কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তিতে নিজের অবদান নিয়ে গত মে মাসেই অনুশোচনা প্রকাশ করেছিলেন ‘এআই গডফাদার’ হিসেবে পরিচিত জিওফ্রে হিন্টন। এবার তিনি ভবিষ্যতে এআইয়ের নিরাপদ ব্যবহার নিয়ে আশাবাদ তুলে ধরেছেন।
প্রযুক্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট টেক টাইমস এক প্রতিবেদনে বলছে, ওপেনএআইয়ের চ্যাট জিপিটির মত ল্যাঙ্গুয়েজ মডেলের সম্ভাব্য ঝুঁকি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেও জিওফ্রে হিন্টন এআইয়ের ব্যবহারকে ঝুঁকিমুক্ত করার ইতিবাচক কৌশল নিয়ে আলোচনায় আগ্রহী।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিরীহ না হুমকি
এআই নিয়ন্ত্রণের বাইরে গিয়ে মানুষের ক্ষতি করতে পারে বলে হিন্টন উদ্বিগ্ন। এআইয়ের স্পিচ রিকগনিশন বা কথা বোঝার ক্ষমতা, ছবি বিশ্লেষণ ও অনুবাদের মধ্যে অনেক সম্ভাবনা দেখছেন তিনি। কিন্তু উন্নত ল্যাংগুয়েজ মডেলের মত এআইয়ের সাম্প্রতিক অনিয়ন্ত্রত অগ্রগতির প্রভাব নিয়ে হিন্টন ভাবিত।
ভাষা বোঝার ক্ষমতা ও মডেলগুলোর মধ্যে জ্ঞানের স্থানান্তরের মতো বিষয়ের উপর জোর দিয়ে এআইয়ের মৌলিক বিষয়গুলোর পাশাপাশি উন্নত লার্নিং অ্যালগরিদম নিয়ে কথা বলেছেন হিন্টন। এখন মানব মস্তিষ্কের চেয়ে রোবটদের জ্ঞান বেশি বর্ণনা করে এআই যে বড় রকমের রূপান্তরের মধ্য দিয়ে উন্নত হয়েছে, সেই অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন তিনি।
এআইয়ের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা
আগামী ২০ বছরের মধ্যে এআই প্রযুক্তি মানুষের বুদ্ধিকে ছাপিয়ে যেতে পারে বলে ভবিষ্যৎবাণী করেন হিন্টন। তবে ঠিক কখন এই পরিবর্তন ঘটবে তা নিয়ে তিনি নিশ্চিত নন।
মানুষের বৈশিষ্ট্য দিয়ে রোবট তৈরি ঠিক নয় বলে জনপ্রিয় ধারণার সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করেন হিন্টন। তাঁর মতে, মানুষের তৈরি ডেটার ভিত্তিতে এআই সিস্টেমকে যথাযথ শিক্ষিত করলে এর ভাষাগত আচরণের যে প্রকাশ হবে, তা আগে যেমনটা ভাবা হয়েছিল, তার চেয়ে সম্ভাবনাময় হতে পারে।
নিন্দুকরা বলছেন, এআইয়ের প্রত্যক্ষ জ্ঞানের অভাব আছে, এটা শুধুমাত্র পরিসংখ্যানের ওপর নির্ভরশীল। হিন্টন মনে করেন, প্রত্যক্ষ জ্ঞান অর্জন সম্ভব না হলেও এআই মানুষের মতো প্রতিবেশ থেকে বোধ ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে পরোক্ষ অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারে। ভাষা বোঝা ক্ষমতা থেকে বাইরের বিশ্বের সঙ্গে এআইয়ের বোঝাপড়া ও সম্পৃক্ততা নিয়ে অনুমান করা যায়।
নৈতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক উদ্বেগ
এআই প্রযুক্তিকে সংবেদনশীলতার ক্ষমতা দেওয়া হলে নৈতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক দিক থেকে উদ্বেগ তৈরি হতে পারে।
চেতনা নিয়ে গতানুগতিক ধারণাগুলোকে চ্যালেঞ্জ করেন হিন্টন। তিনি মানুষ ও মেশিনের উপলব্ধির মধ্যে পার্থক্যকে মুছে ফেলতে চান। এবিষয়ে তার প্রস্তাবটি কিছুটা হাস্যকর। তার মতে, এআইয়ের ব্যক্তিক অভিজ্ঞতা মানুষের থেকে মৌলিকভাবে আলাদা নাও হতে পারে।
হিন্টনের এআই ও মানুষের সহাবস্থানের ধারণা অ্যানালগ কম্পিউটিং ও প্রকৃতি থেকে অনুকরণের ভিত্তিতে তৈরি। আরো নিরাপদ ও নিয়ন্ত্রিত উন্নয়নের মাধ্যমে এআই মৌমাছিসহ ক্ষুদ্র প্রাণিকূলের মতো বুদ্ধি অর্জন করতে পারে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তিতে নিজের অবদান নিয়ে গত মে মাসেই অনুশোচনা প্রকাশ করেছিলেন ‘এআই গডফাদার’ হিসেবে পরিচিত জিওফ্রে হিন্টন। এবার তিনি ভবিষ্যতে এআইয়ের নিরাপদ ব্যবহার নিয়ে আশাবাদ তুলে ধরেছেন।
প্রযুক্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট টেক টাইমস এক প্রতিবেদনে বলছে, ওপেনএআইয়ের চ্যাট জিপিটির মত ল্যাঙ্গুয়েজ মডেলের সম্ভাব্য ঝুঁকি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেও জিওফ্রে হিন্টন এআইয়ের ব্যবহারকে ঝুঁকিমুক্ত করার ইতিবাচক কৌশল নিয়ে আলোচনায় আগ্রহী।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিরীহ না হুমকি
এআই নিয়ন্ত্রণের বাইরে গিয়ে মানুষের ক্ষতি করতে পারে বলে হিন্টন উদ্বিগ্ন। এআইয়ের স্পিচ রিকগনিশন বা কথা বোঝার ক্ষমতা, ছবি বিশ্লেষণ ও অনুবাদের মধ্যে অনেক সম্ভাবনা দেখছেন তিনি। কিন্তু উন্নত ল্যাংগুয়েজ মডেলের মত এআইয়ের সাম্প্রতিক অনিয়ন্ত্রত অগ্রগতির প্রভাব নিয়ে হিন্টন ভাবিত।
ভাষা বোঝার ক্ষমতা ও মডেলগুলোর মধ্যে জ্ঞানের স্থানান্তরের মতো বিষয়ের উপর জোর দিয়ে এআইয়ের মৌলিক বিষয়গুলোর পাশাপাশি উন্নত লার্নিং অ্যালগরিদম নিয়ে কথা বলেছেন হিন্টন। এখন মানব মস্তিষ্কের চেয়ে রোবটদের জ্ঞান বেশি বর্ণনা করে এআই যে বড় রকমের রূপান্তরের মধ্য দিয়ে উন্নত হয়েছে, সেই অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন তিনি।
এআইয়ের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা
আগামী ২০ বছরের মধ্যে এআই প্রযুক্তি মানুষের বুদ্ধিকে ছাপিয়ে যেতে পারে বলে ভবিষ্যৎবাণী করেন হিন্টন। তবে ঠিক কখন এই পরিবর্তন ঘটবে তা নিয়ে তিনি নিশ্চিত নন।
মানুষের বৈশিষ্ট্য দিয়ে রোবট তৈরি ঠিক নয় বলে জনপ্রিয় ধারণার সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করেন হিন্টন। তাঁর মতে, মানুষের তৈরি ডেটার ভিত্তিতে এআই সিস্টেমকে যথাযথ শিক্ষিত করলে এর ভাষাগত আচরণের যে প্রকাশ হবে, তা আগে যেমনটা ভাবা হয়েছিল, তার চেয়ে সম্ভাবনাময় হতে পারে।
