নাজিম আল শমষের, ঢাকা
১২.১২. ২০১২। ঐতিহাসিক এক দিনেই একলা থেকে দোকলা হয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। অসংখ্য নারীর হৃদয় ভাঙা সেই বিয়েতে অন্য কেউ দাওয়াত না পেলেও ঠিকই দাওয়াত পেয়েছিলেন তামিম ইকবাল খান। সাকিবের বিয়েতে সেদিন তামিমের হাস্যোজ্জ্বল চেহারায় যেন জ্বলজ্বল করছিল ‘সত্যিকার বন্ধু’র প্রতিচ্ছবি।
প্রসঙ্গ ক্রিকেট হলেও বিয়ের মতো অপ্রাসঙ্গিক বিষয় টানতে হলো সাকিব-তামিমের একসময়ের বন্ধুত্বের গাঢ়তা বোঝানোর জন্য। কৈশোরে বয়সভিত্তিক ক্রিকেট থেকে দুজনের বোঝাপড়ার শুরু, সেখান থেকে দারুণ বন্ধুত্ব। ক্রিকেটের মাঠ থেকে পারিবারিক জীবন, কেউ কাউকে দূরে রেখে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা যেন ভাবতেই পারতেন না।
দুজনের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শুরু প্রায় একই সময় থেকে, তারকাও হয়েছেন সমানে সমান পাল্লা দিয়ে। জনপ্রিয়তা যেমন বেড়েছে, বেড়েছে সাকিব-তামিমের বন্ধুত্বের গভীরতাও। একটা সময় একই ছাদের নিচে থেকেছেন দুজনে। সুস্থ একটা প্রতিযোগিতা ছিল, কে কাকে কীভাবে ছাড়িয়ে যাবেন এমন লড়াই একটা সময় পর্যন্ত বেশ উপভোগই করেছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটের দুই মহারথী।
কিন্তু প্রতিযোগিতা করতে করতে সাকিব যে কবে তামিমের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে গেলেন সেটা কেউ জানে না। কবে কেটে গেল বন্ধুত্বের সুর এবং কী প্রসঙ্গে; সেটা কেবল তামিম কিংবা সাকিবই হয়তো ভালো বলতে পারবেন। দুজনের দোস্ত-দুশমনি একটা সময় সবার চোখে পড়া শুরু করল। এবং জানা গেল এখন নাকি কেউ এখন কারও ছায়াটিও পর্যন্ত মাড়ান না! গণমাধ্যমে আসতে শুরু করল, ড্রেসিং রুমে একজন আরেকজন দেখলে নাকি অস্বস্তি বোধ করেন সাকিব-তামিম। এমনকি করোনা মহামারির সময়ে নিয়মিত যে লাইভ করতেন তামিম, সেখানেও আসতে রাজি হননি সাকিব। দুজনকে ঘিরে ভাগ হয়ে গেল দল। দলের বিভাজনে শেষ পর্যন্ত মুখ খুলতে হয়েছে বোর্ড সভাপতি নাজমুল হোসেন পাপনকেও।
সাকিব কিংবা তামিম; কোনো দিনই প্রকাশ্যে মুখ খোলেননি নিজেদের বিরোধ সম্পর্কে। তবে তাদের ব্যক্তিগত রোষ ঠিকই ভোগাতে লাগল দলকে। দলের সবচেয়ে সিনিয়র ক্রিকেটারের ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব দলে কতটা প্রভাব ফেলতে পারে বিশ্বকাপের দল ঘোষণা নিয়ে উত্তেজনা তো সেটাই প্রমাণ করে। সাকিব-তামিম দ্বন্দ্বে আড়ালে পড়ে গেছে মিরপুরে বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড শেষ ম্যাচ। সবার চোখ বিশ্বকাপের দল নিয়ে। আগের রাতে কোচ চণ্ডিকা হাথুরুসিংহকে নিয়ে সাকিবের বোর্ড সভাপতির সঙ্গে আলোচনা সেই বিতর্কে ঢেলেছে ঘি।
কোমরের চোটে অস্বস্তিতে থাকা তামিম বিশ্বকাপের জন্য পুরোপুরি ফিট নন। অর্ধেক ফিট একজন ব্যাটারকে নাকি বিশ্বকাপের দলে চান না ওয়ানডে অধিনায়ক সাকিব এমন খবর ভেসে বেড়াতে লাগল সংবাদমাধ্যমে। মধ্যস্থতায় এগিয়ে আসতে হলো সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজাকেও। তাতে যে লাভ হয়নি সেটা বোঝা গেল দল ঘোষণার পর। তামিমের বন্ধু সাকিবের জেদের কাছে হার মানল বোর্ড, তামিমকে বিশ্বকাপে বানিয়ে দিল দর্শক। বন্ধু তুমি থেকে শত্রু তুমি-হয়ে ওঠা সাকিবের কাছেই হয়তো সত্যিকারের হার হেরে গেলেন তামিম!
১২.১২. ২০১২। ঐতিহাসিক এক দিনেই একলা থেকে দোকলা হয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। অসংখ্য নারীর হৃদয় ভাঙা সেই বিয়েতে অন্য কেউ দাওয়াত না পেলেও ঠিকই দাওয়াত পেয়েছিলেন তামিম ইকবাল খান। সাকিবের বিয়েতে সেদিন তামিমের হাস্যোজ্জ্বল চেহারায় যেন জ্বলজ্বল করছিল ‘সত্যিকার বন্ধু’র প্রতিচ্ছবি।
প্রসঙ্গ ক্রিকেট হলেও বিয়ের মতো অপ্রাসঙ্গিক বিষয় টানতে হলো সাকিব-তামিমের একসময়ের বন্ধুত্বের গাঢ়তা বোঝানোর জন্য। কৈশোরে বয়সভিত্তিক ক্রিকেট থেকে দুজনের বোঝাপড়ার শুরু, সেখান থেকে দারুণ বন্ধুত্ব। ক্রিকেটের মাঠ থেকে পারিবারিক জীবন, কেউ কাউকে দূরে রেখে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা যেন ভাবতেই পারতেন না।
দুজনের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শুরু প্রায় একই সময় থেকে, তারকাও হয়েছেন সমানে সমান পাল্লা দিয়ে। জনপ্রিয়তা যেমন বেড়েছে, বেড়েছে সাকিব-তামিমের বন্ধুত্বের গভীরতাও। একটা সময় একই ছাদের নিচে থেকেছেন দুজনে। সুস্থ একটা প্রতিযোগিতা ছিল, কে কাকে কীভাবে ছাড়িয়ে যাবেন এমন লড়াই একটা সময় পর্যন্ত বেশ উপভোগই করেছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটের দুই মহারথী।
কিন্তু প্রতিযোগিতা করতে করতে সাকিব যে কবে তামিমের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে গেলেন সেটা কেউ জানে না। কবে কেটে গেল বন্ধুত্বের সুর এবং কী প্রসঙ্গে; সেটা কেবল তামিম কিংবা সাকিবই হয়তো ভালো বলতে পারবেন। দুজনের দোস্ত-দুশমনি একটা সময় সবার চোখে পড়া শুরু করল। এবং জানা গেল এখন নাকি কেউ এখন কারও ছায়াটিও পর্যন্ত মাড়ান না! গণমাধ্যমে আসতে শুরু করল, ড্রেসিং রুমে একজন আরেকজন দেখলে নাকি অস্বস্তি বোধ করেন সাকিব-তামিম। এমনকি করোনা মহামারির সময়ে নিয়মিত যে লাইভ করতেন তামিম, সেখানেও আসতে রাজি হননি সাকিব। দুজনকে ঘিরে ভাগ হয়ে গেল দল। দলের বিভাজনে শেষ পর্যন্ত মুখ খুলতে হয়েছে বোর্ড সভাপতি নাজমুল হোসেন পাপনকেও।
সাকিব কিংবা তামিম; কোনো দিনই প্রকাশ্যে মুখ খোলেননি নিজেদের বিরোধ সম্পর্কে। তবে তাদের ব্যক্তিগত রোষ ঠিকই ভোগাতে লাগল দলকে। দলের সবচেয়ে সিনিয়র ক্রিকেটারের ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব দলে কতটা প্রভাব ফেলতে পারে বিশ্বকাপের দল ঘোষণা নিয়ে উত্তেজনা তো সেটাই প্রমাণ করে। সাকিব-তামিম দ্বন্দ্বে আড়ালে পড়ে গেছে মিরপুরে বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড শেষ ম্যাচ। সবার চোখ বিশ্বকাপের দল নিয়ে। আগের রাতে কোচ চণ্ডিকা হাথুরুসিংহকে নিয়ে সাকিবের বোর্ড সভাপতির সঙ্গে আলোচনা সেই বিতর্কে ঢেলেছে ঘি।
কোমরের চোটে অস্বস্তিতে থাকা তামিম বিশ্বকাপের জন্য পুরোপুরি ফিট নন। অর্ধেক ফিট একজন ব্যাটারকে নাকি বিশ্বকাপের দলে চান না ওয়ানডে অধিনায়ক সাকিব এমন খবর ভেসে বেড়াতে লাগল সংবাদমাধ্যমে। মধ্যস্থতায় এগিয়ে আসতে হলো সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজাকেও। তাতে যে লাভ হয়নি সেটা বোঝা গেল দল ঘোষণার পর। তামিমের বন্ধু সাকিবের জেদের কাছে হার মানল বোর্ড, তামিমকে বিশ্বকাপে বানিয়ে দিল দর্শক। বন্ধু তুমি থেকে শত্রু তুমি-হয়ে ওঠা সাকিবের কাছেই হয়তো সত্যিকারের হার হেরে গেলেন তামিম!
এক টেস্টে জোড়া সেঞ্চুরি আগেও দেখেছে বাংলাদেশ। নাজমুল হোসেন শান্ত প্রায় দুই বছর আগে সেই ক্লাবে নাম লেখান। এবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গলে জোড়া সেঞ্চুরি করে নতুন কীর্তি গড়লেন তিনি। বাংলাদেশের কোনো অধিনায়কই এর আগে এক টেস্টে দুই সেঞ্চুরি হাঁকাতে পারেননি। এই রেকর্ডে নাম লেখানোর কথা আগে থেকে জানতেন না শান্ত।
২২ মিনিট আগেকিছু কি মনে পড়ছে? না পড়লেও অবশ্য দোষের কিছু নেই। মেলবোর্নে গত বছর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৩৭ বলে ২৮ রানের ইনিংস খেলে তোপের মুখে পড়েন ঋষভ পন্ত। তাঁর আউটের ধরন দেখে রীতিমত ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন কিংবদন্তি সুনীল গাভাস্কার। ধারাভাষ্যকক্ষে মাইক হাতে তিরস্কার করতে থাকেন ‘স্টুপিড, স্টুপিড, স্টুপিড’ বলে
১ ঘণ্টা আগেদিন শেষ হতে তখনো বাকি আরও ৫ ওভার। ৩০ বলে শ্রীলঙ্কার ৬ উইকেট পড়ে যাবে এমন ভাবাটা আকাশ-কুসুম কল্পনার মতো। বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত তাই বাস্তবতা মেনে নিয়ে ছুটে গেলেন লঙ্কান অধিনায়ক ধনঞ্জয়া ডি সিলভার সঙ্গে করমর্দন করতে। বাকিরাও তা অনুসরণ করতে থাকেন।
১ ঘণ্টা আগেতাহলে কি এবার বিশ্বকাপ জিতবে লাতিন আমেরিকার কোনো ক্লাব? এই প্রশ্নে ব্রাজিলিয়ান ক্লাব ফ্ল্যামেঙ্গোর কোচ ফিলিপে লুইসের উত্তর অন্তত ‘হ্যাঁ’। তাঁর ভাষায়, ‘যে কোনো দলই জিততে পারে (ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ)। এটাই ফুটবল। যদি কোনো দক্ষিণ আমেরিকান ক্লাব জেতে আমি অবাক হব না।’
২ ঘণ্টা আগে