উপল বড়ুয়া, ঢাকা
বাংলাদেশের ক্রিকেট এক ধাপ এগোয় তো পেছায় দুই ধাপ। কথাটা যে মিথ্যে নয়, আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট তালিকার দিকে তাকালেই বুঝতে পারবেন।
গত মাসে রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তানকে বাংলাওয়াশের পর ৬ থেকে ৪ নম্বরে উঠে এসেছিলেন নাজমুল হোসেন শান্তরা। এক মাসের ব্যবধানে তাঁদের ব্যাটে এমন মরচে ধরল, র্যাঙ্কিংয়েও হলো অবনমন। কানপুরে সর্বসাকল্যে দুই দিন হওয়া টেস্টে বাজেভাবে হেরে সাত নম্বরে গিয়ে ঠেকেছে বাংলাদেশের পিঠ। তার সপ্তাহখানেক আগে গলে সিরিজ জেতা শ্রীলঙ্কাকে জায়গা ছেড়ে দিয়ে পাঁচে গিয়ে বসেছিল বাংলাদেশ।
সেখানেও বেশি দিন ঠাঁই হলো না শান্তদের। দুই ধাপ উঠে এক মাসের মধ্যে যেভাবে তিন ধাপ নিচে নামল বাংলাদেশ—এখন দেখার বিষয় বছর শেষে আর কত নামতে পারে। এই নামার জন্য কি কোনো তিরস্কারের ব্যবস্থা আছে? জিতলে যদি কোটি টাকার বোনাস দেওয়া হয়, হারলে কেন ঠিক বিপরীত কোনো ব্যবস্থা থাকবে না? সব পেশাতেই ভালো কাজের পুরস্কার যেমন আছে, ব্যর্থতার তিরস্কারও আছে। তাহলে পেশাদার ক্রিকেটে কেন বাজেভাবে হারের পর থাকবে না?
গত মাসে পাকিস্তানের বিপক্ষে স্মরণীয় টেস্ট সিরিজ জয়ের জন্য বাংলাদেশ দলকে মোট ৩ কোটি ২০ লাখ টাকার বোনাস তুলে দেন ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। ম্যাচ বা সিরিজ জিতলে বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের জন্য উইনিং বোনাস পাওয়া নতুন নয়। কিন্তু এত এত বোনাস-পুরস্কার দেওয়ার পরও যে শান্তদের উজ্জীবিত বা অনুপ্রাণিত করা যাচ্ছে না! তাতে জয়ের ধারাবাহিকতাও থাকছে না।
এই এক ম্যাচ জিতে আত্মবিশ্বাসে বুক ফুল উঠে তো পরের দিনই সেই বিশ্বাসের বেলুন ফুটো হয়ে যায়! সমস্যাটা কোথায়, সেটি নিয়ে বাংলাদেশ দলের সঙ্গে মনোবিজ্ঞানীরা কাজ করেছেন। কিন্তু তাঁরাও বোধ হয় সমস্যা ধরতে পারেননি। শান্ত-লিটনরাও নিজেরা কি তাঁদের সমস্যা ধরতে পেরেছেন? বা চেষ্টা করেছেন সমস্যা সমাধানের? নয়তো কানপুরে অমন দায়িত্ব জ্ঞানহীন ব্যাটিং কেন! দেখে মনে হলো, যেন পাড়ার মাঠে ভরদুপুরে খেলতে আসা ছেলেকে মাছ মাখা ভাত খেতে মা ডাকতেই ব্যাটিং ছেড়ে তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরে গেছেন শান্ত-লিটনরা।
অথচ প্রতিবার হারের পর সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হয়ে যে আসুক, একটি মুখস্থ কথা বলতেই শোনা যায়, ‘এই ম্যাচ থেকে আমরা অনেক কিছু শিখেছি।’ টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার এত দিন পরও যেন সেই শিক্ষা সম্পন্ন হচ্ছে না! অবশ্য শেখাকে ইতিবাচক হিসেবেই নিতে হবে—‘জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্তই যে শিক্ষা’। বাংলাদেশের তবে আরেকটি শিক্ষাসফর (টেস্টে) শেষ হলো! প্রাপ্তি কী?
সেই হিসেব-নিকেশ না হয় আপনারাই করুন। তার আগে কানপুরে আড়াই দিন বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ার পর শেষ দিনে এক সেশন বাকি থাকতেই যেভাবে হারল—সেই করুণ হার নিয়ে কিছু বলুন। আপনারা না বললেও সামাজিক মাধ্যমে বলতে ছাড়ছেন না ভারত দলের সমর্থকেরা। কানপুরে শেষ দিনে বাংলাদেশের ড্রয়ের চিন্তা করা নিয়ে এক্স হ্যান্ডলে রীতিমতো ট্রলই করছেন ভারতীয়রা। এমনকি পশ্চিমবঙ্গের সংবাদ মাধ্যম আনন্দবাজারের শিরোনামটা দেখুন, ‘৩০ ঘণ্টার টেস্ট ১৪ ঘণ্টায় জিতে নিল ভারত! দুই রবির স্পিনে ৭ উইকেটে হার বাংলাদেশের’। প্রতিপক্ষ হারলে জয়ী দলের সমর্থকেরা একটু মজা করবেই। বাংলাদেশের ক্রিকেটারকেই এখন চিন্তা করতে হবে, হাসির পাত্র হয়ে থাকবে নাকি একটু সিরিয়াস হয়ে উঠবে। এই সিরিয়াসনেস ব্যক্তিগত জীবনে নয়, দেখাতে হবে মাঠের লড়াইয়ে।
ভারত সফরে টি-টোয়েন্টি সিরিজ এখনো বাকি আছে। এই সিরিজকে প্রতিশোধের মঞ্চ বানিয়ে জিততে পারলে হারানো আত্মবিশ্বাস নিয়ে আবারও দেশে ফিরে শান্তরা ফুলেল শুভেচ্ছা পাবেন বৈক ! হ্যাঁ, ক্রিকেট শুধুই খেলা। খেলায় হার-জিত থাকবেই। কিন্তু বেশির ভাগ দল যখন খেলায় হারের চেয়ে জয় পেতে বেশি উন্মুখ থাকে, সেখানে বাংলাদেশ না হয় একটু বেশিই হারল—এটা একটু নাহয় মেনেই নিন!
বাংলাদেশের ক্রিকেট এক ধাপ এগোয় তো পেছায় দুই ধাপ। কথাটা যে মিথ্যে নয়, আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট তালিকার দিকে তাকালেই বুঝতে পারবেন।
গত মাসে রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তানকে বাংলাওয়াশের পর ৬ থেকে ৪ নম্বরে উঠে এসেছিলেন নাজমুল হোসেন শান্তরা। এক মাসের ব্যবধানে তাঁদের ব্যাটে এমন মরচে ধরল, র্যাঙ্কিংয়েও হলো অবনমন। কানপুরে সর্বসাকল্যে দুই দিন হওয়া টেস্টে বাজেভাবে হেরে সাত নম্বরে গিয়ে ঠেকেছে বাংলাদেশের পিঠ। তার সপ্তাহখানেক আগে গলে সিরিজ জেতা শ্রীলঙ্কাকে জায়গা ছেড়ে দিয়ে পাঁচে গিয়ে বসেছিল বাংলাদেশ।
সেখানেও বেশি দিন ঠাঁই হলো না শান্তদের। দুই ধাপ উঠে এক মাসের মধ্যে যেভাবে তিন ধাপ নিচে নামল বাংলাদেশ—এখন দেখার বিষয় বছর শেষে আর কত নামতে পারে। এই নামার জন্য কি কোনো তিরস্কারের ব্যবস্থা আছে? জিতলে যদি কোটি টাকার বোনাস দেওয়া হয়, হারলে কেন ঠিক বিপরীত কোনো ব্যবস্থা থাকবে না? সব পেশাতেই ভালো কাজের পুরস্কার যেমন আছে, ব্যর্থতার তিরস্কারও আছে। তাহলে পেশাদার ক্রিকেটে কেন বাজেভাবে হারের পর থাকবে না?
গত মাসে পাকিস্তানের বিপক্ষে স্মরণীয় টেস্ট সিরিজ জয়ের জন্য বাংলাদেশ দলকে মোট ৩ কোটি ২০ লাখ টাকার বোনাস তুলে দেন ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। ম্যাচ বা সিরিজ জিতলে বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের জন্য উইনিং বোনাস পাওয়া নতুন নয়। কিন্তু এত এত বোনাস-পুরস্কার দেওয়ার পরও যে শান্তদের উজ্জীবিত বা অনুপ্রাণিত করা যাচ্ছে না! তাতে জয়ের ধারাবাহিকতাও থাকছে না।
এই এক ম্যাচ জিতে আত্মবিশ্বাসে বুক ফুল উঠে তো পরের দিনই সেই বিশ্বাসের বেলুন ফুটো হয়ে যায়! সমস্যাটা কোথায়, সেটি নিয়ে বাংলাদেশ দলের সঙ্গে মনোবিজ্ঞানীরা কাজ করেছেন। কিন্তু তাঁরাও বোধ হয় সমস্যা ধরতে পারেননি। শান্ত-লিটনরাও নিজেরা কি তাঁদের সমস্যা ধরতে পেরেছেন? বা চেষ্টা করেছেন সমস্যা সমাধানের? নয়তো কানপুরে অমন দায়িত্ব জ্ঞানহীন ব্যাটিং কেন! দেখে মনে হলো, যেন পাড়ার মাঠে ভরদুপুরে খেলতে আসা ছেলেকে মাছ মাখা ভাত খেতে মা ডাকতেই ব্যাটিং ছেড়ে তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরে গেছেন শান্ত-লিটনরা।
অথচ প্রতিবার হারের পর সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হয়ে যে আসুক, একটি মুখস্থ কথা বলতেই শোনা যায়, ‘এই ম্যাচ থেকে আমরা অনেক কিছু শিখেছি।’ টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার এত দিন পরও যেন সেই শিক্ষা সম্পন্ন হচ্ছে না! অবশ্য শেখাকে ইতিবাচক হিসেবেই নিতে হবে—‘জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্তই যে শিক্ষা’। বাংলাদেশের তবে আরেকটি শিক্ষাসফর (টেস্টে) শেষ হলো! প্রাপ্তি কী?
সেই হিসেব-নিকেশ না হয় আপনারাই করুন। তার আগে কানপুরে আড়াই দিন বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ার পর শেষ দিনে এক সেশন বাকি থাকতেই যেভাবে হারল—সেই করুণ হার নিয়ে কিছু বলুন। আপনারা না বললেও সামাজিক মাধ্যমে বলতে ছাড়ছেন না ভারত দলের সমর্থকেরা। কানপুরে শেষ দিনে বাংলাদেশের ড্রয়ের চিন্তা করা নিয়ে এক্স হ্যান্ডলে রীতিমতো ট্রলই করছেন ভারতীয়রা। এমনকি পশ্চিমবঙ্গের সংবাদ মাধ্যম আনন্দবাজারের শিরোনামটা দেখুন, ‘৩০ ঘণ্টার টেস্ট ১৪ ঘণ্টায় জিতে নিল ভারত! দুই রবির স্পিনে ৭ উইকেটে হার বাংলাদেশের’। প্রতিপক্ষ হারলে জয়ী দলের সমর্থকেরা একটু মজা করবেই। বাংলাদেশের ক্রিকেটারকেই এখন চিন্তা করতে হবে, হাসির পাত্র হয়ে থাকবে নাকি একটু সিরিয়াস হয়ে উঠবে। এই সিরিয়াসনেস ব্যক্তিগত জীবনে নয়, দেখাতে হবে মাঠের লড়াইয়ে।
ভারত সফরে টি-টোয়েন্টি সিরিজ এখনো বাকি আছে। এই সিরিজকে প্রতিশোধের মঞ্চ বানিয়ে জিততে পারলে হারানো আত্মবিশ্বাস নিয়ে আবারও দেশে ফিরে শান্তরা ফুলেল শুভেচ্ছা পাবেন বৈক ! হ্যাঁ, ক্রিকেট শুধুই খেলা। খেলায় হার-জিত থাকবেই। কিন্তু বেশির ভাগ দল যখন খেলায় হারের চেয়ে জয় পেতে বেশি উন্মুখ থাকে, সেখানে বাংলাদেশ না হয় একটু বেশিই হারল—এটা একটু নাহয় মেনেই নিন!
খেলোয়াড়দের শখের গাড়ি নিয়ে সামাজিকমাধ্যমে কত কিছুই তো দেখা যায়। কেউ এক গাড়ি কিনে দীর্ঘদিন চালানোর পর নতুন মডেলের গাড়ি কেনেন। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর গ্যারেজে আছে বিশ্বের নামীদামী অনেক ব্র্যান্ডের গাড়ি। রোনালদোর মতো রোহিত শর্মারও গাড়ির গাড়িপ্রেমী এক ক্রিকেটার।
৯ মিনিট আগেলাওসে গতকাল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২০ নারী ফুটবল দলের জন্য দিনটা ছিল অম্লমধুর। কারণ, বিকেলে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের শেষ ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে ৬-১ গোলে হজমের পর মূল পর্বের টিকিট পাওয়াটাই শঙ্কার মুখে পড়ে গিয়েছিল। পরে জানা যায়, বাংলাদেশ নারী দল অনূর্ধ্ব-২০ এশিয়ান কাপের মূল পর্বে উঠেছে।
১ ঘণ্টা আগেপাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডেতে যেন জিততেই ভুলে গিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর এই সংস্করণে দুই দলের চারবারের দেখাতে চারবারই জিতেছিল পাকিস্তান। অবশেষে গত রাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ফুরোয় ৬ বছরের অপেক্ষা। তাতে করে বাংলাদেশ, পাকিস্তান দুই দলই পেয়েছে দুঃসংবাদ।
২ ঘণ্টা আগেবয়স ৪০ পেরোনোর পরও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর যে ক্ষুধা কমেনি, সেটা তাঁর পারফরম্যান্সেই বোঝা যাচ্ছে। মাঠে নামলেই গোল করার নেশা তাঁকে ভীষণভাবে পেয়ে বসে। ক্লাব প্রীতি ম্যাচেও দেখিয়ে যাচ্ছেন তাঁর দাপট।
৪ ঘণ্টা আগে