানে নিরুদ্দেশ জিনফেং লু এখনো কোনো অভিযোগের জবাব দেননি। তবে ইন্টেল তাঁর কাছ থেকে ২ লাখ ৫০ হাজার ডলারের ক্ষতিপূরণ দাবি করেছে। পাশাপাশি, কোম্পানির সব চুরি হওয়া তথ্য ফেরত দেওয়ারও নির্দেশ চাওয়া হয়েছে আদালতের কাছে।

সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক স্টার্টআপ ‘উইজ’ কোম্পানিকে কিনে নিতে পারে সার্চ জায়ান্ট গুগল। প্রায় ২৩ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৩০০ কোটি মার্কিন ডলারের বিনিময়ে স্টার্টআপটিকে অধিগ্রহণ করতে পারে কোম্পানিটি। চুক্তিটি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে দুই কোম্পানির মধ্যে। এই চুক্তি কার্যকর হলে গুগলের ইতিহাসে এটাই হবে সবচেয়ে বড় অঙ্কের
১৮ জুলাই ২০২৪
যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বৃহৎ আর্থিক প্রতিষ্ঠান ব্যাংক অব আমেরিকা এক বিশাল আইনি জটিলতার মুখে পড়েছে। অভিযোগ উঠেছে, এই সংস্থা তাদের ঘণ্টাভিত্তিক শত শত কর্মীকে বঞ্চিত করেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
‘ডেটা গভর্নেন্স আইন থামাতে, ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা আইন বন্ধ করতে-আমাদের এসব কাজকে ডিলিজিটিমেট করতে দেশ-বিদেশ থেকে সংঘবদ্ধভাবে প্রোপাগান্ডা চালানো হয়েছে। এ জন্য আমাকে এবং আমার টিমকে প্রচণ্ড রকম যুদ্ধ করতে হয়েছে, অনেক যন্ত্রণা দেওয়া হয়েছে, এবং অপবাদ দেওয়া হয়েছে, আমরা সেগুলোতে থেমে যাইনি।
২০ ঘণ্টা আগে
বিশ্বজুড়ে শিশুদের ওপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ক্ষতিকর কনটেন্ট ও বাণিজ্যিক প্রলোভনের প্রভাব বাড়ছে। এ উদ্বেগের প্রেক্ষিতে এবার ১৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ডেনমার্ক। দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্টের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বৃহৎ আর্থিক প্রতিষ্ঠান ব্যাংক অব আমেরিকা এক বিশাল আইনি জটিলতার মুখে পড়েছে। অভিযোগ উঠেছে, এই সংস্থা তাদের ঘণ্টাভিত্তিক শত শত কর্মীকে বঞ্চিত করেছে। মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, দৈনিক কর্মঘণ্টা শুরু করার আগে কম্পিউটার চালু করা এবং প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার লোড হতে যে সময় ব্যয় হতো, তার জন্য কোনো বেতন দেয়নি।
ল ৩৬০ ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, সাবেক কর্মী তাভা মার্টিন এই সম্মিলিত বা গণমামলাটি করেছেন। অভিযোগে বলা হয়েছে, কর্মীদের কাজ শুরুর আগে এনক্রিপ্টেড ড্রাইভ আনলক করা, মাল্টিফ্যাক্টর অথেন্টিকেশনের মাধ্যমে লগ ইন করা, ভিপিএনের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করা এবং জরুরি অ্যাপ্লিকেশনগুলো চালু করার জন্য বাধ্যতামূলক অপেক্ষা করতে হতো। এই কাজগুলোতে প্রতিদিন প্রায় ৩০ মিনিট সময় লাগত, কিন্তু কর্মীরা কোম্পানির টাইমকিপিং সিস্টেমে লগ ইন করার আগে এই সময়টুকু সম্পূর্ণ অবৈতনিক থেকে যেত।
মামলাকারী পক্ষ জানিয়েছে, অনেক সময় প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে এই প্রক্রিয়ায় অনেক বেশি সময় লাগত। এমনকি, দুপুরের খাবারের বিরতিতে সিস্টেম স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিত, যার ফলে কর্মীদের বিরতির পরে আবার লগ ইনের জন্য অতিরিক্ত ৩ থেকে ৫ মিনিট অবৈতনিক সময় দিতে হতো। কাজ শেষে কর্মীদের লগ আউট এবং ওয়ার্কস্টেশন বন্ধ করার জন্যও আরও ২ থেকে ৩ মিনিট লাগত, এটার জন্যও কোনো বেতন দেওয়া হতো না।
মামলাটি মূলত যুক্তরাষ্ট্রের ফেয়ার লেবার স্ট্যান্ডার্ডস অ্যাক্টের ওপর ভিত্তি করে করা হয়েছে। ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব লেবারের ২০০৮ সালের নির্দেশনা অনুযায়ী, যদি কোনো কাজ কর্মীর মূল কাজের জন্য ‘অবিচ্ছেদ্য’ এবং ‘প্রথম কাজের অংশ’ হয়, তবে সেটির জন্য পারিশ্রমিক দিতে হবে। বাদীপক্ষের যুক্তি, ব্যাংক অব আমেরিকার অ্যানালিস্ট এবং সাপোর্ট স্টাফদের জন্য তাদের ডিজিটাল ওয়ার্ক স্পেস চালু করাটা মূল কাজের পূর্বশর্ত ছিল এবং এর জন্য অবশ্যই বেতন দিতে হবে।
তাভা মার্টিনের আইনি দল কয়েক শ সাবেক সহকর্মী, যারা বিওএফএর দূরবর্তী অ্যাকসেস টুল ব্যবহার করতে বাধ্য ছিলেন, তাঁদের জন্য বকেয়া বেতন ও ক্ষতিপূরণ দাবি করছেন। এই মামলাটি বর্তমানে ক্লাস অ্যাকশন ও কালেকটিভ অ্যাকশন, উভয় হিসাবেই এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চলছে। এতে তাঁরা বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের বঞ্চিত কর্মীদেরও প্রতিনিধিত্ব করতে পারবেন।
তবে, এর আগে একই ধরনের মামলার রায় বিভিন্ন আদালতে ভিন্ন হয়েছে। কোনো ক্ষেত্রে কম্পিউটার বুট-আপ সময়কে ক্ষতিপূরণযোগ্য হিসেবে গণ্য করা হয়নি, আবার কিছু ক্ষেত্রে কর্মীদের পক্ষে রায় দেওয়া হয়েছে, যদি লগ ইন প্রক্রিয়া সরাসরি মূল কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকে।
গত ২৩ অক্টোবর ফেডারেল কোর্টে ‘মার্টিন বনাম ব্যাংক অব আমেরিকা’ নামে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। এটি বর্তমানে প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। এখন পর্যন্ত ব্যাংক অব আমেরিকা এই অভিযোগের বিষয়ে প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করেনি।

যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বৃহৎ আর্থিক প্রতিষ্ঠান ব্যাংক অব আমেরিকা এক বিশাল আইনি জটিলতার মুখে পড়েছে। অভিযোগ উঠেছে, এই সংস্থা তাদের ঘণ্টাভিত্তিক শত শত কর্মীকে বঞ্চিত করেছে। মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, দৈনিক কর্মঘণ্টা শুরু করার আগে কম্পিউটার চালু করা এবং প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার লোড হতে যে সময় ব্যয় হতো, তার জন্য কোনো বেতন দেয়নি।
ল ৩৬০ ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, সাবেক কর্মী তাভা মার্টিন এই সম্মিলিত বা গণমামলাটি করেছেন। অভিযোগে বলা হয়েছে, কর্মীদের কাজ শুরুর আগে এনক্রিপ্টেড ড্রাইভ আনলক করা, মাল্টিফ্যাক্টর অথেন্টিকেশনের মাধ্যমে লগ ইন করা, ভিপিএনের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করা এবং জরুরি অ্যাপ্লিকেশনগুলো চালু করার জন্য বাধ্যতামূলক অপেক্ষা করতে হতো। এই কাজগুলোতে প্রতিদিন প্রায় ৩০ মিনিট সময় লাগত, কিন্তু কর্মীরা কোম্পানির টাইমকিপিং সিস্টেমে লগ ইন করার আগে এই সময়টুকু সম্পূর্ণ অবৈতনিক থেকে যেত।
মামলাকারী পক্ষ জানিয়েছে, অনেক সময় প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে এই প্রক্রিয়ায় অনেক বেশি সময় লাগত। এমনকি, দুপুরের খাবারের বিরতিতে সিস্টেম স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিত, যার ফলে কর্মীদের বিরতির পরে আবার লগ ইনের জন্য অতিরিক্ত ৩ থেকে ৫ মিনিট অবৈতনিক সময় দিতে হতো। কাজ শেষে কর্মীদের লগ আউট এবং ওয়ার্কস্টেশন বন্ধ করার জন্যও আরও ২ থেকে ৩ মিনিট লাগত, এটার জন্যও কোনো বেতন দেওয়া হতো না।
মামলাটি মূলত যুক্তরাষ্ট্রের ফেয়ার লেবার স্ট্যান্ডার্ডস অ্যাক্টের ওপর ভিত্তি করে করা হয়েছে। ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব লেবারের ২০০৮ সালের নির্দেশনা অনুযায়ী, যদি কোনো কাজ কর্মীর মূল কাজের জন্য ‘অবিচ্ছেদ্য’ এবং ‘প্রথম কাজের অংশ’ হয়, তবে সেটির জন্য পারিশ্রমিক দিতে হবে। বাদীপক্ষের যুক্তি, ব্যাংক অব আমেরিকার অ্যানালিস্ট এবং সাপোর্ট স্টাফদের জন্য তাদের ডিজিটাল ওয়ার্ক স্পেস চালু করাটা মূল কাজের পূর্বশর্ত ছিল এবং এর জন্য অবশ্যই বেতন দিতে হবে।
তাভা মার্টিনের আইনি দল কয়েক শ সাবেক সহকর্মী, যারা বিওএফএর দূরবর্তী অ্যাকসেস টুল ব্যবহার করতে বাধ্য ছিলেন, তাঁদের জন্য বকেয়া বেতন ও ক্ষতিপূরণ দাবি করছেন। এই মামলাটি বর্তমানে ক্লাস অ্যাকশন ও কালেকটিভ অ্যাকশন, উভয় হিসাবেই এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চলছে। এতে তাঁরা বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের বঞ্চিত কর্মীদেরও প্রতিনিধিত্ব করতে পারবেন।
তবে, এর আগে একই ধরনের মামলার রায় বিভিন্ন আদালতে ভিন্ন হয়েছে। কোনো ক্ষেত্রে কম্পিউটার বুট-আপ সময়কে ক্ষতিপূরণযোগ্য হিসেবে গণ্য করা হয়নি, আবার কিছু ক্ষেত্রে কর্মীদের পক্ষে রায় দেওয়া হয়েছে, যদি লগ ইন প্রক্রিয়া সরাসরি মূল কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকে।
গত ২৩ অক্টোবর ফেডারেল কোর্টে ‘মার্টিন বনাম ব্যাংক অব আমেরিকা’ নামে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। এটি বর্তমানে প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। এখন পর্যন্ত ব্যাংক অব আমেরিকা এই অভিযোগের বিষয়ে প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করেনি।

সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক স্টার্টআপ ‘উইজ’ কোম্পানিকে কিনে নিতে পারে সার্চ জায়ান্ট গুগল। প্রায় ২৩ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৩০০ কোটি মার্কিন ডলারের বিনিময়ে স্টার্টআপটিকে অধিগ্রহণ করতে পারে কোম্পানিটি। চুক্তিটি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে দুই কোম্পানির মধ্যে। এই চুক্তি কার্যকর হলে গুগলের ইতিহাসে এটাই হবে সবচেয়ে বড় অঙ্কের
১৮ জুলাই ২০২৪
গোপন নথি চুরির অভিযোগে চাকরিচ্যুত এক কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে প্রযুক্তি কোম্পানি ইন্টেল। মার্কিন গণমাধ্যম দ্য মারকিউরি নিউজ-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইন্টেলের সাবেক সফটওয়্যার প্রকৌশলী জিনফেং লুং ১৮ হাজার নথি চুরি করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
‘ডেটা গভর্নেন্স আইন থামাতে, ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা আইন বন্ধ করতে-আমাদের এসব কাজকে ডিলিজিটিমেট করতে দেশ-বিদেশ থেকে সংঘবদ্ধভাবে প্রোপাগান্ডা চালানো হয়েছে। এ জন্য আমাকে এবং আমার টিমকে প্রচণ্ড রকম যুদ্ধ করতে হয়েছে, অনেক যন্ত্রণা দেওয়া হয়েছে, এবং অপবাদ দেওয়া হয়েছে, আমরা সেগুলোতে থেমে যাইনি।
২০ ঘণ্টা আগে
বিশ্বজুড়ে শিশুদের ওপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ক্ষতিকর কনটেন্ট ও বাণিজ্যিক প্রলোভনের প্রভাব বাড়ছে। এ উদ্বেগের প্রেক্ষিতে এবার ১৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ডেনমার্ক। দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্টের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

‘ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা অধ্যাদেশ-২০২৫’ এবং ‘জাতীয় উপাত্ত ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশ-২০২৫’ এর গেজেট প্রকাশ করেছে সরকার। প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব ফেসবুক পোস্টে এটিকে ‘ডেটা গভর্নেন্সে নতুন অধ্যায়ের সূচনা’ বলে অভিহিত করেছেন।
নতুন দুই অধ্যাদেশের ফলে ব্যক্তির তথ্য উপাত্ত নিয়ে জবাবদিহিহীন আদান-প্রদান এবং অবৈধ ব্যবসা আজ থেকে আইনিভাবে রহিত হলো বলে উল্লেখ করেন ফয়েজ আহমদ। এর মাধ্যমে প্ল্যাটফর্মগুলোর যৌক্তিক আচরণের অধ্যায়ও শুরু হলো বলে জানান তিনি। ফয়েজ আহমদ মনে করেন, নতুন দুই অধ্যাদেশের ফলে বাংলাদেশের ডেটা সার্বভৌমত্বকে লঙ্ঘন করে কেউ ডিজিটাল ব্যবসা করতে পারবে না।
বিশেষ সহকারী জানান, অধ্যাদেশ দুটোর কাজ বন্ধ করতে দেশ বিদেশ থেকে নানা প্রচেষ্টা চালানো হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘ডেটা গভর্নেন্স আইন থামাতে, ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা আইন বন্ধ করতে-আমাদের এসব কাজকে ডিলিজিটিমেট করতে দেশ-বিদেশ থেকে সংঘবদ্ধভাবে প্রোপাগান্ডা চালানো হয়েছে। এ জন্য আমাকে এবং আমার টিমকে প্রচণ্ড রকম যুদ্ধ করতে হয়েছে, অনেক যন্ত্রণা দেওয়া হয়েছে, এবং অপবাদ দেওয়া হয়েছে, আমরা সেগুলোতে থেমে যাইনি। বরং যারা এসব করেছে, তাদের মুখোশ উন্মোচন করা হবে আগামীতে। অত্যন্ত শক্তিশালী এক মোরাল নিয়ে আমরা যে কাজ করছি, এটা তাদের আবারও প্রমাণ করে ছেড়েছি।’
আইনটি কী পরিবর্তন আনবে?
আইসিটি উপদেষ্টা তাঁর পোস্টে উল্লেখ করেন, এই আইনের ফলে বাংলাদেশের নাগরিকদের উপাত্ত ব্যবস্থাপনার বিষয়টি আইনিভাবে সম্পূর্ণ ভিন্নমাত্রা পাবে। তিনি বলেন, ‘প্ল্যাটফর্ম লায়াবিলিটির দিক থেকে, গোপনীয় এবং সংবেদনশীল ডেটা ব্যবস্থাপনার দিক থেকে, সর্বোপরি উপাত্ত সংগ্রহ, সংরক্ষণ, বিনিময় এবং প্রক্রিয়াজাতকরণের দিক থেকে’ এই পরিবর্তন আসবে।
কেন এই আইন জরুরি?
বর্তমান বিশ্ব সম্পূর্ণরূপে ডেটানির্ভর। অনলাইন ব্যাংকিং, স্বাস্থ্যসেবা, ই-কমার্স এবং বায়োমেট্রিক নিবন্ধনের মতো সব ডিজিটাল কার্যক্রমে বাংলাদেশের নাগরিকদের অংশগ্রহণ দ্রুত বেড়েছে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে একটি সমন্বিত ডেটা সুরক্ষা আইন না থাকায় ব্যক্তিগত উপাত্ত ফাঁস বা অপব্যবহারের বিরুদ্ধে কার্যকর প্রতিকার পাওয়ার সুযোগ সীমিত ছিল। এই অধ্যাদেশ সেই দীর্ঘদিনের শূন্যতা পূরণের লক্ষ্যে তৈরি। এটি উপাত্তের গোপনীয়তাকে ব্যক্তির মর্যাদা, নিরাপত্তা ও জাতীয় সার্বভৌমত্বের সঙ্গে সম্পর্কিত একটি মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছে।
ভারত (২০২৩ সালে ডিজিটাল পারসোনাল ডেটা প্রোটেকশন আইন), সিঙ্গাপুর (২০১২ সালের আইন), জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, ও থাইল্যান্ডসহ এশিয়ার বহু দেশ যখন দ্রুত গতিতে এই ধরনের আইন তৈরি করছে, তখন বাংলাদেশের এই পদক্ষেপ অত্যন্ত সময়োপযোগী। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের জিডিপিআর (GDPR) এখনো ডেটা সুরক্ষার আদর্শ হিসেবে বিবেচিত, যা বৈশ্বিক বিনিয়োগ এবং বাণিজ্যের জন্য অপরিহার্য। এই শক্তিশালী আইনি কাঠামো ছাড়া বাংলাদেশ শুধু নাগরিকদের সুরক্ষা নয়, আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের আস্থা হারানোর ঝুঁকিতেও থাকত।
অধ্যাদেশের পরিধি ও প্রধান সংজ্ঞা
এই অধ্যাদেশটি বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ব্যক্তিগত উপাত্ত প্রক্রিয়াকরণকারী সরকারি, বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত সংস্থাগুলোর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। বিদেশে অবস্থানকারী বাংলাদেশি নাগরিকদের উপাত্ত পরিচালনাকারী সংস্থাগুলোর জন্যও এটি বাধ্যতামূলক।
ব্যক্তিগত উপাত্ত: এমন উপাত্ত, যা একজন ব্যক্তিকে শনাক্ত করতে পারে—যার মধ্যে রয়েছে নাম, ঠিকানা, আর্থিক উপাত্ত, অবস্থান, স্বাস্থ্য বিবরণ, জেনেটিক, বায়োমেট্রিক উপাত্ত এবং অন্যান্য তথ্য।
সংবেদনশীল উপাত্ত: বায়োমেট্রিকস, ধর্ম, বর্ণ, রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা, ট্রেড ইউনিয়ন সদস্যপদ, যৌন অভিমুখিতা, স্বাস্থ্য বা আইনি বিষয় সম্পর্কিত তথ্য। এই ধরনের উপাত্ত প্রক্রিয়াকরণের জন্য কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা ও স্পষ্ট সম্মতি প্রয়োজন।
উপাত্ত জিম্মাদার (Data Fiduciary): যিনি ব্যক্তিগত উপাত্ত প্রক্রিয়াকরণের উদ্দেশ্য নির্ধারণ করেন বা এই প্রক্রিয়াকরণের তত্ত্বাবধান করেন।
উপাত্ত প্রক্রিয়াকারী (Data Processor): যিনি উপাত্ত জিম্মাদারের পক্ষে ব্যক্তিগত উপাত্ত প্রক্রিয়াকরণ করেন।
নাগরিকের অধিকার: সম্মতিই মূল ভিত্তি
অধ্যাদেশের মূল ভিত্তি হলো ’সম্মতি’ এবং ’স্বচ্ছতা’। কোনো ব্যক্তির ব্যক্তিগত উপাত্ত সংগ্রহ বা প্রক্রিয়াকরণের আগে তাকে অবশ্যই জানাতে হবে এবং তার স্পষ্ট সম্মতি নিতে হবে। এই সম্মতি হতে হবে নির্দিষ্ট, স্বতঃসিদ্ধ ও স্বচ্ছ।
১. জানার অধিকার: উপাত্তধারীদের জানানো বাধ্যতামূলক যে তাদের উপাত্ত কেন সংগ্রহ করা হচ্ছে, কীভাবে ব্যবহৃত হবে এবং কতদিন সংরক্ষণ করা হবে।
২. প্রত্যাহারের অধিকার: কোনো ব্যক্তি যেকোনো সময় তাদের সম্মতি প্রত্যাহার করতে পারেন, এবং সম্মতি প্রত্যাহার করলে ডেটা নিয়ন্ত্রকদের সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট উপাত্ত প্রক্রিয়াকরণ বন্ধ করতে হবে।
৩. শিশুদের সুরক্ষা: এই অধ্যাদেশ শিশুদের উপাত্ত প্রক্রিয়াকরণের ওপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। শিশুদের লক্ষ্যভিত্তিক বিজ্ঞাপন, প্রোফাইলিং বা আচরণগত নজরদারি সুস্পষ্টভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে পিতামাতা বা আইনি অভিভাবকের কাছ থেকে সম্মতি নিতে হবে।
জাতীয় ডেটা গভর্নেন্স অথরিটি (NDGA): নতুন তদারকি সংস্থা
আইনের কার্যকর প্রয়োগ নিশ্চিত করার জন্য জাতীয় ডেটা গভর্নেন্স অথরিটি (এনডিজিএ) প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানানো হয়েছে। এই স্বাধীন সংস্থা সম্মতি পর্যবেক্ষণ, নির্দেশিকা জারি, তদন্ত পরিচালনা এবং নাগরিকদের অভিযোগ দেখভালের দায়িত্ব পাবে।
এনডিজিএ উপাত্ত জিম্মাদারদের নিবন্ধন ও শ্রেণিবিন্যাস করবে, নিরীক্ষা পরিচালনা করবে এবং নিয়ম লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে জরিমানা আরোপ করার ক্ষমতা রাখবে।
কঠোর শাস্তি ও করপোরেট জবাবদিহি
অধ্যাদেশের নবম অধ্যায়ে ব্যক্তিগত উপাত্ত অধিকার লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে কঠোর দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
অপরাধ: ব্যক্তিগত উপাত্তের অননুমোদিত সংগ্রহ, ব্যবহার, হস্তক্ষেপ, আহরণ বা প্রকাশ।
দণ্ড: দোষী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ সাত বছর কারাদণ্ড, সর্বোচ্চ ২০ লাখ টাকা জরিমানা, অথবা উভয় দণ্ড হতে পারে। অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী দণ্ডের পরিমাণ পরিবর্তিত হতে পারে।
করপোরেট দায়: যদি কোনো কোম্পানি অপরাধ করে, তবে পরিচালক, ব্যবস্থাপক বা দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা ব্যক্তিগতভাবে দায়ী থাকবেন, যদি না তারা প্রমাণ করতে পারেন যে যথাযথ সতর্কতা অবলম্বন করেছেন।
এতে উপাত্ত লঙ্ঘনের (Data Breach) ঘটনা ঘটলে তা দ্রুত কর্তৃপক্ষকে জানানো বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
আন্তসীমান্ত উপাত্ত স্থানান্তর ও বাস্তবায়ন
বিশ্বব্যাপী ডেটার অবাধ প্রবাহের পরিপ্রেক্ষিতে অধ্যাদেশে আন্তসীমান্ত ডেটা স্থানান্তরের শর্তাবলি নির্ধারণ করা হয়েছে। ব্যক্তিগত উপাত্ত শুধু তখনই বাংলাদেশ থেকে বাইরে স্থানান্তর করা যাবে, যদি গ্রহীতা দেশ বা প্রতিষ্ঠান একই সুরক্ষার মান নিশ্চিত করতে পারে। এই ধারা বাংলাদেশের উপাত্ত সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি দেশকে আন্তর্জাতিক ডিজিটাল বাণিজ্য নেটওয়ার্কের সঙ্গে সংযুক্ত করবে।
বাস্তবায়নের সময়সীমা:
ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর কিছু ধারা সরকারি গেজেট প্রকাশের ১৮ মাস পর কার্যকর হবে। এই গ্রেস পিরিয়ড বা সময়টুকু সংস্থাগুলোকে তাদের অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়া, সাইবার নিরাপত্তা অবকাঠামো এবং কর্মীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে নতুন আইনের সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে নিতে সাহায্য করবে। এই সময়ের পরও নিয়ম মেনে চলতে ব্যর্থ হলে কঠোর প্রশাসনিক জরিমানা বা অন্যান্য আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

‘ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা অধ্যাদেশ-২০২৫’ এবং ‘জাতীয় উপাত্ত ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশ-২০২৫’ এর গেজেট প্রকাশ করেছে সরকার। প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব ফেসবুক পোস্টে এটিকে ‘ডেটা গভর্নেন্সে নতুন অধ্যায়ের সূচনা’ বলে অভিহিত করেছেন।
নতুন দুই অধ্যাদেশের ফলে ব্যক্তির তথ্য উপাত্ত নিয়ে জবাবদিহিহীন আদান-প্রদান এবং অবৈধ ব্যবসা আজ থেকে আইনিভাবে রহিত হলো বলে উল্লেখ করেন ফয়েজ আহমদ। এর মাধ্যমে প্ল্যাটফর্মগুলোর যৌক্তিক আচরণের অধ্যায়ও শুরু হলো বলে জানান তিনি। ফয়েজ আহমদ মনে করেন, নতুন দুই অধ্যাদেশের ফলে বাংলাদেশের ডেটা সার্বভৌমত্বকে লঙ্ঘন করে কেউ ডিজিটাল ব্যবসা করতে পারবে না।
বিশেষ সহকারী জানান, অধ্যাদেশ দুটোর কাজ বন্ধ করতে দেশ বিদেশ থেকে নানা প্রচেষ্টা চালানো হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘ডেটা গভর্নেন্স আইন থামাতে, ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা আইন বন্ধ করতে-আমাদের এসব কাজকে ডিলিজিটিমেট করতে দেশ-বিদেশ থেকে সংঘবদ্ধভাবে প্রোপাগান্ডা চালানো হয়েছে। এ জন্য আমাকে এবং আমার টিমকে প্রচণ্ড রকম যুদ্ধ করতে হয়েছে, অনেক যন্ত্রণা দেওয়া হয়েছে, এবং অপবাদ দেওয়া হয়েছে, আমরা সেগুলোতে থেমে যাইনি। বরং যারা এসব করেছে, তাদের মুখোশ উন্মোচন করা হবে আগামীতে। অত্যন্ত শক্তিশালী এক মোরাল নিয়ে আমরা যে কাজ করছি, এটা তাদের আবারও প্রমাণ করে ছেড়েছি।’
আইনটি কী পরিবর্তন আনবে?
