Ajker Patrika

দশজনের শ্রীলঙ্কা ভাঙল বাংলাদেশের হৃদয়

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৭ নভেম্বর ২০২১, ০০: ৫৭
দশজনের শ্রীলঙ্কা ভাঙল বাংলাদেশের হৃদয়

গোল খেয়ে পিছিয়ে যাওয়া, তারপর পেনাল্টি মিস। এরপর সমতায় ফেরা। নাটকের মধ্যে সবই ছিল শুধু বাকি ছিলেন রেফারি। দৃশ্যপটে তিনি ঢুকলেন ৯০ মিনিটে এসে। তার এক সিদ্ধান্তে আবারও বাংলাদেশের স্বপ্ন ভঙ্গের গল্প। 

ম্যাচের তখন ৯০ মিনিট। শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ১-১ গোলে সমতায় বাংলাদেশ। ম্যাচটা ড্র হলেই ফাইনালে চলে যাবেন জামালরা। ঠিক সে সময়ই ডি-বক্সে হঠাত লাফিয়ে ওঠা বল লাগে বাংলাদেশ অধিনায়কের হাতে। পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। বল হাতে লাগেনি, বাংলাদেশের খেলোয়াড়েরা এমন আবেদন করলেও তা আমলে নেননি কাতারের রেফারি আল শাম্মারি। স্পট কিক থেকে শেষ সময়ে গোল করে ব্যবধান বাড়ান ওয়াসিম রাজেক। শেষ কয়েক মিনিটে লঙ্কান খেলোয়াড়দের সময় ক্ষেপণে আর ম্যাচেই ফেরা হয়নি বাংলাদেশের। ২-১ গোলে জিতে ফাইনালে সিশেলসের সঙ্গী হয়েছে শ্রীলঙ্কা। 

প্রথমার্ধের অধিকাংশ সময়ই বল ঘোরাফেরা করেছে বাংলাদেশের অর্ধে। জিততেই এমন সমীকরণ মাথায় নিয়ে শুরুতেই আক্রমণ করে গেছে শ্রীলঙ্কা। একের পর এক আক্রমণে ২৫ মিনিটেই সাফল্য তুলে নেয় স্বাগতিকরা। ডি-বক্সের বাইরে থেকে দূর থেকে জোরালো এক শট নিয়েছিলেন চালানা চামিরা। বাংলাদেশ গোলরক্ষক জিকো ফিস্ট করে সেই শট ফিরিয়েও দিয়েছিলেন। শট ফিরিয়েই কাঁদায় ভারসাম্য হারান জিকো, সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে গোল করেন লঙ্কান প্রবাসী ফরোয়ার্ড ওয়াসিম রাজেক। 

গোল হজমের পরই আক্রমণের গতি বাড়ে বাংলাদেশের। এসেছিল সমতায় ফেরার সুযোগও। ৩৩ মিনিটে জামাল ভূঁইয়ার কর্নার থেকে তপুর হেড হাত দিয়ে ঠেকিয়ে লাল কার্ড দেখেন লঙ্কান ডিফেন্ডার ডাকসন পুসলাস। পেনাল্টি পায় বাংলাদেশ। তপু নিজেই নিয়েছিলেন স্পট কিক কিন্তু বল মারেন বার উঁচিয়ে। 

প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে হৃদয়ের হেড ঝাঁপিয়ে ফেরান লঙ্কান গোলরক্ষক। ফিরতি বলে খালি বার পেয়েও বল জালে জড়াতে পারেননি সুশান্ত ত্রিপুরা। ৫১ মিনিটে মাহবুবুর রহমান সুফিলের হেডে বল গোললাইন অতিক্রম করার আগেই ফিরিয়ে দেন লঙ্কান ডিফেন্ডার। ৫৪ মিনিটে সুফিলের সামনে বাঁধার দেয়াল হয়ে দাঁড়ান স্বাগতিক গোলরক্ষক। ৬১ মিনিটে গোল বারের খুব কাছ থেকে বল বাইরে পাঠান তপু। 

একের পর এক আক্রমণে ৭১ মিনিটে বাংলাদেশকে কাঙ্ক্ষিত গোল উপহার দেন জুয়েল রানা। ইয়াসিন আরাফাতের উড়িয়ে দেওয়া পাস থেকে খোঁচায় লঙ্কান গোলরক্ষকের দুই পায়ের মাঝখান দিয়ে বল জালে জড়ান এই ফরোয়ার্ড। সেই গোলেই যখন ফাইনালের স্বপ্ন দেখছিল বাংলাদেশ শেষ দিকে রেফারির এক সিদ্ধান্তই ভেঙ্গে দিল সব। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত