২০২৪ সালে ৯ ম্যাচে ৩০ উইকেট নিয়ে টেস্টে বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল পেসার ছিলেন হাসান মাহমুদ। বাংলাদেশের পেসারদের মধ্যে নির্দিষ্ট পঞ্জিকাবর্ষে সবচেয়ে বেশি উইকেট নেওয়ার রেকর্ডও এটি। আসন্ন জিম্বাবুয়ে সিরিজে তাসকিন আহমেদের অনুপস্থিতিতে হাসানকে দিতে হবে বাংলাদেশ ফাস্ট বোলিং আক্রমণের নেতৃত্ব। টেস্টে ধারাবাহিক ভালো করলেও সাদা বলে অনিয়মিত, তাঁর সুযোগ হয়নি সবশেষ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দলে। কাল মিরপুরে নিজের প্রস্তুতি, লক্ষ্যসহ প্রাসঙ্গিক আরও অনেক কিছু নিয়ে কথা বললেন হাসান। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আহমেদ রিয়াদ।
আহমেদ রিয়াদ, ঢাকা
প্রশ্ন: ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল সাদা বলের ক্রিকেট দিয়ে। সাদা বলে অনিয়মিত হয়ে গেলেন, তবে টেস্টে ধারাবাহিক ভালো করছেন। সাদার চেয়ে লাল বলে ধারাবাহিক ভালো হওয়ায় মিশ্র অনুভূতি কি কাজ করে মনে?
হাসান মাহমুদ: কিছু করতে চাইলে সবার আগে একটা মানসিকতা গড়ে তোলা জরুরি। সাদা বল আর লাল বলের খেলা দুই রকম। পরিকল্পনা, কৌশল—সবকিছু ভিন্ন। এই জায়গায় নিজেকে মানিয়ে নিতে অনুশীলনে বিশেষ মনোযোগ দিয়েছি। বলের স্কিলে নিখুঁত হতে চেয়েছি। এমন কিছু বিষয়ে কাজ করেছি, যেগুলো পারফরম্যান্সে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। চেষ্টা করেছি, সেগুলো যেন না ঘটে; আর হলেও যেন কম হয়। এগুলো হয়তো ছন্দে আনতে সহায়তা করেছে। সামনে আরও উন্নতি করার চেষ্টা করছি।
প্রশ্ন: টেস্টে নিজের প্রথম বছরে ৯ ম্যাচে ৩০ উইকেট নিয়েছেন, বাংলাদেশের পেসারদের মধ্যে এক বছরে সর্বোচ্চ। এ বছর ৬টির বেশি টেস্ট নেই। এবার কি তাহলে আপনার লক্ষ্য সাদা বলের ক্রিকেটে আরও ভালো করা?
হাসান: হ্যাঁ, এ বছর টেস্ট কম। তবে যত সুযোগ আসবে, টেস্ট হোক কিংবা সাদা বলে, লক্ষ্য থাকবে উইকেট নেওয়ার। দলের প্রয়োজন অনুযায়ী যত দ্রুত ব্রেক-থ্রু দিতে পারি, সেটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। নিজের সামর্থ্যের সর্বোচ্চটা দিতে চাই।
প্রশ্ন: জাতীয় দলে একাধিক পেস বোলিং কোচের সঙ্গে কাজ করেছেন। কাকে কেমন মনে হয়েছে?
হাসান: আমার ক্যারিয়ারে কয়েকজন কোচের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ হয়েছে—ওটিস গিবসন, কোর্টনি ওয়ালশ, রডি ইস্টার, ডোনাল্ড আর এখন আছেন আন্দ্রে অ্যাডামস। ওটিস গিবসনের সঙ্গে স্কিল, লাইন-লেন্থ নিয়ে বেশি কাজ করেছি। ডোনাল্ড ম্যাচ পরিস্থিতি বুঝে কীভাবে বল করতে হয়, সেটা শেখাতেন—যেমন রান বেশি হলে কীভাবে রান চেপে ধরা যায়। আন্দ্রে অ্যাডামস তো একেবারে তাৎক্ষণিক কৌশল বলেন—যে এখন পরিস্থিতি এটা, তোমাকে এভাবে বল করতে হবে। কোচদের নির্দেশনা মেনে আমাদের খেলতে হয়। এটা একজন পেশাদার ক্রিকেটারের জন্য স্বাভাবিক ব্যাপার। কে কোন কৌশলে কাজ করাচ্ছেন, সেটা মানিয়ে নিতে হয়।
প্রশ্ন: তানজিম সাকিব, তাসকিন, নাহিদ রানার সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে হচ্ছে, আপনার সাদা বলের একাদশে জায়গা পাওয়াও কঠিন হয়ে গেছে। এই প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে আপনি কীভাবে দেখেন?
হাসান: এটা খুব ইতিবাচকভাবে দেখি। প্রতিযোগিতা থাকলে সবাই নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করে। কে ওয়ানডেতে, কে টেস্টে বা টি-টোয়েন্টিতে ডাক পাবে—এটা একটা চ্যালেঞ্জ মনে হয়। এটা আমাকে উদ্বুদ্ধ করে। ভাবি, আমি কীভাবে উন্নতি করলে দলে থাকতে পারব। অনুশীলনে সেই মানসিকতা নিয়ে যাই যে সাকিব কিংবা নাহিদের চেয়ে বেশি গতিতে বল করব, তাসকিন ভাইয়ের মতো ধারাবাহিক হব। স্কিল, বৈচিত্র্য—সব দিক থেকে এগিয়ে থাকতে চাই। চাপের মুহূর্তে কীভাবে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করে বলের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখা যায়, সেটা শেখার চেষ্টা করি। এসব আমাকে আরও এগিয়ে রাখে।
প্রশ্ন: সামনে জিম্বাবুয়ে সিরিজ। নিশ্চয়ই এই সিরিজ নিয়ে আপনার নিজস্ব কিছু পরিকল্পনা আছে?
হাসান: প্রিমিয়ার লিগ শেষ করে ক্যাম্পে যোগ দেব। বোলিং কোচের অধীনে থেকে দলের পরিকল্পনা অনুযায়ী বোলিং করাই লক্ষ্য থাকবে। আমার লক্ষ্য—দলের জন্য কাজে আসে এমন কিছু করা।
প্রশ্ন: কাউন্টি ক্রিকেট নিয়ে আপনার এজেন্টের সঙ্গে কিছু আলোচনা হয়েছিল। সর্বশেষ আপডেট কী?
হাসান: হ্যাঁ, আমার এজেন্টের সঙ্গে কয়েকটি দল কথা বলেছিল—এর মধ্যে কেন্ট, লেস্টারশায়ারের মতো দলও ছিল। তারা প্রস্তাব দিয়েছিল, কিন্তু পুরো মৌসুমের জন্য ছাড়পত্র চেয়েছে। অথচ আমাদের এই মৌসুমে দেশের হয়ে খেলার ব্যস্ততা বেশি। জাতীয় দলের প্রতি আমার দায়বদ্ধতাটা আগে। নির্দিষ্ট সময়ে খেলার জন্যও কাউন্টি ছাড়পত্র চায়নি। পরে ওরা পাকিস্তান থেকে একজন বোলার নিয়েছে।
প্রশ্ন: ক্রিকেটীয় ব্যস্ততার কারণে সময় পাওয়া কঠিন। তবু টেলিভিশনে ভারত-অস্ট্রেলিয়া বা ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার মতো ঐতিহ্যবাহী টেস্ট সিরিজগুলো কি নিয়মিত দেখা হয়?
হাসান: অবশ্যই দেখি। আমরা প্রতিপক্ষের দুর্বল জায়গাগুলো খুঁজে বের করার চেষ্টা করি। কে কোন বল খেলতে চায়, কোথায় বল করলে উইকেট পাওয়া যেতে পারে—এসব নিয়ে বিশ্লেষণ হয়। বাংলাদেশ ক্রিকেট আগের চেয়ে অনেক এগিয়েছে, আরও এগিয়ে যাবে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, নিজেদের স্কিল এবং পারফরম্যান্সে উন্নতি করা। আমরাই আমাদের দলকে পরের ধাপে নিয়ে যেতে পারি।
প্রশ্ন: বাংলাদেশও কি ভবিষ্যতে এমন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ টেস্ট সিরিজ খেলবে, যেখানে আপনি বল হাতে নেতৃত্ব দেবেন—এমন স্বপ্ন দেখেন কি?
হাসান: আমাদের দলে পেসারদের মধ্যে তাসকিন ভাই সবচেয়ে অভিজ্ঞ। তিনি হয়তো আরও পাঁচ-ছয় বছর খেলবেন। এরপর আমাদেরই সেই দায়িত্ব নিতে হবে। তিন সংস্করণে নেতৃত্ব দেওয়ার মতো মানসিকতা ও পারফরম্যান্স গড়ে তুলতে হবে। সে লক্ষ্য ভাবনায় রেখে এগিয়ে যেতে চাই।
প্রশ্ন: চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দলে জায়গা না পেয়ে কি অনেক হতাশা কাজ করেছে?
হাসান: আমি এভাবে দেখি না। যে পারফর্ম করবে, সেই খেলবে। সামনে যদি ভালো পারফর্ম করতে পারি, তাহলে আমিও খেলব। এটা নিয়ে আলাদা করে কিছু বলার নেই।
প্রশ্ন: বোলিংয়ে কাদের বেশি অনুসরণ করেন?
হাসান: আমার অনেকের বোলিংই ভালো লাগে। সিরাজ, প্যাট কামিন্স, মোহাম্মদ সামির মতো বোলারদের ফলো করি, যারা সিম-আপ বোলিং করে, একটু সুইং করায়। বাংলাদেশে তো সবাই আমার প্রিয়—তাসকিন ভাই, মাশরাফি ভাই। যারা খেলছে, তাদের সবাইকে অনুসরণ করি। সবার কাছ থেকে শেখার মতো কিছু না কিছু আছে।
প্রশ্ন: ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল সাদা বলের ক্রিকেট দিয়ে। সাদা বলে অনিয়মিত হয়ে গেলেন, তবে টেস্টে ধারাবাহিক ভালো করছেন। সাদার চেয়ে লাল বলে ধারাবাহিক ভালো হওয়ায় মিশ্র অনুভূতি কি কাজ করে মনে?
হাসান মাহমুদ: কিছু করতে চাইলে সবার আগে একটা মানসিকতা গড়ে তোলা জরুরি। সাদা বল আর লাল বলের খেলা দুই রকম। পরিকল্পনা, কৌশল—সবকিছু ভিন্ন। এই জায়গায় নিজেকে মানিয়ে নিতে অনুশীলনে বিশেষ মনোযোগ দিয়েছি। বলের স্কিলে নিখুঁত হতে চেয়েছি। এমন কিছু বিষয়ে কাজ করেছি, যেগুলো পারফরম্যান্সে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। চেষ্টা করেছি, সেগুলো যেন না ঘটে; আর হলেও যেন কম হয়। এগুলো হয়তো ছন্দে আনতে সহায়তা করেছে। সামনে আরও উন্নতি করার চেষ্টা করছি।
প্রশ্ন: টেস্টে নিজের প্রথম বছরে ৯ ম্যাচে ৩০ উইকেট নিয়েছেন, বাংলাদেশের পেসারদের মধ্যে এক বছরে সর্বোচ্চ। এ বছর ৬টির বেশি টেস্ট নেই। এবার কি তাহলে আপনার লক্ষ্য সাদা বলের ক্রিকেটে আরও ভালো করা?
হাসান: হ্যাঁ, এ বছর টেস্ট কম। তবে যত সুযোগ আসবে, টেস্ট হোক কিংবা সাদা বলে, লক্ষ্য থাকবে উইকেট নেওয়ার। দলের প্রয়োজন অনুযায়ী যত দ্রুত ব্রেক-থ্রু দিতে পারি, সেটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। নিজের সামর্থ্যের সর্বোচ্চটা দিতে চাই।
প্রশ্ন: জাতীয় দলে একাধিক পেস বোলিং কোচের সঙ্গে কাজ করেছেন। কাকে কেমন মনে হয়েছে?
হাসান: আমার ক্যারিয়ারে কয়েকজন কোচের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ হয়েছে—ওটিস গিবসন, কোর্টনি ওয়ালশ, রডি ইস্টার, ডোনাল্ড আর এখন আছেন আন্দ্রে অ্যাডামস। ওটিস গিবসনের সঙ্গে স্কিল, লাইন-লেন্থ নিয়ে বেশি কাজ করেছি। ডোনাল্ড ম্যাচ পরিস্থিতি বুঝে কীভাবে বল করতে হয়, সেটা শেখাতেন—যেমন রান বেশি হলে কীভাবে রান চেপে ধরা যায়। আন্দ্রে অ্যাডামস তো একেবারে তাৎক্ষণিক কৌশল বলেন—যে এখন পরিস্থিতি এটা, তোমাকে এভাবে বল করতে হবে। কোচদের নির্দেশনা মেনে আমাদের খেলতে হয়। এটা একজন পেশাদার ক্রিকেটারের জন্য স্বাভাবিক ব্যাপার। কে কোন কৌশলে কাজ করাচ্ছেন, সেটা মানিয়ে নিতে হয়।
প্রশ্ন: তানজিম সাকিব, তাসকিন, নাহিদ রানার সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে হচ্ছে, আপনার সাদা বলের একাদশে জায়গা পাওয়াও কঠিন হয়ে গেছে। এই প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে আপনি কীভাবে দেখেন?
হাসান: এটা খুব ইতিবাচকভাবে দেখি। প্রতিযোগিতা থাকলে সবাই নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করে। কে ওয়ানডেতে, কে টেস্টে বা টি-টোয়েন্টিতে ডাক পাবে—এটা একটা চ্যালেঞ্জ মনে হয়। এটা আমাকে উদ্বুদ্ধ করে। ভাবি, আমি কীভাবে উন্নতি করলে দলে থাকতে পারব। অনুশীলনে সেই মানসিকতা নিয়ে যাই যে সাকিব কিংবা নাহিদের চেয়ে বেশি গতিতে বল করব, তাসকিন ভাইয়ের মতো ধারাবাহিক হব। স্কিল, বৈচিত্র্য—সব দিক থেকে এগিয়ে থাকতে চাই। চাপের মুহূর্তে কীভাবে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করে বলের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখা যায়, সেটা শেখার চেষ্টা করি। এসব আমাকে আরও এগিয়ে রাখে।
প্রশ্ন: সামনে জিম্বাবুয়ে সিরিজ। নিশ্চয়ই এই সিরিজ নিয়ে আপনার নিজস্ব কিছু পরিকল্পনা আছে?
হাসান: প্রিমিয়ার লিগ শেষ করে ক্যাম্পে যোগ দেব। বোলিং কোচের অধীনে থেকে দলের পরিকল্পনা অনুযায়ী বোলিং করাই লক্ষ্য থাকবে। আমার লক্ষ্য—দলের জন্য কাজে আসে এমন কিছু করা।
প্রশ্ন: কাউন্টি ক্রিকেট নিয়ে আপনার এজেন্টের সঙ্গে কিছু আলোচনা হয়েছিল। সর্বশেষ আপডেট কী?
হাসান: হ্যাঁ, আমার এজেন্টের সঙ্গে কয়েকটি দল কথা বলেছিল—এর মধ্যে কেন্ট, লেস্টারশায়ারের মতো দলও ছিল। তারা প্রস্তাব দিয়েছিল, কিন্তু পুরো মৌসুমের জন্য ছাড়পত্র চেয়েছে। অথচ আমাদের এই মৌসুমে দেশের হয়ে খেলার ব্যস্ততা বেশি। জাতীয় দলের প্রতি আমার দায়বদ্ধতাটা আগে। নির্দিষ্ট সময়ে খেলার জন্যও কাউন্টি ছাড়পত্র চায়নি। পরে ওরা পাকিস্তান থেকে একজন বোলার নিয়েছে।
প্রশ্ন: ক্রিকেটীয় ব্যস্ততার কারণে সময় পাওয়া কঠিন। তবু টেলিভিশনে ভারত-অস্ট্রেলিয়া বা ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার মতো ঐতিহ্যবাহী টেস্ট সিরিজগুলো কি নিয়মিত দেখা হয়?
হাসান: অবশ্যই দেখি। আমরা প্রতিপক্ষের দুর্বল জায়গাগুলো খুঁজে বের করার চেষ্টা করি। কে কোন বল খেলতে চায়, কোথায় বল করলে উইকেট পাওয়া যেতে পারে—এসব নিয়ে বিশ্লেষণ হয়। বাংলাদেশ ক্রিকেট আগের চেয়ে অনেক এগিয়েছে, আরও এগিয়ে যাবে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, নিজেদের স্কিল এবং পারফরম্যান্সে উন্নতি করা। আমরাই আমাদের দলকে পরের ধাপে নিয়ে যেতে পারি।
প্রশ্ন: বাংলাদেশও কি ভবিষ্যতে এমন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ টেস্ট সিরিজ খেলবে, যেখানে আপনি বল হাতে নেতৃত্ব দেবেন—এমন স্বপ্ন দেখেন কি?
হাসান: আমাদের দলে পেসারদের মধ্যে তাসকিন ভাই সবচেয়ে অভিজ্ঞ। তিনি হয়তো আরও পাঁচ-ছয় বছর খেলবেন। এরপর আমাদেরই সেই দায়িত্ব নিতে হবে। তিন সংস্করণে নেতৃত্ব দেওয়ার মতো মানসিকতা ও পারফরম্যান্স গড়ে তুলতে হবে। সে লক্ষ্য ভাবনায় রেখে এগিয়ে যেতে চাই।
প্রশ্ন: চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দলে জায়গা না পেয়ে কি অনেক হতাশা কাজ করেছে?
হাসান: আমি এভাবে দেখি না। যে পারফর্ম করবে, সেই খেলবে। সামনে যদি ভালো পারফর্ম করতে পারি, তাহলে আমিও খেলব। এটা নিয়ে আলাদা করে কিছু বলার নেই।
প্রশ্ন: বোলিংয়ে কাদের বেশি অনুসরণ করেন?
হাসান: আমার অনেকের বোলিংই ভালো লাগে। সিরাজ, প্যাট কামিন্স, মোহাম্মদ সামির মতো বোলারদের ফলো করি, যারা সিম-আপ বোলিং করে, একটু সুইং করায়। বাংলাদেশে তো সবাই আমার প্রিয়—তাসকিন ভাই, মাশরাফি ভাই। যারা খেলছে, তাদের সবাইকে অনুসরণ করি। সবার কাছ থেকে শেখার মতো কিছু না কিছু আছে।
এক টেস্টে জোড়া সেঞ্চুরি আগেও দেখেছে বাংলাদেশ। নাজমুল হোসেন শান্ত প্রায় দুই বছর আগে সেই ক্লাবে নাম লেখান। এবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গলে জোড়া সেঞ্চুরি করে নতুন কীর্তি গড়লেন তিনি। বাংলাদেশের কোনো অধিনায়কই এর আগে এক টেস্টে দুই সেঞ্চুরি হাঁকাতে পারেননি। এই রেকর্ডে নাম লেখানোর কথা আগে থেকে জানতেন না শান্ত।
৫ মিনিট আগেকিছু কি মনে পড়ছে? না পড়লেও অবশ্য দোষের কিছু নেই। মেলবোর্নে গত বছর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৩৭ বলে ২৮ রানের ইনিংস খেলে তোপের মুখে পড়েন ঋষভ পন্ত। তাঁর আউটের ধরন দেখে রীতিমত ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন কিংবদন্তি সুনীল গাভাস্কার। ধারাভাষ্যকক্ষে মাইক হাতে তিরস্কার করতে থাকেন ‘স্টুপিড, স্টুপিড, স্টুপিড’ বলে
৩৩ মিনিট আগেদিন শেষ হতে তখনো বাকি আরও ৫ ওভার। ৩০ বলে শ্রীলঙ্কার ৬ উইকেট পড়ে যাবে এমন ভাবাটা আকাশ-কুসুম কল্পনার মতো। বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত তাই বাস্তবতা মেনে নিয়ে ছুটে গেলেন লঙ্কান অধিনায়ক ধনঞ্জয়া ডি সিলভার সঙ্গে করমর্দন করতে। বাকিরাও তা অনুসরণ করতে থাকেন।
১ ঘণ্টা আগেতাহলে কি এবার বিশ্বকাপ জিতবে লাতিন আমেরিকার কোনো ক্লাব? এই প্রশ্নে ব্রাজিলিয়ান ক্লাব ফ্ল্যামেঙ্গোর কোচ ফিলিপে লুইসের উত্তর অন্তত ‘হ্যাঁ’। তাঁর ভাষায়, ‘যে কোনো দলই জিততে পারে (ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ)। এটাই ফুটবল। যদি কোনো দক্ষিণ আমেরিকান ক্লাব জেতে আমি অবাক হব না।’
২ ঘণ্টা আগে