মইনুল হাসান, ফ্রান্স
২০২৭ সালের শেষের দিকে বা ২০২৮ সালের প্রথম দিকে মহাসমুদ্রে ভেসে বেড়াবে অদ্ভুত আকার ও আকৃতির উল্লম্ব এক জাহাজ। একটু দূর থেকে দেখলে মনে হবে, লম্বা একটি স্তম্ভ পানি ফুঁড়ে আকাশের দিকে মাথা তুলে আছে। লম্বায় ৫৭ মিটার বা ১৮০ ফুট উল্লম্ব নৌযানটির ৩০ মিটার বা প্রায় ১০০ ফুট অংশ থাকবে পানির নিচে। মোট ১২টি তলায় বিভক্ত বিশাল এবং সুচিন্তিত স্থাপনাটির ওজন ৫৫০ টন। ১৫০ কোটি ইউরো বাজেটের এমন বিস্ময়কর নৌযানকে বিজ্ঞানীরা সাধারণ নৌযান বলতে নারাজ। তাঁরা বলেছেন, এটি একটি পর্যবেক্ষণ ও অনুসন্ধান প্ল্যাটফর্ম এবং অত্যাধুনিক সরঞ্জামে সজ্জিত একটি ভাসমান গবেষণাগার। সৌরশক্তিচালিত ভাসমান এ গবেষণাগারে মোট ২৪ জন নাবিক, গবেষক এবং প্রযুক্তিবিদের দীর্ঘদিন বসবাসের ব্যবস্থা রয়েছে। এটি মহাশূন্যে স্পেস স্টেশনের আদলে বিশ্বের প্রথম এবং একমাত্র আন্তর্জাতিক মহাসাগর স্টেশন। এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘সিঅরবিটার’।
১৯৯৫ সালে আমাদের সৌরজগতের বাইরে প্রথম গ্রহটি আবিষ্কারের পরে গত তিন দশকে ৪ হাজার নক্ষত্র পরিবার তন্নতন্ন করে তল্লাশি চালিয়ে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা এ পর্যন্ত ৬ হাজারের বেশি গ্রহের সন্ধান পেয়েছেন। এসব গ্রহের মধ্যে অনেকগুলো মানুষের বসবাসের উপযোগী বলে অনুমান করা হয়। মানুষ যখন অন্য গ্রহে পাড়ি দেওয়ার চিন্তা করছে, সে সময় একজন ফরাসি নৌ স্থপতি, জ্যাক রুজেরি (জন্ম: ১৯৪৫) মনে করছেন, মানুষের ভবিষ্যৎ ঠিকানা মহাসমুদ্রে। তিন দশক ধরে সমুদ্রের তলদেশে মানুষের বসবাসের জন্য বাড়ি ঘর, নগরীর নকশা তৈরি করে চলছেন তিনি।
অনেকের মতো তিনি মনে করেন, আমরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যুগে প্রবেশ করলেও প্রায় অসীম দূরত্বের কোনো গ্রহে পাড়ি জমানোর মতো প্রযুক্তি খুব শিগগির মানুষের হাতে ধরা দিচ্ছে না। তার ওপর মহাকাশ গবেষণায় অর্থায়নে উন্নত দেশগুলো যতটা উদার, ঠিক ততটাই অনুদার আমাদের চমৎকার নীলগ্রহটিকে মানুষের বসবাসের উপযোগী রাখার গবেষণায় অর্থ বরাদ্দে। আমরা দূর মহাকাশ সম্পর্কে যতটুকু জানি, তার থেকে অনেক কম জানি পৃথিবী সম্পর্কে। পৃথিবীপৃষ্ঠের ৭১ শতাংশ জুড়ে আছে নীল জলরাশির আস্তরণ। এর বেশির ভাগ সমুদ্র, মহাসমুদ্রের দখলে। অথচ এই বিশাল জলভাগের ৯৫ শতাংশ সম্পর্কে মানুষ আজও অন্ধকারে। জলজ জীবজগৎ বা জীববৈচিত্র্যের ৮৫ শতাংশ আজও মানুষের অজানা।
উদ্বেগের বিষয়, পৃথিবীর আয়ু মেপে জলবায়ু ইতিমধ্যে লাল কার্ড দেখিয়ে দিয়েছে। অসুস্থ পৃথিবীকে খুব দ্রুত সারিয়ে তুলতে হলে আমাদের সমুদ্র, মহাসমুদ্র সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে হবে। মানুষসহ পুরো জীবজগৎ এবং সমুদ্রের মধ্যে গভীর সম্পর্ক রয়েছে। এই বিশাল জলস্তর আমাদের এই পৃথিবী নামক গ্রহের ফুসফুস; এটি আমাদের অক্সিজেন এবং শক্তির জোগান অব্যাহত রেখেছে। আসলে পৃথিবীর প্রাণভোমরা লুকিয়ে আছে পৃথিবীপৃষ্ঠের এই বিশাল জলীয় অংশে। সে কারণে মহাসমুদ্রে সার্বক্ষণিক গবেষণা, সমুদ্র এবং সমুদ্রের বিশাল জীবজগতের গতি-প্রকৃতি, সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্র ও জলবায়ু পরিবর্তনের ওপর মহাসাগরীয় প্রভাব পর্যবেক্ষণ করতে এবং দূষণমুক্ত রাখার উপায় খুঁজতে এই স্টেশনের গুরুত্ব অপরিসীম। বিজ্ঞানীরা তাই ‘সিঅরবিটার’ নামক ভাসমান গবেষণাগারটি নিয়ে খুব আশাবাদী এবং উদ্দীপ্ত।
সমুদ্র মানেই এক বিশালতা। মানুষ এই বিশালতায় কল্পনার জাহাজে ভেসে বেড়াতে পছন্দ করে। ফরাসি লেখক জুল ভার্ন (১৮২৮-১৯০৫) সেই উনিশ শতকে তাঁর রচিত ‘সমুদ্রের তলদেশে বিশ হাজার স্থান’ কল্পকাহিনিতে নটিলাস নামক ডুবোজাহাজে ক্যাপ্টেন নিমোর দুঃসাহসিক সব অভিযানের বর্ণনা দিয়েছিলেন। অচিরেই সিঅরবিটার মহাসমুদ্রের মহারহস্যের জট খুলে আমাদের বহু জিজ্ঞাসার জবাব দেবে এবং বিস্মিত করবে, তা নিশ্চিত।
২০২৭ সালের শেষের দিকে বা ২০২৮ সালের প্রথম দিকে মহাসমুদ্রে ভেসে বেড়াবে অদ্ভুত আকার ও আকৃতির উল্লম্ব এক জাহাজ। একটু দূর থেকে দেখলে মনে হবে, লম্বা একটি স্তম্ভ পানি ফুঁড়ে আকাশের দিকে মাথা তুলে আছে। লম্বায় ৫৭ মিটার বা ১৮০ ফুট উল্লম্ব নৌযানটির ৩০ মিটার বা প্রায় ১০০ ফুট অংশ থাকবে পানির নিচে। মোট ১২টি তলায় বিভক্ত বিশাল এবং সুচিন্তিত স্থাপনাটির ওজন ৫৫০ টন। ১৫০ কোটি ইউরো বাজেটের এমন বিস্ময়কর নৌযানকে বিজ্ঞানীরা সাধারণ নৌযান বলতে নারাজ। তাঁরা বলেছেন, এটি একটি পর্যবেক্ষণ ও অনুসন্ধান প্ল্যাটফর্ম এবং অত্যাধুনিক সরঞ্জামে সজ্জিত একটি ভাসমান গবেষণাগার। সৌরশক্তিচালিত ভাসমান এ গবেষণাগারে মোট ২৪ জন নাবিক, গবেষক এবং প্রযুক্তিবিদের দীর্ঘদিন বসবাসের ব্যবস্থা রয়েছে। এটি মহাশূন্যে স্পেস স্টেশনের আদলে বিশ্বের প্রথম এবং একমাত্র আন্তর্জাতিক মহাসাগর স্টেশন। এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘সিঅরবিটার’।
১৯৯৫ সালে আমাদের সৌরজগতের বাইরে প্রথম গ্রহটি আবিষ্কারের পরে গত তিন দশকে ৪ হাজার নক্ষত্র পরিবার তন্নতন্ন করে তল্লাশি চালিয়ে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা এ পর্যন্ত ৬ হাজারের বেশি গ্রহের সন্ধান পেয়েছেন। এসব গ্রহের মধ্যে অনেকগুলো মানুষের বসবাসের উপযোগী বলে অনুমান করা হয়। মানুষ যখন অন্য গ্রহে পাড়ি দেওয়ার চিন্তা করছে, সে সময় একজন ফরাসি নৌ স্থপতি, জ্যাক রুজেরি (জন্ম: ১৯৪৫) মনে করছেন, মানুষের ভবিষ্যৎ ঠিকানা মহাসমুদ্রে। তিন দশক ধরে সমুদ্রের তলদেশে মানুষের বসবাসের জন্য বাড়ি ঘর, নগরীর নকশা তৈরি করে চলছেন তিনি।
অনেকের মতো তিনি মনে করেন, আমরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যুগে প্রবেশ করলেও প্রায় অসীম দূরত্বের কোনো গ্রহে পাড়ি জমানোর মতো প্রযুক্তি খুব শিগগির মানুষের হাতে ধরা দিচ্ছে না। তার ওপর মহাকাশ গবেষণায় অর্থায়নে উন্নত দেশগুলো যতটা উদার, ঠিক ততটাই অনুদার আমাদের চমৎকার নীলগ্রহটিকে মানুষের বসবাসের উপযোগী রাখার গবেষণায় অর্থ বরাদ্দে। আমরা দূর মহাকাশ সম্পর্কে যতটুকু জানি, তার থেকে অনেক কম জানি পৃথিবী সম্পর্কে। পৃথিবীপৃষ্ঠের ৭১ শতাংশ জুড়ে আছে নীল জলরাশির আস্তরণ। এর বেশির ভাগ সমুদ্র, মহাসমুদ্রের দখলে। অথচ এই বিশাল জলভাগের ৯৫ শতাংশ সম্পর্কে মানুষ আজও অন্ধকারে। জলজ জীবজগৎ বা জীববৈচিত্র্যের ৮৫ শতাংশ আজও মানুষের অজানা।
