Ajker Patrika

নির্বাচনে জিতলে ট্রাম্পের উপদেষ্টা হতে পারেন ইলন মাস্ক

আপডেট : ৩০ মে ২০২৪, ১৪: ৪০
নির্বাচনে জিতলে ট্রাম্পের উপদেষ্টা হতে পারেন ইলন মাস্ক

প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে ইলন মাস্ককে উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার কথা বিবেচনা করছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বরাত দিয়ে ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল এ তথ্য জানিয়েছে।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল বলছে, অর্থনৈতিক বিষয় ও সীমান্ত নিরাপত্তা নীতি নিয়ে মাস্ককে কীভাবে কাজে লাগানো যায়, সে বিষয়ে দুজনের মধ্যে আলোচনা হয়েছে।

আগামী নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে সমর্থন না দিতে প্রভাবশালী মার্কিন ব্যবসায়ী নেতাদের মধ্যে প্রচারণা চালাচ্ছেন বলে ট্রাম্পকে জানান মাস্ক। ২০২০ সালের নির্বাচনে ট্রাম্পকে পরাজিত করেন জো বাইডেন এবং দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য এই নির্বাচনে লড়বেন তিনি।

এসব আলোচনায় ‘ভোটার জালিয়াতি প্রতিরোধে ডেটাভিত্তিক প্রকল্পে’ অর্থায়নের বিষয়েও আলোচনা হয়। এই আলোচনায় বিলিয়নিয়ার বিনিয়োগকারী নেলসন পেল্টজও যুক্ত ছিলেন।

এবিষয়ে ট্রাম্পের নির্বাচনী শিবিরের মুখপাত্র ব্রায়ান হিউজ বলেন, কারা কী ভূমিকা পালন করবেন, সে বিষয়ে প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর শুধু ট্রাম্পই সিদ্ধান্ত নেবেন। 

ওয়ালস্ট্রিট জার্নালের তথ্য অনুযায়ী, গত মার্চে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় মাস্ক ও ট্রাম্পের মধ্যে সাক্ষাৎ হয়। তখন মাস্ক বলেন, তিনি ট্রাম্পকে কোনো অর্থ দেবেন না। তবে তাঁর পক্ষ হয়ে বাইডেনের পরাজয় ত্বরান্বিত করতে প্রভাবশালী মিত্রদের সমর্থন জোগাড় করবেন।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মাস্ক রিপাবলিকান পার্টিকে বেশি সমর্থন দিচ্ছেন। বাইডেন ইচ্ছাকৃতভাবে অভিবাসীদের মেক্সিকো সীমান্ত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অনুমতি দিচ্ছেন বলে ঢালাও অভিযোগ করে যাচ্ছেন মাস্ক।

এক্স (সাবেক টুইটার) প্ল্যাটফরমে প্রকাশিত ইহুদিবিদ্বেষী মন্তব্যকেও সমর্থন করেছেন মাস্ক। তবে তিনি ইহুদিবিদ্বেষী নন বলে দাবি করেন।

অভিবাসন, বৈদ্যুতিক গাড়ি ও শুল্কসংক্রান্ত বিষয়ে বাইডেনের নীতির প্রকাশ্য সমালোচনা করলেও নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কোনো প্রার্থীকে আনুষ্ঠানিক সমর্থন দেননি মাস্ক। ট্রাম্পও বলেছেন, মাস্ক তাঁকে সমর্থন করেন কি না, তা তিনি জানেন না।

মাস্কের এক্স প্ল্যাটফরম ব্যবহার করতে পছন্দ করতেন ট্রাম্প। কিন্তু ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল হিলে ট্রাম্পের সমর্থকদের হামলার পর তার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ট্রাম্প নিজেই সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফরম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’ চালু করেন। ট্রাম্প এখানে নিজের কর্মকাণ্ড প্রচার করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হেফাজতসহ ধর্ম ব্যবসায়ীরা নারীবিদ্বেষী প্রচারণা চালাচ্ছে: ৬৮ মানবাধিকার সংগঠন

মানিকগঞ্জে সালিসে বিএনপি নেতার নির্দেশে পাঁচ ভাইকে জুতাপেটা

রাখাইনে মানবিক করিডর: জান্তার আপত্তিতে সরকারে দ্বিধা

ভারতের ব্ল্যাকআউট মহড়া, সীমান্তে আটার মজুত বাড়াচ্ছে পাকিস্তান, যুদ্ধ কি লেগে যাচ্ছে

মানবিক করিডরে বাংলাদেশের ফায়দা কী

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত