রানা আব্বাস

প্রশ্ন: আপনার এত বড় সিদ্ধান্তের পেছনে মূল কারণ কী?
রোমান সানা: হতাশা, আক্ষেপ থেকে। ১৪ বছর ধরে আর্চারি খেললাম। এখন আমার পরিবার বড় হয়েছে। খরচ বেড়েছে সবকিছুর। একটা জাতীয় দলের খেলোয়াড় যদি তাঁর স্ত্রী-পরিবার না চালাতে পারে, এর চেয়ে দুঃখের আর কী হতে পারে। স্ত্রীর কাছ থেকে টাকা নিয়ে...।
প্রশ্ন: আপনাদের হাত ধরে আর্চারি পরিচিতি পেয়েছে দেশে। কিন্তু এখানে শীর্ষস্থানীয় খেলোয়াড় হিসেবে আপনার এই আর্থিক দুর্দশা না কাটার কারণ কী?
রোমান: ৩ হাজার টাকা বেতন দেয়। সেটাও ২০২৩ সাল থেকে। এর আগে ছিল ৫০ টাকা দৈনিক ভাতা। ২০১৯ সালে যখন তীর আসে স্পনসর হিসেবে, তখন সুযোগ-সুবিধা বাড়িয়েছিল। র্যাঙ্কিংয়ের এক ও দুই নম্বর খেলোয়াড়কে ৫ ও ৭ হাজার টাকা দিত। তখন আমি টপ হিসেবে ৭ হাজার টাকা পেতাম। আর পদক পেলে এদিক-সেদিক থেকে ২০-৩০ হাজার টাকা আসত। বছর শেষে হয়তো এক, দেড় লাখ টাকা পেতাম। চিন্তা করুন, এই হচ্ছে অবস্থা। দেশের বাইরে খেলতে গেলে পুরো সফরে পকেটমানি দেয় ১০০ ডলার। দিনপ্রতি গড়ে ১৫ ডলার। এভাবে কত দিন খেলব? আমার নিষেধাজ্ঞার পর ব্যক্তিগত পৃষ্ঠপোষক থেকে শুরু করে সব চলে গেল। তবু কত কিছু করে নিজেকে ফিরিয়েছি ভালো করে খেলব বলে। যত সঞ্চয় ছিল, সব শেষ। এখন সংসার চালাতে গেলে... আমাকে ঢাকায় থাকতে হবে। দলের সঙ্গে থাকতে পারি না, ৫ হাজার টাকা বেতন। একটি মোটামুটি বাসযোগ্য ভালো বাসাভাড়াও ১০ হাজার টাকার ওপরে। আনসারে বেতন পাই ২৫ হাজার টাকা। ১০-১৫ হাজার যদি বাসা ভাড়া যায়, মায়ের ওষুধ, থাকা-খাওয়া, চলার খরচ...এভাবে যদি জাতীয় দলের একজন খেলোয়াড়কে জীবনযাপন করতে হয়! সবাই বলবে আপনি তাহলে কী আয়-উপার্জন করেছেন, সেসব দিয়ে কী করেছেন। আমি কী-ইবা আয় করেছি?
প্রশ্ন: আপনার চরম আর্থিক দুর্দশা সামনে আসছে, কিন্তু এ সংকট নিরসনে নীতিনির্ধারকেরা কী ভূমিকা রাখছেন এখানে?
রোমান: দেখুন, কোন ইভেন্ট থেকে ভালো ফল আনিনি? অল্পিম্পিক কোয়ালিফাই করলাম, ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ, বিশ্বকাপ, এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ, এশিয়া কাপ—বাংলাদেশের কোন অ্যাথলেটের এত ফল আছে দেখান। অথচ দক্ষিণ এশিয়ান গেমসে সোনা পাওয়া অ্যাথলেটরা সবকিছু পাচ্ছেন। দক্ষিণ এশিয়ান গেমসে বাদে আমাদের সোনার পদক দেখিয়ে দিন। আজ আমার কষ্টে দিন যায়, সংসার চালাতে হিমশিম খাই। আমি নাকি এত বড় খেলোয়াড়। অথচ ভারতে দুই বছর আর্চারি খেলা একজন খেলোয়াড়কে দেখেন, সুযোগ-সুবিধায় কত পার্থক্য। ১৪ বছর ধরে খেলি, আফসোস হয়। তারা ভালো খেলবে না কেন? পদকপ্রাপ্ত একজন অ্যাথলেটকে কী যত্ন নেয় তারা। আমাদের আনুষঙ্গিক আনুষ্ঠানিকতা আছে, তবে খেলোয়াড়দের টাকা নেই।
প্রশ্ন: অবসর নিলেই যে আপনার জীবনের সংকট দ্রুত দূর হয়ে যাচ্ছে, সে নিশ্চয়তাও কি পাচ্ছেন?
রোমান: আমার হাতে অনেক অপশন আছে। আনসার আমাকে বেশ সুযোগ-সুবিধা দেয়। জাতীয় পর্যায়ে খেলে বাকি ছয় মাস বাড়িতে থাকলাম। এই যে সময়টা, এ সময়ে যদি আমি রিকশাও চালাই, তবু মাসে ১০ হাজার টাকা আয় করতে পারব। শুধু বোঝানোর জন্য বলছি। পৃথিবীতে কাজের তো অভাব নেই। তারা আমাকে দৈনিক ৮ ঘণ্টার পরিশ্রমে ৩ হাজার টাকা দেয়। এর চেয়ে তো রিকশা চালানো ভালো!
প্রশ্ন: সর্বোচ্চ পর্যায়ে থেকে যদি আপনাকে আবার অনুরোধ করা হয় অবসর ভেঙে ফেরার, কী করবেন তখন?
রোমান: আমি অবশ্যই ফিরব, তবে শর্ত সাপেক্ষে। আমাকে সুযোগ-সুবিধা দেবে, আমি খেলব। এ ছাড়া খেলব না, পরিষ্কার কথা। এই কথাটা বলতে আমার কষ্ট হচ্ছে। আমার জীবনে এ রকম পরিস্থিতি আসবে, কথা বলতে হবে—কল্পনাও করিনি।
প্রশ্ন: কেউ কেউ বলছেন, ফর্ম হারিয়ে ছিটকে পড়েছেন ইরাকের বাগদাদে হওয়া এশিয়া কাপের দল থেকে। সব মিলিয়ে হতাশ আপনি, এ রকম বিষয়ও আসছে।
রোমান: বাগদাদে যেতে পারিনি, আমাকে দল থেকে বাদ দিয়েছে। কোচ যে দল নির্বাচন করে গেছেন, সেই দল বাদ দিয়ে বিকেএসপির সঙ্গে মিলিয়ে আরেকটা নিয়ে গেছে। দলের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি তো সবাই জানে না। এগুলো বললে সহ্য করতে পারবে না অনেকেই। আমি রোমান সানা কোনো কোয়ালিফাই ছাড়া গেছি, দেখাক। ট্রায়ালে সেরা পাঁচে থেকেছি ১৪ বছরের ক্যারিয়ারে। দয়ার ভিত্তিতে দলে সুযোগ পাইনি, প্রমাণ প্রতিবছরের প্রতিটি রেজাল্ট শিট। যারা এটা বলে, তাদের প্লিজ রেজাল্ট শিট দেখতে বলবেন। অন্য খেলোয়াড়েরা ভালো না করলেও দলে রাখছেন, তাদের নিয়ে তো এত কথা আসছে না। রোমান সানা চলে গেল, তাকে মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছেন পারফরম্যান্স নিয়ে।
প্রশ্ন: আপনার এত বড় সিদ্ধান্তের পেছনে মূল কারণ কী?
রোমান সানা: হতাশা, আক্ষেপ থেকে। ১৪ বছর ধরে আর্চারি খেললাম। এখন আমার পরিবার বড় হয়েছে। খরচ বেড়েছে সবকিছুর। একটা জাতীয় দলের খেলোয়াড় যদি তাঁর স্ত্রী-পরিবার না চালাতে পারে, এর চেয়ে দুঃখের আর কী হতে পারে। স্ত্রীর কাছ থেকে টাকা নিয়ে...।
প্রশ্ন: আপনাদের হাত ধরে আর্চারি পরিচিতি পেয়েছে দেশে। কিন্তু এখানে শীর্ষস্থানীয় খেলোয়াড় হিসেবে আপনার এই আর্থিক দুর্দশা না কাটার কারণ কী?
রোমান: ৩ হাজার টাকা বেতন দেয়। সেটাও ২০২৩ সাল থেকে। এর আগে ছিল ৫০ টাকা দৈনিক ভাতা। ২০১৯ সালে যখন তীর আসে স্পনসর হিসেবে, তখন সুযোগ-সুবিধা বাড়িয়েছিল। র্যাঙ্কিংয়ের এক ও দুই নম্বর খেলোয়াড়কে ৫ ও ৭ হাজার টাকা দিত। তখন আমি টপ হিসেবে ৭ হাজার টাকা পেতাম। আর পদক পেলে এদিক-সেদিক থেকে ২০-৩০ হাজার টাকা আসত। বছর শেষে হয়তো এক, দেড় লাখ টাকা পেতাম। চিন্তা করুন, এই হচ্ছে অবস্থা। দেশের বাইরে খেলতে গেলে পুরো সফরে পকেটমানি দেয় ১০০ ডলার। দিনপ্রতি গড়ে ১৫ ডলার। এভাবে কত দিন খেলব? আমার নিষেধাজ্ঞার পর ব্যক্তিগত পৃষ্ঠপোষক থেকে শুরু করে সব চলে গেল। তবু কত কিছু করে নিজেকে ফিরিয়েছি ভালো করে খেলব বলে। যত সঞ্চয় ছিল, সব শেষ। এখন সংসার চালাতে গেলে... আমাকে ঢাকায় থাকতে হবে। দলের সঙ্গে থাকতে পারি না, ৫ হাজার টাকা বেতন। একটি মোটামুটি বাসযোগ্য ভালো বাসাভাড়াও ১০ হাজার টাকার ওপরে। আনসারে বেতন পাই ২৫ হাজার টাকা। ১০-১৫ হাজার যদি বাসা ভাড়া যায়, মায়ের ওষুধ, থাকা-খাওয়া, চলার খরচ...এভাবে যদি জাতীয় দলের একজন খেলোয়াড়কে জীবনযাপন করতে হয়! সবাই বলবে আপনি তাহলে কী আয়-উপার্জন করেছেন, সেসব দিয়ে কী করেছেন। আমি কী-ইবা আয় করেছি?
প্রশ্ন: আপনার চরম আর্থিক দুর্দশা সামনে আসছে, কিন্তু এ সংকট নিরসনে নীতিনির্ধারকেরা কী ভূমিকা রাখছেন এখানে?
রোমান: দেখুন, কোন ইভেন্ট থেকে ভালো ফল আনিনি? অল্পিম্পিক কোয়ালিফাই করলাম, ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ, বিশ্বকাপ, এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ, এশিয়া কাপ—বাংলাদেশের কোন অ্যাথলেটের এত ফল আছে দেখান। অথচ দক্ষিণ এশিয়ান গেমসে সোনা পাওয়া অ্যাথলেটরা সবকিছু পাচ্ছেন। দক্ষিণ এশিয়ান গেমসে বাদে আমাদের সোনার পদক দেখিয়ে দিন। আজ আমার কষ্টে দিন যায়, সংসার চালাতে হিমশিম খাই। আমি নাকি এত বড় খেলোয়াড়। অথচ ভারতে দুই বছর আর্চারি খেলা একজন খেলোয়াড়কে দেখেন, সুযোগ-সুবিধায় কত পার্থক্য। ১৪ বছর ধরে খেলি, আফসোস হয়। তারা ভালো খেলবে না কেন? পদকপ্রাপ্ত একজন অ্যাথলেটকে কী যত্ন নেয় তারা। আমাদের আনুষঙ্গিক আনুষ্ঠানিকতা আছে, তবে খেলোয়াড়দের টাকা নেই।
প্রশ্ন: অবসর নিলেই যে আপনার জীবনের সংকট দ্রুত দূর হয়ে যাচ্ছে, সে নিশ্চয়তাও কি পাচ্ছেন?
রোমান: আমার হাতে অনেক অপশন আছে। আনসার আমাকে বেশ সুযোগ-সুবিধা দেয়। জাতীয় পর্যায়ে খেলে বাকি ছয় মাস বাড়িতে থাকলাম। এই যে সময়টা, এ সময়ে যদি আমি রিকশাও চালাই, তবু মাসে ১০ হাজার টাকা আয় করতে পারব। শুধু বোঝানোর জন্য বলছি। পৃথিবীতে কাজের তো অভাব নেই। তারা আমাকে দৈনিক ৮ ঘণ্টার পরিশ্রমে ৩ হাজার টাকা দেয়। এর চেয়ে তো রিকশা চালানো ভালো!
প্রশ্ন: সর্বোচ্চ পর্যায়ে থেকে যদি আপনাকে আবার অনুরোধ করা হয় অবসর ভেঙে ফেরার, কী করবেন তখন?
রোমান: আমি অবশ্যই ফিরব, তবে শর্ত সাপেক্ষে। আমাকে সুযোগ-সুবিধা দেবে, আমি খেলব। এ ছাড়া খেলব না, পরিষ্কার কথা। এই কথাটা বলতে আমার কষ্ট হচ্ছে। আমার জীবনে এ রকম পরিস্থিতি আসবে, কথা বলতে হবে—কল্পনাও করিনি।
প্রশ্ন: কেউ কেউ বলছেন, ফর্ম হারিয়ে ছিটকে পড়েছেন ইরাকের বাগদাদে হওয়া এশিয়া কাপের দল থেকে। সব মিলিয়ে হতাশ আপনি, এ রকম বিষয়ও আসছে।
রোমান: বাগদাদে যেতে পারিনি, আমাকে দল থেকে বাদ দিয়েছে। কোচ যে দল নির্বাচন করে গেছেন, সেই দল বাদ দিয়ে বিকেএসপির সঙ্গে মিলিয়ে আরেকটা নিয়ে গেছে। দলের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি তো সবাই জানে না। এগুলো বললে সহ্য করতে পারবে না অনেকেই। আমি রোমান সানা কোনো কোয়ালিফাই ছাড়া গেছি, দেখাক। ট্রায়ালে সেরা পাঁচে থেকেছি ১৪ বছরের ক্যারিয়ারে। দয়ার ভিত্তিতে দলে সুযোগ পাইনি, প্রমাণ প্রতিবছরের প্রতিটি রেজাল্ট শিট। যারা এটা বলে, তাদের প্লিজ রেজাল্ট শিট দেখতে বলবেন। অন্য খেলোয়াড়েরা ভালো না করলেও দলে রাখছেন, তাদের নিয়ে তো এত কথা আসছে না। রোমান সানা চলে গেল, তাকে মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছেন পারফরম্যান্স নিয়ে।

দেশের ৬৪ জেলার ক্রিকেট কোচ, সংগঠক ও ক্রীড়া কর্মকর্তাদের নিয়ে দুই দিনব্যাপী হয়েছে বিসিবির ক্রিকেট কনফারেন্স। সেখানে ফুটবল নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করে আলোচনায় বিসিবি পরিচালক ও গায়ক আসিফ আকবর। ফুটবলের জন্য ক্রিকেট খেলা যাচ্ছে না বলে দাবি তাঁর। সেই কথার পরিপ্রেক্ষিতে নিন্দার ঝড় উঠেছে ফুটবল অঙ্গনে।
২৩ মিনিট আগে
২৫ মার্চ শিলংয়ে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়েই বাংলাদেশের জার্সিতে অভিষেক হয়েছিল হামজা চৌধুরীর। সেবার গোলশূন্য ড্র হলেও ভারতকে কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন হামজা। বাংলাদেশের এই তারকা মিডফিল্ডারের আশা, এবার হবে ভিন্ন কিছু।
২ ঘণ্টা আগে
বৃষ্টি, তুষারপাতের মধ্যে ফুটবল খেলা একেবারে নতুন কিছু নয়। পাড়ার ফুটবলের মতো আন্তর্জাতিক ফুটবলেও এমন পরিস্থিতিতে খেলা চালিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু গত রাতে কানাডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ফাইনালে যা হয়েছে, সেটা রীতিমতো অবাক করার মতো। প্রবল তুষারপাতের মধ্যে শমিত শোমদের খেলা শেষ করতে অনেক দেরি হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে
এশিয়ান আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপে কম্পাউন্ড থেকে পদকের আশা করেছিলেন বাংলাদেশ কোচ মার্টিন ফ্রেডরিখ। তাঁকে হতাশই করল কম্পাউন্ড নারী দল। ব্রোঞ্জ পদকের লড়াইয়ে ইরানের কাছে ২২৭-২২৪ পয়েন্টের ব্যবধানে হেরেছে তারা।
৪ ঘণ্টা আগেফুটবল নিয়ে আসিফ
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের ৬৪ জেলার ক্রিকেট কোচ, সংগঠক ও ক্রীড়া কর্মকর্তাদের নিয়ে দুই দিনব্যাপী হয়েছে বিসিবির ক্রিকেট কনফারেন্স। সেখানে ফুটবল নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করে আলোচনায় বিসিবি পরিচালক ও গায়ক আসিফ আকবর। ফুটবলের জন্য ক্রিকেট খেলা যাচ্ছে না বলে দাবি তাঁর। সেই কথার পরিপ্রেক্ষিতে নিন্দার ঝড় উঠেছে ফুটবল অঙ্গনে। প্রতিবাদ জানিয়ে বিসিবিতে চিঠি পাঠিয়েছেন বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল।
বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলকে পাঠানো চিঠিতে বাফুফে সভাপতি আসিফের কিছু শব্দচয়ন নিয়ে তীব্র আপত্তি তুলে লিখেছেন, ‘যখন ক্রিকেট বোর্ডের কনফারেন্সে ‘‘অভিজাত’’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়, তখন স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে, আমরা কি সত্যিই জুলাইয়ের ছাত্র-জনতা বিপ্লবে ঘোষিত বৈষম্যহীন ও সমতাভিত্তিক বাংলাদেশের আদর্শে অটল আছি? আর যখন ‘‘মারামারি’’ শব্দটি উচ্চারিত হয়, তখন আরও গুরুতর প্রশ্ন জাগে, এটি কি কোনো ধরনের হুমকি? এমন দৃষ্টিকটু ও অশোভন বক্তব্য ফুটবল ও ফুটবল খেলোয়াড়দের প্রতি চরম অসম্মানজনক, যা ক্রীড়ার মৌলিক মূল্যবোধ ও চেতনার পরিপন্থী।’
গত পরশু ঢাকার একটি পাঁচতারকা হোটেলে ক্রিকেট কনফারেন্সে আসিফ বলেন, ‘ফুটবলারদের জন্য (ক্রিকেট) খেলা যাচ্ছে না সারা দেশে।...ফুটবলারদের ব্যবহার খুব খারাপ।’ বিসিবিকে বাফুফের দেওয়া চিঠি নিয়ে আজ রাতে আসিফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তারা চিঠি দিয়েছে, আমি হ্যাপি, থ্যাংক ইউ বাফুফে! খুশি হইছি। এই চিঠি আমার জন্য একটা অনার! বাফুফে আমাকে চেনে, কাউন্ট করেছে। এটা জরুরি।’
কেন ওই বক্তব্য, সেটির ব্যাখ্যায় আসিফ বলেছেন, ‘তাদের আচরণ তো খারাপই, এটা সত্য কথা তো। এটা সারা দেশে হচ্ছে, ফুটবলাররা সারা দেশে রংবাজি করে। ক্রিকেটের ডিসিপ্লিন আর ফুটবলের স্টাইল আমি বুঝিয়েছি। প্রশ্ন হতে পারে আমার অবস্থান থেকে (কেন?), হ্যাঁ, এটাও ঠিক আছে। আমারও অনেক ছোট ভাই-বন্ধুবান্ধব আছে ফুটবলে, আমার যে কথাটা ‘‘অভদ্র আচরণ’’, তারা কুমিল্লায় গিয়ে তদন্ত করুক। কুমিল্লায় যারা অভদ্র ব্যবহার করেছে, গেটে তালা মেরে দিয়েছে, ডিসি সাহেবকে হুমকি দিয়েছে, তদন্ত করে দেখে বিচার করুক আগে। তখন না হয় ভালো আচরণের কথা বলব। তারা কুমিল্লায় যাক। যারা খারাপ ব্যবহার করছে, যারা ভুক্তভোগী—তারা দুই পক্ষের সঙ্গে কথা বলুক। যদি মনে করে ওই ফুটবলার দোষী, তাদের শাস্তি দিক। তারপর বলব, হ্যাঁ ফুটবল ফেডারেশন খুব ভালো। ফুটবলাররা খুব ভালো। আমার সঙ্গে চলতে গেলে লজিকে চলতে হবে।’
ফুটবলাররা যতই দুঃখপ্রকাশ করার দাবি তুলুন, আসিফ তাঁর বক্তব্যে অটুটই আছেন, ‘তাদের যদি খারাপ লাগে, তাদের জন্য আমারও খারাপ লাগে। কারণ, তারা আমারই লোক। ফুটবলে দুনিয়ার বন্ধু। আমাকে তবু বলতে হয়েছে। আমার অধিকারের কথা বলতে হবে। সেখানে তদন্ত করুক যে আসিফের এ কথা বলার উদ্দেশ্য কী। কষ্ট না পেয়ে কাজ করতে বলেন।’ আসিফ আরও যোগ করেন, ‘তারা মারপিট করে, তারা গেট লক করে দিয়েছে। তারা হুমকি দিয়েছে। পিচ খোঁড়াখুঁড়ি করে। আমি মারপিট করব বলেছি, করিনি। তারা তো (মারপিট) করে ফেলেছে। ইট হ্যাজ ডান! আমরা করিনি এগুলো। বলছি শুধু। বলাতেই এত রাগ! আমরা এত দিন সহ্য করেছি কীভাবে? একটা কথা তারা নিতে পারে না। আর আমরা ৩৭–৩৮ বছর সহ্য করছি কীভাবে?’

দেশের ৬৪ জেলার ক্রিকেট কোচ, সংগঠক ও ক্রীড়া কর্মকর্তাদের নিয়ে দুই দিনব্যাপী হয়েছে বিসিবির ক্রিকেট কনফারেন্স। সেখানে ফুটবল নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করে আলোচনায় বিসিবি পরিচালক ও গায়ক আসিফ আকবর। ফুটবলের জন্য ক্রিকেট খেলা যাচ্ছে না বলে দাবি তাঁর। সেই কথার পরিপ্রেক্ষিতে নিন্দার ঝড় উঠেছে ফুটবল অঙ্গনে। প্রতিবাদ জানিয়ে বিসিবিতে চিঠি পাঠিয়েছেন বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল।
বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলকে পাঠানো চিঠিতে বাফুফে সভাপতি আসিফের কিছু শব্দচয়ন নিয়ে তীব্র আপত্তি তুলে লিখেছেন, ‘যখন ক্রিকেট বোর্ডের কনফারেন্সে ‘‘অভিজাত’’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়, তখন স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে, আমরা কি সত্যিই জুলাইয়ের ছাত্র-জনতা বিপ্লবে ঘোষিত বৈষম্যহীন ও সমতাভিত্তিক বাংলাদেশের আদর্শে অটল আছি? আর যখন ‘‘মারামারি’’ শব্দটি উচ্চারিত হয়, তখন আরও গুরুতর প্রশ্ন জাগে, এটি কি কোনো ধরনের হুমকি? এমন দৃষ্টিকটু ও অশোভন বক্তব্য ফুটবল ও ফুটবল খেলোয়াড়দের প্রতি চরম অসম্মানজনক, যা ক্রীড়ার মৌলিক মূল্যবোধ ও চেতনার পরিপন্থী।’
গত পরশু ঢাকার একটি পাঁচতারকা হোটেলে ক্রিকেট কনফারেন্সে আসিফ বলেন, ‘ফুটবলারদের জন্য (ক্রিকেট) খেলা যাচ্ছে না সারা দেশে।...ফুটবলারদের ব্যবহার খুব খারাপ।’ বিসিবিকে বাফুফের দেওয়া চিঠি নিয়ে আজ রাতে আসিফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তারা চিঠি দিয়েছে, আমি হ্যাপি, থ্যাংক ইউ বাফুফে! খুশি হইছি। এই চিঠি আমার জন্য একটা অনার! বাফুফে আমাকে চেনে, কাউন্ট করেছে। এটা জরুরি।’
কেন ওই বক্তব্য, সেটির ব্যাখ্যায় আসিফ বলেছেন, ‘তাদের আচরণ তো খারাপই, এটা সত্য কথা তো। এটা সারা দেশে হচ্ছে, ফুটবলাররা সারা দেশে রংবাজি করে। ক্রিকেটের ডিসিপ্লিন আর ফুটবলের স্টাইল আমি বুঝিয়েছি। প্রশ্ন হতে পারে আমার অবস্থান থেকে (কেন?), হ্যাঁ, এটাও ঠিক আছে। আমারও অনেক ছোট ভাই-বন্ধুবান্ধব আছে ফুটবলে, আমার যে কথাটা ‘‘অভদ্র আচরণ’’, তারা কুমিল্লায় গিয়ে তদন্ত করুক। কুমিল্লায় যারা অভদ্র ব্যবহার করেছে, গেটে তালা মেরে দিয়েছে, ডিসি সাহেবকে হুমকি দিয়েছে, তদন্ত করে দেখে বিচার করুক আগে। তখন না হয় ভালো আচরণের কথা বলব। তারা কুমিল্লায় যাক। যারা খারাপ ব্যবহার করছে, যারা ভুক্তভোগী—তারা দুই পক্ষের সঙ্গে কথা বলুক। যদি মনে করে ওই ফুটবলার দোষী, তাদের শাস্তি দিক। তারপর বলব, হ্যাঁ ফুটবল ফেডারেশন খুব ভালো। ফুটবলাররা খুব ভালো। আমার সঙ্গে চলতে গেলে লজিকে চলতে হবে।’
ফুটবলাররা যতই দুঃখপ্রকাশ করার দাবি তুলুন, আসিফ তাঁর বক্তব্যে অটুটই আছেন, ‘তাদের যদি খারাপ লাগে, তাদের জন্য আমারও খারাপ লাগে। কারণ, তারা আমারই লোক। ফুটবলে দুনিয়ার বন্ধু। আমাকে তবু বলতে হয়েছে। আমার অধিকারের কথা বলতে হবে। সেখানে তদন্ত করুক যে আসিফের এ কথা বলার উদ্দেশ্য কী। কষ্ট না পেয়ে কাজ করতে বলেন।’ আসিফ আরও যোগ করেন, ‘তারা মারপিট করে, তারা গেট লক করে দিয়েছে। তারা হুমকি দিয়েছে। পিচ খোঁড়াখুঁড়ি করে। আমি মারপিট করব বলেছি, করিনি। তারা তো (মারপিট) করে ফেলেছে। ইট হ্যাজ ডান! আমরা করিনি এগুলো। বলছি শুধু। বলাতেই এত রাগ! আমরা এত দিন সহ্য করেছি কীভাবে? একটা কথা তারা নিতে পারে না। আর আমরা ৩৭–৩৮ বছর সহ্য করছি কীভাবে?’

