অনলাইন ডেস্ক
টিভি ও মনিটরের মতো স্মার্টফোনের ডিসপ্লেতেও একটি নির্দিষ্ট রিফ্রেশ রেট থাকে। অনেক দিন ধরেই বেশির ভাগ স্মার্টফোনে ৬০ হার্টজের বেশি রিফ্রেশ রেট ছিল না। এখনো পর্যন্ত অনেক সাধারণ আইফোনে (যেমন আইফোন ১৬ বা আইফোন ১৬ ই) ৬০ হার্টজের রিফ্রেশ রেট থাকে এবং সে কারণে ব্যবহারকারীরা হয়তো কিছু অভাব বোধ করেন না। তবে বর্তমান সময়ে প্রো সংস্করণ এবং বেশ কিছু অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ১২০ হার্টজ ডিসপ্লে দেওয়া হচ্ছে।
রিফ্রেশ রেট কী
রিফ্রেশ রেট হলো একটি স্ক্রিন বা ডিসপ্লে প্রতি সেকেন্ডে কতবার ছবি বা ফ্রেম আপডেট করে, তার পরিমাপক। এটি হার্টজ এককে প্রকাশ করা হয়। একটি ৬০ হার্টজ রিফ্রেশ রেট মানে স্ক্রিন প্রতি সেকেন্ডে ৬০ বার আপডেট হয়। ১২০ হার্টজ রিফ্রেশ রেট মানে স্ক্রিন প্রতি সেকেন্ডে ১২০ বার নতুন ফ্রেম দেখায়।
এই ১২০ হার্টজের স্মার্টফোনে ৫টি বিশেষ সুবিধা পাওয়া যায়। সেগুলো হলো—
১. নিরবচ্ছিন্ন স্ক্রলিং
সবচেয়ে প্রথম যে ব্যাপারটি চোখে পড়ে তা হলো, ৬০ হার্টজের ফোনের তুলনায় ১২০ হর্টজের ফোনের ইন্টারফেস অনেক বেশি স্পষ্ট ও দ্রুত মনে হয়। স্ক্রলিং বা টেক্সট রিডিংয়ের সময় স্ক্রিনে কোনো কাঁপুনি দেখা যায় না। ৬০ হার্টজ ফোনে মাঝে মাঝে ‘কাঁপুনি’ দেখা দিতে পারে, তবে ১২০ হার্টজ ফোনে সেটা প্রায় অস্পষ্ট হয়ে যায়।
তাই একবার ১২০ হার্টজের ফোন ব্যবহার করলে কেউ ৬০ হার্টজে ফিরে যেতে চায় না। তবে আশ্চর্যজনকভাবে ৮০০ ডলারের আইফোনেও ১২০ হার্টজ প্যানেল যুক্ত করছে না অ্যাপল।
২. অলওয়েজ-অন ডিসপ্লে প্রযুক্তি
১২০ হার্টজ ফোনে প্রায়শই অলওয়েজ-অন ডিসপ্লে প্রযুক্তি পাওয়া যায়। এতে ফোনটি ওয়ান হার্টজ (১ হার্টজ) রিফ্রেশ রেটেও কাজ করতে পারে, যা অনেক কম শক্তি খরচ করে। এই প্রযুক্তি ব্যবহারকারীদের লকস্ক্রিন থেকে দ্রুত সময়, ব্যাটারি লেভেল বা নোটিফিকেশন দেখতে দেয়, যাতে ফোন খোলার বা স্ক্রিন ট্যাপ করার প্রয়োজন পড়ে না। ফলে বেশ কিছু সময় বাঁচানো যায়।
৩. বিদ্যুৎ সাশ্রয়
আপনি হয়তো ভাবছেন যে ৬০ হার্টজ ডিসপ্লে বেশি বিদ্যুৎ-শক্তি সাশ্রয়ী হবে, তবে বাস্তবে ১২০ হার্টজ ডিসপ্লে ফোনগুলো ডাইনামিক রিফ্রেশ রেটের মাধ্যমে শক্তি কম খরচ করে। উদাহরণস্বরূপ, যখন আপনি একটি স্থির ওয়েবপেজে প্রবেশ করছেন, তখন ফোনের রিফ্রেশ রেট কমে গিয়ে আরও কম শক্তি খরচ করতে পারে, আর গেম খেলার সময় আবার সেটা ১২০ হার্টজে ফিরে আসে। এভাবে ফোন তার ব্যাটারি কম খরচ করে।
অলওয়েজ-অন ফিচার বন্ধ করে দেওয়া অথবা রিফ্রেশ রেটের সর্বোচ্চ সীমা কমিয়ে রাখলে আরও ভালোভাবে ব্যাটারির খরচ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। তবুও এই সুবিধাগুলো কতটা কার্যকর হবে তা আপনার ব্যবহৃত ফোন ও এর সফটওয়্যার অপশনের ওপর নির্ভর করে। তাই ফোন কেনার আগে স্পেসিফিকেশন ও রিভিউ ভালোভাবে খতিয়ে দেখা উচিত।
৪. গেমিংয়ে আরও বেশি প্রতিক্রিয়াশীল
১২০ হার্টজ ডিসপ্লে ফোন গেমিংয়ের জন্য খুবই উপকারী, বিশেষত যদি আপনার ফোনের প্রসেসর শক্তিশালী হয়। ‘ফ্রেমস উইন গেমস’ বলে যে কথা প্রচলিত, সেটা একেবারে ঠিক। উচ্চ ফ্রেম রেট আপনাকে গেমের মধ্যে দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানাতে সহায়তা করে। ফলস্বরূপ, গেমের মধ্যে প্রতিটি মুহূর্তে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়।
৫. তিন গুণ দ্রুত টাচ রেসপন্স
১২০ হার্টজ ডিসপ্লে ফোনে টাচ রেসপন্স অনেক দ্রুত হতে পারে। অর্থাৎ, এ ধরনের ফোনে স্ক্রিন টাচ করার পর প্রতিক্রিয়া দেখানোর সময় উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায়। ফলে টাইপিং আরও দ্রুত ও নির্ভুল হয়, কারণ প্রতিটি স্পর্শের সাড়া তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়। এতে টাইপিংয়ের সময় ভুল হওয়ার সম্ভাবনাও কমে যায়।
এসব সুবিধা এমন একটা অভিজ্ঞতা তৈরি করে, যা বেশির ভাগ ব্যবহারকারীর কাছে ১২০ হার্টজ ডিসপ্লেকে আকর্ষণীয় করে তোলে।
টিভি ও মনিটরের মতো স্মার্টফোনের ডিসপ্লেতেও একটি নির্দিষ্ট রিফ্রেশ রেট থাকে। অনেক দিন ধরেই বেশির ভাগ স্মার্টফোনে ৬০ হার্টজের বেশি রিফ্রেশ রেট ছিল না। এখনো পর্যন্ত অনেক সাধারণ আইফোনে (যেমন আইফোন ১৬ বা আইফোন ১৬ ই) ৬০ হার্টজের রিফ্রেশ রেট থাকে এবং সে কারণে ব্যবহারকারীরা হয়তো কিছু অভাব বোধ করেন না। তবে বর্তমান সময়ে প্রো সংস্করণ এবং বেশ কিছু অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ১২০ হার্টজ ডিসপ্লে দেওয়া হচ্ছে।
রিফ্রেশ রেট কী
রিফ্রেশ রেট হলো একটি স্ক্রিন বা ডিসপ্লে প্রতি সেকেন্ডে কতবার ছবি বা ফ্রেম আপডেট করে, তার পরিমাপক। এটি হার্টজ এককে প্রকাশ করা হয়। একটি ৬০ হার্টজ রিফ্রেশ রেট মানে স্ক্রিন প্রতি সেকেন্ডে ৬০ বার আপডেট হয়। ১২০ হার্টজ রিফ্রেশ রেট মানে স্ক্রিন প্রতি সেকেন্ডে ১২০ বার নতুন ফ্রেম দেখায়।
এই ১২০ হার্টজের স্মার্টফোনে ৫টি বিশেষ সুবিধা পাওয়া যায়। সেগুলো হলো—
১. নিরবচ্ছিন্ন স্ক্রলিং
সবচেয়ে প্রথম যে ব্যাপারটি চোখে পড়ে তা হলো, ৬০ হার্টজের ফোনের তুলনায় ১২০ হর্টজের ফোনের ইন্টারফেস অনেক বেশি স্পষ্ট ও দ্রুত মনে হয়। স্ক্রলিং বা টেক্সট রিডিংয়ের সময় স্ক্রিনে কোনো কাঁপুনি দেখা যায় না। ৬০ হার্টজ ফোনে মাঝে মাঝে ‘কাঁপুনি’ দেখা দিতে পারে, তবে ১২০ হার্টজ ফোনে সেটা প্রায় অস্পষ্ট হয়ে যায়।
তাই একবার ১২০ হার্টজের ফোন ব্যবহার করলে কেউ ৬০ হার্টজে ফিরে যেতে চায় না। তবে আশ্চর্যজনকভাবে ৮০০ ডলারের আইফোনেও ১২০ হার্টজ প্যানেল যুক্ত করছে না অ্যাপল।
২. অলওয়েজ-অন ডিসপ্লে প্রযুক্তি
১২০ হার্টজ ফোনে প্রায়শই অলওয়েজ-অন ডিসপ্লে প্রযুক্তি পাওয়া যায়। এতে ফোনটি ওয়ান হার্টজ (১ হার্টজ) রিফ্রেশ রেটেও কাজ করতে পারে, যা অনেক কম শক্তি খরচ করে। এই প্রযুক্তি ব্যবহারকারীদের লকস্ক্রিন থেকে দ্রুত সময়, ব্যাটারি লেভেল বা নোটিফিকেশন দেখতে দেয়, যাতে ফোন খোলার বা স্ক্রিন ট্যাপ করার প্রয়োজন পড়ে না। ফলে বেশ কিছু সময় বাঁচানো যায়।
৩. বিদ্যুৎ সাশ্রয়
আপনি হয়তো ভাবছেন যে ৬০ হার্টজ ডিসপ্লে বেশি বিদ্যুৎ-শক্তি সাশ্রয়ী হবে, তবে বাস্তবে ১২০ হার্টজ ডিসপ্লে ফোনগুলো ডাইনামিক রিফ্রেশ রেটের মাধ্যমে শক্তি কম খরচ করে। উদাহরণস্বরূপ, যখন আপনি একটি স্থির ওয়েবপেজে প্রবেশ করছেন, তখন ফোনের রিফ্রেশ রেট কমে গিয়ে আরও কম শক্তি খরচ করতে পারে, আর গেম খেলার সময় আবার সেটা ১২০ হার্টজে ফিরে আসে। এভাবে ফোন তার ব্যাটারি কম খরচ করে।