নিন্দুকরা বলছেন, এআইয়ের প্রত্যক্ষ জ্ঞানের অভাব আছে, এটা শুধুমাত্র পরিসংখ্যানের ওপর নির্ভরশীল। হিন্টন মনে করেন, প্রত্যক্ষ জ্ঞান অর্জন সম্ভব না হলেও এআই মানুষের মতো প্রতিবেশ থেকে বোধ ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে পরোক্ষ অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারে। ভাষা বোঝা ক্ষমতা থেকে বাইরের বিশ্বের সঙ্গে এআইয়ের বোঝাপড়া ও সম্পৃক্ততা নিয়ে অনুমান করা যায়।
নৈতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক উদ্বেগ
এআই প্রযুক্তিকে সংবেদনশীলতার ক্ষমতা দেওয়া হলে নৈতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক দিক থেকে উদ্বেগ তৈরি হতে পারে।
চেতনা নিয়ে গতানুগতিক ধারণাগুলোকে চ্যালেঞ্জ করেন হিন্টন। তিনি মানুষ ও মেশিনের উপলব্ধির মধ্যে পার্থক্যকে মুছে ফেলতে চান। এবিষয়ে তার প্রস্তাবটি কিছুটা হাস্যকর। তার মতে, এআইয়ের ব্যক্তিক অভিজ্ঞতা মানুষের থেকে মৌলিকভাবে আলাদা নাও হতে পারে।
হিন্টনের এআই ও মানুষের সহাবস্থানের ধারণা অ্যানালগ কম্পিউটিং ও প্রকৃতি থেকে অনুকরণের ভিত্তিতে তৈরি। আরো নিরাপদ ও নিয়ন্ত্রিত উন্নয়নের মাধ্যমে এআই মৌমাছিসহ ক্ষুদ্র প্রাণিকূলের মতো বুদ্ধি অর্জন করতে পারে।
দীর্ঘ ভ্রমণের আগে গাড়ির ট্যাংক পূর্ণ করাটা স্বাভাবিক ব্যাপার। তবে আকাশপথে এ যুক্তি খুব একটা কার্যকর নয়। বাণিজ্যিক বিমান সাধারণত ওড়ার সময় তার ট্যাংকভর্তি করে জ্বালানি নেয় না এবং এটি কোনো ভুলে নয়—বরং সম্পূর্ণ পরিকল্পিত, হিসাব করা ও বিধি অনুসারে।
৭ ঘণ্টা আগেঅ্যাপল তাদের প্রথম আইফোন উন্মোচনের ২০ বছর পূর্তিতে ২০২৭ সালে এক বৈপ্লবিক ডিজাইনের আইফোন আনতে পারে বলে জানিয়েছেন প্রযুক্তি বিশ্লেষক মার্ক গুরম্যান। ব্লুমবার্গে প্রকাশিত তার ‘পাওয়ার অন’ নিউজলেটারে তিনি উল্লেখ করেন, অ্যাপল সেই বছরে ‘প্রায় সম্পূর্ণ কাচের, বাঁকানো ডিসপ্লের আইফোন’ বাজারে আনবে, যাতে কোনো
৭ ঘণ্টা আগেপার্থ শহরের আর্ট গ্যালারি অব ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়াতে (এজিডব্লিউএ) অদ্ভুত প্রদর্শনী দেখতে জড়ো হচ্ছেন দর্শনার্থীরা। তবে তাঁরা এসেছেন এমন এক সংগীতশিল্পীর পরিবেশনা দেখতে, যিনি আর জীবিত নেই...
৯ ঘণ্টা আগেকৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআইয়ের ক্রমবর্ধমান প্রভাব গোটা বিশ্বের মতো এবার ক্যাথলিক চার্চকেও ভাবিয়ে তুলেছে। এই প্রেক্ষাপটেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পর্কে কথা বললেন নবনির্বাচিত পোপ লিও চতুর্দশ।
১২ ঘণ্টা আগে