প্রযুক্তি ডেস্ক

ঈদ উপলক্ষে দেশের মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের গ্রাহকদের জন্য নানা ধরনের সেবা ও অফার নিয়ে এসেছে। বিশেষ এই অফার নিয়ে আসা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে বিকাশ, নগদ, রকেট, উপায় ও লংকাবাংলার রয়েছে ঈদ ঘিরে গ্রাহকসেবায় নানা পরিকল্পনা। সঙ্গে করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে সংকটগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে নানা উদ্যোগও নিয়েছে প্রতিষ্ঠানগুলো। এরই মধ্যে এসব অফার ও উদ্যোগ বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছে। ঈদ উপলক্ষে করা এসব আয়োজনে অংশ নিতে চাইলে অপেক্ষার সুযোগ নেই।
বিকাশ
ব্র্যাক ব্যাংকের মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস বিকাশ ঈদ উপলক্ষে গ্রাহকদের জন্য নিয়ে এসেছে বিশেষ অফার। দেশজুড়ে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার আউটলেটে কেনাকাটার পেমেন্ট বিকাশ করলে গ্রাহকেরা নানা রকম ক্যাশব্যাক পাচ্ছেন।
এই অফারে গ্রাহকেরা ৫ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত ইনস্ট্যান্ট ক্যাশব্যাক পাবেন। বিকাশ কর্তৃপক্ষ জানায়, গত ১ মে শুরু হওয়া এই অফারটি চলবে ১৫ মে ২০২১ পর্যন্ত। বিকাশ অ্যাপ, ইউএসএসডি কোড *২৪৭# কিংবা পেমেন্ট গেটওয়ের মাধ্যমে অফারটির সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন গ্রাহকেরা।
বিভিন্ন লাইফস্টাইল সামগ্রী, জুতা, পোশাক ও আনুষঙ্গিক পণ্য, অনলাইন শপ, ইলেকট্রনিক্স গ্যাজেট, সুপারস্টোর, স্বাস্থ্যসেবা, রেস্টুরেন্ট/ ক্যাফে ও অন্যান্য অনেক ধরনের সেবা ও পণ্যের পেমেন্ট করতে গিয়ে গ্রাহকেরা এই অফারের সুবিধা নিতে পারছেন।
এই অফারের আওতায় রয়েছে আড়ং, অঞ্জনস, কে ক্রাফট, বাংলার মেলা, বিবিয়ানা, দেশাল, লা রিভ, রঙ, সাদাকালো, সেইলর, নাগরদোলা, বাটা, জীলস, লোটো, অরেঞ্জ, সারা, এলজি বাটারফ্লাই, মিনিস্টার, ট্রান্সকম, সিঙ্গার, সনি র্যাংগস, কিভা হান, বাও, ক্যাফে ইউফোরিয়া, নবাব চাঁটগা, বাওজি, সালাম’স কিচেন, খাজানা মিঠাই, পেয়ালা, বাংলা শপার্স, বই বিচিত্রা, আল আমীন জুয়েলার্স, বেবি শপ, জেন্টল পার্ক, ফুট গিয়ার, ক্রিসেন্টসহ আরও অনেক আউটলেট।
এ সম্পর্কিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিভিন্ন রিসোর্টে বিকাশ পেমেন্টে বাই ওয়ান গেট ওয়ান, অর্থাৎ একটি কিনলে একটি ফ্রি অফার উপভোগ করতে পারছেন গ্রাহকেরা। আফটার আওয়ারস হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট, প্লাটিনাম গ্র্যান্ড, প্লাটিনাম রেসিডেন্স, হানসা-এ প্রিমিয়াম রেসিডেন্স, বেস্ট ওয়েস্টার্ন প্লাস মায়া, ঢাকা রিজেন্সি, বেস্ট ওয়েস্টার্ন প্লাস ম্যাপল লিফ, এশিয়া হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট, শাইনপুকুর স্যুইটস এবং দ্য ওয়ে ঢাকা-তে এই অফার পাওয়া যাবে।
বিভিন্ন হোটেলে গ্রাহকেরা ৪০ শতাংশ পর্যন্ত ডিসকাউন্ট পাবেন। হোটেল নুরজাহান গ্র্যান্ড, হোটেল ফাউন্টেইন, হোটেল রেডিসন, হোটেল সারিনা, গ্রেস ২১, প্যারাগন কনভেনশন হল, মানচেরি, বিনস অ্যান্ড গ্রিলস, আদি অষ্টব্যঞ্জন রেস্তোরাঁয় বিকাশ পেমেন্টে বিভিন্ন পরিমাণ ডিসকাউন্ট পাচ্ছেন গ্রাহকেরা।এ ছাড়া স্বপ্ন, ডেইলি শপিং, আগোরা, মীনা বাজার, প্রিন্স বাজার, ইউনিমার্ট, গোর্মেট বাজারসহ দেশের শীর্ষস্থানীয় সুপারস্টোরগুলোতে বিকাশের মাধ্যমে পেমেন্টে মিলছে ৫ শতাংশ ক্যাশব্যাক।
পাশাপাশি এই ঈদে বিকাশ গ্রাহকেরা সারা দেশের নির্ধারিত আউটলেটে নির্দিষ্ট ওয়ালটন পণ্যের পেমেন্ট বিকাশ করলে পাচ্ছেন ১০ শতাংশ ডিসকাউন্ট। এ ছাড়া ওয়ালটন এয়ার কন্ডিশনার কিনলে ৩ হাজার ১১১ টাকা ডিসকাউন্ট, অর্থাৎ ৬ মাসের বিদ্যুৎ বিল সংশ্লিষ্ট গ্রাহক ফ্রি পাবেন বলে জানিয়েছে বিকাশ।
বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে পেমেন্ট করার জন্য গ্রাহকেরা সহজেই বিকাশ অ্যাপের ‘অফার’ অংশে গিয়ে তাদের আশপাশে কী কী অফার চলছে সেগুলো দেখে নিতে পারেন।
নগদ
ডাক বিভাগের মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস নগদ শুরু করেছে ‘ডোনেশন’ সেবা। এর মাধ্যমে যে কেউ জাকাত বা যেকোনো পরিমাণ অর্থ সহায়তা ‘নগদ’-এর মাধ্যমে দিতে পারছেন খুব সহজেই। ঈদের সময় দুস্থ ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতেই এই উদ্যোগ নিয়েছে নগদ।
নগদ কর্তৃপক্ষ জানায়, জাকাত, ফিতরা বা অন্য কোনো অনুদান প্রদানের জন্য ‘নগদ’ অ্যাপে প্রবেশ করে ‘ডোনেশন’ অপশনটি ক্লিক করলেই গ্রাহক তাঁর জাকাত বা অন্য যেকোনো ধরনের দান প্রদান করতে পারবেন।
বর্তমানে ২১টি প্রতিষ্ঠান এই কাজে ‘নগদ’-এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো—বিদ্যানন্দ এক টাকার মিল, বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া ফাউন্ডেশন, আমার বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন, ইটস হিউম্যানিটি ফাউন্ডেশন (আইএইএফ), সাজিদা ফাউন্ডেশন, বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন, সেন্টার ফর জাকাত ম্যানেজমেন্ট, ইনোভেটিভ কনসালটেন্সি, হিউম্যান এইড বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন, মাস্তুল ফাউন্ডেশন, দরিদ্র চ্যারিটি ফাউন্ডেশন, মজার স্কুল, অভিযাত্রিক ফাউন্ডেশন, কে কে ফাউন্ডেশন, কৃষিবিদ ফাউন্ডেশন ফর হিউম্যানিটি, আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম, কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন, আই কেয়ার প্রোগ্রাাম, স্বপ্নযাত্রা, জাগো ফাউন্ডেশন ও ইউনিভার্সেল হেল্প হাব (ইএইচএইচ)।
‘নগদ’-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক বলেন, ‘আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন, যারা অন্যকে সহায্য করতে আগ্রহী। কিন্তু সত্যিকার অর্থে মানুষের জন্য কাজ করছে এমন প্ল্যাটফর্ম খুঁজে না পাওয়ায় তাদের পক্ষে চাইলেও তা করা সম্ভব হয় না। এমন মানুষদের জন্যই আমরা আমাদের প্ল্যাটফর্মটি তৈরি করেছি। এখন শুধু ইচ্ছা করলেই যে কেউ তার অনুদান বঞ্চিত মানুষটির কাছের পৌঁছে দিতে পারবেন।’
এ ছাড়া ঈদ উপলক্ষে নগদ শুরু করেছে ‘ঈদ গ্রসারি অফার’। এই অফারের মাধ্যমে গ্রাহকেরা নগদের মাধ্যমে কেনাকাটা করলে বেশ কিছু সুপারশপ থেকে ১০ শতাংশ ক্যাশব্যাক পাবেন। প্রিন্স বাজার, ইউনিমার্ট, হোলসেল ক্লাব লিমিটেড, মীনা বাজার, ডেইলি শপিং—এ গত ২৯ এপ্রিলে থেকেই এই ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছে। ক্যাম্পেইনটি চলবে ঈদের দিন পর্যন্ত। স্বপ্ন সুপারশপে এই ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছে গত ৭ মে থেকে, যা চলবে ঈদের দিন পর্যন্ত।
রকেট
ডাচ বাংলা ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকির সার্ভিস রকেট এবার ঈদে গ্রামীণ ফোনের সঙ্গে যৌথভাবে একটি ক্যাম্পেইন পরিচালনা করছে। ডাচ বাংলা ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানায়, এই ক্যাম্পেইন গত ৪ মে শুরু হয়েছে, যা আগামী ১৩ মে পর্যন্ত চলবে।
অফারটি চলাকালে রকেট অ্যাকাউন্ট থেকে গ্রামীণফোনে রিচার্জ করলেই ক্যাশব্যাক পাবেন গ্রাহকেরা। অফারের আওতায় ১০৯ টাকা রিচার্জে ১০ টাকা এবং ৬৯ টাকা রিচার্জে ৫ টাকা করে ক্যাশব্যাক পাবেন গ্রাহকেরা। রিচার্জের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে গ্রাহক এই ক্যাশব্যাক পাবেন।
উপায়
ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘উপায়’ ঈদ উপলক্ষে বিশেষ কোনো ক্যাম্পেইন চালু করেনি। তবে তারা এ বছর সর্বনিম্ন ক্যাশআউটের যে সুবিধা দিচ্ছে, সেটিই ঈদ উপলক্ষে মানুষকে বেশি বেশি জানানোর চেষ্টা করছে উপায়। এ জন্য তারা ডিজিটাল, ইলেকট্রনিক, প্রিন্ট গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার চালাচ্ছে।
লংকা বাংলা
ঈদ উপলক্ষে লংকা বাংলা ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসও নানা অফার নিয়ে হাজির হয়েছে।
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে প্রতিষ্ঠানটির গ্রাহকেরা লংকা বাংলার ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে কেনাকাটার সময় বিভিন্ন পরিমাণ ছাড় পাবেন বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটির কর্তৃপক্ষ।
এর মধ্যে সারা, বেবিশপ, ধামাকাশপিং থেকে কেনাকাটায় ১০ শতাংশ ছাড় পাওয়া যাবে। পাশাপাশি সাদাকালো, রেড, অর্পণবিডি থেকে কেনাকাটায় ১৫ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় পাওয়া যাবে।

