হিমেল চাকমা, রাঙামাটি

রাঙামাটিতে বিকেএসপি স্থাপনের কথা হচ্ছে এক বছর ধরে। রাঙামাটিতে দ্রুত বিকেএসপি স্থাপন করার জোর দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদেরও। তবে বিকেএসপি, ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, পার্বত্য মন্ত্রণালয়, আঞ্চলিক পরিষদ, জেলা প্রশাসন, জেলা পরিষদের মধ্যে সমন্বয়হীনতায় এগোচ্ছে না স্থাপনার কার্যক্রম। সমন্বয়হীনতার সুযোগে গুরুত্বপূর্ণ এই পরিকল্পনা ভেস্তে দিতে সক্রিয় একাধিক পক্ষ।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় গত ১৪ অক্টোবর এক বিবৃতিতে জানায় রাঙামাটিতে বিকেএসপি স্থাপনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এরপর ১৬ অক্টোবর রাঙামাটির কাপ্তাইয়ে বিকেএসপি স্থাপনের দাবিতে কাপ্তাই উপজেলার ক্রীড়ামোদী সর্বস্থরের জনগণ, সাবেক-বর্তমান খেলোয়াড়দের ব্যানারে কাপ্তাইয়ে মানববন্ধন হয়। এর আগে ৭ অক্টোবর রাঙামাটি সদর উপজেলায় বিকেএসপি স্থাপনের দাবিতে রাঙামাটি শহরে মানববন্ধন করেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। একই দাবিতে ২২ অক্টোবর রাঙামাটি সদর উপজেলার সব ক্লাব প্রতিনিধি এবং রাজনৈতিক নেতারা মানববন্ধন করে স্মারকলিপি দেন।
রাঙামাটি জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে প্রতিভাবান খেলোয়াড় তৈরির কথা মাথায় রেখে বিগত সরকারের আমলে রাঙামাটিতে বিকেএসপি স্থাপনের জন্য বিগত সরকারের কাছে প্রস্তাব করেছিলেন রাঙামাটি জেলার তৎকালীন জেলা প্রশাসক মোশারফ হোসেন খান। জেলার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠক করে তিনি জেলায় একাধিক জায়গা পরিদর্শন, সম্ভাব্যতা যাচাই থেকে শুরু করে সম্ভাব্য ব্যয় নির্ধারণের কাজ অনেক দূর এগিয়ে নিয়েছিলেন। পরিদর্শন শেষে রাঙামাটি শহরের ঝগড়াবিল মৌজায় বিকেএসপি স্থাপনের নীতিগত সিদ্ধান্তে উপনীত হয় জেলা প্রশাসন। সরকার পরিবর্তন হলেও এই কাজ থেমে থাকেনি।
তার আলোকে গত ৪ আগস্ট প্রত্যাশিত চারটি জায়গা দেখতে রাঙামাটি সফরে আসেন বিকেএসপির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মুনীরুল ইসলাম। তিনি চলে যাওয়ার পর গত ১ সেপ্টেম্বর যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. সগীর হোসেনের নেতৃত্বে রাঙামাটি আসে ৩ সদস্যের একটি দল। এই দলও রাঙামাটি শহরতলি ঝগড়াবিল, রাঙাপানির লুম্বিনী, কাউখালী উপজেলার রাঙিপাড়া, দেওয়ান পাড়াসহ ৪টি জায়গা পরিদর্শনের কথা ছিল। কিন্তু সেগুলো না দেখে দলটি চলে যায় কাপ্তাইয়ে।
জেলা প্রশাসনের এক কর্মকর্তা বলেন, দলটির সফর রহস্যজনক মনে হয়েছে। তাদের প্রত্যাশিত চারটি জায়গা পরিদর্শনে কোনো আগ্রহ ছিল না। তারা জমি দেখতে আসেনি। মূলত তাদের লক্ষ্য ছিল কাপ্তাইয়ে সুনির্দিষ্ট একটি জায়গা চূড়ান্ত করা। যে জায়গা তারা পরিদর্শন করেছে, সেখানে জমি আছে মাত্র ৩৪ একর। অথচ জমি দরকার ৪০ একর।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, এই দল ঢাকায় চলে গেলে জেলা প্রশাসনকে কাপ্তাইয়ে জমি নির্বাচনে প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করতে চিঠি দেওয়া হয়। একদিকে আন্দোলন, অপর দিকে এই চিঠিতে বেশ বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে জেলা প্রশাসন। চিঠির জবাবে গত ৬ অক্টোবর ২০২ স্মারক মূলে জেলা প্রশাসন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়কে জানায়, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সদর, কাউখালী কিংবা কাপ্তাই উপজেলার বিষয়ে সুপারিশ বা মতামত দেওয়া হয়নি। সদর ও কাউখালী উপজেলার দুটি করে মোট চারটি আবেদন ছিল। কাপ্তাইয়ের ব্যাপারে কোনো আবেদন ছিল না।
জেলা বিএনপির সভাপতি দীপন তালুকদার দীপু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিকেএসপি নিয়ে যা হচ্ছে, তাতে আমরা অবাক হচ্ছি। এটা তো হওয়ার কথা ছিল না। রাঙামাটি শহরে ঝগড়াবিলে বিকেএসপি হচ্ছে, এটা তো অনেকটা চূড়ান্ত মনে করেছি। আমরা আশায় বুক বেঁধে ছিলাম, ঝগড়াবিলে এই প্রতিষ্ঠান হলে রাঙামাটি তথা অন্য দুই পার্বত্য জেলার সন্তানেরা সুবিধা পাবে। কিন্তু হঠাৎ কী হলো, আমরা বুঝছি না।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পার্বত্য চট্টগ্রামে স্থাপনা নির্মাণে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের মতামত চাওয়ার নিয়ম থাকলেও কিছু জানে না তারা। পরিষদের জনসংযোগ কর্মকর্তা বিমল চাকমা জানান, রাঙামাটিতে বিকেএসপি হচ্ছে, এটি তাঁরা জানেন না। পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, ‘রাঙামাটিতে কোন জায়গায় বিকেএসপি হচ্ছে, এর সর্বশেষ তথ্য কী, এ নিয়ে পার্বত্য মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হয়নি।’ রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মো. হাবিব উল্লাহ মারুফ বলেন, ‘কোথায় বিকেএসপি হবে, এ নিয়ে জেলা প্রশাসনের কোনো প্রস্তাব চাওয়া হয়নি। রাঙামাটিতে কোথায় বিকেএসপি হচ্ছে, এটা আমি জানি না।’
এ বিষয়ে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাহবুব-উল-আলম বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামে বিকেএসপি খুব প্রয়োজন। বিকেএসপি প্রতিষ্ঠায় যোগাযোগ নিরাপত্তা ও আধুনিক সুযোগ-সুবিধাকে বেশি প্রধান্য দেওয়া হচ্ছে।’

রাঙামাটিতে বিকেএসপি স্থাপনের কথা হচ্ছে এক বছর ধরে। রাঙামাটিতে দ্রুত বিকেএসপি স্থাপন করার জোর দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদেরও। তবে বিকেএসপি, ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, পার্বত্য মন্ত্রণালয়, আঞ্চলিক পরিষদ, জেলা প্রশাসন, জেলা পরিষদের মধ্যে সমন্বয়হীনতায় এগোচ্ছে না স্থাপনার কার্যক্রম। সমন্বয়হীনতার সুযোগে গুরুত্বপূর্ণ এই পরিকল্পনা ভেস্তে দিতে সক্রিয় একাধিক পক্ষ।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় গত ১৪ অক্টোবর এক বিবৃতিতে জানায় রাঙামাটিতে বিকেএসপি স্থাপনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এরপর ১৬ অক্টোবর রাঙামাটির কাপ্তাইয়ে বিকেএসপি স্থাপনের দাবিতে কাপ্তাই উপজেলার ক্রীড়ামোদী সর্বস্থরের জনগণ, সাবেক-বর্তমান খেলোয়াড়দের ব্যানারে কাপ্তাইয়ে মানববন্ধন হয়। এর আগে ৭ অক্টোবর রাঙামাটি সদর উপজেলায় বিকেএসপি স্থাপনের দাবিতে রাঙামাটি শহরে মানববন্ধন করেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। একই দাবিতে ২২ অক্টোবর রাঙামাটি সদর উপজেলার সব ক্লাব প্রতিনিধি এবং রাজনৈতিক নেতারা মানববন্ধন করে স্মারকলিপি দেন।
রাঙামাটি জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে প্রতিভাবান খেলোয়াড় তৈরির কথা মাথায় রেখে বিগত সরকারের আমলে রাঙামাটিতে বিকেএসপি স্থাপনের জন্য বিগত সরকারের কাছে প্রস্তাব করেছিলেন রাঙামাটি জেলার তৎকালীন জেলা প্রশাসক মোশারফ হোসেন খান। জেলার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠক করে তিনি জেলায় একাধিক জায়গা পরিদর্শন, সম্ভাব্যতা যাচাই থেকে শুরু করে সম্ভাব্য ব্যয় নির্ধারণের কাজ অনেক দূর এগিয়ে নিয়েছিলেন। পরিদর্শন শেষে রাঙামাটি শহরের ঝগড়াবিল মৌজায় বিকেএসপি স্থাপনের নীতিগত সিদ্ধান্তে উপনীত হয় জেলা প্রশাসন। সরকার পরিবর্তন হলেও এই কাজ থেমে থাকেনি।
তার আলোকে গত ৪ আগস্ট প্রত্যাশিত চারটি জায়গা দেখতে রাঙামাটি সফরে আসেন বিকেএসপির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মুনীরুল ইসলাম। তিনি চলে যাওয়ার পর গত ১ সেপ্টেম্বর যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. সগীর হোসেনের নেতৃত্বে রাঙামাটি আসে ৩ সদস্যের একটি দল। এই দলও রাঙামাটি শহরতলি ঝগড়াবিল, রাঙাপানির লুম্বিনী, কাউখালী উপজেলার রাঙিপাড়া, দেওয়ান পাড়াসহ ৪টি জায়গা পরিদর্শনের কথা ছিল। কিন্তু সেগুলো না দেখে দলটি চলে যায় কাপ্তাইয়ে।
জেলা প্রশাসনের এক কর্মকর্তা বলেন, দলটির সফর রহস্যজনক মনে হয়েছে। তাদের প্রত্যাশিত চারটি জায়গা পরিদর্শনে কোনো আগ্রহ ছিল না। তারা জমি দেখতে আসেনি। মূলত তাদের লক্ষ্য ছিল কাপ্তাইয়ে সুনির্দিষ্ট একটি জায়গা চূড়ান্ত করা। যে জায়গা তারা পরিদর্শন করেছে, সেখানে জমি আছে মাত্র ৩৪ একর। অথচ জমি দরকার ৪০ একর।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, এই দল ঢাকায় চলে গেলে জেলা প্রশাসনকে কাপ্তাইয়ে জমি নির্বাচনে প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করতে চিঠি দেওয়া হয়। একদিকে আন্দোলন, অপর দিকে এই চিঠিতে বেশ বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে জেলা প্রশাসন। চিঠির জবাবে গত ৬ অক্টোবর ২০২ স্মারক মূলে জেলা প্রশাসন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়কে জানায়, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সদর, কাউখালী কিংবা কাপ্তাই উপজেলার বিষয়ে সুপারিশ বা মতামত দেওয়া হয়নি। সদর ও কাউখালী উপজেলার দুটি করে মোট চারটি আবেদন ছিল। কাপ্তাইয়ের ব্যাপারে কোনো আবেদন ছিল না।
জেলা বিএনপির সভাপতি দীপন তালুকদার দীপু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিকেএসপি নিয়ে যা হচ্ছে, তাতে আমরা অবাক হচ্ছি। এটা তো হওয়ার কথা ছিল না। রাঙামাটি শহরে ঝগড়াবিলে বিকেএসপি হচ্ছে, এটা তো অনেকটা চূড়ান্ত মনে করেছি। আমরা আশায় বুক বেঁধে ছিলাম, ঝগড়াবিলে এই প্রতিষ্ঠান হলে রাঙামাটি তথা অন্য দুই পার্বত্য জেলার সন্তানেরা সুবিধা পাবে। কিন্তু হঠাৎ কী হলো, আমরা বুঝছি না।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পার্বত্য চট্টগ্রামে স্থাপনা নির্মাণে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের মতামত চাওয়ার নিয়ম থাকলেও কিছু জানে না তারা। পরিষদের জনসংযোগ কর্মকর্তা বিমল চাকমা জানান, রাঙামাটিতে বিকেএসপি হচ্ছে, এটি তাঁরা জানেন না। পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, ‘রাঙামাটিতে কোন জায়গায় বিকেএসপি হচ্ছে, এর সর্বশেষ তথ্য কী, এ নিয়ে পার্বত্য মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হয়নি।’ রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মো. হাবিব উল্লাহ মারুফ বলেন, ‘কোথায় বিকেএসপি হবে, এ নিয়ে জেলা প্রশাসনের কোনো প্রস্তাব চাওয়া হয়নি। রাঙামাটিতে কোথায় বিকেএসপি হচ্ছে, এটা আমি জানি না।’
এ বিষয়ে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাহবুব-উল-আলম বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামে বিকেএসপি খুব প্রয়োজন। বিকেএসপি প্রতিষ্ঠায় যোগাযোগ নিরাপত্তা ও আধুনিক সুযোগ-সুবিধাকে বেশি প্রধান্য দেওয়া হচ্ছে।’

প্রথমবারের মতো বিগ ব্যাশ খেলার অপেক্ষায় ছিল রবিচন্দ্রন অশ্বিন। এই তারকা ক্রিকেটারের অপেক্ষা আপাতত ফুরাচ্ছে না। হাঁটুর ইনজুরির কারণে অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে ব্যয়বহুল ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের পরবর্তী আসর থেকে ছিটকে গেছেন তিনি। এক বার্তায় বিগ ব্যাশের দল সিডনি থান্ডার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
৩৫ মিনিট আগে
সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে সিদ্ধহস্ত ডেওয়াল্ড ব্রেভিস। ওয়ানডেতে ১৫৯.৪২ স্ট্রাইকরেটই বলে দিচ্ছে ব্যাটিংয়ে তিনি বেশ তাণ্ডব চালাতে পারেন। কিন্তু পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে বিধ্বংসী এই ব্যাটারকে পাচ্ছে না দক্ষিণ আফ্রিকা।
১ ঘণ্টা আগে
জীবন কখনো কখনো সিনেমার গল্পকেও হার মানায়। সময় কখনো দেয় দুই হাত ভরে, যা একসময় ভাবা হয়নি, তার চেয়েও অনেক বেশি। ঈর্ষণীয় সাফল্য এমনি ধরা দেয় না। এসবের পেছনে থাকে অধ্যবসায়ের গল্প। শুধু কঠোর পরিশ্রম আর দুচোখ ভরা স্বপ্ন দিয়েই স্বপ্নকে ছাড়িয়ে যাওয়া যায়। লেখা যায় নতুন ইতিহাস। ঠিক তেমন কিছুই করে দেখালেন
২ ঘণ্টা আগে
রিয়াল মাদ্রিদ এই মুহূর্তে উজ্জীবিত এক দল। এই মৌসুমের ১৪ ম্যাচের ১৩টিতেই জয় তাদের। যাঁর কোচিংয়ে এই বদলে যাওয়া ব্লাঙ্কোসদের, সেই জাভি আলোনসোকে ডাগআউটে রেখে অ্যানফিল্ডে চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচ খেলবে রিয়াল। লিভারপুলের মাঠ এই অ্যানফিল্ড আবার জাভি আলোনসোর পুরোনো ঘরও।
২ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

প্রথমবারের মতো বিগ ব্যাশ খেলার অপেক্ষায় ছিল রবিচন্দ্রন অশ্বিন। এই তারকা ক্রিকেটারের অপেক্ষা আপাতত ফুরাচ্ছে না। হাঁটুর ইনজুরির কারণে অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে ব্যয়বহুল ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের পরবর্তী আসর থেকে ছিটকে গেছেন তিনি। এক বার্তায় বিগ ব্যাশের দল সিডনি থান্ডার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
বিগ ব্যাশ সামনে রেখে চেন্নাইয়ে অনুশীলনের সময় হাঁটুতে চোট পান অশ্বিন। সুস্থ হওয়ার জন্য অস্ত্রোপচার করিয়েছেন। মাঠে ফিরতে লম্বা সময় লেগে যাবে এই স্পিনারে। ততদিনে আর সিডনির হয়ে বিগ ব্যাশের পরবর্তী আসরে খেলতে পারবেন না অশ্বিন।
ভারতীয় ক্রিকেটারদের বিদেশী লিগে খেলার অনুমতি দেয় না বিসিসিআই। গত বছরের ডিসেম্বরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেন অশ্বিন। কিছুদিন আগে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগকে (আইপএল) বিদায় বলেন তিনি। এরপর প্রথম বিদেশী ফ্র্যাঞ্চাইজি হিসেবে সিডনি থান্ডারের সঙ্গে চুক্তি করেন অশ্বিন।
বিগ ব্যাশের পরবর্তী আসরে সিডনি থান্ডারের হয়ে তিন থেকে পাঁচটি ম্যাচ খেলার কথা ছিল অশ্বিনের। যেখানে ডেভিড ওয়ার্নার, ক্রিস গ্রিন, শাদাব খানদের মতো ক্রিকেটারদের সতীর্থ হিসেবে পেতেন ভারতীয় দলের এক সময়কার নিয়মিত মুখ। তাঁর দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছে সিডনি।
বিবৃতিতে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি জানিয়েছে, ‘সিডনি থান্ডার রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে শুভকামনা জানিয়েছে। তিনি যেন হাঁটু অস্ত্রোপচারের পরে সুস্থ হয়ে দ্রুত মাঠে ফিরতে পারেন। ইতোমধ্যে এই ক্রিকেটার বিগ ব্যাশের এই মৌসুম থেকে ছিটকে গেছেন।’
এক বিবৃতিতে অশ্বিন বলেন, ‘বিগ ব্যাশের ১৫ তম আসর খেলতে পারব না ভেবে আমি হতাশ। আমার সব মনোযোগ এখন সেরে ওঠা নিয়ে। আমি আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসতে চাই। সিডনি পরিবার এবং সমর্থকরা আমাকে যে উষ্ণতা দেখিয়েছে তার জন্য আমি তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। যদি পুনর্বাসন এবং ভ্রমণ পরিকল্পনা অনুকূল থাকে, তাহলে আমি মৌসুমের শেষের দিকে দলের সাথে থাকতে এবং ভক্তদের সাথে দেখা করতে চাই। সিডনির জন্য শুভকামনা জানাচ্ছি।’

প্রথমবারের মতো বিগ ব্যাশ খেলার অপেক্ষায় ছিল রবিচন্দ্রন অশ্বিন। এই তারকা ক্রিকেটারের অপেক্ষা আপাতত ফুরাচ্ছে না। হাঁটুর ইনজুরির কারণে অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে ব্যয়বহুল ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের পরবর্তী আসর থেকে ছিটকে গেছেন তিনি। এক বার্তায় বিগ ব্যাশের দল সিডনি থান্ডার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
বিগ ব্যাশ সামনে রেখে চেন্নাইয়ে অনুশীলনের সময় হাঁটুতে চোট পান অশ্বিন। সুস্থ হওয়ার জন্য অস্ত্রোপচার করিয়েছেন। মাঠে ফিরতে লম্বা সময় লেগে যাবে এই স্পিনারে। ততদিনে আর সিডনির হয়ে বিগ ব্যাশের পরবর্তী আসরে খেলতে পারবেন না অশ্বিন।
ভারতীয় ক্রিকেটারদের বিদেশী লিগে খেলার অনুমতি দেয় না বিসিসিআই। গত বছরের ডিসেম্বরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেন অশ্বিন। কিছুদিন আগে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগকে (আইপএল) বিদায় বলেন তিনি। এরপর প্রথম বিদেশী ফ্র্যাঞ্চাইজি হিসেবে সিডনি থান্ডারের সঙ্গে চুক্তি করেন অশ্বিন।
বিগ ব্যাশের পরবর্তী আসরে সিডনি থান্ডারের হয়ে তিন থেকে পাঁচটি ম্যাচ খেলার কথা ছিল অশ্বিনের। যেখানে ডেভিড ওয়ার্নার, ক্রিস গ্রিন, শাদাব খানদের মতো ক্রিকেটারদের সতীর্থ হিসেবে পেতেন ভারতীয় দলের এক সময়কার নিয়মিত মুখ। তাঁর দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছে সিডনি।
বিবৃতিতে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি জানিয়েছে, ‘সিডনি থান্ডার রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে শুভকামনা জানিয়েছে। তিনি যেন হাঁটু অস্ত্রোপচারের পরে সুস্থ হয়ে দ্রুত মাঠে ফিরতে পারেন। ইতোমধ্যে এই ক্রিকেটার বিগ ব্যাশের এই মৌসুম থেকে ছিটকে গেছেন।’
এক বিবৃতিতে অশ্বিন বলেন, ‘বিগ ব্যাশের ১৫ তম আসর খেলতে পারব না ভেবে আমি হতাশ। আমার সব মনোযোগ এখন সেরে ওঠা নিয়ে। আমি আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসতে চাই। সিডনি পরিবার এবং সমর্থকরা আমাকে যে উষ্ণতা দেখিয়েছে তার জন্য আমি তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। যদি পুনর্বাসন এবং ভ্রমণ পরিকল্পনা অনুকূল থাকে, তাহলে আমি মৌসুমের শেষের দিকে দলের সাথে থাকতে এবং ভক্তদের সাথে দেখা করতে চাই। সিডনির জন্য শুভকামনা জানাচ্ছি।’

