মেজবাহ নূর, ঢাকা
বলিউডে ভীষণ আলোড়ন তুলেছে শাহরুখ খান অভিনীত সিনেমা ‘পাঠান’। মুক্তির আগে থেকেই বিভিন্ন আলোচনা-সমালোচনায় মুখর ছিল।
তবে মুক্তির পর থেকে বক্স অফিসে একের পর এক সাফল্যে ঢাকা পড়ে গেছে সব সমালোচনা। বিভিন্ন আলোচনা-সমালোচনায় ঢাকা পড়েছে পাঠান সিনেমায় আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারও। বলিউডের বিভিন্ন সিনেমায় অনেক দিন ধরেই ব্যবহৃত হচ্ছে সিজিআই, ভিএফএক্সসহ নানা প্রযুক্তি। তবে পাঠান সিনেমা এই প্রযুক্তিগুলোর ব্যবহারে যোগ করেছে নতুন মাত্রা।
আইম্যাক্স ক্যামেরা
পাঠান সিনেমার শুটিংয়ে ব্যবহার করা হয়েছে আধুনিক আইম্যাক্স ক্যামেরা। পৃথিবীতে মাত্র ২৬টি আইম্যাক্স ক্যামেরা রয়েছে। ভারতে পাঠান সিনেমাতেই প্রথম এই ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়েছে। আইম্যাক্স ক্যামেরায় ধারণ করা সিনেমা দেখানোর জন্য ভারতে বেশ কিছু সিনেমা হল থাকলেও কোনো আইম্যাক্স ক্যামেরা নেই। সে জন্য পাঠান সিনেমার শুটিংয়ের জন্য এ ক্যামেরা ভাড়া করতে হয়েছে বিদেশ থেকে। সাধারণ ক্যামেরা যেখানে ৪কে থেকে ৮কে রেজল্যুশনে ভিডিও করতে সক্ষম, সেখানে আইম্যাক্স ক্যামেরা ১৮কে রেজল্যুশনে ভিডিও ধারণ করে। অন্যান্য ক্যামেরার ওজন ১৫ থেকে ২০ কেজির মধ্যে হলেও আইম্যাক্সের ওজন ১১০ কেজির বেশি!
আইম্যাক্স ক্যামেরা দিয়ে শুট করা সিনেমা হলে গিয়ে দেখলে সব বাস্তবের মতো মনে হয়। ‘চোখের সামনে সবকিছু ঘটছে’ এমন অনুভূতি দেয় এ ক্যামেরায় ধারণ করা সিনেমা। ১৯৭০ সালে জাপানে মুক্তি পাওয়া ‘টাইগার চাইল্ড’ আইম্যাক্স ক্যামেরায় ধারণ করা প্রথম চলচ্চিত্র। সেটি পরিচালনা করেছিলেন কানাডীয় চলচ্চিত্র নির্মাতা ডোনাল্ড ব্রিটেন।
সিজিআই প্রযুক্তি
সিজিআইয়ের পূর্ণ রূপ কম্পিউটার-জেনারেটেড ইমেজারি। এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয় প্রিন্টেড মিডিয়া, সিমুলেটর, ভিডিও এবং ভিডিও গেমের গ্রাফিকস উন্নত করার জন্য। সিজিআই প্রযুক্তি ব্যবহৃত প্রথম ফিচার ফিল্ম ছিল ১৯৭৩ সালে মুক্তি পাওয়া ‘ওয়েস্টওয়ার্ল্ড’। এই প্রযুক্তি ব্যবহৃত উল্লেখযোগ্য সিনেমাগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘স্টার ওয়ার্স’ (১৯৭৭), ‘ট্রন’ (১৯৮২), ‘গোলগো ১৩: দ্য প্রফেশনাল’ (১৯৮৩) এবং ‘দ্য লাস্ট স্টার ফাইটার’ (১৯৮৪)।