ঈদ উপলক্ষে দেশের মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের গ্রাহকদের জন্য নানা ধরনের সেবা ও অফার নিয়ে এসেছে। বিশেষ এই অফার নিয়ে আসা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে বিকাশ, নগদ, রকেট, উপায় ও লংকাবাংলার রয়েছে ঈদ ঘিরে গ্রাহকসেবায় নানা পরিকল্পনা। সঙ্গে করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে সংকটগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে নানা উদ্যোগও নিয়েছে প্রতিষ্ঠানগুলো। এরই মধ্যে এসব অফার ও উদ্যোগ বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছে। ঈদ উপলক্ষে করা এসব আয়োজনে অংশ নিতে চাইলে অপেক্ষার সুযোগ নেই।
বিকাশ
ব্র্যাক ব্যাংকের মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস বিকাশ ঈদ উপলক্ষে গ্রাহকদের জন্য নিয়ে এসেছে বিশেষ অফার। দেশজুড়ে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার আউটলেটে কেনাকাটার পেমেন্ট বিকাশ করলে গ্রাহকেরা নানা রকম ক্যাশব্যাক পাচ্ছেন।
এই অফারে গ্রাহকেরা ৫ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত ইনস্ট্যান্ট ক্যাশব্যাক পাবেন। বিকাশ কর্তৃপক্ষ জানায়, গত ১ মে শুরু হওয়া এই অফারটি চলবে ১৫ মে ২০২১ পর্যন্ত। বিকাশ অ্যাপ, ইউএসএসডি কোড *২৪৭# কিংবা পেমেন্ট গেটওয়ের মাধ্যমে অফারটির সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন গ্রাহকেরা।
বিভিন্ন লাইফস্টাইল সামগ্রী, জুতা, পোশাক ও আনুষঙ্গিক পণ্য, অনলাইন শপ, ইলেকট্রনিক্স গ্যাজেট, সুপারস্টোর, স্বাস্থ্যসেবা, রেস্টুরেন্ট/ ক্যাফে ও অন্যান্য অনেক ধরনের সেবা ও পণ্যের পেমেন্ট করতে গিয়ে গ্রাহকেরা এই অফারের সুবিধা নিতে পারছেন।
এই অফারের আওতায় রয়েছে আড়ং, অঞ্জনস, কে ক্রাফট, বাংলার মেলা, বিবিয়ানা, দেশাল, লা রিভ, রঙ, সাদাকালো, সেইলর, নাগরদোলা, বাটা, জীলস, লোটো, অরেঞ্জ, সারা, এলজি বাটারফ্লাই, মিনিস্টার, ট্রান্সকম, সিঙ্গার, সনি র্যাংগস, কিভা হান, বাও, ক্যাফে ইউফোরিয়া, নবাব চাঁটগা, বাওজি, সালাম’স কিচেন, খাজানা মিঠাই, পেয়ালা, বাংলা শপার্স, বই বিচিত্রা, আল আমীন জুয়েলার্স, বেবি শপ, জেন্টল পার্ক, ফুট গিয়ার, ক্রিসেন্টসহ আরও অনেক আউটলেট।
এ সম্পর্কিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিভিন্ন রিসোর্টে বিকাশ পেমেন্টে বাই ওয়ান গেট ওয়ান, অর্থাৎ একটি কিনলে একটি ফ্রি অফার উপভোগ করতে পারছেন গ্রাহকেরা। আফটার আওয়ারস হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট, প্লাটিনাম গ্র্যান্ড, প্লাটিনাম রেসিডেন্স, হানসা-এ প্রিমিয়াম রেসিডেন্স, বেস্ট ওয়েস্টার্ন প্লাস মায়া, ঢাকা রিজেন্সি, বেস্ট ওয়েস্টার্ন প্লাস ম্যাপল লিফ, এশিয়া হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট, শাইনপুকুর স্যুইটস এবং দ্য ওয়ে ঢাকা-তে এই অফার পাওয়া যাবে।
বিভিন্ন হোটেলে গ্রাহকেরা ৪০ শতাংশ পর্যন্ত ডিসকাউন্ট পাবেন। হোটেল নুরজাহান গ্র্যান্ড, হোটেল ফাউন্টেইন, হোটেল রেডিসন, হোটেল সারিনা, গ্রেস ২১, প্যারাগন কনভেনশন হল, মানচেরি, বিনস অ্যান্ড গ্রিলস, আদি অষ্টব্যঞ্জন রেস্তোরাঁয় বিকাশ পেমেন্টে বিভিন্ন পরিমাণ ডিসকাউন্ট পাচ্ছেন গ্রাহকেরা।এ ছাড়া স্বপ্ন, ডেইলি শপিং, আগোরা, মীনা বাজার, প্রিন্স বাজার, ইউনিমার্ট, গোর্মেট বাজারসহ দেশের শীর্ষস্থানীয় সুপারস্টোরগুলোতে বিকাশের মাধ্যমে পেমেন্টে মিলছে ৫ শতাংশ ক্যাশব্যাক।
পাশাপাশি এই ঈদে বিকাশ গ্রাহকেরা সারা দেশের নির্ধারিত আউটলেটে নির্দিষ্ট ওয়ালটন পণ্যের পেমেন্ট বিকাশ করলে পাচ্ছেন ১০ শতাংশ ডিসকাউন্ট। এ ছাড়া ওয়ালটন এয়ার কন্ডিশনার কিনলে ৩ হাজার ১১১ টাকা ডিসকাউন্ট, অর্থাৎ ৬ মাসের বিদ্যুৎ বিল সংশ্লিষ্ট গ্রাহক ফ্রি পাবেন বলে জানিয়েছে বিকাশ।
বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে পেমেন্ট করার জন্য গ্রাহকেরা সহজেই বিকাশ অ্যাপের ‘অফার’ অংশে গিয়ে তাদের আশপাশে কী কী অফার চলছে সেগুলো দেখে নিতে পারেন।
নগদ
ডাক বিভাগের মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস নগদ শুরু করেছে ‘ডোনেশন’ সেবা। এর মাধ্যমে যে কেউ জাকাত বা যেকোনো পরিমাণ অর্থ সহায়তা ‘নগদ’-এর মাধ্যমে দিতে পারছেন খুব সহজেই। ঈদের সময় দুস্থ ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতেই এই উদ্যোগ নিয়েছে নগদ।
নগদ কর্তৃপক্ষ জানায়, জাকাত, ফিতরা বা অন্য কোনো অনুদান প্রদানের জন্য ‘নগদ’ অ্যাপে প্রবেশ করে ‘ডোনেশন’ অপশনটি ক্লিক করলেই গ্রাহক তাঁর জাকাত বা অন্য যেকোনো ধরনের দান প্রদান করতে পারবেন।
বর্তমানে ২১টি প্রতিষ্ঠান এই কাজে ‘নগদ’-এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো—বিদ্যানন্দ এক টাকার মিল, বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া ফাউন্ডেশন, আমার বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন, ইটস হিউম্যানিটি ফাউন্ডেশন (আইএইএফ), সাজিদা ফাউন্ডেশন, বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন, সেন্টার ফর জাকাত ম্যানেজমেন্ট, ইনোভেটিভ কনসালটেন্সি, হিউম্যান এইড বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন, মাস্তুল ফাউন্ডেশন, দরিদ্র চ্যারিটি ফাউন্ডেশন, মজার স্কুল, অভিযাত্রিক ফাউন্ডেশন, কে কে ফাউন্ডেশন, কৃষিবিদ ফাউন্ডেশন ফর হিউম্যানিটি, আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম, কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন, আই কেয়ার প্রোগ্রাাম, স্বপ্নযাত্রা, জাগো ফাউন্ডেশন ও ইউনিভার্সেল হেল্প হাব (ইএইচএইচ)।
‘নগদ’-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক বলেন, ‘আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন, যারা অন্যকে সহায্য করতে আগ্রহী। কিন্তু সত্যিকার অর্থে মানুষের জন্য কাজ করছে এমন প্ল্যাটফর্ম খুঁজে না পাওয়ায় তাদের পক্ষে চাইলেও তা করা সম্ভব হয় না। এমন মানুষদের জন্যই আমরা আমাদের প্ল্যাটফর্মটি তৈরি করেছি। এখন শুধু ইচ্ছা করলেই যে কেউ তার অনুদান বঞ্চিত মানুষটির কাছের পৌঁছে দিতে পারবেন।’
এ ছাড়া ঈদ উপলক্ষে নগদ শুরু করেছে ‘ঈদ গ্রসারি অফার’। এই অফারের মাধ্যমে গ্রাহকেরা নগদের মাধ্যমে কেনাকাটা করলে বেশ কিছু সুপারশপ থেকে ১০ শতাংশ ক্যাশব্যাক পাবেন। প্রিন্স বাজার, ইউনিমার্ট, হোলসেল ক্লাব লিমিটেড, মীনা বাজার, ডেইলি শপিং—এ গত ২৯ এপ্রিলে থেকেই এই ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছে। ক্যাম্পেইনটি চলবে ঈদের দিন পর্যন্ত। স্বপ্ন সুপারশপে এই ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছে গত ৭ মে থেকে, যা চলবে ঈদের দিন পর্যন্ত।
রকেট
ডাচ বাংলা ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকির সার্ভিস রকেট এবার ঈদে গ্রামীণ ফোনের সঙ্গে যৌথভাবে একটি ক্যাম্পেইন পরিচালনা করছে। ডাচ বাংলা ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানায়, এই ক্যাম্পেইন গত ৪ মে শুরু হয়েছে, যা আগামী ১৩ মে পর্যন্ত চলবে।
অফারটি চলাকালে রকেট অ্যাকাউন্ট থেকে গ্রামীণফোনে রিচার্জ করলেই ক্যাশব্যাক পাবেন গ্রাহকেরা। অফারের আওতায় ১০৯ টাকা রিচার্জে ১০ টাকা এবং ৬৯ টাকা রিচার্জে ৫ টাকা করে ক্যাশব্যাক পাবেন গ্রাহকেরা। রিচার্জের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে গ্রাহক এই ক্যাশব্যাক পাবেন।
উপায়
ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘উপায়’ ঈদ উপলক্ষে বিশেষ কোনো ক্যাম্পেইন চালু করেনি। তবে তারা এ বছর সর্বনিম্ন ক্যাশআউটের যে সুবিধা দিচ্ছে, সেটিই ঈদ উপলক্ষে মানুষকে বেশি বেশি জানানোর চেষ্টা করছে উপায়। এ জন্য তারা ডিজিটাল, ইলেকট্রনিক, প্রিন্ট গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার চালাচ্ছে।
লংকা বাংলা
ঈদ উপলক্ষে লংকা বাংলা ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসও নানা অফার নিয়ে হাজির হয়েছে।
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে প্রতিষ্ঠানটির গ্রাহকেরা লংকা বাংলার ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে কেনাকাটার সময় বিভিন্ন পরিমাণ ছাড় পাবেন বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটির কর্তৃপক্ষ।
এর মধ্যে সারা, বেবিশপ, ধামাকাশপিং থেকে কেনাকাটায় ১০ শতাংশ ছাড় পাওয়া যাবে। পাশাপাশি সাদাকালো, রেড, অর্পণবিডি থেকে কেনাকাটায় ১৫ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় পাওয়া যাবে।
প্রযুক্তি ডেস্ক