রাঙামাটিতে বিকেএসপি স্থাপনের কথা হচ্ছে এক বছর ধরে। রাঙামাটিতে দ্রুত বিকেএসপি স্থাপন করার জোর দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদেরও। তবে বিকেএসপি, ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, পার্বত্য মন্ত্রণালয়, আঞ্চলিক পরিষদ, জেলা প্রশাসন, জেলা পরিষদের মধ্যে সমন্বয়হীনতায় এগোচ্ছে না স্থাপনার কার্যক্রম।
৬ ঘণ্টা আগে
সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে সিদ্ধহস্ত ডেওয়াল্ড ব্রেভিস। ওয়ানডেতে ১৫৯.৪২ স্ট্রাইকরেটই বলে দিচ্ছে ব্যাটিংয়ে তিনি বেশ তাণ্ডব চালাতে পারেন। কিন্তু পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে বিধ্বংসী এই ব্যাটারকে পাচ্ছে না দক্ষিণ আফ্রিকা।
১ ঘণ্টা আগে
জীবন কখনো কখনো সিনেমার গল্পকেও হার মানায়। সময় কখনো দেয় দুই হাত ভরে, যা একসময় ভাবা হয়নি, তার চেয়েও অনেক বেশি। ঈর্ষণীয় সাফল্য এমনি ধরা দেয় না। এসবের পেছনে থাকে অধ্যবসায়ের গল্প। শুধু কঠোর পরিশ্রম আর দুচোখ ভরা স্বপ্ন দিয়েই স্বপ্নকে ছাড়িয়ে যাওয়া যায়। লেখা যায় নতুন ইতিহাস। ঠিক তেমন কিছুই করে দেখালেন
২ ঘণ্টা আগে
রিয়াল মাদ্রিদ এই মুহূর্তে উজ্জীবিত এক দল। এই মৌসুমের ১৪ ম্যাচের ১৩টিতেই জয় তাদের। যাঁর কোচিংয়ে এই বদলে যাওয়া ব্লাঙ্কোসদের, সেই জাভি আলোনসোকে ডাগআউটে রেখে অ্যানফিল্ডে চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচ খেলবে রিয়াল। লিভারপুলের মাঠ এই অ্যানফিল্ড আবার জাভি আলোনসোর পুরোনো ঘরও।
২ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে সিদ্ধহস্ত ডেওয়াল্ড ব্রেভিস। ওয়ানডেতে ১৫৯.৪২ স্ট্রাইকরেটই বলে দিচ্ছে ব্যাটিংয়ে তিনি বেশ তাণ্ডব চালাতে পারেন। কিন্তু পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে বিধ্বংসী এই ব্যাটারকে পাচ্ছে না দক্ষিণ আফ্রিকা।
ফয়সালাবাদের ইকবাল স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় বেলা চারটায় শুরু হচ্ছে পাকিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম ওয়ানডে। ম্যাচ শুরুর প্রায় ২ ঘণ্টা আগে (বেলা ২টা ৩ মিনিটে) ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকা (সিএসএ) নিজেদের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে এক পোস্টে দিল দুঃসংবাদ। সিএসএ এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘কাঁধের মাংসপেশিতে চোট পেয়ে ডেওয়াল্ড ব্রেভিস পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের দল থেকে ছিটকে গেছেন। লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে শনিবার তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে কাঁধে চোট পেয়েছিলেন। পাকিস্তানে দক্ষিণ আফ্রিকার মেডিকেল টিমে তাঁর পুনর্বাসনপ্রক্রিয়ার কার্যক্রম চলবে। ওয়ানডে সিরিজে তাঁর বদলি খেলোয়াড়ের নাম শিগগিরই ঘোষণা করা হবে।’
পাকিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ দিয়ে ১৭ বছর পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফিরছে ফয়সালাবাদে। ইকবাল স্টেডিয়ামে সবশেষ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট হয়েছিল ২০০৮ সালে। সেবারও হয়েছিল ওয়ানডে। ১৭ বছর আগে সেই ওয়ানডেতে ডাকওয়ার্থ লুইস ও স্টার্ন মেথডে পাকিস্তান ৭ উইকেটে হারিয়েছিল বাংলাদেশকে। সেবার সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৭২ বলে ৭৮ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হয়েছিলেন সালমান বাট।
ফয়সালাবাদ স্টেডিয়ামের ১৭ বছরের অপেক্ষা ফুরোনোর দিনটা বিশেষ শাহিন শাহ আফ্রিদির জন্যও। এর আগে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অধিনায়কত্ব করলেও ওয়ানডেতে কখনো নেতৃত্ব দেওয়া হয়নি তাঁর। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে দিয়ে আজ এই সংস্করণে অধিনায়ক হিসেবে অভিষেক হলো শাহিনের। টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকাকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ম্যাথু ব্রিটজকে। এর আগে পাকিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকা দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ১-১ সমতায় শেষ হয়েছে। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ পাকিস্তান জিতেছে ২-১ ব্যবধানে। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে প্রত্যাবর্তনের ম্যাচে বাবর আজম ভেঙে দিয়েছেন বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মার রেকর্ড।
পাকিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের দ্বিতীয় ও তৃতীয় ওয়ানডেও হবে ফয়সালাবাদে। ৬ ও ৮ নভেম্বর মাঠে গড়াবে সিরিজের শেষ দুই ওয়ানডে। সব ম্যাচই বাংলাদেশ সময় বেলা ৪টায় শুরু হবে। এই সিরিজ শেষে প্রোটিয়ারা যাবে ভারত সফরে। ১৪ নভেম্বর কলকাতায় শুরু হবে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের প্রথম টেস্ট। দ্বিতীয় টেস্ট ২২ নভেম্বর শুরু হবে গুয়াহাটিতে। ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের জন্যই পুনর্বাসনপ্রক্রিয়ার কার্যক্রম শুরু করবেন ব্রেভিস।

সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে সিদ্ধহস্ত ডেওয়াল্ড ব্রেভিস। ওয়ানডেতে ১৫৯.৪২ স্ট্রাইকরেটই বলে দিচ্ছে ব্যাটিংয়ে তিনি বেশ তাণ্ডব চালাতে পারেন। কিন্তু পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে বিধ্বংসী এই ব্যাটারকে পাচ্ছে না দক্ষিণ আফ্রিকা।
ফয়সালাবাদের ইকবাল স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় বেলা চারটায় শুরু হচ্ছে পাকিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম ওয়ানডে। ম্যাচ শুরুর প্রায় ২ ঘণ্টা আগে (বেলা ২টা ৩ মিনিটে) ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকা (সিএসএ) নিজেদের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে এক পোস্টে দিল দুঃসংবাদ। সিএসএ এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘কাঁধের মাংসপেশিতে চোট পেয়ে ডেওয়াল্ড ব্রেভিস পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের দল থেকে ছিটকে গেছেন। লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে শনিবার তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে কাঁধে চোট পেয়েছিলেন। পাকিস্তানে দক্ষিণ আফ্রিকার মেডিকেল টিমে তাঁর পুনর্বাসনপ্রক্রিয়ার কার্যক্রম চলবে। ওয়ানডে সিরিজে তাঁর বদলি খেলোয়াড়ের নাম শিগগিরই ঘোষণা করা হবে।’
পাকিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ দিয়ে ১৭ বছর পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফিরছে ফয়সালাবাদে। ইকবাল স্টেডিয়ামে সবশেষ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট হয়েছিল ২০০৮ সালে। সেবারও হয়েছিল ওয়ানডে। ১৭ বছর আগে সেই ওয়ানডেতে ডাকওয়ার্থ লুইস ও স্টার্ন মেথডে পাকিস্তান ৭ উইকেটে হারিয়েছিল বাংলাদেশকে। সেবার সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৭২ বলে ৭৮ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হয়েছিলেন সালমান বাট।
ফয়সালাবাদ স্টেডিয়ামের ১৭ বছরের অপেক্ষা ফুরোনোর দিনটা বিশেষ শাহিন শাহ আফ্রিদির জন্যও। এর আগে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অধিনায়কত্ব করলেও ওয়ানডেতে কখনো নেতৃত্ব দেওয়া হয়নি তাঁর। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে দিয়ে আজ এই সংস্করণে অধিনায়ক হিসেবে অভিষেক হলো শাহিনের। টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকাকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ম্যাথু ব্রিটজকে। এর আগে পাকিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকা দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ১-১ সমতায় শেষ হয়েছে। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ পাকিস্তান জিতেছে ২-১ ব্যবধানে। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে প্রত্যাবর্তনের ম্যাচে বাবর আজম ভেঙে দিয়েছেন বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মার রেকর্ড।
পাকিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের দ্বিতীয় ও তৃতীয় ওয়ানডেও হবে ফয়সালাবাদে। ৬ ও ৮ নভেম্বর মাঠে গড়াবে সিরিজের শেষ দুই ওয়ানডে। সব ম্যাচই বাংলাদেশ সময় বেলা ৪টায় শুরু হবে। এই সিরিজ শেষে প্রোটিয়ারা যাবে ভারত সফরে। ১৪ নভেম্বর কলকাতায় শুরু হবে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের প্রথম টেস্ট। দ্বিতীয় টেস্ট ২২ নভেম্বর শুরু হবে গুয়াহাটিতে। ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের জন্যই পুনর্বাসনপ্রক্রিয়ার কার্যক্রম শুরু করবেন ব্রেভিস।