‘পাঠান’ সিনেমায় সিজিআই ব্যবহার করা হয়েছে সুচারুভাবে। এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে সিনেমার অনেক অ্যাকশন দৃশ্যকে আরও নিখুঁতভাবে দেখানো সম্ভব হয়েছে। ফলে দৃশ্যগুলোকে আরও বাস্তব মনে হয়েছে। সাধারণত বলিউডের সিনেমাগুলোতে সিজিআইয়ের ব্যবহার তেমন দেখা না গেলেও পাঠান সিনেমায় এই প্রযুক্তির ব্যবহার ছিল চোখে পড়ার মতো। ফলে হলে দর্শকদের ‘পাঠান’ চলচ্চিত্রটি দেখার অভিজ্ঞতাও হয়েছে বেশ ভালো।
গ্রিন স্ক্রিন ও ভিএফএক্স
সিনেমা জগতে গ্রিন স্ক্রিন ও ভিএফএক্স বা ভিজ্যুয়াল ইফেক্টস প্রযুক্তির ব্যবহার বহু বছর ধরেই চলে আসছে। ক্ষেত্রবিশেষে ঢালিউডের বিভিন্ন দৃশ্যেও ব্যবহার করা হয় এই প্রযুক্তিগুলো। তবে প্রযুক্তির ব্যবহারই তো মুখ্য নয়, কতটুকু ভালোভাবে প্রযুক্তির ব্যবহার হয়েছে, তা খেয়াল রাখা বেশ জরুরি। ভিজ্যুয়াল ইফেক্টস ব্যবহারের কাজ পাঠান করেছে বেশ ভালোভাবেই। সিনেমার বিভিন্ন দৃশ্যেই যা উপভোগ করছেন দর্শকেরা।
সূত্র: বিজনেস টুডে, উইকিপিডিয়া
বলিউডে ভীষণ আলোড়ন তুলেছে শাহরুখ খান অভিনীত সিনেমা ‘পাঠান’। মুক্তির আগে থেকেই বিভিন্ন আলোচনা-সমালোচনায় মুখর ছিল।
তবে মুক্তির পর থেকে বক্স অফিসে একের পর এক সাফল্যে ঢাকা পড়ে গেছে সব সমালোচনা। বিভিন্ন আলোচনা-সমালোচনায় ঢাকা পড়েছে পাঠান সিনেমায় আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারও। বলিউডের বিভিন্ন সিনেমায় অনেক দিন ধরেই ব্যবহৃত হচ্ছে সিজিআই, ভিএফএক্সসহ নানা প্রযুক্তি। তবে পাঠান সিনেমা এই প্রযুক্তিগুলোর ব্যবহারে যোগ করেছে নতুন মাত্রা।
আইম্যাক্স ক্যামেরা
পাঠান সিনেমার শুটিংয়ে ব্যবহার করা হয়েছে আধুনিক আইম্যাক্স ক্যামেরা। পৃথিবীতে মাত্র ২৬টি আইম্যাক্স ক্যামেরা রয়েছে। ভারতে পাঠান সিনেমাতেই প্রথম এই ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়েছে। আইম্যাক্স ক্যামেরায় ধারণ করা সিনেমা দেখানোর জন্য ভারতে বেশ কিছু সিনেমা হল থাকলেও কোনো আইম্যাক্স ক্যামেরা নেই। সে জন্য পাঠান সিনেমার শুটিংয়ের জন্য এ ক্যামেরা ভাড়া করতে হয়েছে বিদেশ থেকে। সাধারণ ক্যামেরা যেখানে ৪কে থেকে ৮কে রেজল্যুশনে ভিডিও করতে সক্ষম, সেখানে আইম্যাক্স ক্যামেরা ১৮কে রেজল্যুশনে ভিডিও ধারণ করে। অন্যান্য ক্যামেরার ওজন ১৫ থেকে ২০ কেজির মধ্যে হলেও আইম্যাক্সের ওজন ১১০ কেজির বেশি!
আইম্যাক্স ক্যামেরা দিয়ে শুট করা সিনেমা হলে গিয়ে দেখলে সব বাস্তবের মতো মনে হয়। ‘চোখের সামনে সবকিছু ঘটছে’ এমন অনুভূতি দেয় এ ক্যামেরায় ধারণ করা সিনেমা। ১৯৭০ সালে জাপানে মুক্তি পাওয়া ‘টাইগার চাইল্ড’ আইম্যাক্স ক্যামেরায় ধারণ করা প্রথম চলচ্চিত্র। সেটি পরিচালনা করেছিলেন কানাডীয় চলচ্চিত্র নির্মাতা ডোনাল্ড ব্রিটেন।
সিজিআই প্রযুক্তি
সিজিআইয়ের পূর্ণ রূপ কম্পিউটার-জেনারেটেড ইমেজারি। এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয় প্রিন্টেড মিডিয়া, সিমুলেটর, ভিডিও এবং ভিডিও গেমের গ্রাফিকস উন্নত করার জন্য। সিজিআই প্রযুক্তি ব্যবহৃত প্রথম ফিচার ফিল্ম ছিল ১৯৭৩ সালে মুক্তি পাওয়া ‘ওয়েস্টওয়ার্ল্ড’। এই প্রযুক্তি ব্যবহৃত উল্লেখযোগ্য সিনেমাগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘স্টার ওয়ার্স’ (১৯৭৭), ‘ট্রন’ (১৯৮২), ‘গোলগো ১৩: দ্য প্রফেশনাল’ (১৯৮৩) এবং ‘দ্য লাস্ট স্টার ফাইটার’ (১৯৮৪)।
‘পাঠান’ সিনেমায় সিজিআই ব্যবহার করা হয়েছে সুচারুভাবে। এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে সিনেমার অনেক অ্যাকশন দৃশ্যকে আরও নিখুঁতভাবে দেখানো সম্ভব হয়েছে। ফলে দৃশ্যগুলোকে আরও বাস্তব মনে হয়েছে। সাধারণত বলিউডের সিনেমাগুলোতে সিজিআইয়ের ব্যবহার তেমন দেখা না গেলেও পাঠান সিনেমায় এই প্রযুক্তির ব্যবহার ছিল চোখে পড়ার মতো। ফলে হলে দর্শকদের ‘পাঠান’ চলচ্চিত্রটি দেখার অভিজ্ঞতাও হয়েছে বেশ ভালো।
গ্রিন স্ক্রিন ও ভিএফএক্স
সিনেমা জগতে গ্রিন স্ক্রিন ও ভিএফএক্স বা ভিজ্যুয়াল ইফেক্টস প্রযুক্তির ব্যবহার বহু বছর ধরেই চলে আসছে। ক্ষেত্রবিশেষে ঢালিউডের বিভিন্ন দৃশ্যেও ব্যবহার করা হয় এই প্রযুক্তিগুলো। তবে প্রযুক্তির ব্যবহারই তো মুখ্য নয়, কতটুকু ভালোভাবে প্রযুক্তির ব্যবহার হয়েছে, তা খেয়াল রাখা বেশ জরুরি। ভিজ্যুয়াল ইফেক্টস ব্যবহারের কাজ পাঠান করেছে বেশ ভালোভাবেই। সিনেমার বিভিন্ন দৃশ্যেই যা উপভোগ করছেন দর্শকেরা।
সূত্র: বিজনেস টুডে, উইকিপিডিয়া
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বিশাল অ্যান্টি ট্রাস্ট জরিমানা এড়াতে সার্চ রেজাল্টে প্রতিযোগীদের আরও ভালোভাবে উপস্থাপন করার প্রস্তাব দিয়েছে প্রযুক্তি জায়ান্ট গুগল। সংশ্লিষ্ট কিছু নথির বরাত দিয়ে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগেঅ্যাপলের বিরুদ্ধে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি সংক্রান্ত অগ্রগতির তথ্য অতিরঞ্জিতভাবে উপস্থাপনের অভিযোগে মামলা করেছে বিনিয়োগকারীরা। গত শুক্রবার দায়ের করা এই ক্লাস অ্যাকশন মামলায় বলা হয়, আইফোনের ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্ট সিরিতে অ্যাডভান্সড কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তিসংক্রান্ত অগ্রগতির ব্যাপা
৭ ঘণ্টা আগেকৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই সার্ভার তৈরি জন্য মানবাকৃতি রোবট ব্যবহার করার পরিকল্পনা করছে তাইওয়ানের ইলেকট্রনিকস পণ্য নির্মাতা ফক্সকন ও যুক্তরাষ্ট্রের চিপ নির্মাতা এনভিডিয়া। যুক্তরাষ্ট্রের হিউস্টনে অবস্থিত ফক্সকন কারখানায় রোবটগুলো ব্যবহার করা হতে পারে। দুটি সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য
৮ ঘণ্টা আগেবর্তমানে যেকোনো প্রতিষ্ঠান পরিচালনার ক্ষেত্রে আইটি অবকাঠামো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু, আইটি ডিভাইসের যথাযথ যত্ন না নেওয়া গেলে, নির্ধারিত সময়ের আগেই এগুলো কর্মক্ষমতা হারায়; ফলে, ডেটা হারানোর ঝুঁকি বাড়ে এবং ব্যবসায়িক কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হয়।
১০ ঘণ্টা আগে