আইসিটি উপদেষ্টা তাঁর পোস্টে উল্লেখ করেন, এই আইনের ফলে বাংলাদেশের নাগরিকদের উপাত্ত ব্যবস্থাপনার বিষয়টি আইনিভাবে সম্পূর্ণ ভিন্নমাত্রা পাবে। তিনি বলেন, ‘প্ল্যাটফর্ম লায়াবিলিটির দিক থেকে, গোপনীয় এবং সংবেদনশীল ডেটা ব্যবস্থাপনার দিক থেকে, সর্বোপরি উপাত্ত সংগ্রহ, সংরক্ষণ, বিনিময় এবং প্রক্রিয়াজাতকরণের দিক থেকে’ এই পরিবর্তন আসবে।
কেন এই আইন জরুরি?
বর্তমান বিশ্ব সম্পূর্ণরূপে ডেটানির্ভর। অনলাইন ব্যাংকিং, স্বাস্থ্যসেবা, ই-কমার্স এবং বায়োমেট্রিক নিবন্ধনের মতো সব ডিজিটাল কার্যক্রমে বাংলাদেশের নাগরিকদের অংশগ্রহণ দ্রুত বেড়েছে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে একটি সমন্বিত ডেটা সুরক্ষা আইন না থাকায় ব্যক্তিগত উপাত্ত ফাঁস বা অপব্যবহারের বিরুদ্ধে কার্যকর প্রতিকার পাওয়ার সুযোগ সীমিত ছিল। এই অধ্যাদেশ সেই দীর্ঘদিনের শূন্যতা পূরণের লক্ষ্যে তৈরি। এটি উপাত্তের গোপনীয়তাকে ব্যক্তির মর্যাদা, নিরাপত্তা ও জাতীয় সার্বভৌমত্বের সঙ্গে সম্পর্কিত একটি মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছে।
ভারত (২০২৩ সালে ডিজিটাল পারসোনাল ডেটা প্রোটেকশন আইন), সিঙ্গাপুর (২০১২ সালের আইন), জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, ও থাইল্যান্ডসহ এশিয়ার বহু দেশ যখন দ্রুত গতিতে এই ধরনের আইন তৈরি করছে, তখন বাংলাদেশের এই পদক্ষেপ অত্যন্ত সময়োপযোগী। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের জিডিপিআর (GDPR) এখনো ডেটা সুরক্ষার আদর্শ হিসেবে বিবেচিত, যা বৈশ্বিক বিনিয়োগ এবং বাণিজ্যের জন্য অপরিহার্য। এই শক্তিশালী আইনি কাঠামো ছাড়া বাংলাদেশ শুধু নাগরিকদের সুরক্ষা নয়, আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের আস্থা হারানোর ঝুঁকিতেও থাকত।
অধ্যাদেশের পরিধি ও প্রধান সংজ্ঞা
এই অধ্যাদেশটি বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ব্যক্তিগত উপাত্ত প্রক্রিয়াকরণকারী সরকারি, বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত সংস্থাগুলোর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। বিদেশে অবস্থানকারী বাংলাদেশি নাগরিকদের উপাত্ত পরিচালনাকারী সংস্থাগুলোর জন্যও এটি বাধ্যতামূলক।
ব্যক্তিগত উপাত্ত: এমন উপাত্ত, যা একজন ব্যক্তিকে শনাক্ত করতে পারে—যার মধ্যে রয়েছে নাম, ঠিকানা, আর্থিক উপাত্ত, অবস্থান, স্বাস্থ্য বিবরণ, জেনেটিক, বায়োমেট্রিক উপাত্ত এবং অন্যান্য তথ্য।
সংবেদনশীল উপাত্ত: বায়োমেট্রিকস, ধর্ম, বর্ণ, রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা, ট্রেড ইউনিয়ন সদস্যপদ, যৌন অভিমুখিতা, স্বাস্থ্য বা আইনি বিষয় সম্পর্কিত তথ্য। এই ধরনের উপাত্ত প্রক্রিয়াকরণের জন্য কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা ও স্পষ্ট সম্মতি প্রয়োজন।
উপাত্ত জিম্মাদার (Data Fiduciary): যিনি ব্যক্তিগত উপাত্ত প্রক্রিয়াকরণের উদ্দেশ্য নির্ধারণ করেন বা এই প্রক্রিয়াকরণের তত্ত্বাবধান করেন।
উপাত্ত প্রক্রিয়াকারী (Data Processor): যিনি উপাত্ত জিম্মাদারের পক্ষে ব্যক্তিগত উপাত্ত প্রক্রিয়াকরণ করেন।
নাগরিকের অধিকার: সম্মতিই মূল ভিত্তি
অধ্যাদেশের মূল ভিত্তি হলো ’সম্মতি’ এবং ’স্বচ্ছতা’। কোনো ব্যক্তির ব্যক্তিগত উপাত্ত সংগ্রহ বা প্রক্রিয়াকরণের আগে তাকে অবশ্যই জানাতে হবে এবং তার স্পষ্ট সম্মতি নিতে হবে। এই সম্মতি হতে হবে নির্দিষ্ট, স্বতঃসিদ্ধ ও স্বচ্ছ।
১. জানার অধিকার: উপাত্তধারীদের জানানো বাধ্যতামূলক যে তাদের উপাত্ত কেন সংগ্রহ করা হচ্ছে, কীভাবে ব্যবহৃত হবে এবং কতদিন সংরক্ষণ করা হবে।
২. প্রত্যাহারের অধিকার: কোনো ব্যক্তি যেকোনো সময় তাদের সম্মতি প্রত্যাহার করতে পারেন, এবং সম্মতি প্রত্যাহার করলে ডেটা নিয়ন্ত্রকদের সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট উপাত্ত প্রক্রিয়াকরণ বন্ধ করতে হবে।
৩. শিশুদের সুরক্ষা: এই অধ্যাদেশ শিশুদের উপাত্ত প্রক্রিয়াকরণের ওপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। শিশুদের লক্ষ্যভিত্তিক বিজ্ঞাপন, প্রোফাইলিং বা আচরণগত নজরদারি সুস্পষ্টভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে পিতামাতা বা আইনি অভিভাবকের কাছ থেকে সম্মতি নিতে হবে।
জাতীয় ডেটা গভর্নেন্স অথরিটি (NDGA): নতুন তদারকি সংস্থা
আইনের কার্যকর প্রয়োগ নিশ্চিত করার জন্য জাতীয় ডেটা গভর্নেন্স অথরিটি (এনডিজিএ) প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানানো হয়েছে। এই স্বাধীন সংস্থা সম্মতি পর্যবেক্ষণ, নির্দেশিকা জারি, তদন্ত পরিচালনা এবং নাগরিকদের অভিযোগ দেখভালের দায়িত্ব পাবে।
এনডিজিএ উপাত্ত জিম্মাদারদের নিবন্ধন ও শ্রেণিবিন্যাস করবে, নিরীক্ষা পরিচালনা করবে এবং নিয়ম লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে জরিমানা আরোপ করার ক্ষমতা রাখবে।
কঠোর শাস্তি ও করপোরেট জবাবদিহি
অধ্যাদেশের নবম অধ্যায়ে ব্যক্তিগত উপাত্ত অধিকার লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে কঠোর দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
অপরাধ: ব্যক্তিগত উপাত্তের অননুমোদিত সংগ্রহ, ব্যবহার, হস্তক্ষেপ, আহরণ বা প্রকাশ।
দণ্ড: দোষী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ সাত বছর কারাদণ্ড, সর্বোচ্চ ২০ লাখ টাকা জরিমানা, অথবা উভয় দণ্ড হতে পারে। অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী দণ্ডের পরিমাণ পরিবর্তিত হতে পারে।
করপোরেট দায়: যদি কোনো কোম্পানি অপরাধ করে, তবে পরিচালক, ব্যবস্থাপক বা দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা ব্যক্তিগতভাবে দায়ী থাকবেন, যদি না তারা প্রমাণ করতে পারেন যে যথাযথ সতর্কতা অবলম্বন করেছেন।
এতে উপাত্ত লঙ্ঘনের (Data Breach) ঘটনা ঘটলে তা দ্রুত কর্তৃপক্ষকে জানানো বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
আন্তসীমান্ত উপাত্ত স্থানান্তর ও বাস্তবায়ন
বিশ্বব্যাপী ডেটার অবাধ প্রবাহের পরিপ্রেক্ষিতে অধ্যাদেশে আন্তসীমান্ত ডেটা স্থানান্তরের শর্তাবলি নির্ধারণ করা হয়েছে। ব্যক্তিগত উপাত্ত শুধু তখনই বাংলাদেশ থেকে বাইরে স্থানান্তর করা যাবে, যদি গ্রহীতা দেশ বা প্রতিষ্ঠান একই সুরক্ষার মান নিশ্চিত করতে পারে। এই ধারা বাংলাদেশের উপাত্ত সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি দেশকে আন্তর্জাতিক ডিজিটাল বাণিজ্য নেটওয়ার্কের সঙ্গে সংযুক্ত করবে।
বাস্তবায়নের সময়সীমা:
ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর কিছু ধারা সরকারি গেজেট প্রকাশের ১৮ মাস পর কার্যকর হবে। এই গ্রেস পিরিয়ড বা সময়টুকু সংস্থাগুলোকে তাদের অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়া, সাইবার নিরাপত্তা অবকাঠামো এবং কর্মীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে নতুন আইনের সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে নিতে সাহায্য করবে। এই সময়ের পরও নিয়ম মেনে চলতে ব্যর্থ হলে কঠোর প্রশাসনিক জরিমানা বা অন্যান্য আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক স্টার্টআপ ‘উইজ’ কোম্পানিকে কিনে নিতে পারে সার্চ জায়ান্ট গুগল। প্রায় ২৩ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৩০০ কোটি মার্কিন ডলারের বিনিময়ে স্টার্টআপটিকে অধিগ্রহণ করতে পারে কোম্পানিটি। চুক্তিটি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে দুই কোম্পানির মধ্যে। এই চুক্তি কার্যকর হলে গুগলের ইতিহাসে এটাই হবে সবচেয়ে বড় অঙ্কের
১৮ জুলাই ২০২৪
গোপন নথি চুরির অভিযোগে চাকরিচ্যুত এক কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে প্রযুক্তি কোম্পানি ইন্টেল। মার্কিন গণমাধ্যম দ্য মারকিউরি নিউজ-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইন্টেলের সাবেক সফটওয়্যার প্রকৌশলী জিনফেং লুং ১৮ হাজার নথি চুরি করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বৃহৎ আর্থিক প্রতিষ্ঠান ব্যাংক অব আমেরিকা এক বিশাল আইনি জটিলতার মুখে পড়েছে। অভিযোগ উঠেছে, এই সংস্থা তাদের ঘণ্টাভিত্তিক শত শত কর্মীকে বঞ্চিত করেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
বিশ্বজুড়ে শিশুদের ওপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ক্ষতিকর কনটেন্ট ও বাণিজ্যিক প্রলোভনের প্রভাব বাড়ছে। এ উদ্বেগের প্রেক্ষিতে এবার ১৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ডেনমার্ক। দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্টের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বিশ্বজুড়ে শিশুদের ওপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ক্ষতিকর কনটেন্ট ও বাণিজ্যিক প্রলোভনের প্রভাব বাড়ছে। এ উদ্বেগের প্রেক্ষিতে এবার ১৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ডেনমার্ক। দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্টের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোনো সরকারের তরফ থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে কনিষ্ঠ বয়সীদের নিয়ন্ত্রণে নেওয়া পদক্ষেপগুলোর মধ্যে এটিকে সবচেয়ে ব্যাপক উদ্যোগ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এ সংক্রান্ত দেশটির নতুন এক আইনে বলা হয়েছে, বিশেষ মূল্যায়নের পর অভিভাবকরা চাইলে ১৩ ও ১৪ বছর বয়সী সন্তানদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের অনুমতি দিতে পারবেন। তবে এত বড় পরিসরের নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন কতটা সম্ভব, তা নিয়ে বড় প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
ডেনমার্কের ডিজিটালবিষয়ক মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘শিশু ও তরুণদের ঘুম নষ্ট হচ্ছে, মানসিক শান্তি ও মনোযোগ কমে যাচ্ছে। তারা এমন এক ডিজিটাল সম্পর্কের চাপে পড়ছে, যেখানে সবসময় প্রাপ্তবয়স্কদের উপস্থিতি থাকে না। এই পরিস্থিতি একা কোনো অভিভাবক, শিক্ষক বা শিক্ষাবিদ ঠেকাতে পারবেন না।’
অনেক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান তাদের প্ল্যাটফর্মে বয়সসীমা নির্ধারণ করে রেখেছে। তবুও প্রায়ই অপ্রাপ্তবয়স্করা সেই সীমাবদ্ধতা সহজেই এড়িয়ে যায় বলে স্বীকার করেন কর্মকর্তারা ও বিশেষজ্ঞরা।
ডেনমার্কের ডিজিটালবিষয়ক মন্ত্রী ক্যারোলিন স্টেজ জানান, ডেনমার্কে ১৩ বছরের নিচে থাকা ৯৪ শতাংশ শিশু ও ১০ বছরের নিচে থাকা অর্ধেকের বেশি শিশু ইতিমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রোফাইল খুলে ফেলেছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘শিশুরা অনলাইনে যে পরিমাণ সময় কাটায়, যে পরিমাণ সহিংসতা ও আত্মনাশের বিষয়বস্তু তারা দেখে, তা আমাদের সন্তানের জন্য ভয়াবহ ঝুঁকি তৈরি করছে।’