বাংলাদেশের আর্চারিতে গতকাল সকালটা ছিল অস্থিরতায় ভরা। হঠাৎ ছড়িয়ে পড়ল, আন্তর্জাতিক আর্চারি থেকে অবসর নিয়েছেন ২০২১ টোকিও অলিম্পিকে সরাসরি সুযোগ পাওয়া তিরন্দাজ রোমান সানা। অবসরের কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে আজকের পত্রিকার কাছে শুধু ক্ষোভই নয়, অনেক আফসোস-আক্ষেপও ঝরেছে দেশের তারকা তিরন্দাজের কণ্ঠে। সাক্ষাৎকার
০৪ মার্চ ২০২৪
২৫ মার্চ শিলংয়ে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়েই বাংলাদেশের জার্সিতে অভিষেক হয়েছিল হামজা চৌধুরীর। সেবার গোলশূন্য ড্র হলেও ভারতকে কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন হামজা। বাংলাদেশের এই তারকা মিডফিল্ডারের আশা, এবার হবে ভিন্ন কিছু।
২ ঘণ্টা আগে
বৃষ্টি, তুষারপাতের মধ্যে ফুটবল খেলা একেবারে নতুন কিছু নয়। পাড়ার ফুটবলের মতো আন্তর্জাতিক ফুটবলেও এমন পরিস্থিতিতে খেলা চালিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু গত রাতে কানাডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ফাইনালে যা হয়েছে, সেটা রীতিমতো অবাক করার মতো। প্রবল তুষারপাতের মধ্যে শমিত শোমদের খেলা শেষ করতে অনেক দেরি হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে
এশিয়ান আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপে কম্পাউন্ড থেকে পদকের আশা করেছিলেন বাংলাদেশ কোচ মার্টিন ফ্রেডরিখ। তাঁকে হতাশই করল কম্পাউন্ড নারী দল। ব্রোঞ্জ পদকের লড়াইয়ে ইরানের কাছে ২২৭-২২৪ পয়েন্টের ব্যবধানে হেরেছে তারা।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

২৫ মার্চ শিলংয়ে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়েই বাংলাদেশের জার্সিতে অভিষেক হয়েছিল হামজা চৌধুরীর। সেবার গোলশূন্য ড্র হলেও ভারতকে কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন হামজা। বাংলাদেশের এই তারকা মিডফিল্ডারের আশা, এবার হবে ভিন্ন কিছু।
এএফসি এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বের তৃতীয় রাউন্ডে ফিরতি দেখায় মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ-ভারত। ১৮ নভেম্বর ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে হবে এই ম্যাচ। সুদূর ইংল্যান্ড থেকে আজ বিকেলে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পা রাখার পর তাঁকে ফুল দিয়ে বরণ করেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) কর্মকর্তারা। বাফুফের এক ভিডিও বার্তায় ২৮ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার বলেন, ‘এমন দারুণ অভ্যর্থনা দেওয়ায় আপনাদের ধন্যবাদ। আমি ঢাকা ফেরত এসেছি। ভারতের সঙ্গে এত বড় একটা ম্যাচ হবে ইনশাআল্লাহ। তার আগে নেপালের সঙ্গে একটা ম্যাচ আছে। শেষ ম্যাচে জিততে পারিনি। কিন্তু খেলায় উন্নতি হয়েছে। ইন্ডিয়ার সঙ্গে জিতমু ইনশাআল্লাহ। সবাই আমরা রোমাঞ্চিত। কঠোর পরিশ্রম করছি।’
সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আজ বেলা ১২টায় ঢাকায় পা রাখতেন হামজা চৌধুরী। কিন্তু ফ্লাইট মিস করায় নির্ধারিত সময়ে ঢাকায় আসতে পারেননি। নেপাল-ভারতের বিপক্ষে খেলতে অবশেষে বিকেলে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন তিনি। প্রথম ফ্লাইট মিসের পর আরেকটি ফ্লাইট ধরতে হয়েছে তাঁকে। অতিরিক্ত জ্যামের কারণে ইংল্যান্ডে বাফুফে থেকে দেওয়া নির্ধারিত ফ্লাইট ধরতে পারেননি হামজা। নিজ খরচে ঢাকায় আসতে হচ্ছে তাঁকে। বিকাল ৪টা থেকে ৫টার মধ্যে যে ঢাকায় আসার কথা ছিল, সেই সময়ের মধ্যেই আসতে পেরেছেন তিনি। ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে এরপর সোনারগাঁও হোটেলে পৌঁছানোর পর ফের ফুল দিয়ে বরণ করা হয়েছে।
১৩ ও ১৮ নভেম্বর নেপাল ও ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। দুটি ম্যাচই হবে ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে। আর গত ১৪ অক্টোবর হংকংয়ের বিপক্ষে ১-১ গোলের ড্রয়ে বাংলাদেশের এশিয়ান কাপ খেলার আশা শেষ হয়ে যায়। এখন পর্যন্ত চার ম্যাচের মধ্যে দুটিতে ড্র করেছে ও দুটি ম্যাচ হেরেছে হাভিয়ের কাবরেরার দল। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটি হচ্ছে এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে বাংলাদেশের পঞ্চম ম্যাচ।

২৫ মার্চ শিলংয়ে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়েই বাংলাদেশের জার্সিতে অভিষেক হয়েছিল হামজা চৌধুরীর। সেবার গোলশূন্য ড্র হলেও ভারতকে কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন হামজা। বাংলাদেশের এই তারকা মিডফিল্ডারের আশা, এবার হবে ভিন্ন কিছু।
এএফসি এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বের তৃতীয় রাউন্ডে ফিরতি দেখায় মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ-ভারত। ১৮ নভেম্বর ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে হবে এই ম্যাচ। সুদূর ইংল্যান্ড থেকে আজ বিকেলে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পা রাখার পর তাঁকে ফুল দিয়ে বরণ করেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) কর্মকর্তারা। বাফুফের এক ভিডিও বার্তায় ২৮ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার বলেন, ‘এমন দারুণ অভ্যর্থনা দেওয়ায় আপনাদের ধন্যবাদ। আমি ঢাকা ফেরত এসেছি। ভারতের সঙ্গে এত বড় একটা ম্যাচ হবে ইনশাআল্লাহ। তার আগে নেপালের সঙ্গে একটা ম্যাচ আছে। শেষ ম্যাচে জিততে পারিনি। কিন্তু খেলায় উন্নতি হয়েছে। ইন্ডিয়ার সঙ্গে জিতমু ইনশাআল্লাহ। সবাই আমরা রোমাঞ্চিত। কঠোর পরিশ্রম করছি।’
সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আজ বেলা ১২টায় ঢাকায় পা রাখতেন হামজা চৌধুরী। কিন্তু ফ্লাইট মিস করায় নির্ধারিত সময়ে ঢাকায় আসতে পারেননি। নেপাল-ভারতের বিপক্ষে খেলতে অবশেষে বিকেলে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন তিনি। প্রথম ফ্লাইট মিসের পর আরেকটি ফ্লাইট ধরতে হয়েছে তাঁকে। অতিরিক্ত জ্যামের কারণে ইংল্যান্ডে বাফুফে থেকে দেওয়া নির্ধারিত ফ্লাইট ধরতে পারেননি হামজা। নিজ খরচে ঢাকায় আসতে হচ্ছে তাঁকে। বিকাল ৪টা থেকে ৫টার মধ্যে যে ঢাকায় আসার কথা ছিল, সেই সময়ের মধ্যেই আসতে পেরেছেন তিনি। ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে এরপর সোনারগাঁও হোটেলে পৌঁছানোর পর ফের ফুল দিয়ে বরণ করা হয়েছে।
১৩ ও ১৮ নভেম্বর নেপাল ও ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। দুটি ম্যাচই হবে ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে। আর গত ১৪ অক্টোবর হংকংয়ের বিপক্ষে ১-১ গোলের ড্রয়ে বাংলাদেশের এশিয়ান কাপ খেলার আশা শেষ হয়ে যায়। এখন পর্যন্ত চার ম্যাচের মধ্যে দুটিতে ড্র করেছে ও দুটি ম্যাচ হেরেছে হাভিয়ের কাবরেরার দল। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটি হচ্ছে এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে বাংলাদেশের পঞ্চম ম্যাচ।

বাংলাদেশের আর্চারিতে গতকাল সকালটা ছিল অস্থিরতায় ভরা। হঠাৎ ছড়িয়ে পড়ল, আন্তর্জাতিক আর্চারি থেকে অবসর নিয়েছেন ২০২১ টোকিও অলিম্পিকে সরাসরি সুযোগ পাওয়া তিরন্দাজ রোমান সানা। অবসরের কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে আজকের পত্রিকার কাছে শুধু ক্ষোভই নয়, অনেক আফসোস-আক্ষেপও ঝরেছে দেশের তারকা তিরন্দাজের কণ্ঠে। সাক্ষাৎকার
০৪ মার্চ ২০২৪
দেশের ৬৪ জেলার ক্রিকেট কোচ, সংগঠক ও ক্রীড়া কর্মকর্তাদের নিয়ে দুই দিনব্যাপী হয়েছে বিসিবির ক্রিকেট কনফারেন্স। সেখানে ফুটবল নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করে আলোচনায় বিসিবি পরিচালক ও গায়ক আসিফ আকবর। ফুটবলের জন্য ক্রিকেট খেলা যাচ্ছে না বলে দাবি তাঁর। সেই কথার পরিপ্রেক্ষিতে নিন্দার ঝড় উঠেছে ফুটবল অঙ্গনে।
২৩ মিনিট আগে
বৃষ্টি, তুষারপাতের মধ্যে ফুটবল খেলা একেবারে নতুন কিছু নয়। পাড়ার ফুটবলের মতো আন্তর্জাতিক ফুটবলেও এমন পরিস্থিতিতে খেলা চালিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু গত রাতে কানাডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ফাইনালে যা হয়েছে, সেটা রীতিমতো অবাক করার মতো। প্রবল তুষারপাতের মধ্যে শমিত শোমদের খেলা শেষ করতে অনেক দেরি হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে
এশিয়ান আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপে কম্পাউন্ড থেকে পদকের আশা করেছিলেন বাংলাদেশ কোচ মার্টিন ফ্রেডরিখ। তাঁকে হতাশই করল কম্পাউন্ড নারী দল। ব্রোঞ্জ পদকের লড়াইয়ে ইরানের কাছে ২২৭-২২৪ পয়েন্টের ব্যবধানে হেরেছে তারা।
৪ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

বৃষ্টি, তুষারপাতের মধ্যে ফুটবল খেলা একেবারে নতুন কিছু নয়। পাড়ার ফুটবলের মতো আন্তর্জাতিক ফুটবলেও এমন পরিস্থিতিতে খেলা চালিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু গত রাতে কানাডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ফাইনালে যা হয়েছে, সেটা রীতিমতো অবাক করার মতো। প্রবল তুষারপাতের মধ্যে শমিত শোমদের খেলা শেষ করতে অনেক দেরি হয়েছে।
কানাডার রাজধানী অটোয়ার টিডি প্লেস স্টেডিয়ামে গত রাতে কাভালরি এফসি-আতলেতিকো অটোয়া মুখোমুখি হয়েছে। রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে ২-১ গোলে জিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আতলেতিকো অটোয়া। কিন্তু ম্যাচের ফল ছাপিয়ে কথাবার্তা হচ্ছে অটোয়ার আবহাওয়া নিয়ে। দ্য অ্যাথলেটিকের গতকালের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, কানাডার অন্টারিও প্রদেশজুড়ে মৌসুমের প্রথম বড় তুষারঝড় শুরু হয়েছে। ফাইনালের দিন অটোয়ায় প্রায় ২০ সেন্টিমিটার তুষার জমা হয়েছিল। ম্যাচজুড়ে তুষারপাত এতই বেশি ছিল যে তুষার সরাতে অনেক সময় লেগেছে। যে খেলা দুই ঘণ্টায় শেষ হতো, শেষ হতে লেগেছে প্রায় চার ঘণ্টা।
তুষারের মধ্যে ফুটবল কানাডায় নতুন কিছু না হলেও এমন পরিস্থিতিতে মাঠের টাচলাইন, পেনাল্টি এলাকার দাগ আলাদা করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। তুষার সরাতে ব্যবহার করা হচ্ছিল তুষার পরিষ্কারক যান স্নোপ্লাউ, তুষার ওড়ানোর যন্ত্র স্নোব্লোয়ার্স আর কোদাল। এত কিছু করেও খেলা নির্ধারিত সময়ে শুরু করা সম্ভব হয়নি। ২০ মিনিট পর খেলা শুরু হয়েছে। তুষারের মধ্যে খেলার ব্যাপারে ফুটবলাররা রোমাঞ্চ অনুভব করলেও খেলোয়াড়েরা ঠিকমতো পাস দিতে পারছিলেন না। বল প্রায়ই আটকে যাচ্ছিল।
কানাডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের কাভালরি এফসি-আতলেতিকো অটোয়া ফাইনালে প্রথম গোলের দেখা মেলে ৩৩ মিনিটে। মিডফিল্ডার ফ্রেজার এয়ার্ড লক্ষ্যভেদ করেছেন পেনাল্টি থেকেই। ৭ মিনিট পরই সেই গোল অটোয়া শোধ করে। তুষারের মধ্যে লাফিয়ে উঠে দৃষ্টিনন্দন বাইসাইকেল কিকে বল জালে পাঠান অটোয়া দাভিদ রদ্রিগেজ। ৯০ মিনিট ১-১ সমতায় শেষ হওয়ার পর খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। তবে নির্ধারিত ৯০ মিনিটে খেলা বারবার বাধাপ্রাপ্ত হওয়ায় মাঝে যে ৫ মিনিট বিরতি দেওয়া হতো, সেটা হয়নি। টানা আধা ঘণ্টা খেলা হয়েছে। ১০৫ মিনিটে আরেক গোল করে অটোয়াকে এগিয়ে দেন রদ্রিগেজ। তাতেই কানাডা প্রিমিয়ার লিগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আতলেতিকো অটোয়া।

