
বাংলাদেশ ক্রিকেটের একমাত্র ‘বিশ্বকাপজয়ী’ অধিনায়ক তিনি। ২০২০ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে দলকে নেতৃত্ব দেওয়া আকবর আলী সদ্য সমাপ্ত এনসিএল টি-টোয়েন্টিতে ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট হয়ে নতুন বার্তাই যেন দিয়েছেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রানা আব্বাস।
রানা আব্বাস, ঢাকা

প্রশ্ন: ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট হয়ে পাওয়া সাইকেলটা কাকে দিলেন?
আকবর আলী: সাইকেল তো এখনো পাইনি। বলেছে, রংপুরে পাঠিয়ে দেবে। শিরোপা জিতেছি, ওটা (সাইকেল) বড় কিছু না। সবাই সাইকেল খুঁজছে! বাসায় ছোট ছোট বাচ্চা আছে। এটা নিয়েই এখন মারামারি হচ্ছে! বাচ্চা বলতে ভাতিজা, ভাগনে, কাজিনরা।
প্রশ্ন: প্লে অফের চার নম্বর দল হয়েও রংপুর ফাইনালে উঠে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। কোন সূত্রে এসেছে এই সাফল্য?
আকবর: ঢাকা মহানগরের বিপক্ষে এমন একটা অবস্থায় ছিলাম, শুধু জিতলেই হবে না। আমরা যদি কোয়ালিফাই করতে চাই প্লে অফে, তাহলে কমপক্ষে ৫০ রানে অথবা ৬-৭ ওভার আগে জিততে হবে। সমীকরণের ব্যাপারে আমাদের মিটিংয়ে একটাই কথা ছিল, আমরা সেটা করব। সেটা করতে গিয়ে যদি ৫০ রানে অলআউটও হয়ে যাই, সমস্যা নেই। কিন্তু আমরা সেটা তাড়া করব। আমাদের উঠতে হলে সেটা করতেই হবে। সেটা যখন আমরা নিশ্চিত করলাম, তখন থেকে আমাদের মনে হয়েছে, আমরা আসলে যেকোনো দলকে হারাতে পারব। তার পর থেকে যেটা হলো, কোয়ালিফায়ারে আমরা পুরোই অন্য রকম ক্রিকেট খেলেছি। আমরা গ্রুপ পর্বে যে রকম ক্রিকেট খেলেছি, সেটার চেয়ে পুরোই ভিন্নরকম ক্রিকেট খেলেছি কোয়ালিফায়ারে উঠে।
প্রশ্ন: বয়সভিত্তিক ক্রিকেট থেকেই প্রমাণ করেছেন আপনি সহজাত অধিনায়ক। নেতৃত্বের সঙ্গে এবার নিজের পারফরম্যান্সটা কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?
আকবর: টুর্নামেন্টের শুরুর দিকে দেখবেন আমি ২০-৩০ রানের মধ্যে আউট হয়ে যাচ্ছিলাম। টুর্নামেন্টের শুরুর দিকে বেশি ঝুঁকি নিচ্ছিলাম। যদি ব্যাটিংয়ের কথা বলি। কিন্তু পরে নাসির ভাই ও বাবু ভাইয়ের সঙ্গে একদিন বসেছিলাম। কোয়ালিফায়ারের আগের একটা ম্যাচে দুজনের একই বার্তা ছিল, ‘একবার যদি তোমার মনে হয় আমাদের কারও ঝুঁকি নেওয়া দরকার, তাহলে তোমার সঙ্গীকে বলো বেশি ঝুঁকি নিতে। তুমি খেলাটা ডিপে নেওয়ার চেষ্টা করো।’ আমি ২০-৩০ করে আউট হয়ে যাচ্ছিলাম। তখন চিন্তা করেছিলাম, আমি বেশিক্ষণ থাকলে দলের ভালো হবে। সেই বার্তাটা কাজে দিয়েছে এবং আমি নিজেও পরে বুঝতে পেরেছিলাম, যদি শেষ পর্যন্ত থাকতে পারি, সেটাই ভালো হবে।
প্রশ্ন: দলের সিনিয়র সদস্য হিসেবে নাসির হোসেনের কোন ভূমিকা বিশেষ চোখে পড়েছে?
আকবর: নাসির ভাই অনেক দিন পর ক্রিকেটে ফিরেছেন। টুর্নামেন্টের শুরুতে ব্যাটিংয়ে তিনি অনেক শেষের দিকে নামছিলেন। তরুণ ক্রিকেটারদের ওপরের দিকে খেলাতে চেয়েছিলেন। যখন সেই জায়গায় ভালো হচ্ছিল না, তখন তিনি নিজে থেকে দায়িত্ব নিলেন এবং বললেন, ‘ঠিক আছে, আমিই গিয়ে সেটা করার চেষ্টা করি।’ আর পুরো মাঠের ভেতরের কথা যদি বলেন, তিনি আমার মনে হয় যে বাংলাদেশে যত সূক্ষ্ম ক্রিকেটজ্ঞান আছে, তাদের মধ্যে নাসির ভাই অন্যতম। শুধু নাসির ভাই নন, নাঈম-নাহিদ ভাইয়ের সঙ্গেও কথা হতো। তানভীর ভাই অনেক উপকার করেছেন। শেষের দিকে কয়েকটা ম্যাচ খেলতে পারেননি। তবে পরিকল্পনার ক্ষেত্রে অনেক উপকার করেছেন।
প্রশ্ন: টুর্নামেন্টে দারুণ বাঁহাতি স্পিনার আবু হাশিমের পারফরম্যান্স কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?
আকবর: হাশিম ভাই সত্যি বলতে গত দুই-তিন বছর ধরেই আছেন এনসিএলে। কিন্তু নানা কারণে নিয়মিত ম্যাচ খেলাতে পারিনি আমরা। এ বছর প্রিমিয়ার লিগটা যখন ভালো করলেন, আমাদের বিভাগ থেকে চূড়ান্ত ছিল যে এই বছর হাশিম ভাইকে খেলানো হবে। সবচেয়ে কঠিন অবস্থায় তিনি বোলিং করেছেন। তিনি কখনোই রাতের ক্রিকেট (ফ্লাড লাইটে) খেলেননি। শিশির পড়লে কীভাবে বোলিং করতে হয়, সেটা ম্যাচে গিয়ে বুঝতে পেরেছেন। স্বাভাবিকভাবেই তাঁর জন্য একটু কঠিন ছিল। তিনি শেষের ম্যাচে অনেক রান দিয়েছেন। আমার মনে হয়, দ্বিতীয় এলিমিনেটরে বা দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে, সেটা না হলে তাঁর ইকোনমি পাঁচের নিচেও থাকত। যেটা একেবারে অস্বাভাবিক।
প্রশ্ন: আপনার ২০২০ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী সতীর্থদের প্রায় সবাই জাতীয় দলে চলে এসেছেন। এই ব্যাপারে কি নিজেকে নিয়ে আফসোস হয়?
আকবর: এটা আমার হাতে নেই। এটা নিয়ে আমার কথা বলাও ঠিক হবে না।
প্রশ্ন: উইকেটরক্ষক ব্যাটার না হলে বোলার-ব্যাটার হলে কি দ্রুত আসার সুযোগ হতো? যেহেতু একই পজিশনের একাধিক ক্রিকেটার জাতীয় দলে আছেন।
আকবর: না, মনে হয় না। কারণ, সব জায়গাই চ্যালেঞ্জিং। আপনি কখনো বলতে পারবেন না এটা কম চ্যালেঞ্জিং আর ওটা বেশি চ্যালেঞ্জিং। জাতীয় দলের কথা যদি বলেন, প্রতিটি জায়গার জন্য লড়াই করতে হবে। পাঁচ-ছয় বছর আগে বলা হতো, বাংলাদেশে পেস বোলার নেই। এখন দেখুন, বাংলাদেশের পেসারদের মধ্যে কতটা প্রতিযোগিতা হয়। এখন বাংলাদেশে অনেক বাঁহাতি বোলার আছে। কোনো জায়গাই সহজ বলে আমার মনে হয় না।
প্রশ্ন: কদিন আগে কোচিং কোর্স করেছেন। সেটা খেলায় উন্নতি আনতে কতটা সহায়তা করেছে?
আকবর: সত্যি বলতে এটা একটা বেসিক কোর্স ছিল। আমার মনে হয় যে এখানে এমন কিছু শিখিনি যে টেকনিক্যাল অংশের কথা যদি বলেন, যা আমি আগে থেকে জানতামই না। এটা আসলেই একটা বেসিক কোর্স ছিল। কিন্তু যেটা উপকার করেছে, সেটা খেলোয়াড় হিসেবে নয়। বহিরাগত হিসেবে ক্রিকেটকে কীভাবে দেখছেন আর একটা ক্রিকেট ম্যাচ আপনার জীবনে কতটা ইমপ্যাক্ট ফেলতে পারে। আদৌ পারে কি না। এসব বিশ্লেষণ করতে সহায়তা করেছে।
প্রশ্ন: এনসিএলের চার দিনের ম্যাচ শুরু হচ্ছে কদিন পর, এখানে নিজেকে কীভাবে উপস্থাপন করতে চান?
আকবর: আমি গত বছরও বেশি চার দিনের ক্রিকেট খেলতে পারিনি। যদি প্রথম থেকেই থাকি, পুরো মৌসুম খেলতে পারলে স্মরণীয় করে রাখার চেষ্টা থাকবে।
প্রশ্ন: ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট হয়ে পাওয়া সাইকেলটা কাকে দিলেন?
আকবর আলী: সাইকেল তো এখনো পাইনি। বলেছে, রংপুরে পাঠিয়ে দেবে। শিরোপা জিতেছি, ওটা (সাইকেল) বড় কিছু না। সবাই সাইকেল খুঁজছে! বাসায় ছোট ছোট বাচ্চা আছে। এটা নিয়েই এখন মারামারি হচ্ছে! বাচ্চা বলতে ভাতিজা, ভাগনে, কাজিনরা।
প্রশ্ন: প্লে অফের চার নম্বর দল হয়েও রংপুর ফাইনালে উঠে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। কোন সূত্রে এসেছে এই সাফল্য?
আকবর: ঢাকা মহানগরের বিপক্ষে এমন একটা অবস্থায় ছিলাম, শুধু জিতলেই হবে না। আমরা যদি কোয়ালিফাই করতে চাই প্লে অফে, তাহলে কমপক্ষে ৫০ রানে অথবা ৬-৭ ওভার আগে জিততে হবে। সমীকরণের ব্যাপারে আমাদের মিটিংয়ে একটাই কথা ছিল, আমরা সেটা করব। সেটা করতে গিয়ে যদি ৫০ রানে অলআউটও হয়ে যাই, সমস্যা নেই। কিন্তু আমরা সেটা তাড়া করব। আমাদের উঠতে হলে সেটা করতেই হবে। সেটা যখন আমরা নিশ্চিত করলাম, তখন থেকে আমাদের মনে হয়েছে, আমরা আসলে যেকোনো দলকে হারাতে পারব। তার পর থেকে যেটা হলো, কোয়ালিফায়ারে আমরা পুরোই অন্য রকম ক্রিকেট খেলেছি। আমরা গ্রুপ পর্বে যে রকম ক্রিকেট খেলেছি, সেটার চেয়ে পুরোই ভিন্নরকম ক্রিকেট খেলেছি কোয়ালিফায়ারে উঠে।
প্রশ্ন: বয়সভিত্তিক ক্রিকেট থেকেই প্রমাণ করেছেন আপনি সহজাত অধিনায়ক। নেতৃত্বের সঙ্গে এবার নিজের পারফরম্যান্সটা কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?
আকবর: টুর্নামেন্টের শুরুর দিকে দেখবেন আমি ২০-৩০ রানের মধ্যে আউট হয়ে যাচ্ছিলাম। টুর্নামেন্টের শুরুর দিকে বেশি ঝুঁকি নিচ্ছিলাম। যদি ব্যাটিংয়ের কথা বলি। কিন্তু পরে নাসির ভাই ও বাবু ভাইয়ের সঙ্গে একদিন বসেছিলাম। কোয়ালিফায়ারের আগের একটা ম্যাচে দুজনের একই বার্তা ছিল, ‘একবার যদি তোমার মনে হয় আমাদের কারও ঝুঁকি নেওয়া দরকার, তাহলে তোমার সঙ্গীকে বলো বেশি ঝুঁকি নিতে। তুমি খেলাটা ডিপে নেওয়ার চেষ্টা করো।’ আমি ২০-৩০ করে আউট হয়ে যাচ্ছিলাম। তখন চিন্তা করেছিলাম, আমি বেশিক্ষণ থাকলে দলের ভালো হবে। সেই বার্তাটা কাজে দিয়েছে এবং আমি নিজেও পরে বুঝতে পেরেছিলাম, যদি শেষ পর্যন্ত থাকতে পারি, সেটাই ভালো হবে।
প্রশ্ন: দলের সিনিয়র সদস্য হিসেবে নাসির হোসেনের কোন ভূমিকা বিশেষ চোখে পড়েছে?
আকবর: নাসির ভাই অনেক দিন পর ক্রিকেটে ফিরেছেন। টুর্নামেন্টের শুরুতে ব্যাটিংয়ে তিনি অনেক শেষের দিকে নামছিলেন। তরুণ ক্রিকেটারদের ওপরের দিকে খেলাতে চেয়েছিলেন। যখন সেই জায়গায় ভালো হচ্ছিল না, তখন তিনি নিজে থেকে দায়িত্ব নিলেন এবং বললেন, ‘ঠিক আছে, আমিই গিয়ে সেটা করার চেষ্টা করি।’ আর পুরো মাঠের ভেতরের কথা যদি বলেন, তিনি আমার মনে হয় যে বাংলাদেশে যত সূক্ষ্ম ক্রিকেটজ্ঞান আছে, তাদের মধ্যে নাসির ভাই অন্যতম। শুধু নাসির ভাই নন, নাঈম-নাহিদ ভাইয়ের সঙ্গেও কথা হতো। তানভীর ভাই অনেক উপকার করেছেন। শেষের দিকে কয়েকটা ম্যাচ খেলতে পারেননি। তবে পরিকল্পনার ক্ষেত্রে অনেক উপকার করেছেন।
প্রশ্ন: টুর্নামেন্টে দারুণ বাঁহাতি স্পিনার আবু হাশিমের পারফরম্যান্স কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?
আকবর: হাশিম ভাই সত্যি বলতে গত দুই-তিন বছর ধরেই আছেন এনসিএলে। কিন্তু নানা কারণে নিয়মিত ম্যাচ খেলাতে পারিনি আমরা। এ বছর প্রিমিয়ার লিগটা যখন ভালো করলেন, আমাদের বিভাগ থেকে চূড়ান্ত ছিল যে এই বছর হাশিম ভাইকে খেলানো হবে। সবচেয়ে কঠিন অবস্থায় তিনি বোলিং করেছেন। তিনি কখনোই রাতের ক্রিকেট (ফ্লাড লাইটে) খেলেননি। শিশির পড়লে কীভাবে বোলিং করতে হয়, সেটা ম্যাচে গিয়ে বুঝতে পেরেছেন। স্বাভাবিকভাবেই তাঁর জন্য একটু কঠিন ছিল। তিনি শেষের ম্যাচে অনেক রান দিয়েছেন। আমার মনে হয়, দ্বিতীয় এলিমিনেটরে বা দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে, সেটা না হলে তাঁর ইকোনমি পাঁচের নিচেও থাকত। যেটা একেবারে অস্বাভাবিক।
প্রশ্ন: আপনার ২০২০ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী সতীর্থদের প্রায় সবাই জাতীয় দলে চলে এসেছেন। এই ব্যাপারে কি নিজেকে নিয়ে আফসোস হয়?
আকবর: এটা আমার হাতে নেই। এটা নিয়ে আমার কথা বলাও ঠিক হবে না।
প্রশ্ন: উইকেটরক্ষক ব্যাটার না হলে বোলার-ব্যাটার হলে কি দ্রুত আসার সুযোগ হতো? যেহেতু একই পজিশনের একাধিক ক্রিকেটার জাতীয় দলে আছেন।
আকবর: না, মনে হয় না। কারণ, সব জায়গাই চ্যালেঞ্জিং। আপনি কখনো বলতে পারবেন না এটা কম চ্যালেঞ্জিং আর ওটা বেশি চ্যালেঞ্জিং। জাতীয় দলের কথা যদি বলেন, প্রতিটি জায়গার জন্য লড়াই করতে হবে। পাঁচ-ছয় বছর আগে বলা হতো, বাংলাদেশে পেস বোলার নেই। এখন দেখুন, বাংলাদেশের পেসারদের মধ্যে কতটা প্রতিযোগিতা হয়। এখন বাংলাদেশে অনেক বাঁহাতি বোলার আছে। কোনো জায়গাই সহজ বলে আমার মনে হয় না।
প্রশ্ন: কদিন আগে কোচিং কোর্স করেছেন। সেটা খেলায় উন্নতি আনতে কতটা সহায়তা করেছে?
আকবর: সত্যি বলতে এটা একটা বেসিক কোর্স ছিল। আমার মনে হয় যে এখানে এমন কিছু শিখিনি যে টেকনিক্যাল অংশের কথা যদি বলেন, যা আমি আগে থেকে জানতামই না। এটা আসলেই একটা বেসিক কোর্স ছিল। কিন্তু যেটা উপকার করেছে, সেটা খেলোয়াড় হিসেবে নয়। বহিরাগত হিসেবে ক্রিকেটকে কীভাবে দেখছেন আর একটা ক্রিকেট ম্যাচ আপনার জীবনে কতটা ইমপ্যাক্ট ফেলতে পারে। আদৌ পারে কি না। এসব বিশ্লেষণ করতে সহায়তা করেছে।
প্রশ্ন: এনসিএলের চার দিনের ম্যাচ শুরু হচ্ছে কদিন পর, এখানে নিজেকে কীভাবে উপস্থাপন করতে চান?
আকবর: আমি গত বছরও বেশি চার দিনের ক্রিকেট খেলতে পারিনি। যদি প্রথম থেকেই থাকি, পুরো মৌসুম খেলতে পারলে স্মরণীয় করে রাখার চেষ্টা থাকবে।

বাংলাদেশ ক্রিকেটের একমাত্র ‘বিশ্বকাপজয়ী’ অধিনায়ক তিনি। ২০২০ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে দলকে নেতৃত্ব দেওয়া আকবর আলী সদ্য সমাপ্ত এনসিএল টি-টোয়েন্টিতে ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট হয়ে নতুন বার্তাই যেন দিয়েছেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রানা আব্বাস।
রানা আব্বাস, ঢাকা

প্রশ্ন: ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট হয়ে পাওয়া সাইকেলটা কাকে দিলেন?
আকবর আলী: সাইকেল তো এখনো পাইনি। বলেছে, রংপুরে পাঠিয়ে দেবে। শিরোপা জিতেছি, ওটা (সাইকেল) বড় কিছু না। সবাই সাইকেল খুঁজছে! বাসায় ছোট ছোট বাচ্চা আছে। এটা নিয়েই এখন মারামারি হচ্ছে! বাচ্চা বলতে ভাতিজা, ভাগনে, কাজিনরা।
প্রশ্ন: প্লে অফের চার নম্বর দল হয়েও রংপুর ফাইনালে উঠে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। কোন সূত্রে এসেছে এই সাফল্য?
আকবর: ঢাকা মহানগরের বিপক্ষে এমন একটা অবস্থায় ছিলাম, শুধু জিতলেই হবে না। আমরা যদি কোয়ালিফাই করতে চাই প্লে অফে, তাহলে কমপক্ষে ৫০ রানে অথবা ৬-৭ ওভার আগে জিততে হবে। সমীকরণের ব্যাপারে আমাদের মিটিংয়ে একটাই কথা ছিল, আমরা সেটা করব। সেটা করতে গিয়ে যদি ৫০ রানে অলআউটও হয়ে যাই, সমস্যা নেই। কিন্তু আমরা সেটা তাড়া করব। আমাদের উঠতে হলে সেটা করতেই হবে। সেটা যখন আমরা নিশ্চিত করলাম, তখন থেকে আমাদের মনে হয়েছে, আমরা আসলে যেকোনো দলকে হারাতে পারব। তার পর থেকে যেটা হলো, কোয়ালিফায়ারে আমরা পুরোই অন্য রকম ক্রিকেট খেলেছি। আমরা গ্রুপ পর্বে যে রকম ক্রিকেট খেলেছি, সেটার চেয়ে পুরোই ভিন্নরকম ক্রিকেট খেলেছি কোয়ালিফায়ারে উঠে।
প্রশ্ন: বয়সভিত্তিক ক্রিকেট থেকেই প্রমাণ করেছেন আপনি সহজাত অধিনায়ক। নেতৃত্বের সঙ্গে এবার নিজের পারফরম্যান্সটা কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?
আকবর: টুর্নামেন্টের শুরুর দিকে দেখবেন আমি ২০-৩০ রানের মধ্যে আউট হয়ে যাচ্ছিলাম। টুর্নামেন্টের শুরুর দিকে বেশি ঝুঁকি নিচ্ছিলাম। যদি ব্যাটিংয়ের কথা বলি। কিন্তু পরে নাসির ভাই ও বাবু ভাইয়ের সঙ্গে একদিন বসেছিলাম। কোয়ালিফায়ারের আগের একটা ম্যাচে দুজনের একই বার্তা ছিল, ‘একবার যদি তোমার মনে হয় আমাদের কারও ঝুঁকি নেওয়া দরকার, তাহলে তোমার সঙ্গীকে বলো বেশি ঝুঁকি নিতে। তুমি খেলাটা ডিপে নেওয়ার চেষ্টা করো।’ আমি ২০-৩০ করে আউট হয়ে যাচ্ছিলাম। তখন চিন্তা করেছিলাম, আমি বেশিক্ষণ থাকলে দলের ভালো হবে। সেই বার্তাটা কাজে দিয়েছে এবং আমি নিজেও পরে বুঝতে পেরেছিলাম, যদি শেষ পর্যন্ত থাকতে পারি, সেটাই ভালো হবে।
প্রশ্ন: দলের সিনিয়র সদস্য হিসেবে নাসির হোসেনের কোন ভূমিকা বিশেষ চোখে পড়েছে?
আকবর: নাসির ভাই অনেক দিন পর ক্রিকেটে ফিরেছেন। টুর্নামেন্টের শুরুতে ব্যাটিংয়ে তিনি অনেক শেষের দিকে নামছিলেন। তরুণ ক্রিকেটারদের ওপরের দিকে খেলাতে চেয়েছিলেন। যখন সেই জায়গায় ভালো হচ্ছিল না, তখন তিনি নিজে থেকে দায়িত্ব নিলেন এবং বললেন, ‘ঠিক আছে, আমিই গিয়ে সেটা করার চেষ্টা করি।’ আর পুরো মাঠের ভেতরের কথা যদি বলেন, তিনি আমার মনে হয় যে বাংলাদেশে যত সূক্ষ্ম ক্রিকেটজ্ঞান আছে, তাদের মধ্যে নাসির ভাই অন্যতম। শুধু নাসির ভাই নন, নাঈম-নাহিদ ভাইয়ের সঙ্গেও কথা হতো। তানভীর ভাই অনেক উপকার করেছেন। শেষের দিকে কয়েকটা ম্যাচ খেলতে পারেননি। তবে পরিকল্পনার ক্ষেত্রে অনেক উপকার করেছেন।
প্রশ্ন: টুর্নামেন্টে দারুণ বাঁহাতি স্পিনার আবু হাশিমের পারফরম্যান্স কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?
আকবর: হাশিম ভাই সত্যি বলতে গত দুই-তিন বছর ধরেই আছেন এনসিএলে। কিন্তু নানা কারণে নিয়মিত ম্যাচ খেলাতে পারিনি আমরা। এ বছর প্রিমিয়ার লিগটা যখন ভালো করলেন, আমাদের বিভাগ থেকে চূড়ান্ত ছিল যে এই বছর হাশিম ভাইকে খেলানো হবে। সবচেয়ে কঠিন অবস্থায় তিনি বোলিং করেছেন। তিনি কখনোই রাতের ক্রিকেট (ফ্লাড লাইটে) খেলেননি। শিশির পড়লে কীভাবে বোলিং করতে হয়, সেটা ম্যাচে গিয়ে বুঝতে পেরেছেন। স্বাভাবিকভাবেই তাঁর জন্য একটু কঠিন ছিল। তিনি শেষের ম্যাচে অনেক রান দিয়েছেন। আমার মনে হয়, দ্বিতীয় এলিমিনেটরে বা দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে, সেটা না হলে তাঁর ইকোনমি পাঁচের নিচেও থাকত। যেটা একেবারে অস্বাভাবিক।
প্রশ্ন: আপনার ২০২০ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী সতীর্থদের প্রায় সবাই জাতীয় দলে চলে এসেছেন। এই ব্যাপারে কি নিজেকে নিয়ে আফসোস হয়?
আকবর: এটা আমার হাতে নেই। এটা নিয়ে আমার কথা বলাও ঠিক হবে না।
প্রশ্ন: উইকেটরক্ষক ব্যাটার না হলে বোলার-ব্যাটার হলে কি দ্রুত আসার সুযোগ হতো? যেহেতু একই পজিশনের একাধিক ক্রিকেটার জাতীয় দলে আছেন।
আকবর: না, মনে হয় না। কারণ, সব জায়গাই চ্যালেঞ্জিং। আপনি কখনো বলতে পারবেন না এটা কম চ্যালেঞ্জিং আর ওটা বেশি চ্যালেঞ্জিং। জাতীয় দলের কথা যদি বলেন, প্রতিটি জায়গার জন্য লড়াই করতে হবে। পাঁচ-ছয় বছর আগে বলা হতো, বাংলাদেশে পেস বোলার নেই। এখন দেখুন, বাংলাদেশের পেসারদের মধ্যে কতটা প্রতিযোগিতা হয়। এখন বাংলাদেশে অনেক বাঁহাতি বোলার আছে। কোনো জায়গাই সহজ বলে আমার মনে হয় না।
প্রশ্ন: কদিন আগে কোচিং কোর্স করেছেন। সেটা খেলায় উন্নতি আনতে কতটা সহায়তা করেছে?
আকবর: সত্যি বলতে এটা একটা বেসিক কোর্স ছিল। আমার মনে হয় যে এখানে এমন কিছু শিখিনি যে টেকনিক্যাল অংশের কথা যদি বলেন, যা আমি আগে থেকে জানতামই না। এটা আসলেই একটা বেসিক কোর্স ছিল। কিন্তু যেটা উপকার করেছে, সেটা খেলোয়াড় হিসেবে নয়। বহিরাগত হিসেবে ক্রিকেটকে কীভাবে দেখছেন আর একটা ক্রিকেট ম্যাচ আপনার জীবনে কতটা ইমপ্যাক্ট ফেলতে পারে। আদৌ পারে কি না। এসব বিশ্লেষণ করতে সহায়তা করেছে।
প্রশ্ন: এনসিএলের চার দিনের ম্যাচ শুরু হচ্ছে কদিন পর, এখানে নিজেকে কীভাবে উপস্থাপন করতে চান?
আকবর: আমি গত বছরও বেশি চার দিনের ক্রিকেট খেলতে পারিনি। যদি প্রথম থেকেই থাকি, পুরো মৌসুম খেলতে পারলে স্মরণীয় করে রাখার চেষ্টা থাকবে।
প্রশ্ন: ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট হয়ে পাওয়া সাইকেলটা কাকে দিলেন?
আকবর আলী: সাইকেল তো এখনো পাইনি। বলেছে, রংপুরে পাঠিয়ে দেবে। শিরোপা জিতেছি, ওটা (সাইকেল) বড় কিছু না। সবাই সাইকেল খুঁজছে! বাসায় ছোট ছোট বাচ্চা আছে। এটা নিয়েই এখন মারামারি হচ্ছে! বাচ্চা বলতে ভাতিজা, ভাগনে, কাজিনরা।
প্রশ্ন: প্লে অফের চার নম্বর দল হয়েও রংপুর ফাইনালে উঠে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। কোন সূত্রে এসেছে এই সাফল্য?
আকবর: ঢাকা মহানগরের বিপক্ষে এমন একটা অবস্থায় ছিলাম, শুধু জিতলেই হবে না। আমরা যদি কোয়ালিফাই করতে চাই প্লে অফে, তাহলে কমপক্ষে ৫০ রানে অথবা ৬-৭ ওভার আগে জিততে হবে। সমীকরণের ব্যাপারে আমাদের মিটিংয়ে একটাই কথা ছিল, আমরা সেটা করব। সেটা করতে গিয়ে যদি ৫০ রানে অলআউটও হয়ে যাই, সমস্যা নেই। কিন্তু আমরা সেটা তাড়া করব। আমাদের উঠতে হলে সেটা করতেই হবে। সেটা যখন আমরা নিশ্চিত করলাম, তখন থেকে আমাদের মনে হয়েছে, আমরা আসলে যেকোনো দলকে হারাতে পারব। তার পর থেকে যেটা হলো, কোয়ালিফায়ারে আমরা পুরোই অন্য রকম ক্রিকেট খেলেছি। আমরা গ্রুপ পর্বে যে রকম ক্রিকেট খেলেছি, সেটার চেয়ে পুরোই ভিন্নরকম ক্রিকেট খেলেছি কোয়ালিফায়ারে উঠে।
প্রশ্ন: বয়সভিত্তিক ক্রিকেট থেকেই প্রমাণ করেছেন আপনি সহজাত অধিনায়ক। নেতৃত্বের সঙ্গে এবার নিজের পারফরম্যান্সটা কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?
আকবর: টুর্নামেন্টের শুরুর দিকে দেখবেন আমি ২০-৩০ রানের মধ্যে আউট হয়ে যাচ্ছিলাম। টুর্নামেন্টের শুরুর দিকে বেশি ঝুঁকি নিচ্ছিলাম। যদি ব্যাটিংয়ের কথা বলি। কিন্তু পরে নাসির ভাই ও বাবু ভাইয়ের সঙ্গে একদিন বসেছিলাম। কোয়ালিফায়ারের আগের একটা ম্যাচে দুজনের একই বার্তা ছিল, ‘একবার যদি তোমার মনে হয় আমাদের কারও ঝুঁকি নেওয়া দরকার, তাহলে তোমার সঙ্গীকে বলো বেশি ঝুঁকি নিতে। তুমি খেলাটা ডিপে নেওয়ার চেষ্টা করো।’ আমি ২০-৩০ করে আউট হয়ে যাচ্ছিলাম। তখন চিন্তা করেছিলাম, আমি বেশিক্ষণ থাকলে দলের ভালো হবে। সেই বার্তাটা কাজে দিয়েছে এবং আমি নিজেও পরে বুঝতে পেরেছিলাম, যদি শেষ পর্যন্ত থাকতে পারি, সেটাই ভালো হবে।
প্রশ্ন: দলের সিনিয়র সদস্য হিসেবে নাসির হোসেনের কোন ভূমিকা বিশেষ চোখে পড়েছে?
আকবর: নাসির ভাই অনেক দিন পর ক্রিকেটে ফিরেছেন। টুর্নামেন্টের শুরুতে ব্যাটিংয়ে তিনি অনেক শেষের দিকে নামছিলেন। তরুণ ক্রিকেটারদের ওপরের দিকে খেলাতে চেয়েছিলেন। যখন সেই জায়গায় ভালো হচ্ছিল না, তখন তিনি নিজে থেকে দায়িত্ব নিলেন এবং বললেন, ‘ঠিক আছে, আমিই গিয়ে সেটা করার চেষ্টা করি।’ আর পুরো মাঠের ভেতরের কথা যদি বলেন, তিনি আমার মনে হয় যে বাংলাদেশে যত সূক্ষ্ম ক্রিকেটজ্ঞান আছে, তাদের মধ্যে নাসির ভাই অন্যতম। শুধু নাসির ভাই নন, নাঈম-নাহিদ ভাইয়ের সঙ্গেও কথা হতো। তানভীর ভাই অনেক উপকার করেছেন। শেষের দিকে কয়েকটা ম্যাচ খেলতে পারেননি। তবে পরিকল্পনার ক্ষেত্রে অনেক উপকার করেছেন।
প্রশ্ন: টুর্নামেন্টে দারুণ বাঁহাতি স্পিনার আবু হাশিমের পারফরম্যান্স কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?
আকবর: হাশিম ভাই সত্যি বলতে গত দুই-তিন বছর ধরেই আছেন এনসিএলে। কিন্তু নানা কারণে নিয়মিত ম্যাচ খেলাতে পারিনি আমরা। এ বছর প্রিমিয়ার লিগটা যখন ভালো করলেন, আমাদের বিভাগ থেকে চূড়ান্ত ছিল যে এই বছর হাশিম ভাইকে খেলানো হবে। সবচেয়ে কঠিন অবস্থায় তিনি বোলিং করেছেন। তিনি কখনোই রাতের ক্রিকেট (ফ্লাড লাইটে) খেলেননি। শিশির পড়লে কীভাবে বোলিং করতে হয়, সেটা ম্যাচে গিয়ে বুঝতে পেরেছেন। স্বাভাবিকভাবেই তাঁর জন্য একটু কঠিন ছিল। তিনি শেষের ম্যাচে অনেক রান দিয়েছেন। আমার মনে হয়, দ্বিতীয় এলিমিনেটরে বা দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে, সেটা না হলে তাঁর ইকোনমি পাঁচের নিচেও থাকত। যেটা একেবারে অস্বাভাবিক।
প্রশ্ন: আপনার ২০২০ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী সতীর্থদের প্রায় সবাই জাতীয় দলে চলে এসেছেন। এই ব্যাপারে কি নিজেকে নিয়ে আফসোস হয়?
আকবর: এটা আমার হাতে নেই। এটা নিয়ে আমার কথা বলাও ঠিক হবে না।
প্রশ্ন: উইকেটরক্ষক ব্যাটার না হলে বোলার-ব্যাটার হলে কি দ্রুত আসার সুযোগ হতো? যেহেতু একই পজিশনের একাধিক ক্রিকেটার জাতীয় দলে আছেন।
আকবর: না, মনে হয় না। কারণ, সব জায়গাই চ্যালেঞ্জিং। আপনি কখনো বলতে পারবেন না এটা কম চ্যালেঞ্জিং আর ওটা বেশি চ্যালেঞ্জিং। জাতীয় দলের কথা যদি বলেন, প্রতিটি জায়গার জন্য লড়াই করতে হবে। পাঁচ-ছয় বছর আগে বলা হতো, বাংলাদেশে পেস বোলার নেই। এখন দেখুন, বাংলাদেশের পেসারদের মধ্যে কতটা প্রতিযোগিতা হয়। এখন বাংলাদেশে অনেক বাঁহাতি বোলার আছে। কোনো জায়গাই সহজ বলে আমার মনে হয় না।
প্রশ্ন: কদিন আগে কোচিং কোর্স করেছেন। সেটা খেলায় উন্নতি আনতে কতটা সহায়তা করেছে?
আকবর: সত্যি বলতে এটা একটা বেসিক কোর্স ছিল। আমার মনে হয় যে এখানে এমন কিছু শিখিনি যে টেকনিক্যাল অংশের কথা যদি বলেন, যা আমি আগে থেকে জানতামই না। এটা আসলেই একটা বেসিক কোর্স ছিল। কিন্তু যেটা উপকার করেছে, সেটা খেলোয়াড় হিসেবে নয়। বহিরাগত হিসেবে ক্রিকেটকে কীভাবে দেখছেন আর একটা ক্রিকেট ম্যাচ আপনার জীবনে কতটা ইমপ্যাক্ট ফেলতে পারে। আদৌ পারে কি না। এসব বিশ্লেষণ করতে সহায়তা করেছে।
প্রশ্ন: এনসিএলের চার দিনের ম্যাচ শুরু হচ্ছে কদিন পর, এখানে নিজেকে কীভাবে উপস্থাপন করতে চান?
আকবর: আমি গত বছরও বেশি চার দিনের ক্রিকেট খেলতে পারিনি। যদি প্রথম থেকেই থাকি, পুরো মৌসুম খেলতে পারলে স্মরণীয় করে রাখার চেষ্টা থাকবে।

২০২৬ বিপিএলের পাঁচটি দল চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল আজ রাতে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, টগি স্পোর্টস লিমিটেডের রংপুর রাইডার্স, চ্যাম্পিয়নস স্পোর্টস ঢাকা, নাবিল গ্রুপের রাজশাহী, ট্রায়াঙ্গেল সার্ভিসেসের চট্টগ্রাম ও ক্রিকেট উইথ সামিকে দেওয়া হয়েছে সিলেট দল।
৩ ঘণ্টা আগে
ফুটবল কখনো কখনো অনেক নিষ্ঠুর। নির্মমভাবে ম্যাচ হারের চেয়েও এই খেলায় অনেক সময় ঘটে যায় হৃদয়বিদারক ঘটনা। সবশেষ তেমন কিছুই দেখা গেল সার্বিয়ান সুপার লিগাতে ম্লাদস্ত লুচানি ও এফকে রাদনিকির ম্যাচে।
৪ ঘণ্টা আগে
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের দল হাতে পাওয়ার পর একটা কারণে চোখ আটকে যায়। সবশেষ শ্রীলঙ্কা সিরিজে দুর্দান্ত বোলিং করেও জায়গা হারিয়েছেন নাঈম হাসান। যেটা অবাক করেছে সবাইকে। আইরিশ সিরিজে এই স্পিনারের না থাকার ব্যাখ্যা দিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচক প্যানেলের সদস্য
৫ ঘণ্টা আগে
ঘরের মাঠে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজটা আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ নয়। তবে এই টেস্ট সিরিজটা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে মুশফিকুর রহমানের সৌজন্যে।
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

২০২৬ বিপিএলের পাঁচটি দল চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল আজ রাতে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, টগি স্পোর্টস লিমিটেডের রংপুর রাইডার্স, চ্যাম্পিয়নস স্পোর্টস ঢাকা, নাবিল গ্রুপের রাজশাহী, ট্রায়াঙ্গেল সার্ভিসেসের চট্টগ্রাম ও ক্রিকেট উইথ সামিকে দেওয়া হয়েছে সিলেট দল। প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজি দল পেয়েছে ৫ বছরের চুক্তিতে। এবার কোন দলের কী নাম হবে, এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
২০২৬ বিপিএলে অংশ নিতে আগ্রহ দেখিয়েছিল ১১টি প্রতিষ্ঠান। প্রাথমিক যাচাই-বাছাইয়ে টেকে আটটি প্রতিষ্ঠান। এবার বিপিএলে থাকছে না বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বরিশালের নামে কোনো দল। আর্থিক শক্তি, ম্যানেজমেন্ট ও মোটিভেশন এবং অভিজ্ঞতা—এই তিনটি বিষয় যাচাইবাছাই করে বিপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিসিবির সহসভাপতি শাখাওয়াত হোসেন। তিনি জানিয়েছেন, কোনো দল যদি পরের মৌসুমে দল চালাতে না চায়, সেটি অন্তত ৩ মাস আগে জানাতে হবে বিসিবিকে। ২ কোটি অংশগ্রহণ ফি ও ১০ কোটি টাকার ব্যাংক গ্যারান্টি দিতে হচ্ছে প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজিকে। কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি যদি পাওনা টাকা নিয়ে অনিয়ম করে, ব্যাংক গ্যারান্টি থেকে পরিশোধ করবে বলে জানানো হয়েছে।
বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্যসচিব ইফতেখার রহমান মিঠু জানিয়েছেন, পাঁচ দলের বিপিএল ১৯ ডিসেম্বর থেকে ১৬ জানুয়ারির মধ্যে শেষ করতে হবে তাঁদের। ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে জাতীয় দলের প্রস্তুতি নিতে পর্যাপ্ত সময় রাখতে চায় বিসিবি। বিপিএলের প্লেয়ার্স ড্রাফট হবে ১৭ নভেম্বর।

২০২৬ বিপিএলের পাঁচটি দল চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল আজ রাতে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, টগি স্পোর্টস লিমিটেডের রংপুর রাইডার্স, চ্যাম্পিয়নস স্পোর্টস ঢাকা, নাবিল গ্রুপের রাজশাহী, ট্রায়াঙ্গেল সার্ভিসেসের চট্টগ্রাম ও ক্রিকেট উইথ সামিকে দেওয়া হয়েছে সিলেট দল। প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজি দল পেয়েছে ৫ বছরের চুক্তিতে। এবার কোন দলের কী নাম হবে, এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
২০২৬ বিপিএলে অংশ নিতে আগ্রহ দেখিয়েছিল ১১টি প্রতিষ্ঠান। প্রাথমিক যাচাই-বাছাইয়ে টেকে আটটি প্রতিষ্ঠান। এবার বিপিএলে থাকছে না বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বরিশালের নামে কোনো দল। আর্থিক শক্তি, ম্যানেজমেন্ট ও মোটিভেশন এবং অভিজ্ঞতা—এই তিনটি বিষয় যাচাইবাছাই করে বিপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিসিবির সহসভাপতি শাখাওয়াত হোসেন। তিনি জানিয়েছেন, কোনো দল যদি পরের মৌসুমে দল চালাতে না চায়, সেটি অন্তত ৩ মাস আগে জানাতে হবে বিসিবিকে। ২ কোটি অংশগ্রহণ ফি ও ১০ কোটি টাকার ব্যাংক গ্যারান্টি দিতে হচ্ছে প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজিকে। কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি যদি পাওনা টাকা নিয়ে অনিয়ম করে, ব্যাংক গ্যারান্টি থেকে পরিশোধ করবে বলে জানানো হয়েছে।
বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্যসচিব ইফতেখার রহমান মিঠু জানিয়েছেন, পাঁচ দলের বিপিএল ১৯ ডিসেম্বর থেকে ১৬ জানুয়ারির মধ্যে শেষ করতে হবে তাঁদের। ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে জাতীয় দলের প্রস্তুতি নিতে পর্যাপ্ত সময় রাখতে চায় বিসিবি। বিপিএলের প্লেয়ার্স ড্রাফট হবে ১৭ নভেম্বর।

বাংলাদেশ ক্রিকেটের একমাত্র ‘বিশ্বকাপজয়ী’ অধিনায়ক তিনি। ২০২০ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে দলকে নেতৃত্ব দেওয়া আকবর আলী সদ্য সমাপ্ত এনসিএল টি-টোয়েন্টিতে ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট হয়ে নতুন বার্তাই যেন দিয়েছেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রানা আব্বাস।
১৯ দিন আগে
ফুটবল কখনো কখনো অনেক নিষ্ঠুর। নির্মমভাবে ম্যাচ হারের চেয়েও এই খেলায় অনেক সময় ঘটে যায় হৃদয়বিদারক ঘটনা। সবশেষ তেমন কিছুই দেখা গেল সার্বিয়ান সুপার লিগাতে ম্লাদস্ত লুচানি ও এফকে রাদনিকির ম্যাচে।
৪ ঘণ্টা আগে
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের দল হাতে পাওয়ার পর একটা কারণে চোখ আটকে যায়। সবশেষ শ্রীলঙ্কা সিরিজে দুর্দান্ত বোলিং করেও জায়গা হারিয়েছেন নাঈম হাসান। যেটা অবাক করেছে সবাইকে। আইরিশ সিরিজে এই স্পিনারের না থাকার ব্যাখ্যা দিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচক প্যানেলের সদস্য
৫ ঘণ্টা আগে
ঘরের মাঠে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজটা আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ নয়। তবে এই টেস্ট সিরিজটা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে মুশফিকুর রহমানের সৌজন্যে।
৬ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

ফুটবল কখনো কখনো অনেক নিষ্ঠুর। নির্মমভাবে ম্যাচ হারের চেয়েও এই খেলায় অনেক সময় ঘটে যায় হৃদয়বিদারক ঘটনা। সবশেষ তেমন কিছুই দেখা গেল সার্বিয়ান সুপার লিগাতে ম্লাদস্ত লুচানি ও এফকে রাদনিকির ম্যাচে।
সার্বিয়ার শীর্ষ লিগে লুচানির মাঠে খেলতে গিয়েছিল রাদনিচকি। সবকিছু ঠিকভাবেই চলছিল। গোলের উদ্দেশ্যে আক্রমণ পাল্টা আক্রমণে এগিয়ে চলছিল ম্যাচ। কিন্তু ২২ মিনিটেই হঠা থমকে যায় সবকিছু। নিরবতা নেমে আসে গোটা গ্যালারিতে।
সার্বিয়ার বেশকিছু সংবাদমাধ্যমের দাবি, হার্ট অ্যাটাক করে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন সফরকারী দলের কোচ ম্লাদেন জিজোভিচ। এরপর হাসপাতালে নেওয়া হয় তাঁকে। কিন্তু বাঁচানো যায়নি ৪৪ বছর বয়সী এই বসনিয়ান কোচকে।
জিজোভিচ হার্ট অ্যাটাক করার পরই খেলোয়াড়রা কান্নায় ভেঙে পড়েন। মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়ার পর ম্যাচ পরিত্যক্ত করা হয়। এই কোচের মৃত্যু দেশের ফুটবলের জন্য অপূরণী ক্ষতি বলে বর্ণনা করেছে সার্বিয়ান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এফএসএস)।
দুই সপ্তাহেরও কম সময় আগে বসনিয়ার সাবেক মিডফিল্ডার জিজোবিচকে নিয়োগ দেয় রাদনিচকি। এই কোচের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছে ক্লাবটি।
শোক বার্তায় রাদনিচকি লিখেছে, ‘গভীরতম দুঃখের সাথে জনসাধারণ, ভক্ত এবং ক্রীড়া বন্ধুদের জানাচ্ছি যে আমাদের পেশাদার কর্মীদের প্রধান ম্লাদেন জিজোভিচ লুচানিতে ম্লাদস্ত এবং রাদনিকির ম্যাচ চলাকালীন মারা গেছেন। যে কয়েকজন কোচ এই ক্লাবে এসেছেন তাঁদের মধ্যে জিজোভিচ এখানে নিজের জ্ঞান, প্রাণশক্তি ও মাহাত্ম্য দিয়ে গভীর ছাপ রেখে গেছেন। এই ক্লাব কেবল একজন কোচকে নয়, হারিয়েছে একজন ভালো মানুষ, বন্ধু ও ক্রীড়া ব্যক্তিত্বকে।’

ফুটবল কখনো কখনো অনেক নিষ্ঠুর। নির্মমভাবে ম্যাচ হারের চেয়েও এই খেলায় অনেক সময় ঘটে যায় হৃদয়বিদারক ঘটনা। সবশেষ তেমন কিছুই দেখা গেল সার্বিয়ান সুপার লিগাতে ম্লাদস্ত লুচানি ও এফকে রাদনিকির ম্যাচে।
সার্বিয়ার শীর্ষ লিগে লুচানির মাঠে খেলতে গিয়েছিল রাদনিচকি। সবকিছু ঠিকভাবেই চলছিল। গোলের উদ্দেশ্যে আক্রমণ পাল্টা আক্রমণে এগিয়ে চলছিল ম্যাচ। কিন্তু ২২ মিনিটেই হঠা থমকে যায় সবকিছু। নিরবতা নেমে আসে গোটা গ্যালারিতে।
সার্বিয়ার বেশকিছু সংবাদমাধ্যমের দাবি, হার্ট অ্যাটাক করে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন সফরকারী দলের কোচ ম্লাদেন জিজোভিচ। এরপর হাসপাতালে নেওয়া হয় তাঁকে। কিন্তু বাঁচানো যায়নি ৪৪ বছর বয়সী এই বসনিয়ান কোচকে।
জিজোভিচ হার্ট অ্যাটাক করার পরই খেলোয়াড়রা কান্নায় ভেঙে পড়েন। মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়ার পর ম্যাচ পরিত্যক্ত করা হয়। এই কোচের মৃত্যু দেশের ফুটবলের জন্য অপূরণী ক্ষতি বলে বর্ণনা করেছে সার্বিয়ান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এফএসএস)।
দুই সপ্তাহেরও কম সময় আগে বসনিয়ার সাবেক মিডফিল্ডার জিজোবিচকে নিয়োগ দেয় রাদনিচকি। এই কোচের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছে ক্লাবটি।
শোক বার্তায় রাদনিচকি লিখেছে, ‘গভীরতম দুঃখের সাথে জনসাধারণ, ভক্ত এবং ক্রীড়া বন্ধুদের জানাচ্ছি যে আমাদের পেশাদার কর্মীদের প্রধান ম্লাদেন জিজোভিচ লুচানিতে ম্লাদস্ত এবং রাদনিকির ম্যাচ চলাকালীন মারা গেছেন। যে কয়েকজন কোচ এই ক্লাবে এসেছেন তাঁদের মধ্যে জিজোভিচ এখানে নিজের জ্ঞান, প্রাণশক্তি ও মাহাত্ম্য দিয়ে গভীর ছাপ রেখে গেছেন। এই ক্লাব কেবল একজন কোচকে নয়, হারিয়েছে একজন ভালো মানুষ, বন্ধু ও ক্রীড়া ব্যক্তিত্বকে।’

বাংলাদেশ ক্রিকেটের একমাত্র ‘বিশ্বকাপজয়ী’ অধিনায়ক তিনি। ২০২০ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে দলকে নেতৃত্ব দেওয়া আকবর আলী সদ্য সমাপ্ত এনসিএল টি-টোয়েন্টিতে ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট হয়ে নতুন বার্তাই যেন দিয়েছেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রানা আব্বাস।
১৯ দিন আগে
২০২৬ বিপিএলের পাঁচটি দল চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল আজ রাতে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, টগি স্পোর্টস লিমিটেডের রংপুর রাইডার্স, চ্যাম্পিয়নস স্পোর্টস ঢাকা, নাবিল গ্রুপের রাজশাহী, ট্রায়াঙ্গেল সার্ভিসেসের চট্টগ্রাম ও ক্রিকেট উইথ সামিকে দেওয়া হয়েছে সিলেট দল।
৩ ঘণ্টা আগে
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের দল হাতে পাওয়ার পর একটা কারণে চোখ আটকে যায়। সবশেষ শ্রীলঙ্কা সিরিজে দুর্দান্ত বোলিং করেও জায়গা হারিয়েছেন নাঈম হাসান। যেটা অবাক করেছে সবাইকে। আইরিশ সিরিজে এই স্পিনারের না থাকার ব্যাখ্যা দিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচক প্যানেলের সদস্য
৫ ঘণ্টা আগে
ঘরের মাঠে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজটা আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ নয়। তবে এই টেস্ট সিরিজটা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে মুশফিকুর রহমানের সৌজন্যে।
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবদেক

আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের দল হাতে পাওয়ার পর একটা কারণে চোখ আটকে যায়। সবশেষ শ্রীলঙ্কা সিরিজে দুর্দান্ত বোলিং করেও জায়গা হারিয়েছেন নাঈম হাসান। যেটা অবাক করেছে সবাইকে। আইরিশ সিরিজে এই স্পিনারের না থাকার ব্যাখ্যা দিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচক প্যানেলের সদস্য হাসিবুল হোসেন শান্ত।
গত জুনে শ্রীলঙ্কার মাটিতে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ। ড্র দিয়ে সিরিজ শুরুর পর দ্বিতীয় ম্যাচে ইনিংস ব্যবধানে হেরে যায় সফরকারীরা। দলীয় পারফরম্যান্স ভালো না হলেও ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে ঠিকই আলো ছড়িয়েছেন নাঈম। ২ ম্যাচের ৩ ইনিংসে তুলে নেন ৯ উইকেট। স্বাভাবিকভাবেই আয়ারল্যান্ড সিরিজের দলে তাঁর না থাকা নিয়ে কৌতুহল তৈরি হয়। শান্ত জানালেন, ডানহাতি-বাঁহাতি কম্বিনেশনের কারণেই বাদ পড়েছেন নাঈম। এছাড়া পেস বান্ধব উইকেটের কথা মাথায় রেখেও নেওয়া হয়নি এই স্পিনারকে।
আজকের পত্রিকাকে বিসিবির নির্বাচক প্যানেলের সদস্য হাসিবুল হোসেন শান্ত বলেন, ‘আয়ারল্যান্ড দলে সব ব্যাটারই ডানহাতি। নাঈম তো ডানহাতি স্পিনার। এজন্য তাঁকে দলে নেওয়া হয়নি। তাছাড়া সিলেটের মাঠে পেস বোলারদের জন্য সহায়তা বেশি থাকে। সেই বিবেচনাতেও বাদ পড়েছেন নাঈম। ওর বিষয়টা মাথায় আছে। দ্বিতীয় ম্যাচের আগে ভাবা হবে নাঈমকে নিয়ে।’
২০১৮ সালের নভেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে চট্টগ্রামে টেস্ট অভিষেক হয় নাঈমের। এখন পর্যন্ত খেলা ১৪ টেস্টের ২৫ ইনিংসে বল হাতে নিয়েছেন ৪৮ উইকেট। ৫ উইকেট নিয়েছেন চারবার। ইনিংসে ১০৫ রানে ৬ উইকেট তাঁর সেরা বোলিং ফিগার।

আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের দল হাতে পাওয়ার পর একটা কারণে চোখ আটকে যায়। সবশেষ শ্রীলঙ্কা সিরিজে দুর্দান্ত বোলিং করেও জায়গা হারিয়েছেন নাঈম হাসান। যেটা অবাক করেছে সবাইকে। আইরিশ সিরিজে এই স্পিনারের না থাকার ব্যাখ্যা দিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচক প্যানেলের সদস্য হাসিবুল হোসেন শান্ত।
গত জুনে শ্রীলঙ্কার মাটিতে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ। ড্র দিয়ে সিরিজ শুরুর পর দ্বিতীয় ম্যাচে ইনিংস ব্যবধানে হেরে যায় সফরকারীরা। দলীয় পারফরম্যান্স ভালো না হলেও ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে ঠিকই আলো ছড়িয়েছেন নাঈম। ২ ম্যাচের ৩ ইনিংসে তুলে নেন ৯ উইকেট। স্বাভাবিকভাবেই আয়ারল্যান্ড সিরিজের দলে তাঁর না থাকা নিয়ে কৌতুহল তৈরি হয়। শান্ত জানালেন, ডানহাতি-বাঁহাতি কম্বিনেশনের কারণেই বাদ পড়েছেন নাঈম। এছাড়া পেস বান্ধব উইকেটের কথা মাথায় রেখেও নেওয়া হয়নি এই স্পিনারকে।
আজকের পত্রিকাকে বিসিবির নির্বাচক প্যানেলের সদস্য হাসিবুল হোসেন শান্ত বলেন, ‘আয়ারল্যান্ড দলে সব ব্যাটারই ডানহাতি। নাঈম তো ডানহাতি স্পিনার। এজন্য তাঁকে দলে নেওয়া হয়নি। তাছাড়া সিলেটের মাঠে পেস বোলারদের জন্য সহায়তা বেশি থাকে। সেই বিবেচনাতেও বাদ পড়েছেন নাঈম। ওর বিষয়টা মাথায় আছে। দ্বিতীয় ম্যাচের আগে ভাবা হবে নাঈমকে নিয়ে।’
২০১৮ সালের নভেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে চট্টগ্রামে টেস্ট অভিষেক হয় নাঈমের। এখন পর্যন্ত খেলা ১৪ টেস্টের ২৫ ইনিংসে বল হাতে নিয়েছেন ৪৮ উইকেট। ৫ উইকেট নিয়েছেন চারবার। ইনিংসে ১০৫ রানে ৬ উইকেট তাঁর সেরা বোলিং ফিগার।

বাংলাদেশ ক্রিকেটের একমাত্র ‘বিশ্বকাপজয়ী’ অধিনায়ক তিনি। ২০২০ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে দলকে নেতৃত্ব দেওয়া আকবর আলী সদ্য সমাপ্ত এনসিএল টি-টোয়েন্টিতে ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট হয়ে নতুন বার্তাই যেন দিয়েছেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রানা আব্বাস।
১৯ দিন আগে
২০২৬ বিপিএলের পাঁচটি দল চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল আজ রাতে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, টগি স্পোর্টস লিমিটেডের রংপুর রাইডার্স, চ্যাম্পিয়নস স্পোর্টস ঢাকা, নাবিল গ্রুপের রাজশাহী, ট্রায়াঙ্গেল সার্ভিসেসের চট্টগ্রাম ও ক্রিকেট উইথ সামিকে দেওয়া হয়েছে সিলেট দল।
৩ ঘণ্টা আগে
ফুটবল কখনো কখনো অনেক নিষ্ঠুর। নির্মমভাবে ম্যাচ হারের চেয়েও এই খেলায় অনেক সময় ঘটে যায় হৃদয়বিদারক ঘটনা। সবশেষ তেমন কিছুই দেখা গেল সার্বিয়ান সুপার লিগাতে ম্লাদস্ত লুচানি ও এফকে রাদনিকির ম্যাচে।
৪ ঘণ্টা আগে
ঘরের মাঠে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজটা আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ নয়। তবে এই টেস্ট সিরিজটা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে মুশফিকুর রহমানের সৌজন্যে।
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ঘরের মাঠে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজটা আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ নয়। তবে এই সিরিজটা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে মুশফিকুর রহিমের সৌজন্যে। বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ১০০ টেস্ট খেলতে যাচ্ছেন মুশফিক। তাঁর শততম টেস্ট সিরিজের দল থেকে বাদ পড়েছেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ও নাঈম হাসান।
সর্বশেষ বাংলাদেশ টেস্ট দল থেকে বাদ পড়েছেন এনামুল হক বিজয়ও। সাম্প্রতিক সময়ে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে ব্যাট হাতে ফর্মে নেই জাকের আলী অনিক। তবে টেস্ট দলে তাঁকে জায়গা দিয়েছেন নির্বাচকরা। সাদা পোশাকের ক্রিকেটে ৬ ম্যাচের ১১ ইনিংসে ৩০ গড়ে করেছেন ৩৩৭ রান। ফিফটি করেছেন চারটি।
রাইজিং স্টারস এশিয়া কাপে খেলবেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। এজন্য আয়ারল্যান্ড সিরিজের দলে রাখা হয়নি এই উইকেটরক্ষক ব্যাটারকে। সবশেষ ১৪ ইনিংসে কোনো ফিফটি নেই মাহমুদুল হাসান জয়ের। এরপরও রাখা হয়েছে এই ব্যাটারকে। সাদমান ইসলাম অনিকের সাথে ওপেনিং করবেন জয়। দলে আছেন চার পেসার। স্পিনার রাখা হয়েছে তিনজন।
আগামী ৬ নভেম্বর ঢাকা আসবে আয়ারল্যান্ড। ১১ নভেম্বর সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্ট খেলতে নামবে সফরকারীরা। দুই দলের দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হবে ১৯ নভেম্বর। ভেন্যু মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম।
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের জন্য বাংলাদেশ দল: নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), মুশফিকুর রহিম, মেহেদি হাসান মিরাজ, লিটন দাস, মাহমুদুল হাসান জয়, মুমিনুল হক, জাকের আলী অনিক, হাসান মাহমুদ, নাহিদ রানা, এবাদত হোসেন চৌধুরী, হাসান মুরাদ, খালেদ আহমেদ, তাইজুল ইসলাম ও সাদমান ইসলাম অনিক।

ঘরের মাঠে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজটা আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ নয়। তবে এই সিরিজটা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে মুশফিকুর রহিমের সৌজন্যে। বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ১০০ টেস্ট খেলতে যাচ্ছেন মুশফিক। তাঁর শততম টেস্ট সিরিজের দল থেকে বাদ পড়েছেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ও নাঈম হাসান।
সর্বশেষ বাংলাদেশ টেস্ট দল থেকে বাদ পড়েছেন এনামুল হক বিজয়ও। সাম্প্রতিক সময়ে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে ব্যাট হাতে ফর্মে নেই জাকের আলী অনিক। তবে টেস্ট দলে তাঁকে জায়গা দিয়েছেন নির্বাচকরা। সাদা পোশাকের ক্রিকেটে ৬ ম্যাচের ১১ ইনিংসে ৩০ গড়ে করেছেন ৩৩৭ রান। ফিফটি করেছেন চারটি।
রাইজিং স্টারস এশিয়া কাপে খেলবেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। এজন্য আয়ারল্যান্ড সিরিজের দলে রাখা হয়নি এই উইকেটরক্ষক ব্যাটারকে। সবশেষ ১৪ ইনিংসে কোনো ফিফটি নেই মাহমুদুল হাসান জয়ের। এরপরও রাখা হয়েছে এই ব্যাটারকে। সাদমান ইসলাম অনিকের সাথে ওপেনিং করবেন জয়। দলে আছেন চার পেসার। স্পিনার রাখা হয়েছে তিনজন।
আগামী ৬ নভেম্বর ঢাকা আসবে আয়ারল্যান্ড। ১১ নভেম্বর সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্ট খেলতে নামবে সফরকারীরা। দুই দলের দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হবে ১৯ নভেম্বর। ভেন্যু মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম।
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের জন্য বাংলাদেশ দল: নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), মুশফিকুর রহিম, মেহেদি হাসান মিরাজ, লিটন দাস, মাহমুদুল হাসান জয়, মুমিনুল হক, জাকের আলী অনিক, হাসান মাহমুদ, নাহিদ রানা, এবাদত হোসেন চৌধুরী, হাসান মুরাদ, খালেদ আহমেদ, তাইজুল ইসলাম ও সাদমান ইসলাম অনিক।

বাংলাদেশ ক্রিকেটের একমাত্র ‘বিশ্বকাপজয়ী’ অধিনায়ক তিনি। ২০২০ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে দলকে নেতৃত্ব দেওয়া আকবর আলী সদ্য সমাপ্ত এনসিএল টি-টোয়েন্টিতে ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট হয়ে নতুন বার্তাই যেন দিয়েছেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রানা আব্বাস।
১৯ দিন আগে
২০২৬ বিপিএলের পাঁচটি দল চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল আজ রাতে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, টগি স্পোর্টস লিমিটেডের রংপুর রাইডার্স, চ্যাম্পিয়নস স্পোর্টস ঢাকা, নাবিল গ্রুপের রাজশাহী, ট্রায়াঙ্গেল সার্ভিসেসের চট্টগ্রাম ও ক্রিকেট উইথ সামিকে দেওয়া হয়েছে সিলেট দল।
৩ ঘণ্টা আগে
ফুটবল কখনো কখনো অনেক নিষ্ঠুর। নির্মমভাবে ম্যাচ হারের চেয়েও এই খেলায় অনেক সময় ঘটে যায় হৃদয়বিদারক ঘটনা। সবশেষ তেমন কিছুই দেখা গেল সার্বিয়ান সুপার লিগাতে ম্লাদস্ত লুচানি ও এফকে রাদনিকির ম্যাচে।
৪ ঘণ্টা আগে
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের দল হাতে পাওয়ার পর একটা কারণে চোখ আটকে যায়। সবশেষ শ্রীলঙ্কা সিরিজে দুর্দান্ত বোলিং করেও জায়গা হারিয়েছেন নাঈম হাসান। যেটা অবাক করেছে সবাইকে। আইরিশ সিরিজে এই স্পিনারের না থাকার ব্যাখ্যা দিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচক প্যানেলের সদস্য
৫ ঘণ্টা আগে