তিনি বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোকেও তীব্র সমালোচনা করেন। তাঁর ভাষায়, ‘ওদের কাছে অগাধ অর্থ রয়েছে, কিন্তু তারা আমাদের সন্তানের সুরক্ষায় বিনিয়োগ করতে চায় না। এমনকি সমাজের সবার নিরাপত্তায়ও নয়।’
ক্যারোলিন স্টেজ আরও জানান, এই নিষেধাজ্ঞা তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হচ্ছে না। এ বিষয়ে পার্লামেন্টে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যাঁরা একমত, তাঁদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকলেও আইনটি পাস হতে কয়েক মাস সময় লাগবে।
তিনি বলেন, ‘আমি আশ্বস্ত করতে পারি, ডেনমার্ক দ্রুত কাজ করবে। তবে আমরা তাড়াহুড়া করব না। নিশ্চিত করব নিয়ম যেন সঠিকভাবে প্রণয়ন হয় এবং বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর পালিয়ে যাওয়ার মতো কোনো ফাঁকফোকর না থাকে।’
মন্ত্রী আরও বলেন, বড় প্রযুক্তি কোম্পানির ব্যবসায়িক মডেল থেকে যে চাপ তৈরি হচ্ছে, তা অত্যন্ত ভয়াবহ।
তবে এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা বাস্তবে কীভাবে কার্যকর করা হবে তা নিয়ে ডেনমার্ক এখনো স্পষ্ট করে কিছু জানায়নি।
মন্ত্রী ক্যারোলিন স্টেজ জানান, ডেনমার্কের একটি জাতীয় ইলেকট্রনিক আইডি ব্যবস্থা আছে। ১৩ বছরের বেশি প্রায় সব নাগরিকেরই এই আইডি রয়েছে। সরকার এখন বয়স যাচাইয়ের জন্য আলাদা একটি অ্যাপ চালুর পরিকল্পনা করছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের আরও কয়েকটি দেশও একই ধরনের অ্যাপ পরীক্ষা করছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোকে আমাদের অ্যাপ ব্যবহার করতে বাধ্য করতে পারব না। কিন্তু আমরা বাধ্য করতে পারব যেন তারা কার্যকর বয়স যাচাই ব্যবস্থা রাখে। যদি তারা তা না করে, তাহলে আমরা ইউরোপীয় কমিশনের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেব এবং প্রয়োজনে তাদের বৈশ্বিক আয়ের ৬ শতাংশ পর্যন্ত জরিমানা করা হবে।’
বিশ্বজুড়ে অনেক সরকারই এখন অনলাইনে ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ন্ত্রণের উপায় খুঁজছে, যাতে প্রযুক্তির ইতিবাচক দিক ক্ষুণ্ন না হয়। ডিজিটাল মন্ত্রী জানান, ডেনমার্কের এই উদ্যোগের লক্ষ্য শিশুদের ডিজিটাল দুনিয়া থেকে বাদ দেওয়া নয়, বরং ক্ষতিকর কনটেন্ট থেকে তাদের সুরক্ষা দেওয়া।
মন্ত্রী ক্যারোলিন স্টেজ বলেন, ‘আমরা বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোকে বারবার সুযোগ দিয়েছি, যেন তারা তাদের প্ল্যাটফর্মে ঘটতে থাকা সমস্যাগুলোর সমাধান করে। কিন্তু তারা কিছুই করেনি। তাই এবার আমরা নিজেরাই নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব নেব যাতে আমাদের সন্তানের ভবিষ্যৎ নিরাপদ থাকে।’
এর আগে গত ডিসেম্বরে অস্ট্রেলিয়া বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে শিশুদের জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষিদ্ধ করে। দেশটির নতুন আইনের আওতায় টিকটক, ফেসবুক, স্ন্যাপচ্যাট, রেডিট, এক্স (পূর্বের টুইটার) ও ইনস্টাগ্রামের মতো প্ল্যাটফর্মগুলো এখন বড় অঙ্কের জরিমানার মুখে পড়তে পারে। দেশটিতে এই প্ল্যাটফর্মগুলো ব্যবহারে সর্বনিম্ন বয়সসীমা ধরা হয়েছে ১৬ বছর। ১৬ বছরের নিচে শিশুদের অ্যাকাউন্ট দেখা গেলে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ জরিমানা ধরা হয়েছে ৫ কোটি অস্ট্রেলীয় ডলার, যা প্রায় ২৫ মিলিয়ন পাউন্ড।

বিশ্বজুড়ে শিশুদের ওপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ক্ষতিকর কনটেন্ট ও বাণিজ্যিক প্রলোভনের প্রভাব বাড়ছে। এ উদ্বেগের প্রেক্ষিতে এবার ১৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ডেনমার্ক। দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্টের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোনো সরকারের তরফ থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে কনিষ্ঠ বয়সীদের নিয়ন্ত্রণে নেওয়া পদক্ষেপগুলোর মধ্যে এটিকে সবচেয়ে ব্যাপক উদ্যোগ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এ সংক্রান্ত দেশটির নতুন এক আইনে বলা হয়েছে, বিশেষ মূল্যায়নের পর অভিভাবকরা চাইলে ১৩ ও ১৪ বছর বয়সী সন্তানদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের অনুমতি দিতে পারবেন। তবে এত বড় পরিসরের নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন কতটা সম্ভব, তা নিয়ে বড় প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
ডেনমার্কের ডিজিটালবিষয়ক মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘শিশু ও তরুণদের ঘুম নষ্ট হচ্ছে, মানসিক শান্তি ও মনোযোগ কমে যাচ্ছে। তারা এমন এক ডিজিটাল সম্পর্কের চাপে পড়ছে, যেখানে সবসময় প্রাপ্তবয়স্কদের উপস্থিতি থাকে না। এই পরিস্থিতি একা কোনো অভিভাবক, শিক্ষক বা শিক্ষাবিদ ঠেকাতে পারবেন না।’
অনেক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান তাদের প্ল্যাটফর্মে বয়সসীমা নির্ধারণ করে রেখেছে। তবুও প্রায়ই অপ্রাপ্তবয়স্করা সেই সীমাবদ্ধতা সহজেই এড়িয়ে যায় বলে স্বীকার করেন কর্মকর্তারা ও বিশেষজ্ঞরা।
