নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

টেলিকম খাতের খসড়া গাইডলাইনে যেসব ফি ও চার্জ আরোপ করা হয়েছে, সেগুলোর কারণে গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেট সেবার খরচ অতিরিক্ত ২০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পাবে বলে জানিয়েছে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি)। আজ সোমবার রাজধানীর মহাখালীর রাওয়া ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সভাপতি আমিনুল হাকিম এ কথা জানান।
আইএসপিএবি মহাসচিব নাজমুল করিম ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে নতুন ও পুরোনো নীতিমালার মধ্যে পার্থক্য তুলে ধরে ইন্টারনেটের দাম বাড়ার কারণ ব্যাখ্যা করেন আমিনুল হাকিম।
তিনি বলেন, ‘নতুন গাইডলাইন অনুযায়ী ফিক্সড ইন্টারনেটের মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) নতুন নিয়ম অনুযায়ী ইন্টারনেট সেবাদাতাদের ওপর নতুন করে রেভিনিউ শেয়ারিং, উচ্চ লাইসেন্স ফি আরোপ সরাসরি ব্রডব্যান্ড প্যাকেজের দাম বাড়াবে। এটি শুধু সাধারণ মানুষের পক্ষেই ক্ষতিকর নয়, বরং শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ডিজিটাল লাইফস্টাইল এবং ব্যবসায়িক কার্যক্রমকেও বাধাগ্রস্ত করবে।’
তিনি আরও জানান, প্রস্তাবিত নীতিমালা অনুযায়ী ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অর্থাৎ এফটিএসপি (ফিক্সড টেলিকম সার্ভিস প্রোভাইডার) অপারেটরদের ক্রয়মূল্য ১৪ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। এর ফলে বর্তমানে গ্রাহক ২০ এমবিপিএসের যেই প্যাকেজ ৭০০ টাকায় ব্যবহার করছেন, সেটার মূল্য সাড়ে ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা হয়ে যাবে।
গাইডলাইন সংস্কার করে এই খরচগুলো কমানোর ব্যবস্থা নিতে দাবি জানান আইএসপিএবির সভাপতি।
ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে আমিনুল হাকিম বলেন, ‘আমি দেশের প্রত্যেক ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর কাছে অনুরোধ করছি, আপনারা আমাদের পাশে থাকুন। আমাদের দোষারোপ করবেন না। আমরা আপনাদেরই সেবা দিচ্ছি। এই দাবি বা প্রতিবাদ আপনাদের জন্য, আপনাদের ভবিষ্যতের জন্য।’
সংবাদ সম্মেলনে আইএসপিএবির পক্ষ থেকে কয়েকটি প্রস্তাবনা তুলে ধরে বলা হয়।
প্রস্তাবনায় বলা হয়, প্রস্তাবিত খসড়া নীতিমালার আড়ালে মোবাইল কোম্পানিগুলোকে ফিক্সড ওয়্যারলেস একসেস (এফডব্লিউএ) এবং লাস্ট মাইল ফাইবার সংযোগের মাধ্যমে ফিক্সড কানেক্টিভিটি দেওয়ার স্পষ্ট অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এটি দেশীয় এবং নিজস্ব বিনিয়োগে গড়ে ওঠা আইএসপিগুলোর জন্য চরম অসম প্রতিযোগিতা সৃষ্টি করবে।
আইএসপিএবি মনে করে, অযৌক্তিক ফি বৃদ্ধি এবং মোবাইল কোম্পানিগুলোকে ফিক্সড কানেক্টিভিটির সুযোগ দেওয়া দেশীয় বিনিয়োগকে চরম অনিশ্চয়তারমুখে ফেলবে। নতুন খসড়া গাইডলাইনটির সবচেয়ে বড় প্রভাব পড়বে সাধারণ গ্রাহকের ওপর।
আইএসপিএবির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রস্তাবিত নীতিমালায় বিভিন্ন ফি ও চার্জ আরোপের কারণে গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেট সেবার খরচ অতিরিক্ত প্রায় ২০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পাবে এবং এফটিএসপি অপারেটরদের ক্রয়মূল্য ১৪ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে।
সরকারের নীতিমালার কারণে গ্রামের ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবাদানকারীরা ব্যবসা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হবে বলে জানান আমিনুল হাকিম।
তিনি বলেন, ‘তিন মাস পরে যে সরকার নির্বাচিত হয়ে আসবে তাদের পক্ষে এই অস্থিরতা সামাল দেওয়া সম্ভব নাও হতে পারে। এর ফলে সারাদেশে ডিজিটাল শাটডাউনের শঙ্কা রয়েছে।’
এ অবস্থায় ইন্টারনেট খাতে এখনই রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ দাবি করেন আইএসপিএবি মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘ইন্টারনেটের মূল্য নির্ধারণের দায়িত্ব তাদের হাতে ছেড়ে দিন। আমি দেশের সব রাজনৈতিক দলকেও আন্তরিক আহ্বান জানাচ্ছি, দয়া করে এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করুন। জনগণের পাশে দাঁড়ান, এই সেবাখাতকে এবং দেশীয় উদ্যোক্তাদের বাঁচিয়ে রাখুন। তাই, ইন্টারনেটের মূল্য নির্ধারণে আমরা দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর হস্তক্ষেপ কামনা করছি। মনে রাখবেন, এই প্রজন্ম চুপ করে থাকবে না। তারা সচেতনভাবে, যথাযথ পথে নিজেদের দাবির পক্ষে এগিয়ে আসবে।’
মোবাইল অপারেটরদের প্রচুর সুবিধা দেওয়া হচ্ছে দাবি করে আইএসপিএবি মহাসচিব নাজমুল করিম ভূঁইয়া বলেন, ‘বৈষম্য দূর করার স্লোগান দিয়ে এই সরকার দায়িত্ব নিয়েছিল। অথচ তাদের কার্যক্রমে আমরা এর প্রতিফলন দেখতে পাচ্ছি না। মোবাইল অপারেটরদের প্রচুর সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। দেশের স্বার্থের চেয়ে মোবাইল অপারেটরদের স্বার্থ বেশি দেখা হচ্ছে। একইভাবে স্টারলিংককে অন্যায্য সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। দেশীয় ব্রডব্যান্ড সার্ভিস প্রোভাইডারদের লাইসেন্স পাওয়ার ক্ষেত্রে ২৫ লাখ টাকা একুইজিশন ফি দিতে হয় ৷ সেখানে স্টারলিংককে একুইজিশন ফি দিতে হয় মাত্র ১২ লাখ টাকা।’
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, টেলিকম খাতের খসড়া গাইডলাইনে লাইসেন্স নবায়নের ক্ষেত্রে আড়াই গুণ এবং বার্ষিক ফি সাড়ে তিন গুণ বাড়বে। এর ফলে গ্রাহক পর্যায়ে ফিক্সড ইন্টারনেটের মূল্য মেট্রোপলিটন শহরে অন্তত ১১ শতাংশ এবং বাইরে ১৮ দশমিক ৪০ শতাংশ বাড়বে। টেলিকম খাতের মতো এই খাতেও ৫ শতাংশ রেভিনিউ শেয়ার এবং ১ শতাংশ সামাজিক সুরক্ষা তহবিলে জমা এবং টেলিকম কোম্পানিকে এফডব্লিউ ও হটস্পট সুবিধা দেওয়ায় এইখাতের ২৭০০ দেশীয় উদ্যোক্তা ঝুঁকিতে পড়বে।
সরকার ভুল পথে এগোচ্ছে বলে মনে করেন আইএসপিএবির নেতারা। তাঁরা অভিযোগ করেন, ‘গাইডলাইনে জনআকাঙ্ক্ষা প্রতিফলিত হয়নি।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও ছিলেন আইএসপিএবির সহসভাপতি নেয়ামুল হক খান, যুগ্ম মহাসচিব–১ মাহবুব আলম, যুগ্ম মহাসচিব–২ ফুয়াদ মুহাম্মদ শরফুদ্দিন ও কোষাধ্যক্ষ মঈন উদ্দিন আহমেদ।
আরও খবর পড়ুন:

টেলিকম খাতের খসড়া গাইডলাইনে যেসব ফি ও চার্জ আরোপ করা হয়েছে, সেগুলোর কারণে গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেট সেবার খরচ অতিরিক্ত ২০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পাবে বলে জানিয়েছে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি)। আজ সোমবার রাজধানীর মহাখালীর রাওয়া ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সভাপতি আমিনুল হাকিম এ কথা জানান।
আইএসপিএবি মহাসচিব নাজমুল করিম ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে নতুন ও পুরোনো নীতিমালার মধ্যে পার্থক্য তুলে ধরে ইন্টারনেটের দাম বাড়ার কারণ ব্যাখ্যা করেন আমিনুল হাকিম।
তিনি বলেন, ‘নতুন গাইডলাইন অনুযায়ী ফিক্সড ইন্টারনেটের মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) নতুন নিয়ম অনুযায়ী ইন্টারনেট সেবাদাতাদের ওপর নতুন করে রেভিনিউ শেয়ারিং, উচ্চ লাইসেন্স ফি আরোপ সরাসরি ব্রডব্যান্ড প্যাকেজের দাম বাড়াবে। এটি শুধু সাধারণ মানুষের পক্ষেই ক্ষতিকর নয়, বরং শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ডিজিটাল লাইফস্টাইল এবং ব্যবসায়িক কার্যক্রমকেও বাধাগ্রস্ত করবে।’
তিনি আরও জানান, প্রস্তাবিত নীতিমালা অনুযায়ী ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অর্থাৎ এফটিএসপি (ফিক্সড টেলিকম সার্ভিস প্রোভাইডার) অপারেটরদের ক্রয়মূল্য ১৪ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। এর ফলে বর্তমানে গ্রাহক ২০ এমবিপিএসের যেই প্যাকেজ ৭০০ টাকায় ব্যবহার করছেন, সেটার মূল্য সাড়ে ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা হয়ে যাবে।
গাইডলাইন সংস্কার করে এই খরচগুলো কমানোর ব্যবস্থা নিতে দাবি জানান আইএসপিএবির সভাপতি।
ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে আমিনুল হাকিম বলেন, ‘আমি দেশের প্রত্যেক ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর কাছে অনুরোধ করছি, আপনারা আমাদের পাশে থাকুন। আমাদের দোষারোপ করবেন না। আমরা আপনাদেরই সেবা দিচ্ছি। এই দাবি বা প্রতিবাদ আপনাদের জন্য, আপনাদের ভবিষ্যতের জন্য।’
সংবাদ সম্মেলনে আইএসপিএবির পক্ষ থেকে কয়েকটি প্রস্তাবনা তুলে ধরে বলা হয়।
প্রস্তাবনায় বলা হয়, প্রস্তাবিত খসড়া নীতিমালার আড়ালে মোবাইল কোম্পানিগুলোকে ফিক্সড ওয়্যারলেস একসেস (এফডব্লিউএ) এবং লাস্ট মাইল ফাইবার সংযোগের মাধ্যমে ফিক্সড কানেক্টিভিটি দেওয়ার স্পষ্ট অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এটি দেশীয় এবং নিজস্ব বিনিয়োগে গড়ে ওঠা আইএসপিগুলোর জন্য চরম অসম প্রতিযোগিতা সৃষ্টি করবে।
আইএসপিএবি মনে করে, অযৌক্তিক ফি বৃদ্ধি এবং মোবাইল কোম্পানিগুলোকে ফিক্সড কানেক্টিভিটির সুযোগ দেওয়া দেশীয় বিনিয়োগকে চরম অনিশ্চয়তারমুখে ফেলবে। নতুন খসড়া গাইডলাইনটির সবচেয়ে বড় প্রভাব পড়বে সাধারণ গ্রাহকের ওপর।
আইএসপিএবির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রস্তাবিত নীতিমালায় বিভিন্ন ফি ও চার্জ আরোপের কারণে গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেট সেবার খরচ অতিরিক্ত প্রায় ২০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পাবে এবং এফটিএসপি অপারেটরদের ক্রয়মূল্য ১৪ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে।
সরকারের নীতিমালার কারণে গ্রামের ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবাদানকারীরা ব্যবসা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হবে বলে জানান আমিনুল হাকিম।
তিনি বলেন, ‘তিন মাস পরে যে সরকার নির্বাচিত হয়ে আসবে তাদের পক্ষে এই অস্থিরতা সামাল দেওয়া সম্ভব নাও হতে পারে। এর ফলে সারাদেশে ডিজিটাল শাটডাউনের শঙ্কা রয়েছে।’
এ অবস্থায় ইন্টারনেট খাতে এখনই রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ দাবি করেন আইএসপিএবি মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘ইন্টারনেটের মূল্য নির্ধারণের দায়িত্ব তাদের হাতে ছেড়ে দিন। আমি দেশের সব রাজনৈতিক দলকেও আন্তরিক আহ্বান জানাচ্ছি, দয়া করে এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করুন। জনগণের পাশে দাঁড়ান, এই সেবাখাতকে এবং দেশীয় উদ্যোক্তাদের বাঁচিয়ে রাখুন। তাই, ইন্টারনেটের মূল্য নির্ধারণে আমরা দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর হস্তক্ষেপ কামনা করছি। মনে রাখবেন, এই প্রজন্ম চুপ করে থাকবে না। তারা সচেতনভাবে, যথাযথ পথে নিজেদের দাবির পক্ষে এগিয়ে আসবে।’
মোবাইল অপারেটরদের প্রচুর সুবিধা দেওয়া হচ্ছে দাবি করে আইএসপিএবি মহাসচিব নাজমুল করিম ভূঁইয়া বলেন, ‘বৈষম্য দূর করার স্লোগান দিয়ে এই সরকার দায়িত্ব নিয়েছিল। অথচ তাদের কার্যক্রমে আমরা এর প্রতিফলন দেখতে পাচ্ছি না। মোবাইল অপারেটরদের প্রচুর সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। দেশের স্বার্থের চেয়ে মোবাইল অপারেটরদের স্বার্থ বেশি দেখা হচ্ছে। একইভাবে স্টারলিংককে অন্যায্য সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। দেশীয় ব্রডব্যান্ড সার্ভিস প্রোভাইডারদের লাইসেন্স পাওয়ার ক্ষেত্রে ২৫ লাখ টাকা একুইজিশন ফি দিতে হয় ৷ সেখানে স্টারলিংককে একুইজিশন ফি দিতে হয় মাত্র ১২ লাখ টাকা।’
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, টেলিকম খাতের খসড়া গাইডলাইনে লাইসেন্স নবায়নের ক্ষেত্রে আড়াই গুণ এবং বার্ষিক ফি সাড়ে তিন গুণ বাড়বে। এর ফলে গ্রাহক পর্যায়ে ফিক্সড ইন্টারনেটের মূল্য মেট্রোপলিটন শহরে অন্তত ১১ শতাংশ এবং বাইরে ১৮ দশমিক ৪০ শতাংশ বাড়বে। টেলিকম খাতের মতো এই খাতেও ৫ শতাংশ রেভিনিউ শেয়ার এবং ১ শতাংশ সামাজিক সুরক্ষা তহবিলে জমা এবং টেলিকম কোম্পানিকে এফডব্লিউ ও হটস্পট সুবিধা দেওয়ায় এইখাতের ২৭০০ দেশীয় উদ্যোক্তা ঝুঁকিতে পড়বে।
সরকার ভুল পথে এগোচ্ছে বলে মনে করেন আইএসপিএবির নেতারা। তাঁরা অভিযোগ করেন, ‘গাইডলাইনে জনআকাঙ্ক্ষা প্রতিফলিত হয়নি।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও ছিলেন আইএসপিএবির সহসভাপতি নেয়ামুল হক খান, যুগ্ম মহাসচিব–১ মাহবুব আলম, যুগ্ম মহাসচিব–২ ফুয়াদ মুহাম্মদ শরফুদ্দিন ও কোষাধ্যক্ষ মঈন উদ্দিন আহমেদ।
আরও খবর পড়ুন:

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) পাওয়ারহাউস হতে বিশাল বাজি ধরেছে অন্যতম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ সৌদি আরব। তেলবাণিজ্যে নির্ভরশীল দেশটি এখন নজর দিয়েছে প্রযুক্তির দিকে। এআই খাতে বিনিয়োগ বাড়িয়েছে দেশটি। ‘হিউমেইন’-এ বিনিয়োগের মাধ্যমে বেশ বড় উদ্যোগ হাতে নিয়েছে দেশটি।
৭ ঘণ্টা আগে
ফোর্বসের তথ্য অনুযায়ী, মাস্ক এখন দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ওরাকল প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি এলিসনের চেয়ে ১৭৭ বিলিয়ন ডলার এগিয়ে। অক্টোবর মাসে টেসলার শেয়ার বেড়েছে ৩ শতাংশ, কিন্তু এলিসনের ওরাকলের শেয়ার কমেছে ৭ শতাংশ, ফলে তাঁর সম্পদ কমেছে ২২ বিলিয়ন ডলার। বর্তমানে ৮১ বছর বয়সী এলিসনের সম্পদ ৩২০ বিলিয়ন ডলার।
১ দিন আগে
অবৈধ মোবাইল হ্যান্ডসেট বন্ধে আগামী ১৬ ডিসেম্বর চালু হবে এনইআইআর (ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার)। এ ব্যবস্থা চালু হলে অনেকের হাতে থাকা মোবাইল ফোন বন্ধ হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন কেউ কেউ। তবে বিটিআরসি জানিয়েছে, ১৬ ডিসেম্বরের আগপর্যন্ত যেসব হ্যান্ডসেট ব্যবহারকারীদের হাতে রয়েছে...
২ দিন আগে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চালিত ক্যারেক্টার এআই (ক্যারেক্টার এআই) চ্যাটবট প্ল্যাটফর্মে ভার্চুয়াল চরিত্রদের সঙ্গে কথোপকথন করা যায়। অনলাইনে তরুণ ব্যবহারকারীদের সঙ্গে এসব ভার্চুয়াল সঙ্গীর কথোপকথন নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে ১৮ বছরের কম বয়সী বা কিশোর-কিশোরীদের সরাসরি এই চ্যাটবটে কথা বলার সুযোগ বন্ধ করে..
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) পাওয়ারহাউস হতে বিশাল বাজি ধরেছে অন্যতম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ সৌদি আরব। তেলবাণিজ্যে নির্ভরশীল দেশটি এখন নজর দিয়েছে প্রযুক্তির দিকে। এআই খাতে বিনিয়োগ বাড়িয়েছে দেশটি। ‘হিউমেইন’-এ বিনিয়োগের মাধ্যমে বেশ বড় উদ্যোগ হাতে নিয়েছে দেশটি।
‘হিউমেইন’ হলো সৌদি আরবের এআই শক্তিতে ক্ষমতাধর হওয়ার লক্ষ্যে বিনিয়োগের ক্ষেত্র। এই বিনিয়োগের মাধ্যমে ডেটা সেন্টার, ক্লাউড অবকাঠামো, লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল ও অ্যাপ্লিকেশনের পরিপূর্ণ এআই ইকোসিস্টেম তৈরি করছে দেশটি। আর এ প্রতিষ্ঠানটি সৌদি আরবের প্রায় এক ট্রিলিয়ন ডলারের সার্বভৌম সম্পদ তহবিলের মালিকানাধীন।
গত মে মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের রিয়াদ সফরের আগে হিউমেইনের উদ্বোধন করেন সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান। এ সপ্তাহে একই শহরে আয়োজিত ফিউচার ইনভেস্টমেন্ট ইনিশিয়েটিভ (এফআইআই) সম্মেলনে প্রকল্পটির পরিসর, উচ্চাকাঙ্ক্ষা এবং বিশাল আর্থিক সক্ষমতা আরও স্পষ্টভাবে সামনে আসে।
হিউমেইনের প্রধান নির্বাহী (সিইও) তারেক আমিন জানান, তাঁর লক্ষ্য সৌদি আরবকে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের পর বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম এআই বাজারে পরিণত করা। শিল্পে নবাগত হয়েও তিনি বিশ্বাস করেন, সৌদি আরবের সবচেয়ে বড় প্রতিযোগিতামূলক শক্তি হলো এর প্রচুর ও স্বল্পমূল্যের জ্বালানি সম্পদ, যা আধুনিক কম্পিউটিং শক্তির ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে সহায়ক হবে।
তিনি সিএনএন–এর বেকি অ্যান্ডারসনকে বলেন, “সৌদি আরবে আমাদের বড় সুবিধা হলো এর শক্তিশালী বিদ্যুৎ অবকাঠামো। হিউমেইনকে আলাদা করে সাবস্টেশন বা বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা তৈরি করতে হবে না। এর মানে, ‘১৮ মাসে বছর’ হওয়ার সমস্যায় পড়তে হবে না। ”
২০৩৪ সালের মধ্যে সৌদি আরবজুড়ে ছয় গিগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ডেটা সেন্টার নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার পরিকল্পনা করছে হিউমেইন। এ প্রকল্পে তাদের অংশীদার হিসেবে রয়েছে এনভিডিয়া, এএমডি, অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিসেস, কোয়ালকম ও সিসকোর মতো বিশ্বের শীর্ষ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো।
গত মঙ্গলবার হিউমেইন ঘোষণা দিয়েছে, তারা সৌদি আরবে নতুন ডেটা সেন্টার নির্মাণের জন্য প্রাইভেট ইকুইটি জায়ান্ট ব্ল্যাকস্টোন-এর সঙ্গে ৩ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি করেছে।
একই দিনে তারা এআইচালিত অপারেটিং সিস্টেম ‘হিউমেইন ওয়ান’ (Humain One) উন্মোচন করেছে। এই অপারেটিং সিস্টেমে প্রচলিত সিস্টেম উইন্ডোজ বা আইওএসের মতো মাউস ক্লিক বা আইকন ব্যবহারের বদলে ব্যবহারকারীরা কম্পিউটারকে ভয়েস বা টেক্সটের মাধ্যমে নির্দেশ দিতে পারবেন।
এরইমধ্যে হিউমেইন মানবসম্পদ (এইচআর), অর্থ, আইন, পরিচালন ও আইটি বিভাগে ব্যাপকভাবে এই এআই সিস্টেমটি ব্যবহার করছে। সিইও তারেক আমিন জানান, এখন তাঁর পে–রোল (বেতন ব্যবস্থাপনা) বিভাগে মাত্র একজন কর্মী আছেন, বাকি সব কাজই পরিচালনা করছে এআই এজেন্টরা।
‘ভিশন ২০৩০’ অর্থনৈতিক রূপান্তর পরিকল্পনার শেষ পর্যায়ে প্রবেশ করছে সৌদি আরব। তবে দেশটি বর্তমানে তেলের দামের পতন এবং নিওম–এর মতো বৃহৎ অবকাঠামো প্রকল্পের বিলম্বের কারণে নতুন চাপে পড়েছে। এ অবস্থায় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে এআইকে কেন্দ্র করে দেশের এই নতুন উদ্যোগকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
তবে কাছের প্রতিবেশী সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই)-এর এআই প্রতিষ্ঠান ‘জি ৪২’ (G 42)-এর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পড়তে হবে সৌদি আরবকে। সম্প্রতি ‘স্টারগেট ইউএই’ (Stargate UAE) নামে ৫০০ বিলিয়নের এক বিশাল ডেটা সেন্টার প্রকল্প নির্মাণে ইউএই ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে একটি ঐতিহাসিক চুক্তি করেছে। যা যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে সবচেয়ে বড় ডেটা সেন্টার হিসেবে বিবেচিত হবে। এ প্রকল্পে সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে যুক্ত রয়েছে ওপেনএআই, ওরাকল, এনভিডিয়া ও সিসকো।
এ প্রসঙ্গে আমিন জানান, তিনি এআইকে গণতান্ত্রিককরণের পক্ষে, একই সঙ্গে হিউমেইনের দৃঢ় পরিচালন ক্ষমতাকেও তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ‘মানুষের জন্য ভালো যে জ্ঞান তা এক জায়গায় কেন্দ্রীভূত না হয়ে ছড়িয়ে থাকাই উচিত। তাই ইউএইতে যা হচ্ছে, তা ভালো। সৌদি আরবে যা হচ্ছে, তাও খুব ভালো।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি, তা সম্পূর্ণ ভিন্ন... হিউমেইন একটি হোল্ডিং কোম্পানি নয়। আমরা একটি অপারেটিং কোম্পানি।’

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) পাওয়ারহাউস হতে বিশাল বাজি ধরেছে অন্যতম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ সৌদি আরব। তেলবাণিজ্যে নির্ভরশীল দেশটি এখন নজর দিয়েছে প্রযুক্তির দিকে। এআই খাতে বিনিয়োগ বাড়িয়েছে দেশটি। ‘হিউমেইন’-এ বিনিয়োগের মাধ্যমে বেশ বড় উদ্যোগ হাতে নিয়েছে দেশটি।
‘হিউমেইন’ হলো সৌদি আরবের এআই শক্তিতে ক্ষমতাধর হওয়ার লক্ষ্যে বিনিয়োগের ক্ষেত্র। এই বিনিয়োগের মাধ্যমে ডেটা সেন্টার, ক্লাউড অবকাঠামো, লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল ও অ্যাপ্লিকেশনের পরিপূর্ণ এআই ইকোসিস্টেম তৈরি করছে দেশটি। আর এ প্রতিষ্ঠানটি সৌদি আরবের প্রায় এক ট্রিলিয়ন ডলারের সার্বভৌম সম্পদ তহবিলের মালিকানাধীন।
গত মে মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের রিয়াদ সফরের আগে হিউমেইনের উদ্বোধন করেন সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান। এ সপ্তাহে একই শহরে আয়োজিত ফিউচার ইনভেস্টমেন্ট ইনিশিয়েটিভ (এফআইআই) সম্মেলনে প্রকল্পটির পরিসর, উচ্চাকাঙ্ক্ষা এবং বিশাল আর্থিক সক্ষমতা আরও স্পষ্টভাবে সামনে আসে।
হিউমেইনের প্রধান নির্বাহী (সিইও) তারেক আমিন জানান, তাঁর লক্ষ্য সৌদি আরবকে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের পর বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম এআই বাজারে পরিণত করা। শিল্পে নবাগত হয়েও তিনি বিশ্বাস করেন, সৌদি আরবের সবচেয়ে বড় প্রতিযোগিতামূলক শক্তি হলো এর প্রচুর ও স্বল্পমূল্যের জ্বালানি সম্পদ, যা আধুনিক কম্পিউটিং শক্তির ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে সহায়ক হবে।
তিনি সিএনএন–এর বেকি অ্যান্ডারসনকে বলেন, “সৌদি আরবে আমাদের বড় সুবিধা হলো এর শক্তিশালী বিদ্যুৎ অবকাঠামো। হিউমেইনকে আলাদা করে সাবস্টেশন বা বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা তৈরি করতে হবে না। এর মানে, ‘১৮ মাসে বছর’ হওয়ার সমস্যায় পড়তে হবে না। ”
২০৩৪ সালের মধ্যে সৌদি আরবজুড়ে ছয় গিগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ডেটা সেন্টার নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার পরিকল্পনা করছে হিউমেইন। এ প্রকল্পে তাদের অংশীদার হিসেবে রয়েছে এনভিডিয়া, এএমডি, অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিসেস, কোয়ালকম ও সিসকোর মতো বিশ্বের শীর্ষ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো।
গত মঙ্গলবার হিউমেইন ঘোষণা দিয়েছে, তারা সৌদি আরবে নতুন ডেটা সেন্টার নির্মাণের জন্য প্রাইভেট ইকুইটি জায়ান্ট ব্ল্যাকস্টোন-এর সঙ্গে ৩ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি করেছে।
একই দিনে তারা এআইচালিত অপারেটিং সিস্টেম ‘হিউমেইন ওয়ান’ (Humain One) উন্মোচন করেছে। এই অপারেটিং সিস্টেমে প্রচলিত সিস্টেম উইন্ডোজ বা আইওএসের মতো মাউস ক্লিক বা আইকন ব্যবহারের বদলে ব্যবহারকারীরা কম্পিউটারকে ভয়েস বা টেক্সটের মাধ্যমে নির্দেশ দিতে পারবেন।
এরইমধ্যে হিউমেইন মানবসম্পদ (এইচআর), অর্থ, আইন, পরিচালন ও আইটি বিভাগে ব্যাপকভাবে এই এআই সিস্টেমটি ব্যবহার করছে। সিইও তারেক আমিন জানান, এখন তাঁর পে–রোল (বেতন ব্যবস্থাপনা) বিভাগে মাত্র একজন কর্মী আছেন, বাকি সব কাজই পরিচালনা করছে এআই এজেন্টরা।
‘ভিশন ২০৩০’ অর্থনৈতিক রূপান্তর পরিকল্পনার শেষ পর্যায়ে প্রবেশ করছে সৌদি আরব। তবে দেশটি বর্তমানে তেলের দামের পতন এবং নিওম–এর মতো বৃহৎ অবকাঠামো প্রকল্পের বিলম্বের কারণে নতুন চাপে পড়েছে। এ অবস্থায় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে এআইকে কেন্দ্র করে দেশের এই নতুন উদ্যোগকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
তবে কাছের প্রতিবেশী সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই)-এর এআই প্রতিষ্ঠান ‘জি ৪২’ (G 42)-এর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পড়তে হবে সৌদি আরবকে। সম্প্রতি ‘স্টারগেট ইউএই’ (Stargate UAE) নামে ৫০০ বিলিয়নের এক বিশাল ডেটা সেন্টার প্রকল্প নির্মাণে ইউএই ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে একটি ঐতিহাসিক চুক্তি করেছে। যা যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে সবচেয়ে বড় ডেটা সেন্টার হিসেবে বিবেচিত হবে। এ প্রকল্পে সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে যুক্ত রয়েছে ওপেনএআই, ওরাকল, এনভিডিয়া ও সিসকো।
এ প্রসঙ্গে আমিন জানান, তিনি এআইকে গণতান্ত্রিককরণের পক্ষে, একই সঙ্গে হিউমেইনের দৃঢ় পরিচালন ক্ষমতাকেও তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ‘মানুষের জন্য ভালো যে জ্ঞান তা এক জায়গায় কেন্দ্রীভূত না হয়ে ছড়িয়ে থাকাই উচিত। তাই ইউএইতে যা হচ্ছে, তা ভালো। সৌদি আরবে যা হচ্ছে, তাও খুব ভালো।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি, তা সম্পূর্ণ ভিন্ন... হিউমেইন একটি হোল্ডিং কোম্পানি নয়। আমরা একটি অপারেটিং কোম্পানি।’

টেলিকম খাতের খসড়া গাইডলাইনে যেসব ফি ও চার্জ আরোপ করা হয়েছে, সেগুলোর কারণে গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেট সেবার খরচ অতিরিক্ত ২০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পাবে বলে জানিয়েছে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি)।
১০ ঘণ্টা আগে
ফোর্বসের তথ্য অনুযায়ী, মাস্ক এখন দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ওরাকল প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি এলিসনের চেয়ে ১৭৭ বিলিয়ন ডলার এগিয়ে। অক্টোবর মাসে টেসলার শেয়ার বেড়েছে ৩ শতাংশ, কিন্তু এলিসনের ওরাকলের শেয়ার কমেছে ৭ শতাংশ, ফলে তাঁর সম্পদ কমেছে ২২ বিলিয়ন ডলার। বর্তমানে ৮১ বছর বয়সী এলিসনের সম্পদ ৩২০ বিলিয়ন ডলার।
১ দিন আগে
অবৈধ মোবাইল হ্যান্ডসেট বন্ধে আগামী ১৬ ডিসেম্বর চালু হবে এনইআইআর (ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার)। এ ব্যবস্থা চালু হলে অনেকের হাতে থাকা মোবাইল ফোন বন্ধ হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন কেউ কেউ। তবে বিটিআরসি জানিয়েছে, ১৬ ডিসেম্বরের আগপর্যন্ত যেসব হ্যান্ডসেট ব্যবহারকারীদের হাতে রয়েছে...
২ দিন আগে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চালিত ক্যারেক্টার এআই (ক্যারেক্টার এআই) চ্যাটবট প্ল্যাটফর্মে ভার্চুয়াল চরিত্রদের সঙ্গে কথোপকথন করা যায়। অনলাইনে তরুণ ব্যবহারকারীদের সঙ্গে এসব ভার্চুয়াল সঙ্গীর কথোপকথন নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে ১৮ বছরের কম বয়সী বা কিশোর-কিশোরীদের সরাসরি এই চ্যাটবটে কথা বলার সুযোগ বন্ধ করে..
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বিশ্বের ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় টেসলা ও স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক এখনো শীর্ষে রয়েছেন। ২০২৫ সালের নভেম্বরের শুরুতে তাঁর সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪৯৭ বিলিয়ন ডলার, যা অক্টোবরের তুলনায় ৬ বিলিয়ন ডলার বেশি। যদিও অক্টোবরে তিনি দুবার ইতিহাস সৃষ্টি করে প্রথম ব্যক্তি হিসেবে ৫০০ বিলিয়ন ডলারের মালিক হয়েছিলেন, মাস শেষে কিছুটা কমে তা ৪৯৭ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসে।
ফোর্বসের তথ্য অনুযায়ী, মাস্ক এখন দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ওরাকল প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি এলিসনের চেয়ে ১৭৭ বিলিয়ন ডলার এগিয়ে। অক্টোবরে টেসলার শেয়ার বেড়েছে ৩ শতাংশ, কিন্তু এলিসনের ওরাকলের শেয়ার কমেছে ৭ শতাংশ, ফলে তাঁর সম্পদ কমেছে ২২ বিলিয়ন ডলার। বর্তমানে ৮১ বছর বয়সী এলিসনের সম্পদ ৩২০ বিলিয়ন ডলার।
অক্টোবরে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছেন মেটার প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ। কোম্পানির তৃতীয় ত্রৈমাসিক আয়ে বিশ্লেষকদের প্রত্যাশা পূরণ না হওয়ায় শেয়ারমূল্য কমে গেছে ১২ শতাংশ। ফলে তাঁর সম্পদ ২৯ বিলিয়ন ডলার কমে দাঁড়িয়েছে ২২৩ বিলিয়ন ডলারে। এতে তিনি ধনী তালিকায় তৃতীয় স্থান থেকে নেমে পঞ্চম স্থানে চলে গেছেন।
অন্যদিকে অ্যামাজনের জেফ বেজোসের ভাগ্য খুলেছে। অক্টোবরে অ্যামাজনের শেয়ার বেড়েছে ১১ শতাংশ, ফলে বেজোসের সম্পদ বেড়েছে ২২ বিলিয়ন ডলার। বর্তমানে তাঁর মোট সম্পদ ২৫৪ বিলিয়ন ডলার এবং তিনি এখন তৃতীয় ধনী ব্যক্তি।
অক্টোবরে সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছেন গুগলের প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি পেজ ও সের্গেই ব্রিন। অ্যালফাবেটের শেয়ারমূল্য ১৬ শতাংশ বাড়ায় তাঁদের সম্পদ যথাক্রমে ৩০ ও ২৮ বিলিয়ন ডলার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৩২ ও ২১৫ বিলিয়ন ডলারে। এতে পেজ উঠে এসেছেন চতুর্থ স্থানে আর ব্রিন রয়েছেন ষষ্ঠ অবস্থানে।
ডেল টেকনোলজিস ও ব্রডকমের শেয়ার বাড়ায় মাইকেল ডেলের সম্পদ ১৪ বিলিয়ন ডলার বেড়েছে। বর্তমানে তাঁর সম্পদ ১৫৫ বিলিয়ন ডলার, যা তাঁকে ১১ থেকে ১০ নম্বরে তুলে এনেছে। এদিকে কিংবদন্তি বিনিয়োগকারী ওয়ারেন বাফেটের সম্পদ কমে ১৪৩ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে এবং তিনি দীর্ঘ সময় পর প্রথমবারের মতো শীর্ষ দশের বাইরে চলে গেছেন।
ফোর্বসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৫ সালের এপ্রিলে বিশ্বে ৩ হাজার ২৮ জন বিলিয়নিয়ার ছিলেন। নভেম্বরের হিসাব অনুযায়ী, বিশ্বের শীর্ষ ১০ ধনীর মোট সম্পদ ২ দশমিক ৪ ট্রিলিয়ন ডলার, যা সেপ্টেম্বরের তুলনায় ১০০ বিলিয়ন ডলার বেশি।
বিশ্বের শীর্ষ ১০ ধনী (১ নভেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত)
১. ইলন মাস্ক—৪৯৭ বিলিয়ন ডলার
২. ল্যারি এলিসন—৩২০ বিলিয়ন ডলার
৩. জেফ বেজোস—২৫৪ বিলিয়ন ডলার
৪. ল্যারি পেজ—২৩২ বিলিয়ন ডলার
৫. মার্ক জাকারবার্গ—২২৩ বিলিয়ন ডলার
৬. সের্গেই ব্রিন—২১৫ বিলিয়ন ডলার
৭. বার্নার্ড আর্নল্ট—১৮৩ বিলিয়ন ডলার
৮. জেনসেন হুয়াং—১৭৬ বিলিয়ন ডলার
৯. স্টিভ বালমার—১৫৬ বিলিয়ন ডলার
১০. মাইকেল ডেল—১৫৫ বিলিয়ন ডলার
অর্ধ ট্রিলিয়ন ডলারের মালিক ইলন মাস্ক
৫৪ বছর বয়সী মাস্ক বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি। তিনি টেসলা ও স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সের চেয়ারম্যান ও সিটিও। এ ছাড়া কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সংস্থা এক্সএআইয়ের প্রতিষ্ঠাতা।
দক্ষিণ আফ্রিকায় জন্ম নেওয়া মাস্ক ১৮ বছর বয়সে কানাডায় যান। পরে যুক্তরাষ্ট্রে পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক করেন। ২০০২ সালে তিনি স্পেসএক্স প্রতিষ্ঠা করেন এবং পরের বছর টেসলায় বিনিয়োগ করেন। ২০১০ সালে টেসলা শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়।
বর্তমানে মাস্কের মালিকানাধীন এক্সএআই সংস্থার মূল্য ৮০ বিলিয়ন ডলার আর স্পেসএক্সের মূল্য ৪০০ বিলিয়ন ডলার।
এআই অবকাঠামোয় বড় বিনিয়োগ করছেন ল্যারি এলিসন
ওরাকলের প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি এলিসনের সম্পদ ৩২০ বিলিয়ন ডলার। তিনি জানুয়ারিতে ট্রাম্প প্রশাসনের ‘স্টারগেট প্রজেক্ট’-এ যুক্ত হন, যেখানে ওরাকল, ওপেনএআই, সফটব্যাংক এবং ইউএইর এমজিএক্স ফান্ড মিলে ৫০০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করছে।
এলিসন ১৯৭৭ সালে ওরাকল প্রতিষ্ঠা করেন এবং ২০১৪ পর্যন্ত কোম্পানির সিইও ছিলেন। তিনি হাওয়াইয়ের লানাই দ্বীপের ৯৮ শতাংশের মালিক।
অ্যামাজন ও ব্লু অরিজিনের কর্তা জেফ বেজোস
অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোসের সম্পদ এখন ২৫৪ বিলিয়ন ডলার। তিনি ১৯৯৪ সালে অ্যামাজন প্রতিষ্ঠা করেন, যা শুরু হয় অনলাইন বই বিক্রির মাধ্যমে। পরে ক্লাউড সেবা ও ভিডিও স্ট্রিমিংয়ে প্রসারিত হয় ব্যবসা।
তিনি এখন ব্লু অরিজিন নামের বেসরকারি মহাকাশ সংস্থা পরিচালনা করছেন এবং এর মাধ্যমে ২০২৫ সালের মাঝামাঝি নারী নেতৃত্বাধীন এক মহাকাশ মিশন সম্পন্ন করেছেন।
অন্যদের মধ্যে ল্যারি পেজ ও সের্গেই ব্রিন গুগলের দুই সহপ্রতিষ্ঠাতা। তাঁরা এখনো অ্যালফাবেটের নিয়ন্ত্রণে আছেন এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা খাতে নতুন উদ্যোগে যুক্ত হয়েছেন।
বার্নার্ড আর্নল্ট, ফরাসি বিলাসবহুল ব্র্যান্ড এলভিএমএইচের প্রধান, ১৮৩ বিলিয়ন ডলার সম্পদ নিয়ে সপ্তম স্থানে। জেনসেন হুয়াং, এনভিডিয়ার সহপ্রতিষ্ঠাতা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চিপ উৎপাদনে সাফল্যের কারণে তাঁর সম্পদ বেড়ে ১৭৬ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। স্টিভ বালমার, মাইক্রোসফটের সাবেক সিইও ও এলএ ক্লিপার্সের মালিক, নবম স্থানে রয়েছেন। মাইকেল ডেল, ডেল টেকনোলজিসের কর্তা, দশম স্থানে উঠে এসেছেন।
বিশ্বের সবচেয়ে ধনী নারী
২০২৫ সালের নভেম্বর অনুযায়ী বিশ্বের সবচেয়ে ধনী নারী হলেন ওয়ালমার্ট প্রতিষ্ঠাতা স্যাম ওয়ালটনের কন্যা অ্যালিস ওয়ালটন। তাঁর সম্পদের পরিমাণ ১১০ বিলিয়ন ডলার। তিনি বর্তমানে বিশ্বের ১৫তম ধনী ব্যক্তি।

বিশ্বের ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় টেসলা ও স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক এখনো শীর্ষে রয়েছেন। ২০২৫ সালের নভেম্বরের শুরুতে তাঁর সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪৯৭ বিলিয়ন ডলার, যা অক্টোবরের তুলনায় ৬ বিলিয়ন ডলার বেশি। যদিও অক্টোবরে তিনি দুবার ইতিহাস সৃষ্টি করে প্রথম ব্যক্তি হিসেবে ৫০০ বিলিয়ন ডলারের মালিক হয়েছিলেন, মাস শেষে কিছুটা কমে তা ৪৯৭ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসে।
