শুক্রবার সকালে মিরপুরে মেহেদী হাসান মিরাজের বাসায় যখন এই সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়, তিনি তখন তৈরি হচ্ছেন কলম্বোর ফ্লাইট ধরার। শরীরে জ্বর, তবু তাঁর ইতিবাচক অভিব্যক্তি। যেকোনো পরিস্থিতিতে ইতিবাচক থাকাই মিরাজের বড় গুণ। রওনা দেওয়ার আগে দেওয়া বাংলাদেশ দলের নতুন ওয়ানডে অধিনায়কের সাক্ষাৎজুড়ে থাকল নতুন দায়িত্বের প্রসঙ্গ। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রানা আব্বাস।
রানা আব্বাস, ঢাকা
প্রশ্ন: আপনার কি মোটেও কোনো আশা ছিল যে এই শ্রীলঙ্কা সফরের আগে নির্দিষ্ট একটা সংস্করণে অধিনায়ক হবেন? লিডারশিপ গ্রুপে কিছুদিন ধরে যদিও ছিলেন।
মেহেদী হাসান মিরাজ: না। (নাজমুল হোসেন) শান্তই তো ছিল এর আগে। সত্যি বলতে, সেভাবে চিন্তা করিনি (অধিনায়কত্ব নিয়ে)। হঠাৎ এ রকম হয়েছে। যাঁরা সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন, তাঁরা আরও ভালো বলতে পারবেন যে বিষয়টা কীভাবে চিন্তা করেছেন। আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। চেষ্টা করব বাংলাদেশের জন্য ভালো কিছু অর্জন করতে। আশা করি, আমরা ভালো একটা অবস্থান তৈরি করতে পারব (ওয়ানডেতে)।
প্রশ্ন: শান্তর কাছ থেকে অধিনায়কত্বের ব্যাটন আপনার হাতে এসেছে। অধিনায়ক হওয়ার পর তাঁর কাছ থেকে বিশেষ কোনো বার্তা পেয়েছেন?
মিরাজ: হ্যাঁ। ওর (শান্ত) সঙ্গে তো সব সময় কথা হয়েছে। আমরা তো কাল (অধিনায়কত্ব ঘোষণার দিন) একসঙ্গেই ছিলাম। সে খুবই ভালো কথা বলেছে। আমরা তো ছোটবেলা থেকে একসঙ্গে খেলছি। আমাদের কাছে এসবে কিছু যায়-আসে না, সে অধিনায়ক থাকুক কিংবা আমি। দিন শেষে সবাই দেশের জন্য খেলি। দেশের হয়ে পারফর্ম করতে পারলে অনেক ভালো লাগে। সে যখন নেতৃত্ব দিয়েছে, সবাই সহায়তা করেছি। পারফর্ম করে বলুন বা যেভাবে হোক, তাকে সমর্থন দেওয়ার চেষ্টা করেছি। কাল (অধিনায়কত্ব ঘোষণার দিন) এসব বিষয়ে অনেক কথা হয়েছে। বাংলাদেশ দলকে একটা জায়গায় নিয়ে যেতে হবে আমাদের। দলের অধিনায়ক কে, তাতে কিছু যায়-আসে না।
প্রশ্ন: অনেক অধিনায়কের অধীনে খেলেছেন। মাশরাফি বিন মর্তুজার কাছ থেকে কী কী শিখেছেন?
মিরাজ: মাশরাফি ভাইয়ের অধীনেই আমার ওয়ানডেতে অভিষেক হয়েছিল, ২০১৭ সালে। শ্রীলঙ্কাতেই। মাশরাফি ভাইয়ের কাছে অনেক কিছু শিখেছি; বিশেষ করে তাঁর নেতৃত্ব, ম্যান ম্যানেজমেন্ট, দল যেভাবে সামলান—অনেক ভালো ছিল। সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে উজ্জীবিত করা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
প্রশ্ন: সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বের কী ভালো লাগত?
মিরাজ: সাকিব ভাই মাঠের ভেতরে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নিতে পারতেন। মানসিকভাবে অনেক শক্ত। শক্ত সিদ্ধান্ত নিতেন।
প্রশ্ন: অধিনায়ক তামিম ইকবাল?
