
শুক্রবার সকালে মিরপুরে মেহেদী হাসান মিরাজের বাসায় যখন এই সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়, তিনি তখন তৈরি হচ্ছেন কলম্বোর ফ্লাইট ধরার। শরীরে জ্বর, তবু তাঁর ইতিবাচক অভিব্যক্তি। যেকোনো পরিস্থিতিতে ইতিবাচক থাকাই মিরাজের বড় গুণ। রওনা দেওয়ার আগে দেওয়া বাংলাদেশ দলের নতুন ওয়ানডে অধিনায়কের সাক্ষাৎজুড়ে থাকল নতুন দায়িত্বের প্রসঙ্গ। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রানা আব্বাস।
রানা আব্বাস, ঢাকা

প্রশ্ন: আপনার কি মোটেও কোনো আশা ছিল যে এই শ্রীলঙ্কা সফরের আগে নির্দিষ্ট একটা সংস্করণে অধিনায়ক হবেন? লিডারশিপ গ্রুপে কিছুদিন ধরে যদিও ছিলেন।
মেহেদী হাসান মিরাজ: না। (নাজমুল হোসেন) শান্তই তো ছিল এর আগে। সত্যি বলতে, সেভাবে চিন্তা করিনি (অধিনায়কত্ব নিয়ে)। হঠাৎ এ রকম হয়েছে। যাঁরা সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন, তাঁরা আরও ভালো বলতে পারবেন যে বিষয়টা কীভাবে চিন্তা করেছেন। আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। চেষ্টা করব বাংলাদেশের জন্য ভালো কিছু অর্জন করতে। আশা করি, আমরা ভালো একটা অবস্থান তৈরি করতে পারব (ওয়ানডেতে)।
প্রশ্ন: শান্তর কাছ থেকে অধিনায়কত্বের ব্যাটন আপনার হাতে এসেছে। অধিনায়ক হওয়ার পর তাঁর কাছ থেকে বিশেষ কোনো বার্তা পেয়েছেন?
মিরাজ: হ্যাঁ। ওর (শান্ত) সঙ্গে তো সব সময় কথা হয়েছে। আমরা তো কাল (অধিনায়কত্ব ঘোষণার দিন) একসঙ্গেই ছিলাম। সে খুবই ভালো কথা বলেছে। আমরা তো ছোটবেলা থেকে একসঙ্গে খেলছি। আমাদের কাছে এসবে কিছু যায়-আসে না, সে অধিনায়ক থাকুক কিংবা আমি। দিন শেষে সবাই দেশের জন্য খেলি। দেশের হয়ে পারফর্ম করতে পারলে অনেক ভালো লাগে। সে যখন নেতৃত্ব দিয়েছে, সবাই সহায়তা করেছি। পারফর্ম করে বলুন বা যেভাবে হোক, তাকে সমর্থন দেওয়ার চেষ্টা করেছি। কাল (অধিনায়কত্ব ঘোষণার দিন) এসব বিষয়ে অনেক কথা হয়েছে। বাংলাদেশ দলকে একটা জায়গায় নিয়ে যেতে হবে আমাদের। দলের অধিনায়ক কে, তাতে কিছু যায়-আসে না।
প্রশ্ন: অনেক অধিনায়কের অধীনে খেলেছেন। মাশরাফি বিন মর্তুজার কাছ থেকে কী কী শিখেছেন?
মিরাজ: মাশরাফি ভাইয়ের অধীনেই আমার ওয়ানডেতে অভিষেক হয়েছিল, ২০১৭ সালে। শ্রীলঙ্কাতেই। মাশরাফি ভাইয়ের কাছে অনেক কিছু শিখেছি; বিশেষ করে তাঁর নেতৃত্ব, ম্যান ম্যানেজমেন্ট, দল যেভাবে সামলান—অনেক ভালো ছিল। সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে উজ্জীবিত করা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
প্রশ্ন: সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বের কী ভালো লাগত?
মিরাজ: সাকিব ভাই মাঠের ভেতরে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নিতে পারতেন। মানসিকভাবে অনেক শক্ত। শক্ত সিদ্ধান্ত নিতেন।
প্রশ্ন: অধিনায়ক তামিম ইকবাল?
মিরাজ: তামিম ভাই যখন অধিনায়ক ছিলেন, তখন অনেক ওয়ানডে সিরিজ জিতেছি। দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়ে ওয়ানডে সিরিজ জয়লাভ করেছি। ইংল্যান্ডকে হারিয়েছি দেশের মাঠে। শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছি। তিনি যখন অধিনায়কত্ব করেছেন, প্রত্যেক ক্রিকেটারের ওপর তাঁর বিশ্বাসের জায়গাটা ভালো ছিল। যখন বোলিং করতাম, সব সময় একটা কথা বলতেন, তু্ই দলের মূল বোলার। তোকে উইকেট নিতে হবে। ব্যাটার ডানহাতি হোক বা বাঁহাতি, তোকে সেভাবেই কাজে লাগাব। ওই আত্মবিশ্বাসটা সব সময় আমাকে দিতেন। সেই অনুযায়ী আমি অনেক ভালো করেছি।
প্রশ্ন: সাকিবের সঙ্গে পিএসএলে একই দলে খেলেছেন। জাতীয় দল নিয়ে কী ভাবনার কথা শুনলেন তাঁর কাছে?
মিরাজ: তাঁর (সাকিব) প্রেক্ষাপট ভিন্ন। এটা তো সবাই জানি। আর আমরা যখন একসঙ্গে লাহোর কালান্দার্সে খেলেছি, অনেক দিন পর দেখা হয়েছে। কথা বলেছি। একসঙ্গে ছিলাম। তিনি হয়তো ওয়ানডে খেলতে চান। দেশের হয়ে আরও কিছুদিন ক্রিকেট খেলতে চান। সেটাই বলেছিলেন।
প্রশ্ন: বিশেষ কোনো পরামর্শ সাকিবের কাছ থেকে পেয়েছেন, যেহেতু বাংলাদেশ গত কিছুদিনে ধারাবাহিক খারাপ খেলছে।
মিরাজ: একটা কথা বলেছেন যে সবার এক হয়ে ক্রিকেট খেলতে হবে। সবাই এক হয়ে খেললে বাংলাদেশ ভালো করবে। আমাদের দলের হয়তো সাময়িক খারাপ যাচ্ছে; কিন্তু আমাদের দল অনেক ভালো এবং আমরা ভালোভাবে ঘুরে দাঁড়াব।
প্রশ্ন: অধিনায়ক হয়ে প্রথম পরিবর্তনটা কোথায় করতে চান?
মিরাজ: রাতারাতি তো সবকিছু পরিবর্তন করা যাবে না। ছোট ছোট বিষয় পরিবর্তন করলে খুব ভালো হবে। আমাদের এক-দুজন পারফর্ম করলে দল ভালো করবে না। আমার লক্ষ্য থাকবে, সবাইকে নিয়ে দল হিসেবে যেন পারফর্ম করতে পারি। দলে যেন সবার অবদান থাকে। হয়তো ছোট হতে পারে; কিন্তু সবার অবদান কাম্য।
প্রশ্ন: মে মাসের আইসিসির বার্ষিক র্যাঙ্কিংয়ে (ওয়ানডেতে) দশে নেমে গেছে বাংলাদেশ। এখান থেকে উত্তরণের উপায় কী?
মিরাজ: ২০২৩ সালে পরে আমরা কয়টা ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছি? টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে বেশি খেলেছি। ১২টা টেস্ট খেলেছি। টি-টোয়েন্টিও খেলা হয়েছে। গত বিশ্বকাপের পরে ছয়টা ওয়ানডে খেলেছি। আমরা ১৫-২০ ওয়ানডে এক বছরে খেলতে পারলে অবস্থানটা ভালো জায়গায় থাকত। এটা একটা কারণ হতে পারে যে অনেক দিন পরপর ওয়ানডে খেলা ছিল। এর আগে আমাদের যখন ফল এসেছে, ধারাবাহিকভাবে ওয়ানডে ম্যাচ ছিল। এখানে দুশ্চিন্তা করার কিছু নেই। যেহেতু আমাদের লক্ষ্য বিশ্বকাপ, বিশ্বকাপের আগে অনেক ওয়ানডে ম্যাচ আছে। যদি নিয়মিত খেলা হয় এবং আমরা পারফর্ম করতে পারি, একটা সিরিজের পর যদি বেশি বিরতি না হয়, তাহলে খেলোয়াড়েরা মনে হয় মানসিকভাবে প্রস্তুত হতে পারবে।
প্রশ্ন: সাম্প্রতিক সময়ে ফুটবল নিয়ে নতুন করে উন্মাদনা তৈরি হয়েছে। একজন ক্রিকেটার হিসেবে বিষয়টা কীভাবে দেখেন?
মিরাজ: আমাদের মধ্যে এসব বিষয়ে আলাপ হয় না। এগুলো নিয়ে চিন্তিতও নই। আমরা একটা সেক্টর, ফুটবল অন্য সেক্টর। আমাদের চিন্তাভাবনা থাকে বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ভালো জায়গায় নিয়ে যাওয়ার। আমরা সেভাবে তুলনা করি না। ফুটবল খেলা বলুন বা ক্রিকেট—সবাই খেলাপ্রেমী। যাঁরা ফুটবল দেখতে গেছেন, তাঁরা ক্রিকেটও দেখতে আসেন। এই দর্শকেরাই কিন্তু আসেন। তাঁরা আসেন বাংলাদেশের টানে। কিছু মানুষ তুলনা করেন। এটা তাঁরা কীভাবে করেন, আমি জানি না। হয়তো সামাজিক মাধ্যমেই করেন। তবে বেশির ভাগ মানুষ মনে হয় না এমনটা (তুলনা) করেন।
প্রশ্ন: পূর্ণ মেয়াদে অধিনায়কত্বের শুরুতে শ্রীলঙ্কা সিরিজ। এবার শ্রীলঙ্কায় সিরিজ জেতা কি সম্ভব?
মিরাজ: অসম্ভব বলে কিছু নেই। আমাদের দল যথেষ্ট ভালো মনে হয়। যদি এক হয়ে খেলতে পারি, আমাদের একটা-দু্ইটা মোমেন্টাম দরকার। একটা-দুইটা ম্যাচ জিতলে সবার মধ্যে আত্মবিশ্বাস চলে আসবে।
প্রশ্ন: এক বছরের মেয়াদে অধিনায়কত্ব পেয়েছেন। নিজেকে প্রমাণের জন্য যথেষ্ট কি না?
মিরাজ: যত দীর্ঘ মেয়াদে হবে, অধিনায়কের জন্য তত ভালো। যতটুকু সময় দেওয়া হয়েছে, চেষ্টা করব কাজে লাগাতে; ভালো ফল এনে দিতে। তারপর তাঁরা সিদ্ধান্ত নেবেন, যাঁরা সিদ্ধান্ত গ্রহণের কাজ করেন। আমার কাজ হলো মাঠে পারফর্ম করা, দলের সেরাটা বের করে আনা।
প্রশ্ন: অধিনায়ক হিসেবে কী স্বপ্ন দেখেন?
মিরাজ: সবারই তো স্বপ্ন থাকে ভালো কিছু করার। আর অধিনায়ক হিসেবে আমার অবশ্যই একটা স্বপ্ন আছে। বাংলাদেশকে একটা বড় শিরোপা এনে দিতে পারলে এটাই বড় অর্জন হবে।
প্রশ্ন: আপনার কি মোটেও কোনো আশা ছিল যে এই শ্রীলঙ্কা সফরের আগে নির্দিষ্ট একটা সংস্করণে অধিনায়ক হবেন? লিডারশিপ গ্রুপে কিছুদিন ধরে যদিও ছিলেন।
মেহেদী হাসান মিরাজ: না। (নাজমুল হোসেন) শান্তই তো ছিল এর আগে। সত্যি বলতে, সেভাবে চিন্তা করিনি (অধিনায়কত্ব নিয়ে)। হঠাৎ এ রকম হয়েছে। যাঁরা সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন, তাঁরা আরও ভালো বলতে পারবেন যে বিষয়টা কীভাবে চিন্তা করেছেন। আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। চেষ্টা করব বাংলাদেশের জন্য ভালো কিছু অর্জন করতে। আশা করি, আমরা ভালো একটা অবস্থান তৈরি করতে পারব (ওয়ানডেতে)।
প্রশ্ন: শান্তর কাছ থেকে অধিনায়কত্বের ব্যাটন আপনার হাতে এসেছে। অধিনায়ক হওয়ার পর তাঁর কাছ থেকে বিশেষ কোনো বার্তা পেয়েছেন?
মিরাজ: হ্যাঁ। ওর (শান্ত) সঙ্গে তো সব সময় কথা হয়েছে। আমরা তো কাল (অধিনায়কত্ব ঘোষণার দিন) একসঙ্গেই ছিলাম। সে খুবই ভালো কথা বলেছে। আমরা তো ছোটবেলা থেকে একসঙ্গে খেলছি। আমাদের কাছে এসবে কিছু যায়-আসে না, সে অধিনায়ক থাকুক কিংবা আমি। দিন শেষে সবাই দেশের জন্য খেলি। দেশের হয়ে পারফর্ম করতে পারলে অনেক ভালো লাগে। সে যখন নেতৃত্ব দিয়েছে, সবাই সহায়তা করেছি। পারফর্ম করে বলুন বা যেভাবে হোক, তাকে সমর্থন দেওয়ার চেষ্টা করেছি। কাল (অধিনায়কত্ব ঘোষণার দিন) এসব বিষয়ে অনেক কথা হয়েছে। বাংলাদেশ দলকে একটা জায়গায় নিয়ে যেতে হবে আমাদের। দলের অধিনায়ক কে, তাতে কিছু যায়-আসে না।
প্রশ্ন: অনেক অধিনায়কের অধীনে খেলেছেন। মাশরাফি বিন মর্তুজার কাছ থেকে কী কী শিখেছেন?
মিরাজ: মাশরাফি ভাইয়ের অধীনেই আমার ওয়ানডেতে অভিষেক হয়েছিল, ২০১৭ সালে। শ্রীলঙ্কাতেই। মাশরাফি ভাইয়ের কাছে অনেক কিছু শিখেছি; বিশেষ করে তাঁর নেতৃত্ব, ম্যান ম্যানেজমেন্ট, দল যেভাবে সামলান—অনেক ভালো ছিল। সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে উজ্জীবিত করা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
প্রশ্ন: সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বের কী ভালো লাগত?
মিরাজ: সাকিব ভাই মাঠের ভেতরে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নিতে পারতেন। মানসিকভাবে অনেক শক্ত। শক্ত সিদ্ধান্ত নিতেন।
প্রশ্ন: অধিনায়ক তামিম ইকবাল?
মিরাজ: তামিম ভাই যখন অধিনায়ক ছিলেন, তখন অনেক ওয়ানডে সিরিজ জিতেছি। দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়ে ওয়ানডে সিরিজ জয়লাভ করেছি। ইংল্যান্ডকে হারিয়েছি দেশের মাঠে। শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছি। তিনি যখন অধিনায়কত্ব করেছেন, প্রত্যেক ক্রিকেটারের ওপর তাঁর বিশ্বাসের জায়গাটা ভালো ছিল। যখন বোলিং করতাম, সব সময় একটা কথা বলতেন, তু্ই দলের মূল বোলার। তোকে উইকেট নিতে হবে। ব্যাটার ডানহাতি হোক বা বাঁহাতি, তোকে সেভাবেই কাজে লাগাব। ওই আত্মবিশ্বাসটা সব সময় আমাকে দিতেন। সেই অনুযায়ী আমি অনেক ভালো করেছি।
প্রশ্ন: সাকিবের সঙ্গে পিএসএলে একই দলে খেলেছেন। জাতীয় দল নিয়ে কী ভাবনার কথা শুনলেন তাঁর কাছে?
মিরাজ: তাঁর (সাকিব) প্রেক্ষাপট ভিন্ন। এটা তো সবাই জানি। আর আমরা যখন একসঙ্গে লাহোর কালান্দার্সে খেলেছি, অনেক দিন পর দেখা হয়েছে। কথা বলেছি। একসঙ্গে ছিলাম। তিনি হয়তো ওয়ানডে খেলতে চান। দেশের হয়ে আরও কিছুদিন ক্রিকেট খেলতে চান। সেটাই বলেছিলেন।
প্রশ্ন: বিশেষ কোনো পরামর্শ সাকিবের কাছ থেকে পেয়েছেন, যেহেতু বাংলাদেশ গত কিছুদিনে ধারাবাহিক খারাপ খেলছে।
মিরাজ: একটা কথা বলেছেন যে সবার এক হয়ে ক্রিকেট খেলতে হবে। সবাই এক হয়ে খেললে বাংলাদেশ ভালো করবে। আমাদের দলের হয়তো সাময়িক খারাপ যাচ্ছে; কিন্তু আমাদের দল অনেক ভালো এবং আমরা ভালোভাবে ঘুরে দাঁড়াব।
প্রশ্ন: অধিনায়ক হয়ে প্রথম পরিবর্তনটা কোথায় করতে চান?
মিরাজ: রাতারাতি তো সবকিছু পরিবর্তন করা যাবে না। ছোট ছোট বিষয় পরিবর্তন করলে খুব ভালো হবে। আমাদের এক-দুজন পারফর্ম করলে দল ভালো করবে না। আমার লক্ষ্য থাকবে, সবাইকে নিয়ে দল হিসেবে যেন পারফর্ম করতে পারি। দলে যেন সবার অবদান থাকে। হয়তো ছোট হতে পারে; কিন্তু সবার অবদান কাম্য।
প্রশ্ন: মে মাসের আইসিসির বার্ষিক র্যাঙ্কিংয়ে (ওয়ানডেতে) দশে নেমে গেছে বাংলাদেশ। এখান থেকে উত্তরণের উপায় কী?
মিরাজ: ২০২৩ সালে পরে আমরা কয়টা ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছি? টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে বেশি খেলেছি। ১২টা টেস্ট খেলেছি। টি-টোয়েন্টিও খেলা হয়েছে। গত বিশ্বকাপের পরে ছয়টা ওয়ানডে খেলেছি। আমরা ১৫-২০ ওয়ানডে এক বছরে খেলতে পারলে অবস্থানটা ভালো জায়গায় থাকত। এটা একটা কারণ হতে পারে যে অনেক দিন পরপর ওয়ানডে খেলা ছিল। এর আগে আমাদের যখন ফল এসেছে, ধারাবাহিকভাবে ওয়ানডে ম্যাচ ছিল। এখানে দুশ্চিন্তা করার কিছু নেই। যেহেতু আমাদের লক্ষ্য বিশ্বকাপ, বিশ্বকাপের আগে অনেক ওয়ানডে ম্যাচ আছে। যদি নিয়মিত খেলা হয় এবং আমরা পারফর্ম করতে পারি, একটা সিরিজের পর যদি বেশি বিরতি না হয়, তাহলে খেলোয়াড়েরা মনে হয় মানসিকভাবে প্রস্তুত হতে পারবে।
প্রশ্ন: সাম্প্রতিক সময়ে ফুটবল নিয়ে নতুন করে উন্মাদনা তৈরি হয়েছে। একজন ক্রিকেটার হিসেবে বিষয়টা কীভাবে দেখেন?
মিরাজ: আমাদের মধ্যে এসব বিষয়ে আলাপ হয় না। এগুলো নিয়ে চিন্তিতও নই। আমরা একটা সেক্টর, ফুটবল অন্য সেক্টর। আমাদের চিন্তাভাবনা থাকে বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ভালো জায়গায় নিয়ে যাওয়ার। আমরা সেভাবে তুলনা করি না। ফুটবল খেলা বলুন বা ক্রিকেট—সবাই খেলাপ্রেমী। যাঁরা ফুটবল দেখতে গেছেন, তাঁরা ক্রিকেটও দেখতে আসেন। এই দর্শকেরাই কিন্তু আসেন। তাঁরা আসেন বাংলাদেশের টানে। কিছু মানুষ তুলনা করেন। এটা তাঁরা কীভাবে করেন, আমি জানি না। হয়তো সামাজিক মাধ্যমেই করেন। তবে বেশির ভাগ মানুষ মনে হয় না এমনটা (তুলনা) করেন।
প্রশ্ন: পূর্ণ মেয়াদে অধিনায়কত্বের শুরুতে শ্রীলঙ্কা সিরিজ। এবার শ্রীলঙ্কায় সিরিজ জেতা কি সম্ভব?
মিরাজ: অসম্ভব বলে কিছু নেই। আমাদের দল যথেষ্ট ভালো মনে হয়। যদি এক হয়ে খেলতে পারি, আমাদের একটা-দু্ইটা মোমেন্টাম দরকার। একটা-দুইটা ম্যাচ জিতলে সবার মধ্যে আত্মবিশ্বাস চলে আসবে।
প্রশ্ন: এক বছরের মেয়াদে অধিনায়কত্ব পেয়েছেন। নিজেকে প্রমাণের জন্য যথেষ্ট কি না?
মিরাজ: যত দীর্ঘ মেয়াদে হবে, অধিনায়কের জন্য তত ভালো। যতটুকু সময় দেওয়া হয়েছে, চেষ্টা করব কাজে লাগাতে; ভালো ফল এনে দিতে। তারপর তাঁরা সিদ্ধান্ত নেবেন, যাঁরা সিদ্ধান্ত গ্রহণের কাজ করেন। আমার কাজ হলো মাঠে পারফর্ম করা, দলের সেরাটা বের করে আনা।
প্রশ্ন: অধিনায়ক হিসেবে কী স্বপ্ন দেখেন?
মিরাজ: সবারই তো স্বপ্ন থাকে ভালো কিছু করার। আর অধিনায়ক হিসেবে আমার অবশ্যই একটা স্বপ্ন আছে। বাংলাদেশকে একটা বড় শিরোপা এনে দিতে পারলে এটাই বড় অর্জন হবে।

