অনেক বিতর্ক-সমালোচনার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছিল প্যারিস অলিম্পিক। খেলা চলার মাঝেও কম বিতর্ক হয়নি। তবে ১০০ বছর পর নিজেদের দেশে অলিম্পিক আয়োজন সফলভাবেই শেষ করেছে ফ্রান্স। পরশু দেশটির জাতীয় স্টেডিয়াম স্তাদে দে ফ্রান্সে সমাপনী দিনও ছিল ঝলমলে আর তারায় ভরপুর। ১৭ দিনের প্যারিস অলিম্পিকে এবার যেসব তারকা ও ইভেন্ট নিয়ে আলোচনা ছিল সেটি নিয়ে এই আয়োজন—
লাতিনিনার পাশে লেডেকি: অস্ট্রেলিয়ার আরিয়ার্না টিটমাস থেকে ৪০০ মিটারে সিংহাসন পুনরুদ্ধার করতে পারেননি কেটি লেডেকি। শুরুতে ‘রেস অব দ্য সেঞ্চুরি’তে ব্রোঞ্জ জিতলেও প্যারিস অলিম্পিকে দুই সোনাসহ ৪ পদক নিয়ে এখন তিনিই যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে সফল অ্যাথলেট। সাঁতারের রানি মোট ১৪ পদক নিয়ে ছাড়িয়ে গেছেন স্বদেশি সাঁতারু জেনি থম্পসনকে। অলিম্পিকে নারী অ্যাথলেটদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৯ সোনা জিতে লেডেকি পাশে বসেছেন সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের লারিসা লাতিনিনার পাশেও।
লাইলসের ফটো ফিনিশিং: করোনা আক্রান্ত হওয়ায় অলিম্পিকের সমাপনীতে মাস্ক পরে এসেছিলেন নোয়াহ লাইলস। অসুস্থ শরীর নিয়েও ২০০ মিটারে ব্রোঞ্জ জেতেন তিনি। তার আগে ১০০ মিটারে জেতেন সোনা। ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডের অন্যতম আকর্ষণ এই ইভেন্টে যুক্তরাষ্ট্রের দৌড়বিদের টাইমিং ছিল ৯.৭৯ সেকেন্ড। রুপা জেতা জ্যামাইকার কিশানে থম্পসনেরও টাইমিং ছিল সমান। তবে লাইলস সোনা জেতেন ফটো ফিনিশিংয়ে এগিয়ে থাকায়। ১০০ মিটারে যে আট প্রতিযোগি অংশ নেন সবার টাইমিং ছিল ১০ সেকেন্ডের নিচে। এমনটা আগে দেখা যায়নি।
মারশাঁর চার রেকর্ড: ঘরের ছেলে লিওঁ মারশাঁকে নিয়ে প্যারিসবাসীর আগ্রহ ছিল তুঙ্গে। ‘নতুন ফেলপস’ ৪ সোনা ও ১ ব্রোঞ্জ জিতে এবারের অলিম্পিকে সবচেয়ে সফল অ্যাথলেটও। এক অলিম্পিকে প্রথম ফরাসি ও যুক্তরাষ্ট্রের মাইকেল ফেলপসের পরে ৪ পদক জেতা একমাত্র সাঁতারুও এখন তিনি। সোনা জেতা চারটি ইভেন্টেই অলিম্পিক রেকর্ড গড়েছেন মারশাঁ। তার মধ্যে ভেঙেছেন ফেলপসের দুটি রেকর্ড। সমাপনী রাতে ২২ বছর বয়সী এই তারকার হাতে শোভা পেয়েছে অলিম্পিক মশাল।