ডেনমার্কের ডিজিটালবিষয়ক মন্ত্রী ক্যারোলিন স্টেজ জানান, ডেনমার্কে ১৩ বছরের নিচে থাকা ৯৪ শতাংশ শিশু ও ১০ বছরের নিচে থাকা অর্ধেকের বেশি শিশু ইতিমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রোফাইল খুলে ফেলেছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘শিশুরা অনলাইনে যে পরিমাণ সময় কাটায়, যে পরিমাণ সহিংসতা ও আত্মনাশের বিষয়বস্তু তারা দেখে, তা আমাদের সন্তানের জন্য ভয়াবহ ঝুঁকি তৈরি করছে।’
তিনি বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোকেও তীব্র সমালোচনা করেন। তাঁর ভাষায়, ‘ওদের কাছে অগাধ অর্থ রয়েছে, কিন্তু তারা আমাদের সন্তানের সুরক্ষায় বিনিয়োগ করতে চায় না। এমনকি সমাজের সবার নিরাপত্তায়ও নয়।’
ক্যারোলিন স্টেজ আরও জানান, এই নিষেধাজ্ঞা তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হচ্ছে না। এ বিষয়ে পার্লামেন্টে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যাঁরা একমত, তাঁদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকলেও আইনটি পাস হতে কয়েক মাস সময় লাগবে।
তিনি বলেন, ‘আমি আশ্বস্ত করতে পারি, ডেনমার্ক দ্রুত কাজ করবে। তবে আমরা তাড়াহুড়া করব না। নিশ্চিত করব নিয়ম যেন সঠিকভাবে প্রণয়ন হয় এবং বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর পালিয়ে যাওয়ার মতো কোনো ফাঁকফোকর না থাকে।’
মন্ত্রী আরও বলেন, বড় প্রযুক্তি কোম্পানির ব্যবসায়িক মডেল থেকে যে চাপ তৈরি হচ্ছে, তা অত্যন্ত ভয়াবহ।
তবে এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা বাস্তবে কীভাবে কার্যকর করা হবে তা নিয়ে ডেনমার্ক এখনো স্পষ্ট করে কিছু জানায়নি।
মন্ত্রী ক্যারোলিন স্টেজ জানান, ডেনমার্কের একটি জাতীয় ইলেকট্রনিক আইডি ব্যবস্থা আছে। ১৩ বছরের বেশি প্রায় সব নাগরিকেরই এই আইডি রয়েছে। সরকার এখন বয়স যাচাইয়ের জন্য আলাদা একটি অ্যাপ চালুর পরিকল্পনা করছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের আরও কয়েকটি দেশও একই ধরনের অ্যাপ পরীক্ষা করছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোকে আমাদের অ্যাপ ব্যবহার করতে বাধ্য করতে পারব না। কিন্তু আমরা বাধ্য করতে পারব যেন তারা কার্যকর বয়স যাচাই ব্যবস্থা রাখে। যদি তারা তা না করে, তাহলে আমরা ইউরোপীয় কমিশনের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেব এবং প্রয়োজনে তাদের বৈশ্বিক আয়ের ৬ শতাংশ পর্যন্ত জরিমানা করা হবে।’
বিশ্বজুড়ে অনেক সরকারই এখন অনলাইনে ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ন্ত্রণের উপায় খুঁজছে, যাতে প্রযুক্তির ইতিবাচক দিক ক্ষুণ্ন না হয়। ডিজিটাল মন্ত্রী জানান, ডেনমার্কের এই উদ্যোগের লক্ষ্য শিশুদের ডিজিটাল দুনিয়া থেকে বাদ দেওয়া নয়, বরং ক্ষতিকর কনটেন্ট থেকে তাদের সুরক্ষা দেওয়া।
মন্ত্রী ক্যারোলিন স্টেজ বলেন, ‘আমরা বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোকে বারবার সুযোগ দিয়েছি, যেন তারা তাদের প্ল্যাটফর্মে ঘটতে থাকা সমস্যাগুলোর সমাধান করে। কিন্তু তারা কিছুই করেনি। তাই এবার আমরা নিজেরাই নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব নেব যাতে আমাদের সন্তানের ভবিষ্যৎ নিরাপদ থাকে।’
এর আগে গত ডিসেম্বরে অস্ট্রেলিয়া বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে শিশুদের জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষিদ্ধ করে। দেশটির নতুন আইনের আওতায় টিকটক, ফেসবুক, স্ন্যাপচ্যাট, রেডিট, এক্স (পূর্বের টুইটার) ও ইনস্টাগ্রামের মতো প্ল্যাটফর্মগুলো এখন বড় অঙ্কের জরিমানার মুখে পড়তে পারে। দেশটিতে এই প্ল্যাটফর্মগুলো ব্যবহারে সর্বনিম্ন বয়সসীমা ধরা হয়েছে ১৬ বছর। ১৬ বছরের নিচে শিশুদের অ্যাকাউন্ট দেখা গেলে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ জরিমানা ধরা হয়েছে ৫ কোটি অস্ট্রেলীয় ডলার, যা প্রায় ২৫ মিলিয়ন পাউন্ড।

সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক স্টার্টআপ ‘উইজ’ কোম্পানিকে কিনে নিতে পারে সার্চ জায়ান্ট গুগল। প্রায় ২৩ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৩০০ কোটি মার্কিন ডলারের বিনিময়ে স্টার্টআপটিকে অধিগ্রহণ করতে পারে কোম্পানিটি। চুক্তিটি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে দুই কোম্পানির মধ্যে। এই চুক্তি কার্যকর হলে গুগলের ইতিহাসে এটাই হবে সবচেয়ে বড় অঙ্কের
১৮ জুলাই ২০২৪
গোপন নথি চুরির অভিযোগে চাকরিচ্যুত এক কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে প্রযুক্তি কোম্পানি ইন্টেল। মার্কিন গণমাধ্যম দ্য মারকিউরি নিউজ-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইন্টেলের সাবেক সফটওয়্যার প্রকৌশলী জিনফেং লুং ১৮ হাজার নথি চুরি করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বৃহৎ আর্থিক প্রতিষ্ঠান ব্যাংক অব আমেরিকা এক বিশাল আইনি জটিলতার মুখে পড়েছে। অভিযোগ উঠেছে, এই সংস্থা তাদের ঘণ্টাভিত্তিক শত শত কর্মীকে বঞ্চিত করেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
‘ডেটা গভর্নেন্স আইন থামাতে, ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা আইন বন্ধ করতে-আমাদের এসব কাজকে ডিলিজিটিমেট করতে দেশ-বিদেশ থেকে সংঘবদ্ধভাবে প্রোপাগান্ডা চালানো হয়েছে। এ জন্য আমাকে এবং আমার টিমকে প্রচণ্ড রকম যুদ্ধ করতে হয়েছে, অনেক যন্ত্রণা দেওয়া হয়েছে, এবং অপবাদ দেওয়া হয়েছে, আমরা সেগুলোতে থেমে যাইনি।
২০ ঘণ্টা আগে