অলওয়েজ-অন ফিচার বন্ধ করে দেওয়া অথবা রিফ্রেশ রেটের সর্বোচ্চ সীমা কমিয়ে রাখলে আরও ভালোভাবে ব্যাটারির খরচ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। তবুও এই সুবিধাগুলো কতটা কার্যকর হবে তা আপনার ব্যবহৃত ফোন ও এর সফটওয়্যার অপশনের ওপর নির্ভর করে। তাই ফোন কেনার আগে স্পেসিফিকেশন ও রিভিউ ভালোভাবে খতিয়ে দেখা উচিত।
৪. গেমিংয়ে আরও বেশি প্রতিক্রিয়াশীল
১২০ হার্টজ ডিসপ্লে ফোন গেমিংয়ের জন্য খুবই উপকারী, বিশেষত যদি আপনার ফোনের প্রসেসর শক্তিশালী হয়। ‘ফ্রেমস উইন গেমস’ বলে যে কথা প্রচলিত, সেটা একেবারে ঠিক। উচ্চ ফ্রেম রেট আপনাকে গেমের মধ্যে দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানাতে সহায়তা করে। ফলস্বরূপ, গেমের মধ্যে প্রতিটি মুহূর্তে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়।
৫. তিন গুণ দ্রুত টাচ রেসপন্স
১২০ হার্টজ ডিসপ্লে ফোনে টাচ রেসপন্স অনেক দ্রুত হতে পারে। অর্থাৎ, এ ধরনের ফোনে স্ক্রিন টাচ করার পর প্রতিক্রিয়া দেখানোর সময় উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায়। ফলে টাইপিং আরও দ্রুত ও নির্ভুল হয়, কারণ প্রতিটি স্পর্শের সাড়া তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়। এতে টাইপিংয়ের সময় ভুল হওয়ার সম্ভাবনাও কমে যায়।
এসব সুবিধা এমন একটা অভিজ্ঞতা তৈরি করে, যা বেশির ভাগ ব্যবহারকারীর কাছে ১২০ হার্টজ ডিসপ্লেকে আকর্ষণীয় করে তোলে।
কয়েক সপ্তাহ আগে নিজেদের তৈরি ‘ক্লদ ওপাস’ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) মডেলের বিরুদ্ধে ব্ল্যাকমেলের অভিযোগ তুলে আলোচনায় এসেছিল এআই গবেষণাপ্রতিষ্ঠান অ্যানথ্রপিক। এবার আরও বিস্তৃত গবেষণা প্রকাশ করে প্রতিষ্ঠানটি বলছে—এই প্রবণতা শুধু ক্লদে নয়, বরং বিশ্বের শীর্ষ এআই মডেলগুলোর মধ্যেই এই ঝুঁকি রয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগেভূগর্ভস্থ পানির পাইপে কোনো ছিদ্র বা ফাটল খুঁজে বের করা যেমন কষ্টসাধ্য, তেমনি ব্যয়বহুল ও সময়সাপেক্ষ। প্রায়ই এই কাজের জন্য রাস্তা খুঁড়ে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করতে হয়। তবে এ চিত্র বদলে দিতে পারে ক্ষুদ্রাকৃতির এক রোবট, যা নিজে থেকেই পাইপে ঢুকে ছিদ্র শনাক্ত করে মেরামত করতে পারে।
১১ ঘণ্টা আগেইন্টারনেটের ইতিহাসে অন্যতম বৃহৎ তথ্য ফাঁসের ঘটনার প্রমাণ পেয়েছেন সাইবার নিরাপত্তা গবেষকরা। ডেটা ব্রিচ বা তথ্য লঙ্ঘনের এই ঘটনায় ফাঁস (লিক) হয়েছে ১৬ বিলিয়ন বা ১৬ শ কোটি লগইন তথ্য ও পাসওয়ার্ড। সাইবারনিউজ ও ফোর্বসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ফাঁস বিশ্বব্যাপী লাখ লাখ ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত...
১১ ঘণ্টা আগেকৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক প্রযুক্তি চ্যাটজিপিটি মানুষের মস্তিষ্কে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলে প্রমাণ পেয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি)-এর বিজ্ঞানীরা। প্রতিষ্ঠানটির খ্যাতনামা মিডিয়া ল্যাব পরিচালিত এক নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, যারা লেখালেখির কাজে...
১৪ ঘণ্টা আগে