দেশের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রান, সেঞ্চুরির রেকর্ড তাঁর। তবু ১২ হাজার রান পূর্ণ না করতে পারার আফসোস নিয়ে আজ ক্যারিয়ার শেষ করতে যাচ্ছেন তুষার ইমরান। বিদায়বেলায় ঘরোয়া ক্রিকেটের অভিজ্ঞ এ ব্যাটার আজকের পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ফিরে দেখলেন দুই দশকের ক্যারিয়ারটা। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রানা আব্বাস।
রানা আব্বাস
প্রশ্ন: অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন। বিদায়বেলায় যেটা হয়, নিশ্চয়ই আবেগতাড়িত হয়ে পড়ছেন?
তুষার ইমরান: এত বছরের ক্যারিয়ারের সমাপ্তি টানতে যাচ্ছি, আবেগ তো আছেই। বিদায়বেলায় একজনকে মিস করছি—প্রয়াত জালাল আহমেদ চৌধুরী স্যার। মনেপ্রাণে চেয়েছিলাম, তিনি যত অসুস্থই থাকুন না কেন, স্যারকে আমার বিদায়ের দিনে মাঠে নিয়ে যাব। সেটা আর সম্ভব হচ্ছে না। আমার ক্যারিয়ারে সবচেয়ে বড় অবদান স্যারের। না হলে হয়তো ক্রিকেটার না হয়ে হকি খেলোয়াড় হতাম। এক সময় ক্রিকেট ও হকি দুটিই খেলতাম।
প্রশ্ন: প্রায় দুই যুগের ক্যারিয়ার যদি ফিরে দেখেন, যাত্রাটা কেমন ছিল?
তুষার: ঘরোয়া ক্রিকেটে নিজেকে সফলই বলব। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ার নিয়ে অনেক অতৃপ্তি আছে। অল্প বয়সেই টেস্ট খেলে ফেলেছি। এখন যতটা টেস্ট বা বড় দৈর্ঘ্যের ক্রিকেট বুঝি, তখন ততটা আসলে বুঝতামও না। ঘরোয়া ক্রিকেটে কয়েকটা ম্যাচ ভালো খেলেই টেস্ট ক্রিকেটে সুযোগ পেয়েছিলাম। না বুঝেই খেলতে গিয়ে যেটা হয়েছে, ক্যারিয়ারই শেষ হয়ে গেছে! এখন যদিও এটা কমই হয়। একজন ভালো না করতে পারলে আবারও ফিরে আসার সুযোগ পায়। আমার ওই সময়ে এ সুযোগটা কমই ছিল। এখন রিপ্লেসমেন্ট তুলনামূলক অনেক কম, ঘুরেফিরে একই মুখ দেখা যায়।
প্রশ্ন: আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিয়মিত না হতে পারায় নিজের দায় কতটা?
তুষার: তখন বছরে আন্তর্জাতিক সিরিজ কম হতো। দ্রুত কোচ পরিবর্তন হতো। একেক কোচের একেক পছন্দ। কেউ পছন্দ করতেন, কেউ করতেন না। নিজের ভেতর একটা ভাবনা কাজ করত, কোচ যদি পছন্দ না করেন, তাহলে আমার কী হবে? নিজেরও দোষ ছিল, ধারাবাহিক ভালো খেলতে পারিনি।
প্রশ্ন: গত পাঁচ-ছয় বছরে ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ধারাবাহিক ভালো খেলছিলেন। ২০১৭-১৮ সালের দিকে আপনার জাতীয় দলে ফেরার গুঞ্জন ছিল। আপনার কি মনে হয়, তখন একটা সুযোগ পাওনা ছিল?
তুষার: হ্যাঁ, অবশ্যই। ২০০২ থেকে ২০০৭, এই সময়ে আমি যতবার বাদ পড়েছি, ততবার ভালো খেলে ফিরে এসেছি। ২০০৭ সালের পর এই সুযোগও আর পাইনি। ২০১৪-২০১৫ সালের পর ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ধারাবাহিক ভালো খেলেছি। ফেরার আশা, ইচ্ছাশক্তিও ছিল। পরে মনে হয়েছে, দেরি হয়ে গেছে। তারাও (নির্বাচক ও টিম ম্যানেজমেন্ট) আমাকে নিয়ে আর ভাবেনি।
প্রশ্ন: ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ধারাবাহিক ভালো করেও যখন নির্বাচকদের বিবেচনায় আসছিলেন না, তখন ঘরোয়া ক্রিকেটের মান নিয়েও প্রশ্ন হচ্ছিল। দেশের ঘরোয়া ক্রিকেট আসলে কতটা এগিয়েছে?
তুষার: ঘরের মাঠে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আমরা জিতছি উইকেটের সহায়তা নিয়ে। দেশের বাইরে গেলে বোঝা যায় আমাদের ঘরোয়া ক্রিকেট কতটা ভালো। এখানে উন্নতির অনেক জায়গা আছে। এখন উইকেটে একটু পরিবর্তন এসেছে বলে অনেক (প্রথম শ্রেণির) ম্যাচের ফল আসছে। আর আমাদের বোলারদের মান নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। ঘণ্টায় কজন বোলার ১৪০ কিলোমিটারের গতিতে বোলিং করতে পারে? এখানে উন্নতি করতে হলে আরেকটু সময় দিতে হবে।
প্রশ্ন: ঘরোয়া ক্রিকেটের সঙ্গে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের পার্থক্য থাকবেই। তবে বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের সঙ্গে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের পার্থক্য একটু বেশিই। এটি কমাতে করণীয় কী?
তুষার: জাতীয় দলের খেলোয়াড়েরা সবাই খেললে মানটা বাড়বে। প্রতিদ্বন্দ্বিতা, পরিবেশ সবই বদলে যাবে। সাকিব, তামিম, মুশফিক, মোস্তাফিজেরা যদি নিয়মিত প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলে, তখন বড় দৈর্ঘ্যের ক্রিকেটের চেহারা অন্যরকম হয়ে যাবে। ওরা লংগার ভার্সন খেলতেই চায় না। ওদের বোঝাতে হবে। দেশের ক্রিকেটের উন্নতিতেই ওদের খেলা খুব জরুরি। এখানে তাদেরও দায়িত্ব আছে। আর জাতীয় লিগ, বিসিএলের সূচিটাও সেভাবে করা উচিত যেন ওরা খেলতে পারে।
প্রশ্ন: খেলোয়াড়ি জীবন শেষ হচ্ছে। আপাতত পরিকল্পনা কী?
তুষার: কোচিংয়ের সঙ্গে যুক্ত আছি। খেলা ছাড়লেও ক্রিকেটের সঙ্গেই থাকছি।
প্রশ্ন: অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন। বিদায়বেলায় যেটা হয়, নিশ্চয়ই আবেগতাড়িত হয়ে পড়ছেন?
তুষার ইমরান: এত বছরের ক্যারিয়ারের সমাপ্তি টানতে যাচ্ছি, আবেগ তো আছেই। বিদায়বেলায় একজনকে মিস করছি—প্রয়াত জালাল আহমেদ চৌধুরী স্যার। মনেপ্রাণে চেয়েছিলাম, তিনি যত অসুস্থই থাকুন না কেন, স্যারকে আমার বিদায়ের দিনে মাঠে নিয়ে যাব। সেটা আর সম্ভব হচ্ছে না। আমার ক্যারিয়ারে সবচেয়ে বড় অবদান স্যারের। না হলে হয়তো ক্রিকেটার না হয়ে হকি খেলোয়াড় হতাম। এক সময় ক্রিকেট ও হকি দুটিই খেলতাম।
প্রশ্ন: প্রায় দুই যুগের ক্যারিয়ার যদি ফিরে দেখেন, যাত্রাটা কেমন ছিল?
তুষার: ঘরোয়া ক্রিকেটে নিজেকে সফলই বলব। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ার নিয়ে অনেক অতৃপ্তি আছে। অল্প বয়সেই টেস্ট খেলে ফেলেছি। এখন যতটা টেস্ট বা বড় দৈর্ঘ্যের ক্রিকেট বুঝি, তখন ততটা আসলে বুঝতামও না। ঘরোয়া ক্রিকেটে কয়েকটা ম্যাচ ভালো খেলেই টেস্ট ক্রিকেটে সুযোগ পেয়েছিলাম। না বুঝেই খেলতে গিয়ে যেটা হয়েছে, ক্যারিয়ারই শেষ হয়ে গেছে! এখন যদিও এটা কমই হয়। একজন ভালো না করতে পারলে আবারও ফিরে আসার সুযোগ পায়। আমার ওই সময়ে এ সুযোগটা কমই ছিল। এখন রিপ্লেসমেন্ট তুলনামূলক অনেক কম, ঘুরেফিরে একই মুখ দেখা যায়।
প্রশ্ন: আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিয়মিত না হতে পারায় নিজের দায় কতটা?
তুষার: তখন বছরে আন্তর্জাতিক সিরিজ কম হতো। দ্রুত কোচ পরিবর্তন হতো। একেক কোচের একেক পছন্দ। কেউ পছন্দ করতেন, কেউ করতেন না। নিজের ভেতর একটা ভাবনা কাজ করত, কোচ যদি পছন্দ না করেন, তাহলে আমার কী হবে? নিজেরও দোষ ছিল, ধারাবাহিক ভালো খেলতে পারিনি।
প্রশ্ন: গত পাঁচ-ছয় বছরে ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ধারাবাহিক ভালো খেলছিলেন। ২০১৭-১৮ সালের দিকে আপনার জাতীয় দলে ফেরার গুঞ্জন ছিল। আপনার কি মনে হয়, তখন একটা সুযোগ পাওনা ছিল?
তুষার: হ্যাঁ, অবশ্যই। ২০০২ থেকে ২০০৭, এই সময়ে আমি যতবার বাদ পড়েছি, ততবার ভালো খেলে ফিরে এসেছি। ২০০৭ সালের পর এই সুযোগও আর পাইনি। ২০১৪-২০১৫ সালের পর ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ধারাবাহিক ভালো খেলেছি। ফেরার আশা, ইচ্ছাশক্তিও ছিল। পরে মনে হয়েছে, দেরি হয়ে গেছে। তারাও (নির্বাচক ও টিম ম্যানেজমেন্ট) আমাকে নিয়ে আর ভাবেনি।
প্রশ্ন: ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ধারাবাহিক ভালো করেও যখন নির্বাচকদের বিবেচনায় আসছিলেন না, তখন ঘরোয়া ক্রিকেটের মান নিয়েও প্রশ্ন হচ্ছিল। দেশের ঘরোয়া ক্রিকেট আসলে কতটা এগিয়েছে?
তুষার: ঘরের মাঠে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আমরা জিতছি উইকেটের সহায়তা নিয়ে। দেশের বাইরে গেলে বোঝা যায় আমাদের ঘরোয়া ক্রিকেট কতটা ভালো। এখানে উন্নতির অনেক জায়গা আছে। এখন উইকেটে একটু পরিবর্তন এসেছে বলে অনেক (প্রথম শ্রেণির) ম্যাচের ফল আসছে। আর আমাদের বোলারদের মান নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। ঘণ্টায় কজন বোলার ১৪০ কিলোমিটারের গতিতে বোলিং করতে পারে? এখানে উন্নতি করতে হলে আরেকটু সময় দিতে হবে।
প্রশ্ন: ঘরোয়া ক্রিকেটের সঙ্গে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের পার্থক্য থাকবেই। তবে বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের সঙ্গে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের পার্থক্য একটু বেশিই। এটি কমাতে করণীয় কী?
তুষার: জাতীয় দলের খেলোয়াড়েরা সবাই খেললে মানটা বাড়বে। প্রতিদ্বন্দ্বিতা, পরিবেশ সবই বদলে যাবে। সাকিব, তামিম, মুশফিক, মোস্তাফিজেরা যদি নিয়মিত প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলে, তখন বড় দৈর্ঘ্যের ক্রিকেটের চেহারা অন্যরকম হয়ে যাবে। ওরা লংগার ভার্সন খেলতেই চায় না। ওদের বোঝাতে হবে। দেশের ক্রিকেটের উন্নতিতেই ওদের খেলা খুব জরুরি। এখানে তাদেরও দায়িত্ব আছে। আর জাতীয় লিগ, বিসিএলের সূচিটাও সেভাবে করা উচিত যেন ওরা খেলতে পারে।
প্রশ্ন: খেলোয়াড়ি জীবন শেষ হচ্ছে। আপাতত পরিকল্পনা কী?
তুষার: কোচিংয়ের সঙ্গে যুক্ত আছি। খেলা ছাড়লেও ক্রিকেটের সঙ্গেই থাকছি।
গলে ম্যাচ ড্র হওয়া অনেকটা চোখ কপালে ওঠার মতো। সমুদ্রঘেঁষা এই ভেন্যুতে সবশেষ ২৬ ম্যাচে কোনো দলই ড্রয়ের জন্য সমঝোতা করেনি। বাংলাদেশের ম্যাচ দিয়ে ইতি টানল সেই ধারাবাহিকতার। ম্যাচটি কি জেতার জন্য খেলতে পারত না বাংলাদেশ? পারত না আরেকটু আগে ইনিংস ঘোষণা করতে? সেই প্রশ্নগুলোই রাখা হয়েছিল সংবাদ সম্মেলনে...
৬ ঘণ্টা আগেএক টেস্টে জোড়া সেঞ্চুরি আগেও দেখেছে বাংলাদেশ। নাজমুল হোসেন শান্ত প্রায় দুই বছর আগে সেই ক্লাবে নাম লেখান। এবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গলে জোড়া সেঞ্চুরি করে নতুন কীর্তি গড়লেন তিনি। বাংলাদেশের কোনো অধিনায়কই এর আগে এক টেস্টে দুই সেঞ্চুরি হাঁকাতে পারেননি। এই রেকর্ডে নাম লেখানোর কথা আগে থেকে জানতেন না শান্ত।
৮ ঘণ্টা আগেকিছু কি মনে পড়ছে? না পড়লেও অবশ্য দোষের কিছু নেই। মেলবোর্নে গত বছর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৩৭ বলে ২৮ রানের ইনিংস খেলে তোপের মুখে পড়েন ঋষভ পন্ত। তাঁর আউটের ধরন দেখে রীতিমত ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন কিংবদন্তি সুনীল গাভাস্কার। ধারাভাষ্যকক্ষে মাইক হাতে তিরস্কার করতে থাকেন ‘স্টুপিড, স্টুপিড, স্টুপিড’ বলে
৮ ঘণ্টা আগেদিন শেষ হতে তখনো বাকি আরও ৫ ওভার। ৩০ বলে শ্রীলঙ্কার ৬ উইকেট পড়ে যাবে এমন ভাবাটা আকাশ-কুসুম কল্পনার মতো। বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত তাই বাস্তবতা মেনে নিয়ে ছুটে গেলেন লঙ্কান অধিনায়ক ধনঞ্জয়া ডি সিলভার সঙ্গে করমর্দন করতে। বাকিরাও তা অনুসরণ করতে থাকেন।
৯ ঘণ্টা আগে