ঈদ উপলক্ষে দেশের মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের গ্রাহকদের জন্য নানা ধরনের সেবা ও অফার নিয়ে এসেছে। বিশেষ এই অফার নিয়ে আসা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে বিকাশ, নগদ, রকেট, উপায় ও লংকাবাংলার রয়েছে ঈদ ঘিরে গ্রাহকসেবায় নানা পরিকল্পনা। সঙ্গে করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে সংকটগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে নানা উদ্যোগও নিয়েছে প্রতিষ্ঠানগুলো। এরই মধ্যে এসব অফার ও উদ্যোগ বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছে। ঈদ উপলক্ষে করা এসব আয়োজনে অংশ নিতে চাইলে অপেক্ষার সুযোগ নেই।
বিকাশ
ব্র্যাক ব্যাংকের মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস বিকাশ ঈদ উপলক্ষে গ্রাহকদের জন্য নিয়ে এসেছে বিশেষ অফার। দেশজুড়ে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার আউটলেটে কেনাকাটার পেমেন্ট বিকাশ করলে গ্রাহকেরা নানা রকম ক্যাশব্যাক পাচ্ছেন।
এই অফারে গ্রাহকেরা ৫ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত ইনস্ট্যান্ট ক্যাশব্যাক পাবেন। বিকাশ কর্তৃপক্ষ জানায়, গত ১ মে শুরু হওয়া এই অফারটি চলবে ১৫ মে ২০২১ পর্যন্ত। বিকাশ অ্যাপ, ইউএসএসডি কোড *২৪৭# কিংবা পেমেন্ট গেটওয়ের মাধ্যমে অফারটির সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন গ্রাহকেরা।
বিভিন্ন লাইফস্টাইল সামগ্রী, জুতা, পোশাক ও আনুষঙ্গিক পণ্য, অনলাইন শপ, ইলেকট্রনিক্স গ্যাজেট, সুপারস্টোর, স্বাস্থ্যসেবা, রেস্টুরেন্ট/ ক্যাফে ও অন্যান্য অনেক ধরনের সেবা ও পণ্যের পেমেন্ট করতে গিয়ে গ্রাহকেরা এই অফারের সুবিধা নিতে পারছেন।
এই অফারের আওতায় রয়েছে আড়ং, অঞ্জনস, কে ক্রাফট, বাংলার মেলা, বিবিয়ানা, দেশাল, লা রিভ, রঙ, সাদাকালো, সেইলর, নাগরদোলা, বাটা, জীলস, লোটো, অরেঞ্জ, সারা, এলজি বাটারফ্লাই, মিনিস্টার, ট্রান্সকম, সিঙ্গার, সনি র্যাংগস, কিভা হান, বাও, ক্যাফে ইউফোরিয়া, নবাব চাঁটগা, বাওজি, সালাম’স কিচেন, খাজানা মিঠাই, পেয়ালা, বাংলা শপার্স, বই বিচিত্রা, আল আমীন জুয়েলার্স, বেবি শপ, জেন্টল পার্ক, ফুট গিয়ার, ক্রিসেন্টসহ আরও অনেক আউটলেট।
এ সম্পর্কিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিভিন্ন রিসোর্টে বিকাশ পেমেন্টে বাই ওয়ান গেট ওয়ান, অর্থাৎ একটি কিনলে একটি ফ্রি অফার উপভোগ করতে পারছেন গ্রাহকেরা। আফটার আওয়ারস হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট, প্লাটিনাম গ্র্যান্ড, প্লাটিনাম রেসিডেন্স, হানসা-এ প্রিমিয়াম রেসিডেন্স, বেস্ট ওয়েস্টার্ন প্লাস মায়া, ঢাকা রিজেন্সি, বেস্ট ওয়েস্টার্ন প্লাস ম্যাপল লিফ, এশিয়া হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট, শাইনপুকুর স্যুইটস এবং দ্য ওয়ে ঢাকা-তে এই অফার পাওয়া যাবে।
বিভিন্ন হোটেলে গ্রাহকেরা ৪০ শতাংশ পর্যন্ত ডিসকাউন্ট পাবেন। হোটেল নুরজাহান গ্র্যান্ড, হোটেল ফাউন্টেইন, হোটেল রেডিসন, হোটেল সারিনা, গ্রেস ২১, প্যারাগন কনভেনশন হল, মানচেরি, বিনস অ্যান্ড গ্রিলস, আদি অষ্টব্যঞ্জন রেস্তোরাঁয় বিকাশ পেমেন্টে বিভিন্ন পরিমাণ ডিসকাউন্ট পাচ্ছেন গ্রাহকেরা।এ ছাড়া স্বপ্ন, ডেইলি শপিং, আগোরা, মীনা বাজার, প্রিন্স বাজার, ইউনিমার্ট, গোর্মেট বাজারসহ দেশের শীর্ষস্থানীয় সুপারস্টোরগুলোতে বিকাশের মাধ্যমে পেমেন্টে মিলছে ৫ শতাংশ ক্যাশব্যাক।
পাশাপাশি এই ঈদে বিকাশ গ্রাহকেরা সারা দেশের নির্ধারিত আউটলেটে নির্দিষ্ট ওয়ালটন পণ্যের পেমেন্ট বিকাশ করলে পাচ্ছেন ১০ শতাংশ ডিসকাউন্ট। এ ছাড়া ওয়ালটন এয়ার কন্ডিশনার কিনলে ৩ হাজার ১১১ টাকা ডিসকাউন্ট, অর্থাৎ ৬ মাসের বিদ্যুৎ বিল সংশ্লিষ্ট গ্রাহক ফ্রি পাবেন বলে জানিয়েছে বিকাশ।
বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে পেমেন্ট করার জন্য গ্রাহকেরা সহজেই বিকাশ অ্যাপের ‘অফার’ অংশে গিয়ে তাদের আশপাশে কী কী অফার চলছে সেগুলো দেখে নিতে পারেন।
নগদ
ডাক বিভাগের মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস নগদ শুরু করেছে ‘ডোনেশন’ সেবা। এর মাধ্যমে যে কেউ জাকাত বা যেকোনো পরিমাণ অর্থ সহায়তা ‘নগদ’-এর মাধ্যমে দিতে পারছেন খুব সহজেই। ঈদের সময় দুস্থ ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতেই এই উদ্যোগ নিয়েছে নগদ।
নগদ কর্তৃপক্ষ জানায়, জাকাত, ফিতরা বা অন্য কোনো অনুদান প্রদানের জন্য ‘নগদ’ অ্যাপে প্রবেশ করে ‘ডোনেশন’ অপশনটি ক্লিক করলেই গ্রাহক তাঁর জাকাত বা অন্য যেকোনো ধরনের দান প্রদান করতে পারবেন।
বর্তমানে ২১টি প্রতিষ্ঠান এই কাজে ‘নগদ’-এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো—বিদ্যানন্দ এক টাকার মিল, বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া ফাউন্ডেশন, আমার বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন, ইটস হিউম্যানিটি ফাউন্ডেশন (আইএইএফ), সাজিদা ফাউন্ডেশন, বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন, সেন্টার ফর জাকাত ম্যানেজমেন্ট, ইনোভেটিভ কনসালটেন্সি, হিউম্যান এইড বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন, মাস্তুল ফাউন্ডেশন, দরিদ্র চ্যারিটি ফাউন্ডেশন, মজার স্কুল, অভিযাত্রিক ফাউন্ডেশন, কে কে ফাউন্ডেশন, কৃষিবিদ ফাউন্ডেশন ফর হিউম্যানিটি, আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম, কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন, আই কেয়ার প্রোগ্রাাম, স্বপ্নযাত্রা, জাগো ফাউন্ডেশন ও ইউনিভার্সেল হেল্প হাব (ইএইচএইচ)।
‘নগদ’-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক বলেন, ‘আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন, যারা অন্যকে সহায্য করতে আগ্রহী। কিন্তু সত্যিকার অর্থে মানুষের জন্য কাজ করছে এমন প্ল্যাটফর্ম খুঁজে না পাওয়ায় তাদের পক্ষে চাইলেও তা করা সম্ভব হয় না। এমন মানুষদের জন্যই আমরা আমাদের প্ল্যাটফর্মটি তৈরি করেছি। এখন শুধু ইচ্ছা করলেই যে কেউ তার অনুদান বঞ্চিত মানুষটির কাছের পৌঁছে দিতে পারবেন।’
এ ছাড়া ঈদ উপলক্ষে নগদ শুরু করেছে ‘ঈদ গ্রসারি অফার’। এই অফারের মাধ্যমে গ্রাহকেরা নগদের মাধ্যমে কেনাকাটা করলে বেশ কিছু সুপারশপ থেকে ১০ শতাংশ ক্যাশব্যাক পাবেন। প্রিন্স বাজার, ইউনিমার্ট, হোলসেল ক্লাব লিমিটেড, মীনা বাজার, ডেইলি শপিং—এ গত ২৯ এপ্রিলে থেকেই এই ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছে। ক্যাম্পেইনটি চলবে ঈদের দিন পর্যন্ত। স্বপ্ন সুপারশপে এই ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছে গত ৭ মে থেকে, যা চলবে ঈদের দিন পর্যন্ত।
রকেট
ডাচ বাংলা ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকির সার্ভিস রকেট এবার ঈদে গ্রামীণ ফোনের সঙ্গে যৌথভাবে একটি ক্যাম্পেইন পরিচালনা করছে। ডাচ বাংলা ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানায়, এই ক্যাম্পেইন গত ৪ মে শুরু হয়েছে, যা আগামী ১৩ মে পর্যন্ত চলবে।
অফারটি চলাকালে রকেট অ্যাকাউন্ট থেকে গ্রামীণফোনে রিচার্জ করলেই ক্যাশব্যাক পাবেন গ্রাহকেরা। অফারের আওতায় ১০৯ টাকা রিচার্জে ১০ টাকা এবং ৬৯ টাকা রিচার্জে ৫ টাকা করে ক্যাশব্যাক পাবেন গ্রাহকেরা। রিচার্জের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে গ্রাহক এই ক্যাশব্যাক পাবেন।
উপায়
ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘উপায়’ ঈদ উপলক্ষে বিশেষ কোনো ক্যাম্পেইন চালু করেনি। তবে তারা এ বছর সর্বনিম্ন ক্যাশআউটের যে সুবিধা দিচ্ছে, সেটিই ঈদ উপলক্ষে মানুষকে বেশি বেশি জানানোর চেষ্টা করছে উপায়। এ জন্য তারা ডিজিটাল, ইলেকট্রনিক, প্রিন্ট গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার চালাচ্ছে।
লংকা বাংলা
ঈদ উপলক্ষে লংকা বাংলা ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসও নানা অফার নিয়ে হাজির হয়েছে।
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে প্রতিষ্ঠানটির গ্রাহকেরা লংকা বাংলার ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে কেনাকাটার সময় বিভিন্ন পরিমাণ ছাড় পাবেন বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটির কর্তৃপক্ষ।
এর মধ্যে সারা, বেবিশপ, ধামাকাশপিং থেকে কেনাকাটায় ১০ শতাংশ ছাড় পাওয়া যাবে। পাশাপাশি সাদাকালো, রেড, অর্পণবিডি থেকে কেনাকাটায় ১৫ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় পাওয়া যাবে।

ঈদ উপলক্ষে দেশের মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের গ্রাহকদের জন্য নানা ধরনের সেবা ও অফার নিয়ে এসেছে। বিশেষ এই অফার নিয়ে আসা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে বিকাশ, নগদ, রকেট, উপায় ও লংকাবাংলার রয়েছে ঈদ ঘিরে গ্রাহকসেবায় নানা পরিকল্পনা। সঙ্গে করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে সংকটগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে নানা উদ্যোগও নিয়েছে প্রতিষ্ঠানগুলো। এরই মধ্যে এসব অফার ও উদ্যোগ বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছে। ঈদ উপলক্ষে করা এসব আয়োজনে অংশ নিতে চাইলে অপেক্ষার সুযোগ নেই।
বিকাশ
ব্র্যাক ব্যাংকের মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস বিকাশ ঈদ উপলক্ষে গ্রাহকদের জন্য নিয়ে এসেছে বিশেষ অফার। দেশজুড়ে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার আউটলেটে কেনাকাটার পেমেন্ট বিকাশ করলে গ্রাহকেরা নানা রকম ক্যাশব্যাক পাচ্ছেন।
এই অফারে গ্রাহকেরা ৫ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত ইনস্ট্যান্ট ক্যাশব্যাক পাবেন। বিকাশ কর্তৃপক্ষ জানায়, গত ১ মে শুরু হওয়া এই অফারটি চলবে ১৫ মে ২০২১ পর্যন্ত। বিকাশ অ্যাপ, ইউএসএসডি কোড *২৪৭# কিংবা পেমেন্ট গেটওয়ের মাধ্যমে অফারটির সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন গ্রাহকেরা।
বিভিন্ন লাইফস্টাইল সামগ্রী, জুতা, পোশাক ও আনুষঙ্গিক পণ্য, অনলাইন শপ, ইলেকট্রনিক্স গ্যাজেট, সুপারস্টোর, স্বাস্থ্যসেবা, রেস্টুরেন্ট/ ক্যাফে ও অন্যান্য অনেক ধরনের সেবা ও পণ্যের পেমেন্ট করতে গিয়ে গ্রাহকেরা এই অফারের সুবিধা নিতে পারছেন।
এই অফারের আওতায় রয়েছে আড়ং, অঞ্জনস, কে ক্রাফট, বাংলার মেলা, বিবিয়ানা, দেশাল, লা রিভ, রঙ, সাদাকালো, সেইলর, নাগরদোলা, বাটা, জীলস, লোটো, অরেঞ্জ, সারা, এলজি বাটারফ্লাই, মিনিস্টার, ট্রান্সকম, সিঙ্গার, সনি র্যাংগস, কিভা হান, বাও, ক্যাফে ইউফোরিয়া, নবাব চাঁটগা, বাওজি, সালাম’স কিচেন, খাজানা মিঠাই, পেয়ালা, বাংলা শপার্স, বই বিচিত্রা, আল আমীন জুয়েলার্স, বেবি শপ, জেন্টল পার্ক, ফুট গিয়ার, ক্রিসেন্টসহ আরও অনেক আউটলেট।
এ সম্পর্কিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিভিন্ন রিসোর্টে বিকাশ পেমেন্টে বাই ওয়ান গেট ওয়ান, অর্থাৎ একটি কিনলে একটি ফ্রি অফার উপভোগ করতে পারছেন গ্রাহকেরা। আফটার আওয়ারস হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট, প্লাটিনাম গ্র্যান্ড, প্লাটিনাম রেসিডেন্স, হানসা-এ প্রিমিয়াম রেসিডেন্স, বেস্ট ওয়েস্টার্ন প্লাস মায়া, ঢাকা রিজেন্সি, বেস্ট ওয়েস্টার্ন প্লাস ম্যাপল লিফ, এশিয়া হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট, শাইনপুকুর স্যুইটস এবং দ্য ওয়ে ঢাকা-তে এই অফার পাওয়া যাবে।
বিভিন্ন হোটেলে গ্রাহকেরা ৪০ শতাংশ পর্যন্ত ডিসকাউন্ট পাবেন। হোটেল নুরজাহান গ্র্যান্ড, হোটেল ফাউন্টেইন, হোটেল রেডিসন, হোটেল সারিনা, গ্রেস ২১, প্যারাগন কনভেনশন হল, মানচেরি, বিনস অ্যান্ড গ্রিলস, আদি অষ্টব্যঞ্জন রেস্তোরাঁয় বিকাশ পেমেন্টে বিভিন্ন পরিমাণ ডিসকাউন্ট পাচ্ছেন গ্রাহকেরা।এ ছাড়া স্বপ্ন, ডেইলি শপিং, আগোরা, মীনা বাজার, প্রিন্স বাজার, ইউনিমার্ট, গোর্মেট বাজারসহ দেশের শীর্ষস্থানীয় সুপারস্টোরগুলোতে বিকাশের মাধ্যমে পেমেন্টে মিলছে ৫ শতাংশ ক্যাশব্যাক।
পাশাপাশি এই ঈদে বিকাশ গ্রাহকেরা সারা দেশের নির্ধারিত আউটলেটে নির্দিষ্ট ওয়ালটন পণ্যের পেমেন্ট বিকাশ করলে পাচ্ছেন ১০ শতাংশ ডিসকাউন্ট। এ ছাড়া ওয়ালটন এয়ার কন্ডিশনার কিনলে ৩ হাজার ১১১ টাকা ডিসকাউন্ট, অর্থাৎ ৬ মাসের বিদ্যুৎ বিল সংশ্লিষ্ট গ্রাহক ফ্রি পাবেন বলে জানিয়েছে বিকাশ।
বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে পেমেন্ট করার জন্য গ্রাহকেরা সহজেই বিকাশ অ্যাপের ‘অফার’ অংশে গিয়ে তাদের আশপাশে কী কী অফার চলছে সেগুলো দেখে নিতে পারেন।
নগদ
ডাক বিভাগের মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস নগদ শুরু করেছে ‘ডোনেশন’ সেবা। এর মাধ্যমে যে কেউ জাকাত বা যেকোনো পরিমাণ অর্থ সহায়তা ‘নগদ’-এর মাধ্যমে দিতে পারছেন খুব সহজেই। ঈদের সময় দুস্থ ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতেই এই উদ্যোগ নিয়েছে নগদ।
নগদ কর্তৃপক্ষ জানায়, জাকাত, ফিতরা বা অন্য কোনো অনুদান প্রদানের জন্য ‘নগদ’ অ্যাপে প্রবেশ করে ‘ডোনেশন’ অপশনটি ক্লিক করলেই গ্রাহক তাঁর জাকাত বা অন্য যেকোনো ধরনের দান প্রদান করতে পারবেন।
বর্তমানে ২১টি প্রতিষ্ঠান এই কাজে ‘নগদ’-এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো—বিদ্যানন্দ এক টাকার মিল, বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া ফাউন্ডেশন, আমার বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন, ইটস হিউম্যানিটি ফাউন্ডেশন (আইএইএফ), সাজিদা ফাউন্ডেশন, বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন, সেন্টার ফর জাকাত ম্যানেজমেন্ট, ইনোভেটিভ কনসালটেন্সি, হিউম্যান এইড বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন, মাস্তুল ফাউন্ডেশন, দরিদ্র চ্যারিটি ফাউন্ডেশন, মজার স্কুল, অভিযাত্রিক ফাউন্ডেশন, কে কে ফাউন্ডেশন, কৃষিবিদ ফাউন্ডেশন ফর হিউম্যানিটি, আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম, কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন, আই কেয়ার প্রোগ্রাাম, স্বপ্নযাত্রা, জাগো ফাউন্ডেশন ও ইউনিভার্সেল হেল্প হাব (ইএইচএইচ)।
‘নগদ’-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক বলেন, ‘আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন, যারা অন্যকে সহায্য করতে আগ্রহী। কিন্তু সত্যিকার অর্থে মানুষের জন্য কাজ করছে এমন প্ল্যাটফর্ম খুঁজে না পাওয়ায় তাদের পক্ষে চাইলেও তা করা সম্ভব হয় না। এমন মানুষদের জন্যই আমরা আমাদের প্ল্যাটফর্মটি তৈরি করেছি। এখন শুধু ইচ্ছা করলেই যে কেউ তার অনুদান বঞ্চিত মানুষটির কাছের পৌঁছে দিতে পারবেন।’
এ ছাড়া ঈদ উপলক্ষে নগদ শুরু করেছে ‘ঈদ গ্রসারি অফার’। এই অফারের মাধ্যমে গ্রাহকেরা নগদের মাধ্যমে কেনাকাটা করলে বেশ কিছু সুপারশপ থেকে ১০ শতাংশ ক্যাশব্যাক পাবেন। প্রিন্স বাজার, ইউনিমার্ট, হোলসেল ক্লাব লিমিটেড, মীনা বাজার, ডেইলি শপিং—এ গত ২৯ এপ্রিলে থেকেই এই ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছে। ক্যাম্পেইনটি চলবে ঈদের দিন পর্যন্ত। স্বপ্ন সুপারশপে এই ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছে গত ৭ মে থেকে, যা চলবে ঈদের দিন পর্যন্ত।
রকেট
ডাচ বাংলা ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকির সার্ভিস রকেট এবার ঈদে গ্রামীণ ফোনের সঙ্গে যৌথভাবে একটি ক্যাম্পেইন পরিচালনা করছে। ডাচ বাংলা ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানায়, এই ক্যাম্পেইন গত ৪ মে শুরু হয়েছে, যা আগামী ১৩ মে পর্যন্ত চলবে।
অফারটি চলাকালে রকেট অ্যাকাউন্ট থেকে গ্রামীণফোনে রিচার্জ করলেই ক্যাশব্যাক পাবেন গ্রাহকেরা। অফারের আওতায় ১০৯ টাকা রিচার্জে ১০ টাকা এবং ৬৯ টাকা রিচার্জে ৫ টাকা করে ক্যাশব্যাক পাবেন গ্রাহকেরা। রিচার্জের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে গ্রাহক এই ক্যাশব্যাক পাবেন।
উপায়
ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘উপায়’ ঈদ উপলক্ষে বিশেষ কোনো ক্যাম্পেইন চালু করেনি। তবে তারা এ বছর সর্বনিম্ন ক্যাশআউটের যে সুবিধা দিচ্ছে, সেটিই ঈদ উপলক্ষে মানুষকে বেশি বেশি জানানোর চেষ্টা করছে উপায়। এ জন্য তারা ডিজিটাল, ইলেকট্রনিক, প্রিন্ট গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার চালাচ্ছে।
লংকা বাংলা
ঈদ উপলক্ষে লংকা বাংলা ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসও নানা অফার নিয়ে হাজির হয়েছে।
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে প্রতিষ্ঠানটির গ্রাহকেরা লংকা বাংলার ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে কেনাকাটার সময় বিভিন্ন পরিমাণ ছাড় পাবেন বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটির কর্তৃপক্ষ।
এর মধ্যে সারা, বেবিশপ, ধামাকাশপিং থেকে কেনাকাটায় ১০ শতাংশ ছাড় পাওয়া যাবে। পাশাপাশি সাদাকালো, রেড, অর্পণবিডি থেকে কেনাকাটায় ১৫ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় পাওয়া যাবে।

প্রস্তাবিত টেলিযোগাযোগ অধ্যাদেশে ইন্টারনেট বন্ধের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপসহ বিদ্যমান আইন ও নীতিতে বেশ কিছু মৌলিক পরিবর্তন আনা হয়েছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ খাতে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও নাগরিক অধিকারের সুরক্ষা আরও সুদৃঢ় হবে বলে মনে করছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ।
৩ ঘণ্টা আগে
হুয়াওয়ে বলতে সাধারণ মানুষ একটি মোবাইল ফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানকে জানে। প্রায় পাঁচ বছর ধরে বাংলাদেশের বাজারে তাদের নতুন কোনো মোবাইল ফোন যদিও আসেনি। তবু দেশে গ্রাহক সমাধান, টেলিকম নেটওয়ার্ক, নবায়নযোগ্য শক্তি, শিক্ষা ও সামাজিক উদ্যোগে হুয়াওয়ে বেশ বড় পরিসরে কাজ করে যাচ্ছে।
১ দিন আগে
সম্প্রতি অ্যান্ড্রয়েড ফোনসেট গুলোতে একধরনের সাইবার আক্রমণের হুমকি দেখা দিয়েছে। হ্যাকারদের এক বিশেষ ধরনের আক্রমণের শিকার হয়েছে কিছু মোবাইল ফোনসেট। ব্যক্তিগত তথ্যসহ টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন কোড পর্যন্ত চুরি করছে হ্যাকাররা।
১ দিন আগে
গ্রাফিক ডিজাইনে যাঁরা পারদর্শী নন, তাঁদের কাছে ক্যানভা নতুন এক দুয়ার খুলে দিয়েছে। যে কেউ এখন এটি ব্যবহার করে ব্যক্তিগত অথবা পেশাদার কাজ করতে পারেন। সময়ের সঙ্গে আরও উন্নত হয়েছে এই ডিজাইন প্ল্যাটফর্ম। এবার তাতে যোগ হলো তাদের নিজস্ব এআই-চালিত মডেল।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ প্রস্তাবিত ‘বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ অধ্যাদেশ ২০২৫’-এর খসড়া প্রকাশ করেছে। বিভাগের ওয়েবসাইটে গিয়ে যে কেউ প্রস্তাবিত এই অধ্যাদেশের খসড়া দেখতে পারবে এবং ই-মেইলের মাধ্যমে মতামত জানাতে পারবে।
আজ বুধবার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রস্তাবিত টেলিযোগাযোগ অধ্যাদেশে ইন্টারনেট বন্ধের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপসহ বিদ্যমান আইন ও নীতিতে বেশ কিছু মৌলিক পরিবর্তন আনা হয়েছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ খাতে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও নাগরিক অধিকারের সুরক্ষা আরও সুদৃঢ় হবে বলে মনে করছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ। তবে ইন্টারনেট সেবাদাতাসহ টেলিযোগাযোগ সংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকটি পক্ষের এই অধ্যাদেশ নিয়ে ভিন্নমত করেছে।
অধ্যাদেশের ওপর মতামত পাঠানো যাবে:
ই-মেইল: [email protected] - এই ইমেইলের মাধ্যমে। এ ছাড়া চিঠি পাঠিয়েও মতামত জানানো যাবে। ঠিকানা: সচিব, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ প্রস্তাবিত ‘বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ অধ্যাদেশ ২০২৫’-এর খসড়া প্রকাশ করেছে। বিভাগের ওয়েবসাইটে গিয়ে যে কেউ প্রস্তাবিত এই অধ্যাদেশের খসড়া দেখতে পারবে এবং ই-মেইলের মাধ্যমে মতামত জানাতে পারবে।
আজ বুধবার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রস্তাবিত টেলিযোগাযোগ অধ্যাদেশে ইন্টারনেট বন্ধের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপসহ বিদ্যমান আইন ও নীতিতে বেশ কিছু মৌলিক পরিবর্তন আনা হয়েছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ খাতে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও নাগরিক অধিকারের সুরক্ষা আরও সুদৃঢ় হবে বলে মনে করছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ। তবে ইন্টারনেট সেবাদাতাসহ টেলিযোগাযোগ সংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকটি পক্ষের এই অধ্যাদেশ নিয়ে ভিন্নমত করেছে।
অধ্যাদেশের ওপর মতামত পাঠানো যাবে:
ই-মেইল: [email protected] - এই ইমেইলের মাধ্যমে। এ ছাড়া চিঠি পাঠিয়েও মতামত জানানো যাবে। ঠিকানা: সচিব, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা।

ঈদ উপলক্ষে দেশের মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের গ্রাহকদের জন্য নানা ধরনের সেবা ও অফার নিয়ে এসেছে। বিশেষ এই অফার নিয়ে আসা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে বিকাশ, নগদ, রকেট, উপায় ও লংকাবাংলার রয়েছে ঈদ ঘিরে গ্রাহকসেবায় নানা পরিকল্পনা
১০ মে ২০২১
হুয়াওয়ে বলতে সাধারণ মানুষ একটি মোবাইল ফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানকে জানে। প্রায় পাঁচ বছর ধরে বাংলাদেশের বাজারে তাদের নতুন কোনো মোবাইল ফোন যদিও আসেনি। তবু দেশে গ্রাহক সমাধান, টেলিকম নেটওয়ার্ক, নবায়নযোগ্য শক্তি, শিক্ষা ও সামাজিক উদ্যোগে হুয়াওয়ে বেশ বড় পরিসরে কাজ করে যাচ্ছে।
১ দিন আগে
সম্প্রতি অ্যান্ড্রয়েড ফোনসেট গুলোতে একধরনের সাইবার আক্রমণের হুমকি দেখা দিয়েছে। হ্যাকারদের এক বিশেষ ধরনের আক্রমণের শিকার হয়েছে কিছু মোবাইল ফোনসেট। ব্যক্তিগত তথ্যসহ টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন কোড পর্যন্ত চুরি করছে হ্যাকাররা।
১ দিন আগে
গ্রাফিক ডিজাইনে যাঁরা পারদর্শী নন, তাঁদের কাছে ক্যানভা নতুন এক দুয়ার খুলে দিয়েছে। যে কেউ এখন এটি ব্যবহার করে ব্যক্তিগত অথবা পেশাদার কাজ করতে পারেন। সময়ের সঙ্গে আরও উন্নত হয়েছে এই ডিজাইন প্ল্যাটফর্ম। এবার তাতে যোগ হলো তাদের নিজস্ব এআই-চালিত মডেল।
১ দিন আগে
হুয়াওয়ে বলতে সাধারণ মানুষ একটি মোবাইল ফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানকে জানে। প্রায় পাঁচ বছর ধরে বাংলাদেশের বাজারে তাদের নতুন কোনো মোবাইল ফোন যদিও আসেনি। তবু দেশে গ্রাহক সমাধান, টেলিকম নেটওয়ার্ক, নবায়নযোগ্য শক্তি, শিক্ষা ও সামাজিক উদ্যোগে হুয়াওয়ে বেশ বড় পরিসরে কাজ করে যাচ্ছে। এসব বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির দক্ষিণ এশিয়ার হেড অব এক্সটার্নাল কমিউনিকেশনস অ্যান্ড মার্কেটিং তানভীর আহমেদের মুখোমুখি হয়েছে আজকের পত্রিকা। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মোস্তাফিজ মিঠু।
মোস্তাফিজ মিঠু

বাংলাদেশের মোবাইল ফোন গ্রাহকেরা স্মার্টফোন দিয়ে হুয়াওয়েকে চেনে। যদিও এটি হুয়াওয়ের একটি অংশমাত্র। পুরো প্রতিষ্ঠান নিয়ে শুরুতে সংক্ষেপে জানতে চাইব।
বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে হুয়াওয়ের জনপ্রিয়তা আসে মোবাইল ফোন দিয়েই। আমাদের হ্যান্ডসেটগুলো বরাবরই জনপ্রিয়। ডিভাইসের ডিজাইন, টেক্সচার, ক্যামেরা কোয়ালিটি—সবকিছুই গ্রাহকের কাছে আকর্ষণীয় ছিল। আমি বহু মানুষকে এখনো হুয়াওয়ের মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে দেখছি। কিন্তু হুয়াওয়ের যাত্রাটা আসলে মোবাইল ফোন দিয়ে শুরু হয়নি। আমাদের প্রতিষ্ঠাতা রেন ঝেংফেই ১৯৮৭ সালে বাংলাদেশি মুদ্রায় মাত্র তিন লাখের মতো টাকা দিয়ে চীনে হুয়াওয়ের যাত্রা শুরু করেন। আমাদের মূল ব্যবসা টেলিকম নেটওয়ার্ক সল্যুশন। টেলিকম প্রযুক্তি আর প্রজন্ম নিয়ে আমরা কাজ করি। এই যে টু-জি, থ্রি-জি, ফোর-জি, ফাইভ-জি বা সিক্স-জি—এমন প্রতিটি টেলিকম জেনারেশন উদ্ভাবনে আমরা সক্রিয়ভাবে ভূমিকা রাখি এবং এই প্রযুক্তিগুলো সরবরাহ করি। শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা বিশ্বে আমাদের সরঞ্জাম প্রয়োগ করার মধ্য দিয়ে মোবাইল টাওয়ারগুলোয় জিএসএম সল্যুশন ব্যবহার করা হয়।
এখন তো বাংলাদেশের বাজারে হুয়াওয়ের মোবাইল ফোন নেই। বর্তমানে আপনারা কোন সেবাগুলো নিয়ে কাজ করছেন?
নেটওয়ার্ক সল্যুশন থেকে প্রযুক্তি, বিভিন্ন খাতে হুয়াওয়ে কাজ করছে। বাংলাদেশ হাইওয়ে পুলিশকে আমরা ইন্টেলিজেন্ট ক্যামেরা সল্যুশন দিয়েছি; যার মাধ্যমে পুলিশ কন্ট্রোল রুম মনিটর করতে পারছে, কোনো নির্দিষ্ট রুটে কোথাও কোনো দুর্ঘটনা ঘটল কি না, কোনো আইন কেউ ভাঙল কি না ইত্যাদি বিষয়। আমরা শুধু হার্ডওয়্যারই দিই না। এর সঙ্গে সফটওয়্যার, নেটওয়ার্কিং সিস্টেম, ডেটা সেন্টার, ক্লাউড সল্যুশনসহ কাস্টমাইজড সমাধান দিয়ে থাকি। যেমন বিকাশকে আমরা হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার সরবরাহ করছি। বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে নেটওয়ার্কিং ল্যাব গড়ে তুলেছি। মেডিকেল সেক্টরে ডেটাবেইস ও ডেটা ম্যানেজমেন্ট দিয়ে থাকি; যাতে হাসপাতাল এবং সংশ্লিষ্ট সেবা আরও দক্ষভাবে পরিচালিত হয়।
আপনারা দেশের সৌরবিদ্যুৎ খাতেরও একটি সহযোগী। এ বিষয়ে বিস্তারিত বলবেন।
নবায়নযোগ্য শক্তি উৎপাদনে প্রযুক্তি সরবরাহ করাও আমাদের বড় একটি ব্যবসায়িক দিক। ২০২০ সালে ময়মনসিংহে বাংলাদেশের তৎকালীন সবচেয়ে বড় সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপিত হয়। আমরা সেই প্রকল্পে পিভি ইনভার্টার প্রযুক্তি ও সমাধান দিয়েছি। সেখানে এখন প্রতিদিন প্রায় ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন শিল্পকারখানা ও প্রতিষ্ঠানকে রুফটপ সোলার সল্যুশন, পিভি ইনভার্টার এবং এনার্জি স্টোরেজ সল্যুশন সরবরাহ করা হয়েছে। অন্যদিকে আমরা ইউআইইউ ও সিইআরের সঙ্গে ইউআইইউতে সম্মিলিতভাবে একটি সোলার পাওয়ার ল্যাব চালু করেছি। সেখানে শিক্ষানবিশ ও পেশাদারেরা সোলার এনার্জি উৎপাদন, প্রকল্পের বিভিন্ন খুঁটিনাটি বিষয়ে হাতেকলমে শিক্ষার সুযোগ পাচ্ছেন। অন্যদিকে টেলিকম অপারেটরদের যে টাওয়ারগুলো রয়েছে, সেগুলোকে সৌরবিদ্যুৎনির্ভর করে তুলতে আমরা অনেক বছর ধরে কাজ করে যাচ্ছি।
বিশ্ববিদ্যালয় ও তরুণদের জন্য আপনাদের কয়েকটি উদ্যোগ রয়েছে। সেগুলোর উদ্দেশ্য ও কার্যক্রম বিষয়ে জানতে চাই।
সব ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানেরই সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা আছে। আমরা এ ক্ষেত্রে তরুণদের উন্নয়নের বিষয়টিতে বেশি গুরুত্ব দিই। আমাদের মাধ্যমে যেন তারা একটি গাইডলাইন বা প্ল্যাটফর্ম পায়। এ রকম আমাদের বেশ কিছু আয়োজন আছে। সেগুলোর মধ্যে ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার’ বেশ জনপ্রিয় একটি উদ্যোগ। প্রতিবছর বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ থেকে ১২ জনের একটি ব্যাচ বেছে নিয়ে তাদের প্রশিক্ষণের জন্য চীনে পাঠানো হয়। এখানে নারী-পুরুষের সমতা বজায় রাখার চেষ্টা করি। এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীরা ডিজাইন থিংকিং, ডিপ-থিংকিং মেথডোলজি, টিমওয়ার্ক, সেলফ প্রেজেন্টেশনসহ বিভিন্ন বিষয়ে উৎকর্ষ অর্জন করেন। এগুলো ভবিষ্যতে তাদের ক্যারিয়ারে কাজে লাগে। সাবেক অংশগ্রহণকারীরা গ্লোবাল এবং রিজিওনাল রাউন্ডে অংশ নেয়। অন্যদিকে আমরা নিয়মিত ক্যাম্পাস রিক্রুটমেন্ট প্রোগ্রাম করি। ইঞ্জিনিয়ারিং ও টেক বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্রেশ গ্র্যাজুয়েটরা এতে অংশ নেন।

বাংলাদেশে এখন ফাইভ-জি চলে এসেছে। এর সঙ্গেও হুয়াওয়ের সরাসরি সম্পৃক্ততা রয়েছে। আপনাদের ভূমিকার বিষয়টি পাঠকদের জানাতে চাই।
সম্প্রতি বাংলাদেশে দুটি টেলিকম প্রতিষ্ঠান ফাইভ-জি ঘোষণার পর মূলত এ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে; যাদের সল্যুশন দিচ্ছে হুয়াওয়ে। যদিও এই আলোচনার শুরু ২০১৮ সালে। বাংলাদেশে প্রথম ফাইভ-জি ট্রায়াল পরিচালনা করে হুয়াওয়ে। তখন আমাদের
সঙ্গে ছিল রবি। ২০২০ সালে আমরা এক প্রদর্শনীতে ফাইভ-জি নিয়ে জনসমক্ষে এর অভিজ্ঞতা উপস্থাপন করেছিলাম। সম্প্রতি দুই টেলিকম অপারেটর বাণিজ্যিকভাবে ফাইভ-জি বাজারে নিয়ে আসে। এখন যেকোনো অপারেটরকেই ফাইভ-জি প্রযুক্তির সাপোর্ট দিতে হুয়াওয়ে পুরোপুরি প্রস্তুত রয়েছে।
প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো এআইকে বিভিন্নভাবে কাজে লাগাচ্ছে। আপনারা কোন ধরনের কাজে এ প্রযুক্তি ব্যবহার করছেন?
এখন আসলে এআইয়ের সময়। আমাদের বিভিন্ন সমাধানের উচ্চক্ষমতা নিশ্চিত করতে সেগুলোতে প্রয়োজন অনুযায়ী এআই রয়েছে। যেমন সোলার পাওয়ার সিস্টেমে পিভি
ইনভার্টার ও উৎপাদন ডিস্ট্রিবিউশন ম্যানেজমেন্টের অ্যালগরিদমগুলো এআইভিত্তিক। এতে উৎপাদন, ম্যানেজমেন্ট ও ডিস্ট্রিবিউশন আরও দক্ষভাবে পরিচালনা করা যায়। হুয়াওয়ে ক্লাউডেও অনেক রকম এআইয়ের ইন্টিগ্রেশন রয়েছে, যা এর ব্যবহারকারীদের বাড়তি সুবিধা ও নিরাপত্তা দেয়।
বাংলাদেশে আপনাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী? নতুন বছরে বিশেষ কিছু আসছে?
বাংলাদেশের প্রযুক্তি অবকাঠামো, বিশেষত ক্লাউড, নবায়নযোগ্য শক্তি, এআই ও শিক্ষা খাতে আরও অনেক সুযোগ রয়েছে কাজ করার। স্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়, স্টার্টআপ ও শিল্প খাতের সঙ্গে অংশীদারত্ব বাড়িয়ে বিভিন্ন সল্যুশন নিয়ে কাজ করে যেতে চাই। লক্ষ্য হচ্ছে, প্রযুক্তির মাধ্যমে সামগ্রিক জীবনযাত্রার মান উন্নত করা এবং কর্মসংস্থান বাড়ানো। আমরা প্রথম থেকে বাংলাদেশের আইসিটির অগ্রযাত্রার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হতে চেয়েছি। আমাদের মূল ভিশন হলো ‘বিল্ডিং আ ফুললি কানেক্টেড, ইন্টেলিজেন্ট বাংলাদেশ’। এই উদ্দেশ্য নিয়েই আমরা বাংলাদেশের জন্য কাজ করে যাব।
বাংলাদেশের মোবাইল ফোন গ্রাহকেরা স্মার্টফোন দিয়ে হুয়াওয়েকে চেনে। যদিও এটি হুয়াওয়ের একটি অংশমাত্র। পুরো প্রতিষ্ঠান নিয়ে শুরুতে সংক্ষেপে জানতে চাইব।
বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে হুয়াওয়ের জনপ্রিয়তা আসে মোবাইল ফোন দিয়েই। আমাদের হ্যান্ডসেটগুলো বরাবরই জনপ্রিয়। ডিভাইসের ডিজাইন, টেক্সচার, ক্যামেরা কোয়ালিটি—সবকিছুই গ্রাহকের কাছে আকর্ষণীয় ছিল। আমি বহু মানুষকে এখনো হুয়াওয়ের মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে দেখছি। কিন্তু হুয়াওয়ের যাত্রাটা আসলে মোবাইল ফোন দিয়ে শুরু হয়নি। আমাদের প্রতিষ্ঠাতা রেন ঝেংফেই ১৯৮৭ সালে বাংলাদেশি মুদ্রায় মাত্র তিন লাখের মতো টাকা দিয়ে চীনে হুয়াওয়ের যাত্রা শুরু করেন। আমাদের মূল ব্যবসা টেলিকম নেটওয়ার্ক সল্যুশন। টেলিকম প্রযুক্তি আর প্রজন্ম নিয়ে আমরা কাজ করি। এই যে টু-জি, থ্রি-জি, ফোর-জি, ফাইভ-জি বা সিক্স-জি—এমন প্রতিটি টেলিকম জেনারেশন উদ্ভাবনে আমরা সক্রিয়ভাবে ভূমিকা রাখি এবং এই প্রযুক্তিগুলো সরবরাহ করি। শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা বিশ্বে আমাদের সরঞ্জাম প্রয়োগ করার মধ্য দিয়ে মোবাইল টাওয়ারগুলোয় জিএসএম সল্যুশন ব্যবহার করা হয়।
এখন তো বাংলাদেশের বাজারে হুয়াওয়ের মোবাইল ফোন নেই। বর্তমানে আপনারা কোন সেবাগুলো নিয়ে কাজ করছেন?
নেটওয়ার্ক সল্যুশন থেকে প্রযুক্তি, বিভিন্ন খাতে হুয়াওয়ে কাজ করছে। বাংলাদেশ হাইওয়ে পুলিশকে আমরা ইন্টেলিজেন্ট ক্যামেরা সল্যুশন দিয়েছি; যার মাধ্যমে পুলিশ কন্ট্রোল রুম মনিটর করতে পারছে, কোনো নির্দিষ্ট রুটে কোথাও কোনো দুর্ঘটনা ঘটল কি না, কোনো আইন কেউ ভাঙল কি না ইত্যাদি বিষয়। আমরা শুধু হার্ডওয়্যারই দিই না। এর সঙ্গে সফটওয়্যার, নেটওয়ার্কিং সিস্টেম, ডেটা সেন্টার, ক্লাউড সল্যুশনসহ কাস্টমাইজড সমাধান দিয়ে থাকি। যেমন বিকাশকে আমরা হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার সরবরাহ করছি। বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে নেটওয়ার্কিং ল্যাব গড়ে তুলেছি। মেডিকেল সেক্টরে ডেটাবেইস ও ডেটা ম্যানেজমেন্ট দিয়ে থাকি; যাতে হাসপাতাল এবং সংশ্লিষ্ট সেবা আরও দক্ষভাবে পরিচালিত হয়।
আপনারা দেশের সৌরবিদ্যুৎ খাতেরও একটি সহযোগী। এ বিষয়ে বিস্তারিত বলবেন।
নবায়নযোগ্য শক্তি উৎপাদনে প্রযুক্তি সরবরাহ করাও আমাদের বড় একটি ব্যবসায়িক দিক। ২০২০ সালে ময়মনসিংহে বাংলাদেশের তৎকালীন সবচেয়ে বড় সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপিত হয়। আমরা সেই প্রকল্পে পিভি ইনভার্টার প্রযুক্তি ও সমাধান দিয়েছি। সেখানে এখন প্রতিদিন প্রায় ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন শিল্পকারখানা ও প্রতিষ্ঠানকে রুফটপ সোলার সল্যুশন, পিভি ইনভার্টার এবং এনার্জি স্টোরেজ সল্যুশন সরবরাহ করা হয়েছে। অন্যদিকে আমরা ইউআইইউ ও সিইআরের সঙ্গে ইউআইইউতে সম্মিলিতভাবে একটি সোলার পাওয়ার ল্যাব চালু করেছি। সেখানে শিক্ষানবিশ ও পেশাদারেরা সোলার এনার্জি উৎপাদন, প্রকল্পের বিভিন্ন খুঁটিনাটি বিষয়ে হাতেকলমে শিক্ষার সুযোগ পাচ্ছেন। অন্যদিকে টেলিকম অপারেটরদের যে টাওয়ারগুলো রয়েছে, সেগুলোকে সৌরবিদ্যুৎনির্ভর করে তুলতে আমরা অনেক বছর ধরে কাজ করে যাচ্ছি।
বিশ্ববিদ্যালয় ও তরুণদের জন্য আপনাদের কয়েকটি উদ্যোগ রয়েছে। সেগুলোর উদ্দেশ্য ও কার্যক্রম বিষয়ে জানতে চাই।
সব ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানেরই সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা আছে। আমরা এ ক্ষেত্রে তরুণদের উন্নয়নের বিষয়টিতে বেশি গুরুত্ব দিই। আমাদের মাধ্যমে যেন তারা একটি গাইডলাইন বা প্ল্যাটফর্ম পায়। এ রকম আমাদের বেশ কিছু আয়োজন আছে। সেগুলোর মধ্যে ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার’ বেশ জনপ্রিয় একটি উদ্যোগ। প্রতিবছর বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ থেকে ১২ জনের একটি ব্যাচ বেছে নিয়ে তাদের প্রশিক্ষণের জন্য চীনে পাঠানো হয়। এখানে নারী-পুরুষের সমতা বজায় রাখার চেষ্টা করি। এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীরা ডিজাইন থিংকিং, ডিপ-থিংকিং মেথডোলজি, টিমওয়ার্ক, সেলফ প্রেজেন্টেশনসহ বিভিন্ন বিষয়ে উৎকর্ষ অর্জন করেন। এগুলো ভবিষ্যতে তাদের ক্যারিয়ারে কাজে লাগে। সাবেক অংশগ্রহণকারীরা গ্লোবাল এবং রিজিওনাল রাউন্ডে অংশ নেয়। অন্যদিকে আমরা নিয়মিত ক্যাম্পাস রিক্রুটমেন্ট প্রোগ্রাম করি। ইঞ্জিনিয়ারিং ও টেক বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্রেশ গ্র্যাজুয়েটরা এতে অংশ নেন।

বাংলাদেশে এখন ফাইভ-জি চলে এসেছে। এর সঙ্গেও হুয়াওয়ের সরাসরি সম্পৃক্ততা রয়েছে। আপনাদের ভূমিকার বিষয়টি পাঠকদের জানাতে চাই।
সম্প্রতি বাংলাদেশে দুটি টেলিকম প্রতিষ্ঠান ফাইভ-জি ঘোষণার পর মূলত এ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে; যাদের সল্যুশন দিচ্ছে হুয়াওয়ে। যদিও এই আলোচনার শুরু ২০১৮ সালে। বাংলাদেশে প্রথম ফাইভ-জি ট্রায়াল পরিচালনা করে হুয়াওয়ে। তখন আমাদের
সঙ্গে ছিল রবি। ২০২০ সালে আমরা এক প্রদর্শনীতে ফাইভ-জি নিয়ে জনসমক্ষে এর অভিজ্ঞতা উপস্থাপন করেছিলাম। সম্প্রতি দুই টেলিকম অপারেটর বাণিজ্যিকভাবে ফাইভ-জি বাজারে নিয়ে আসে। এখন যেকোনো অপারেটরকেই ফাইভ-জি প্রযুক্তির সাপোর্ট দিতে হুয়াওয়ে পুরোপুরি প্রস্তুত রয়েছে।
প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো এআইকে বিভিন্নভাবে কাজে লাগাচ্ছে। আপনারা কোন ধরনের কাজে এ প্রযুক্তি ব্যবহার করছেন?
এখন আসলে এআইয়ের সময়। আমাদের বিভিন্ন সমাধানের উচ্চক্ষমতা নিশ্চিত করতে সেগুলোতে প্রয়োজন অনুযায়ী এআই রয়েছে। যেমন সোলার পাওয়ার সিস্টেমে পিভি
ইনভার্টার ও উৎপাদন ডিস্ট্রিবিউশন ম্যানেজমেন্টের অ্যালগরিদমগুলো এআইভিত্তিক। এতে উৎপাদন, ম্যানেজমেন্ট ও ডিস্ট্রিবিউশন আরও দক্ষভাবে পরিচালনা করা যায়। হুয়াওয়ে ক্লাউডেও অনেক রকম এআইয়ের ইন্টিগ্রেশন রয়েছে, যা এর ব্যবহারকারীদের বাড়তি সুবিধা ও নিরাপত্তা দেয়।
বাংলাদেশে আপনাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী? নতুন বছরে বিশেষ কিছু আসছে?
বাংলাদেশের প্রযুক্তি অবকাঠামো, বিশেষত ক্লাউড, নবায়নযোগ্য শক্তি, এআই ও শিক্ষা খাতে আরও অনেক সুযোগ রয়েছে কাজ করার। স্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়, স্টার্টআপ ও শিল্প খাতের সঙ্গে অংশীদারত্ব বাড়িয়ে বিভিন্ন সল্যুশন নিয়ে কাজ করে যেতে চাই। লক্ষ্য হচ্ছে, প্রযুক্তির মাধ্যমে সামগ্রিক জীবনযাত্রার মান উন্নত করা এবং কর্মসংস্থান বাড়ানো। আমরা প্রথম থেকে বাংলাদেশের আইসিটির অগ্রযাত্রার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হতে চেয়েছি। আমাদের মূল ভিশন হলো ‘বিল্ডিং আ ফুললি কানেক্টেড, ইন্টেলিজেন্ট বাংলাদেশ’। এই উদ্দেশ্য নিয়েই আমরা বাংলাদেশের জন্য কাজ করে যাব।

