শর্ট ভিডিও প্ল্যাটফর্ম টিকটকের ওপর নিষেধাজ্ঞার উদ্যোগ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হিতে বিপরীত হবে বলে সতর্ক করেছে চীন। জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকির কোনো প্রমাণ না থাকলেও নিছক চীনা কোম্পানি বলে টিকটককে দমনের চেষ্টা চলছে বলে সমালোচনা করেছে দেশটি।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, গতকাল টিকটক নিষিদ্ধ করার বিল মার্কিন কংগ্রেসে বা হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভসে বিপুল ভোটে পাস হয়েছে। এর মাধ্যমে অ্যাপটিকে চীনের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে বা যুক্তরাষ্ট্রে এর কার্যক্রম বন্ধ করতে বাধ্য করা যাবে।
মার্কিন কর্মকর্তারা বরাবরই টিকটককে জাতীয় নিরাপত্তা ঝুঁকি হিসেবে তুলে উদ্বেগ প্রকাশ করে এসেছেন। তবে টিকটক এই দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলে, এটি কোনো হুমকির সৃষ্টি করে না।
গত বুধবার হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভসে দ্বিদলীয় অর্থাৎ ডেমোক্রেট ও রিপাবলিকানদের সমর্থনে ৩৫২–৬৫ ভোটে বিলটি পাস হয়েছে। আনুষ্ঠানিকভাবে বিলটি ‘প্রটেক্টিং আমেরিকানস ফ্রম ফরেন অ্যাডভেসারি কন্ট্রোলড অ্যাপলিকেশন অ্যাক্ট’ নামে পরিচিত।
আইন হতে বিলটিতে সিনেটের অনুমোদন লাগবে। সেখানে বিল পাস করার জন্য যথেষ্ট সমর্থন রয়েছে নাকি তা স্পষ্ট নয়। তবে হোয়াইট হাউজ বলছে, সিনেটের যথেষ্ট সমর্থন পেলে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আইনে স্বাক্ষর করবেন।
এই বিলের কড়া সমালোচনা করে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন বলেন, টিকটক জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ এমন প্রমাণ খুঁজে না পেলেও টিকটককে দমন করার চেষ্টা করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ।
ওয়াং আরও বলেন, ‘ন্যায্য প্রতিযোগিতায় এই ধরনের উৎপীড়নমূলক আচরণ জিততে পারে না। এই আচরণ কোম্পানিগুলোর স্বাভাবিক ব্যবসায়িক কার্যকলাপকে ব্যাহত করে, আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের আস্থাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং স্বাভাবিক আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য শৃঙ্খলাকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। শেষ পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্যই হিতে বিপরীত হবে।’
চীনের সংবাদমাধ্যমে এই পদক্ষেপ নিয়ে সমালোচনা করা হয়। বেশ কয়েকটি সংবাদপত্রে ব্যঙ্গাত্মক কার্টুন দেখানো হয়েছে যেখানে অ্যাপটিকে নিষিদ্ধ করার জন্য মার্কিন প্রচেষ্টাকে উপহাস করা হয়েছে।
‘কুৎসিত আচরণ’ এবং ‘জোর করে’ অ্যাপটি বাজেয়াপ্ত করার জন্য ‘জাতীয় নিরাপত্তার ধারণার’ অপব্যবহার করেছে বলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওপর অভিযোগ তোলে চীনের সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমস।
অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের মতোই চীনে টিকটক নিষিদ্ধ। দেশের ব্যবহারকারীরা একটি অনুরূপ অ্যাপ ডুয়িন ব্যবহার করেন যা শুধুমাত্র চীনে পাওয়া যায় এবং চীনের সরকার অ্যাপটি পর্যবেক্ষণ ও সেন্সরশিপ করে।
বেইজিংভিত্তিক বাইটডান্সের কোম্পানির মালিকানাধীন প্ল্যাটফর্ম হলো টিকটক।
যদি মার্কিন বিল আইনে পরিণত হয় তাহলে বাইটড্যান্সকে ছয় মাসের মধ্যে টিকটক বিক্রি করতে হবে বা যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাপ স্টোর ও ওয়েব হোস্টিং প্ল্যাটফর্ম থেকে নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হবে।
গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবহারকারীদের কংগ্রেসের সদস্যদের ফোন করে আইনটির বিরোধিতা করার আহ্বান জানিয়েছে টিকটক। প্ল্যাটফর্মটি বলছে, আইনটি পাশ হলে ১৭ কোটি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের বাক্স্বাধীনতার অধিকার কেড়ে নেওয়া হবে।
টিকটকের এই বার্তার বিপরীতে হাউজ অব চায়না সিলেক্ট কমিটি এক চিঠিতে কোম্পানিটিকে চীনের কমিউনিস্ট পার্টিকে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের ম্যানুপুলেট ও মিথ্যা দাবি ছড়ানো বন্ধ করতে বলা হয়েছে।
চীন সরকারের সঙ্গে কোনো যোগসূত্র থাকার কথা অস্বীকার করেছে টিকটক। কোম্পানিটি বলেছে, এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মার্কিন ডেটা রাখার জন্য কোম্পানিটিকে পুনর্গঠন করেছে।
২০২০ সালে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প অ্যাপটি নিষিদ্ধ করতে চেয়েছিলেন। তবে আইনি বাধার সম্মুখীন হওয়ায় এই পদক্ষেপ কার্যকর হয়নি।
শর্ট ভিডিও প্ল্যাটফর্ম টিকটকের ওপর নিষেধাজ্ঞার উদ্যোগ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হিতে বিপরীত হবে বলে সতর্ক করেছে চীন। জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকির কোনো প্রমাণ না থাকলেও নিছক চীনা কোম্পানি বলে টিকটককে দমনের চেষ্টা চলছে বলে সমালোচনা করেছে দেশটি।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, গতকাল টিকটক নিষিদ্ধ করার বিল মার্কিন কংগ্রেসে বা হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভসে বিপুল ভোটে পাস হয়েছে। এর মাধ্যমে অ্যাপটিকে চীনের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে বা যুক্তরাষ্ট্রে এর কার্যক্রম বন্ধ করতে বাধ্য করা যাবে।
মার্কিন কর্মকর্তারা বরাবরই টিকটককে জাতীয় নিরাপত্তা ঝুঁকি হিসেবে তুলে উদ্বেগ প্রকাশ করে এসেছেন। তবে টিকটক এই দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলে, এটি কোনো হুমকির সৃষ্টি করে না।
গত বুধবার হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভসে দ্বিদলীয় অর্থাৎ ডেমোক্রেট ও রিপাবলিকানদের সমর্থনে ৩৫২–৬৫ ভোটে বিলটি পাস হয়েছে। আনুষ্ঠানিকভাবে বিলটি ‘প্রটেক্টিং আমেরিকানস ফ্রম ফরেন অ্যাডভেসারি কন্ট্রোলড অ্যাপলিকেশন অ্যাক্ট’ নামে পরিচিত।
আইন হতে বিলটিতে সিনেটের অনুমোদন লাগবে। সেখানে বিল পাস করার জন্য যথেষ্ট সমর্থন রয়েছে নাকি তা স্পষ্ট নয়। তবে হোয়াইট হাউজ বলছে, সিনেটের যথেষ্ট সমর্থন পেলে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আইনে স্বাক্ষর করবেন।
এই বিলের কড়া সমালোচনা করে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন বলেন, টিকটক জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ এমন প্রমাণ খুঁজে না পেলেও টিকটককে দমন করার চেষ্টা করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ।
ওয়াং আরও বলেন, ‘ন্যায্য প্রতিযোগিতায় এই ধরনের উৎপীড়নমূলক আচরণ জিততে পারে না। এই আচরণ কোম্পানিগুলোর স্বাভাবিক ব্যবসায়িক কার্যকলাপকে ব্যাহত করে, আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের আস্থাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং স্বাভাবিক আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য শৃঙ্খলাকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। শেষ পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্যই হিতে বিপরীত হবে।’
চীনের সংবাদমাধ্যমে এই পদক্ষেপ নিয়ে সমালোচনা করা হয়। বেশ কয়েকটি সংবাদপত্রে ব্যঙ্গাত্মক কার্টুন দেখানো হয়েছে যেখানে অ্যাপটিকে নিষিদ্ধ করার জন্য মার্কিন প্রচেষ্টাকে উপহাস করা হয়েছে।
‘কুৎসিত আচরণ’ এবং ‘জোর করে’ অ্যাপটি বাজেয়াপ্ত করার জন্য ‘জাতীয় নিরাপত্তার ধারণার’ অপব্যবহার করেছে বলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওপর অভিযোগ তোলে চীনের সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমস।
অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের মতোই চীনে টিকটক নিষিদ্ধ। দেশের ব্যবহারকারীরা একটি অনুরূপ অ্যাপ ডুয়িন ব্যবহার করেন যা শুধুমাত্র চীনে পাওয়া যায় এবং চীনের সরকার অ্যাপটি পর্যবেক্ষণ ও সেন্সরশিপ করে।
বেইজিংভিত্তিক বাইটডান্সের কোম্পানির মালিকানাধীন প্ল্যাটফর্ম হলো টিকটক।
যদি মার্কিন বিল আইনে পরিণত হয় তাহলে বাইটড্যান্সকে ছয় মাসের মধ্যে টিকটক বিক্রি করতে হবে বা যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাপ স্টোর ও ওয়েব হোস্টিং প্ল্যাটফর্ম থেকে নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হবে।
গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবহারকারীদের কংগ্রেসের সদস্যদের ফোন করে আইনটির বিরোধিতা করার আহ্বান জানিয়েছে টিকটক। প্ল্যাটফর্মটি বলছে, আইনটি পাশ হলে ১৭ কোটি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের বাক্স্বাধীনতার অধিকার কেড়ে নেওয়া হবে।
টিকটকের এই বার্তার বিপরীতে হাউজ অব চায়না সিলেক্ট কমিটি এক চিঠিতে কোম্পানিটিকে চীনের কমিউনিস্ট পার্টিকে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের ম্যানুপুলেট ও মিথ্যা দাবি ছড়ানো বন্ধ করতে বলা হয়েছে।
চীন সরকারের সঙ্গে কোনো যোগসূত্র থাকার কথা অস্বীকার করেছে টিকটক। কোম্পানিটি বলেছে, এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মার্কিন ডেটা রাখার জন্য কোম্পানিটিকে পুনর্গঠন করেছে।
২০২০ সালে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প অ্যাপটি নিষিদ্ধ করতে চেয়েছিলেন। তবে আইনি বাধার সম্মুখীন হওয়ায় এই পদক্ষেপ কার্যকর হয়নি।
কাজাখস্তানের ২৩ বছর বয়সী তরুণ কেনজেবেক ইসমাইলভ তাঁর মাকে নিয়ে হাসপাতালে যাচ্ছিলেন। পথে একটি গাড়ি কোনো কারণ ছাড়াই থেমে গিয়ে এক লেনের রাস্তায় যানজট সৃষ্টি করে। কিন্তু কেনজেবেকের হাসপাতালে যাওয়ার তাড়া ছিল।
৫ ঘণ্টা আগেব্যবহারকারীদের কথা মাথায় রেখে নতুন নতুন প্রযুক্তি যুক্ত করছে স্মার্টফোনের ব্র্যান্ডগুলো। টেকসই ও স্থায়িত্বের নিশ্চয়তা দিতে যুক্ত করা হচ্ছে এসব প্রযুক্তি। একই সঙ্গে দেখার সৌন্দর্যের জন্য গুরুত্ব পাচ্ছে ফোনের রং ও অন্যান্য বাহ্যিক ডিজাইনও। সম্প্রতি দেশের বাজারে আসা এমন একটি স্মার্টফোন হলো রিয়েলমি সি৭৫
৮ ঘণ্টা আগেকৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) ক্ষমতা নিয়ে বড় পরিকল্পনার কথা জানালেন মেটার প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ। মেটার প্রথম এআই ডেভেলপার সম্মেলন ‘লামাকন’-এর সমাপনী অধিবেশনে মাইক্রোসফটের সিইও সত্য নাদেলার সঙ্গে এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে জাকারবার্গ বলেন, ‘আমাদের ধারণা, আগামী এক বছরের মধ্যেই মেটার অর্ধেক সফটওয়্যার
৯ ঘণ্টা আগেআগে কখনো প্রেমে পড়েননি চীনের নাগরিক স্টিভ চেন (২৫)। তবে গত বসন্তে নিজের প্রথম প্রেম খুঁজে পান তিনি। তাও আবার লাইভ ভিডিও চ্যাটের মাধ্যমে। শুধু চ্যান না, ভিডিও চ্যাটরুমে বর্তমানে প্রেম খুঁজছেন চীনের বহু তরুণ। সেখানে ‘সাইবার ম্যাচমেকার’ পরিচালনা করেন ডেটিং সেশন, আর হাজারো মানুষ তা সরাসরি দেখেন...
১০ ঘণ্টা আগে