ফোর্বসের তথ্য অনুযায়ী, মাস্ক এখন দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ওরাকল প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি এলিসনের চেয়ে ১৭৭ বিলিয়ন ডলার এগিয়ে। অক্টোবরে টেসলার শেয়ার বেড়েছে ৩ শতাংশ, কিন্তু এলিসনের ওরাকলের শেয়ার কমেছে ৭ শতাংশ, ফলে তাঁর সম্পদ কমেছে ২২ বিলিয়ন ডলার। বর্তমানে ৮১ বছর বয়সী এলিসনের সম্পদ ৩২০ বিলিয়ন ডলার।
অক্টোবরে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছেন মেটার প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ। কোম্পানির তৃতীয় ত্রৈমাসিক আয়ে বিশ্লেষকদের প্রত্যাশা পূরণ না হওয়ায় শেয়ারমূল্য কমে গেছে ১২ শতাংশ। ফলে তাঁর সম্পদ ২৯ বিলিয়ন ডলার কমে দাঁড়িয়েছে ২২৩ বিলিয়ন ডলারে। এতে তিনি ধনী তালিকায় তৃতীয় স্থান থেকে নেমে পঞ্চম স্থানে চলে গেছেন।
অন্যদিকে অ্যামাজনের জেফ বেজোসের ভাগ্য খুলেছে। অক্টোবরে অ্যামাজনের শেয়ার বেড়েছে ১১ শতাংশ, ফলে বেজোসের সম্পদ বেড়েছে ২২ বিলিয়ন ডলার। বর্তমানে তাঁর মোট সম্পদ ২৫৪ বিলিয়ন ডলার এবং তিনি এখন তৃতীয় ধনী ব্যক্তি।
অক্টোবরে সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছেন গুগলের প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি পেজ ও সের্গেই ব্রিন। অ্যালফাবেটের শেয়ারমূল্য ১৬ শতাংশ বাড়ায় তাঁদের সম্পদ যথাক্রমে ৩০ ও ২৮ বিলিয়ন ডলার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৩২ ও ২১৫ বিলিয়ন ডলারে। এতে পেজ উঠে এসেছেন চতুর্থ স্থানে আর ব্রিন রয়েছেন ষষ্ঠ অবস্থানে।
ডেল টেকনোলজিস ও ব্রডকমের শেয়ার বাড়ায় মাইকেল ডেলের সম্পদ ১৪ বিলিয়ন ডলার বেড়েছে। বর্তমানে তাঁর সম্পদ ১৫৫ বিলিয়ন ডলার, যা তাঁকে ১১ থেকে ১০ নম্বরে তুলে এনেছে। এদিকে কিংবদন্তি বিনিয়োগকারী ওয়ারেন বাফেটের সম্পদ কমে ১৪৩ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে এবং তিনি দীর্ঘ সময় পর প্রথমবারের মতো শীর্ষ দশের বাইরে চলে গেছেন।
ফোর্বসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৫ সালের এপ্রিলে বিশ্বে ৩ হাজার ২৮ জন বিলিয়নিয়ার ছিলেন। নভেম্বরের হিসাব অনুযায়ী, বিশ্বের শীর্ষ ১০ ধনীর মোট সম্পদ ২ দশমিক ৪ ট্রিলিয়ন ডলার, যা সেপ্টেম্বরের তুলনায় ১০০ বিলিয়ন ডলার বেশি।
বিশ্বের শীর্ষ ১০ ধনী (১ নভেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত)
১. ইলন মাস্ক—৪৯৭ বিলিয়ন ডলার
২. ল্যারি এলিসন—৩২০ বিলিয়ন ডলার
৩. জেফ বেজোস—২৫৪ বিলিয়ন ডলার
৪. ল্যারি পেজ—২৩২ বিলিয়ন ডলার
৫. মার্ক জাকারবার্গ—২২৩ বিলিয়ন ডলার
৬. সের্গেই ব্রিন—২১৫ বিলিয়ন ডলার
৭. বার্নার্ড আর্নল্ট—১৮৩ বিলিয়ন ডলার
৮. জেনসেন হুয়াং—১৭৬ বিলিয়ন ডলার
৯. স্টিভ বালমার—১৫৬ বিলিয়ন ডলার
১০. মাইকেল ডেল—১৫৫ বিলিয়ন ডলার
অর্ধ ট্রিলিয়ন ডলারের মালিক ইলন মাস্ক
৫৪ বছর বয়সী মাস্ক বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি। তিনি টেসলা ও স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সের চেয়ারম্যান ও সিটিও। এ ছাড়া কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সংস্থা এক্সএআইয়ের প্রতিষ্ঠাতা।
দক্ষিণ আফ্রিকায় জন্ম নেওয়া মাস্ক ১৮ বছর বয়সে কানাডায় যান। পরে যুক্তরাষ্ট্রে পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক করেন। ২০০২ সালে তিনি স্পেসএক্স প্রতিষ্ঠা করেন এবং পরের বছর টেসলায় বিনিয়োগ করেন। ২০১০ সালে টেসলা শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়।
বর্তমানে মাস্কের মালিকানাধীন এক্সএআই সংস্থার মূল্য ৮০ বিলিয়ন ডলার আর স্পেসএক্সের মূল্য ৪০০ বিলিয়ন ডলার।
এআই অবকাঠামোয় বড় বিনিয়োগ করছেন ল্যারি এলিসন
ওরাকলের প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি এলিসনের সম্পদ ৩২০ বিলিয়ন ডলার। তিনি জানুয়ারিতে ট্রাম্প প্রশাসনের ‘স্টারগেট প্রজেক্ট’-এ যুক্ত হন, যেখানে ওরাকল, ওপেনএআই, সফটব্যাংক এবং ইউএইর এমজিএক্স ফান্ড মিলে ৫০০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করছে।
এলিসন ১৯৭৭ সালে ওরাকল প্রতিষ্ঠা করেন এবং ২০১৪ পর্যন্ত কোম্পানির সিইও ছিলেন। তিনি হাওয়াইয়ের লানাই দ্বীপের ৯৮ শতাংশের মালিক।
অ্যামাজন ও ব্লু অরিজিনের কর্তা জেফ বেজোস
অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোসের সম্পদ এখন ২৫৪ বিলিয়ন ডলার। তিনি ১৯৯৪ সালে অ্যামাজন প্রতিষ্ঠা করেন, যা শুরু হয় অনলাইন বই বিক্রির মাধ্যমে। পরে ক্লাউড সেবা ও ভিডিও স্ট্রিমিংয়ে প্রসারিত হয় ব্যবসা।
তিনি এখন ব্লু অরিজিন নামের বেসরকারি মহাকাশ সংস্থা পরিচালনা করছেন এবং এর মাধ্যমে ২০২৫ সালের মাঝামাঝি নারী নেতৃত্বাধীন এক মহাকাশ মিশন সম্পন্ন করেছেন।
অন্যদের মধ্যে ল্যারি পেজ ও সের্গেই ব্রিন গুগলের দুই সহপ্রতিষ্ঠাতা। তাঁরা এখনো অ্যালফাবেটের নিয়ন্ত্রণে আছেন এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা খাতে নতুন উদ্যোগে যুক্ত হয়েছেন।
বার্নার্ড আর্নল্ট, ফরাসি বিলাসবহুল ব্র্যান্ড এলভিএমএইচের প্রধান, ১৮৩ বিলিয়ন ডলার সম্পদ নিয়ে সপ্তম স্থানে। জেনসেন হুয়াং, এনভিডিয়ার সহপ্রতিষ্ঠাতা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চিপ উৎপাদনে সাফল্যের কারণে তাঁর সম্পদ বেড়ে ১৭৬ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। স্টিভ বালমার, মাইক্রোসফটের সাবেক সিইও ও এলএ ক্লিপার্সের মালিক, নবম স্থানে রয়েছেন। মাইকেল ডেল, ডেল টেকনোলজিসের কর্তা, দশম স্থানে উঠে এসেছেন।
বিশ্বের সবচেয়ে ধনী নারী
২০২৫ সালের নভেম্বর অনুযায়ী বিশ্বের সবচেয়ে ধনী নারী হলেন ওয়ালমার্ট প্রতিষ্ঠাতা স্যাম ওয়ালটনের কন্যা অ্যালিস ওয়ালটন। তাঁর সম্পদের পরিমাণ ১১০ বিলিয়ন ডলার। তিনি বর্তমানে বিশ্বের ১৫তম ধনী ব্যক্তি।

টেলিকম খাতের খসড়া গাইডলাইনে যেসব ফি ও চার্জ আরোপ করা হয়েছে, সেগুলোর কারণে গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেট সেবার খরচ অতিরিক্ত ২০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পাবে বলে জানিয়েছে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি)।
১০ ঘণ্টা আগে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) পাওয়ারহাউস হতে বিশাল বাজি ধরেছে অন্যতম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ সৌদি আরব। তেলবাণিজ্যে নির্ভরশীল দেশটি এখন নজর দিয়েছে প্রযুক্তির দিকে। এআই খাতে বিনিয়োগ বাড়িয়েছে দেশটি। ‘হিউমেইন’-এ বিনিয়োগের মাধ্যমে বেশ বড় উদ্যোগ হাতে নিয়েছে দেশটি।
৭ ঘণ্টা আগে
অবৈধ মোবাইল হ্যান্ডসেট বন্ধে আগামী ১৬ ডিসেম্বর চালু হবে এনইআইআর (ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার)। এ ব্যবস্থা চালু হলে অনেকের হাতে থাকা মোবাইল ফোন বন্ধ হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন কেউ কেউ। তবে বিটিআরসি জানিয়েছে, ১৬ ডিসেম্বরের আগপর্যন্ত যেসব হ্যান্ডসেট ব্যবহারকারীদের হাতে রয়েছে...
২ দিন আগে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চালিত ক্যারেক্টার এআই (ক্যারেক্টার এআই) চ্যাটবট প্ল্যাটফর্মে ভার্চুয়াল চরিত্রদের সঙ্গে কথোপকথন করা যায়। অনলাইনে তরুণ ব্যবহারকারীদের সঙ্গে এসব ভার্চুয়াল সঙ্গীর কথোপকথন নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে ১৮ বছরের কম বয়সী বা কিশোর-কিশোরীদের সরাসরি এই চ্যাটবটে কথা বলার সুযোগ বন্ধ করে..
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অবৈধ মোবাইল হ্যান্ডসেট বন্ধে আগামী ১৬ ডিসেম্বর চালু হবে এনইআইআর (ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার)। এ ব্যবস্থা চালু হলে অনেকের হাতে থাকা মোবাইল ফোন বন্ধ হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন কেউ কেউ। তবে বিটিআরসি জানিয়েছে, ১৬ ডিসেম্বরের আগপর্যন্ত যেসব হ্যান্ডসেট ব্যবহারকারীদের হাতে রয়েছে, এনইআইআর চালু হলেও সেগুলো বন্ধ হবে না। ১৬ ডিসেম্বর থেকে যেসব হ্যান্ডসেট কেনা হবে, সেগুলো যাচাই করে নিয়মানুযায়ী কিনতে হবে।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) স্পেকট্রাম বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আমিনুল হক জানান, নতুন যেসব মোবাইল ফোন নেটওয়ার্কে যুক্ত হবে, তা প্রাথমিকভাবে নেটওয়ার্কে সচল রেখে এনইআইআরের মাধ্যমে বৈধতা যাচাই করা হবে। হ্যান্ডসেট বৈধ হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধিত হয়ে নেটওয়ার্কে সচল থাকবে। অন্যদিকে, অবৈধ হ্যান্ডসেট সম্পর্কে গ্রাহককে এসএমএসের মাধ্যমে অবহিত করে এক মাসের জন্য নেটওয়ার্কে সংযুক্ত রাখা হবে। এক মাস পেরিয়ে গেলে হ্যান্ডসেটটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে নেটওয়ার্ক থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। শুধু বিদেশ থেকে ব্যক্তিপর্যায়ে বৈধভাবে ক্রয় করা অথবা উপহার হিসেবে পাওয়া হ্যান্ডসেট বিশেষ নিবন্ধনের মাধ্যমে নেটওয়ার্কে সচল করার সুযোগ থাকবে।
পুরোনো সেটের অবস্থা যাচাইয়ের প্রক্রিয়া
বর্তমানে মোবাইল ফোন নেটওয়ার্কে সচল থাকা সব হ্যান্ডসেট ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধিত হবে। ১৬ ডিসেম্বরের আগে ব্যবহৃত হ্যান্ডসেট আলাদাভাবে নিবন্ধনের প্রয়োজন নেই। ব্যবহৃত মোবাইল হ্যান্ডসেটের বর্তমান অবস্থা যাচাই করতে হ্যান্ডসেট থেকে *১৬১৬১# নম্বরে ডায়াল করতে হবে। অটোমেটিক বক্স এলে হ্যান্ডসেটের ১৫ ডিজিটের IMEI নম্বরটি লিখে সেন্ড করতে হবে। ফিরতি মেসেজে হ্যান্ডসেটের হালনাগাদ অবস্থা জানানো হবে।
নতুন হ্যান্ডসেট কেনার ক্ষেত্রে করণীয়
বিটিআরসি জানিয়েছে, ১৬ ডিসেম্বর থেকে যেকোনো মাধ্যম থেকে (বিক্রয় কেন্দ্র, অনলাইন বিক্রয় কেন্দ্র, ই-কমার্স সাইট ইত্যাদি) মোবাইল ফোন ক্রয়ের আগে অবশ্যই এর বৈধতা যাচাই করতে হবে। নতুন কেনা হ্যান্ডসেটের ক্রয় রসিদ সংরক্ষণ করতে হবে। মোবাইল হ্যান্ডসেটটি বৈধ হলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে এনইআইআর সিস্টেমে নিবন্ধিত হয়ে যাবে। মোবাইল ফোনের মেসেজ অপশনে গিয়ে KYD<space> ১৫ ডিজিটের IMEI নম্বরটি লিখে ১৬০০২ নম্বরে পাঠাতে হবে। ফিরতি মেসেজের মাধ্যমে মোবাইল হ্যান্ডসেটের বৈধতা সম্পর্কে জানা যাবে।
বিদেশ থেকে কেনা বা উপহার পাওয়া মোবাইল হ্যান্ডসেট নিবন্ধনের প্রক্রিয়া বিদেশ থেকে ব্যক্তিপর্যায়ে বৈধভাবে কেনা বা উপহার হিসেবে পাওয়া হ্যান্ডসেট প্রাথমিকভাবে নেটওয়ার্কে সচল হবে এবং এসএমএসের মাধ্যমে পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে অনলাইনে প্রয়োজনীয় তথ্যাদি দাখিল করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হবে। দাখিল করা তথ্যাদি যাচাই-বাছাই করে শুধু বৈধ হ্যান্ডসেট নিবন্ধনের মাধ্যমে নেটওয়ার্কে সচল করা হবে। বিদেশ থেকে কিনে আনা বা উপহার পাওয়া হ্যান্ডসেট নিবন্ধন করতে neir.btrc.gov.bd লিংকে ভিজিট করে ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট রেজিস্টার করতে হবে। পোর্টালের Special Registration সেকশনে গিয়ে মোবাইল হ্যান্ডসেটের IMEI নম্বরটি দিতে হবে। প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টের ছবি বা স্ক্যান কপি (পাসপোর্টের ভিসা বা ইমিগ্রেশন, ক্রয় রসিদ ইত্যাদি) আপলোড করে Submit বাটন চাপতে হবে। হ্যান্ডসেটটি বৈধ হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধিত হবে। হ্যান্ডসেটটি বৈধ না হলে এসএমএসের মাধ্যমে গ্রাহককে অবহিত করে নেটওয়ার্ক থেকে বিচ্ছিন্ন করা হবে। মোবাইল ফোন অপারেটরের কাস্টমার কেয়ার সেন্টারের (গ্রাহকসেবা কেন্দ্র) সাহায্যেও এ সেবা নেওয়া যাবে।
ব্যাগেজ রুলস অনুযায়ী, একজন ব্যক্তি বিদেশ থেকে দেশের নেটওয়ার্কে আগে ব্যবহৃত ব্যক্তিগত ১টি মোবাইল হ্যান্ডসেট ছাড়া সর্বোচ্চ ১টি হ্যান্ডসেট বিনা শুল্কে এবং শুল্ক দিয়ে আরও ১টি মোবাইল হ্যান্ডসেট আনতে পারবেন।
বিদেশ থেকে কিনে আনা হ্যান্ডসেটের বিশেষ নিবন্ধনের জন্য প্রয়োজন হবে কিছু ডকুমেন্টস। সেগুলো হলো, পাসপোর্টে ব্যক্তিগত তথ্যাদির পাতার স্ক্যান বা ছবি, পাসপোর্টে ইমিগ্রেশন কর্তৃক প্রদত্ত আগমনের সিলসংবলিত পাতার স্ক্যান বা ছবি, ক্রয় রসিদের স্ক্যান বা ছবি, কাস্টমস শুল্ক পরিশোধ-সংক্রান্ত প্রমাণপত্রের স্ক্যান বা ছবি (১টি হ্যান্ডসেটের বেশি হলে)। আর বিদেশ থেকে উপহার পাওয়া মোবাইল হ্যান্ডসেটের নিবন্ধনের ক্ষেত্রে এ ডকুমেন্টগুলোর সঙ্গে আরও দরকার হবে উপহার প্রদানকারীর প্রত্যয়নপত্র।
ব্যবহৃত হ্যান্ডসেট চুরি হওয়া বা হারানো গেলে NEIR -এর Citizen Portal/Mobile Apps/মোবাইল অপারেটরের গ্রাহকসেবা কেন্দ্র থেকে যেকোনো সময়ে লক বা আনলক করা যাবে।
এনইআইআর-সম্পর্কিত যেকোনো বিষয়ে জানতে বিটিআরসির হেল্পডেস্ক নম্বর ১০০ অথবা মোবাইল ফোন অপারেটরদের কাস্টমার কেয়ার নম্বর ১২১-এ ডায়াল করতে হবে। অপারেটরদের গ্রাহকসেবা কেন্দ্রেও এ সেবা পাওয়া যাবে।
আরও খবর পড়ুন:

অবৈধ মোবাইল হ্যান্ডসেট বন্ধে আগামী ১৬ ডিসেম্বর চালু হবে এনইআইআর (ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার)। এ ব্যবস্থা চালু হলে অনেকের হাতে থাকা মোবাইল ফোন বন্ধ হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন কেউ কেউ। তবে বিটিআরসি জানিয়েছে, ১৬ ডিসেম্বরের আগপর্যন্ত যেসব হ্যান্ডসেট ব্যবহারকারীদের হাতে রয়েছে, এনইআইআর চালু হলেও সেগুলো বন্ধ হবে না। ১৬ ডিসেম্বর থেকে যেসব হ্যান্ডসেট কেনা হবে, সেগুলো যাচাই করে নিয়মানুযায়ী কিনতে হবে।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) স্পেকট্রাম বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আমিনুল হক জানান, নতুন যেসব মোবাইল ফোন নেটওয়ার্কে যুক্ত হবে, তা প্রাথমিকভাবে নেটওয়ার্কে সচল রেখে এনইআইআরের মাধ্যমে বৈধতা যাচাই করা হবে। হ্যান্ডসেট বৈধ হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধিত হয়ে নেটওয়ার্কে সচল থাকবে। অন্যদিকে, অবৈধ হ্যান্ডসেট সম্পর্কে গ্রাহককে এসএমএসের মাধ্যমে অবহিত করে এক মাসের জন্য নেটওয়ার্কে সংযুক্ত রাখা হবে। এক মাস পেরিয়ে গেলে হ্যান্ডসেটটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে নেটওয়ার্ক থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। শুধু বিদেশ থেকে ব্যক্তিপর্যায়ে বৈধভাবে ক্রয় করা অথবা উপহার হিসেবে পাওয়া হ্যান্ডসেট বিশেষ নিবন্ধনের মাধ্যমে নেটওয়ার্কে সচল করার সুযোগ থাকবে।
পুরোনো সেটের অবস্থা যাচাইয়ের প্রক্রিয়া
বর্তমানে মোবাইল ফোন নেটওয়ার্কে সচল থাকা সব হ্যান্ডসেট ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধিত হবে। ১৬ ডিসেম্বরের আগে ব্যবহৃত হ্যান্ডসেট আলাদাভাবে নিবন্ধনের প্রয়োজন নেই। ব্যবহৃত মোবাইল হ্যান্ডসেটের বর্তমান অবস্থা যাচাই করতে হ্যান্ডসেট থেকে *১৬১৬১# নম্বরে ডায়াল করতে হবে। অটোমেটিক বক্স এলে হ্যান্ডসেটের ১৫ ডিজিটের IMEI নম্বরটি লিখে সেন্ড করতে হবে। ফিরতি মেসেজে হ্যান্ডসেটের হালনাগাদ অবস্থা জানানো হবে।
নতুন হ্যান্ডসেট কেনার ক্ষেত্রে করণীয়
বিটিআরসি জানিয়েছে, ১৬ ডিসেম্বর থেকে যেকোনো মাধ্যম থেকে (বিক্রয় কেন্দ্র, অনলাইন বিক্রয় কেন্দ্র, ই-কমার্স সাইট ইত্যাদি) মোবাইল ফোন ক্রয়ের আগে অবশ্যই এর বৈধতা যাচাই করতে হবে। নতুন কেনা হ্যান্ডসেটের ক্রয় রসিদ সংরক্ষণ করতে হবে। মোবাইল হ্যান্ডসেটটি বৈধ হলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে এনইআইআর সিস্টেমে নিবন্ধিত হয়ে যাবে। মোবাইল ফোনের মেসেজ অপশনে গিয়ে KYD<space> ১৫ ডিজিটের IMEI নম্বরটি লিখে ১৬০০২ নম্বরে পাঠাতে হবে। ফিরতি মেসেজের মাধ্যমে মোবাইল হ্যান্ডসেটের বৈধতা সম্পর্কে জানা যাবে।
বিদেশ থেকে কেনা বা উপহার পাওয়া মোবাইল হ্যান্ডসেট নিবন্ধনের প্রক্রিয়া বিদেশ থেকে ব্যক্তিপর্যায়ে বৈধভাবে কেনা বা উপহার হিসেবে পাওয়া হ্যান্ডসেট প্রাথমিকভাবে নেটওয়ার্কে সচল হবে এবং এসএমএসের মাধ্যমে পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে অনলাইনে প্রয়োজনীয় তথ্যাদি দাখিল করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হবে। দাখিল করা তথ্যাদি যাচাই-বাছাই করে শুধু বৈধ হ্যান্ডসেট নিবন্ধনের মাধ্যমে নেটওয়ার্কে সচল করা হবে। বিদেশ থেকে কিনে আনা বা উপহার পাওয়া হ্যান্ডসেট নিবন্ধন করতে neir.btrc.gov.bd লিংকে ভিজিট করে ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট রেজিস্টার করতে হবে। পোর্টালের Special Registration সেকশনে গিয়ে মোবাইল হ্যান্ডসেটের IMEI নম্বরটি দিতে হবে। প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টের ছবি বা স্ক্যান কপি (পাসপোর্টের ভিসা বা ইমিগ্রেশন, ক্রয় রসিদ ইত্যাদি) আপলোড করে Submit বাটন চাপতে হবে। হ্যান্ডসেটটি বৈধ হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধিত হবে। হ্যান্ডসেটটি বৈধ না হলে এসএমএসের মাধ্যমে গ্রাহককে অবহিত করে নেটওয়ার্ক থেকে বিচ্ছিন্ন করা হবে। মোবাইল ফোন অপারেটরের কাস্টমার কেয়ার সেন্টারের (গ্রাহকসেবা কেন্দ্র) সাহায্যেও এ সেবা নেওয়া যাবে।
ব্যাগেজ রুলস অনুযায়ী, একজন ব্যক্তি বিদেশ থেকে দেশের নেটওয়ার্কে আগে ব্যবহৃত ব্যক্তিগত ১টি মোবাইল হ্যান্ডসেট ছাড়া সর্বোচ্চ ১টি হ্যান্ডসেট বিনা শুল্কে এবং শুল্ক দিয়ে আরও ১টি মোবাইল হ্যান্ডসেট আনতে পারবেন।
বিদেশ থেকে কিনে আনা হ্যান্ডসেটের বিশেষ নিবন্ধনের জন্য প্রয়োজন হবে কিছু ডকুমেন্টস। সেগুলো হলো, পাসপোর্টে ব্যক্তিগত তথ্যাদির পাতার স্ক্যান বা ছবি, পাসপোর্টে ইমিগ্রেশন কর্তৃক প্রদত্ত আগমনের সিলসংবলিত পাতার স্ক্যান বা ছবি, ক্রয় রসিদের স্ক্যান বা ছবি, কাস্টমস শুল্ক পরিশোধ-সংক্রান্ত প্রমাণপত্রের স্ক্যান বা ছবি (১টি হ্যান্ডসেটের বেশি হলে)। আর বিদেশ থেকে উপহার পাওয়া মোবাইল হ্যান্ডসেটের নিবন্ধনের ক্ষেত্রে এ ডকুমেন্টগুলোর সঙ্গে আরও দরকার হবে উপহার প্রদানকারীর প্রত্যয়নপত্র।
ব্যবহৃত হ্যান্ডসেট চুরি হওয়া বা হারানো গেলে NEIR -এর Citizen Portal/Mobile Apps/মোবাইল অপারেটরের গ্রাহকসেবা কেন্দ্র থেকে যেকোনো সময়ে লক বা আনলক করা যাবে।
এনইআইআর-সম্পর্কিত যেকোনো বিষয়ে জানতে বিটিআরসির হেল্পডেস্ক নম্বর ১০০ অথবা মোবাইল ফোন অপারেটরদের কাস্টমার কেয়ার নম্বর ১২১-এ ডায়াল করতে হবে। অপারেটরদের গ্রাহকসেবা কেন্দ্রেও এ সেবা পাওয়া যাবে।
আরও খবর পড়ুন:

টেলিকম খাতের খসড়া গাইডলাইনে যেসব ফি ও চার্জ আরোপ করা হয়েছে, সেগুলোর কারণে গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেট সেবার খরচ অতিরিক্ত ২০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পাবে বলে জানিয়েছে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি)।
১০ ঘণ্টা আগে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) পাওয়ারহাউস হতে বিশাল বাজি ধরেছে অন্যতম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ সৌদি আরব। তেলবাণিজ্যে নির্ভরশীল দেশটি এখন নজর দিয়েছে প্রযুক্তির দিকে। এআই খাতে বিনিয়োগ বাড়িয়েছে দেশটি। ‘হিউমেইন’-এ বিনিয়োগের মাধ্যমে বেশ বড় উদ্যোগ হাতে নিয়েছে দেশটি।
৭ ঘণ্টা আগে
ফোর্বসের তথ্য অনুযায়ী, মাস্ক এখন দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ওরাকল প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি এলিসনের চেয়ে ১৭৭ বিলিয়ন ডলার এগিয়ে। অক্টোবর মাসে টেসলার শেয়ার বেড়েছে ৩ শতাংশ, কিন্তু এলিসনের ওরাকলের শেয়ার কমেছে ৭ শতাংশ, ফলে তাঁর সম্পদ কমেছে ২২ বিলিয়ন ডলার। বর্তমানে ৮১ বছর বয়সী এলিসনের সম্পদ ৩২০ বিলিয়ন ডলার।
১ দিন আগে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চালিত ক্যারেক্টার এআই (ক্যারেক্টার এআই) চ্যাটবট প্ল্যাটফর্মে ভার্চুয়াল চরিত্রদের সঙ্গে কথোপকথন করা যায়। অনলাইনে তরুণ ব্যবহারকারীদের সঙ্গে এসব ভার্চুয়াল সঙ্গীর কথোপকথন নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে ১৮ বছরের কম বয়সী বা কিশোর-কিশোরীদের সরাসরি এই চ্যাটবটে কথা বলার সুযোগ বন্ধ করে..
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চালিত ক্যারেক্টার এআই (ক্যারেক্টার এআই) চ্যাটবট প্ল্যাটফর্মে ভার্চুয়াল চরিত্রদের সঙ্গে কথোপকথন করা যায়। অনলাইনে তরুণ ব্যবহারকারীদের সঙ্গে এসব ভার্চুয়াল সঙ্গীর কথোপকথন নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে ১৮ বছরের কম বয়সী বা কিশোর-কিশোরীদের সরাসরি এই চ্যাটবটে কথা বলার সুযোগ বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ ব্যবহারকারী ২০২১ সালে প্রতিষ্ঠিত এই প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহার করে।
তবে, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে কয়েকজন অভিভাবক এই প্ল্যাটফর্মটির বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। সম্প্রতি এক কিশোরের মৃত্যুর ঘটনায় সম্পৃক্ততার অভিযোগেও একটি মামলা করা হয়েছে। অনেকে এই প্ল্যাটফর্মকে তরুণ প্রজন্মের জন্য স্পষ্ট বিপদ বলে অভিহিত করেছেন।
এ অবস্থায় ক্যারেক্টার এআই জানিয়েছে, আগামী ২৫ নভেম্বর থেকে ১৮ বছরের কম বয়সীরা আর চ্যাটবটদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলার সুযোগ পাবেন না। এর পরিবর্তে তারা শুধু সেই চরিত্রগুলোর ব্যবহার করে ভিডিওর মতো কনটেন্ট তৈরি করতে পারবে।
অনলাইন নিরাপত্তার পক্ষে প্রচার চালানো ব্যক্তিরা ক্যারেক্টার এআই কর্তৃপক্ষের এ পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন। তবে তারা বলেছেন, এই সুবিধাটি শুরু থেকেই শিশুদের জন্য উন্মুক্ত থাকা উচিত ছিল না।
ক্যারেক্টার এআই জানিয়েছে, নিয়ন্ত্রক সংস্থা, নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ এবং অভিভাবকদের কিশোরদের সঙ্গে তাদের চ্যাটবটের মিথস্ক্রিয়া নিয়ে সৃষ্ট উদ্বেগের প্রতিবেদন ও মতামতের ভিত্তিতে তারা এই পরিবর্তন আনছে।
বিশেষজ্ঞরা আগেও সতর্ক করেছিলেন, এআই চ্যাটবটগুলো তরুণ ও সংবেদনশীল ব্যবহারকারীদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। কারণ এগুলো কখনো কখনো ভুল তথ্য দিতে পারে, অতিরিক্ত উৎসাহ জোগাতে পারে কিংবা সহানুভূতির ভান করতে পারে।
ক্যারেক্টার এআই-এর প্রধান করনদীপ আনন্দ বিবিসি নিউজকে বলেন, ‘আমরা বিনোদনের উদ্দেশ্যে বিশ্বের সবচেয়ে নিরাপদ এআই প্ল্যাটফর্ম গড়ে তুলতে চাই। এ পদক্ষেপ সেই লক্ষ্যেই নেওয়া।’
তিনি আরও বলেন, ‘এআই নিরাপত্তা একটি চলমান লক্ষ্য। এটি ক্রমাগত পরিবর্তিত ও উন্নত হচ্ছে। তবে আমরা শুরু থেকেই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছি।’
অনলাইন নিরাপত্তা সংস্থা ইন্টারনেট ম্যাটার্স ক্যারেক্টার এআই-এর ঘোষণাকে স্বাগত জানালেও বলেছে, নিরাপত্তা ব্যবস্থাগুলো শুরু থেকেই অন্তর্ভুক্ত থাকা উচিত ছিল। সংস্থাটি জানায়, ‘আমাদের গবেষণায় দেখা গেছে, শিশুরা এআই ব্যবহারের সময়, বিশেষ করে এআই চ্যাটবটের সঙ্গে যোগাযোগের সময় ক্ষতিকর কনটেন্টের সংস্পর্শে আসছে এবং ঝুঁকিতে পড়ছে।’
ক্যারেক্টার এআই অতীতে সমালোচনার মুখে পড়েছিল এমন কিছু চ্যাটবটের কারণে যেগুলো শিশুদের জন্য সম্ভাব্যভাবে ক্ষতিকর বা আপত্তিকর হতে পারে।
২০২৪ সালে প্ল্যাটফর্মটিতে এমন কিছু অ্যাভাটার (ভার্চুয়াল চরিত্র) আবিষ্কৃত হয়, যারা ২০২৩ সালে নিহত ব্রিটিশ কিশোরী ব্রিয়ানা গে এবং ১৪ বছর বয়সে আত্মহত্যা করা মলি রাসেল-এর ছদ্মবেশে তৈরি ছিল। পরে সেগুলো সাইট থেকে সরিয়ে ফেলা হয়।
পরে, ২০২৫ সালে, দ্য ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম (টিবিআইজে) এক তদন্তে জানতে পারে যে, শিশু নির্যাতনের অভিযোগে অভিযুক্ত জেফরি এপস্টেইন-এর ওপর ভিত্তি করে তৈরি একটি চ্যাটবটের সঙ্গে ব্যবহারকারীরা ৩ হাজারেরও বেশি কথোপকথন করেছে।
প্রকাশনাটির প্রতিবেদনে বলা হয়, এক প্রতিবেদক যখন নিজেকে শিশু বলে পরিচয় দেন, তখনও তাঁর সঙ্গে ফ্লার্ট করতে থাকে ‘বেস্টি এপস্টেইন’ নামের ওই অ্যাভাটার। এটি ছিল একাধিক সমস্যাযুক্ত বটের মধ্যে একটি, যেগুলো পরবর্তীতে ক্যারেক্টার এআই সরিয়ে ফেলে।
মলি রাসেলের স্মরণে প্রতিষ্ঠিত ‘দ্য মলি রোজ ফাউন্ডেশন’ ক্যারেক্টার এআই-এর উদ্দেশ্য ও পদক্ষেপের আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী অ্যান্ডি বুরোস বলেন, ‘আবারও দেখা গেল, কোনো প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানকে সঠিক কাজটি করাতে মিডিয়া ও রাজনীতিকদের ক্রমাগত চাপই প্রয়োজন হয়েছে। মনে হচ্ছে, নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো ব্যবস্থা নেওয়ার আগেই ক্যারেক্টার এআই এখন পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হচ্ছে।’
ক্যারেক্টার এআই-এর প্রধান বলেন, কোম্পানির নতুন লক্ষ্য হলো কিশোর ব্যবহারকারীদের জন্য ভূমিকা-নির্ভর গল্প বলার সুবিধা তৈরি করা, যা তার মতে উন্মুক্ত কথোপকথনমূলক বটের তুলনায় অনেক বেশি নিরাপদ হবে।
তিনি আরও জানান, ক্যারেক্টার এআই নতুন বয়স যাচাই পদ্ধতি চালু করবে এবং একটি নতুন এআই নিরাপত্তা গবেষণা ল্যাব স্থাপনে অর্থায়ন করবে।
সোশ্যাল মিডিয়া বিশেষজ্ঞ ম্যাট নাভারা বলেন, এআই শিল্পের জন্য একে একটি ‘ওয়েক-আপ কল’ বা সতর্ক সংকেত হিসেবে চিহ্নিত করা যায়।
এদিকে, এআই নিরাপত্তা গবেষক ড. নমিশা কুরিয়ান বলেন, কিশোরদের চ্যাটবট ব্যবহারে সীমাবদ্ধতা আরোপ করা একটি বিচক্ষণ পদক্ষেপ। এটি শিশু নিরাপত্তাকে ক্রমবর্ধমানভাবে একটি জরুরি অগ্রাধিকার হিসেবে বিবেচনা করার গুরুত্ব তুলে ধরছে এবং সৃজনশীল খেলা ও ব্যক্তিগত বা আবেগঘন কথোপকথনের মধ্যে একটি স্পষ্ট পার্থক্য তৈরি করছে।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চালিত ক্যারেক্টার এআই (ক্যারেক্টার এআই) চ্যাটবট প্ল্যাটফর্মে ভার্চুয়াল চরিত্রদের সঙ্গে কথোপকথন করা যায়। অনলাইনে তরুণ ব্যবহারকারীদের সঙ্গে এসব ভার্চুয়াল সঙ্গীর কথোপকথন নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে ১৮ বছরের কম বয়সী বা কিশোর-কিশোরীদের সরাসরি এই চ্যাটবটে কথা বলার সুযোগ বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ ব্যবহারকারী ২০২১ সালে প্রতিষ্ঠিত এই প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহার করে।
তবে, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে কয়েকজন অভিভাবক এই প্ল্যাটফর্মটির বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। সম্প্রতি এক কিশোরের মৃত্যুর ঘটনায় সম্পৃক্ততার অভিযোগেও একটি মামলা করা হয়েছে। অনেকে এই প্ল্যাটফর্মকে তরুণ প্রজন্মের জন্য স্পষ্ট বিপদ বলে অভিহিত করেছেন।
এ অবস্থায় ক্যারেক্টার এআই জানিয়েছে, আগামী ২৫ নভেম্বর থেকে ১৮ বছরের কম বয়সীরা আর চ্যাটবটদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলার সুযোগ পাবেন না। এর পরিবর্তে তারা শুধু সেই চরিত্রগুলোর ব্যবহার করে ভিডিওর মতো কনটেন্ট তৈরি করতে পারবে।
অনলাইন নিরাপত্তার পক্ষে প্রচার চালানো ব্যক্তিরা ক্যারেক্টার এআই কর্তৃপক্ষের এ পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন। তবে তারা বলেছেন, এই সুবিধাটি শুরু থেকেই শিশুদের জন্য উন্মুক্ত থাকা উচিত ছিল না।
ক্যারেক্টার এআই জানিয়েছে, নিয়ন্ত্রক সংস্থা, নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ এবং অভিভাবকদের কিশোরদের সঙ্গে তাদের চ্যাটবটের মিথস্ক্রিয়া নিয়ে সৃষ্ট উদ্বেগের প্রতিবেদন ও মতামতের ভিত্তিতে তারা এই পরিবর্তন আনছে।
বিশেষজ্ঞরা আগেও সতর্ক করেছিলেন, এআই চ্যাটবটগুলো তরুণ ও সংবেদনশীল ব্যবহারকারীদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। কারণ এগুলো কখনো কখনো ভুল তথ্য দিতে পারে, অতিরিক্ত উৎসাহ জোগাতে পারে কিংবা সহানুভূতির ভান করতে পারে।
ক্যারেক্টার এআই-এর প্রধান করনদীপ আনন্দ বিবিসি নিউজকে বলেন, ‘আমরা বিনোদনের উদ্দেশ্যে বিশ্বের সবচেয়ে নিরাপদ এআই প্ল্যাটফর্ম গড়ে তুলতে চাই। এ পদক্ষেপ সেই লক্ষ্যেই নেওয়া।’
তিনি আরও বলেন, ‘এআই নিরাপত্তা একটি চলমান লক্ষ্য। এটি ক্রমাগত পরিবর্তিত ও উন্নত হচ্ছে। তবে আমরা শুরু থেকেই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছি।’
অনলাইন নিরাপত্তা সংস্থা ইন্টারনেট ম্যাটার্স ক্যারেক্টার এআই-এর ঘোষণাকে স্বাগত জানালেও বলেছে, নিরাপত্তা ব্যবস্থাগুলো শুরু থেকেই অন্তর্ভুক্ত থাকা উচিত ছিল। সংস্থাটি জানায়, ‘আমাদের গবেষণায় দেখা গেছে, শিশুরা এআই ব্যবহারের সময়, বিশেষ করে এআই চ্যাটবটের সঙ্গে যোগাযোগের সময় ক্ষতিকর কনটেন্টের সংস্পর্শে আসছে এবং ঝুঁকিতে পড়ছে।’
ক্যারেক্টার এআই অতীতে সমালোচনার মুখে পড়েছিল এমন কিছু চ্যাটবটের কারণে যেগুলো শিশুদের জন্য সম্ভাব্যভাবে ক্ষতিকর বা আপত্তিকর হতে পারে।
২০২৪ সালে প্ল্যাটফর্মটিতে এমন কিছু অ্যাভাটার (ভার্চুয়াল চরিত্র) আবিষ্কৃত হয়, যারা ২০২৩ সালে নিহত ব্রিটিশ কিশোরী ব্রিয়ানা গে এবং ১৪ বছর বয়সে আত্মহত্যা করা মলি রাসেল-এর ছদ্মবেশে তৈরি ছিল। পরে সেগুলো সাইট থেকে সরিয়ে ফেলা হয়।
পরে, ২০২৫ সালে, দ্য ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম (টিবিআইজে) এক তদন্তে জানতে পারে যে, শিশু নির্যাতনের অভিযোগে অভিযুক্ত জেফরি এপস্টেইন-এর ওপর ভিত্তি করে তৈরি একটি চ্যাটবটের সঙ্গে ব্যবহারকারীরা ৩ হাজারেরও বেশি কথোপকথন করেছে।
প্রকাশনাটির প্রতিবেদনে বলা হয়, এক প্রতিবেদক যখন নিজেকে শিশু বলে পরিচয় দেন, তখনও তাঁর সঙ্গে ফ্লার্ট করতে থাকে ‘বেস্টি এপস্টেইন’ নামের ওই অ্যাভাটার। এটি ছিল একাধিক সমস্যাযুক্ত বটের মধ্যে একটি, যেগুলো পরবর্তীতে ক্যারেক্টার এআই সরিয়ে ফেলে।
মলি রাসেলের স্মরণে প্রতিষ্ঠিত ‘দ্য মলি রোজ ফাউন্ডেশন’ ক্যারেক্টার এআই-এর উদ্দেশ্য ও পদক্ষেপের আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী অ্যান্ডি বুরোস বলেন, ‘আবারও দেখা গেল, কোনো প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানকে সঠিক কাজটি করাতে মিডিয়া ও রাজনীতিকদের ক্রমাগত চাপই প্রয়োজন হয়েছে। মনে হচ্ছে, নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো ব্যবস্থা নেওয়ার আগেই ক্যারেক্টার এআই এখন পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হচ্ছে।’
ক্যারেক্টার এআই-এর প্রধান বলেন, কোম্পানির নতুন লক্ষ্য হলো কিশোর ব্যবহারকারীদের জন্য ভূমিকা-নির্ভর গল্প বলার সুবিধা তৈরি করা, যা তার মতে উন্মুক্ত কথোপকথনমূলক বটের তুলনায় অনেক বেশি নিরাপদ হবে।
তিনি আরও জানান, ক্যারেক্টার এআই নতুন বয়স যাচাই পদ্ধতি চালু করবে এবং একটি নতুন এআই নিরাপত্তা গবেষণা ল্যাব স্থাপনে অর্থায়ন করবে।
সোশ্যাল মিডিয়া বিশেষজ্ঞ ম্যাট নাভারা বলেন, এআই শিল্পের জন্য একে একটি ‘ওয়েক-আপ কল’ বা সতর্ক সংকেত হিসেবে চিহ্নিত করা যায়।
এদিকে, এআই নিরাপত্তা গবেষক ড. নমিশা কুরিয়ান বলেন, কিশোরদের চ্যাটবট ব্যবহারে সীমাবদ্ধতা আরোপ করা একটি বিচক্ষণ পদক্ষেপ। এটি শিশু নিরাপত্তাকে ক্রমবর্ধমানভাবে একটি জরুরি অগ্রাধিকার হিসেবে বিবেচনা করার গুরুত্ব তুলে ধরছে এবং সৃজনশীল খেলা ও ব্যক্তিগত বা আবেগঘন কথোপকথনের মধ্যে একটি স্পষ্ট পার্থক্য তৈরি করছে।

টেলিকম খাতের খসড়া গাইডলাইনে যেসব ফি ও চার্জ আরোপ করা হয়েছে, সেগুলোর কারণে গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেট সেবার খরচ অতিরিক্ত ২০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পাবে বলে জানিয়েছে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি)।
১০ ঘণ্টা আগে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) পাওয়ারহাউস হতে বিশাল বাজি ধরেছে অন্যতম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ সৌদি আরব। তেলবাণিজ্যে নির্ভরশীল দেশটি এখন নজর দিয়েছে প্রযুক্তির দিকে। এআই খাতে বিনিয়োগ বাড়িয়েছে দেশটি। ‘হিউমেইন’-এ বিনিয়োগের মাধ্যমে বেশ বড় উদ্যোগ হাতে নিয়েছে দেশটি।
৭ ঘণ্টা আগে
ফোর্বসের তথ্য অনুযায়ী, মাস্ক এখন দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ওরাকল প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি এলিসনের চেয়ে ১৭৭ বিলিয়ন ডলার এগিয়ে। অক্টোবর মাসে টেসলার শেয়ার বেড়েছে ৩ শতাংশ, কিন্তু এলিসনের ওরাকলের শেয়ার কমেছে ৭ শতাংশ, ফলে তাঁর সম্পদ কমেছে ২২ বিলিয়ন ডলার। বর্তমানে ৮১ বছর বয়সী এলিসনের সম্পদ ৩২০ বিলিয়ন ডলার।
১ দিন আগে
অবৈধ মোবাইল হ্যান্ডসেট বন্ধে আগামী ১৬ ডিসেম্বর চালু হবে এনইআইআর (ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার)। এ ব্যবস্থা চালু হলে অনেকের হাতে থাকা মোবাইল ফোন বন্ধ হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন কেউ কেউ। তবে বিটিআরসি জানিয়েছে, ১৬ ডিসেম্বরের আগপর্যন্ত যেসব হ্যান্ডসেট ব্যবহারকারীদের হাতে রয়েছে...
২ দিন আগে