আব্দুর রহমান

প্রায় ৪৪ বিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটার কিনে নিতে যাচ্ছেন টেক জায়ান্ট টেসলা ও স্পেস-এক্সের মালিক ইলন মাস্ক। এই খবর পুরোনো। কিন্তু হঠাৎ ইলেকট্রিক গাড়ি ও রকেট ইঞ্জিন প্রযুক্তির উন্নয়নে বিনিয়োগকারীর টুইটার কিনে নেওয়ার কারণটা কী? মাস্ক নিজেই এই প্রশ্নের একটি সহজ জবাব দিয়েছেন। আর তা হলো—সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বাক্স্বাধীনতা নিশ্চিত করা।
মাস্ক নিজেকে সব সময়ই ‘বাক্স্বাধীনতার একজন নিরঙ্কুশ সমর্থক’ হিসেবে দাবি করেছেন। গত সোমবার টুইটার কিনে নেওয়া প্রসঙ্গে দেওয়া এক বিবৃতিতে মাস্ক টুইটারের সব ব্যবহারকারীকে নতুন নতুন ফিচার উপহার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এমনকি মাস্ক এক টুইটে জানিয়েছেন, ‘বাক্স্বাধীনতা একটি কার্যকরী গণতন্ত্রের ভিত্তি এবং টুইটার হলো সেই ডিজিটাল জনপরিসর যেখানে মানবতার ভবিষ্যতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে বিতর্ক হয়।’
মাস্ক বলেছেন, ‘আমি টুইটারকে আরও ভালো অবস্থানে নিতে চাই।’ নতুন ফিচার যুক্ত করা, আস্থা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এর অ্যালগরিদম উন্মুক্ত (ওপেন সোর্স) করা, স্প্যাম প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেওয়া এবং সেই সঙ্গে সব ব্যবহারকারীর পরিচয় নিশ্চিতের ব্যবস্থা করার মাধ্যমে সেই লক্ষ্য অর্জন করতে চান তিনি। আরেক টুইটে ইলন মাস্ক বলেছেন, ‘আমি আশা করি, আমার সবচেয়ে কঠোর ও বাজে সমালোচকও টুইটারে বহালতবিয়তে থাকবেন। কারণ, এটাই হলো স্বাধীন মত বা মত প্রকাশের স্বাধীনতা।’
অবশ্য গত কয়েক বছর ধরে মিথ্যা ও ভুয়া তথ্যের বিস্তার প্রতিরোধ নিয়ে হিমশিম খেতে থাকা টুইটারকে আরও স্বচ্ছ ও নিরাপদ করতে ইলন মাস্ক আসলে কোন ধরনের ব্যবস্থা নেবেন, সেটি এখনো পরিষ্কার নয়। তিনি তাঁর পরিকল্পনার কথা কখনো পরিষ্কার করে বলেনও না। তবে ইলন মাস্কের মতো ব্যক্তিত্বের সঙ্গে অসাধ্য কিছু করে দেখানোর বিষয়টি খুব ভালোমতোই যায়। এর আগেও একাধিকবার মাস্ক অসাধ্যসাধন করে দেখিয়েছেন। বিশ্লেষকেরা বলছেন, অন্যান্যবারের তুলনায় তাঁর এবারের যাত্রাটি একেবারেই আলাদা। অন্যান্যবার যেখানে মাস্কের সামনে প্রযুক্তিগত বাধা ছিল, এবার তার পরিবর্তে তাঁর সামনে মতাদর্শগত ও রাজনৈতিক বাধা প্রবলভাবে হাজির হবে। এবং এই বাধাগুলো উতরে যাওয়াই হবে ইলন মাস্কের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের একমাত্র উপায়।
যাত্রা শুরুর পর থেকে মাত্র দুই অর্থবছরে লাভের মুখ দেখতে পেরেছে টুইটার। যদিও ব্যবহারকারীর সংখ্যার ভিত্তিতে বিশ্বের সেরা ১০ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের তালিকায় নেই টুইটার, রয়েছে ১৫ নম্বরে। ইলন মাস্ক তবে কেন এমন একটি প্রতিষ্ঠানের পেছনে ৪৪ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করলেন? এর উত্তর দিয়েছেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান মিডিয়া ম্যাটারসের প্রধান অ্যাঞ্জেলো ক্যারুসোন। তিনি বলেছেন, ‘আর্থিক কারণে মাস্ক টুইটার কেনেননি, যদিও তিনি মনে করেন এ থেকে কিছু অর্থ আয় করাও সম্ভব। তবে তিনি মূলত এটি কিনেছেন মতাদর্শগত কারণে। এবং এটিই সবচেয়ে ভয়ের বিষয়।’
ভুল তথ্য ও ঘৃণাত্মক বক্তব্য ছড়ানোর বিষয়টিই আজকের দুনিয়ায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোর জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দিয়েছে। টুইটারও এর বাইরে নয়। গতবারের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে টুইটার প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে ভুল তথ্য ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছিল। এই ভুল তথ্য ও ঘৃণাত্মক বক্তব্য ছড়ানো ঠেকাতে কী করা হবে, তার সামান্য ইঙ্গিত মাস্ক দিলেও উন্মুক্ত জনপরিসর হওয়ায় এ ধরনের কনটেন্টের পরিমাণ আরও বেড়ে যায় কি না, তা নিয়ে বিশ্লেষকদের আশঙ্কা রয়েছে। তাঁদের মতে, চরমপন্থা, অতি-ডান, অতি-বামের মতো রাজনৈতিক মতাদর্শও এ সুযোগে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে।
এ প্রসঙ্গে নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর সোশ্যাল মিডিয়া অ্যান্ড পলিটিকসের অধ্যাপক জেভ স্যান্ডারসন বলেছেন, ‘যদি তিনি (মাস্ক) বাক্স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে গিয়ে ঘৃণাত্মক বক্তব্য ও ভুল তথ্যের বিরুদ্ধে টুইটারের এত দিনের লড়াকু নীতিকেও নিশ্চিহ্ন করে দেন, তবে তা টুইটারের জন্য একটি খারাপ দিক হতে চলেছে।’
বাক্স্বাধীনতা নিশ্চিতের ক্ষেত্রে কী কী বাধার সম্মুখীন হতে পারেন ইলন মাস্ক, তার একটি প্রামাণ্য উদাহরণ হতে পারে চীনের আলীবাবার জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট কিনে নেওয়ার ঘটনা। চীনা কর্তৃপক্ষ হংকং আন্দোলনের বিষয়টি কোনোভাবেই তাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে গিয়ে স্বাধীনভাবে বিশ্বের সামনে হাজির করতে দেয়নি। এই ঘটনার সূত্র ধরে বিশ্লেষকদের ধারণা—আলীবাবা যেমন প্রতিরোধের মুখে পড়েছিল, তেমনি গোপন ঝুঁকিতে পড়তে হতে পারে ইলন মাস্ককেও।
যুক্তরাষ্ট্র এরই মধ্যে জানিয়ে দিয়েছে, টুইটারকে চলতে হবে দেশটির সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম-সংক্রান্ত নিয়মকানুন মেনেই। একই রকম হুমকি দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নও। ইউরোপিয়ান কমিশনার ফর ইন্টারনেট মার্কেট থিয়েরি ব্রেটন টুইটারকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সংশ্লিষ্ট নিয়ম মেনে চলতে হবে বলে উল্লেখ করেছেন। কেবল তা-ই নয়, মাস্কের টুইটার কিনে নেওয়ার বিষয়টি চীনের নতুন মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠতে পারে বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের।
ফলে কেবল বিশ্বজুড়ে প্রতিকূল রাজনৈতিক আবহাওয়াই নয়, মাস্ককে বাক্স্বাধীনতার বিষয়টি নিশ্চিত করতে গেলে মোকাবিলা করতে হবে আরও কিছু বিষয়। তবে তার মধ্যে একটির সমাধান মাস্ক নিজেই দিয়ে রেখেছেন—অ্যালগরিদম উন্মুক্ত রাখার ঘোষণা দিয়ে। তবে এর বাইরে আরও একটি বিষয় বিশেষজ্ঞদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। তা হলো—মাস্কের বাক্স্বাধীনতা নিশ্চিতের ঘোষণার বিষয়টি বিজ্ঞাপনদাতাদের বিরক্তির উদ্রেক করতে পারে। থিংক ট্যাংক হারগ্রিভস ল্যান্সডাউনের বিশ্লেষক সুসানাহ স্ট্রিটার বলেন, মাস্কের বিতর্কিত বাক্স্বাধীনতা-বিষয়ক বক্তব্য দেওয়ার পর টুইটারের জন্য তাদের প্রতিষ্ঠানের আয় বৃদ্ধির বিষয়টি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে।
রাজনৈতিক ও মতাদর্শগত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও টুইটারে বাক্স্বাধীনতা নিশ্চিতের বিষয়টি নিয়ে ইলন মাস্ক দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হয়ে এগোতে চাইতে পারেন। তার জন্য অবশ্যই মাস্ককে স্পষ্ট করতে হবে যে, তিনি টুইটারে বাক্স্বাধীনতা নিশ্চিত বলতে কতটুকু সীমা নির্ধারণ করবেন এবং টুইটার থেকে তিনি আসলে কী অর্জন করতে চান। তাঁর সেই বক্তব্য না পাওয়া অবধি অপেক্ষাই ভরসা।
তথ্যসূত্র: আল জাজিরা, দ্য ভার্জ, বিবিসি ও রয়টার্স

প্রায় ৪৪ বিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটার কিনে নিতে যাচ্ছেন টেক জায়ান্ট টেসলা ও স্পেস-এক্সের মালিক ইলন মাস্ক। এই খবর পুরোনো। কিন্তু হঠাৎ ইলেকট্রিক গাড়ি ও রকেট ইঞ্জিন প্রযুক্তির উন্নয়নে বিনিয়োগকারীর টুইটার কিনে নেওয়ার কারণটা কী? মাস্ক নিজেই এই প্রশ্নের একটি সহজ জবাব দিয়েছেন। আর তা হলো—সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বাক্স্বাধীনতা নিশ্চিত করা।
মাস্ক নিজেকে সব সময়ই ‘বাক্স্বাধীনতার একজন নিরঙ্কুশ সমর্থক’ হিসেবে দাবি করেছেন। গত সোমবার টুইটার কিনে নেওয়া প্রসঙ্গে দেওয়া এক বিবৃতিতে মাস্ক টুইটারের সব ব্যবহারকারীকে নতুন নতুন ফিচার উপহার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এমনকি মাস্ক এক টুইটে জানিয়েছেন, ‘বাক্স্বাধীনতা একটি কার্যকরী গণতন্ত্রের ভিত্তি এবং টুইটার হলো সেই ডিজিটাল জনপরিসর যেখানে মানবতার ভবিষ্যতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে বিতর্ক হয়।’
মাস্ক বলেছেন, ‘আমি টুইটারকে আরও ভালো অবস্থানে নিতে চাই।’ নতুন ফিচার যুক্ত করা, আস্থা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এর অ্যালগরিদম উন্মুক্ত (ওপেন সোর্স) করা, স্প্যাম প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেওয়া এবং সেই সঙ্গে সব ব্যবহারকারীর পরিচয় নিশ্চিতের ব্যবস্থা করার মাধ্যমে সেই লক্ষ্য অর্জন করতে চান তিনি। আরেক টুইটে ইলন মাস্ক বলেছেন, ‘আমি আশা করি, আমার সবচেয়ে কঠোর ও বাজে সমালোচকও টুইটারে বহালতবিয়তে থাকবেন। কারণ, এটাই হলো স্বাধীন মত বা মত প্রকাশের স্বাধীনতা।’
অবশ্য গত কয়েক বছর ধরে মিথ্যা ও ভুয়া তথ্যের বিস্তার প্রতিরোধ নিয়ে হিমশিম খেতে থাকা টুইটারকে আরও স্বচ্ছ ও নিরাপদ করতে ইলন মাস্ক আসলে কোন ধরনের ব্যবস্থা নেবেন, সেটি এখনো পরিষ্কার নয়। তিনি তাঁর পরিকল্পনার কথা কখনো পরিষ্কার করে বলেনও না। তবে ইলন মাস্কের মতো ব্যক্তিত্বের সঙ্গে অসাধ্য কিছু করে দেখানোর বিষয়টি খুব ভালোমতোই যায়। এর আগেও একাধিকবার মাস্ক অসাধ্যসাধন করে দেখিয়েছেন। বিশ্লেষকেরা বলছেন, অন্যান্যবারের তুলনায় তাঁর এবারের যাত্রাটি একেবারেই আলাদা। অন্যান্যবার যেখানে মাস্কের সামনে প্রযুক্তিগত বাধা ছিল, এবার তার পরিবর্তে তাঁর সামনে মতাদর্শগত ও রাজনৈতিক বাধা প্রবলভাবে হাজির হবে। এবং এই বাধাগুলো উতরে যাওয়াই হবে ইলন মাস্কের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের একমাত্র উপায়।
যাত্রা শুরুর পর থেকে মাত্র দুই অর্থবছরে লাভের মুখ দেখতে পেরেছে টুইটার। যদিও ব্যবহারকারীর সংখ্যার ভিত্তিতে বিশ্বের সেরা ১০ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের তালিকায় নেই টুইটার, রয়েছে ১৫ নম্বরে। ইলন মাস্ক তবে কেন এমন একটি প্রতিষ্ঠানের পেছনে ৪৪ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করলেন? এর উত্তর দিয়েছেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান মিডিয়া ম্যাটারসের প্রধান অ্যাঞ্জেলো ক্যারুসোন। তিনি বলেছেন, ‘আর্থিক কারণে মাস্ক টুইটার কেনেননি, যদিও তিনি মনে করেন এ থেকে কিছু অর্থ আয় করাও সম্ভব। তবে তিনি মূলত এটি কিনেছেন মতাদর্শগত কারণে। এবং এটিই সবচেয়ে ভয়ের বিষয়।’
ভুল তথ্য ও ঘৃণাত্মক বক্তব্য ছড়ানোর বিষয়টিই আজকের দুনিয়ায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোর জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দিয়েছে। টুইটারও এর বাইরে নয়। গতবারের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে টুইটার প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে ভুল তথ্য ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছিল। এই ভুল তথ্য ও ঘৃণাত্মক বক্তব্য ছড়ানো ঠেকাতে কী করা হবে, তার সামান্য ইঙ্গিত মাস্ক দিলেও উন্মুক্ত জনপরিসর হওয়ায় এ ধরনের কনটেন্টের পরিমাণ আরও বেড়ে যায় কি না, তা নিয়ে বিশ্লেষকদের আশঙ্কা রয়েছে। তাঁদের মতে, চরমপন্থা, অতি-ডান, অতি-বামের মতো রাজনৈতিক মতাদর্শও এ সুযোগে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে।
এ প্রসঙ্গে নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর সোশ্যাল মিডিয়া অ্যান্ড পলিটিকসের অধ্যাপক জেভ স্যান্ডারসন বলেছেন, ‘যদি তিনি (মাস্ক) বাক্স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে গিয়ে ঘৃণাত্মক বক্তব্য ও ভুল তথ্যের বিরুদ্ধে টুইটারের এত দিনের লড়াকু নীতিকেও নিশ্চিহ্ন করে দেন, তবে তা টুইটারের জন্য একটি খারাপ দিক হতে চলেছে।’
বাক্স্বাধীনতা নিশ্চিতের ক্ষেত্রে কী কী বাধার সম্মুখীন হতে পারেন ইলন মাস্ক, তার একটি প্রামাণ্য উদাহরণ হতে পারে চীনের আলীবাবার জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট কিনে নেওয়ার ঘটনা। চীনা কর্তৃপক্ষ হংকং আন্দোলনের বিষয়টি কোনোভাবেই তাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে গিয়ে স্বাধীনভাবে বিশ্বের সামনে হাজির করতে দেয়নি। এই ঘটনার সূত্র ধরে বিশ্লেষকদের ধারণা—আলীবাবা যেমন প্রতিরোধের মুখে পড়েছিল, তেমনি গোপন ঝুঁকিতে পড়তে হতে পারে ইলন মাস্ককেও।
যুক্তরাষ্ট্র এরই মধ্যে জানিয়ে দিয়েছে, টুইটারকে চলতে হবে দেশটির সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম-সংক্রান্ত নিয়মকানুন মেনেই। একই রকম হুমকি দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নও। ইউরোপিয়ান কমিশনার ফর ইন্টারনেট মার্কেট থিয়েরি ব্রেটন টুইটারকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সংশ্লিষ্ট নিয়ম মেনে চলতে হবে বলে উল্লেখ করেছেন। কেবল তা-ই নয়, মাস্কের টুইটার কিনে নেওয়ার বিষয়টি চীনের নতুন মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠতে পারে বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের।
ফলে কেবল বিশ্বজুড়ে প্রতিকূল রাজনৈতিক আবহাওয়াই নয়, মাস্ককে বাক্স্বাধীনতার বিষয়টি নিশ্চিত করতে গেলে মোকাবিলা করতে হবে আরও কিছু বিষয়। তবে তার মধ্যে একটির সমাধান মাস্ক নিজেই দিয়ে রেখেছেন—অ্যালগরিদম উন্মুক্ত রাখার ঘোষণা দিয়ে। তবে এর বাইরে আরও একটি বিষয় বিশেষজ্ঞদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। তা হলো—মাস্কের বাক্স্বাধীনতা নিশ্চিতের ঘোষণার বিষয়টি বিজ্ঞাপনদাতাদের বিরক্তির উদ্রেক করতে পারে। থিংক ট্যাংক হারগ্রিভস ল্যান্সডাউনের বিশ্লেষক সুসানাহ স্ট্রিটার বলেন, মাস্কের বিতর্কিত বাক্স্বাধীনতা-বিষয়ক বক্তব্য দেওয়ার পর টুইটারের জন্য তাদের প্রতিষ্ঠানের আয় বৃদ্ধির বিষয়টি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে।
রাজনৈতিক ও মতাদর্শগত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও টুইটারে বাক্স্বাধীনতা নিশ্চিতের বিষয়টি নিয়ে ইলন মাস্ক দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হয়ে এগোতে চাইতে পারেন। তার জন্য অবশ্যই মাস্ককে স্পষ্ট করতে হবে যে, তিনি টুইটারে বাক্স্বাধীনতা নিশ্চিত বলতে কতটুকু সীমা নির্ধারণ করবেন এবং টুইটার থেকে তিনি আসলে কী অর্জন করতে চান। তাঁর সেই বক্তব্য না পাওয়া অবধি অপেক্ষাই ভরসা।
তথ্যসূত্র: আল জাজিরা, দ্য ভার্জ, বিবিসি ও রয়টার্স
আব্দুর রহমান