রাঙামাটিতে বিকেএসপি স্থাপনের কথা হচ্ছে এক বছর ধরে। রাঙামাটিতে দ্রুত বিকেএসপি স্থাপন করার জোর দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদেরও। তবে বিকেএসপি, ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, পার্বত্য মন্ত্রণালয়, আঞ্চলিক পরিষদ, জেলা প্রশাসন, জেলা পরিষদের মধ্যে সমন্বয়হীনতায় এগোচ্ছে না স্থাপনার কার্যক্রম।
৬ ঘণ্টা আগে
প্রথমবারের মতো বিগ ব্যাশ খেলার অপেক্ষায় ছিল রবিচন্দ্রন অশ্বিন। এই তারকা ক্রিকেটারের অপেক্ষা আপাতত ফুরাচ্ছে না। হাঁটুর ইনজুরির কারণে অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে ব্যয়বহুল ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের পরবর্তী আসর থেকে ছিটকে গেছেন তিনি। এক বার্তায় বিগ ব্যাশের দল সিডনি থান্ডার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
৩৫ মিনিট আগে
জীবন কখনো কখনো সিনেমার গল্পকেও হার মানায়। সময় কখনো দেয় দুই হাত ভরে, যা একসময় ভাবা হয়নি, তার চেয়েও অনেক বেশি। ঈর্ষণীয় সাফল্য এমনি ধরা দেয় না। এসবের পেছনে থাকে অধ্যবসায়ের গল্প। শুধু কঠোর পরিশ্রম আর দুচোখ ভরা স্বপ্ন দিয়েই স্বপ্নকে ছাড়িয়ে যাওয়া যায়। লেখা যায় নতুন ইতিহাস। ঠিক তেমন কিছুই করে দেখালেন
২ ঘণ্টা আগে
রিয়াল মাদ্রিদ এই মুহূর্তে উজ্জীবিত এক দল। এই মৌসুমের ১৪ ম্যাচের ১৩টিতেই জয় তাদের। যাঁর কোচিংয়ে এই বদলে যাওয়া ব্লাঙ্কোসদের, সেই জাভি আলোনসোকে ডাগআউটে রেখে অ্যানফিল্ডে চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচ খেলবে রিয়াল। লিভারপুলের মাঠ এই অ্যানফিল্ড আবার জাভি আলোনসোর পুরোনো ঘরও।
২ ঘণ্টা আগেকারিমুল ইসলাম

জীবন কখনো কখনো সিনেমার গল্পকেও হার মানায়। সময় কখনো দেয় দুই হাত ভরে, যা একসময় ভাবা হয়নি, তার চেয়েও অনেক বেশি। ঈর্ষণীয় সাফল্য এমনি ধরা দেয় না। এসবের পেছনে থাকে অধ্যবসায়ের গল্প। শুধু কঠোর পরিশ্রম আর দুচোখ ভরা স্বপ্ন দিয়েই স্বপ্নকে ছাড়িয়ে যাওয়া যায়। লেখা যায় নতুন ইতিহাস। ঠিক তেমন কিছু করে দেখালেন ক্রান্তি গৌড়। স্বপ্নকে তাড়া করতে গিয়ে তিনি এখন বুন্দেলখন্ডের ছোট শহর ঘুয়ারা ছাপিয়ে গোটা ভারতের গর্বের কারণ।
ক্রান্তি প্রমাণ করলেন, প্রবল ইচ্ছা, তাড়না বা লেগে থাকার তীব্র শক্তি থাকলে কোনো প্রতিকূলতা দমিয়ে রাখতে পারে না। কঠোর অধ্যবসায়ে দারিদ্র্যকে হার মানিয়ে স্বপ্নকে আলিঙ্গন করা যায়। দরিদ্র পরিবারে সাত ভাই-বোনের মধ্যে ক্রান্তিই সবার ছোট। বাবা পুলিশ বিভাগে চাকরি করতেন একসময়। কিন্তু কয়েক বছর আগে চাকরি হারান তিনি। তাতে দুর্দশা বাড়ে। পরিবারের চাকা ঘোরাতে বড় ভাইয়েরা কেউ দিনমজুর, কেউ আবার বাসের কন্ডাক্টর হিসেবে কাজ করতেন। এমন পরিস্থিতিও ক্রান্তির মনে ব্যাট-বলের ভালোবাসায় বিন্দুমাত্র ছেদ পড়তে দেয়নি। দুচোখ ভরা স্বপ্ন নিয়ে লড়াই চালিয়ে গেছেন। যে লড়াই ক্রান্তির হাতে তুলে দিয়েছে বিশ্বকাপের ট্রফি। যেটা ভারতের ইতিহাসে প্রথম।

নভি মুম্বাইয়ের ডি ওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে নতুন ইতিহাস লিখেছেন ভারতের মেয়েরা। ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৫২ রানের জয়ে গোটা দেশ ভেসেছে বিশ্বকাপ জয়ের আনন্দে। হারমানপ্রীত কৌরের দলের এই প্রাপ্তির পেছনে যে কয়েকজনের অবদান সবচেয়ে বেশি, তাদের মধ্যে ক্রান্তির নামটা আলাদাভাবেই নিতে হবে। দীপ্তি শর্মা, শেফালি বার্মা, স্মৃতি মান্ধানা, জেমিমা রদ্রিগেজদের সঙ্গে পাল্লা দিতে না পারলেও ক্রান্তি যা করেছেন, আক্ষরিক অর্থে সেটাও অনেক কিছু।
ফাইনালের দিন গোটা ভারতের নজর ছিল ডি ওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামের দিকে। টিভি পর্দার সামনে বসে দলের প্রতিটি চার, ছক্কা কিংবা বোলারদের উইকেট নেওয়া উপভোগ করেছেন সবাই। পিছিয়ে ছিল না ঘুয়ারার বাসিন্দারাও। নিজেদের মেয়ে ক্রান্তি বিশ্বকাপ দলের অংশ বলে কথা। ফাইনালের দিন তাই একটুকরো উৎসবের নগরীতে রূপ নেয় ঘুয়ারা। খেলা দেখার জন্য বিভিন্ন জায়গায় এলইডি স্ক্রিনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ম্যাচ শুরুর বেশ আগে থেকে নির্ধারিত জায়গায় জড়ো হতে থাকে সবাই। ভারতের জয় নিশ্চিত হতেই ঢোল বাজিয়ে, আতশবাজি ফুটিয়ে, নেচেগেয়ে শুরু হয় শিরোপা উদ্যাপন। ক্রান্তি বিশ্বকাপ দলের অংশ হওয়ায় কারণেই যে এত আয়োজন সেটা বলা বাহুল্য।
ক্রান্তির সফলতার গল্পটা যেন সিনেমার স্ক্রিপ্টের মতো খুব যত্ন করে লেখা। যার শুরুতেই আছে নাটকীয়তা। যে গল্পে কুড়িয়ে পাওয়া সুযোগ কাজে লাগিয়ে নায়কের ভূমিকায় ক্রান্তি। ২২ বছর বয়সী ক্রিকেটারের শুরুটা হয়েছিল টেপ টেনিস দিয়ে। একদিন বিশেষ এক ম্যাচে একজন খেলোয়াড়ের কম থাকায় একাদশে সুযোগ পেয়ে যান ক্রান্তি। সেই যে শুরু, আর থামেননি এই পেসার। এরপর একে একে নিজেকে প্রমাণ করে গেছেন। যে মঞ্চ পেয়েছেন, সেখানেই দিয়েছেন নিজের সেরাটা। সর্বশেষ বিশ্বকাপের মঞ্চে বুন্দেলখন্ড ছাপিয়ে গোটা দেশের নায়ক বনে গেলেন।