ঈদ উপলক্ষে দেশের মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের গ্রাহকদের জন্য নানা ধরনের সেবা ও অফার নিয়ে এসেছে। বিশেষ এই অফার নিয়ে আসা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে বিকাশ, নগদ, রকেট, উপায় ও লংকাবাংলার রয়েছে ঈদ ঘিরে গ্রাহকসেবায় নানা পরিকল্পনা
১০ মে ২০২১
প্রস্তাবিত টেলিযোগাযোগ অধ্যাদেশে ইন্টারনেট বন্ধের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপসহ বিদ্যমান আইন ও নীতিতে বেশ কিছু মৌলিক পরিবর্তন আনা হয়েছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ খাতে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও নাগরিক অধিকারের সুরক্ষা আরও সুদৃঢ় হবে বলে মনে করছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ।
৩ ঘণ্টা আগে
সম্প্রতি অ্যান্ড্রয়েড ফোনসেট গুলোতে একধরনের সাইবার আক্রমণের হুমকি দেখা দিয়েছে। হ্যাকারদের এক বিশেষ ধরনের আক্রমণের শিকার হয়েছে কিছু মোবাইল ফোনসেট। ব্যক্তিগত তথ্যসহ টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন কোড পর্যন্ত চুরি করছে হ্যাকাররা।
১ দিন আগে
গ্রাফিক ডিজাইনে যাঁরা পারদর্শী নন, তাঁদের কাছে ক্যানভা নতুন এক দুয়ার খুলে দিয়েছে। যে কেউ এখন এটি ব্যবহার করে ব্যক্তিগত অথবা পেশাদার কাজ করতে পারেন। সময়ের সঙ্গে আরও উন্নত হয়েছে এই ডিজাইন প্ল্যাটফর্ম। এবার তাতে যোগ হলো তাদের নিজস্ব এআই-চালিত মডেল।
১ দিন আগেটি এইচ মাহির

সম্প্রতি অ্যান্ড্রয়েড ফোনসেটগুলোতে একধরনের সাইবার আক্রমণের হুমকি দেখা দিয়েছে। হ্যাকারদের এক বিশেষ ধরনের আক্রমণের শিকার হয়েছে কিছু মোবাইল ফোনসেট। ব্যক্তিগত তথ্যসহ টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন কোড পর্যন্ত চুরি করছে হ্যাকাররা। নতুন এই কৌশল ব্যবহার করে অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসগুলো থেকে ৩০ সেকেন্ডের কম সময়ে তারা তথ্য চুরি করতে সক্ষম।
‘পিক্সন্যাপিং’ নামে নতুন ধরনের এই হ্যাকিং কীভাবে হচ্ছে, তা আবিষ্কার করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয় ও কার্নেগি মেলন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক। তাইওয়ানের ৩২তম এসিএম কম্পিউটার ও যোগাযোগ সুরক্ষা সম্মেলনে এই গবেষণা প্রকাশ করেন তাঁরা।
অনুমতি ছাড়া তথ্য চুরি সম্ভব
পিক্সন্যাপিং নামে এই নতুন হ্যাকিং কৌশলে একধরনের অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ দিয়ে তথ্য চুরি করা হয়। অ্যাপটির জন্য মোবাইল ফোনসেটের কোনো সিস্টেমের অনুমতির প্রয়োজন হয় না। এই ক্ষতিকর অ্যাপ ডিভাইসে থাকা অন্যান্য অ্যাপ এবং ওয়েবসাইট ভিজিটের তথ্য পড়তে পারে। পাশাপাশি জিমেইল ও গুগল অথেনটিকেটরের মতো নন-ব্রাউজার অ্যাপ থেকেও তথ্য চুরি করতে পারে। গবেষকেরা পাঁচটি অ্যান্ড্রয়েড ফোনসেটকে গবেষণায় ব্যবহার করেছেন। গুগল পিক্সেল সিরিজের ৬, ৭, ৮, ৯ এবং স্যামসাং গ্যালাক্সি এস২৫, এই ডিভাইসগুলোতে ঝুঁকি খুঁজে পেয়েছেন গবেষকেরা। অন্যান্য ফোনসেট এখনো আক্রমণের শিকার হয়নি। কিন্তু হ্যাকিংয়ের আশঙ্কা একেবারে উড়িয়ে দেননি গবেষকেরা। গুগল ইতিমধ্যে ব্যবস্থা নিলেও গবেষকেরা বলছেন, হ্যাকাররা পরিবর্তিত কৌশল ব্যবহার করতে পারে।
লিংক পাঠানোর কৌশল
হ্যাকাররা এই আক্রমণ করার সময় প্রথমে একটি ক্ষতিকর অ্যাপ ব্যবহার করে। এই অ্যাপ বিভিন্ন রকমের হতে পারে। মেসেজ, হোয়াটসঅ্যাপ ও অন্যান্য মাধ্যমে লিংক পাঠিয়ে এই অ্যাপ ডাউনলোড করানো হতে পারে। ভুক্তভোগী এসব লিংকে ক্লিক করলে ফোনসেটে অ্যাপ ইনস্টল হয়ে যাবে। কখনো নকল অ্যাপ স্টোর, বিজ্ঞাপন, কিউআর কোডের মাধ্যমেও ফোনসেট ব্যবহারকারীদের প্রলুব্ধ করা হতে পারে। মোবাইল ফোনসেটে হ্যাকারদের অ্যাপ ইনস্টল হলে তার পিক্সেলের দুর্বলতা কাজে লাগিয়ে তথ্য চুরি করা হয়।
পিক্সন্যাপিং হলো একটি চতুর কৌশল, যেখানে একটি ক্ষতিকর অ্যাপ ফোনসেটের গ্রাফিকস সিস্টেম থেকে ক্ষুদ্র সংকেতগুলো পর্যবেক্ষণ করে এবং ধাপে ধাপে অন্য অ্যাপগুলো স্ক্রিনে কী করছে তা বের করে।
এটি টু ফ্যাক্টর কোড বা মেসেজ প্রিভিউর
মতো সংক্ষিপ্ত এবং সংবেদনশীল জিনিসগুলো দেখতে পারে। এটি সিস্টেমের কোনো রকম অনুমতি ছাড়াই কাজ করে। এই সাইবার আক্রমণ অনেকটা ২০২৩ সালের জিপিইউ ডট জিপ আক্রমণের মতো।
পিক্সন্যাপিং নামে নতুন এই সাইবার আক্রমণ থেকে সুরক্ষিত থাকার জন্য অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোনসেট যাঁরা ব্যবহার করেন, তাঁদের বিশেষভাবে সতর্ক থাকা প্রয়োজন। অ্যান্ড্রয়েডের নতুন প্যাচ, আপডেট বা সিকিউরিটি আপডেট এলে তা ইনস্টল করা উচিত। বেনামি অ্যাপ স্টোর এবং ওয়েবসাইট থেকে অ্যাপ ইনস্টল করা থেকে যথাসম্ভব বিরত থাকতে হবে। ফোনসেট ডাউনলোড করা সব অ্যাপের সিস্টেম পারমিশন যাচাই করতে হবে। পাশাপাশি ব্যাংকিং অ্যাপগুলোতে একাধিক সিকিউরিটি ব্যবহার করতে হবে। যেমন পিন বা ফিঙ্গারপ্রিন্টের পাশাপাশি আলাদা একটি অ্যাপ লক ব্যবহার করা যায়। যদি সম্ভব হয়, তাহলে ফিজিক্যাল কি ব্যবহার করতে হবে।
সূত্র: দ্য হ্যাকার নিউজ, দ্য রেজিস্ট্রার

সম্প্রতি অ্যান্ড্রয়েড ফোনসেটগুলোতে একধরনের সাইবার আক্রমণের হুমকি দেখা দিয়েছে। হ্যাকারদের এক বিশেষ ধরনের আক্রমণের শিকার হয়েছে কিছু মোবাইল ফোনসেট। ব্যক্তিগত তথ্যসহ টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন কোড পর্যন্ত চুরি করছে হ্যাকাররা। নতুন এই কৌশল ব্যবহার করে অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসগুলো থেকে ৩০ সেকেন্ডের কম সময়ে তারা তথ্য চুরি করতে সক্ষম।
‘পিক্সন্যাপিং’ নামে নতুন ধরনের এই হ্যাকিং কীভাবে হচ্ছে, তা আবিষ্কার করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয় ও কার্নেগি মেলন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক। তাইওয়ানের ৩২তম এসিএম কম্পিউটার ও যোগাযোগ সুরক্ষা সম্মেলনে এই গবেষণা প্রকাশ করেন তাঁরা।
অনুমতি ছাড়া তথ্য চুরি সম্ভব
পিক্সন্যাপিং নামে এই নতুন হ্যাকিং কৌশলে একধরনের অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ দিয়ে তথ্য চুরি করা হয়। অ্যাপটির জন্য মোবাইল ফোনসেটের কোনো সিস্টেমের অনুমতির প্রয়োজন হয় না। এই ক্ষতিকর অ্যাপ ডিভাইসে থাকা অন্যান্য অ্যাপ এবং ওয়েবসাইট ভিজিটের তথ্য পড়তে পারে। পাশাপাশি জিমেইল ও গুগল অথেনটিকেটরের মতো নন-ব্রাউজার অ্যাপ থেকেও তথ্য চুরি করতে পারে। গবেষকেরা পাঁচটি অ্যান্ড্রয়েড ফোনসেটকে গবেষণায় ব্যবহার করেছেন। গুগল পিক্সেল সিরিজের ৬, ৭, ৮, ৯ এবং স্যামসাং গ্যালাক্সি এস২৫, এই ডিভাইসগুলোতে ঝুঁকি খুঁজে পেয়েছেন গবেষকেরা। অন্যান্য ফোনসেট এখনো আক্রমণের শিকার হয়নি। কিন্তু হ্যাকিংয়ের আশঙ্কা একেবারে উড়িয়ে দেননি গবেষকেরা। গুগল ইতিমধ্যে ব্যবস্থা নিলেও গবেষকেরা বলছেন, হ্যাকাররা পরিবর্তিত কৌশল ব্যবহার করতে পারে।
লিংক পাঠানোর কৌশল
হ্যাকাররা এই আক্রমণ করার সময় প্রথমে একটি ক্ষতিকর অ্যাপ ব্যবহার করে। এই অ্যাপ বিভিন্ন রকমের হতে পারে। মেসেজ, হোয়াটসঅ্যাপ ও অন্যান্য মাধ্যমে লিংক পাঠিয়ে এই অ্যাপ ডাউনলোড করানো হতে পারে। ভুক্তভোগী এসব লিংকে ক্লিক করলে ফোনসেটে অ্যাপ ইনস্টল হয়ে যাবে। কখনো নকল অ্যাপ স্টোর, বিজ্ঞাপন, কিউআর কোডের মাধ্যমেও ফোনসেট ব্যবহারকারীদের প্রলুব্ধ করা হতে পারে। মোবাইল ফোনসেটে হ্যাকারদের অ্যাপ ইনস্টল হলে তার পিক্সেলের দুর্বলতা কাজে লাগিয়ে তথ্য চুরি করা হয়।
পিক্সন্যাপিং হলো একটি চতুর কৌশল, যেখানে একটি ক্ষতিকর অ্যাপ ফোনসেটের গ্রাফিকস সিস্টেম থেকে ক্ষুদ্র সংকেতগুলো পর্যবেক্ষণ করে এবং ধাপে ধাপে অন্য অ্যাপগুলো স্ক্রিনে কী করছে তা বের করে।
এটি টু ফ্যাক্টর কোড বা মেসেজ প্রিভিউর
মতো সংক্ষিপ্ত এবং সংবেদনশীল জিনিসগুলো দেখতে পারে। এটি সিস্টেমের কোনো রকম অনুমতি ছাড়াই কাজ করে। এই সাইবার আক্রমণ অনেকটা ২০২৩ সালের জিপিইউ ডট জিপ আক্রমণের মতো।
পিক্সন্যাপিং নামে নতুন এই সাইবার আক্রমণ থেকে সুরক্ষিত থাকার জন্য অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোনসেট যাঁরা ব্যবহার করেন, তাঁদের বিশেষভাবে সতর্ক থাকা প্রয়োজন। অ্যান্ড্রয়েডের নতুন প্যাচ, আপডেট বা সিকিউরিটি আপডেট এলে তা ইনস্টল করা উচিত। বেনামি অ্যাপ স্টোর এবং ওয়েবসাইট থেকে অ্যাপ ইনস্টল করা থেকে যথাসম্ভব বিরত থাকতে হবে। ফোনসেট ডাউনলোড করা সব অ্যাপের সিস্টেম পারমিশন যাচাই করতে হবে। পাশাপাশি ব্যাংকিং অ্যাপগুলোতে একাধিক সিকিউরিটি ব্যবহার করতে হবে। যেমন পিন বা ফিঙ্গারপ্রিন্টের পাশাপাশি আলাদা একটি অ্যাপ লক ব্যবহার করা যায়। যদি সম্ভব হয়, তাহলে ফিজিক্যাল কি ব্যবহার করতে হবে।
সূত্র: দ্য হ্যাকার নিউজ, দ্য রেজিস্ট্রার

ঈদ উপলক্ষে দেশের মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের গ্রাহকদের জন্য নানা ধরনের সেবা ও অফার নিয়ে এসেছে। বিশেষ এই অফার নিয়ে আসা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে বিকাশ, নগদ, রকেট, উপায় ও লংকাবাংলার রয়েছে ঈদ ঘিরে গ্রাহকসেবায় নানা পরিকল্পনা
১০ মে ২০২১
প্রস্তাবিত টেলিযোগাযোগ অধ্যাদেশে ইন্টারনেট বন্ধের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপসহ বিদ্যমান আইন ও নীতিতে বেশ কিছু মৌলিক পরিবর্তন আনা হয়েছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ খাতে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও নাগরিক অধিকারের সুরক্ষা আরও সুদৃঢ় হবে বলে মনে করছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ।
৩ ঘণ্টা আগে
হুয়াওয়ে বলতে সাধারণ মানুষ একটি মোবাইল ফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানকে জানে। প্রায় পাঁচ বছর ধরে বাংলাদেশের বাজারে তাদের নতুন কোনো মোবাইল ফোন যদিও আসেনি। তবু দেশে গ্রাহক সমাধান, টেলিকম নেটওয়ার্ক, নবায়নযোগ্য শক্তি, শিক্ষা ও সামাজিক উদ্যোগে হুয়াওয়ে বেশ বড় পরিসরে কাজ করে যাচ্ছে।
১ দিন আগে
গ্রাফিক ডিজাইনে যাঁরা পারদর্শী নন, তাঁদের কাছে ক্যানভা নতুন এক দুয়ার খুলে দিয়েছে। যে কেউ এখন এটি ব্যবহার করে ব্যক্তিগত অথবা পেশাদার কাজ করতে পারেন। সময়ের সঙ্গে আরও উন্নত হয়েছে এই ডিজাইন প্ল্যাটফর্ম। এবার তাতে যোগ হলো তাদের নিজস্ব এআই-চালিত মডেল।
১ দিন আগেফিচার ডেস্ক

গ্রাফিক ডিজাইনে যাঁরা পারদর্শী নন, তাঁদের কাছে ক্যানভা নতুন এক দুয়ার খুলে দিয়েছে। যে কেউ এখন এটি ব্যবহার করে ব্যক্তিগত অথবা পেশাদার কাজ করতে পারেন। সময়ের সঙ্গে আরও উন্নত হয়েছে এই ডিজাইন প্ল্যাটফর্ম। এবার তাতে যোগ হলো তাদের নিজস্ব এআই-চালিত মডেল।
নতুন এই মডেল ডিজাইনের লেয়ার ও ফরম্যাট বুঝে আরও ভালোভাবে কাজ করতে সক্ষম। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটি এনেছে নতুন কিছু ফিচার, স্প্রেডশিট টুলস, মিনি অ্যাপ তৈরির সুবিধা।
ডিজাইন মডেলে বড় পরিবর্তন
ক্যানভা জানিয়েছে, তাদের নতুন ডিজাইন মডেলটি নিজেরাই তৈরি করেছে। এটি সাধারণ বা সমতল ছবি তৈরি করা ছাড়াও লেয়ার, অবজেক্টসহ ডিজাইন করতে পারে। এর ফলে যাঁরা অ্যাপটি ব্যবহার করবেন, তাঁরা চাইলে সহজে নিজের মতো সম্পাদনা করতে পারবেন। এটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পোস্ট, প্রেজেন্টেশন, হোয়াইট বোর্ড বা ওয়েবসাইট—সব জায়গায় কাজ করবে। ক্যানভার প্রোডাক্টের প্রধান রবার্ট কাওয়ালস্কি বলেছেন, ‘আগে আমরা শুধু সাধারণ ছবি তৈরি করতাম। তবে এখন ব্যবহারকারীরা চান প্রম্পট দিয়ে ছবি বা ডিজাইন তৈরি করতে এবং সেটি তাঁদের নিজের মতো সম্পাদনা করতে; যাতে ডিজাইন আরও প্রয়োজন অনুযায়ী হয়।’
আরও উন্নত ক্যানভা এআই
ক্যানভায় এর আগেও এআই-সুবিধা চালু ছিল। যাকে বলা হতো ক্যানভা এআই অ্যাসিস্ট্যান্ট। এখানে শুধু লেখা প্রম্পট দিয়ে ছবি বা ডিজাইন তৈরি করা যেত। কিন্তু নতুন আপডেটে ব্যবহারকারীরা আরও উন্নত উপায়ে ছবি তৈরি করতে পারবেন।

স্প্রেডশিট ও অ্যাপ সংযুক্তির নতুন সুবিধা
ক্যানভা তাদের স্প্রেডশিট ও মিনি অ্যাপ ফিচার এনেছে একসঙ্গে। এর ফলে স্প্রেডশিটে রাখা তথ্য ব্যবহার করে সহজে চার্ট, গ্রাফ বা অন্যান্য ভিজ্যুয়াল উইজেট তৈরি করা যাবে। এটি ডিজাইন কিংবা প্রেজেন্টেশনে ব্যবহার করা যাবে। ফলে ডেটা উপস্থাপনা অনেক সহজ ও দ্রুত হবে।
ক্যানভা বলছে, এই নতুন উদ্ভাবনের মাধ্যমে তারা শুধু একটি সাধারণ ডিজাইন প্ল্যাটফর্ম নয়, এআই-চালিত সম্পূর্ণ ডিজাইন ইকোসিস্টেমে পরিণত হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, অ্যাডোবির মতো পেশাদার টুলসের সঙ্গে সরাসরি প্রতিযোগিতায় নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে ক্যানভা।
সূত্র: টেকক্রাঞ্চ

গ্রাফিক ডিজাইনে যাঁরা পারদর্শী নন, তাঁদের কাছে ক্যানভা নতুন এক দুয়ার খুলে দিয়েছে। যে কেউ এখন এটি ব্যবহার করে ব্যক্তিগত অথবা পেশাদার কাজ করতে পারেন। সময়ের সঙ্গে আরও উন্নত হয়েছে এই ডিজাইন প্ল্যাটফর্ম। এবার তাতে যোগ হলো তাদের নিজস্ব এআই-চালিত মডেল।
নতুন এই মডেল ডিজাইনের লেয়ার ও ফরম্যাট বুঝে আরও ভালোভাবে কাজ করতে সক্ষম। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটি এনেছে নতুন কিছু ফিচার, স্প্রেডশিট টুলস, মিনি অ্যাপ তৈরির সুবিধা।
ডিজাইন মডেলে বড় পরিবর্তন
ক্যানভা জানিয়েছে, তাদের নতুন ডিজাইন মডেলটি নিজেরাই তৈরি করেছে। এটি সাধারণ বা সমতল ছবি তৈরি করা ছাড়াও লেয়ার, অবজেক্টসহ ডিজাইন করতে পারে। এর ফলে যাঁরা অ্যাপটি ব্যবহার করবেন, তাঁরা চাইলে সহজে নিজের মতো সম্পাদনা করতে পারবেন। এটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পোস্ট, প্রেজেন্টেশন, হোয়াইট বোর্ড বা ওয়েবসাইট—সব জায়গায় কাজ করবে। ক্যানভার প্রোডাক্টের প্রধান রবার্ট কাওয়ালস্কি বলেছেন, ‘আগে আমরা শুধু সাধারণ ছবি তৈরি করতাম। তবে এখন ব্যবহারকারীরা চান প্রম্পট দিয়ে ছবি বা ডিজাইন তৈরি করতে এবং সেটি তাঁদের নিজের মতো সম্পাদনা করতে; যাতে ডিজাইন আরও প্রয়োজন অনুযায়ী হয়।’
আরও উন্নত ক্যানভা এআই
ক্যানভায় এর আগেও এআই-সুবিধা চালু ছিল। যাকে বলা হতো ক্যানভা এআই অ্যাসিস্ট্যান্ট। এখানে শুধু লেখা প্রম্পট দিয়ে ছবি বা ডিজাইন তৈরি করা যেত। কিন্তু নতুন আপডেটে ব্যবহারকারীরা আরও উন্নত উপায়ে ছবি তৈরি করতে পারবেন।

স্প্রেডশিট ও অ্যাপ সংযুক্তির নতুন সুবিধা
ক্যানভা তাদের স্প্রেডশিট ও মিনি অ্যাপ ফিচার এনেছে একসঙ্গে। এর ফলে স্প্রেডশিটে রাখা তথ্য ব্যবহার করে সহজে চার্ট, গ্রাফ বা অন্যান্য ভিজ্যুয়াল উইজেট তৈরি করা যাবে। এটি ডিজাইন কিংবা প্রেজেন্টেশনে ব্যবহার করা যাবে। ফলে ডেটা উপস্থাপনা অনেক সহজ ও দ্রুত হবে।
ক্যানভা বলছে, এই নতুন উদ্ভাবনের মাধ্যমে তারা শুধু একটি সাধারণ ডিজাইন প্ল্যাটফর্ম নয়, এআই-চালিত সম্পূর্ণ ডিজাইন ইকোসিস্টেমে পরিণত হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, অ্যাডোবির মতো পেশাদার টুলসের সঙ্গে সরাসরি প্রতিযোগিতায় নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে ক্যানভা।
সূত্র: টেকক্রাঞ্চ

ঈদ উপলক্ষে দেশের মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের গ্রাহকদের জন্য নানা ধরনের সেবা ও অফার নিয়ে এসেছে। বিশেষ এই অফার নিয়ে আসা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে বিকাশ, নগদ, রকেট, উপায় ও লংকাবাংলার রয়েছে ঈদ ঘিরে গ্রাহকসেবায় নানা পরিকল্পনা
১০ মে ২০২১
প্রস্তাবিত টেলিযোগাযোগ অধ্যাদেশে ইন্টারনেট বন্ধের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপসহ বিদ্যমান আইন ও নীতিতে বেশ কিছু মৌলিক পরিবর্তন আনা হয়েছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ খাতে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও নাগরিক অধিকারের সুরক্ষা আরও সুদৃঢ় হবে বলে মনে করছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ।
৩ ঘণ্টা আগে
হুয়াওয়ে বলতে সাধারণ মানুষ একটি মোবাইল ফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানকে জানে। প্রায় পাঁচ বছর ধরে বাংলাদেশের বাজারে তাদের নতুন কোনো মোবাইল ফোন যদিও আসেনি। তবু দেশে গ্রাহক সমাধান, টেলিকম নেটওয়ার্ক, নবায়নযোগ্য শক্তি, শিক্ষা ও সামাজিক উদ্যোগে হুয়াওয়ে বেশ বড় পরিসরে কাজ করে যাচ্ছে।
১ দিন আগে
সম্প্রতি অ্যান্ড্রয়েড ফোনসেট গুলোতে একধরনের সাইবার আক্রমণের হুমকি দেখা দিয়েছে। হ্যাকারদের এক বিশেষ ধরনের আক্রমণের শিকার হয়েছে কিছু মোবাইল ফোনসেট। ব্যক্তিগত তথ্যসহ টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন কোড পর্যন্ত চুরি করছে হ্যাকাররা।
১ দিন আগে