জোকোভিচের গোল্ডেন স্লাম: সপ্তাহ তিনেক আগে উইম্বলডনের ফাইনালে স্পেনের কার্লোস আলকারাসের কাছে হেরেছিলেন নোভাক জোকোভিচ। সার্বিয়ান তারকা সেটির প্রতিশোধ নেন রোলাঁ গারোতে। ৭-৬ (৭-৩),৭-৬ (৭-২) গেমে জিতে প্রথমবার অলিম্পিক সোনা জেতার আনন্দে কাঁদেন রেকর্ড ২৪ গ্র্যান্ড স্লামের মালিক। পঞ্চম টেনিস তারকা হিসেবে গোল্ডেন স্লাম জয়ের কীর্তি গড়লেন জোকোভিচ। টেনিসে বেশি বয়সে (৩৭ বছর ৭৪ দিন) সোনা জয়েরও রেকর্ড গড়লেন। জোকোর অলিম্পিক অভিষেক হয়েছিল ২০০৮ সালে।
খেলিফের লৈঙ্গিক বিতর্ক: ইমান খেলিফের শক্তিশালী পাঞ্চে মাত্র ৪৬ সেকেন্ডেই কাঁদতে কাঁদতে রিং ছেড়েছিলেন ইতালির অ্যাঞ্জেলো কারিনি। এরপর থেকে শুরু হয় তাঁকে নিয়ে লৈঙ্গিক বিতর্ক। ছেলে না মেয়ে—এই বিতর্ক ও সমালোচনাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে মেয়েদের ৬৬ কেজিতে দাপটের সঙ্গে সোনা জিতেছেন আলজেরিয়ান বক্সার। প্রথম অলিম্পিক সোনা জেতা খেলিফ ক্যারিয়ারের শুরু থেকে পেরিয়েছেন অনেক বাধা। সোনা জয়ের পর যারা সামাজিক মাধ্যমে তাঁকে হয়রানি করেছিলেন, তাদের বিরুদ্ধে মামলাও টুকে দেন খেলিফ।
বাইলসের বিশেষ লকেট: মানসিক স্বাস্থ্যের কারণে টোকিও অলিম্পিকে একাধিক ইভেন্ট থেকে নাম প্রত্যাহার করেছিলেন সিমোনে বাইলস। সেই হতাশা কাটিয়ে প্যারিসে অলিম্পিকে দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখেছেন তিনি। ইতিহাসের সেরা এই জিমন্যাস্ট দলীয় ও ব্যক্তিগত ইভেন্ট মিলিয়ে এবার ৩ সোনা ও ১ রুপা জিতেছেন। পরে মেয়েদের অল অ্যারাউন্ডের ফাইনালে সোনা জেতার পর গলায় পরে আসেন ৫৪৬ হিরে দিয়ে তৈরি ছাগলের মতো দেখতে বিশেষ লকেট। জিমন্যাস্টিকসে সর্বকালের সেরা ‘গোট’ বোঝাতেই বাইলসের এই হার।
অনেক বিতর্ক-সমালোচনার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছিল প্যারিস অলিম্পিক। খেলা চলার মাঝেও কম বিতর্ক হয়নি। তবে ১০০ বছর পর নিজেদের দেশে অলিম্পিক আয়োজন সফলভাবেই শেষ করেছে ফ্রান্স। পরশু দেশটির জাতীয় স্টেডিয়াম স্তাদে দে ফ্রান্সে সমাপনী দিনও ছিল ঝলমলে আর তারায় ভরপুর। ১৭ দিনের প্যারিস অলিম্পিকে এবার যেসব তারকা ও ইভেন্ট নিয়ে আলোচনা ছিল সেটি নিয়ে এই আয়োজন—
লাতিনিনার পাশে লেডেকি: অস্ট্রেলিয়ার আরিয়ার্না টিটমাস থেকে ৪০০ মিটারে সিংহাসন পুনরুদ্ধার করতে পারেননি কেটি লেডেকি। শুরুতে ‘রেস অব দ্য সেঞ্চুরি’তে ব্রোঞ্জ জিতলেও প্যারিস অলিম্পিকে দুই সোনাসহ ৪ পদক নিয়ে এখন তিনিই যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে সফল অ্যাথলেট। সাঁতারের রানি মোট ১৪ পদক নিয়ে ছাড়িয়ে গেছেন স্বদেশি সাঁতারু জেনি থম্পসনকে। অলিম্পিকে নারী অ্যাথলেটদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৯ সোনা জিতে লেডেকি পাশে বসেছেন সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের লারিসা লাতিনিনার পাশেও।
লাইলসের ফটো ফিনিশিং: করোনা আক্রান্ত হওয়ায় অলিম্পিকের সমাপনীতে মাস্ক পরে এসেছিলেন নোয়াহ লাইলস। অসুস্থ শরীর নিয়েও ২০০ মিটারে ব্রোঞ্জ জেতেন তিনি। তার আগে ১০০ মিটারে জেতেন সোনা। ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডের অন্যতম আকর্ষণ এই ইভেন্টে যুক্তরাষ্ট্রের দৌড়বিদের টাইমিং ছিল ৯.৭৯ সেকেন্ড। রুপা জেতা জ্যামাইকার কিশানে থম্পসনেরও টাইমিং ছিল সমান। তবে লাইলস সোনা জেতেন ফটো ফিনিশিংয়ে এগিয়ে থাকায়। ১০০ মিটারে যে আট প্রতিযোগি অংশ নেন সবার টাইমিং ছিল ১০ সেকেন্ডের নিচে। এমনটা আগে দেখা যায়নি।
মারশাঁর চার রেকর্ড: ঘরের ছেলে লিওঁ মারশাঁকে নিয়ে প্যারিসবাসীর আগ্রহ ছিল তুঙ্গে। ‘নতুন ফেলপস’ ৪ সোনা ও ১ ব্রোঞ্জ জিতে এবারের অলিম্পিকে সবচেয়ে সফল অ্যাথলেটও। এক অলিম্পিকে প্রথম ফরাসি ও যুক্তরাষ্ট্রের মাইকেল ফেলপসের পরে ৪ পদক জেতা একমাত্র সাঁতারুও এখন তিনি। সোনা জেতা চারটি ইভেন্টেই অলিম্পিক রেকর্ড গড়েছেন মারশাঁ। তার মধ্যে ভেঙেছেন ফেলপসের দুটি রেকর্ড। সমাপনী রাতে ২২ বছর বয়সী এই তারকার হাতে শোভা পেয়েছে অলিম্পিক মশাল।
জোকোভিচের গোল্ডেন স্লাম: সপ্তাহ তিনেক আগে উইম্বলডনের ফাইনালে স্পেনের কার্লোস আলকারাসের কাছে হেরেছিলেন নোভাক জোকোভিচ। সার্বিয়ান তারকা সেটির প্রতিশোধ নেন রোলাঁ গারোতে। ৭-৬ (৭-৩),৭-৬ (৭-২) গেমে জিতে প্রথমবার অলিম্পিক সোনা জেতার আনন্দে কাঁদেন রেকর্ড ২৪ গ্র্যান্ড স্লামের মালিক। পঞ্চম টেনিস তারকা হিসেবে গোল্ডেন স্লাম জয়ের কীর্তি গড়লেন জোকোভিচ। টেনিসে বেশি বয়সে (৩৭ বছর ৭৪ দিন) সোনা জয়েরও রেকর্ড গড়লেন। জোকোর অলিম্পিক অভিষেক হয়েছিল ২০০৮ সালে।
খেলিফের লৈঙ্গিক বিতর্ক: ইমান খেলিফের শক্তিশালী পাঞ্চে মাত্র ৪৬ সেকেন্ডেই কাঁদতে কাঁদতে রিং ছেড়েছিলেন ইতালির অ্যাঞ্জেলো কারিনি। এরপর থেকে শুরু হয় তাঁকে নিয়ে লৈঙ্গিক বিতর্ক। ছেলে না মেয়ে—এই বিতর্ক ও সমালোচনাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে মেয়েদের ৬৬ কেজিতে দাপটের সঙ্গে সোনা জিতেছেন আলজেরিয়ান বক্সার। প্রথম অলিম্পিক সোনা জেতা খেলিফ ক্যারিয়ারের শুরু থেকে পেরিয়েছেন অনেক বাধা। সোনা জয়ের পর যারা সামাজিক মাধ্যমে তাঁকে হয়রানি করেছিলেন, তাদের বিরুদ্ধে মামলাও টুকে দেন খেলিফ।
বাইলসের বিশেষ লকেট: মানসিক স্বাস্থ্যের কারণে টোকিও অলিম্পিকে একাধিক ইভেন্ট থেকে নাম প্রত্যাহার করেছিলেন সিমোনে বাইলস। সেই হতাশা কাটিয়ে প্যারিসে অলিম্পিকে দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখেছেন তিনি। ইতিহাসের সেরা এই জিমন্যাস্ট দলীয় ও ব্যক্তিগত ইভেন্ট মিলিয়ে এবার ৩ সোনা ও ১ রুপা জিতেছেন। পরে মেয়েদের অল অ্যারাউন্ডের ফাইনালে সোনা জেতার পর গলায় পরে আসেন ৫৪৬ হিরে দিয়ে তৈরি ছাগলের মতো দেখতে বিশেষ লকেট। জিমন্যাস্টিকসে সর্বকালের সেরা ‘গোট’ বোঝাতেই বাইলসের এই হার।
গলে ম্যাচ ড্র হওয়া অনেকটা চোখ কপালে ওঠার মতো। সমুদ্রঘেঁষা এই ভেন্যুতে সবশেষ ২৬ ম্যাচে কোনো দলই ড্রয়ের জন্য সমঝোতা করেনি। বাংলাদেশের ম্যাচ দিয়ে ইতি টানল সেই ধারাবাহিকতার। ম্যাচটি কি জেতার জন্য খেলতে পারত না বাংলাদেশ? পারত না আরেকটু আগে ইনিংস ঘোষণা করতে? সেই প্রশ্নগুলোই রাখা হয়েছিল সংবাদ সম্মেলনে...
৬ ঘণ্টা আগেএক টেস্টে জোড়া সেঞ্চুরি আগেও দেখেছে বাংলাদেশ। নাজমুল হোসেন শান্ত প্রায় দুই বছর আগে সেই ক্লাবে নাম লেখান। এবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গলে জোড়া সেঞ্চুরি করে নতুন কীর্তি গড়লেন তিনি। বাংলাদেশের কোনো অধিনায়কই এর আগে এক টেস্টে দুই সেঞ্চুরি হাঁকাতে পারেননি। এই রেকর্ডে নাম লেখানোর কথা আগে থেকে জানতেন না শান্ত।
৮ ঘণ্টা আগেকিছু কি মনে পড়ছে? না পড়লেও অবশ্য দোষের কিছু নেই। মেলবোর্নে গত বছর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৩৭ বলে ২৮ রানের ইনিংস খেলে তোপের মুখে পড়েন ঋষভ পন্ত। তাঁর আউটের ধরন দেখে রীতিমত ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন কিংবদন্তি সুনীল গাভাস্কার। ধারাভাষ্যকক্ষে মাইক হাতে তিরস্কার করতে থাকেন ‘স্টুপিড, স্টুপিড, স্টুপিড’ বলে
৯ ঘণ্টা আগেদিন শেষ হতে তখনো বাকি আরও ৫ ওভার। ৩০ বলে শ্রীলঙ্কার ৬ উইকেট পড়ে যাবে এমন ভাবাটা আকাশ-কুসুম কল্পনার মতো। বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত তাই বাস্তবতা মেনে নিয়ে ছুটে গেলেন লঙ্কান অধিনায়ক ধনঞ্জয়া ডি সিলভার সঙ্গে করমর্দন করতে। বাকিরাও তা অনুসরণ করতে থাকেন।
৯ ঘণ্টা আগে