মিরাজ: তামিম ভাই যখন অধিনায়ক ছিলেন, তখন অনেক ওয়ানডে সিরিজ জিতেছি। দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়ে ওয়ানডে সিরিজ জয়লাভ করেছি। ইংল্যান্ডকে হারিয়েছি দেশের মাঠে। শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছি। তিনি যখন অধিনায়কত্ব করেছেন, প্রত্যেক ক্রিকেটারের ওপর তাঁর বিশ্বাসের জায়গাটা ভালো ছিল। যখন বোলিং করতাম, সব সময় একটা কথা বলতেন, তু্ই দলের মূল বোলার। তোকে উইকেট নিতে হবে। ব্যাটার ডানহাতি হোক বা বাঁহাতি, তোকে সেভাবেই কাজে লাগাব। ওই আত্মবিশ্বাসটা সব সময় আমাকে দিতেন। সেই অনুযায়ী আমি অনেক ভালো করেছি।
প্রশ্ন: সাকিবের সঙ্গে পিএসএলে একই দলে খেলেছেন। জাতীয় দল নিয়ে কী ভাবনার কথা শুনলেন তাঁর কাছে?
মিরাজ: তাঁর (সাকিব) প্রেক্ষাপট ভিন্ন। এটা তো সবাই জানি। আর আমরা যখন একসঙ্গে লাহোর কালান্দার্সে খেলেছি, অনেক দিন পর দেখা হয়েছে। কথা বলেছি। একসঙ্গে ছিলাম। তিনি হয়তো ওয়ানডে খেলতে চান। দেশের হয়ে আরও কিছুদিন ক্রিকেট খেলতে চান। সেটাই বলেছিলেন।
প্রশ্ন: বিশেষ কোনো পরামর্শ সাকিবের কাছ থেকে পেয়েছেন, যেহেতু বাংলাদেশ গত কিছুদিনে ধারাবাহিক খারাপ খেলছে।
মিরাজ: একটা কথা বলেছেন যে সবার এক হয়ে ক্রিকেট খেলতে হবে। সবাই এক হয়ে খেললে বাংলাদেশ ভালো করবে। আমাদের দলের হয়তো সাময়িক খারাপ যাচ্ছে; কিন্তু আমাদের দল অনেক ভালো এবং আমরা ভালোভাবে ঘুরে দাঁড়াব।
প্রশ্ন: অধিনায়ক হয়ে প্রথম পরিবর্তনটা কোথায় করতে চান?
মিরাজ: রাতারাতি তো সবকিছু পরিবর্তন করা যাবে না। ছোট ছোট বিষয় পরিবর্তন করলে খুব ভালো হবে। আমাদের এক-দুজন পারফর্ম করলে দল ভালো করবে না। আমার লক্ষ্য থাকবে, সবাইকে নিয়ে দল হিসেবে যেন পারফর্ম করতে পারি। দলে যেন সবার অবদান থাকে। হয়তো ছোট হতে পারে; কিন্তু সবার অবদান কাম্য।
প্রশ্ন: মে মাসের আইসিসির বার্ষিক র্যাঙ্কিংয়ে (ওয়ানডেতে) দশে নেমে গেছে বাংলাদেশ। এখান থেকে উত্তরণের উপায় কী?
মিরাজ: ২০২৩ সালে পরে আমরা কয়টা ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছি? টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে বেশি খেলেছি। ১২টা টেস্ট খেলেছি। টি-টোয়েন্টিও খেলা হয়েছে। গত বিশ্বকাপের পরে ছয়টা ওয়ানডে খেলেছি। আমরা ১৫-২০ ওয়ানডে এক বছরে খেলতে পারলে অবস্থানটা ভালো জায়গায় থাকত। এটা একটা কারণ হতে পারে যে অনেক দিন পরপর ওয়ানডে খেলা ছিল। এর আগে আমাদের যখন ফল এসেছে, ধারাবাহিকভাবে ওয়ানডে ম্যাচ ছিল। এখানে দুশ্চিন্তা করার কিছু নেই। যেহেতু আমাদের লক্ষ্য বিশ্বকাপ, বিশ্বকাপের আগে অনেক ওয়ানডে ম্যাচ আছে। যদি নিয়মিত খেলা হয় এবং আমরা পারফর্ম করতে পারি, একটা সিরিজের পর যদি বেশি বিরতি না হয়, তাহলে খেলোয়াড়েরা মনে হয় মানসিকভাবে প্রস্তুত হতে পারবে।
প্রশ্ন: সাম্প্রতিক সময়ে ফুটবল নিয়ে নতুন করে উন্মাদনা তৈরি হয়েছে। একজন ক্রিকেটার হিসেবে বিষয়টা কীভাবে দেখেন?
মিরাজ: আমাদের মধ্যে এসব বিষয়ে আলাপ হয় না। এগুলো নিয়ে চিন্তিতও নই। আমরা একটা সেক্টর, ফুটবল অন্য সেক্টর। আমাদের চিন্তাভাবনা থাকে বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ভালো জায়গায় নিয়ে যাওয়ার। আমরা সেভাবে তুলনা করি না। ফুটবল খেলা বলুন বা ক্রিকেট—সবাই খেলাপ্রেমী। যাঁরা ফুটবল দেখতে গেছেন, তাঁরা ক্রিকেটও দেখতে আসেন। এই দর্শকেরাই কিন্তু আসেন। তাঁরা আসেন বাংলাদেশের টানে। কিছু মানুষ তুলনা করেন। এটা তাঁরা কীভাবে করেন, আমি জানি না। হয়তো সামাজিক মাধ্যমেই করেন। তবে বেশির ভাগ মানুষ মনে হয় না এমনটা (তুলনা) করেন।
প্রশ্ন: পূর্ণ মেয়াদে অধিনায়কত্বের শুরুতে শ্রীলঙ্কা সিরিজ। এবার শ্রীলঙ্কায় সিরিজ জেতা কি সম্ভব?
মিরাজ: অসম্ভব বলে কিছু নেই। আমাদের দল যথেষ্ট ভালো মনে হয়। যদি এক হয়ে খেলতে পারি, আমাদের একটা-দু্ইটা মোমেন্টাম দরকার। একটা-দুইটা ম্যাচ জিতলে সবার মধ্যে আত্মবিশ্বাস চলে আসবে।
প্রশ্ন: এক বছরের মেয়াদে অধিনায়কত্ব পেয়েছেন। নিজেকে প্রমাণের জন্য যথেষ্ট কি না?
মিরাজ: যত দীর্ঘ মেয়াদে হবে, অধিনায়কের জন্য তত ভালো। যতটুকু সময় দেওয়া হয়েছে, চেষ্টা করব কাজে লাগাতে; ভালো ফল এনে দিতে। তারপর তাঁরা সিদ্ধান্ত নেবেন, যাঁরা সিদ্ধান্ত গ্রহণের কাজ করেন। আমার কাজ হলো মাঠে পারফর্ম করা, দলের সেরাটা বের করে আনা।
প্রশ্ন: অধিনায়ক হিসেবে কী স্বপ্ন দেখেন?
মিরাজ: সবারই তো স্বপ্ন থাকে ভালো কিছু করার। আর অধিনায়ক হিসেবে আমার অবশ্যই একটা স্বপ্ন আছে। বাংলাদেশকে একটা বড় শিরোপা এনে দিতে পারলে এটাই বড় অর্জন হবে।
প্রশ্ন: আপনার কি মোটেও কোনো আশা ছিল যে এই শ্রীলঙ্কা সফরের আগে নির্দিষ্ট একটা সংস্করণে অধিনায়ক হবেন? লিডারশিপ গ্রুপে কিছুদিন ধরে যদিও ছিলেন।
মেহেদী হাসান মিরাজ: না। (নাজমুল হোসেন) শান্তই তো ছিল এর আগে। সত্যি বলতে, সেভাবে চিন্তা করিনি (অধিনায়কত্ব নিয়ে)। হঠাৎ এ রকম হয়েছে। যাঁরা সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন, তাঁরা আরও ভালো বলতে পারবেন যে বিষয়টা কীভাবে চিন্তা করেছেন। আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। চেষ্টা করব বাংলাদেশের জন্য ভালো কিছু অর্জন করতে। আশা করি, আমরা ভালো একটা অবস্থান তৈরি করতে পারব (ওয়ানডেতে)।
প্রশ্ন: শান্তর কাছ থেকে অধিনায়কত্বের ব্যাটন আপনার হাতে এসেছে। অধিনায়ক হওয়ার পর তাঁর কাছ থেকে বিশেষ কোনো বার্তা পেয়েছেন?