প্রায় ৪৪ বিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটার কিনে নিতে যাচ্ছেন টেক জায়ান্ট টেসলা ও স্পেস-এক্সের মালিক ইলন মাস্ক। এই খবর পুরোনো। কিন্তু হঠাৎ ইলেকট্রিক গাড়ি ও রকেট ইঞ্জিন প্রযুক্তির উন্নয়নে বিনিয়োগকারীর টুইটার কিনে নেওয়ার কারণটা কী? মাস্ক নিজেই এই প্রশ্নের একটি সহজ জবাব দিয়েছেন। আর তা হলো—সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বাক্স্বাধীনতা নিশ্চিত করা।
মাস্ক নিজেকে সব সময়ই ‘বাক্স্বাধীনতার একজন নিরঙ্কুশ সমর্থক’ হিসেবে দাবি করেছেন। গত সোমবার টুইটার কিনে নেওয়া প্রসঙ্গে দেওয়া এক বিবৃতিতে মাস্ক টুইটারের সব ব্যবহারকারীকে নতুন নতুন ফিচার উপহার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এমনকি মাস্ক এক টুইটে জানিয়েছেন, ‘বাক্স্বাধীনতা একটি কার্যকরী গণতন্ত্রের ভিত্তি এবং টুইটার হলো সেই ডিজিটাল জনপরিসর যেখানে মানবতার ভবিষ্যতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে বিতর্ক হয়।’
মাস্ক বলেছেন, ‘আমি টুইটারকে আরও ভালো অবস্থানে নিতে চাই।’ নতুন ফিচার যুক্ত করা, আস্থা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এর অ্যালগরিদম উন্মুক্ত (ওপেন সোর্স) করা, স্প্যাম প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেওয়া এবং সেই সঙ্গে সব ব্যবহারকারীর পরিচয় নিশ্চিতের ব্যবস্থা করার মাধ্যমে সেই লক্ষ্য অর্জন করতে চান তিনি। আরেক টুইটে ইলন মাস্ক বলেছেন, ‘আমি আশা করি, আমার সবচেয়ে কঠোর ও বাজে সমালোচকও টুইটারে বহালতবিয়তে থাকবেন। কারণ, এটাই হলো স্বাধীন মত বা মত প্রকাশের স্বাধীনতা।’
অবশ্য গত কয়েক বছর ধরে মিথ্যা ও ভুয়া তথ্যের বিস্তার প্রতিরোধ নিয়ে হিমশিম খেতে থাকা টুইটারকে আরও স্বচ্ছ ও নিরাপদ করতে ইলন মাস্ক আসলে কোন ধরনের ব্যবস্থা নেবেন, সেটি এখনো পরিষ্কার নয়। তিনি তাঁর পরিকল্পনার কথা কখনো পরিষ্কার করে বলেনও না। তবে ইলন মাস্কের মতো ব্যক্তিত্বের সঙ্গে অসাধ্য কিছু করে দেখানোর বিষয়টি খুব ভালোমতোই যায়। এর আগেও একাধিকবার মাস্ক অসাধ্যসাধন করে দেখিয়েছেন। বিশ্লেষকেরা বলছেন, অন্যান্যবারের তুলনায় তাঁর এবারের যাত্রাটি একেবারেই আলাদা। অন্যান্যবার যেখানে মাস্কের সামনে প্রযুক্তিগত বাধা ছিল, এবার তার পরিবর্তে তাঁর সামনে মতাদর্শগত ও রাজনৈতিক বাধা প্রবলভাবে হাজির হবে। এবং এই বাধাগুলো উতরে যাওয়াই হবে ইলন মাস্কের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের একমাত্র উপায়।
যাত্রা শুরুর পর থেকে মাত্র দুই অর্থবছরে লাভের মুখ দেখতে পেরেছে টুইটার। যদিও ব্যবহারকারীর সংখ্যার ভিত্তিতে বিশ্বের সেরা ১০ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের তালিকায় নেই টুইটার, রয়েছে ১৫ নম্বরে। ইলন মাস্ক তবে কেন এমন একটি প্রতিষ্ঠানের পেছনে ৪৪ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করলেন? এর উত্তর দিয়েছেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান মিডিয়া ম্যাটারসের প্রধান অ্যাঞ্জেলো ক্যারুসোন। তিনি বলেছেন, ‘আর্থিক কারণে মাস্ক টুইটার কেনেননি, যদিও তিনি মনে করেন এ থেকে কিছু অর্থ আয় করাও সম্ভব। তবে তিনি মূলত এটি কিনেছেন মতাদর্শগত কারণে। এবং এটিই সবচেয়ে ভয়ের বিষয়।’
ভুল তথ্য ও ঘৃণাত্মক বক্তব্য ছড়ানোর বিষয়টিই আজকের দুনিয়ায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোর জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দিয়েছে। টুইটারও এর বাইরে নয়। গতবারের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে টুইটার প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে ভুল তথ্য ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছিল। এই ভুল তথ্য ও ঘৃণাত্মক বক্তব্য ছড়ানো ঠেকাতে কী করা হবে, তার সামান্য ইঙ্গিত মাস্ক দিলেও উন্মুক্ত জনপরিসর হওয়ায় এ ধরনের কনটেন্টের পরিমাণ আরও বেড়ে যায় কি না, তা নিয়ে বিশ্লেষকদের আশঙ্কা রয়েছে। তাঁদের মতে, চরমপন্থা, অতি-ডান, অতি-বামের মতো রাজনৈতিক মতাদর্শও এ সুযোগে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে।
এ প্রসঙ্গে নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর সোশ্যাল মিডিয়া অ্যান্ড পলিটিকসের অধ্যাপক জেভ স্যান্ডারসন বলেছেন, ‘যদি তিনি (মাস্ক) বাক্স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে গিয়ে ঘৃণাত্মক বক্তব্য ও ভুল তথ্যের বিরুদ্ধে টুইটারের এত দিনের লড়াকু নীতিকেও নিশ্চিহ্ন করে দেন, তবে তা টুইটারের জন্য একটি খারাপ দিক হতে চলেছে।’
বাক্স্বাধীনতা নিশ্চিতের ক্ষেত্রে কী কী বাধার সম্মুখীন হতে পারেন ইলন মাস্ক, তার একটি প্রামাণ্য উদাহরণ হতে পারে চীনের আলীবাবার জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট কিনে নেওয়ার ঘটনা। চীনা কর্তৃপক্ষ হংকং আন্দোলনের বিষয়টি কোনোভাবেই তাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে গিয়ে স্বাধীনভাবে বিশ্বের সামনে হাজির করতে দেয়নি। এই ঘটনার সূত্র ধরে বিশ্লেষকদের ধারণা—আলীবাবা যেমন প্রতিরোধের মুখে পড়েছিল, তেমনি গোপন ঝুঁকিতে পড়তে হতে পারে ইলন মাস্ককেও।
যুক্তরাষ্ট্র এরই মধ্যে জানিয়ে দিয়েছে, টুইটারকে চলতে হবে দেশটির সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম-সংক্রান্ত নিয়মকানুন মেনেই। একই রকম হুমকি দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নও। ইউরোপিয়ান কমিশনার ফর ইন্টারনেট মার্কেট থিয়েরি ব্রেটন টুইটারকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সংশ্লিষ্ট নিয়ম মেনে চলতে হবে বলে উল্লেখ করেছেন। কেবল তা-ই নয়, মাস্কের টুইটার কিনে নেওয়ার বিষয়টি চীনের নতুন মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠতে পারে বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের।
ফলে কেবল বিশ্বজুড়ে প্রতিকূল রাজনৈতিক আবহাওয়াই নয়, মাস্ককে বাক্স্বাধীনতার বিষয়টি নিশ্চিত করতে গেলে মোকাবিলা করতে হবে আরও কিছু বিষয়। তবে তার মধ্যে একটির সমাধান মাস্ক নিজেই দিয়ে রেখেছেন—অ্যালগরিদম উন্মুক্ত রাখার ঘোষণা দিয়ে। তবে এর বাইরে আরও একটি বিষয় বিশেষজ্ঞদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। তা হলো—মাস্কের বাক্স্বাধীনতা নিশ্চিতের ঘোষণার বিষয়টি বিজ্ঞাপনদাতাদের বিরক্তির উদ্রেক করতে পারে। থিংক ট্যাংক হারগ্রিভস ল্যান্সডাউনের বিশ্লেষক সুসানাহ স্ট্রিটার বলেন, মাস্কের বিতর্কিত বাক্স্বাধীনতা-বিষয়ক বক্তব্য দেওয়ার পর টুইটারের জন্য তাদের প্রতিষ্ঠানের আয় বৃদ্ধির বিষয়টি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে।
রাজনৈতিক ও মতাদর্শগত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও টুইটারে বাক্স্বাধীনতা নিশ্চিতের বিষয়টি নিয়ে ইলন মাস্ক দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হয়ে এগোতে চাইতে পারেন। তার জন্য অবশ্যই মাস্ককে স্পষ্ট করতে হবে যে, তিনি টুইটারে বাক্স্বাধীনতা নিশ্চিত বলতে কতটুকু সীমা নির্ধারণ করবেন এবং টুইটার থেকে তিনি আসলে কী অর্জন করতে চান। তাঁর সেই বক্তব্য না পাওয়া অবধি অপেক্ষাই ভরসা।
তথ্যসূত্র: আল জাজিরা, দ্য ভার্জ, বিবিসি ও রয়টার্স

