Ajker Patrika
সাক্ষাৎকার

টি-টোয়েন্টি সিরিজও আমরাই জিতব

টি-টোয়েন্টি সিরিজও আমরাই জিতব

সিলেটে গত পরশু আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ-নির্ধারণী ওয়ানডেতে মুগ্ধতা ছড়িয়েছেন হাসান মাহমুদ। তাঁর আগুনে বোলিংয়ে উড়ে গেছে আইরিশরা। ২২ গজে তোপ দাগা হাসানের বোলিংই শুধু নয়, মুগ্ধতা ছড়িয়েছে তাঁর সারল্যও। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে দারুণ বোলিং, সর্বশেষ বিপিএলে যৌথভাবে সর্বোচ্চ ১৭ উইকেট সব মিলিয়ে সময়টা দারুণ যাচ্ছে ২৩ বছর বয়সী ফাস্ট বোলারের। গতকাল চট্টগ্রাম থেকে ফোনে স্বল্পভাষী হাসান আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বললেন তাঁর সাম্প্রতিক সাফল্য নিয়ে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন লাইছ ত্বোহা

প্রশ্ন: আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম দুই ওয়ানডে খেলেননি, শেষ ম্যাচে নেমেই ওই আগুনে বোলিং। মনে মনে কী এমন কোনো লক্ষ্য স্থির করে রেখেছিলেন যে নেমেই দুর্দান্ত কিছু করতে হবে? 

হাসান মাহমুদ: এটা আসলে ভালো লেগেছে দলের জয়ে অবদান রেখেছি। আমার ক্যারিয়ারে প্রথমবার ৫ উইকেট পেয়েছিলাম। এটা অন্যরকম ব্যাপার। 

প্রশ্ন: সিরিজ-নির্ধারণী ম্যাচে মোস্তাফিজকে রেখে আপনাকে একাদশে নেওয়া হয়েছিল। এটা নিয়ে বাড়তি কোনো চাপ অনুভব হয়েছিল যে আস্থার প্রতিদান দিতেই হবে? 

হাসান: যদি শুরুতেও খেলতাম হয়তো কিছুটা সহজ হতো। শেষ ম্যাচে সুযোগ পেয়ে চেষ্টা করেছি নিজের সেরাটা দিতে। ফলও পেয়েছি। 

প্রশ্ন: ডেথ ওভারে অসাধারণ বোলিং করছেন, ভালো ইয়ার্কার করছেন। অনেকদিন ধরে কাজ করা একটা বিষয়ের ফল মিলছে, নিশ্চয়ই এটা আরও ভালো করতে অনুপ্রাণিত করে? 

হাসান: অনেকদিন ধরেই কাজ করছি, ফরম্যাট অনুযায়ী বোলিং করা, যা শিখছি সেভাবেই কাজে লাগাতেও চেষ্টা করছি। 

প্রশ্ন: পেস বোলিং কোচ ডোনাল্ডের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা কিছু তো পরশু সংবাদ সম্মেলনেই বলেছেন। আরেকটু যদি বিস্তারিত বলতেন। 

হাসান: স্যার অনেক ভালো মানুষ। আমাদের খুব যত্নসহকারে বোলিং শেখানোর চেষ্টা করেন।

প্রশ্ন: একটা সময় শেষ ওভারে ১৮-২০ রান ডিফেন্ড করতে হলেও পেসারদের ওপর নির্ভর করা যেত না। কিন্তু এখন ছবিটা ভিন্ন। বাংলাদেশের পেস ইউনিটের একজনের সদস্য হিসেবে কেমন লাগে বিষয়টা?

হাসান: এখন আমাদের পেস বোলিং ইউনিট অনেক ভালো। সবাই ভালো করার চেষ্টা করছে, উন্নতি করছে। যেকোনো দলের সঙ্গে ১৯-২০ (সমানে সমান) লড়াই হবে।

প্রশ্ন: ঘুরে দাঁড়ানো, শেষ পর্যন্ত হাল না ছাড়া, ভাবনার এই পরিবর্তন কীভাবে সম্ভব হয়েছে? 

হাসান: আসলে কোচরা আমাদের নিয়ে অনেক কাজ করেছেন। আমরাও মাঠে সেভাবে দেখানোর চেষ্টা করেছি, যার যার কাজ ভালোভাবে করতে।

প্রশ্ন: আপনার সিনিয়র সতীর্থ তাসকিন আহমেদের পরিবর্তন অনেক প্রশংসা পেয়েছে। আপনারাও কতটা অনুপ্রাণিত হন তাঁর কাছ থেকে? 

হাসান: তাসকিন ভাই...আমাদের বোলিং ইউনিটের নেতা। তাঁর ডেডিকেশন (নিবেদন) অন্য লেভেলের। বলে বোঝানো যাবে না। তাঁর কাছ থেকে অনুপ্রাণিত হই।

প্রশ্ন: জাতীয় দলে খেলাটাই যেকোনো ক্রিকেটারের কাছে অনেক বড় স্বপ্ন। সেটা তো পূরণ হচ্ছেই। এখন কোন স্বপ্নটা ভবিষ্যতে পূরণ করতে চান? 

হাসান: একজন ভালো খেলোয়াড় হব এবং বাংলাদেশের হয়ে ধারাবাহিক ভালো খেলে যেতে চাই। আর আমি আগেও বলেছি, ওয়ানডেতে আমি ৫০০ উইকেট শিকার করতে চাই।

প্রশ্ন: ক্রিকেটার হওয়ার পেছনে কার অনুপ্রেরণা সবচেয়ে বেশি ছিল?

হাসান: আমার পরিবারের অবদান সবচেয়ে বেশি ছিল। বাবা-মা সবার। কেউ কখনো বাধা দেননি। আমি তাই এ পর্যন্ত আসতে পেরেছি।

প্রশ্ন: ছোটবেলা থেকেই কি ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন? 

হাসান: ছোট থেকেই আমি ক্রিকেটার হওয়ারই স্বপ্ন দেখতাম। বড় হয়ে সে স্বপ্নই সত্যি হয়েছে। 

প্রশ্ন: ক্রিকেটে কাউকে আদর্শ মানেন? 

হাসান: সেভাবে কেউ নেই। অনেকের খেলাই ভালো লাগে। 

প্রশ্ন: বিপিএল দারুণ বোলিং করেছেন। বিদেশি ক্রিকেটারদের কাছ থেকে কি কোনো পরামর্শ পেয়েছিলেন যেটা এখন কাজে দিচ্ছে? 

হাসান: বিদেশিদের থেকে ওইরকম কিছু আসলে শেখা হয়নি।

প্রশ্ন: ওয়ানডে সিরিজে দাপুটে জয়ের পর টি-টোয়েন্টি সিরিজেও নিশ্চয়ই একই প্রত্যাশা? 

হাসান: ইনশাআল্লাহ টি-টোয়েন্টিতেও ভালো করার চেষ্টা করব। আশা করি আমরাই সিরিজ জিতব।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত