ঢাকা: গত বছর অলিম্পিক পিছিয়ে দেয়ার সময়ও আয়োজন নিয়ে এতটা অনিশ্চয়তা ছিল না। আশা ছিল কার্যকরী একটি ভ্যাকসিনের, সেই লক্ষ্য পূরণও হয়েছে। একটি নয়, একাধিক ভ্যাকসিন আছে বাজারে। তবে করোনা এখন আগের চেয়েও বেশি ভয়ঙ্কর, বেশি শক্তিশালী। অতি অল্প সময়ে কোভিড-১৯ নামক ভাইরাস নিজেকে অনেকবার রূপ পাল্টেছে। ফলে এর সঙ্গে খাপ খাওয়ানোও এখন অনেক কঠিন হয়ে পড়েছে। যার ব্যতিক্রম নয় জাপানিরাও।
জাপানিরা বরাবরই বিনয়ী ও আত্মবিশ্বাসী। ন্যুনতম সুযোগ থাকলেও কখনোই হাল ছাড়ে না তাঁরা। করোনা সেই শক্তিতেও ধাক্কা দিয়েছে। নিজেদের হার না মানা মনোবল এখন হারিয়ে বসেছে অলিম্পিক কর্তৃপক্ষও। জাপানিদের নড়বড়ে মনোভাবে সংশয় জাগছে, শেষ পর্যন্ত টোকিও অলিম্পিক হবে তো?
যতই ঝামেলা হোক, জাপান সরকার চায় অলিম্পিকটা হয়েই যাক। জনগণের ট্যাক্সের সাড়ে ১৫ বিলিয়ন ডলার খরচ করে বানানো যত অবকাঠামো ও সুযোগ-সুবিধা তার কিছুটা হলেও ব্যবহার হোক। তবে দেশটির জনগণের চোখে টাকার চেয়ে জীবনের মূল্য অনেক বেশি।
গত সপ্তাহ টোকিওতে একদিনে সর্বোচ্চ ৬২১ জন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। সাড়ে তিন কোটি মানুষের বাস যে শহরে সেই বিবেচনায় সংখ্যাটা নেহাতই নগণ্য। তবে এতেই অলিম্পিক আয়োজক কমিটির কপালে ঘাম। টুর্নামেন্টের তিন মাসেরও কম সময় বাকি থাকতে যেভাবে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, এই অবস্থায় অলিম্পিকের মতো একটা বিশ্বযজ্ঞ আয়োজন হতে পারে আত্মঘাতী। যার উদাহরণ সাম্প্রতিক সময়ে বন্ধ হয়ে যাওয়া আইপিএল।
আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ায় টোকিও ও আশেপাশের শহরগুলোতে জরুরি অবস্থা জারি করেছে জাপান সরকার। লকডাউন চলবে ৩১ মে পর্যন্ত। টোকিও গভর্নর ইউরিকো কোইকে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, সংক্রমণ কমাতে প্রয়োজনে লম্বা সময় লকডাউন থাকবে তাঁর শহরে। জাপান হকি দলের ডাচ কোচ সিগফ্রিড আইকমান টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেছেন, ‘জাপানের জনগণ কঠোর লকডাউনে বিশ্বাস করে। লকডাউন হলে সেখানে সংক্রমণ কমে যায়। সংক্রমণ কমিয়ে আনতে হলে যদি কয়েকমাস ঘরে বসে থাকতে হয় জাপানের মানুষজন তাই করবে। টোকিও প্রশাসন ভীষণ চাপে আছে।’
পরিস্থিতি যখন এই, তখন সেটা আরও খারাপ করে তুলেছে আরেক ঘটনা। অলিম্পিকের মশাল দিয়ে দৌড়ে বেড়ানো সাবেক অ্যাথলেটরা একের পর এক আক্রান্ত হচ্ছেন করোনাতে। মশাল নিয়ে দৌড়েছেন এমন আটজন এখন পর্যন্ত টেস্টে পজিটিভ হয়েছেন। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে ২২ জাপানি রাগবি খেলোয়াড়ও।
অলিম্পিক নিয়ে ক্ষোভ আছে স্বাস্থ্যকর্মীদের মাঝেও। অংশগ্রহণকারী অ্যাথলেটদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ৫০০ নার্স চেয়েছে অলিম্পিক আয়োজক কমিটি। বিষয়টিকে ‘বুদ্ধির অভাব’ বলে মনে করেন মিকিতা ইকেডো নামের একজন নার্স, ‘এমন অপরিপক্বতা দেখে আমি হতবাক। মানুষের জীবনকে কতটা হালকাভাবে নেওয়া হচ্ছে এ যেন তারই উদাহরণ। এখন একজন নার্স ছাড়া একটা হাসপাতাল এক প্রকার অচল, আর তাঁরা চেয়ে বসে আছে ৫০০ নার্স!’