প্রায় ৪৪ বিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটার কিনে নিতে যাচ্ছেন টেক জায়ান্ট টেসলা ও স্পেস-এক্সের মালিক ইলন মাস্ক। এই খবর পুরোনো। কিন্তু হঠাৎ ইলেকট্রিক গাড়ি ও রকেট ইঞ্জিন প্রযুক্তির উন্নয়নে বিনিয়োগকারীর টুইটার কিনে নেওয়ার কারণটা কী? মাস্ক নিজেই এই প্রশ্নের একটি সহজ জবাব দিয়েছেন। আর তা হলো—সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বাক্স্বাধীনতা নিশ্চিত করা।
মাস্ক নিজেকে সব সময়ই ‘বাক্স্বাধীনতার একজন নিরঙ্কুশ সমর্থক’ হিসেবে দাবি করেছেন। গত সোমবার টুইটার কিনে নেওয়া প্রসঙ্গে দেওয়া এক বিবৃতিতে মাস্ক টুইটারের সব ব্যবহারকারীকে নতুন নতুন ফিচার উপহার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এমনকি মাস্ক এক টুইটে জানিয়েছেন, ‘বাক্স্বাধীনতা একটি কার্যকরী গণতন্ত্রের ভিত্তি এবং টুইটার হলো সেই ডিজিটাল জনপরিসর যেখানে মানবতার ভবিষ্যতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে বিতর্ক হয়।’
মাস্ক বলেছেন, ‘আমি টুইটারকে আরও ভালো অবস্থানে নিতে চাই।’ নতুন ফিচার যুক্ত করা, আস্থা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এর অ্যালগরিদম উন্মুক্ত (ওপেন সোর্স) করা, স্প্যাম প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেওয়া এবং সেই সঙ্গে সব ব্যবহারকারীর পরিচয় নিশ্চিতের ব্যবস্থা করার মাধ্যমে সেই লক্ষ্য অর্জন করতে চান তিনি। আরেক টুইটে ইলন মাস্ক বলেছেন, ‘আমি আশা করি, আমার সবচেয়ে কঠোর ও বাজে সমালোচকও টুইটারে বহালতবিয়তে থাকবেন। কারণ, এটাই হলো স্বাধীন মত বা মত প্রকাশের স্বাধীনতা।’
অবশ্য গত কয়েক বছর ধরে মিথ্যা ও ভুয়া তথ্যের বিস্তার প্রতিরোধ নিয়ে হিমশিম খেতে থাকা টুইটারকে আরও স্বচ্ছ ও নিরাপদ করতে ইলন মাস্ক আসলে কোন ধরনের ব্যবস্থা নেবেন, সেটি এখনো পরিষ্কার নয়। তিনি তাঁর পরিকল্পনার কথা কখনো পরিষ্কার করে বলেনও না। তবে ইলন মাস্কের মতো ব্যক্তিত্বের সঙ্গে অসাধ্য কিছু করে দেখানোর বিষয়টি খুব ভালোমতোই যায়। এর আগেও একাধিকবার মাস্ক অসাধ্যসাধন করে দেখিয়েছেন। বিশ্লেষকেরা বলছেন, অন্যান্যবারের তুলনায় তাঁর এবারের যাত্রাটি একেবারেই আলাদা। অন্যান্যবার যেখানে মাস্কের সামনে প্রযুক্তিগত বাধা ছিল, এবার তার পরিবর্তে তাঁর সামনে মতাদর্শগত ও রাজনৈতিক বাধা প্রবলভাবে হাজির হবে। এবং এই বাধাগুলো উতরে যাওয়াই হবে ইলন মাস্কের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের একমাত্র উপায়।
যাত্রা শুরুর পর থেকে মাত্র দুই অর্থবছরে লাভের মুখ দেখতে পেরেছে টুইটার। যদিও ব্যবহারকারীর সংখ্যার ভিত্তিতে বিশ্বের সেরা ১০ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের তালিকায় নেই টুইটার, রয়েছে ১৫ নম্বরে। ইলন মাস্ক তবে কেন এমন একটি প্রতিষ্ঠানের পেছনে ৪৪ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করলেন? এর উত্তর দিয়েছেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান মিডিয়া ম্যাটারসের প্রধান অ্যাঞ্জেলো ক্যারুসোন। তিনি বলেছেন, ‘আর্থিক কারণে মাস্ক টুইটার কেনেননি, যদিও তিনি মনে করেন এ থেকে কিছু অর্থ আয় করাও সম্ভব। তবে তিনি মূলত এটি কিনেছেন মতাদর্শগত কারণে। এবং এটিই সবচেয়ে ভয়ের বিষয়।’
ভুল তথ্য ও ঘৃণাত্মক বক্তব্য ছড়ানোর বিষয়টিই আজকের দুনিয়ায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোর জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দিয়েছে। টুইটারও এর বাইরে নয়। গতবারের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে টুইটার প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে ভুল তথ্য ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছিল। এই ভুল তথ্য ও ঘৃণাত্মক বক্তব্য ছড়ানো ঠেকাতে কী করা হবে, তার সামান্য ইঙ্গিত মাস্ক দিলেও উন্মুক্ত জনপরিসর হওয়ায় এ ধরনের কনটেন্টের পরিমাণ আরও বেড়ে যায় কি না, তা নিয়ে বিশ্লেষকদের আশঙ্কা রয়েছে। তাঁদের মতে, চরমপন্থা, অতি-ডান, অতি-বামের মতো রাজনৈতিক মতাদর্শও এ সুযোগে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে।
এ প্রসঙ্গে নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর সোশ্যাল মিডিয়া অ্যান্ড পলিটিকসের অধ্যাপক জেভ স্যান্ডারসন বলেছেন, ‘যদি তিনি (মাস্ক) বাক্স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে গিয়ে ঘৃণাত্মক বক্তব্য ও ভুল তথ্যের বিরুদ্ধে টুইটারের এত দিনের লড়াকু নীতিকেও নিশ্চিহ্ন করে দেন, তবে তা টুইটারের জন্য একটি খারাপ দিক হতে চলেছে।’
বাক্স্বাধীনতা নিশ্চিতের ক্ষেত্রে কী কী বাধার সম্মুখীন হতে পারেন ইলন মাস্ক, তার একটি প্রামাণ্য উদাহরণ হতে পারে চীনের আলীবাবার জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট কিনে নেওয়ার ঘটনা। চীনা কর্তৃপক্ষ হংকং আন্দোলনের বিষয়টি কোনোভাবেই তাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে গিয়ে স্বাধীনভাবে বিশ্বের সামনে হাজির করতে দেয়নি। এই ঘটনার সূত্র ধরে বিশ্লেষকদের ধারণা—আলীবাবা যেমন প্রতিরোধের মুখে পড়েছিল, তেমনি গোপন ঝুঁকিতে পড়তে হতে পারে ইলন মাস্ককেও।
যুক্তরাষ্ট্র এরই মধ্যে জানিয়ে দিয়েছে, টুইটারকে চলতে হবে দেশটির সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম-সংক্রান্ত নিয়মকানুন মেনেই। একই রকম হুমকি দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নও। ইউরোপিয়ান কমিশনার ফর ইন্টারনেট মার্কেট থিয়েরি ব্রেটন টুইটারকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সংশ্লিষ্ট নিয়ম মেনে চলতে হবে বলে উল্লেখ করেছেন। কেবল তা-ই নয়, মাস্কের টুইটার কিনে নেওয়ার বিষয়টি চীনের নতুন মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠতে পারে বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের।
ফলে কেবল বিশ্বজুড়ে প্রতিকূল রাজনৈতিক আবহাওয়াই নয়, মাস্ককে বাক্স্বাধীনতার বিষয়টি নিশ্চিত করতে গেলে মোকাবিলা করতে হবে আরও কিছু বিষয়। তবে তার মধ্যে একটির সমাধান মাস্ক নিজেই দিয়ে রেখেছেন—অ্যালগরিদম উন্মুক্ত রাখার ঘোষণা দিয়ে। তবে এর বাইরে আরও একটি বিষয় বিশেষজ্ঞদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। তা হলো—মাস্কের বাক্স্বাধীনতা নিশ্চিতের ঘোষণার বিষয়টি বিজ্ঞাপনদাতাদের বিরক্তির উদ্রেক করতে পারে। থিংক ট্যাংক হারগ্রিভস ল্যান্সডাউনের বিশ্লেষক সুসানাহ স্ট্রিটার বলেন, মাস্কের বিতর্কিত বাক্স্বাধীনতা-বিষয়ক বক্তব্য দেওয়ার পর টুইটারের জন্য তাদের প্রতিষ্ঠানের আয় বৃদ্ধির বিষয়টি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে।
রাজনৈতিক ও মতাদর্শগত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও টুইটারে বাক্স্বাধীনতা নিশ্চিতের বিষয়টি নিয়ে ইলন মাস্ক দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হয়ে এগোতে চাইতে পারেন। তার জন্য অবশ্যই মাস্ককে স্পষ্ট করতে হবে যে, তিনি টুইটারে বাক্স্বাধীনতা নিশ্চিত বলতে কতটুকু সীমা নির্ধারণ করবেন এবং টুইটার থেকে তিনি আসলে কী অর্জন করতে চান। তাঁর সেই বক্তব্য না পাওয়া অবধি অপেক্ষাই ভরসা।
তথ্যসূত্র: আল জাজিরা, দ্য ভার্জ, বিবিসি ও রয়টার্স

দেশের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ক্ষুদ্র ইন্টারনেট সেবাদাতাদের ব্যবসা থেকে সরিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব ৷ আজ শুক্রবার (৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক ফেসবুক পোস্টে এ কথা জানান তিনি।
১৭ ঘণ্টা আগে
কর্মী নিয়োগের দিক থেকে ওয়ালমার্টের পরেই যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রতিষ্ঠান আমাজন। জানা গেছে, আগামী এক দশকের মধ্যে প্রতিষ্ঠানটি কয়েক লাখ মানবকর্মীকে রোবট দিয়ে প্রতিস্থাপন করতে পারে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে কিছু গোপনীয় নথির উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে...
১৮ ঘণ্টা আগে
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ও মার্কিন রোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থার (সিডিসি) তথ্য বিশ্লেষণ করে তৈরি করা এই এআই-নির্ভর মডেলের নাম দেওয়া হয়েছে ‘স্যাম’ (Sam)। উইওয়ার্ড জানিয়েছে, মডেলটি মানুষের চেহারায় সম্ভাব্য শারীরিক পরিবর্তনের ধারণা দেয়, যদি তারা বর্তমানের মতোই অলস জীবনধারা বজায় রাখে।
১৯ ঘণ্টা আগে
রিয়েলমি বাংলাদেশের বাজারে এনেছে রিয়েলমি সি৮৫ প্রো। ‘ক্যাটাগরির প্রথম অফিশিয়াল ওয়াটারপ্রুফ স্মার্টফোন’ সি৭৫-এর সাফল্যের পর এই নতুন ডিভাইসটিকে সেগমেন্টের সবচেয়ে বেশি ওয়াটার-রেজিস্ট্যান্ট ও উজ্জ্বলতম ডিসপ্লেযুক্ত ফোন হিসেবে বাজারে আনা হয়েছে।
২১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ক্ষুদ্র ইন্টারনেট সেবাদাতাদের ব্যবসা থেকে সরিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব ৷ আজ শুক্রবার (৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক ফেসবুক পোস্টে এ কথা জানান তিনি।
ফয়েজ আহমদ লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ক্ষুদ্র ও আঞ্চলিক আইএসপি (ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার) প্রতিষ্ঠানগুলোকে ব্যবসা থেকে সরিয়ে দেওয়ার একটি সংগঠিত প্রচেষ্টার ব্যাপার আমাদের নজরে এসেছে।’
মন্ত্রণালয়ের পর্যবেক্ষণে এসেছে, কিছু বড় আইএসপি বা গোষ্ঠী ছোট অপারেটরদের নেটওয়ার্কে নিয়মিতভাবে ডিডস আক্রমণ চালাচ্ছে, যার ফলে এসব আইএসপি ঘণ্টার পর ঘণ্টা নেটওয়ার্ক বন্ধ রাখতে বাধ্য হচ্ছে। এই আক্রমণগুলোর লোড কিছু ক্ষেত্রে ৫০০ থেকে ৭০০ গিগা পর্যন্ত হয়, যা ছোট নেটওয়ার্কের পক্ষে সামাল দেওয়া প্রায় অসম্ভব। ফলে ছোট আইএসপিরা তাদের গ্রাহক হারাচ্ছে এবং বড় কোম্পানিগুলো অন্যায্যভাবে বাজার দখল করছে।
ডিডস আক্রমণ একধরনের সাইবার আক্রমণ, যার মাধ্যমে কোনো ওয়েবসাইট, সার্ভার বা অনলাইন পরিষেবাকে সচল রাখা কঠিন করে ফেলা হয়। একজন আক্রমণকারী অনেকগুলো কম্পিউটার বা ডিভাইস (যেগুলো আগে থেকেই ভাইরাস বা ম্যালওয়্যারে আক্রান্ত থাকে) ব্যবহার করে একটি নির্দিষ্ট ওয়েবসাইট বা সার্ভারে একসঙ্গে বিপুল পরিমাণ অনুরোধ পাঠায়। ফলে সার্ভারের ট্রাফিক বেড়ে যায়, সেটি ধীরগতির হয়ে পড়ে বা একসময় পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।
ফয়েজ আহমদ তাঁর ফেসবুক পোস্টে আরও লিখেছেন, ‘ন্যাশনাল আইএসপি কোম্পানিগুলোর কেউ কেউ নতুন টেলিকমিউনিকেশন নেটওয়ার্কিং ও লাইসেন্সিং এর ভুল ব্যাখ্যা করে ছোট আইএসপিগুলোর অস্তিত্ব থাকবে না বা এমন ভয় দেখিয়ে একোয়ার (দখল) করার চেষ্টা করছে, এই প্রক্রিয়াটিকে আমরা অপরাধ হিসেবে গণ্য করছি।’
বিশেষ সহকারী জানান, নতুন টেলিকম লাইসেন্স নীতিমালায় সুস্পষ্টভাবে বলা আছে যে, ছোট আইএসপিগুলো বর্তমানের অপারেটিং এরিয়ার পাশাপাশি পুরো জেলায় কার্যক্রম চালাতে পারবে। তিনি লিখেছেন, ‘আমরা তাদের কাজের ক্ষেত্রকে সম্প্রসারণের সুযোগ দিয়েছি। পাশাপাশি আইএসপি নবায়নের ক্ষেত্রে ন্যাশনাল আইএসপি পর্যায়ে লাইসেন্স ফি কিছুটা বাড়িয়ে তা দিয়ে জেলা (উপজেলাসহ) পর্যায়ের লাইসেন্সকে কিছুটা কম্পেন্সেট করার পরিকল্পনা নিয়ে অগ্রসর হচ্ছি।’

দেশের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ক্ষুদ্র ইন্টারনেট সেবাদাতাদের ব্যবসা থেকে সরিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব ৷ আজ শুক্রবার (৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক ফেসবুক পোস্টে এ কথা জানান তিনি।
ফয়েজ আহমদ লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ক্ষুদ্র ও আঞ্চলিক আইএসপি (ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার) প্রতিষ্ঠানগুলোকে ব্যবসা থেকে সরিয়ে দেওয়ার একটি সংগঠিত প্রচেষ্টার ব্যাপার আমাদের নজরে এসেছে।’
মন্ত্রণালয়ের পর্যবেক্ষণে এসেছে, কিছু বড় আইএসপি বা গোষ্ঠী ছোট অপারেটরদের নেটওয়ার্কে নিয়মিতভাবে ডিডস আক্রমণ চালাচ্ছে, যার ফলে এসব আইএসপি ঘণ্টার পর ঘণ্টা নেটওয়ার্ক বন্ধ রাখতে বাধ্য হচ্ছে। এই আক্রমণগুলোর লোড কিছু ক্ষেত্রে ৫০০ থেকে ৭০০ গিগা পর্যন্ত হয়, যা ছোট নেটওয়ার্কের পক্ষে সামাল দেওয়া প্রায় অসম্ভব। ফলে ছোট আইএসপিরা তাদের গ্রাহক হারাচ্ছে এবং বড় কোম্পানিগুলো অন্যায্যভাবে বাজার দখল করছে।
ডিডস আক্রমণ একধরনের সাইবার আক্রমণ, যার মাধ্যমে কোনো ওয়েবসাইট, সার্ভার বা অনলাইন পরিষেবাকে সচল রাখা কঠিন করে ফেলা হয়। একজন আক্রমণকারী অনেকগুলো কম্পিউটার বা ডিভাইস (যেগুলো আগে থেকেই ভাইরাস বা ম্যালওয়্যারে আক্রান্ত থাকে) ব্যবহার করে একটি নির্দিষ্ট ওয়েবসাইট বা সার্ভারে একসঙ্গে বিপুল পরিমাণ অনুরোধ পাঠায়। ফলে সার্ভারের ট্রাফিক বেড়ে যায়, সেটি ধীরগতির হয়ে পড়ে বা একসময় পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।
ফয়েজ আহমদ তাঁর ফেসবুক পোস্টে আরও লিখেছেন, ‘ন্যাশনাল আইএসপি কোম্পানিগুলোর কেউ কেউ নতুন টেলিকমিউনিকেশন নেটওয়ার্কিং ও লাইসেন্সিং এর ভুল ব্যাখ্যা করে ছোট আইএসপিগুলোর অস্তিত্ব থাকবে না বা এমন ভয় দেখিয়ে একোয়ার (দখল) করার চেষ্টা করছে, এই প্রক্রিয়াটিকে আমরা অপরাধ হিসেবে গণ্য করছি।’
বিশেষ সহকারী জানান, নতুন টেলিকম লাইসেন্স নীতিমালায় সুস্পষ্টভাবে বলা আছে যে, ছোট আইএসপিগুলো বর্তমানের অপারেটিং এরিয়ার পাশাপাশি পুরো জেলায় কার্যক্রম চালাতে পারবে। তিনি লিখেছেন, ‘আমরা তাদের কাজের ক্ষেত্রকে সম্প্রসারণের সুযোগ দিয়েছি। পাশাপাশি আইএসপি নবায়নের ক্ষেত্রে ন্যাশনাল আইএসপি পর্যায়ে লাইসেন্স ফি কিছুটা বাড়িয়ে তা দিয়ে জেলা (উপজেলাসহ) পর্যায়ের লাইসেন্সকে কিছুটা কম্পেন্সেট করার পরিকল্পনা নিয়ে অগ্রসর হচ্ছি।’

রাজনৈতিক ও মতাদর্শগত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও টুইটারের বাক্স্বাধীনতার বিষয়টি নিয়ে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হয়ে এগোতে চান তবে তার জন্য পথ বের করে নেওয়া কঠিন হবে না। তবে তার জন্য অবশ্যই মাস্ককে স্পষ্ট করতে হবে তিনি টুইটারের বাক্স্বাধীনতা বলতে কতটুকু সীমা নির্ধারণ করেন এবং টুইটার থেকে তিনি আসলে কী অর্জন...
২৭ এপ্রিল ২০২২
কর্মী নিয়োগের দিক থেকে ওয়ালমার্টের পরেই যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রতিষ্ঠান আমাজন। জানা গেছে, আগামী এক দশকের মধ্যে প্রতিষ্ঠানটি কয়েক লাখ মানবকর্মীকে রোবট দিয়ে প্রতিস্থাপন করতে পারে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে কিছু গোপনীয় নথির উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে...
১৮ ঘণ্টা আগে
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ও মার্কিন রোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থার (সিডিসি) তথ্য বিশ্লেষণ করে তৈরি করা এই এআই-নির্ভর মডেলের নাম দেওয়া হয়েছে ‘স্যাম’ (Sam)। উইওয়ার্ড জানিয়েছে, মডেলটি মানুষের চেহারায় সম্ভাব্য শারীরিক পরিবর্তনের ধারণা দেয়, যদি তারা বর্তমানের মতোই অলস জীবনধারা বজায় রাখে।
১৯ ঘণ্টা আগে
রিয়েলমি বাংলাদেশের বাজারে এনেছে রিয়েলমি সি৮৫ প্রো। ‘ক্যাটাগরির প্রথম অফিশিয়াল ওয়াটারপ্রুফ স্মার্টফোন’ সি৭৫-এর সাফল্যের পর এই নতুন ডিভাইসটিকে সেগমেন্টের সবচেয়ে বেশি ওয়াটার-রেজিস্ট্যান্ট ও উজ্জ্বলতম ডিসপ্লেযুক্ত ফোন হিসেবে বাজারে আনা হয়েছে।
২১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

কর্মী নিয়োগের দিক থেকে ওয়ালমার্টের পরেই যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রতিষ্ঠান আমাজন। জানা গেছে, আগামী এক দশকের মধ্যে প্রতিষ্ঠানটি কয়েক লাখ মানবকর্মীকে রোবট দিয়ে প্রতিস্থাপন করতে পারে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে কিছু গোপনীয় নথির উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, ২০২৭ সালের মধ্যে আমাজনকে প্রায় ১ লাখ ৬০ হাজার নতুন কর্মী নিয়োগ দিতে হতো। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটির অটোমেশন টিমের হিসাব অনুযায়ী, রোবট ব্যবহার করে তারা এই বিপুলসংখ্যক মানব কর্মীর নিয়োগ এড়াতে পারে।
নিউইয়র্ক টাইমসের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোবোটিক অটোমেশনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি ২০৩৩ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে কর্মীর সংখ্যা না বাড়িয়েই বিক্রয় দ্বিগুণ করতে পারবে। টাইমসের হাতে থাকা নথি ও সাক্ষাৎকার অনুযায়ী, এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে আগামী এক দশকে ছয় লাখের বেশি নতুন কর্মী নিয়োগ এড়াতে পারবে আমাজন।
তবে আমাজন নিউইয়র্ক টাইমসের এই প্রতিবেদনের তথ্য অস্বীকার করেছে। ব্রিটিশ দৈনিক দ্য ইনডিপেনডেন্টে পাঠানো এক বিবৃতিতে আমাজন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, উল্লিখিত সংখ্যা একটি অভ্যন্তরীণ দলের নথি থেকে এসেছে, যাদের নিয়োগ প্রক্রিয়ার সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই।
আমাজনের মুখপাত্র কেলি ন্যান্টেল বলেন, ‘ফাঁস হওয়া নথিগুলো প্রায়ই অসম্পূর্ণ বা বিভ্রান্তিকর তথ্য দেয়। আমাজনের অভ্যন্তরে হাজার হাজার নথি চালাচালি হয়, এর অনেকগুলোই প্রাথমিক পর্যায়ে থাকে এবং সব সময় সঠিক নয়। এই ক্ষেত্রে, ও তথ্যগুলো কেবল একটি দলের দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিফলিত করছে, যা কোম্পানির সামগ্রিক নিয়োগনীতির প্রতিনিধিত্ব করে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘গত দশকে যুক্তরাষ্ট্রে আমাজনের চেয়ে বেশি চাকরি কোনো প্রতিষ্ঠান তৈরি করেনি। আমরা দেশজুড়ে নিয়োগ দিচ্ছি এবং সম্প্রতি ছুটির মৌসুমে ২ লাখ ৫০ হাজার নতুন পদে নিয়োগের ঘোষণা দিয়েছি।’
তবে অনেকের কাছে আমাজনের এই পরিকল্পনা আশ্চর্যের কিছু নয়। কারণ, প্রতিষ্ঠানটি বহুদিন ধরে তাদের কার্যক্রমকে আরও দক্ষ ও স্বয়ংক্রিয় করার জন্য রোবোটিক প্রযুক্তি ব্যবহার করছে।
দ্য নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিষ্ঠানটির সরবরাহ কেন্দ্রগুলোতে এমন গুদাম তৈরি হচ্ছে, যেখানে খুব অল্পসংখ্যক মানুষ কাজ করবে। আমাজনের রোবোটিকস টিমের নথি অনুসারে, এসব কেন্দ্রের ৭৫ শতাংশ কাজ সম্পূর্ণভাবে অটোমেট বা স্বয়ংক্রিয় করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
আমাজনের এই প্রযুক্তিনির্ভর কার্যক্রম ইতিমধ্যে খুচরা বাণিজ্যে একটি উদাহরণ তৈরি করেছে, যা অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোও অনুসরণ করছে। উন্নত মানের রোবোটিক প্রযুক্তি যত সহজলভ্য হচ্ছে, ততই বৃহৎ খুচরা কোম্পানিগুলো আমাজনে এই মডেল অনুসরণ করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বর্তমানে আমাজনের ফুলফিলমেন্ট নেটওয়ার্কে ১৫ লাখ ৬০ হাজার মানবকর্মীর বিপরীতে ১০ লাখের বেশি রোবট কাজ করছে। এই রোবটগুলো প্রায় তিন-চতুর্থাংশ ডেলিভারির কাজ করছে। এ ছাড়া মজুত ব্যবস্থাপনায় মোবাইল ইউনিট এবং পণ্য বাছাই, প্যাকেজিং ও সরবরাহকারী হিসেবেও রোবট ব্যবহার করা হচ্ছে।
প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনে আমাজনের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে, যদিও শ্রমিকদের ওপর অতিরিক্ত চাপ ও অসন্তুষ্টির মতো কিছু বিতর্কও আছে। কিন্তু রোবট ব্যবহারের এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকলে মানবকর্মীর প্রয়োজনীয়তা স্বাভাবিকভাবে কমে আসবে।
চলতি বছরের জুলাইয়ে আমাজন জানিয়েছিল, অটোমেশন ব্যবহারের ফলে কর্মীদের শারীরিক পরিশ্রম কমেছে এবং কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তা বেড়েছে। তবে একই সঙ্গে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, অটোমেশনের এই বৃদ্ধি ইতিমধ্যে গড় মানবকর্মীর সংখ্যা কমাতে ভূমিকা রাখছে। বর্তমানে একটি সাধারণ আমাজন গুদামে কর্মীর সংখ্যা মাত্র ৬৭০ জন, যা গত ১৬ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।

কর্মী নিয়োগের দিক থেকে ওয়ালমার্টের পরেই যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রতিষ্ঠান আমাজন। জানা গেছে, আগামী এক দশকের মধ্যে প্রতিষ্ঠানটি কয়েক লাখ মানবকর্মীকে রোবট দিয়ে প্রতিস্থাপন করতে পারে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে কিছু গোপনীয় নথির উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, ২০২৭ সালের মধ্যে আমাজনকে প্রায় ১ লাখ ৬০ হাজার নতুন কর্মী নিয়োগ দিতে হতো। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটির অটোমেশন টিমের হিসাব অনুযায়ী, রোবট ব্যবহার করে তারা এই বিপুলসংখ্যক মানব কর্মীর নিয়োগ এড়াতে পারে।
নিউইয়র্ক টাইমসের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোবোটিক অটোমেশনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি ২০৩৩ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে কর্মীর সংখ্যা না বাড়িয়েই বিক্রয় দ্বিগুণ করতে পারবে। টাইমসের হাতে থাকা নথি ও সাক্ষাৎকার অনুযায়ী, এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে আগামী এক দশকে ছয় লাখের বেশি নতুন কর্মী নিয়োগ এড়াতে পারবে আমাজন।
তবে আমাজন নিউইয়র্ক টাইমসের এই প্রতিবেদনের তথ্য অস্বীকার করেছে। ব্রিটিশ দৈনিক দ্য ইনডিপেনডেন্টে পাঠানো এক বিবৃতিতে আমাজন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, উল্লিখিত সংখ্যা একটি অভ্যন্তরীণ দলের নথি থেকে এসেছে, যাদের নিয়োগ প্রক্রিয়ার সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই।
আমাজনের মুখপাত্র কেলি ন্যান্টেল বলেন, ‘ফাঁস হওয়া নথিগুলো প্রায়ই অসম্পূর্ণ বা বিভ্রান্তিকর তথ্য দেয়। আমাজনের অভ্যন্তরে হাজার হাজার নথি চালাচালি হয়, এর অনেকগুলোই প্রাথমিক পর্যায়ে থাকে এবং সব সময় সঠিক নয়। এই ক্ষেত্রে, ও তথ্যগুলো কেবল একটি দলের দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিফলিত করছে, যা কোম্পানির সামগ্রিক নিয়োগনীতির প্রতিনিধিত্ব করে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘গত দশকে যুক্তরাষ্ট্রে আমাজনের চেয়ে বেশি চাকরি কোনো প্রতিষ্ঠান তৈরি করেনি। আমরা দেশজুড়ে নিয়োগ দিচ্ছি এবং সম্প্রতি ছুটির মৌসুমে ২ লাখ ৫০ হাজার নতুন পদে নিয়োগের ঘোষণা দিয়েছি।’
তবে অনেকের কাছে আমাজনের এই পরিকল্পনা আশ্চর্যের কিছু নয়। কারণ, প্রতিষ্ঠানটি বহুদিন ধরে তাদের কার্যক্রমকে আরও দক্ষ ও স্বয়ংক্রিয় করার জন্য রোবোটিক প্রযুক্তি ব্যবহার করছে।
দ্য নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিষ্ঠানটির সরবরাহ কেন্দ্রগুলোতে এমন গুদাম তৈরি হচ্ছে, যেখানে খুব অল্পসংখ্যক মানুষ কাজ করবে। আমাজনের রোবোটিকস টিমের নথি অনুসারে, এসব কেন্দ্রের ৭৫ শতাংশ কাজ সম্পূর্ণভাবে অটোমেট বা স্বয়ংক্রিয় করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
আমাজনের এই প্রযুক্তিনির্ভর কার্যক্রম ইতিমধ্যে খুচরা বাণিজ্যে একটি উদাহরণ তৈরি করেছে, যা অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোও অনুসরণ করছে। উন্নত মানের রোবোটিক প্রযুক্তি যত সহজলভ্য হচ্ছে, ততই বৃহৎ খুচরা কোম্পানিগুলো আমাজনে এই মডেল অনুসরণ করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বর্তমানে আমাজনের ফুলফিলমেন্ট নেটওয়ার্কে ১৫ লাখ ৬০ হাজার মানবকর্মীর বিপরীতে ১০ লাখের বেশি রোবট কাজ করছে। এই রোবটগুলো প্রায় তিন-চতুর্থাংশ ডেলিভারির কাজ করছে। এ ছাড়া মজুত ব্যবস্থাপনায় মোবাইল ইউনিট এবং পণ্য বাছাই, প্যাকেজিং ও সরবরাহকারী হিসেবেও রোবট ব্যবহার করা হচ্ছে।
প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনে আমাজনের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে, যদিও শ্রমিকদের ওপর অতিরিক্ত চাপ ও অসন্তুষ্টির মতো কিছু বিতর্কও আছে। কিন্তু রোবট ব্যবহারের এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকলে মানবকর্মীর প্রয়োজনীয়তা স্বাভাবিকভাবে কমে আসবে।
চলতি বছরের জুলাইয়ে আমাজন জানিয়েছিল, অটোমেশন ব্যবহারের ফলে কর্মীদের শারীরিক পরিশ্রম কমেছে এবং কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তা বেড়েছে। তবে একই সঙ্গে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, অটোমেশনের এই বৃদ্ধি ইতিমধ্যে গড় মানবকর্মীর সংখ্যা কমাতে ভূমিকা রাখছে। বর্তমানে একটি সাধারণ আমাজন গুদামে কর্মীর সংখ্যা মাত্র ৬৭০ জন, যা গত ১৬ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।

রাজনৈতিক ও মতাদর্শগত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও টুইটারের বাক্স্বাধীনতার বিষয়টি নিয়ে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হয়ে এগোতে চান তবে তার জন্য পথ বের করে নেওয়া কঠিন হবে না। তবে তার জন্য অবশ্যই মাস্ককে স্পষ্ট করতে হবে তিনি টুইটারের বাক্স্বাধীনতা বলতে কতটুকু সীমা নির্ধারণ করেন এবং টুইটার থেকে তিনি আসলে কী অর্জন...
২৭ এপ্রিল ২০২২
দেশের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ক্ষুদ্র ইন্টারনেট সেবাদাতাদের ব্যবসা থেকে সরিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব ৷ আজ শুক্রবার (৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক ফেসবুক পোস্টে এ কথা জানান তিনি।
১৭ ঘণ্টা আগে
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ও মার্কিন রোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থার (সিডিসি) তথ্য বিশ্লেষণ করে তৈরি করা এই এআই-নির্ভর মডেলের নাম দেওয়া হয়েছে ‘স্যাম’ (Sam)। উইওয়ার্ড জানিয়েছে, মডেলটি মানুষের চেহারায় সম্ভাব্য শারীরিক পরিবর্তনের ধারণা দেয়, যদি তারা বর্তমানের মতোই অলস জীবনধারা বজায় রাখে।
১৯ ঘণ্টা আগে
রিয়েলমি বাংলাদেশের বাজারে এনেছে রিয়েলমি সি৮৫ প্রো। ‘ক্যাটাগরির প্রথম অফিশিয়াল ওয়াটারপ্রুফ স্মার্টফোন’ সি৭৫-এর সাফল্যের পর এই নতুন ডিভাইসটিকে সেগমেন্টের সবচেয়ে বেশি ওয়াটার-রেজিস্ট্যান্ট ও উজ্জ্বলতম ডিসপ্লেযুক্ত ফোন হিসেবে বাজারে আনা হয়েছে।
২১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

কমবেশি সবাই আমরা স্মার্টফোন ব্যবহার করি। কিন্তু অতিরিক্ত স্মার্টফোন ব্যবহার হয়তো আমাদের ভবিষ্যৎ চেহারাকে বদলে দিতে পারে। স্টেপ-ট্র্যাকিং অ্যাপ উইওয়ার্ড (WeWard) সম্প্রতি এক ভিডিওতে দেখিয়েছে, ২৫ বছর পর একজন ফোন আসক্ত মানুষের গড় চেহারা কেমন হতে পারে—যা দেখলে চমকে উঠতে হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ও মার্কিন রোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থার (সিডিসি) তথ্য বিশ্লেষণ করে তৈরি করা এই এআই-নির্ভর মডেলের নাম দেওয়া হয়েছে ‘স্যাম’ (Sam)। উইওয়ার্ড জানিয়েছে, মডেলটি মানুষের চেহারায় সম্ভাব্য শারীরিক পরিবর্তনের ধারণা দেয়, যদি তারা বর্তমানের মতোই অলস জীবনধারা বজায় রাখে।
ভিডিওটিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে তৈরি ত্রিমাত্রিক এই মডেল দেখিয়েছে, মানুষ কীভাবে দীর্ঘদিন প্রযুক্তি ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিমগ্ন থাকার কারণে ভয়াবহ শারীরিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে।
উইওয়ার্ডের ওই ভিডিও অনুযায়ী, ২০৫০ সালের মধ্যে মানুষের শরীরে একাধিক মারাত্মক পরিবর্তন দেখা যেতে পারে—যেমন; কুঁজো পিঠ ও সামনের দিকে ঝুঁকে থাকা ঘাড়, লালচে চোখ, চোখের নিচে কালো দাগ, বেরিয়ে থাকা পেট, ফোলা গোড়ালি ও পা, দৃশ্যমান ভেরিকোস ভেইন, ফ্যাকাশে ত্বক, একজিমা এবং মাথার চুল পাতলা হয়ে যাওয়া।
এআই মডেলটি সতর্ক করেছে, এসব অভ্যাস অব্যাহত থাকলে ভবিষ্যতে অধিকাংশ মানুষ দেখতে একেবারে ‘ভুতুড়ে কার্টুন চরিত্রের’ মতো হয়ে উঠতে পারে।
স্যামের মাথা সামনের দিকে ঝুঁকে থাকা ও পিঠ গোল হয়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে ‘টেক নেক’ নামের এক ভঙ্গিগত সমস্যা। দীর্ঘক্ষণ ফোন বা স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকার ফলে ঘাড় ও পিঠে চাপ পড়ে, যা পেশির টান, ব্যথা ও হাড়ের গঠন বিকৃতির কারণ হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, আগে এ সমস্যা বয়স্কদের মধ্যে দেখা যেত। কিন্তু বর্তমানে অতিরিক্ত ফোন ব্যবহারের কারণে তরুণদের মধ্যেও এটি দ্রুত বাড়ছে।
স্যামের পা ও গোড়ালি ফোলা—যা অনেকক্ষণ বসে থাকার ফলে রক্ত চলাচল ব্যাহত হওয়ার ইঙ্গিত দেয়। এতে শরীরে তরল জমে থাকা, ভেরিকোস ভেইন এমনকি প্রাণঘাতী রক্ত জমাট বাঁধার ঝুঁকি পর্যন্ত তৈরি হয়।
তা ছাড়া অতিরিক্ত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে মানসিক চাপ, একাকিত্ব ও উদ্বেগের মাত্রা বাড়ে। এই পরিস্থিতি একধরনের চক্র তৈরি করে, যেখানে মানুষ আরও নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে এবং বাস্তব জগতের সঙ্গে সম্পর্ক দুর্বল হয়ে যায়।
তাহলে ভবিষ্যতের পথ কোন দিকে? বিশেষজ্ঞদের মতে, অবিরাম ফোন স্ক্রল করা ও অনলাইন সংযোগে ডুবে থাকা আমাদের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্য গভীর হুমকি তৈরি করছে। এই অভ্যাস থেকে বেরিয়ে আসা না গেলে ভবিষ্যতের মানুষ শুধু প্রযুক্তিনির্ভর নয়, বরং অসুস্থ, ক্লান্ত ও মানসিকভাবে বিচ্ছিন্ন এক প্রজন্মে পরিণত হতে পারে।

কমবেশি সবাই আমরা স্মার্টফোন ব্যবহার করি। কিন্তু অতিরিক্ত স্মার্টফোন ব্যবহার হয়তো আমাদের ভবিষ্যৎ চেহারাকে বদলে দিতে পারে। স্টেপ-ট্র্যাকিং অ্যাপ উইওয়ার্ড (WeWard) সম্প্রতি এক ভিডিওতে দেখিয়েছে, ২৫ বছর পর একজন ফোন আসক্ত মানুষের গড় চেহারা কেমন হতে পারে—যা দেখলে চমকে উঠতে হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ও মার্কিন রোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থার (সিডিসি) তথ্য বিশ্লেষণ করে তৈরি করা এই এআই-নির্ভর মডেলের নাম দেওয়া হয়েছে ‘স্যাম’ (Sam)। উইওয়ার্ড জানিয়েছে, মডেলটি মানুষের চেহারায় সম্ভাব্য শারীরিক পরিবর্তনের ধারণা দেয়, যদি তারা বর্তমানের মতোই অলস জীবনধারা বজায় রাখে।
ভিডিওটিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে তৈরি ত্রিমাত্রিক এই মডেল দেখিয়েছে, মানুষ কীভাবে দীর্ঘদিন প্রযুক্তি ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিমগ্ন থাকার কারণে ভয়াবহ শারীরিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে।
উইওয়ার্ডের ওই ভিডিও অনুযায়ী, ২০৫০ সালের মধ্যে মানুষের শরীরে একাধিক মারাত্মক পরিবর্তন দেখা যেতে পারে—যেমন; কুঁজো পিঠ ও সামনের দিকে ঝুঁকে থাকা ঘাড়, লালচে চোখ, চোখের নিচে কালো দাগ, বেরিয়ে থাকা পেট, ফোলা গোড়ালি ও পা, দৃশ্যমান ভেরিকোস ভেইন, ফ্যাকাশে ত্বক, একজিমা এবং মাথার চুল পাতলা হয়ে যাওয়া।
এআই মডেলটি সতর্ক করেছে, এসব অভ্যাস অব্যাহত থাকলে ভবিষ্যতে অধিকাংশ মানুষ দেখতে একেবারে ‘ভুতুড়ে কার্টুন চরিত্রের’ মতো হয়ে উঠতে পারে।
স্যামের মাথা সামনের দিকে ঝুঁকে থাকা ও পিঠ গোল হয়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে ‘টেক নেক’ নামের এক ভঙ্গিগত সমস্যা। দীর্ঘক্ষণ ফোন বা স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকার ফলে ঘাড় ও পিঠে চাপ পড়ে, যা পেশির টান, ব্যথা ও হাড়ের গঠন বিকৃতির কারণ হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, আগে এ সমস্যা বয়স্কদের মধ্যে দেখা যেত। কিন্তু বর্তমানে অতিরিক্ত ফোন ব্যবহারের কারণে তরুণদের মধ্যেও এটি দ্রুত বাড়ছে।
স্যামের পা ও গোড়ালি ফোলা—যা অনেকক্ষণ বসে থাকার ফলে রক্ত চলাচল ব্যাহত হওয়ার ইঙ্গিত দেয়। এতে শরীরে তরল জমে থাকা, ভেরিকোস ভেইন এমনকি প্রাণঘাতী রক্ত জমাট বাঁধার ঝুঁকি পর্যন্ত তৈরি হয়।
তা ছাড়া অতিরিক্ত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে মানসিক চাপ, একাকিত্ব ও উদ্বেগের মাত্রা বাড়ে। এই পরিস্থিতি একধরনের চক্র তৈরি করে, যেখানে মানুষ আরও নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে এবং বাস্তব জগতের সঙ্গে সম্পর্ক দুর্বল হয়ে যায়।
তাহলে ভবিষ্যতের পথ কোন দিকে? বিশেষজ্ঞদের মতে, অবিরাম ফোন স্ক্রল করা ও অনলাইন সংযোগে ডুবে থাকা আমাদের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্য গভীর হুমকি তৈরি করছে। এই অভ্যাস থেকে বেরিয়ে আসা না গেলে ভবিষ্যতের মানুষ শুধু প্রযুক্তিনির্ভর নয়, বরং অসুস্থ, ক্লান্ত ও মানসিকভাবে বিচ্ছিন্ন এক প্রজন্মে পরিণত হতে পারে।