সেই টেপ টেনিস ম্যাচে ব্যাট-বল দুই বিভাগেই দুর্দান্ত পারফর্ম করে সেরা খেলোয়াডড়ের পুরস্কার জেতেন ক্রান্তি। সেদিন দর্শকদের মধ্যে ছিলেন ছত্রপুর জেলা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের কোচ এবং সচিব রাজীব বিলথ্রে। খেলায় মুগ্ধ হয়ে ক্রান্তিকে প্রশিক্ষণের জন্য ডাকেন। একই সঙ্গে এই ক্রিকেটারের ফিটনেস এবং কৌশলগত উন্নতি নিয়েও কাজ শুরু করেন তিনি। এভাবেই ক্রান্তিকে টেপ টেনিস থেকে চামড়ার বলের ক্রিকেটারে রূপান্তরিত করেন বিলথ্রে। তাঁর সহায়তায় ক্রান্তি ছত্রপুর একাডেমিতে যোগ দেন এবং অল্প সময়ের মধ্যে মধ্যপ্রদেশ মহিলা দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। ২০২৪ সালে প্রথমবারের মধ্যপ্রদেশকে আঞ্চলিক ওয়ানডে শিরোপা জেতাতে বল হাতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন ক্রান্তি।
মধ্যপ্রদেশের হয়ে নিজেকে প্রমাণ করে উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগে খেলার সুযোগ পান ক্রান্তি। ১০ লাখ টাকায় তাঁকে কিনে নেয় ইউপি ওয়ারিয়র্স। এই দলের হয়ে দারুণ বোলিংয়ে নজর কাড়েন, প্রথমবারের মতো ডাক পান ভারত নারী দলে। জাতীয় দলের ইংল্যান্ড সফরে সাড়া ফেলে দেন এই তরুণী। চেস্টার লে স্ট্রিটে ৫২ রানে ৬ উইকেট নিয়ে খবরের শিরোনাম হন। এরপরের গল্পটা তো সবারই জানা।
বিশ্বকাপেও নিজেকে প্রমাণ করেন আলাদাভাবেই। টুর্নামেন্টজুড়ে ৮ ম্যাচে তাঁর শিকার ৯ উইকেট। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে ভারতের নারী ক্রিকেটের যে নতুন ইতিহাস রচিত হলো, এর শুরুর দিকেই ছিল পাকিস্তান বধের আনন্দ। লিগ পর্বে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে প্রতিবেশী দেশকে ৮৮ রানে হারায় ভারত। সে ম্যাচে ১০ ওভার বল করে মাত্র ২০ রানে প্রতিপক্ষের ৩ ব্যাটারকে ফেরান ক্রান্তি। জেতেন ম্যাচসেরার পুরস্কার।
ভারতের ইতিহাস রচনার সারথি হয়ে নিজেকে অন্য এক উচ্চতায় নিয়ে গেছেন ক্রান্তি। তার সফলতায় সবচেয়ে খুশি হয়েছে পরিবার। ফাইনালে ভারতের জয় নিশ্চিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আনন্দের বন্যা বয়ে যায় ঘুয়ারার দুই কক্ষের একটি বাড়িতে। মেয়ের হাতে বিশ্বকাপ ট্রফি দেখে সেই বাড়িতে বসে আনন্দে কেঁদেছেন বৃদ্ধ মা-বাবা। দর্শনার্থী এবং সংবাদমাধ্যমের সামনে বোনকে নিয়ে কথা বলেছেন ক্রান্তির ভাই-বোনেরা। হয়তো তখন পরিবারের সবার ছোট মানুষটাকে নিয়ে গর্বে বুক ভরে গেছে তাঁদের। বিশ্বকাপজয়ী দলের একজন সদস্যকে নিয়ে এমন অনুভূতি হওয়া স্বাভাবিক।

জীবন কখনো কখনো সিনেমার গল্পকেও হার মানায়। সময় কখনো দেয় দুই হাত ভরে, যা একসময় ভাবা হয়নি, তার চেয়েও অনেক বেশি। ঈর্ষণীয় সাফল্য এমনি ধরা দেয় না। এসবের পেছনে থাকে অধ্যবসায়ের গল্প। শুধু কঠোর পরিশ্রম আর দুচোখ ভরা স্বপ্ন দিয়েই স্বপ্নকে ছাড়িয়ে যাওয়া যায়। লেখা যায় নতুন ইতিহাস। ঠিক তেমন কিছু করে দেখালেন ক্রান্তি গৌড়। স্বপ্নকে তাড়া করতে গিয়ে তিনি এখন বুন্দেলখন্ডের ছোট শহর ঘুয়ারা ছাপিয়ে গোটা ভারতের গর্বের কারণ।
ক্রান্তি প্রমাণ করলেন, প্রবল ইচ্ছা, তাড়না বা লেগে থাকার তীব্র শক্তি থাকলে কোনো প্রতিকূলতা দমিয়ে রাখতে পারে না। কঠোর অধ্যবসায়ে দারিদ্র্যকে হার মানিয়ে স্বপ্নকে আলিঙ্গন করা যায়। দরিদ্র পরিবারে সাত ভাই-বোনের মধ্যে ক্রান্তিই সবার ছোট। বাবা পুলিশ বিভাগে চাকরি করতেন একসময়। কিন্তু কয়েক বছর আগে চাকরি হারান তিনি। তাতে দুর্দশা বাড়ে। পরিবারের চাকা ঘোরাতে বড় ভাইয়েরা কেউ দিনমজুর, কেউ আবার বাসের কন্ডাক্টর হিসেবে কাজ করতেন। এমন পরিস্থিতিও ক্রান্তির মনে ব্যাট-বলের ভালোবাসায় বিন্দুমাত্র ছেদ পড়তে দেয়নি। দুচোখ ভরা স্বপ্ন নিয়ে লড়াই চালিয়ে গেছেন। যে লড়াই ক্রান্তির হাতে তুলে দিয়েছে বিশ্বকাপের ট্রফি। যেটা ভারতের ইতিহাসে প্রথম।

নভি মুম্বাইয়ের ডি ওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে নতুন ইতিহাস লিখেছেন ভারতের মেয়েরা। ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৫২ রানের জয়ে গোটা দেশ ভেসেছে বিশ্বকাপ জয়ের আনন্দে। হারমানপ্রীত কৌরের দলের এই প্রাপ্তির পেছনে যে কয়েকজনের অবদান সবচেয়ে বেশি, তাদের মধ্যে ক্রান্তির নামটা আলাদাভাবেই নিতে হবে। দীপ্তি শর্মা, শেফালি বার্মা, স্মৃতি মান্ধানা, জেমিমা রদ্রিগেজদের সঙ্গে পাল্লা দিতে না পারলেও ক্রান্তি যা করেছেন, আক্ষরিক অর্থে সেটাও অনেক কিছু।
ফাইনালের দিন গোটা ভারতের নজর ছিল ডি ওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামের দিকে। টিভি পর্দার সামনে বসে দলের প্রতিটি চার, ছক্কা কিংবা বোলারদের উইকেট নেওয়া উপভোগ করেছেন সবাই। পিছিয়ে ছিল না ঘুয়ারার বাসিন্দারাও। নিজেদের মেয়ে ক্রান্তি বিশ্বকাপ দলের অংশ বলে কথা। ফাইনালের দিন তাই একটুকরো উৎসবের নগরীতে রূপ নেয় ঘুয়ারা। খেলা দেখার জন্য বিভিন্ন জায়গায় এলইডি স্ক্রিনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ম্যাচ শুরুর বেশ আগে থেকে নির্ধারিত জায়গায় জড়ো হতে থাকে সবাই। ভারতের জয় নিশ্চিত হতেই ঢোল বাজিয়ে, আতশবাজি ফুটিয়ে, নেচেগেয়ে শুরু হয় শিরোপা উদ্যাপন। ক্রান্তি বিশ্বকাপ দলের অংশ হওয়ায় কারণেই যে এত আয়োজন সেটা বলা বাহুল্য।
ক্রান্তির সফলতার গল্পটা যেন সিনেমার স্ক্রিপ্টের মতো খুব যত্ন করে লেখা। যার শুরুতেই আছে নাটকীয়তা। যে গল্পে কুড়িয়ে পাওয়া সুযোগ কাজে লাগিয়ে নায়কের ভূমিকায় ক্রান্তি। ২২ বছর বয়সী ক্রিকেটারের শুরুটা হয়েছিল টেপ টেনিস দিয়ে। একদিন বিশেষ এক ম্যাচে একজন খেলোয়াড়ের কম থাকায় একাদশে সুযোগ পেয়ে যান ক্রান্তি। সেই যে শুরু, আর থামেননি এই পেসার। এরপর একে একে নিজেকে প্রমাণ করে গেছেন। যে মঞ্চ পেয়েছেন, সেখানেই দিয়েছেন নিজের সেরাটা। সর্বশেষ বিশ্বকাপের মঞ্চে বুন্দেলখন্ড ছাপিয়ে গোটা দেশের নায়ক বনে গেলেন।