করণীয় ঠিক করতে দেশের ৪৭ গভর্নরের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিল জাপান সরকার। নয় গভর্নর স্পষ্ট নিজেদের মনোভাব জানিয়ে বলেছেন, জনগণকে জীবন ঝুঁকিতে ফেলে অলিম্পিক তাঁরা চান না। যদিও সাইতামা গভর্নর মোতোহির ওনো রায় দিয়েছেন অলিম্পিকের পক্ষেই। টোকিওর পর সবচেয়ে বেশি খেলা হবে এই সাইতামা শহরেই।
এক বছর পিছিয়ে অলিম্পিকে বিদেশি দর্শক নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। এবার ঘরের দর্শকদের ওপরও আসতে পারে নিষেধাজ্ঞা। যদিও বিষয়টি এখনো প্রস্তাবনার পর্যায়েই আছে। শেষ পর্যন্ত যদি অলিম্পিক হয়, তবে সেটি দর্শকবিহীন হবে কিনা সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা।
ঢাকা: গত বছর অলিম্পিক পিছিয়ে দেয়ার সময়ও আয়োজন নিয়ে এতটা অনিশ্চয়তা ছিল না। আশা ছিল কার্যকরী একটি ভ্যাকসিনের, সেই লক্ষ্য পূরণও হয়েছে। একটি নয়, একাধিক ভ্যাকসিন আছে বাজারে। তবে করোনা এখন আগের চেয়েও বেশি ভয়ঙ্কর, বেশি শক্তিশালী। অতি অল্প সময়ে কোভিড-১৯ নামক ভাইরাস নিজেকে অনেকবার রূপ পাল্টেছে। ফলে এর সঙ্গে খাপ খাওয়ানোও এখন অনেক কঠিন হয়ে পড়েছে। যার ব্যতিক্রম নয় জাপানিরাও।
জাপানিরা বরাবরই বিনয়ী ও আত্মবিশ্বাসী। ন্যুনতম সুযোগ থাকলেও কখনোই হাল ছাড়ে না তাঁরা। করোনা সেই শক্তিতেও ধাক্কা দিয়েছে। নিজেদের হার না মানা মনোবল এখন হারিয়ে বসেছে অলিম্পিক কর্তৃপক্ষও। জাপানিদের নড়বড়ে মনোভাবে সংশয় জাগছে, শেষ পর্যন্ত টোকিও অলিম্পিক হবে তো?
যতই ঝামেলা হোক, জাপান সরকার চায় অলিম্পিকটা হয়েই যাক। জনগণের ট্যাক্সের সাড়ে ১৫ বিলিয়ন ডলার খরচ করে বানানো যত অবকাঠামো ও সুযোগ-সুবিধা তার কিছুটা হলেও ব্যবহার হোক। তবে দেশটির জনগণের চোখে টাকার চেয়ে জীবনের মূল্য অনেক বেশি।
গত সপ্তাহ টোকিওতে একদিনে সর্বোচ্চ ৬২১ জন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। সাড়ে তিন কোটি মানুষের বাস যে শহরে সেই বিবেচনায় সংখ্যাটা নেহাতই নগণ্য। তবে এতেই অলিম্পিক আয়োজক কমিটির কপালে ঘাম। টুর্নামেন্টের তিন মাসেরও কম সময় বাকি থাকতে যেভাবে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, এই অবস্থায় অলিম্পিকের মতো একটা বিশ্বযজ্ঞ আয়োজন হতে পারে আত্মঘাতী। যার উদাহরণ সাম্প্রতিক সময়ে বন্ধ হয়ে যাওয়া আইপিএল।
আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ায় টোকিও ও আশেপাশের শহরগুলোতে জরুরি অবস্থা জারি করেছে জাপান সরকার। লকডাউন চলবে ৩১ মে পর্যন্ত। টোকিও গভর্নর ইউরিকো কোইকে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, সংক্রমণ কমাতে প্রয়োজনে লম্বা সময় লকডাউন থাকবে তাঁর শহরে। জাপান হকি দলের ডাচ কোচ সিগফ্রিড আইকমান টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেছেন, ‘জাপানের জনগণ কঠোর লকডাউনে বিশ্বাস করে। লকডাউন হলে সেখানে সংক্রমণ কমে যায়। সংক্রমণ কমিয়ে আনতে হলে যদি কয়েকমাস ঘরে বসে থাকতে হয় জাপানের মানুষজন তাই করবে। টোকিও প্রশাসন ভীষণ চাপে আছে।’
পরিস্থিতি যখন এই, তখন সেটা আরও খারাপ করে তুলেছে আরেক ঘটনা। অলিম্পিকের মশাল দিয়ে দৌড়ে বেড়ানো সাবেক অ্যাথলেটরা একের পর এক আক্রান্ত হচ্ছেন করোনাতে। মশাল নিয়ে দৌড়েছেন এমন আটজন এখন পর্যন্ত টেস্টে পজিটিভ হয়েছেন। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে ২২ জাপানি রাগবি খেলোয়াড়ও।
অলিম্পিক নিয়ে ক্ষোভ আছে স্বাস্থ্যকর্মীদের মাঝেও। অংশগ্রহণকারী অ্যাথলেটদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ৫০০ নার্স চেয়েছে অলিম্পিক আয়োজক কমিটি। বিষয়টিকে ‘বুদ্ধির অভাব’ বলে মনে করেন মিকিতা ইকেডো নামের একজন নার্স, ‘এমন অপরিপক্বতা দেখে আমি হতবাক। মানুষের জীবনকে কতটা হালকাভাবে নেওয়া হচ্ছে এ যেন তারই উদাহরণ। এখন একজন নার্স ছাড়া একটা হাসপাতাল এক প্রকার অচল, আর তাঁরা চেয়ে বসে আছে ৫০০ নার্স!’
করণীয় ঠিক করতে দেশের ৪৭ গভর্নরের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিল জাপান সরকার। নয় গভর্নর স্পষ্ট নিজেদের মনোভাব জানিয়ে বলেছেন, জনগণকে জীবন ঝুঁকিতে ফেলে অলিম্পিক তাঁরা চান না। যদিও সাইতামা গভর্নর মোতোহির ওনো রায় দিয়েছেন অলিম্পিকের পক্ষেই। টোকিওর পর সবচেয়ে বেশি খেলা হবে এই সাইতামা শহরেই।
এক বছর পিছিয়ে অলিম্পিকে বিদেশি দর্শক নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। এবার ঘরের দর্শকদের ওপরও আসতে পারে নিষেধাজ্ঞা। যদিও বিষয়টি এখনো প্রস্তাবনার পর্যায়েই আছে। শেষ পর্যন্ত যদি অলিম্পিক হয়, তবে সেটি দর্শকবিহীন হবে কিনা সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা।
ধর তক্তা মার পেরেক—বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে গত রাতে রোমারিও শেফার্ডের খেলার ধরন ছিল এমনই। তাঁর আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে চেন্নাই সুপার কিংসের বোলাররা পুরো এলোমেলো হয়ে যান। চেন্নাইয়ের বোলারদের পিটিয়ে আইপিএলে গড়লেন রেকর্ড ফিফটি।
৩৫ মিনিট আগেকিউইদের বিপক্ষে সিরিজটা ‘এ’ দলের হলেও রীতিমতো ‘জাতীয় দলই যেন দিয়েছেন বিসিবির নির্বাচকেরা! বাংলাদেশ ‘এ’ দলে মোস্তাফিজুর রহমান, এনামুল হক বিজয়, নাঈম শেখ, পারভেজ হোসেন ইমন, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, তানভীর ইসলাম, নাঈম হাসান, ইবাদত হোসেন..
১ ঘণ্টা আগেটেস্ট অভিষেকের প্রথম ইনিংসেই ৫ উইকেট পেয়েছেন ভিনসেন্ট মাসেকেসা। কীর্তিটা কদিন আগে চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের বিপক্ষে করেছেন তিনি। তবে অভিষেকে আলো ছড়ানো এই লেগস্পিনার ঠিক তার পরের সিরিজেই বাদ পড়েছেন।
২ ঘণ্টা আগে২০২৪-২৫ মৌসুমের লা লিগা শেষভাগে এসে পড়েছে। টুর্নামেন্ট যতই গড়াচ্ছে, ততই জমজমাট হয়ে উঠছে। এমনকি শেষ অংশে এসে কোনো কোনো ম্যাচ ছড়াচ্ছে আলো। একই সঙ্গে খেলোয়াড়দের চোট চিন্তা বাড়াচ্ছে দলগুলোর।
২ ঘণ্টা আগে