রাজনৈতিক ও মতাদর্শগত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও টুইটারের বাক্স্বাধীনতার বিষয়টি নিয়ে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হয়ে এগোতে চান তবে তার জন্য পথ বের করে নেওয়া কঠিন হবে না। তবে তার জন্য অবশ্যই মাস্ককে স্পষ্ট করতে হবে তিনি টুইটারের বাক্স্বাধীনতা বলতে কতটুকু সীমা নির্ধারণ করেন এবং টুইটার থেকে তিনি আসলে কী অর্জন...
২৭ এপ্রিল ২০২২
দেশের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ক্ষুদ্র ইন্টারনেট সেবাদাতাদের ব্যবসা থেকে সরিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব ৷ আজ শুক্রবার (৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক ফেসবুক পোস্টে এ কথা জানান তিনি।
১৭ ঘণ্টা আগে
কর্মী নিয়োগের দিক থেকে ওয়ালমার্টের পরেই যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রতিষ্ঠান আমাজন। জানা গেছে, আগামী এক দশকের মধ্যে প্রতিষ্ঠানটি কয়েক লাখ মানবকর্মীকে রোবট দিয়ে প্রতিস্থাপন করতে পারে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে কিছু গোপনীয় নথির উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে...
১৮ ঘণ্টা আগে
রিয়েলমি বাংলাদেশের বাজারে এনেছে রিয়েলমি সি৮৫ প্রো। ‘ক্যাটাগরির প্রথম অফিশিয়াল ওয়াটারপ্রুফ স্মার্টফোন’ সি৭৫-এর সাফল্যের পর এই নতুন ডিভাইসটিকে সেগমেন্টের সবচেয়ে বেশি ওয়াটার-রেজিস্ট্যান্ট ও উজ্জ্বলতম ডিসপ্লেযুক্ত ফোন হিসেবে বাজারে আনা হয়েছে।
২১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রিয়েলমি বাংলাদেশের বাজারে এনেছে রিয়েলমি সি৮৫ প্রো। ‘ক্যাটাগরির প্রথম অফিশিয়াল ওয়াটারপ্রুফ স্মার্টফোন’ সি৭৫-এর সাফল্যের পর এ নতুন ডিভাইসটিকে সেগমেন্টের সবচেয়ে বেশি ওয়াটার-রেজিস্ট্যান্ট ও উজ্জ্বলতম ডিসপ্লেযুক্ত ফোন হিসেবে বাজারে আনা হয়েছে।
রিয়েলমি সি৮৫ প্রোর সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হলো এর ইন্ডাস্ট্রি-লিডিং আইপি ৬৯ প্রো ওয়াটারপ্রুফ রেটিং। এই অত্যাধুনিক রেটিং ফোনটি পানির নিচে টানা ৬০ দিন পর্যন্ত টিকে থাকতে সক্ষম।
পাশাপাশি ফোনটিতে রয়েছে ৭০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার (mAh) টাইটান ব্যাটারি। এতে ১০ ওয়াট রিভার্স চার্জিং সুবিধাও রয়েছে, যার মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা এটি দিয়ে অন্য ডিভাইসও চার্জ করার সুযোগ পাবেন।
এই ফোনে রয়েছে ৬.৮ ইঞ্চি ১২০ হার্জ (Hz) অ্যামোলেড ডিসপ্লে। এর ৪০০০ নিটস পিক ব্রাইটনেস এটিকে এই সেগমেন্টের সবচেয়ে উজ্জ্বল ডিসপ্লেতে পরিণত করেছে। ফলে উজ্জ্বল আলোতেও নিখুঁত ও ঝকঝকে ভিজ্যুয়াল নিশ্চিত হবে।
পারফরম্যান্সের জন্য এতে ব্যবহার করা হয়েছে শক্তিশালী স্ন্যাপড্রাগন প্রসেসর। এতে এআই এডিট জিনি এবং এআই আউটডোর মোডের সুবিধা থাকায় ছবি এডিটিং হবে আরও সহজ।
রিয়েলমি সি৮৫ প্রো ‘প্যারট পার্পল’ এবং ‘পিকক গ্রিন’—এই দুটি অনন্য রঙের ভ্যারিয়েন্টে পাওয়া যাবে।
স্মার্টফোনটি তিনটি ভ্যারিয়েন্টে বাজারে এসেছে: ৬ জিবি + ১২৮ জিবি, ২০ হাজার ৯৯৯ টাকা; ৮ জিবি + ১২৮ জিবি, ২২ হাজার ৯৯৯ টাকা এবং ৮ জিবি + ২৫৬ জিবি, ২৪ হাজার ৯৯৯ টাকা।
ক্রেতারা ৫ থেকে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত দেশের সব রিয়েলমি ব্র্যান্ড স্টোর ও অফিশিয়াল রিসেলার আউটলেট থেকে রিয়েলমি সি৮৫ প্রো প্রি-বুক করার সুযোগ পাচ্ছেন। প্রি-বুকিংকারীরা এক্সক্লুসিভ রিয়েলমি ব্যাগের সঙ্গে বাংলালিংকের বিশেষ অফারসহ আকর্ষণীয় উপহার পাবেন। এই উপহারগুলো ফার্স্ট-সেল চলাকালে ফোন সংগ্রহকারী ক্রেতাদের দেওয়া হবে এবং এটি সীমিত সময় ও শর্ত সাপেক্ষে প্রযোজ্য।

রিয়েলমি বাংলাদেশের বাজারে এনেছে রিয়েলমি সি৮৫ প্রো। ‘ক্যাটাগরির প্রথম অফিশিয়াল ওয়াটারপ্রুফ স্মার্টফোন’ সি৭৫-এর সাফল্যের পর এ নতুন ডিভাইসটিকে সেগমেন্টের সবচেয়ে বেশি ওয়াটার-রেজিস্ট্যান্ট ও উজ্জ্বলতম ডিসপ্লেযুক্ত ফোন হিসেবে বাজারে আনা হয়েছে।
রিয়েলমি সি৮৫ প্রোর সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হলো এর ইন্ডাস্ট্রি-লিডিং আইপি ৬৯ প্রো ওয়াটারপ্রুফ রেটিং। এই অত্যাধুনিক রেটিং ফোনটি পানির নিচে টানা ৬০ দিন পর্যন্ত টিকে থাকতে সক্ষম।
পাশাপাশি ফোনটিতে রয়েছে ৭০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার (mAh) টাইটান ব্যাটারি। এতে ১০ ওয়াট রিভার্স চার্জিং সুবিধাও রয়েছে, যার মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা এটি দিয়ে অন্য ডিভাইসও চার্জ করার সুযোগ পাবেন।
এই ফোনে রয়েছে ৬.৮ ইঞ্চি ১২০ হার্জ (Hz) অ্যামোলেড ডিসপ্লে। এর ৪০০০ নিটস পিক ব্রাইটনেস এটিকে এই সেগমেন্টের সবচেয়ে উজ্জ্বল ডিসপ্লেতে পরিণত করেছে। ফলে উজ্জ্বল আলোতেও নিখুঁত ও ঝকঝকে ভিজ্যুয়াল নিশ্চিত হবে।
পারফরম্যান্সের জন্য এতে ব্যবহার করা হয়েছে শক্তিশালী স্ন্যাপড্রাগন প্রসেসর। এতে এআই এডিট জিনি এবং এআই আউটডোর মোডের সুবিধা থাকায় ছবি এডিটিং হবে আরও সহজ।
রিয়েলমি সি৮৫ প্রো ‘প্যারট পার্পল’ এবং ‘পিকক গ্রিন’—এই দুটি অনন্য রঙের ভ্যারিয়েন্টে পাওয়া যাবে।
স্মার্টফোনটি তিনটি ভ্যারিয়েন্টে বাজারে এসেছে: ৬ জিবি + ১২৮ জিবি, ২০ হাজার ৯৯৯ টাকা; ৮ জিবি + ১২৮ জিবি, ২২ হাজার ৯৯৯ টাকা এবং ৮ জিবি + ২৫৬ জিবি, ২৪ হাজার ৯৯৯ টাকা।
ক্রেতারা ৫ থেকে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত দেশের সব রিয়েলমি ব্র্যান্ড স্টোর ও অফিশিয়াল রিসেলার আউটলেট থেকে রিয়েলমি সি৮৫ প্রো প্রি-বুক করার সুযোগ পাচ্ছেন। প্রি-বুকিংকারীরা এক্সক্লুসিভ রিয়েলমি ব্যাগের সঙ্গে বাংলালিংকের বিশেষ অফারসহ আকর্ষণীয় উপহার পাবেন। এই উপহারগুলো ফার্স্ট-সেল চলাকালে ফোন সংগ্রহকারী ক্রেতাদের দেওয়া হবে এবং এটি সীমিত সময় ও শর্ত সাপেক্ষে প্রযোজ্য।

রাজনৈতিক ও মতাদর্শগত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও টুইটারের বাক্স্বাধীনতার বিষয়টি নিয়ে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হয়ে এগোতে চান তবে তার জন্য পথ বের করে নেওয়া কঠিন হবে না। তবে তার জন্য অবশ্যই মাস্ককে স্পষ্ট করতে হবে তিনি টুইটারের বাক্স্বাধীনতা বলতে কতটুকু সীমা নির্ধারণ করেন এবং টুইটার থেকে তিনি আসলে কী অর্জন...
২৭ এপ্রিল ২০২২
দেশের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ক্ষুদ্র ইন্টারনেট সেবাদাতাদের ব্যবসা থেকে সরিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব ৷ আজ শুক্রবার (৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক ফেসবুক পোস্টে এ কথা জানান তিনি।
১৭ ঘণ্টা আগে
কর্মী নিয়োগের দিক থেকে ওয়ালমার্টের পরেই যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রতিষ্ঠান আমাজন। জানা গেছে, আগামী এক দশকের মধ্যে প্রতিষ্ঠানটি কয়েক লাখ মানবকর্মীকে রোবট দিয়ে প্রতিস্থাপন করতে পারে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে কিছু গোপনীয় নথির উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে...
১৮ ঘণ্টা আগে
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ও মার্কিন রোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থার (সিডিসি) তথ্য বিশ্লেষণ করে তৈরি করা এই এআই-নির্ভর মডেলের নাম দেওয়া হয়েছে ‘স্যাম’ (Sam)। উইওয়ার্ড জানিয়েছে, মডেলটি মানুষের চেহারায় সম্ভাব্য শারীরিক পরিবর্তনের ধারণা দেয়, যদি তারা বর্তমানের মতোই অলস জীবনধারা বজায় রাখে।
১৯ ঘণ্টা আগে