একেই বোধহয় বলে ধ্বংসস্তূপ থেকে ফিরে আসা! রূপকথার গল্পের মতো প্রত্যাবর্তন। ইতালি পেরেছে নিজেদের ফুটবলে রেনেসাঁ নিয়ে আসতে। ২০১৮ সালে বিশ্বকাপ খেলতে না পারা ইতালিই এখন ইউরোপের রাজা! সকালে যদি ফুটবলের রং হয় আকাশি, তবে রাতে সেটা নীল। ইউরোর ফাইনালে ওয়েম্বলিতে নির্ধারিত সময়ের পর অতিরিক্ত ৩০ মিনিটেও ম্যাচ ১-১ গোলে সমতায় থাকে। পরে টাইব্রেকারে ৩-২ গোলে জিতে বাজিমাত করে ইতালি।
৫৫ বছরের অপেক্ষা আরও দীর্ঘায়িত হলো ইংল্যান্ডের। শিরোপার ফেরা হলো না 'হোমে'! শিরোপা এবার যাবে রোমে। এটি ইতালির দ্বিতীয় ইউরো শিরোপা। ১৯৬৮ সালে প্রথম শিরোপাটি জিতেছিল তারা।
ফাইনালের মঞ্চে একাদশে আবারও বদল এনে চমক দেন ইংল্যান্ড কোচ গ্যারেথ সাউথগেট। আর্সেনাল উইংগার বুকায়ো সাকার বদলে সুযোগ পান আতলেতিকো মাদ্রিদ ফুল ব্যাক কিয়েরেন ট্রিপিয়ার। এটি মূলত ইতালির আক্রমণ মাথায় রেখে সাজানো দল। দলে মূল ডিফেন্ডার তিনজন হলেও প্রতি–আক্রমণের সময় পাঁচজন ডিফেন্সে নেমে এসে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারবেন—এটাই ছিল সাউথগেটের মূল পরিকল্পনা। আর ইতালি নামে সেমিফাইনালে স্পেনের বিপক্ষে খেলানো দল নিয়েই।
ওয়েম্বলিতে ৪০ হাজার দর্শকের উপস্থিতিতে ভেঁপু বাজিয়ে, আঁতশবাজির ঝলকানি ও নাচে-গানে হয়ে যায় ইউরোর শেষের শুরু। স্টেডিয়ামে ট্রফি নিয়ে আসেন ২০১৬ ইউরোর চ্যাম্পিয়ন পর্তুগাল দলের সদস্য এদের।
লড়াইয়ের শুরুতেই ইতালিকে স্তব্ধ করে ইংলিশ-চমক! প্রতি-আক্রমণে হ্যারি কেনের থ্রু পাস থেকে বল পেয়ে ট্রিপিয়ার বাড়ান লুক শর দিকে। অরক্ষিত শ দারুণ এক ভলিতে পরাস্ত করেন ইতালিয়ান গোলরক্ষক জিয়ানলুইগি দোনারুম্মাকে। ম্যাচের সময় তখন মাত্র ১ মিনিট ৫৭ সেকেন্ড! ইউরোর ফাইনালে এটিই এখন দ্রুততম গোল আর ইংল্যান্ডের জার্সিতে শর প্রথম। পিছিয়ে পড়ে ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করে ইতালি। একটু পর বিপজ্জনক জায়গায় ফ্রি-কিক পেয়েও সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি লরেঞ্জো ইনসিনিয়ে। পাল্টা আক্রমণে হুমকি তৈরি করে ইংল্যান্ডও। দুই দলের কেউই অন্যের রক্ষণ ভেদ করতে পারেনি। তবে সমতা ফেরানো গোলের খোঁজে ইতালি আক্রমণের ধার বাড়ায়। ইংল্যান্ড চেষ্টা করে পালটা আক্রমণে গিয়ে সুযোগ তৈরির।