মিরাজ: হ্যাঁ। ওর (শান্ত) সঙ্গে তো সব সময় কথা হয়েছে। আমরা তো কাল (অধিনায়কত্ব ঘোষণার দিন) একসঙ্গেই ছিলাম। সে খুবই ভালো কথা বলেছে। আমরা তো ছোটবেলা থেকে একসঙ্গে খেলছি। আমাদের কাছে এসবে কিছু যায়-আসে না, সে অধিনায়ক থাকুক কিংবা আমি। দিন শেষে সবাই দেশের জন্য খেলি। দেশের হয়ে পারফর্ম করতে পারলে অনেক ভালো লাগে। সে যখন নেতৃত্ব দিয়েছে, সবাই সহায়তা করেছি। পারফর্ম করে বলুন বা যেভাবে হোক, তাকে সমর্থন দেওয়ার চেষ্টা করেছি। কাল (অধিনায়কত্ব ঘোষণার দিন) এসব বিষয়ে অনেক কথা হয়েছে। বাংলাদেশ দলকে একটা জায়গায় নিয়ে যেতে হবে আমাদের। দলের অধিনায়ক কে, তাতে কিছু যায়-আসে না।
প্রশ্ন: অনেক অধিনায়কের অধীনে খেলেছেন। মাশরাফি বিন মর্তুজার কাছ থেকে কী কী শিখেছেন?
মিরাজ: মাশরাফি ভাইয়ের অধীনেই আমার ওয়ানডেতে অভিষেক হয়েছিল, ২০১৭ সালে। শ্রীলঙ্কাতেই। মাশরাফি ভাইয়ের কাছে অনেক কিছু শিখেছি; বিশেষ করে তাঁর নেতৃত্ব, ম্যান ম্যানেজমেন্ট, দল যেভাবে সামলান—অনেক ভালো ছিল। সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে উজ্জীবিত করা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
প্রশ্ন: সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বের কী ভালো লাগত?
মিরাজ: সাকিব ভাই মাঠের ভেতরে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নিতে পারতেন। মানসিকভাবে অনেক শক্ত। শক্ত সিদ্ধান্ত নিতেন।
প্রশ্ন: অধিনায়ক তামিম ইকবাল?
মিরাজ: তামিম ভাই যখন অধিনায়ক ছিলেন, তখন অনেক ওয়ানডে সিরিজ জিতেছি। দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়ে ওয়ানডে সিরিজ জয়লাভ করেছি। ইংল্যান্ডকে হারিয়েছি দেশের মাঠে। শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছি। তিনি যখন অধিনায়কত্ব করেছেন, প্রত্যেক ক্রিকেটারের ওপর তাঁর বিশ্বাসের জায়গাটা ভালো ছিল। যখন বোলিং করতাম, সব সময় একটা কথা বলতেন, তু্ই দলের মূল বোলার। তোকে উইকেট নিতে হবে। ব্যাটার ডানহাতি হোক বা বাঁহাতি, তোকে সেভাবেই কাজে লাগাব। ওই আত্মবিশ্বাসটা সব সময় আমাকে দিতেন। সেই অনুযায়ী আমি অনেক ভালো করেছি।
প্রশ্ন: সাকিবের সঙ্গে পিএসএলে একই দলে খেলেছেন। জাতীয় দল নিয়ে কী ভাবনার কথা শুনলেন তাঁর কাছে?
মিরাজ: তাঁর (সাকিব) প্রেক্ষাপট ভিন্ন। এটা তো সবাই জানি। আর আমরা যখন একসঙ্গে লাহোর কালান্দার্সে খেলেছি, অনেক দিন পর দেখা হয়েছে। কথা বলেছি। একসঙ্গে ছিলাম। তিনি হয়তো ওয়ানডে খেলতে চান। দেশের হয়ে আরও কিছুদিন ক্রিকেট খেলতে চান। সেটাই বলেছিলেন।
প্রশ্ন: বিশেষ কোনো পরামর্শ সাকিবের কাছ থেকে পেয়েছেন, যেহেতু বাংলাদেশ গত কিছুদিনে ধারাবাহিক খারাপ খেলছে।
মিরাজ: একটা কথা বলেছেন যে সবার এক হয়ে ক্রিকেট খেলতে হবে। সবাই এক হয়ে খেললে বাংলাদেশ ভালো করবে। আমাদের দলের হয়তো সাময়িক খারাপ যাচ্ছে; কিন্তু আমাদের দল অনেক ভালো এবং আমরা ভালোভাবে ঘুরে দাঁড়াব।
প্রশ্ন: অধিনায়ক হয়ে প্রথম পরিবর্তনটা কোথায় করতে চান?
মিরাজ: রাতারাতি তো সবকিছু পরিবর্তন করা যাবে না। ছোট ছোট বিষয় পরিবর্তন করলে খুব ভালো হবে। আমাদের এক-দুজন পারফর্ম করলে দল ভালো করবে না। আমার লক্ষ্য থাকবে, সবাইকে নিয়ে দল হিসেবে যেন পারফর্ম করতে পারি। দলে যেন সবার অবদান থাকে। হয়তো ছোট হতে পারে; কিন্তু সবার অবদান কাম্য।
প্রশ্ন: মে মাসের আইসিসির বার্ষিক র্যাঙ্কিংয়ে (ওয়ানডেতে) দশে নেমে গেছে বাংলাদেশ। এখান থেকে উত্তরণের উপায় কী?
মিরাজ: ২০২৩ সালে পরে আমরা কয়টা ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছি? টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে বেশি খেলেছি। ১২টা টেস্ট খেলেছি। টি-টোয়েন্টিও খেলা হয়েছে। গত বিশ্বকাপের পরে ছয়টা ওয়ানডে খেলেছি। আমরা ১৫-২০ ওয়ানডে এক বছরে খেলতে পারলে অবস্থানটা ভালো জায়গায় থাকত। এটা একটা কারণ হতে পারে যে অনেক দিন পরপর ওয়ানডে খেলা ছিল। এর আগে আমাদের যখন ফল এসেছে, ধারাবাহিকভাবে ওয়ানডে ম্যাচ ছিল। এখানে দুশ্চিন্তা করার কিছু নেই। যেহেতু আমাদের লক্ষ্য বিশ্বকাপ, বিশ্বকাপের আগে অনেক ওয়ানডে ম্যাচ আছে। যদি নিয়মিত খেলা হয় এবং আমরা পারফর্ম করতে পারি, একটা সিরিজের পর যদি বেশি বিরতি না হয়, তাহলে খেলোয়াড়েরা মনে হয় মানসিকভাবে প্রস্তুত হতে পারবে।
প্রশ্ন: সাম্প্রতিক সময়ে ফুটবল নিয়ে নতুন করে উন্মাদনা তৈরি হয়েছে। একজন ক্রিকেটার হিসেবে বিষয়টা কীভাবে দেখেন?
মিরাজ: আমাদের মধ্যে এসব বিষয়ে আলাপ হয় না। এগুলো নিয়ে চিন্তিতও নই। আমরা একটা সেক্টর, ফুটবল অন্য সেক্টর। আমাদের চিন্তাভাবনা থাকে বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ভালো জায়গায় নিয়ে যাওয়ার। আমরা সেভাবে তুলনা করি না। ফুটবল খেলা বলুন বা ক্রিকেট—সবাই খেলাপ্রেমী। যাঁরা ফুটবল দেখতে গেছেন, তাঁরা ক্রিকেটও দেখতে আসেন। এই দর্শকেরাই কিন্তু আসেন। তাঁরা আসেন বাংলাদেশের টানে। কিছু মানুষ তুলনা করেন। এটা তাঁরা কীভাবে করেন, আমি জানি না। হয়তো সামাজিক মাধ্যমেই করেন। তবে বেশির ভাগ মানুষ মনে হয় না এমনটা (তুলনা) করেন।
প্রশ্ন: পূর্ণ মেয়াদে অধিনায়কত্বের শুরুতে শ্রীলঙ্কা সিরিজ। এবার শ্রীলঙ্কায় সিরিজ জেতা কি সম্ভব?
মিরাজ: অসম্ভব বলে কিছু নেই। আমাদের দল যথেষ্ট ভালো মনে হয়। যদি এক হয়ে খেলতে পারি, আমাদের একটা-দু্ইটা মোমেন্টাম দরকার। একটা-দুইটা ম্যাচ জিতলে সবার মধ্যে আত্মবিশ্বাস চলে আসবে।
প্রশ্ন: এক বছরের মেয়াদে অধিনায়কত্ব পেয়েছেন। নিজেকে প্রমাণের জন্য যথেষ্ট কি না?
মিরাজ: যত দীর্ঘ মেয়াদে হবে, অধিনায়কের জন্য তত ভালো। যতটুকু সময় দেওয়া হয়েছে, চেষ্টা করব কাজে লাগাতে; ভালো ফল এনে দিতে। তারপর তাঁরা সিদ্ধান্ত নেবেন, যাঁরা সিদ্ধান্ত গ্রহণের কাজ করেন। আমার কাজ হলো মাঠে পারফর্ম করা, দলের সেরাটা বের করে আনা।
প্রশ্ন: অধিনায়ক হিসেবে কী স্বপ্ন দেখেন?
মিরাজ: সবারই তো স্বপ্ন থাকে ভালো কিছু করার। আর অধিনায়ক হিসেবে আমার অবশ্যই একটা স্বপ্ন আছে। বাংলাদেশকে একটা বড় শিরোপা এনে দিতে পারলে এটাই বড় অর্জন হবে।
এক টেস্টে জোড়া সেঞ্চুরি আগেও দেখেছে বাংলাদেশ। নাজমুল হোসেন শান্ত প্রায় দুই বছর আগে সেই ক্লাবে নাম লেখান। এবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গলে জোড়া সেঞ্চুরি করে নতুন কীর্তি গড়লেন তিনি। বাংলাদেশের কোনো অধিনায়কই এর আগে এক টেস্টে দুই সেঞ্চুরি হাঁকাতে পারেননি। এই রেকর্ডে নাম লেখানোর কথা আগে থেকে জানতেন না শান্ত।
৩১ মিনিট আগেকিছু কি মনে পড়ছে? না পড়লেও অবশ্য দোষের কিছু নেই। মেলবোর্নে গত বছর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৩৭ বলে ২৮ রানের ইনিংস খেলে তোপের মুখে পড়েন ঋষভ পন্ত। তাঁর আউটের ধরন দেখে রীতিমত ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন কিংবদন্তি সুনীল গাভাস্কার। ধারাভাষ্যকক্ষে মাইক হাতে তিরস্কার করতে থাকেন ‘স্টুপিড, স্টুপিড, স্টুপিড’ বলে
১ ঘণ্টা আগেদিন শেষ হতে তখনো বাকি আরও ৫ ওভার। ৩০ বলে শ্রীলঙ্কার ৬ উইকেট পড়ে যাবে এমন ভাবাটা আকাশ-কুসুম কল্পনার মতো। বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত তাই বাস্তবতা মেনে নিয়ে ছুটে গেলেন লঙ্কান অধিনায়ক ধনঞ্জয়া ডি সিলভার সঙ্গে করমর্দন করতে। বাকিরাও তা অনুসরণ করতে থাকেন।
১ ঘণ্টা আগেতাহলে কি এবার বিশ্বকাপ জিতবে লাতিন আমেরিকার কোনো ক্লাব? এই প্রশ্নে ব্রাজিলিয়ান ক্লাব ফ্ল্যামেঙ্গোর কোচ ফিলিপে লুইসের উত্তর অন্তত ‘হ্যাঁ’। তাঁর ভাষায়, ‘যে কোনো দলই জিততে পারে (ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ)। এটাই ফুটবল। যদি কোনো দক্ষিণ আমেরিকান ক্লাব জেতে আমি অবাক হব না।’
৩ ঘণ্টা আগে