বৃষ্টি, তুষারপাতের মধ্যে ফুটবল খেলা একেবারে নতুন কিছু নয়। পাড়ার ফুটবলের মতো আন্তর্জাতিক ফুটবলেও এমন পরিস্থিতিতে খেলা চালিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু গত রাতে কানাডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ফাইনালে যা হয়েছে, সেটা রীতিমতো অবাক করার মতো। প্রবল তুষারপাতের মধ্যে শমিত শোমদের খেলা শেষ করতে অনেক দেরি হয়েছে।
কানাডার রাজধানী অটোয়ার টিডি প্লেস স্টেডিয়ামে গত রাতে কাভালরি এফসি-আতলেতিকো অটোয়া মুখোমুখি হয়েছে। রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে ২-১ গোলে জিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আতলেতিকো অটোয়া। কিন্তু ম্যাচের ফল ছাপিয়ে কথাবার্তা হচ্ছে অটোয়ার আবহাওয়া নিয়ে। দ্য অ্যাথলেটিকের গতকালের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, কানাডার অন্টারিও প্রদেশজুড়ে মৌসুমের প্রথম বড় তুষারঝড় শুরু হয়েছে। ফাইনালের দিন অটোয়ায় প্রায় ২০ সেন্টিমিটার তুষার জমা হয়েছিল। ম্যাচজুড়ে তুষারপাত এতই বেশি ছিল যে তুষার সরাতে অনেক সময় লেগেছে। যে খেলা দুই ঘণ্টায় শেষ হতো, শেষ হতে লেগেছে প্রায় চার ঘণ্টা।
তুষারের মধ্যে ফুটবল কানাডায় নতুন কিছু না হলেও এমন পরিস্থিতিতে মাঠের টাচলাইন, পেনাল্টি এলাকার দাগ আলাদা করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। তুষার সরাতে ব্যবহার করা হচ্ছিল তুষার পরিষ্কারক যান স্নোপ্লাউ, তুষার ওড়ানোর যন্ত্র স্নোব্লোয়ার্স আর কোদাল। এত কিছু করেও খেলা নির্ধারিত সময়ে শুরু করা সম্ভব হয়নি। ২০ মিনিট পর খেলা শুরু হয়েছে। তুষারের মধ্যে খেলার ব্যাপারে ফুটবলাররা রোমাঞ্চ অনুভব করলেও খেলোয়াড়েরা ঠিকমতো পাস দিতে পারছিলেন না। বল প্রায়ই আটকে যাচ্ছিল।
কানাডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের কাভালরি এফসি-আতলেতিকো অটোয়া ফাইনালে প্রথম গোলের দেখা মেলে ৩৩ মিনিটে। মিডফিল্ডার ফ্রেজার এয়ার্ড লক্ষ্যভেদ করেছেন পেনাল্টি থেকেই। ৭ মিনিট পরই সেই গোল অটোয়া শোধ করে। তুষারের মধ্যে লাফিয়ে উঠে দৃষ্টিনন্দন বাইসাইকেল কিকে বল জালে পাঠান অটোয়া দাভিদ রদ্রিগেজ। ৯০ মিনিট ১-১ সমতায় শেষ হওয়ার পর খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। তবে নির্ধারিত ৯০ মিনিটে খেলা বারবার বাধাপ্রাপ্ত হওয়ায় মাঝে যে ৫ মিনিট বিরতি দেওয়া হতো, সেটা হয়নি। টানা আধা ঘণ্টা খেলা হয়েছে। ১০৫ মিনিটে আরেক গোল করে অটোয়াকে এগিয়ে দেন রদ্রিগেজ। তাতেই কানাডা প্রিমিয়ার লিগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আতলেতিকো অটোয়া।

বাংলাদেশের আর্চারিতে গতকাল সকালটা ছিল অস্থিরতায় ভরা। হঠাৎ ছড়িয়ে পড়ল, আন্তর্জাতিক আর্চারি থেকে অবসর নিয়েছেন ২০২১ টোকিও অলিম্পিকে সরাসরি সুযোগ পাওয়া তিরন্দাজ রোমান সানা। অবসরের কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে আজকের পত্রিকার কাছে শুধু ক্ষোভই নয়, অনেক আফসোস-আক্ষেপও ঝরেছে দেশের তারকা তিরন্দাজের কণ্ঠে। সাক্ষাৎকার
০৪ মার্চ ২০২৪
দেশের ৬৪ জেলার ক্রিকেট কোচ, সংগঠক ও ক্রীড়া কর্মকর্তাদের নিয়ে দুই দিনব্যাপী হয়েছে বিসিবির ক্রিকেট কনফারেন্স। সেখানে ফুটবল নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করে আলোচনায় বিসিবি পরিচালক ও গায়ক আসিফ আকবর। ফুটবলের জন্য ক্রিকেট খেলা যাচ্ছে না বলে দাবি তাঁর। সেই কথার পরিপ্রেক্ষিতে নিন্দার ঝড় উঠেছে ফুটবল অঙ্গনে।
২৩ মিনিট আগে
২৫ মার্চ শিলংয়ে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়েই বাংলাদেশের জার্সিতে অভিষেক হয়েছিল হামজা চৌধুরীর। সেবার গোলশূন্য ড্র হলেও ভারতকে কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন হামজা। বাংলাদেশের এই তারকা মিডফিল্ডারের আশা, এবার হবে ভিন্ন কিছু।
২ ঘণ্টা আগে
এশিয়ান আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপে কম্পাউন্ড থেকে পদকের আশা করেছিলেন বাংলাদেশ কোচ মার্টিন ফ্রেডরিখ। তাঁকে হতাশই করল কম্পাউন্ড নারী দল। ব্রোঞ্জ পদকের লড়াইয়ে ইরানের কাছে ২২৭-২২৪ পয়েন্টের ব্যবধানে হেরেছে তারা।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

এশিয়ান আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপে কম্পাউন্ড থেকে পদকের আশা করেছিলেন বাংলাদেশ কোচ মার্টিন ফ্রেডরিখ। তাঁকে হতাশই করল কম্পাউন্ড নারী দল। ব্রোঞ্জ পদকের লড়াইয়ে ইরানের কাছে ২২৭-২২৪ পয়েন্টের ব্যবধানে হেরেছে তারা।
জাতীয় স্টেডিয়ামে আজ বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন বন্যা আক্তার, কুলসুম আক্তার মনি ও পুষ্পিতা জামান। চার সেটের লড়াইয়ে প্রথম সেটেই পিছিয়ে যায় বাংলাদেশ। তিন আর্চার মিলে ৫৪-এর বেশি স্কোর করতে পারেননি। সেখানে ইরান প্রথম শটে তির সাতে ফেললেও সেট শেষ করে ৫৬ স্কোর নিয়ে। দ্বিতীয় সেট জিতে পয়েন্ট সমান করে বাংলাদেশ। তৃতীয় সেট ড্র হলেও চতুর্থ সেটে বাজিমাত ইরান।
ইরানের বিপক্ষে লক্ষ্যপূরণ না হওয়ায় হতাশ বন্যা আক্তার। ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, ‘আমরা শুরুটা ভালো করলে ম্যাচটা জিততে পারতাম। ইরানের সঙ্গে এই মাঠেই টিম খেলেছিল। ওই ম্যাচে আমি ছিলাম না। তবে হেরেছিলাম। এবার জিততে হবে, এমন লক্ষ্য স্থির করেছিলাম। বাতাস ছিল, কিন্তু তেমন প্রভাব পড়েনি। চাপ ছিল না। মনের মধ্যে আনন্দ কাজ করছিল। সতীর্থদেরও বলাবলি করছিলাম যে পদক নেব আমরা। কিন্তু সেটা হয়নি।’
ব্রোঞ্জ নির্ধারণী ম্যাচে হারের দায়ও নিলেন বন্যা, ‘সিনিয়র হিসেবে খেলছি আমি। আমার দায়িত্ব আছে। সতীর্থরাও যেন ভালো করে। তাদের সমর্থন দিতে হবে। সবাই যেন স্নায়ুর চাপে ভেঙে না পড়ে সে সমর্থনটুকু দিতে হবে। এশিয়া কাপে এই ইভেন্টে এর আগে ফাইনালে উঠেছিলাম। আজ ব্রোঞ্জ নির্ধারণী ম্যাচে হেরেছি। পরের ম্যাচে লক্ষ্য থাকবে কী কারণে হেরেছি সেই ভুল করব না। আজকে আমাদের দুর্বল পয়েন্ট ছিল-শুরু ভালো হয়নি। ব্যক্তিগত এককেও সেরাটা দিতে চাই। সেটা দিতে পারলে পদক জিতব আশা করি।’
এর আগে সেমিফাইনালে ভারতের কাছে ২৩৪-২২৭ ব্যবধানে হারেন বন্যারা। আর ইরান ২৩৭-২২৭ ব্যবধানে হারে দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে। রিকার্ভ পুরুষ দলীয় ইভেন্টে কোয়ার্টার ফাইনালে ফেবারিট দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে ৫-৩ সেট পয়েন্টে হেরেছে বাংলাদেশ।
রিকার্ভ নারী এককে শেষ ষোলোয় উঠেছেন ইতি খাতুন, সোনালি রায়, সিমা আক্তার শিমু ও মনিরা আক্তার। পুরুষ এককে আগে থেকেই শেষ ষোলোয় আছেন রামকৃষ্ণ সাহা। সাগর ইসলাম বাদে রাকিব মিয়া ও আব্দুর রহমান আলিফও জায়গা করে নেন শেষ ষোলোয়। শেষ ২৪ রাউন্ডে সাগর ৬-৪ সেট পয়েন্টে হেরে যান ভিয়েতনামের লি কুয়োক ফংয়ের কাছে। কম্পাউন্ড পুরুষে শেষ ষোলোয় বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি হিমু বাছাড়। নারী এককে শেষ ষোলোয় খেলবেন বন্যা, পুষ্পিতা ও কুলসুম। শেষ ২৪ রাউন্ডে বাদ পড়েছেন মিথিলা আক্তার।

এশিয়ান আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপে কম্পাউন্ড থেকে পদকের আশা করেছিলেন বাংলাদেশ কোচ মার্টিন ফ্রেডরিখ। তাঁকে হতাশই করল কম্পাউন্ড নারী দল। ব্রোঞ্জ পদকের লড়াইয়ে ইরানের কাছে ২২৭-২২৪ পয়েন্টের ব্যবধানে হেরেছে তারা।
জাতীয় স্টেডিয়ামে আজ বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন বন্যা আক্তার, কুলসুম আক্তার মনি ও পুষ্পিতা জামান। চার সেটের লড়াইয়ে প্রথম সেটেই পিছিয়ে যায় বাংলাদেশ। তিন আর্চার মিলে ৫৪-এর বেশি স্কোর করতে পারেননি। সেখানে ইরান প্রথম শটে তির সাতে ফেললেও সেট শেষ করে ৫৬ স্কোর নিয়ে। দ্বিতীয় সেট জিতে পয়েন্ট সমান করে বাংলাদেশ। তৃতীয় সেট ড্র হলেও চতুর্থ সেটে বাজিমাত ইরান।
ইরানের বিপক্ষে লক্ষ্যপূরণ না হওয়ায় হতাশ বন্যা আক্তার। ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, ‘আমরা শুরুটা ভালো করলে ম্যাচটা জিততে পারতাম। ইরানের সঙ্গে এই মাঠেই টিম খেলেছিল। ওই ম্যাচে আমি ছিলাম না। তবে হেরেছিলাম। এবার জিততে হবে, এমন লক্ষ্য স্থির করেছিলাম। বাতাস ছিল, কিন্তু তেমন প্রভাব পড়েনি। চাপ ছিল না। মনের মধ্যে আনন্দ কাজ করছিল। সতীর্থদেরও বলাবলি করছিলাম যে পদক নেব আমরা। কিন্তু সেটা হয়নি।’
ব্রোঞ্জ নির্ধারণী ম্যাচে হারের দায়ও নিলেন বন্যা, ‘সিনিয়র হিসেবে খেলছি আমি। আমার দায়িত্ব আছে। সতীর্থরাও যেন ভালো করে। তাদের সমর্থন দিতে হবে। সবাই যেন স্নায়ুর চাপে ভেঙে না পড়ে সে সমর্থনটুকু দিতে হবে। এশিয়া কাপে এই ইভেন্টে এর আগে ফাইনালে উঠেছিলাম। আজ ব্রোঞ্জ নির্ধারণী ম্যাচে হেরেছি। পরের ম্যাচে লক্ষ্য থাকবে কী কারণে হেরেছি সেই ভুল করব না। আজকে আমাদের দুর্বল পয়েন্ট ছিল-শুরু ভালো হয়নি। ব্যক্তিগত এককেও সেরাটা দিতে চাই। সেটা দিতে পারলে পদক জিতব আশা করি।’
এর আগে সেমিফাইনালে ভারতের কাছে ২৩৪-২২৭ ব্যবধানে হারেন বন্যারা। আর ইরান ২৩৭-২২৭ ব্যবধানে হারে দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে। রিকার্ভ পুরুষ দলীয় ইভেন্টে কোয়ার্টার ফাইনালে ফেবারিট দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে ৫-৩ সেট পয়েন্টে হেরেছে বাংলাদেশ।
রিকার্ভ নারী এককে শেষ ষোলোয় উঠেছেন ইতি খাতুন, সোনালি রায়, সিমা আক্তার শিমু ও মনিরা আক্তার। পুরুষ এককে আগে থেকেই শেষ ষোলোয় আছেন রামকৃষ্ণ সাহা। সাগর ইসলাম বাদে রাকিব মিয়া ও আব্দুর রহমান আলিফও জায়গা করে নেন শেষ ষোলোয়। শেষ ২৪ রাউন্ডে সাগর ৬-৪ সেট পয়েন্টে হেরে যান ভিয়েতনামের লি কুয়োক ফংয়ের কাছে। কম্পাউন্ড পুরুষে শেষ ষোলোয় বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি হিমু বাছাড়। নারী এককে শেষ ষোলোয় খেলবেন বন্যা, পুষ্পিতা ও কুলসুম। শেষ ২৪ রাউন্ডে বাদ পড়েছেন মিথিলা আক্তার।

বাংলাদেশের আর্চারিতে গতকাল সকালটা ছিল অস্থিরতায় ভরা। হঠাৎ ছড়িয়ে পড়ল, আন্তর্জাতিক আর্চারি থেকে অবসর নিয়েছেন ২০২১ টোকিও অলিম্পিকে সরাসরি সুযোগ পাওয়া তিরন্দাজ রোমান সানা। অবসরের কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে আজকের পত্রিকার কাছে শুধু ক্ষোভই নয়, অনেক আফসোস-আক্ষেপও ঝরেছে দেশের তারকা তিরন্দাজের কণ্ঠে। সাক্ষাৎকার
০৪ মার্চ ২০২৪
দেশের ৬৪ জেলার ক্রিকেট কোচ, সংগঠক ও ক্রীড়া কর্মকর্তাদের নিয়ে দুই দিনব্যাপী হয়েছে বিসিবির ক্রিকেট কনফারেন্স। সেখানে ফুটবল নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করে আলোচনায় বিসিবি পরিচালক ও গায়ক আসিফ আকবর। ফুটবলের জন্য ক্রিকেট খেলা যাচ্ছে না বলে দাবি তাঁর। সেই কথার পরিপ্রেক্ষিতে নিন্দার ঝড় উঠেছে ফুটবল অঙ্গনে।
২৩ মিনিট আগে
২৫ মার্চ শিলংয়ে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়েই বাংলাদেশের জার্সিতে অভিষেক হয়েছিল হামজা চৌধুরীর। সেবার গোলশূন্য ড্র হলেও ভারতকে কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন হামজা। বাংলাদেশের এই তারকা মিডফিল্ডারের আশা, এবার হবে ভিন্ন কিছু।
২ ঘণ্টা আগে
বৃষ্টি, তুষারপাতের মধ্যে ফুটবল খেলা একেবারে নতুন কিছু নয়। পাড়ার ফুটবলের মতো আন্তর্জাতিক ফুটবলেও এমন পরিস্থিতিতে খেলা চালিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু গত রাতে কানাডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ফাইনালে যা হয়েছে, সেটা রীতিমতো অবাক করার মতো। প্রবল তুষারপাতের মধ্যে শমিত শোমদের খেলা শেষ করতে অনেক দেরি হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে