নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আবাহনীর বিপক্ষে এগিয়ে থেকেও গত শুক্রবার মোহামেডান যেভাবে ম্যাচ খেলতে অস্বীকৃতি জানিয়ে মাঠ ছেড়ে গিয়েছিল, তা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছে এখনো। ম্যাচ অস্বীকৃতি জানানোয় মোহামেডানের বিপক্ষে আবাহনীকে ৫-০ গোলে জয়ী ঘোষণা করা হয়। পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা মোহামেডান শিরোপার লড়াই থেকে ছিটকে যায় নিজেদের সিদ্ধান্তের কারণেই।
খেলতে না চাওয়ার সিদ্ধান্তটা নিজেদের হলেও শুক্রবার ম্যাচের পর থেকেই ফেডারেশনের ষড়যন্ত্র কথা বলে আসছে মোহামেডানের কর্মকর্তারা। আজ নিজেদের ক্লাব প্যাভিলিয়নে সংবাদ সম্মেলনে একই দাবি তুললেন মোহামেডানের হকির সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা। নিজেদের দাবি মানা না হলে আগামী লিগে অংশ না নেওয়ার হুমকি দিয়েছে হকিতে অন্যতম সফল দলটি। চেয়েছে ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক পদে পরিবর্তন। আর সবকিছুর জন্য যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপনের দিকে চেয়ে মোহামেডান।
শুক্রবারের ম্যাচে মোহামেডানের দ্বীন ইসলাম ইমন, তানভীর রহমান সিয়ামকে লাল কার্ড দেখান ওমানের আম্পায়ার হুসাইন আল হুসাইনি। হলুদ কার্ড দেখানো হয় একই দলের মালয়েশিয়ান খেলোয়াড় জুল বিন মিজুনকে। এই খেলোয়াড়দের কার্ড তুলে নিয়ে নতুন করে ম্যাচ আয়োজনের দাবি জানানো হয়েছে মোহামেডানের পক্ষ থেকে। তাদের পক্ষ থেকে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমাদের প্রত্যাশা ছিল হয়তো লিগ কমিটি জরুরি সভা করে পরবর্তী দিনে খেলার অবশিষ্ট অংশ পরিচালনা করবেন। যার উদাহরণ এ লিগে রয়েছে। পরবর্তীতে আমাদের খেলার অস্বীকৃতি বিষয় উল্লেখ করে আবাহনীকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয় যা আমাদের হতবাক করেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে হকির বৃহত্তর স্বার্থে ভিডিও রেফারেলের মাধ্যমে আম্পায়ারের দেখানো কার্ড পুনঃ বিবেচনা করে ঘোষিত ফলাফল প্রত্যাহার এবং ওমানের আম্পায়ারের বিতর্কিত সিদ্ধান্তের দৃষ্টান্তমূলক বিচার প্রত্যাশা করছি।’
আর দাবি না মানা হলে কঠিন পথে যাওয়ার হুমকি দিয়ে রেখেছে মোহামেডান, ‘মোহামেডানের ন্যায্য দাবি যদি প্রত্যাখ্যান করা হয় তাহলে ভবিষ্যতে বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের বর্তমান কমিটির অধীনে যেকোনো প্রকার প্রতিযোগিতামূলক খেলা থেকে আমরা বিরত থাকব। প্রয়োজনে আমাদের ক্লাবের স্থায়ী সদস্য জারা ফেডারেশনের বর্তমান কমিটিতে আছেন তারাও বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের কার্যনির্বাহী কমিটি থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হবেন।’
আজকের সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মোহামেডানের ডিরেক্টর ইন-চার্জ অব অ্যাডমিনিস্ট্রেশন কাজী ফিরোজ রশীদ, ফুটবল ও হকি কিংবদন্তি প্রতাপ শংকর হাজরাসহ ক্লাবটির হকি কমিটির কর্মকর্তারা। সংবাদ সম্মেলনে সরকারের হস্তক্ষেপ চেয়ে কাজী ফিরোজ রশীদ বললেন, ‘আমরা চাই মন্ত্রী মহোদয় যেন ম্যাচটি দেখে পুনঃ বিবেচনা করেন। এই বিষয়টি কোথায় নেওয়া যায় তার একটি সুব্যবস্থা করুক। ফেডারেশন থেকে আমরা কিছুই পাব না।’
হকি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদকের পদ নিয়ে বরাবারই বিতর্ক থাকে, যেমন আছে বর্তমান কমিটি নিয়েও। বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মোমিনুল হক সাঈদকে সরিয়ে হকিতে অ্যাডহক কমিটি চেয়েছেন প্রতাপ শংকর হাজরা। বলেছেন, ‘আমরা ফেডারেশনে খুব কমই সৎ লোক পেয়েছি। অ্যাডহক দিয়ে চালালেই মনে হয় বেশি ভালো হয়। দেশের খেলাই যদি না চলে, আইন মেনে কী হবে!’
আবাহনীর সঙ্গে হাতাহাতিতে মোহামেডানের খেলোয়াড়দের দায় দেখছেন অনেককেই। বিশেষ করে দুই দলের দুই বিদেশির হাতাহাতির মাঝে ডাগআউট থেকে থেকে ছুটে আসেন মোহামেডানের খেলোয়াড়েরা। শুরু হয়ে যায় মারামারি। ম্যাচে তখন ৩-২ গোলে এগিয়ে ছিল মোহামেডান। ম্যাচে এগিয়ে থাকার মুহূর্তে মোহামেডানের খেলোয়াড়দের এভাবে ছুটে না এসে মাঠের লড়াই দিয়ে নিজেদের প্রমাণ করা উচিত ছিল কিনা সেই প্রশ্নের জবাবে দলটির ম্যানেজার আরিফুল হক প্রিন্স বললেন, ‘আবাহনীর খেলোয়াড় মিমো আগে আক্রমণ করেছে। সেই আক্রমণের প্রেক্ষিতে আমাদের খেলোয়াড়রা রক্তাক্ত হয়েছে। অথচ আম্পায়ার আমাদের বেশি কার্ড দিয়েছে। হকিতে উত্তেজিত মুহূর্তে খেলোয়াড় জড়ায় সেটি অনেক দিন থেকেই নতুন কিছু নয়।’
আর খেলোয়াড়েরা উত্তেজনা সামলাতে পারেননি বলেই এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল বলে মনে করেন প্রতাপ শংকর হাজরা,‘মাঠে একজন খেলোয়াড়ের পালস রেট থাকে ২০০এর বেশি। এই অবস্থায় ক্রমান্বয়ে অন্যায় মেনে নেওয়া একজন খেলোয়াড়ের জন্য মেনে নেওয়া ভীষণ কঠিন। সেই ম্যাচে আমাদের সঙ্গে তিনটি অন্যায় হয়েছে। এর আগে অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় কার্ড দেখানো হয়েছিল জিমিকে। আমাদের খেলোয়াড়েরা জানত ম্যাচে ঝামেলা হলে পরদিন নতুন করে ম্যাচ হবে, কিংবা ড্র হবে। কিন্তু আমাদের জন্য বাইলজই পাল্টে দেওয়া হলো।’
আবাহনীর বিপক্ষে এগিয়ে থেকেও গত শুক্রবার মোহামেডান যেভাবে ম্যাচ খেলতে অস্বীকৃতি জানিয়ে মাঠ ছেড়ে গিয়েছিল, তা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছে এখনো। ম্যাচ অস্বীকৃতি জানানোয় মোহামেডানের বিপক্ষে আবাহনীকে ৫-০ গোলে জয়ী ঘোষণা করা হয়। পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা মোহামেডান শিরোপার লড়াই থেকে ছিটকে যায় নিজেদের সিদ্ধান্তের কারণেই।
খেলতে না চাওয়ার সিদ্ধান্তটা নিজেদের হলেও শুক্রবার ম্যাচের পর থেকেই ফেডারেশনের ষড়যন্ত্র কথা বলে আসছে মোহামেডানের কর্মকর্তারা। আজ নিজেদের ক্লাব প্যাভিলিয়নে সংবাদ সম্মেলনে একই দাবি তুললেন মোহামেডানের হকির সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা। নিজেদের দাবি মানা না হলে আগামী লিগে অংশ না নেওয়ার হুমকি দিয়েছে হকিতে অন্যতম সফল দলটি। চেয়েছে ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক পদে পরিবর্তন। আর সবকিছুর জন্য যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপনের দিকে চেয়ে মোহামেডান।
শুক্রবারের ম্যাচে মোহামেডানের দ্বীন ইসলাম ইমন, তানভীর রহমান সিয়ামকে লাল কার্ড দেখান ওমানের আম্পায়ার হুসাইন আল হুসাইনি। হলুদ কার্ড দেখানো হয় একই দলের মালয়েশিয়ান খেলোয়াড় জুল বিন মিজুনকে। এই খেলোয়াড়দের কার্ড তুলে নিয়ে নতুন করে ম্যাচ আয়োজনের দাবি জানানো হয়েছে মোহামেডানের পক্ষ থেকে। তাদের পক্ষ থেকে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমাদের প্রত্যাশা ছিল হয়তো লিগ কমিটি জরুরি সভা করে পরবর্তী দিনে খেলার অবশিষ্ট অংশ পরিচালনা করবেন। যার উদাহরণ এ লিগে রয়েছে। পরবর্তীতে আমাদের খেলার অস্বীকৃতি বিষয় উল্লেখ করে আবাহনীকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয় যা আমাদের হতবাক করেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে হকির বৃহত্তর স্বার্থে ভিডিও রেফারেলের মাধ্যমে আম্পায়ারের দেখানো কার্ড পুনঃ বিবেচনা করে ঘোষিত ফলাফল প্রত্যাহার এবং ওমানের আম্পায়ারের বিতর্কিত সিদ্ধান্তের দৃষ্টান্তমূলক বিচার প্রত্যাশা করছি।’
আর দাবি না মানা হলে কঠিন পথে যাওয়ার হুমকি দিয়ে রেখেছে মোহামেডান, ‘মোহামেডানের ন্যায্য দাবি যদি প্রত্যাখ্যান করা হয় তাহলে ভবিষ্যতে বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের বর্তমান কমিটির অধীনে যেকোনো প্রকার প্রতিযোগিতামূলক খেলা থেকে আমরা বিরত থাকব। প্রয়োজনে আমাদের ক্লাবের স্থায়ী সদস্য জারা ফেডারেশনের বর্তমান কমিটিতে আছেন তারাও বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের কার্যনির্বাহী কমিটি থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হবেন।’
আজকের সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মোহামেডানের ডিরেক্টর ইন-চার্জ অব অ্যাডমিনিস্ট্রেশন কাজী ফিরোজ রশীদ, ফুটবল ও হকি কিংবদন্তি প্রতাপ শংকর হাজরাসহ ক্লাবটির হকি কমিটির কর্মকর্তারা। সংবাদ সম্মেলনে সরকারের হস্তক্ষেপ চেয়ে কাজী ফিরোজ রশীদ বললেন, ‘আমরা চাই মন্ত্রী মহোদয় যেন ম্যাচটি দেখে পুনঃ বিবেচনা করেন। এই বিষয়টি কোথায় নেওয়া যায় তার একটি সুব্যবস্থা করুক। ফেডারেশন থেকে আমরা কিছুই পাব না।’
হকি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদকের পদ নিয়ে বরাবারই বিতর্ক থাকে, যেমন আছে বর্তমান কমিটি নিয়েও। বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মোমিনুল হক সাঈদকে সরিয়ে হকিতে অ্যাডহক কমিটি চেয়েছেন প্রতাপ শংকর হাজরা। বলেছেন, ‘আমরা ফেডারেশনে খুব কমই সৎ লোক পেয়েছি। অ্যাডহক দিয়ে চালালেই মনে হয় বেশি ভালো হয়। দেশের খেলাই যদি না চলে, আইন মেনে কী হবে!’
আবাহনীর সঙ্গে হাতাহাতিতে মোহামেডানের খেলোয়াড়দের দায় দেখছেন অনেককেই। বিশেষ করে দুই দলের দুই বিদেশির হাতাহাতির মাঝে ডাগআউট থেকে থেকে ছুটে আসেন মোহামেডানের খেলোয়াড়েরা। শুরু হয়ে যায় মারামারি। ম্যাচে তখন ৩-২ গোলে এগিয়ে ছিল মোহামেডান। ম্যাচে এগিয়ে থাকার মুহূর্তে মোহামেডানের খেলোয়াড়দের এভাবে ছুটে না এসে মাঠের লড়াই দিয়ে নিজেদের প্রমাণ করা উচিত ছিল কিনা সেই প্রশ্নের জবাবে দলটির ম্যানেজার আরিফুল হক প্রিন্স বললেন, ‘আবাহনীর খেলোয়াড় মিমো আগে আক্রমণ করেছে। সেই আক্রমণের প্রেক্ষিতে আমাদের খেলোয়াড়রা রক্তাক্ত হয়েছে। অথচ আম্পায়ার আমাদের বেশি কার্ড দিয়েছে। হকিতে উত্তেজিত মুহূর্তে খেলোয়াড় জড়ায় সেটি অনেক দিন থেকেই নতুন কিছু নয়।’
আর খেলোয়াড়েরা উত্তেজনা সামলাতে পারেননি বলেই এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল বলে মনে করেন প্রতাপ শংকর হাজরা,‘মাঠে একজন খেলোয়াড়ের পালস রেট থাকে ২০০এর বেশি। এই অবস্থায় ক্রমান্বয়ে অন্যায় মেনে নেওয়া একজন খেলোয়াড়ের জন্য মেনে নেওয়া ভীষণ কঠিন। সেই ম্যাচে আমাদের সঙ্গে তিনটি অন্যায় হয়েছে। এর আগে অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় কার্ড দেখানো হয়েছিল জিমিকে। আমাদের খেলোয়াড়েরা জানত ম্যাচে ঝামেলা হলে পরদিন নতুন করে ম্যাচ হবে, কিংবা ড্র হবে। কিন্তু আমাদের জন্য বাইলজই পাল্টে দেওয়া হলো।’
গলে ম্যাচ ড্র হওয়া অনেকটা চোখ কপালে ওঠার মতো। সমুদ্রঘেঁষা এই ভেন্যুতে সবশেষ ২৬ ম্যাচে কোনো দলই ড্রয়ের জন্য সমঝোতা করেনি। বাংলাদেশের ম্যাচ দিয়ে ইতি টানল সেই ধারাবাহিকতার। ম্যাচটি কি জেতার জন্য খেলতে পারত না বাংলাদেশ? পারত না আরেকটু আগে ইনিংস ঘোষণা করতে? সেই প্রশ্নগুলোই রাখা হয়েছিল সংবাদ সম্মেলনে...
১০ ঘণ্টা আগেএক টেস্টে জোড়া সেঞ্চুরি আগেও দেখেছে বাংলাদেশ। নাজমুল হোসেন শান্ত প্রায় দুই বছর আগে সেই ক্লাবে নাম লেখান। এবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গলে জোড়া সেঞ্চুরি করে নতুন কীর্তি গড়লেন তিনি। বাংলাদেশের কোনো অধিনায়কই এর আগে এক টেস্টে দুই সেঞ্চুরি হাঁকাতে পারেননি। এই রেকর্ডে নাম লেখানোর কথা আগে থেকে জানতেন না শান্ত।
১২ ঘণ্টা আগেকিছু কি মনে পড়ছে? না পড়লেও অবশ্য দোষের কিছু নেই। মেলবোর্নে গত বছর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৩৭ বলে ২৮ রানের ইনিংস খেলে তোপের মুখে পড়েন ঋষভ পন্ত। তাঁর আউটের ধরন দেখে রীতিমত ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন কিংবদন্তি সুনীল গাভাস্কার। ধারাভাষ্যকক্ষে মাইক হাতে তিরস্কার করতে থাকেন ‘স্টুপিড, স্টুপিড, স্টুপিড’ বলে
১৩ ঘণ্টা আগেদিন শেষ হতে তখনো বাকি আরও ৫ ওভার। ৩০ বলে শ্রীলঙ্কার ৬ উইকেট পড়ে যাবে এমন ভাবাটা আকাশ-কুসুম কল্পনার মতো। বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত তাই বাস্তবতা মেনে নিয়ে ছুটে গেলেন লঙ্কান অধিনায়ক ধনঞ্জয়া ডি সিলভার সঙ্গে করমর্দন করতে। বাকিরাও তা অনুসরণ করতে থাকেন।
১৩ ঘণ্টা আগে