উদ্বেগের বিষয়, পৃথিবীর আয়ু মেপে জলবায়ু ইতিমধ্যে লাল কার্ড দেখিয়ে দিয়েছে। অসুস্থ পৃথিবীকে খুব দ্রুত সারিয়ে তুলতে হলে আমাদের সমুদ্র, মহাসমুদ্র সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে হবে। মানুষসহ পুরো জীবজগৎ এবং সমুদ্রের মধ্যে গভীর সম্পর্ক রয়েছে। এই বিশাল জলস্তর আমাদের এই পৃথিবী নামক গ্রহের ফুসফুস; এটি আমাদের অক্সিজেন এবং শক্তির জোগান অব্যাহত রেখেছে। আসলে পৃথিবীর প্রাণভোমরা লুকিয়ে আছে পৃথিবীপৃষ্ঠের এই বিশাল জলীয় অংশে। সে কারণে মহাসমুদ্রে সার্বক্ষণিক গবেষণা, সমুদ্র এবং সমুদ্রের বিশাল জীবজগতের গতি-প্রকৃতি, সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্র ও জলবায়ু পরিবর্তনের ওপর মহাসাগরীয় প্রভাব পর্যবেক্ষণ করতে এবং দূষণমুক্ত রাখার উপায় খুঁজতে এই স্টেশনের গুরুত্ব অপরিসীম। বিজ্ঞানীরা তাই ‘সিঅরবিটার’ নামক ভাসমান গবেষণাগারটি নিয়ে খুব আশাবাদী এবং উদ্দীপ্ত।
সমুদ্র মানেই এক বিশালতা। মানুষ এই বিশালতায় কল্পনার জাহাজে ভেসে বেড়াতে পছন্দ করে। ফরাসি লেখক জুল ভার্ন (১৮২৮-১৯০৫) সেই উনিশ শতকে তাঁর রচিত ‘সমুদ্রের তলদেশে বিশ হাজার স্থান’ কল্পকাহিনিতে নটিলাস নামক ডুবোজাহাজে ক্যাপ্টেন নিমোর দুঃসাহসিক সব অভিযানের বর্ণনা দিয়েছিলেন। অচিরেই সিঅরবিটার মহাসমুদ্রের মহারহস্যের জট খুলে আমাদের বহু জিজ্ঞাসার জবাব দেবে এবং বিস্মিত করবে, তা নিশ্চিত।
বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক পেমেন্ট গেটওয়ে পেপ্যাল, ওয়াইজ ও স্ট্রাইপের মতো পেমেন্ট সেবাগুলো চালুর দাবি জানিয়েছেন ফ্রিল্যান্সার ও আইটি পেশাজীবীরা। তাঁরা বলছেন, দেশের তরুণ উদ্যোক্তা ও ফ্রিল্যান্সাররা আন্তর্জাতিক ক্লায়েন্টের সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে আন্তর্জাতিক পেমেন্ট গেটওয়ের অভাবে বড় ধরনের সীমাবদ্ধতায় পড়ছেন।
১০ ঘণ্টা আগেনতুন মডুলার ফোন নিয়ে আসছে নাথিংয়ের সাব-ব্র্যান্ড সিএমএফ। তাদের দ্বিতীয় মডুলার ফোন সিএমএফ ফোন ২ প্রো ঘোষণা করা হয়েছে। আগের মতোই স্ক্রু দিয়ে লাগানো যায় এমন একাধিক অ্যাকসেসরিজ যুক্ত করা যাবে ফোনটিতে। ডিভাইসটি ৩ বছরের অ্যান্ড্রয়েড আপডেট এবং ৬ বছরের নিরাপত্তা আপডেট পাবে।
১০ ঘণ্টা আগেনতুন চিপসেট ‘স্ন্যাপড্রাগন ৮ এলিট ২’ নিয়ে কাজ করছে চিপ নির্মাতা কোম্পানি কোয়ালকম। এই চিপ পরবর্তী প্রজন্মের একটি শক্তিশালী প্রসেসর, যা নতুন আইফোন ১৭-এর পারফরম্যান্সকেও ছাপিয়ে যেতে পারে বলে গুঞ্জন উঠেছে।
১৩ ঘণ্টা আগেব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট কনস্টেলেশন প্রকল্প ‘প্রজেক্ট কুইপার’-এর প্রথম ২৭টি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছে ই–কমার্স জায়ান্ট আমাজন। এর মাধ্যমে ইলন মাস্কের স্পেসএক্সের স্টারলিংককে চ্যালেঞ্জ জানাল কোম্পানিটি। গতকাল সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা থেকে স্যাটেলাইটগুলো উৎক্ষেপণ করা হয়।
১৪ ঘণ্টা আগে