৩৫ মিনিটে একক প্রচেষ্টায় বল নিয়ে ইংলিশ রক্ষণে ঢুকে পড়েন ফেদেরিকো কিয়েসা। তবে তাঁর শট পোস্টের পাশ দিয়ে বাইরে চলে যায়৷ প্রথমার্ধে চেষ্টা করেও আর কোনো দল গোল পায়নি।
বিরতির পরও দুই দল গোল পেতে ঝাঁপিয়ে পড়ে। ইতালির একটি আক্রমণ ঠেকাতে গিয়ে ইনসিনিয়েকে ফাউল করেন স্টার্লিং। কাছাকাছি জায়গায় ফ্রি-কিক পেয়েও সুবিধা করতে পারেননি ইনসিনিয়ে। একসঙ্গে একাধিক পরিবর্তন এনে মানচিনি চেষ্টা করেন ভাগ্য বদলানোর। ইতালির আক্রমণে এদিন প্রাণভোমরা ছিলেন ইনসিনিয়ে ও কিয়েসা। নিয়মিত বিরতিতে আক্রমণে গিয়ে ইংল্যান্ডকে চমকে দিয়েছেন এ দুজন। বিশেষ করে কিয়েসার আক্রমণগুলো ছিল ভীতিজাগানিয়া! ৬২ মিনিটে কিয়েসার শট জর্দান পিকফোর্ড ঠেকিয়ে না দিলে সমতায় ফিরতে পারত আজ্জুরিরা। তবে সাঁড়াশি আক্রমণের ধারায় ঠিকই সমতা ফেরায় ইতালি। ওয়েম্বলিকে স্তব্ধ করে জটলা থেকে সমতা ফেরান ইতালির অভিজ্ঞ সেন্টার ব্যাক লিওনার্দো বোনুচ্চি। সমতায় ফিরে ইতালি আরও আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠে। ওয়ান টাচ, পাসিং ও গতিতে ইংল্যান্ডকে চাপে ফেলে দেয় আজ্জুরিরা। তবে ৯০ মিনিট পর্যন্ত কোনো দলই আর গোল আদায় করতে পারেনি। ম্যাচ চলে যায় অতিরিক্ত সময়ে।
অতিরিক্ত সময়েও আক্রমণ-পালটা আক্রমণে জমে ওঠে লড়াই। দুই দলই চেষ্টা করে কাঙ্ক্ষিত গোল পেতে। কাছাকাছি গিয়েও পাওয়া হচ্ছিল না সেই গোল। শেষ পর্যন্ত অতিরিক্ত সময়েও আর গোল না হলে ম্যাচ চলে যায় টাইব্রেকারে। আর পেনাল্টির ভাগ্য পরীক্ষায় ইংল্যান্ডকে হারিয়ে শিরোপা জিতে নেয় ইতালি। আর তাতেই উৎসবের রং হয়ে যায় নীল!
একেই বোধহয় বলে ধ্বংসস্তূপ থেকে ফিরে আসা! রূপকথার গল্পের মতো প্রত্যাবর্তন। ইতালি পেরেছে নিজেদের ফুটবলে রেনেসাঁ নিয়ে আসতে। ২০১৮ সালে বিশ্বকাপ খেলতে না পারা ইতালিই এখন ইউরোপের রাজা! সকালে যদি ফুটবলের রং হয় আকাশি, তবে রাতে সেটা নীল। ইউরোর ফাইনালে ওয়েম্বলিতে নির্ধারিত সময়ের পর অতিরিক্ত ৩০ মিনিটেও ম্যাচ ১-১ গোলে সমতায় থাকে। পরে টাইব্রেকারে ৩-২ গোলে জিতে বাজিমাত করে ইতালি।
৫৫ বছরের অপেক্ষা আরও দীর্ঘায়িত হলো ইংল্যান্ডের। শিরোপার ফেরা হলো না 'হোমে'! শিরোপা এবার যাবে রোমে। এটি ইতালির দ্বিতীয় ইউরো শিরোপা। ১৯৬৮ সালে প্রথম শিরোপাটি জিতেছিল তারা।
ফাইনালের মঞ্চে একাদশে আবারও বদল এনে চমক দেন ইংল্যান্ড কোচ গ্যারেথ সাউথগেট। আর্সেনাল উইংগার বুকায়ো সাকার বদলে সুযোগ পান আতলেতিকো মাদ্রিদ ফুল ব্যাক কিয়েরেন ট্রিপিয়ার। এটি মূলত ইতালির আক্রমণ মাথায় রেখে সাজানো দল। দলে মূল ডিফেন্ডার তিনজন হলেও প্রতি–আক্রমণের সময় পাঁচজন ডিফেন্সে নেমে এসে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারবেন—এটাই ছিল সাউথগেটের মূল পরিকল্পনা। আর ইতালি নামে সেমিফাইনালে স্পেনের বিপক্ষে খেলানো দল নিয়েই।
ওয়েম্বলিতে ৪০ হাজার দর্শকের উপস্থিতিতে ভেঁপু বাজিয়ে, আঁতশবাজির ঝলকানি ও নাচে-গানে হয়ে যায় ইউরোর শেষের শুরু। স্টেডিয়ামে ট্রফি নিয়ে আসেন ২০১৬ ইউরোর চ্যাম্পিয়ন পর্তুগাল দলের সদস্য এদের।
লড়াইয়ের শুরুতেই ইতালিকে স্তব্ধ করে ইংলিশ-চমক! প্রতি-আক্রমণে হ্যারি কেনের থ্রু পাস থেকে বল পেয়ে ট্রিপিয়ার বাড়ান লুক শর দিকে। অরক্ষিত শ দারুণ এক ভলিতে পরাস্ত করেন ইতালিয়ান গোলরক্ষক জিয়ানলুইগি দোনারুম্মাকে। ম্যাচের সময় তখন মাত্র ১ মিনিট ৫৭ সেকেন্ড! ইউরোর ফাইনালে এটিই এখন দ্রুততম গোল আর ইংল্যান্ডের জার্সিতে শর প্রথম। পিছিয়ে পড়ে ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করে ইতালি। একটু পর বিপজ্জনক জায়গায় ফ্রি-কিক পেয়েও সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি লরেঞ্জো ইনসিনিয়ে। পাল্টা আক্রমণে হুমকি তৈরি করে ইংল্যান্ডও। দুই দলের কেউই অন্যের রক্ষণ ভেদ করতে পারেনি। তবে সমতা ফেরানো গোলের খোঁজে ইতালি আক্রমণের ধার বাড়ায়। ইংল্যান্ড চেষ্টা করে পালটা আক্রমণে গিয়ে সুযোগ তৈরির।
৩৫ মিনিটে একক প্রচেষ্টায় বল নিয়ে ইংলিশ রক্ষণে ঢুকে পড়েন ফেদেরিকো কিয়েসা। তবে তাঁর শট পোস্টের পাশ দিয়ে বাইরে চলে যায়৷ প্রথমার্ধে চেষ্টা করেও আর কোনো দল গোল পায়নি।
বিরতির পরও দুই দল গোল পেতে ঝাঁপিয়ে পড়ে। ইতালির একটি আক্রমণ ঠেকাতে গিয়ে ইনসিনিয়েকে ফাউল করেন স্টার্লিং। কাছাকাছি জায়গায় ফ্রি-কিক পেয়েও সুবিধা করতে পারেননি ইনসিনিয়ে। একসঙ্গে একাধিক পরিবর্তন এনে মানচিনি চেষ্টা করেন ভাগ্য বদলানোর। ইতালির আক্রমণে এদিন প্রাণভোমরা ছিলেন ইনসিনিয়ে ও কিয়েসা। নিয়মিত বিরতিতে আক্রমণে গিয়ে ইংল্যান্ডকে চমকে দিয়েছেন এ দুজন। বিশেষ করে কিয়েসার আক্রমণগুলো ছিল ভীতিজাগানিয়া! ৬২ মিনিটে কিয়েসার শট জর্দান পিকফোর্ড ঠেকিয়ে না দিলে সমতায় ফিরতে পারত আজ্জুরিরা। তবে সাঁড়াশি আক্রমণের ধারায় ঠিকই সমতা ফেরায় ইতালি। ওয়েম্বলিকে স্তব্ধ করে জটলা থেকে সমতা ফেরান ইতালির অভিজ্ঞ সেন্টার ব্যাক লিওনার্দো বোনুচ্চি। সমতায় ফিরে ইতালি আরও আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠে। ওয়ান টাচ, পাসিং ও গতিতে ইংল্যান্ডকে চাপে ফেলে দেয় আজ্জুরিরা। তবে ৯০ মিনিট পর্যন্ত কোনো দলই আর গোল আদায় করতে পারেনি। ম্যাচ চলে যায় অতিরিক্ত সময়ে।
অতিরিক্ত সময়েও আক্রমণ-পালটা আক্রমণে জমে ওঠে লড়াই। দুই দলই চেষ্টা করে কাঙ্ক্ষিত গোল পেতে। কাছাকাছি গিয়েও পাওয়া হচ্ছিল না সেই গোল। শেষ পর্যন্ত অতিরিক্ত সময়েও আর গোল না হলে ম্যাচ চলে যায় টাইব্রেকারে। আর পেনাল্টির ভাগ্য পরীক্ষায় ইংল্যান্ডকে হারিয়ে শিরোপা জিতে নেয় ইতালি। আর তাতেই উৎসবের রং হয়ে যায় নীল!
গলে ম্যাচ ড্র হওয়া অনেকটা চোখ কপালে ওঠার মতো। সমুদ্রঘেঁষা এই ভেন্যুতে সবশেষ ২৬ ম্যাচে কোনো দলই ড্রয়ের জন্য সমঝোতা করেনি। বাংলাদেশের ম্যাচ দিয়ে ইতি টানল সেই ধারাবাহিকতার। ম্যাচটি কি জেতার জন্য খেলতে পারত না বাংলাদেশ? পারত না আরেকটু আগে ইনিংস ঘোষণা করতে? সেই প্রশ্নগুলোই রাখা হয়েছিল সংবাদ সম্মেলনে...
৮ ঘণ্টা আগেএক টেস্টে জোড়া সেঞ্চুরি আগেও দেখেছে বাংলাদেশ। নাজমুল হোসেন শান্ত প্রায় দুই বছর আগে সেই ক্লাবে নাম লেখান। এবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গলে জোড়া সেঞ্চুরি করে নতুন কীর্তি গড়লেন তিনি। বাংলাদেশের কোনো অধিনায়কই এর আগে এক টেস্টে দুই সেঞ্চুরি হাঁকাতে পারেননি। এই রেকর্ডে নাম লেখানোর কথা আগে থেকে জানতেন না শান্ত।
১০ ঘণ্টা আগেকিছু কি মনে পড়ছে? না পড়লেও অবশ্য দোষের কিছু নেই। মেলবোর্নে গত বছর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৩৭ বলে ২৮ রানের ইনিংস খেলে তোপের মুখে পড়েন ঋষভ পন্ত। তাঁর আউটের ধরন দেখে রীতিমত ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন কিংবদন্তি সুনীল গাভাস্কার। ধারাভাষ্যকক্ষে মাইক হাতে তিরস্কার করতে থাকেন ‘স্টুপিড, স্টুপিড, স্টুপিড’ বলে
১১ ঘণ্টা আগেদিন শেষ হতে তখনো বাকি আরও ৫ ওভার। ৩০ বলে শ্রীলঙ্কার ৬ উইকেট পড়ে যাবে এমন ভাবাটা আকাশ-কুসুম কল্পনার মতো। বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত তাই বাস্তবতা মেনে নিয়ে ছুটে গেলেন লঙ্কান অধিনায়ক ধনঞ্জয়া ডি সিলভার সঙ্গে করমর্দন করতে। বাকিরাও তা অনুসরণ করতে থাকেন।
১১ ঘণ্টা আগে