সেই টেপ টেনিস ম্যাচে ব্যাট-বল দুই বিভাগেই দুর্দান্ত পারফর্ম করে সেরা খেলোয়াডড়ের পুরস্কার জেতেন ক্রান্তি। সেদিন দর্শকদের মধ্যে ছিলেন ছত্রপুর জেলা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের কোচ এবং সচিব রাজীব বিলথ্রে। খেলায় মুগ্ধ হয়ে ক্রান্তিকে প্রশিক্ষণের জন্য ডাকেন। একই সঙ্গে এই ক্রিকেটারের ফিটনেস এবং কৌশলগত উন্নতি নিয়েও কাজ শুরু করেন তিনি। এভাবেই ক্রান্তিকে টেপ টেনিস থেকে চামড়ার বলের ক্রিকেটারে রূপান্তরিত করেন বিলথ্রে। তাঁর সহায়তায় ক্রান্তি ছত্রপুর একাডেমিতে যোগ দেন এবং অল্প সময়ের মধ্যে মধ্যপ্রদেশ মহিলা দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। ২০২৪ সালে প্রথমবারের মধ্যপ্রদেশকে আঞ্চলিক ওয়ানডে শিরোপা জেতাতে বল হাতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন ক্রান্তি।
মধ্যপ্রদেশের হয়ে নিজেকে প্রমাণ করে উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগে খেলার সুযোগ পান ক্রান্তি। ১০ লাখ টাকায় তাঁকে কিনে নেয় ইউপি ওয়ারিয়র্স। এই দলের হয়ে দারুণ বোলিংয়ে নজর কাড়েন, প্রথমবারের মতো ডাক পান ভারত নারী দলে। জাতীয় দলের ইংল্যান্ড সফরে সাড়া ফেলে দেন এই তরুণী। চেস্টার লে স্ট্রিটে ৫২ রানে ৬ উইকেট নিয়ে খবরের শিরোনাম হন। এরপরের গল্পটা তো সবারই জানা।
বিশ্বকাপেও নিজেকে প্রমাণ করেন আলাদাভাবেই। টুর্নামেন্টজুড়ে ৮ ম্যাচে তাঁর শিকার ৯ উইকেট। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে ভারতের নারী ক্রিকেটের যে নতুন ইতিহাস রচিত হলো, এর শুরুর দিকেই ছিল পাকিস্তান বধের আনন্দ। লিগ পর্বে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে প্রতিবেশী দেশকে ৮৮ রানে হারায় ভারত। সে ম্যাচে ১০ ওভার বল করে মাত্র ২০ রানে প্রতিপক্ষের ৩ ব্যাটারকে ফেরান ক্রান্তি। জেতেন ম্যাচসেরার পুরস্কার।
ভারতের ইতিহাস রচনার সারথি হয়ে নিজেকে অন্য এক উচ্চতায় নিয়ে গেছেন ক্রান্তি। তার সফলতায় সবচেয়ে খুশি হয়েছে পরিবার। ফাইনালে ভারতের জয় নিশ্চিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আনন্দের বন্যা বয়ে যায় ঘুয়ারার দুই কক্ষের একটি বাড়িতে। মেয়ের হাতে বিশ্বকাপ ট্রফি দেখে সেই বাড়িতে বসে আনন্দে কেঁদেছেন বৃদ্ধ মা-বাবা। দর্শনার্থী এবং সংবাদমাধ্যমের সামনে বোনকে নিয়ে কথা বলেছেন ক্রান্তির ভাই-বোনেরা। হয়তো তখন পরিবারের সবার ছোট মানুষটাকে নিয়ে গর্বে বুক ভরে গেছে তাঁদের। বিশ্বকাপজয়ী দলের একজন সদস্যকে নিয়ে এমন অনুভূতি হওয়া স্বাভাবিক।

রাঙামাটিতে বিকেএসপি স্থাপনের কথা হচ্ছে এক বছর ধরে। রাঙামাটিতে দ্রুত বিকেএসপি স্থাপন করার জোর দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদেরও। তবে বিকেএসপি, ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, পার্বত্য মন্ত্রণালয়, আঞ্চলিক পরিষদ, জেলা প্রশাসন, জেলা পরিষদের মধ্যে সমন্বয়হীনতায় এগোচ্ছে না স্থাপনার কার্যক্রম।
৬ ঘণ্টা আগে
প্রথমবারের মতো বিগ ব্যাশ খেলার অপেক্ষায় ছিল রবিচন্দ্রন অশ্বিন। এই তারকা ক্রিকেটারের অপেক্ষা আপাতত ফুরাচ্ছে না। হাঁটুর ইনজুরির কারণে অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে ব্যয়বহুল ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের পরবর্তী আসর থেকে ছিটকে গেছেন তিনি। এক বার্তায় বিগ ব্যাশের দল সিডনি থান্ডার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
৩৫ মিনিট আগে
সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে সিদ্ধহস্ত ডেওয়াল্ড ব্রেভিস। ওয়ানডেতে ১৫৯.৪২ স্ট্রাইকরেটই বলে দিচ্ছে ব্যাটিংয়ে তিনি বেশ তাণ্ডব চালাতে পারেন। কিন্তু পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে বিধ্বংসী এই ব্যাটারকে পাচ্ছে না দক্ষিণ আফ্রিকা।
১ ঘণ্টা আগে
রিয়াল মাদ্রিদ এই মুহূর্তে উজ্জীবিত এক দল। এই মৌসুমের ১৪ ম্যাচের ১৩টিতেই জয় তাদের। যাঁর কোচিংয়ে এই বদলে যাওয়া ব্লাঙ্কোসদের, সেই জাভি আলোনসোকে ডাগআউটে রেখে অ্যানফিল্ডে চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচ খেলবে রিয়াল। লিভারপুলের মাঠ এই অ্যানফিল্ড আবার জাভি আলোনসোর পুরোনো ঘরও।
২ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

রিয়াল মাদ্রিদ এই মুহূর্তে উজ্জীবিত এক দল। এই মৌসুমের ১৪ ম্যাচের ১৩টিতেই জয় তাদের। যাঁর কোচিংয়ে এই বদলে যাওয়া ব্লাঙ্কোসদের, সেই জাভি আলোনসোকে ডাগআউটে রেখে অ্যানফিল্ডে চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচ খেলবে রিয়াল। লিভারপুলের মাঠ এই অ্যানফিল্ড আবার জাভি আলোনসোর পুরোনো ঘরও।
২০০৯ থেকে ২০১৪—এই পাঁচ বছর খেলোয়াড় হিসেবে রিয়ালে কাটানোর আগের পাঁচ বছর লিভারপুলেই ছিলেন আলোনসো। খেলেছেন ১৪৩ ম্যাচ, গোলও আছে ১৫টি। পুরোনো ঘরে আজ আলোনসো ভিন্ন দলের কোচ হিসেবে গেলেও লিভারপুলের কাছে এই ম্যাচে তাঁর পরিচিতি শত্রু শিবিরের লোক!
তবে এমন সময়ে দুই দল মুখোমুখি হচ্ছে, যখন দুই দলের পারফরম্যান্স পুরোপুরি বিপরীতমুখী। একের পর এক জিতেই চলেছে রিয়াল। ঠিক উল্টো অবস্থান আর্নে স্লটের দলের। শেষ আট ম্যাচের মাত্র দুটিতে জয় পেয়েছে লিভারপুল। দিন কয়েক আগে ঘরের মাঠে শেষ ষোলোয় ক্রিস্টাল প্যালেসের কাছে হেরে বিদায় নিয়েছে লিগ কাপ থেকেও।
এই অবস্থায় ঘরের মাঠে খেললেও রিয়াল মাদ্রিদকে আটকানোটা লিভারপুলের জন্য খুবই কঠিন। ডিফেন্স জমাট ছিল না বলে আগের মৌসুমে ভূরি ভূরি গোল হজম করেছে রিয়াল। আলোনসো দায়িত্ব নিয়ে সেই ভঙ্গুর রক্ষণ সারিয়ে তুলেছেন। উর্বর মস্তিষ্কের খেলোয়াড় ছিলেন আলোনসো, এটা সবারই জানা। লিভারপুলের আরও বেশি জানা, কেননা ২০০৫ সালে ইস্তাম্বুলে অলরেডদের চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ে ছিল তাঁর বড় ভূমিকা। রিয়াল মাদ্রিদের কোচ হিসেবে এসেই উর্বর মস্তিষ্কের ব্যবহার করছেন আলোনসো। তাতে রিয়াল আরও শাণিত, তাদের রক্ষণ আরও দৃঢ়। স্প্যানিশ দৈনিক মার্কা লিখেছে—‘আলোনসোর রিয়াল এখন প্রতিপক্ষকে দমিয়ে রাখে, শ্বাস নিতে দেয় না।’