শুক্রবার সকালে মিরপুরে মেহেদী হাসান মিরাজের বাসায় যখন এই সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়, তিনি তখন তৈরি হচ্ছেন কলম্বোর ফ্লাইট ধরার। শরীরে জ্বর, তবু তাঁর ইতিবাচক অভিব্যক্তি। যেকোনো পরিস্থিতিতে ইতিবাচক থাকাই মিরাজের বড় গুণ। রওনা দেওয়ার আগে দেওয়া বাংলাদেশ দলের নতুন ওয়ানডে অধিনায়কের সাক্ষাৎজুড়ে থাকল নতুন দায়িত্বের প্রসঙ্গ। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রানা আব্বাস।
রানা আব্বাস, ঢাকা

প্রশ্ন: আপনার কি মোটেও কোনো আশা ছিল যে এই শ্রীলঙ্কা সফরের আগে নির্দিষ্ট একটা সংস্করণে অধিনায়ক হবেন? লিডারশিপ গ্রুপে কিছুদিন ধরে যদিও ছিলেন।
মেহেদী হাসান মিরাজ: না। (নাজমুল হোসেন) শান্তই তো ছিল এর আগে। সত্যি বলতে, সেভাবে চিন্তা করিনি (অধিনায়কত্ব নিয়ে)। হঠাৎ এ রকম হয়েছে। যাঁরা সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন, তাঁরা আরও ভালো বলতে পারবেন যে বিষয়টা কীভাবে চিন্তা করেছেন। আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। চেষ্টা করব বাংলাদেশের জন্য ভালো কিছু অর্জন করতে। আশা করি, আমরা ভালো একটা অবস্থান তৈরি করতে পারব (ওয়ানডেতে)।
প্রশ্ন: শান্তর কাছ থেকে অধিনায়কত্বের ব্যাটন আপনার হাতে এসেছে। অধিনায়ক হওয়ার পর তাঁর কাছ থেকে বিশেষ কোনো বার্তা পেয়েছেন?
মিরাজ: হ্যাঁ। ওর (শান্ত) সঙ্গে তো সব সময় কথা হয়েছে। আমরা তো কাল (অধিনায়কত্ব ঘোষণার দিন) একসঙ্গেই ছিলাম। সে খুবই ভালো কথা বলেছে। আমরা তো ছোটবেলা থেকে একসঙ্গে খেলছি। আমাদের কাছে এসবে কিছু যায়-আসে না, সে অধিনায়ক থাকুক কিংবা আমি। দিন শেষে সবাই দেশের জন্য খেলি। দেশের হয়ে পারফর্ম করতে পারলে অনেক ভালো লাগে। সে যখন নেতৃত্ব দিয়েছে, সবাই সহায়তা করেছি। পারফর্ম করে বলুন বা যেভাবে হোক, তাকে সমর্থন দেওয়ার চেষ্টা করেছি। কাল (অধিনায়কত্ব ঘোষণার দিন) এসব বিষয়ে অনেক কথা হয়েছে। বাংলাদেশ দলকে একটা জায়গায় নিয়ে যেতে হবে আমাদের। দলের অধিনায়ক কে, তাতে কিছু যায়-আসে না।
প্রশ্ন: অনেক অধিনায়কের অধীনে খেলেছেন। মাশরাফি বিন মর্তুজার কাছ থেকে কী কী শিখেছেন?
মিরাজ: মাশরাফি ভাইয়ের অধীনেই আমার ওয়ানডেতে অভিষেক হয়েছিল, ২০১৭ সালে। শ্রীলঙ্কাতেই। মাশরাফি ভাইয়ের কাছে অনেক কিছু শিখেছি; বিশেষ করে তাঁর নেতৃত্ব, ম্যান ম্যানেজমেন্ট, দল যেভাবে সামলান—অনেক ভালো ছিল। সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে উজ্জীবিত করা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
প্রশ্ন: সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বের কী ভালো লাগত?
মিরাজ: সাকিব ভাই মাঠের ভেতরে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নিতে পারতেন। মানসিকভাবে অনেক শক্ত। শক্ত সিদ্ধান্ত নিতেন।
প্রশ্ন: অধিনায়ক তামিম ইকবাল?
মিরাজ: তামিম ভাই যখন অধিনায়ক ছিলেন, তখন অনেক ওয়ানডে সিরিজ জিতেছি। দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়ে ওয়ানডে সিরিজ জয়লাভ করেছি। ইংল্যান্ডকে হারিয়েছি দেশের মাঠে। শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছি। তিনি যখন অধিনায়কত্ব করেছেন, প্রত্যেক ক্রিকেটারের ওপর তাঁর বিশ্বাসের জায়গাটা ভালো ছিল। যখন বোলিং করতাম, সব সময় একটা কথা বলতেন, তু্ই দলের মূল বোলার। তোকে উইকেট নিতে হবে। ব্যাটার ডানহাতি হোক বা বাঁহাতি, তোকে সেভাবেই কাজে লাগাব। ওই আত্মবিশ্বাসটা সব সময় আমাকে দিতেন। সেই অনুযায়ী আমি অনেক ভালো করেছি।
প্রশ্ন: সাকিবের সঙ্গে পিএসএলে একই দলে খেলেছেন। জাতীয় দল নিয়ে কী ভাবনার কথা শুনলেন তাঁর কাছে?
মিরাজ: তাঁর (সাকিব) প্রেক্ষাপট ভিন্ন। এটা তো সবাই জানি। আর আমরা যখন একসঙ্গে লাহোর কালান্দার্সে খেলেছি, অনেক দিন পর দেখা হয়েছে। কথা বলেছি। একসঙ্গে ছিলাম। তিনি হয়তো ওয়ানডে খেলতে চান। দেশের হয়ে আরও কিছুদিন ক্রিকেট খেলতে চান। সেটাই বলেছিলেন।
প্রশ্ন: বিশেষ কোনো পরামর্শ সাকিবের কাছ থেকে পেয়েছেন, যেহেতু বাংলাদেশ গত কিছুদিনে ধারাবাহিক খারাপ খেলছে।
মিরাজ: একটা কথা বলেছেন যে সবার এক হয়ে ক্রিকেট খেলতে হবে। সবাই এক হয়ে খেললে বাংলাদেশ ভালো করবে। আমাদের দলের হয়তো সাময়িক খারাপ যাচ্ছে; কিন্তু আমাদের দল অনেক ভালো এবং আমরা ভালোভাবে ঘুরে দাঁড়াব।
প্রশ্ন: অধিনায়ক হয়ে প্রথম পরিবর্তনটা কোথায় করতে চান?
মিরাজ: রাতারাতি তো সবকিছু পরিবর্তন করা যাবে না। ছোট ছোট বিষয় পরিবর্তন করলে খুব ভালো হবে। আমাদের এক-দুজন পারফর্ম করলে দল ভালো করবে না। আমার লক্ষ্য থাকবে, সবাইকে নিয়ে দল হিসেবে যেন পারফর্ম করতে পারি। দলে যেন সবার অবদান থাকে। হয়তো ছোট হতে পারে; কিন্তু সবার অবদান কাম্য।
প্রশ্ন: মে মাসের আইসিসির বার্ষিক র্যাঙ্কিংয়ে (ওয়ানডেতে) দশে নেমে গেছে বাংলাদেশ। এখান থেকে উত্তরণের উপায় কী?
মিরাজ: ২০২৩ সালে পরে আমরা কয়টা ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছি? টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে বেশি খেলেছি। ১২টা টেস্ট খেলেছি। টি-টোয়েন্টিও খেলা হয়েছে। গত বিশ্বকাপের পরে ছয়টা ওয়ানডে খেলেছি। আমরা ১৫-২০ ওয়ানডে এক বছরে খেলতে পারলে অবস্থানটা ভালো জায়গায় থাকত। এটা একটা কারণ হতে পারে যে অনেক দিন পরপর ওয়ানডে খেলা ছিল। এর আগে আমাদের যখন ফল এসেছে, ধারাবাহিকভাবে ওয়ানডে ম্যাচ ছিল। এখানে দুশ্চিন্তা করার কিছু নেই। যেহেতু আমাদের লক্ষ্য বিশ্বকাপ, বিশ্বকাপের আগে অনেক ওয়ানডে ম্যাচ আছে। যদি নিয়মিত খেলা হয় এবং আমরা পারফর্ম করতে পারি, একটা সিরিজের পর যদি বেশি বিরতি না হয়, তাহলে খেলোয়াড়েরা মনে হয় মানসিকভাবে প্রস্তুত হতে পারবে।
প্রশ্ন: সাম্প্রতিক সময়ে ফুটবল নিয়ে নতুন করে উন্মাদনা তৈরি হয়েছে। একজন ক্রিকেটার হিসেবে বিষয়টা কীভাবে দেখেন?
মিরাজ: আমাদের মধ্যে এসব বিষয়ে আলাপ হয় না। এগুলো নিয়ে চিন্তিতও নই। আমরা একটা সেক্টর, ফুটবল অন্য সেক্টর। আমাদের চিন্তাভাবনা থাকে বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ভালো জায়গায় নিয়ে যাওয়ার। আমরা সেভাবে তুলনা করি না। ফুটবল খেলা বলুন বা ক্রিকেট—সবাই খেলাপ্রেমী। যাঁরা ফুটবল দেখতে গেছেন, তাঁরা ক্রিকেটও দেখতে আসেন। এই দর্শকেরাই কিন্তু আসেন। তাঁরা আসেন বাংলাদেশের টানে। কিছু মানুষ তুলনা করেন। এটা তাঁরা কীভাবে করেন, আমি জানি না। হয়তো সামাজিক মাধ্যমেই করেন। তবে বেশির ভাগ মানুষ মনে হয় না এমনটা (তুলনা) করেন।
প্রশ্ন: পূর্ণ মেয়াদে অধিনায়কত্বের শুরুতে শ্রীলঙ্কা সিরিজ। এবার শ্রীলঙ্কায় সিরিজ জেতা কি সম্ভব?
মিরাজ: অসম্ভব বলে কিছু নেই। আমাদের দল যথেষ্ট ভালো মনে হয়। যদি এক হয়ে খেলতে পারি, আমাদের একটা-দু্ইটা মোমেন্টাম দরকার। একটা-দুইটা ম্যাচ জিতলে সবার মধ্যে আত্মবিশ্বাস চলে আসবে।
প্রশ্ন: এক বছরের মেয়াদে অধিনায়কত্ব পেয়েছেন। নিজেকে প্রমাণের জন্য যথেষ্ট কি না?
মিরাজ: যত দীর্ঘ মেয়াদে হবে, অধিনায়কের জন্য তত ভালো। যতটুকু সময় দেওয়া হয়েছে, চেষ্টা করব কাজে লাগাতে; ভালো ফল এনে দিতে। তারপর তাঁরা সিদ্ধান্ত নেবেন, যাঁরা সিদ্ধান্ত গ্রহণের কাজ করেন। আমার কাজ হলো মাঠে পারফর্ম করা, দলের সেরাটা বের করে আনা।
প্রশ্ন: অধিনায়ক হিসেবে কী স্বপ্ন দেখেন?
মিরাজ: সবারই তো স্বপ্ন থাকে ভালো কিছু করার। আর অধিনায়ক হিসেবে আমার অবশ্যই একটা স্বপ্ন আছে। বাংলাদেশকে একটা বড় শিরোপা এনে দিতে পারলে এটাই বড় অর্জন হবে।
প্রশ্ন: আপনার কি মোটেও কোনো আশা ছিল যে এই শ্রীলঙ্কা সফরের আগে নির্দিষ্ট একটা সংস্করণে অধিনায়ক হবেন? লিডারশিপ গ্রুপে কিছুদিন ধরে যদিও ছিলেন।
মেহেদী হাসান মিরাজ: না। (নাজমুল হোসেন) শান্তই তো ছিল এর আগে। সত্যি বলতে, সেভাবে চিন্তা করিনি (অধিনায়কত্ব নিয়ে)। হঠাৎ এ রকম হয়েছে। যাঁরা সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন, তাঁরা আরও ভালো বলতে পারবেন যে বিষয়টা কীভাবে চিন্তা করেছেন। আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। চেষ্টা করব বাংলাদেশের জন্য ভালো কিছু অর্জন করতে। আশা করি, আমরা ভালো একটা অবস্থান তৈরি করতে পারব (ওয়ানডেতে)।
প্রশ্ন: শান্তর কাছ থেকে অধিনায়কত্বের ব্যাটন আপনার হাতে এসেছে। অধিনায়ক হওয়ার পর তাঁর কাছ থেকে বিশেষ কোনো বার্তা পেয়েছেন?
মিরাজ: হ্যাঁ। ওর (শান্ত) সঙ্গে তো সব সময় কথা হয়েছে। আমরা তো কাল (অধিনায়কত্ব ঘোষণার দিন) একসঙ্গেই ছিলাম। সে খুবই ভালো কথা বলেছে। আমরা তো ছোটবেলা থেকে একসঙ্গে খেলছি। আমাদের কাছে এসবে কিছু যায়-আসে না, সে অধিনায়ক থাকুক কিংবা আমি। দিন শেষে সবাই দেশের জন্য খেলি। দেশের হয়ে পারফর্ম করতে পারলে অনেক ভালো লাগে। সে যখন নেতৃত্ব দিয়েছে, সবাই সহায়তা করেছি। পারফর্ম করে বলুন বা যেভাবে হোক, তাকে সমর্থন দেওয়ার চেষ্টা করেছি। কাল (অধিনায়কত্ব ঘোষণার দিন) এসব বিষয়ে অনেক কথা হয়েছে। বাংলাদেশ দলকে একটা জায়গায় নিয়ে যেতে হবে আমাদের। দলের অধিনায়ক কে, তাতে কিছু যায়-আসে না।
প্রশ্ন: অনেক অধিনায়কের অধীনে খেলেছেন। মাশরাফি বিন মর্তুজার কাছ থেকে কী কী শিখেছেন?
মিরাজ: মাশরাফি ভাইয়ের অধীনেই আমার ওয়ানডেতে অভিষেক হয়েছিল, ২০১৭ সালে। শ্রীলঙ্কাতেই। মাশরাফি ভাইয়ের কাছে অনেক কিছু শিখেছি; বিশেষ করে তাঁর নেতৃত্ব, ম্যান ম্যানেজমেন্ট, দল যেভাবে সামলান—অনেক ভালো ছিল। সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে উজ্জীবিত করা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
প্রশ্ন: সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বের কী ভালো লাগত?
মিরাজ: সাকিব ভাই মাঠের ভেতরে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নিতে পারতেন। মানসিকভাবে অনেক শক্ত। শক্ত সিদ্ধান্ত নিতেন।
প্রশ্ন: অধিনায়ক তামিম ইকবাল?
মিরাজ: তামিম ভাই যখন অধিনায়ক ছিলেন, তখন অনেক ওয়ানডে সিরিজ জিতেছি। দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়ে ওয়ানডে সিরিজ জয়লাভ করেছি। ইংল্যান্ডকে হারিয়েছি দেশের মাঠে। শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছি। তিনি যখন অধিনায়কত্ব করেছেন, প্রত্যেক ক্রিকেটারের ওপর তাঁর বিশ্বাসের জায়গাটা ভালো ছিল। যখন বোলিং করতাম, সব সময় একটা কথা বলতেন, তু্ই দলের মূল বোলার। তোকে উইকেট নিতে হবে। ব্যাটার ডানহাতি হোক বা বাঁহাতি, তোকে সেভাবেই কাজে লাগাব। ওই আত্মবিশ্বাসটা সব সময় আমাকে দিতেন। সেই অনুযায়ী আমি অনেক ভালো করেছি।
প্রশ্ন: সাকিবের সঙ্গে পিএসএলে একই দলে খেলেছেন। জাতীয় দল নিয়ে কী ভাবনার কথা শুনলেন তাঁর কাছে?
মিরাজ: তাঁর (সাকিব) প্রেক্ষাপট ভিন্ন। এটা তো সবাই জানি। আর আমরা যখন একসঙ্গে লাহোর কালান্দার্সে খেলেছি, অনেক দিন পর দেখা হয়েছে। কথা বলেছি। একসঙ্গে ছিলাম। তিনি হয়তো ওয়ানডে খেলতে চান। দেশের হয়ে আরও কিছুদিন ক্রিকেট খেলতে চান। সেটাই বলেছিলেন।
প্রশ্ন: বিশেষ কোনো পরামর্শ সাকিবের কাছ থেকে পেয়েছেন, যেহেতু বাংলাদেশ গত কিছুদিনে ধারাবাহিক খারাপ খেলছে।
মিরাজ: একটা কথা বলেছেন যে সবার এক হয়ে ক্রিকেট খেলতে হবে। সবাই এক হয়ে খেললে বাংলাদেশ ভালো করবে। আমাদের দলের হয়তো সাময়িক খারাপ যাচ্ছে; কিন্তু আমাদের দল অনেক ভালো এবং আমরা ভালোভাবে ঘুরে দাঁড়াব।
প্রশ্ন: অধিনায়ক হয়ে প্রথম পরিবর্তনটা কোথায় করতে চান?
মিরাজ: রাতারাতি তো সবকিছু পরিবর্তন করা যাবে না। ছোট ছোট বিষয় পরিবর্তন করলে খুব ভালো হবে। আমাদের এক-দুজন পারফর্ম করলে দল ভালো করবে না। আমার লক্ষ্য থাকবে, সবাইকে নিয়ে দল হিসেবে যেন পারফর্ম করতে পারি। দলে যেন সবার অবদান থাকে। হয়তো ছোট হতে পারে; কিন্তু সবার অবদান কাম্য।
প্রশ্ন: মে মাসের আইসিসির বার্ষিক র্যাঙ্কিংয়ে (ওয়ানডেতে) দশে নেমে গেছে বাংলাদেশ। এখান থেকে উত্তরণের উপায় কী?
মিরাজ: ২০২৩ সালে পরে আমরা কয়টা ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছি? টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে বেশি খেলেছি। ১২টা টেস্ট খেলেছি। টি-টোয়েন্টিও খেলা হয়েছে। গত বিশ্বকাপের পরে ছয়টা ওয়ানডে খেলেছি। আমরা ১৫-২০ ওয়ানডে এক বছরে খেলতে পারলে অবস্থানটা ভালো জায়গায় থাকত। এটা একটা কারণ হতে পারে যে অনেক দিন পরপর ওয়ানডে খেলা ছিল। এর আগে আমাদের যখন ফল এসেছে, ধারাবাহিকভাবে ওয়ানডে ম্যাচ ছিল। এখানে দুশ্চিন্তা করার কিছু নেই। যেহেতু আমাদের লক্ষ্য বিশ্বকাপ, বিশ্বকাপের আগে অনেক ওয়ানডে ম্যাচ আছে। যদি নিয়মিত খেলা হয় এবং আমরা পারফর্ম করতে পারি, একটা সিরিজের পর যদি বেশি বিরতি না হয়, তাহলে খেলোয়াড়েরা মনে হয় মানসিকভাবে প্রস্তুত হতে পারবে।
প্রশ্ন: সাম্প্রতিক সময়ে ফুটবল নিয়ে নতুন করে উন্মাদনা তৈরি হয়েছে। একজন ক্রিকেটার হিসেবে বিষয়টা কীভাবে দেখেন?
মিরাজ: আমাদের মধ্যে এসব বিষয়ে আলাপ হয় না। এগুলো নিয়ে চিন্তিতও নই। আমরা একটা সেক্টর, ফুটবল অন্য সেক্টর। আমাদের চিন্তাভাবনা থাকে বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ভালো জায়গায় নিয়ে যাওয়ার। আমরা সেভাবে তুলনা করি না। ফুটবল খেলা বলুন বা ক্রিকেট—সবাই খেলাপ্রেমী। যাঁরা ফুটবল দেখতে গেছেন, তাঁরা ক্রিকেটও দেখতে আসেন। এই দর্শকেরাই কিন্তু আসেন। তাঁরা আসেন বাংলাদেশের টানে। কিছু মানুষ তুলনা করেন। এটা তাঁরা কীভাবে করেন, আমি জানি না। হয়তো সামাজিক মাধ্যমেই করেন। তবে বেশির ভাগ মানুষ মনে হয় না এমনটা (তুলনা) করেন।
প্রশ্ন: পূর্ণ মেয়াদে অধিনায়কত্বের শুরুতে শ্রীলঙ্কা সিরিজ। এবার শ্রীলঙ্কায় সিরিজ জেতা কি সম্ভব?
মিরাজ: অসম্ভব বলে কিছু নেই। আমাদের দল যথেষ্ট ভালো মনে হয়। যদি এক হয়ে খেলতে পারি, আমাদের একটা-দু্ইটা মোমেন্টাম দরকার। একটা-দুইটা ম্যাচ জিতলে সবার মধ্যে আত্মবিশ্বাস চলে আসবে।
প্রশ্ন: এক বছরের মেয়াদে অধিনায়কত্ব পেয়েছেন। নিজেকে প্রমাণের জন্য যথেষ্ট কি না?
মিরাজ: যত দীর্ঘ মেয়াদে হবে, অধিনায়কের জন্য তত ভালো। যতটুকু সময় দেওয়া হয়েছে, চেষ্টা করব কাজে লাগাতে; ভালো ফল এনে দিতে। তারপর তাঁরা সিদ্ধান্ত নেবেন, যাঁরা সিদ্ধান্ত গ্রহণের কাজ করেন। আমার কাজ হলো মাঠে পারফর্ম করা, দলের সেরাটা বের করে আনা।
প্রশ্ন: অধিনায়ক হিসেবে কী স্বপ্ন দেখেন?
মিরাজ: সবারই তো স্বপ্ন থাকে ভালো কিছু করার। আর অধিনায়ক হিসেবে আমার অবশ্যই একটা স্বপ্ন আছে। বাংলাদেশকে একটা বড় শিরোপা এনে দিতে পারলে এটাই বড় অর্জন হবে।

বিজয় হাজারে ট্রফিতে আজকের দিনটা দুই রকমের হয়ে থাকল বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মার জন্য। দিল্লির হয়ে দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে এদিন বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন কোহলি। অন্যদিকে শূন্য রানে আউট হয়ে তেতো অভিজ্ঞতা নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন রোহিত।
৮ মিনিট আগে
দলে ছিলেন নিলামে রেকর্ড দামে বিক্রি হওয়া নাঈম শেখ। ১ কোটি ১০ লাখ টাকায় এই ব্যাটারকে কিনেছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। কিন্তু প্রথম ম্যাচে ব্যাট হাতে চরমভাবে হতাশ করেছেন তিনি।
১ ঘণ্টা আগে
ইউনেক্স-সানরাইজ বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল সিরিজের পুরুষ দ্বৈতে অল বাংলাদেশ ফাইনালে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে গৌরব সিংহ ও আবদুল জহির তানভীর জুটি। শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ ইনডোর স্টেডিয়ামে আজ পুরুষ দ্বৈতের ফাইনালে গৌরব-তানভীর জুটি ২১-১৯, ১৭-২১ ও ২২-২০ সেটে মিজানুর রহমান ও রাহাতুন নাঈম জুটিকে হারিয়ে সোনা জিতেছে।
১ ঘণ্টা আগে
রাজশাহী ওয়ারিয়র্স ও সিলেট টাইটান্সের ম্যাচ দিয়ে শুরু হয়েছে ২০২৬ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। টুর্নামেন্ট শুরু হলেও এখনো ট্রফি সামনে আনতে পারেনি গভর্নিং কাউন্সিল। অবশেষে বিপিএলের ট্রফি নিয়ে আশার কথা শোনালেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সহসভাপতি সাখাওয়াত হোসেন।
২ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

বিজয় হাজারে ট্রফিতে আজকের দিনটা দুই রকমের হয়ে থাকল বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মার জন্য। দিল্লির হয়ে দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে এদিন বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন কোহলি। অন্যদিকে শূন্য রানে আউট হয়ে তেতো অভিজ্ঞতা নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন রোহিত।
বেঙ্গালুরুতে গুজরাটের বিপক্ষে ৬১ বলে ৭৭ রানের ইনিংস খেলেন কোহলি। এই ইনিংস খেলার পথে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে অন্তত ৫ হাজার রান করেছেন এমন ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ গড়ের মালিক বনে গেছেন সাবেক এই অধিনায়ক। আগের রেকর্ডটি ছিল মাইকেল বেভানের দখলে। অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি ব্যাটারের গড় ৫৭.৮৬। ৫৭.৮৭ গড় নিয়ে তাঁকে পেছনে ফেললেন কোহলি।
তিনে আছেন স্যাম হেইন। এই ইংলিশ ব্যাটারের গড় ৫৭.৭৬। পরের স্থান দুটিতে আছেন চেতেশ্বর পূজারা (৫৭.০১) ও রুতুরাজ গায়কোয়াড় (৫৬.৬৮)। বিশ্ব রেকর্ডের ম্যাচে ৭৭ রানের ইনিংসের পাশাপাশি দুটি ক্যাচ নিয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতেন কোহলি। আগের ম্যাচে অন্ধ্রপ্রদেশের বিপক্ষে ১৩১ রানের ইনিংস খেলে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটের ইতিহাসে দ্রুততম ১৬ হাজারি রানের ক্লাবে প্রবেশ করেন তিনি। পেছনে ফেলেন ব্যাটিং মাস্টার শচীন টেন্ডুলকারকে।
একই দিন মুম্বাইয়ের হয়ে উত্তরখন্ডের বিপক্ষে মাঠে নামেন রোহিত। জয়পুরে ওপেনিং করতে নেমে পেসার দেবেন্দ্র বোরার বলে জগমোহন নগরকোটির হাতে ধরা পড়েন তিনি। তাতেই দীর্ঘ ১৩ বছর পর লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে প্রথম বলে আউট হলেন। এর আগে সবশেষ ২০১২ সালের জুলাইয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গোল্ডেন ডাক মারেন রোহিত।

বিজয় হাজারে ট্রফিতে আজকের দিনটা দুই রকমের হয়ে থাকল বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মার জন্য। দিল্লির হয়ে দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে এদিন বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন কোহলি। অন্যদিকে শূন্য রানে আউট হয়ে তেতো অভিজ্ঞতা নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন রোহিত।
বেঙ্গালুরুতে গুজরাটের বিপক্ষে ৬১ বলে ৭৭ রানের ইনিংস খেলেন কোহলি। এই ইনিংস খেলার পথে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে অন্তত ৫ হাজার রান করেছেন এমন ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ গড়ের মালিক বনে গেছেন সাবেক এই অধিনায়ক। আগের রেকর্ডটি ছিল মাইকেল বেভানের দখলে। অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি ব্যাটারের গড় ৫৭.৮৬। ৫৭.৮৭ গড় নিয়ে তাঁকে পেছনে ফেললেন কোহলি।
তিনে আছেন স্যাম হেইন। এই ইংলিশ ব্যাটারের গড় ৫৭.৭৬। পরের স্থান দুটিতে আছেন চেতেশ্বর পূজারা (৫৭.০১) ও রুতুরাজ গায়কোয়াড় (৫৬.৬৮)। বিশ্ব রেকর্ডের ম্যাচে ৭৭ রানের ইনিংসের পাশাপাশি দুটি ক্যাচ নিয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতেন কোহলি। আগের ম্যাচে অন্ধ্রপ্রদেশের বিপক্ষে ১৩১ রানের ইনিংস খেলে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটের ইতিহাসে দ্রুততম ১৬ হাজারি রানের ক্লাবে প্রবেশ করেন তিনি। পেছনে ফেলেন ব্যাটিং মাস্টার শচীন টেন্ডুলকারকে।
একই দিন মুম্বাইয়ের হয়ে উত্তরখন্ডের বিপক্ষে মাঠে নামেন রোহিত। জয়পুরে ওপেনিং করতে নেমে পেসার দেবেন্দ্র বোরার বলে জগমোহন নগরকোটির হাতে ধরা পড়েন তিনি। তাতেই দীর্ঘ ১৩ বছর পর লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে প্রথম বলে আউট হলেন। এর আগে সবশেষ ২০১২ সালের জুলাইয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গোল্ডেন ডাক মারেন রোহিত।

শুক্রবার সকালে মিরপুরে মেহেদী হাসান মিরাজের বাসায় যখন এই সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়, তিনি তখন তৈরি হচ্ছেন কলম্বোর ফ্লাইট ধরার। শরীরে জ্বর, তবু তাঁর ইতিবাচক অভিব্যক্তি। যেকোনো পরিস্থিতিতে ইতিবাচক থাকাই মিরাজের বড় গুণ। রওনা দেওয়ার আগে দেওয়া বাংলাদেশ দলের নতুন ওয়ানডে অধিনায়কের সাক্ষাৎজুড়ে থাকল নতুন...
১৬ জুন ২০২৫
দলে ছিলেন নিলামে রেকর্ড দামে বিক্রি হওয়া নাঈম শেখ। ১ কোটি ১০ লাখ টাকায় এই ব্যাটারকে কিনেছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। কিন্তু প্রথম ম্যাচে ব্যাট হাতে চরমভাবে হতাশ করেছেন তিনি।
১ ঘণ্টা আগে
ইউনেক্স-সানরাইজ বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল সিরিজের পুরুষ দ্বৈতে অল বাংলাদেশ ফাইনালে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে গৌরব সিংহ ও আবদুল জহির তানভীর জুটি। শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ ইনডোর স্টেডিয়ামে আজ পুরুষ দ্বৈতের ফাইনালে গৌরব-তানভীর জুটি ২১-১৯, ১৭-২১ ও ২২-২০ সেটে মিজানুর রহমান ও রাহাতুন নাঈম জুটিকে হারিয়ে সোনা জিতেছে।
১ ঘণ্টা আগে
রাজশাহী ওয়ারিয়র্স ও সিলেট টাইটান্সের ম্যাচ দিয়ে শুরু হয়েছে ২০২৬ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। টুর্নামেন্ট শুরু হলেও এখনো ট্রফি সামনে আনতে পারেনি গভর্নিং কাউন্সিল। অবশেষে বিপিএলের ট্রফি নিয়ে আশার কথা শোনালেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সহসভাপতি সাখাওয়াত হোসেন।
২ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

দলে ছিলেন নিলামে রেকর্ড দামে বিক্রি হওয়া নাঈম শেখ। ১ কোটি ১০ লাখ টাকায় এই ব্যাটারকে কিনেছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। কিন্তু প্রথম ম্যাচে ব্যাট হাতে চরমভাবে হতাশ করেছেন তিনি। নাঈম ব্যর্থ হলেও দলের হাল ধরেন আরেক ওপেনার মির্জা তাহির বেগ। তাঁর ফিফটিতে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে নোয়াখালী এক্সপ্রেসের বিপক্ষে ১৭৪ রানের পুঁজি পেয়েছে চট্টগ্রাম।
দেখেশুনেই ব্যাট চালাচ্ছিলেন দুই ওপেনার নাঈম ও তাহির। কখনো ধীরগতি আবার কখনো সুযোগ পেলে হাত খুলে খেলে ইনিংসের শেষ বলে আউট হন এই পাকিস্তান ক্রিকেটার। বিপরীত চিত্র নাঈমের। উইকেটে থিতু হতে পারেননি তিনি। টস জিতে আগে ব্যাট করতে নামা চট্টগ্রাম শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন মেহেদি হাসান রানা। তাঁর করা চতুর্থ ওভারের শেষ বলে সাব্বির হোসেনের হাতে ধরা পড়েন নাঈম। ১১ বলে ২ বাউন্ডারিতে সমান রান করেন এই ব্যাটার। বাকি ৩ রান দৌঁড়ে নেন।
এই পরিসংখ্যান নাঈমের চিরাচরিত দূর্বলতাই তুলে ধরছে। সিঙ্গেলে দুর্বল হওয়ায় শক্তিশালী বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে সাবলীয় ব্যাটিং করতে বেগ পেতে হয় তাঁকে। আছে ফুটওয়ার্কের সমস্যা। বাউন্ডারি আদায় করে রানের চাকা সচল রাখার চেষ্টা করেন নাঈম। যেদিন বাউন্ডারি মারতে ব্যর্থ হন সেদিন বেশ ধুঁকতে দেখা যায় তাঁকে। কিংবা ফেরেন শুরুতেই। আজ তেমন অভিজ্ঞতার সাক্ষীই হলেন ২৬ বছর বয়সী এই ব্যাটার। নিলামে সিলেট টাইটান্স, নোয়াখালী এবং রংপুর রাইডার্সের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নাঈমকে দলে ভেড়ায় চট্টগ্রাম। প্রথম ম্যাচে ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি কর্তৃপক্ষের চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ালেন নাঈম।
নাঈম প্যাভিলিয়নে বসে দেখেছেন তাহিরের দায়িত্বশীল ব্যাটিং। হাসান মাহমুদের করা ২০তম ওভারের শেষ বলে এলবিডব্লু হওয়ার আগে ৮০ রান করেন তাহির। ৬৯ বল খেললেও চট্টগ্রামের দুর্বল ব্যাটিং লাইনের বিবেচনায় তাঁর এই ইনিংসের গুরুত্ব অনেক। ১৩ বলে ২৬ রান এনে দেন শেখ মেহেদি হাসান। এছাড়া মাহমুদুল হাসান জয় ১৭ ও মাহফিজুল ইসলাম করেন ১৬ রান। নোয়াখালীর হয়ে ৯ রানে ২ উইকেট নেন সাব্বির। মাজ সাদাকাত, জহির খান, রানা ও মাহমুদ নেন একটি করে উইকেট।

দলে ছিলেন নিলামে রেকর্ড দামে বিক্রি হওয়া নাঈম শেখ। ১ কোটি ১০ লাখ টাকায় এই ব্যাটারকে কিনেছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। কিন্তু প্রথম ম্যাচে ব্যাট হাতে চরমভাবে হতাশ করেছেন তিনি। নাঈম ব্যর্থ হলেও দলের হাল ধরেন আরেক ওপেনার মির্জা তাহির বেগ। তাঁর ফিফটিতে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে নোয়াখালী এক্সপ্রেসের বিপক্ষে ১৭৪ রানের পুঁজি পেয়েছে চট্টগ্রাম।
দেখেশুনেই ব্যাট চালাচ্ছিলেন দুই ওপেনার নাঈম ও তাহির। কখনো ধীরগতি আবার কখনো সুযোগ পেলে হাত খুলে খেলে ইনিংসের শেষ বলে আউট হন এই পাকিস্তান ক্রিকেটার। বিপরীত চিত্র নাঈমের। উইকেটে থিতু হতে পারেননি তিনি। টস জিতে আগে ব্যাট করতে নামা চট্টগ্রাম শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন মেহেদি হাসান রানা। তাঁর করা চতুর্থ ওভারের শেষ বলে সাব্বির হোসেনের হাতে ধরা পড়েন নাঈম। ১১ বলে ২ বাউন্ডারিতে সমান রান করেন এই ব্যাটার। বাকি ৩ রান দৌঁড়ে নেন।
এই পরিসংখ্যান নাঈমের চিরাচরিত দূর্বলতাই তুলে ধরছে। সিঙ্গেলে দুর্বল হওয়ায় শক্তিশালী বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে সাবলীয় ব্যাটিং করতে বেগ পেতে হয় তাঁকে। আছে ফুটওয়ার্কের সমস্যা। বাউন্ডারি আদায় করে রানের চাকা সচল রাখার চেষ্টা করেন নাঈম। যেদিন বাউন্ডারি মারতে ব্যর্থ হন সেদিন বেশ ধুঁকতে দেখা যায় তাঁকে। কিংবা ফেরেন শুরুতেই। আজ তেমন অভিজ্ঞতার সাক্ষীই হলেন ২৬ বছর বয়সী এই ব্যাটার। নিলামে সিলেট টাইটান্স, নোয়াখালী এবং রংপুর রাইডার্সের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নাঈমকে দলে ভেড়ায় চট্টগ্রাম। প্রথম ম্যাচে ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি কর্তৃপক্ষের চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ালেন নাঈম।
নাঈম প্যাভিলিয়নে বসে দেখেছেন তাহিরের দায়িত্বশীল ব্যাটিং। হাসান মাহমুদের করা ২০তম ওভারের শেষ বলে এলবিডব্লু হওয়ার আগে ৮০ রান করেন তাহির। ৬৯ বল খেললেও চট্টগ্রামের দুর্বল ব্যাটিং লাইনের বিবেচনায় তাঁর এই ইনিংসের গুরুত্ব অনেক। ১৩ বলে ২৬ রান এনে দেন শেখ মেহেদি হাসান। এছাড়া মাহমুদুল হাসান জয় ১৭ ও মাহফিজুল ইসলাম করেন ১৬ রান। নোয়াখালীর হয়ে ৯ রানে ২ উইকেট নেন সাব্বির। মাজ সাদাকাত, জহির খান, রানা ও মাহমুদ নেন একটি করে উইকেট।

শুক্রবার সকালে মিরপুরে মেহেদী হাসান মিরাজের বাসায় যখন এই সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়, তিনি তখন তৈরি হচ্ছেন কলম্বোর ফ্লাইট ধরার। শরীরে জ্বর, তবু তাঁর ইতিবাচক অভিব্যক্তি। যেকোনো পরিস্থিতিতে ইতিবাচক থাকাই মিরাজের বড় গুণ। রওনা দেওয়ার আগে দেওয়া বাংলাদেশ দলের নতুন ওয়ানডে অধিনায়কের সাক্ষাৎজুড়ে থাকল নতুন...
১৬ জুন ২০২৫
বিজয় হাজারে ট্রফিতে আজকের দিনটা দুই রকমের হয়ে থাকল বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মার জন্য। দিল্লির হয়ে দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে এদিন বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন কোহলি। অন্যদিকে শূন্য রানে আউট হয়ে তেতো অভিজ্ঞতা নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন রোহিত।
৮ মিনিট আগে
ইউনেক্স-সানরাইজ বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল সিরিজের পুরুষ দ্বৈতে অল বাংলাদেশ ফাইনালে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে গৌরব সিংহ ও আবদুল জহির তানভীর জুটি। শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ ইনডোর স্টেডিয়ামে আজ পুরুষ দ্বৈতের ফাইনালে গৌরব-তানভীর জুটি ২১-১৯, ১৭-২১ ও ২২-২০ সেটে মিজানুর রহমান ও রাহাতুন নাঈম জুটিকে হারিয়ে সোনা জিতেছে।
১ ঘণ্টা আগে
রাজশাহী ওয়ারিয়র্স ও সিলেট টাইটান্সের ম্যাচ দিয়ে শুরু হয়েছে ২০২৬ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। টুর্নামেন্ট শুরু হলেও এখনো ট্রফি সামনে আনতে পারেনি গভর্নিং কাউন্সিল। অবশেষে বিপিএলের ট্রফি নিয়ে আশার কথা শোনালেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সহসভাপতি সাখাওয়াত হোসেন।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইউনেক্স-সানরাইজ বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল সিরিজের পুরুষ দ্বৈতে অল বাংলাদেশ ফাইনালে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে গৌরব সিংহ ও আবদুল জহির তানভীর জুটি। শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ ইনডোর স্টেডিয়ামে আজ পুরুষ দ্বৈতের ফাইনালে গৌরব-তানভীর জুটি ২১-১৯, ১৭-২১ ও ২২-২০ সেটে মিজানুর রহমান ও রাহাতুন নাঈম জুটিকে হারিয়ে সোনা জিতেছে।
তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ প্রথম সেটে গৌরব সিংহ ও আবদুল জহির তানভীর জুটি ২১-১৯ পয়েন্টে জেতে। দ্বিতীয় সেটে কোর্ট পরিবর্তন করার পর ভাগ্য বদলে যায় মিজানুর রহমান ও রাহাতুন নাঈম জুটির। টানা পয়েন্ট পেতে শুরু করেন তাঁরা। এই সেটে ৭-১ পয়েন্টে পিছিয়ে পড়েও ১৫-১৩ পয়েন্টে এগিয়ে যায় গৌরব-তানভীর জুটি। মিজান ও নাঈম জুটি ২১-১৭ পয়েন্টে জিতলে ১-১ সেটে ড্র হয় খেলা।
তৃতীয় সেটেও তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তোলে উভয় জুটি। ২০-২০ পয়েন্টে সমান ছিল দুই জুটিই। কিন্তু শেষপর্যন্ত টানা দুই পয়েন্ট পেয়ে ২২-২০ পয়েন্টে শেষ সেট জিতে ২-১ সেটে চ্যাম্পিয়ন হয় গৌরব-তানভীর জুটি।

ইউনেক্স-সানরাইজ বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল সিরিজের পুরুষ দ্বৈতে অল বাংলাদেশ ফাইনালে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে গৌরব সিংহ ও আবদুল জহির তানভীর জুটি। শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ ইনডোর স্টেডিয়ামে আজ পুরুষ দ্বৈতের ফাইনালে গৌরব-তানভীর জুটি ২১-১৯, ১৭-২১ ও ২২-২০ সেটে মিজানুর রহমান ও রাহাতুন নাঈম জুটিকে হারিয়ে সোনা জিতেছে।
তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ প্রথম সেটে গৌরব সিংহ ও আবদুল জহির তানভীর জুটি ২১-১৯ পয়েন্টে জেতে। দ্বিতীয় সেটে কোর্ট পরিবর্তন করার পর ভাগ্য বদলে যায় মিজানুর রহমান ও রাহাতুন নাঈম জুটির। টানা পয়েন্ট পেতে শুরু করেন তাঁরা। এই সেটে ৭-১ পয়েন্টে পিছিয়ে পড়েও ১৫-১৩ পয়েন্টে এগিয়ে যায় গৌরব-তানভীর জুটি। মিজান ও নাঈম জুটি ২১-১৭ পয়েন্টে জিতলে ১-১ সেটে ড্র হয় খেলা।
তৃতীয় সেটেও তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তোলে উভয় জুটি। ২০-২০ পয়েন্টে সমান ছিল দুই জুটিই। কিন্তু শেষপর্যন্ত টানা দুই পয়েন্ট পেয়ে ২২-২০ পয়েন্টে শেষ সেট জিতে ২-১ সেটে চ্যাম্পিয়ন হয় গৌরব-তানভীর জুটি।

শুক্রবার সকালে মিরপুরে মেহেদী হাসান মিরাজের বাসায় যখন এই সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়, তিনি তখন তৈরি হচ্ছেন কলম্বোর ফ্লাইট ধরার। শরীরে জ্বর, তবু তাঁর ইতিবাচক অভিব্যক্তি। যেকোনো পরিস্থিতিতে ইতিবাচক থাকাই মিরাজের বড় গুণ। রওনা দেওয়ার আগে দেওয়া বাংলাদেশ দলের নতুন ওয়ানডে অধিনায়কের সাক্ষাৎজুড়ে থাকল নতুন...
১৬ জুন ২০২৫
বিজয় হাজারে ট্রফিতে আজকের দিনটা দুই রকমের হয়ে থাকল বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মার জন্য। দিল্লির হয়ে দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে এদিন বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন কোহলি। অন্যদিকে শূন্য রানে আউট হয়ে তেতো অভিজ্ঞতা নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন রোহিত।
৮ মিনিট আগে
দলে ছিলেন নিলামে রেকর্ড দামে বিক্রি হওয়া নাঈম শেখ। ১ কোটি ১০ লাখ টাকায় এই ব্যাটারকে কিনেছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। কিন্তু প্রথম ম্যাচে ব্যাট হাতে চরমভাবে হতাশ করেছেন তিনি।
১ ঘণ্টা আগে
রাজশাহী ওয়ারিয়র্স ও সিলেট টাইটান্সের ম্যাচ দিয়ে শুরু হয়েছে ২০২৬ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। টুর্নামেন্ট শুরু হলেও এখনো ট্রফি সামনে আনতে পারেনি গভর্নিং কাউন্সিল। অবশেষে বিপিএলের ট্রফি নিয়ে আশার কথা শোনালেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সহসভাপতি সাখাওয়াত হোসেন।
২ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

রাজশাহী ওয়ারিয়র্স ও সিলেট টাইটান্সের ম্যাচ দিয়ে শুরু হয়েছে ২০২৬ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। টুর্নামেন্ট শুরু হলেও এখনো ট্রফি সামনে আনতে পারেনি গভর্নিং কাউন্সিল। অবশেষে বিপিএলের ট্রফি নিয়ে আশার কথা শোনালেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সহসভাপতি সাখাওয়াত হোসেন।
বিপিএল শুরুর আগেই ট্রফি এনেছিল গভর্নিং কাউন্সিল। কিন্তু সেই ট্রফি পছন্দ না হওয়ায় নতুন করে অর্ডার দেওয়া হয়েছে। দেশের ক্রিকেটের ব্যয়বহুল টুর্নামেন্টটির জন্য ২৫ হাজার মার্কিন ডলার খরচ করে দুবাইতে ট্রফি বানাতে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় সাড়ে ৩০ লাখ টাকা। শিগগির সে ট্রফি দেশে আসবে বলে জানিয়েছেন সাখাওয়াত।
ট্রফি না থাকায় ২৫ হাজার বেলুন উড়িয়ে বিপিএল উদ্বোধন করে বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল। গতবারের মতো বড় পরিসরে না হলেও ছোট আকারে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল গভর্নিং কাউন্সিল। দিনের দুই ম্যাচের মাঝে স্টেজে পারফর্ম করেন তানজিন তিশা, ফুয়াদের মতো তারকারা।
বিপিএল ট্রফি প্রসঙ্গে সাখাওয়াত বলেন, ‘প্রথমে যে ট্রফিটা আনা হয়েছিল, সেটা গতানুগতিক। সেটা পরিবর্তন করে নতুন একটা ট্রফি আনা হয়েছে কিন্তু ওইটা আপ টু দ্য মার্ক না। এ জন্য পরিবর্তন করে আবার ট্রফি আনা হচ্ছে। খুব দ্রুত ট্রফিটা আমাদের হাতে আসবে। হাতে সময় কম। তার ওপর আমরা আবার ট্রফি পরিবর্তন করতে চেয়েছি। আগের ট্রফি যদি থাকতো তাহলে এই প্রশ্ন আসতোই না। আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে। এখন পর্যন্ত আপনাদের দেখা সেরা ট্রফি হবে।’
ট্রফির মান নিয়ে বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন বলেন, ‘আমরা ট্রফিটা অর্ডার করেছি। এটা ডায়মন্ড খচিত। ট্রফি বানানোর খরচ ২৫ হাজার মার্কিন ডলার। সাখাওয়াত ভাই যেটা বলল আমাদের পেতে একটু দেরি হচ্ছে। খুব দ্রুতই চলে আসবে। আশা করছি ট্রফিটা দেখলে আপনাদের ভালো লাগবে।’

রাজশাহী ওয়ারিয়র্স ও সিলেট টাইটান্সের ম্যাচ দিয়ে শুরু হয়েছে ২০২৬ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। টুর্নামেন্ট শুরু হলেও এখনো ট্রফি সামনে আনতে পারেনি গভর্নিং কাউন্সিল। অবশেষে বিপিএলের ট্রফি নিয়ে আশার কথা শোনালেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সহসভাপতি সাখাওয়াত হোসেন।
বিপিএল শুরুর আগেই ট্রফি এনেছিল গভর্নিং কাউন্সিল। কিন্তু সেই ট্রফি পছন্দ না হওয়ায় নতুন করে অর্ডার দেওয়া হয়েছে। দেশের ক্রিকেটের ব্যয়বহুল টুর্নামেন্টটির জন্য ২৫ হাজার মার্কিন ডলার খরচ করে দুবাইতে ট্রফি বানাতে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় সাড়ে ৩০ লাখ টাকা। শিগগির সে ট্রফি দেশে আসবে বলে জানিয়েছেন সাখাওয়াত।
ট্রফি না থাকায় ২৫ হাজার বেলুন উড়িয়ে বিপিএল উদ্বোধন করে বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল। গতবারের মতো বড় পরিসরে না হলেও ছোট আকারে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল গভর্নিং কাউন্সিল। দিনের দুই ম্যাচের মাঝে স্টেজে পারফর্ম করেন তানজিন তিশা, ফুয়াদের মতো তারকারা।
বিপিএল ট্রফি প্রসঙ্গে সাখাওয়াত বলেন, ‘প্রথমে যে ট্রফিটা আনা হয়েছিল, সেটা গতানুগতিক। সেটা পরিবর্তন করে নতুন একটা ট্রফি আনা হয়েছে কিন্তু ওইটা আপ টু দ্য মার্ক না। এ জন্য পরিবর্তন করে আবার ট্রফি আনা হচ্ছে। খুব দ্রুত ট্রফিটা আমাদের হাতে আসবে। হাতে সময় কম। তার ওপর আমরা আবার ট্রফি পরিবর্তন করতে চেয়েছি। আগের ট্রফি যদি থাকতো তাহলে এই প্রশ্ন আসতোই না। আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে। এখন পর্যন্ত আপনাদের দেখা সেরা ট্রফি হবে।’
ট্রফির মান নিয়ে বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন বলেন, ‘আমরা ট্রফিটা অর্ডার করেছি। এটা ডায়মন্ড খচিত। ট্রফি বানানোর খরচ ২৫ হাজার মার্কিন ডলার। সাখাওয়াত ভাই যেটা বলল আমাদের পেতে একটু দেরি হচ্ছে। খুব দ্রুতই চলে আসবে। আশা করছি ট্রফিটা দেখলে আপনাদের ভালো লাগবে।’

শুক্রবার সকালে মিরপুরে মেহেদী হাসান মিরাজের বাসায় যখন এই সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়, তিনি তখন তৈরি হচ্ছেন কলম্বোর ফ্লাইট ধরার। শরীরে জ্বর, তবু তাঁর ইতিবাচক অভিব্যক্তি। যেকোনো পরিস্থিতিতে ইতিবাচক থাকাই মিরাজের বড় গুণ। রওনা দেওয়ার আগে দেওয়া বাংলাদেশ দলের নতুন ওয়ানডে অধিনায়কের সাক্ষাৎজুড়ে থাকল নতুন...
১৬ জুন ২০২৫
বিজয় হাজারে ট্রফিতে আজকের দিনটা দুই রকমের হয়ে থাকল বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মার জন্য। দিল্লির হয়ে দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে এদিন বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন কোহলি। অন্যদিকে শূন্য রানে আউট হয়ে তেতো অভিজ্ঞতা নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন রোহিত।
৮ মিনিট আগে
দলে ছিলেন নিলামে রেকর্ড দামে বিক্রি হওয়া নাঈম শেখ। ১ কোটি ১০ লাখ টাকায় এই ব্যাটারকে কিনেছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। কিন্তু প্রথম ম্যাচে ব্যাট হাতে চরমভাবে হতাশ করেছেন তিনি।
১ ঘণ্টা আগে
ইউনেক্স-সানরাইজ বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল সিরিজের পুরুষ দ্বৈতে অল বাংলাদেশ ফাইনালে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে গৌরব সিংহ ও আবদুল জহির তানভীর জুটি। শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ ইনডোর স্টেডিয়ামে আজ পুরুষ দ্বৈতের ফাইনালে গৌরব-তানভীর জুটি ২১-১৯, ১৭-২১ ও ২২-২০ সেটে মিজানুর রহমান ও রাহাতুন নাঈম জুটিকে হারিয়ে সোনা জিতেছে।
১ ঘণ্টা আগে