আলোনসোর সান্নিধ্যে এমবাপ্পে, বেলিংহাম, ভিনিসিয়ুস—সবাই যেন খুঁজে পেয়েছেন নতুন জীবন। বেলিংহাম বার্সেলোনা, জুভেন্তাস ও ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে টানা গোল করে প্রমাণ দিয়েছেন, তিনি আলোনসোর পরিকল্পনার কেন্দ্রে। এমবাপ্পে যোগ করেছেন নতুন মাত্রা, নিজের খেলার সঙ্গে প্রেসিং যোগ করে হয়েছেন আরও ভয়ংকর। আর তরুণ আরদা গুলারকে গড়ে তোলা হচ্ছে ভবিষ্যতের ক্রুস-মদরিচের উত্তরসূরি হিসেবে। ভিনিসিয়ুসের সঙ্গে ক্ষণিকের বিরোধও আলোনসো সামলে নিয়েছেন শান্তভাবে, অভিজ্ঞ নেতার মতো।
তাই পুরোনো ঘরে ফিরলেও পেশাদার কোচ হিসেবে আলোনসোর লক্ষ্য একটাই—অ্যানফিল্ডে জিতে সবাইকে এই বার্তাই দেওয়া রিয়াল আবারও ইউরোপ শাসন করতে প্রস্তুত।

রিয়াল মাদ্রিদ এই মুহূর্তে উজ্জীবিত এক দল। এই মৌসুমের ১৪ ম্যাচের ১৩টিতেই জয় তাদের। যাঁর কোচিংয়ে এই বদলে যাওয়া ব্লাঙ্কোসদের, সেই জাভি আলোনসোকে ডাগআউটে রেখে অ্যানফিল্ডে চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচ খেলবে রিয়াল। লিভারপুলের মাঠ এই অ্যানফিল্ড আবার জাভি আলোনসোর পুরোনো ঘরও।
২০০৯ থেকে ২০১৪—এই পাঁচ বছর খেলোয়াড় হিসেবে রিয়ালে কাটানোর আগের পাঁচ বছর লিভারপুলেই ছিলেন আলোনসো। খেলেছেন ১৪৩ ম্যাচ, গোলও আছে ১৫টি। পুরোনো ঘরে আজ আলোনসো ভিন্ন দলের কোচ হিসেবে গেলেও লিভারপুলের কাছে এই ম্যাচে তাঁর পরিচিতি শত্রু শিবিরের লোক!
তবে এমন সময়ে দুই দল মুখোমুখি হচ্ছে, যখন দুই দলের পারফরম্যান্স পুরোপুরি বিপরীতমুখী। একের পর এক জিতেই চলেছে রিয়াল। ঠিক উল্টো অবস্থান আর্নে স্লটের দলের। শেষ আট ম্যাচের মাত্র দুটিতে জয় পেয়েছে লিভারপুল। দিন কয়েক আগে ঘরের মাঠে শেষ ষোলোয় ক্রিস্টাল প্যালেসের কাছে হেরে বিদায় নিয়েছে লিগ কাপ থেকেও।
এই অবস্থায় ঘরের মাঠে খেললেও রিয়াল মাদ্রিদকে আটকানোটা লিভারপুলের জন্য খুবই কঠিন। ডিফেন্স জমাট ছিল না বলে আগের মৌসুমে ভূরি ভূরি গোল হজম করেছে রিয়াল। আলোনসো দায়িত্ব নিয়ে সেই ভঙ্গুর রক্ষণ সারিয়ে তুলেছেন। উর্বর মস্তিষ্কের খেলোয়াড় ছিলেন আলোনসো, এটা সবারই জানা। লিভারপুলের আরও বেশি জানা, কেননা ২০০৫ সালে ইস্তাম্বুলে অলরেডদের চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ে ছিল তাঁর বড় ভূমিকা। রিয়াল মাদ্রিদের কোচ হিসেবে এসেই উর্বর মস্তিষ্কের ব্যবহার করছেন আলোনসো। তাতে রিয়াল আরও শাণিত, তাদের রক্ষণ আরও দৃঢ়। স্প্যানিশ দৈনিক মার্কা লিখেছে—‘আলোনসোর রিয়াল এখন প্রতিপক্ষকে দমিয়ে রাখে, শ্বাস নিতে দেয় না।’

আলোনসোর সান্নিধ্যে এমবাপ্পে, বেলিংহাম, ভিনিসিয়ুস—সবাই যেন খুঁজে পেয়েছেন নতুন জীবন। বেলিংহাম বার্সেলোনা, জুভেন্তাস ও ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে টানা গোল করে প্রমাণ দিয়েছেন, তিনি আলোনসোর পরিকল্পনার কেন্দ্রে। এমবাপ্পে যোগ করেছেন নতুন মাত্রা, নিজের খেলার সঙ্গে প্রেসিং যোগ করে হয়েছেন আরও ভয়ংকর। আর তরুণ আরদা গুলারকে গড়ে তোলা হচ্ছে ভবিষ্যতের ক্রুস-মদরিচের উত্তরসূরি হিসেবে। ভিনিসিয়ুসের সঙ্গে ক্ষণিকের বিরোধও আলোনসো সামলে নিয়েছেন শান্তভাবে, অভিজ্ঞ নেতার মতো।
তাই পুরোনো ঘরে ফিরলেও পেশাদার কোচ হিসেবে আলোনসোর লক্ষ্য একটাই—অ্যানফিল্ডে জিতে সবাইকে এই বার্তাই দেওয়া রিয়াল আবারও ইউরোপ শাসন করতে প্রস্তুত।

রাঙামাটিতে বিকেএসপি স্থাপনের কথা হচ্ছে এক বছর ধরে। রাঙামাটিতে দ্রুত বিকেএসপি স্থাপন করার জোর দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদেরও। তবে বিকেএসপি, ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, পার্বত্য মন্ত্রণালয়, আঞ্চলিক পরিষদ, জেলা প্রশাসন, জেলা পরিষদের মধ্যে সমন্বয়হীনতায় এগোচ্ছে না স্থাপনার কার্যক্রম।
৬ ঘণ্টা আগে
প্রথমবারের মতো বিগ ব্যাশ খেলার অপেক্ষায় ছিল রবিচন্দ্রন অশ্বিন। এই তারকা ক্রিকেটারের অপেক্ষা আপাতত ফুরাচ্ছে না। হাঁটুর ইনজুরির কারণে অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে ব্যয়বহুল ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের পরবর্তী আসর থেকে ছিটকে গেছেন তিনি। এক বার্তায় বিগ ব্যাশের দল সিডনি থান্ডার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
৩৫ মিনিট আগে
সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে সিদ্ধহস্ত ডেওয়াল্ড ব্রেভিস। ওয়ানডেতে ১৫৯.৪২ স্ট্রাইকরেটই বলে দিচ্ছে ব্যাটিংয়ে তিনি বেশ তাণ্ডব চালাতে পারেন। কিন্তু পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে বিধ্বংসী এই ব্যাটারকে পাচ্ছে না দক্ষিণ আফ্রিকা।
১ ঘণ্টা আগে
জীবন কখনো কখনো সিনেমার গল্পকেও হার মানায়। সময় কখনো দেয় দুই হাত ভরে, যা একসময় ভাবা হয়নি, তার চেয়েও অনেক বেশি। ঈর্ষণীয় সাফল্য এমনি ধরা দেয় না। এসবের পেছনে থাকে অধ্যবসায়ের গল্প। শুধু কঠোর পরিশ্রম আর দুচোখ ভরা স্বপ্ন দিয়েই স্বপ্নকে ছাড়িয়ে যাওয়া যায়। লেখা যায় নতুন ইতিহাস। ঠিক তেমন কিছুই করে দেখালেন
২ ঘণ্টা আগে