জয়ে উদযাপন রাঙাতে চায় বাংলাদেশ

কথায় আছে—শেষ ভালো যার, সব ভালো তার। এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে বাংলাদেশ নারী দলের শেষটা বাজে হলেও ক্ষতি নেই। তবে ম্যাচটি মান রক্ষারও বটে। কারণ, তুর্কমেনিস্তান র‍্যাঙ্কিংয়ের ১৪১ নম্বর দল। বাংলাদেশ তাদের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে ১৩ ধাপ।

মিয়ানমারে ইয়াঙ্গুনের থুউনা স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়। এশিয়ান কাপে জায়গা নিশ্চিত হওয়ার পর সেভাবে কোনো উদ্‌যাপন করেনি বাংলাদেশ। তুর্কমেনিস্তানকে সমীহ করে পা মাটিতে রাখছেন কোচ পিটার বাটলার। এখন পর্যন্ত খুব একটা উচ্ছ্বাসে দেখা যায়নি তাঁকে। মিয়ানমারে যাওয়ার আগে বলেছিলেন, ফুটবল চমকের খেলা।

সেই চমক বাংলাদেশ দেখিয়েছে র‍্যাঙ্কিংয়ের ওপরের সারির দল বাহরাইন ও মিয়ানমারকে হারিয়ে। তুর্কমেনিস্তানের তাই চমক দেখানোর সামর্থ্য রয়েছে। নিজেদের প্রথম ম্যাচে মিয়ানমারের কাছে ৮-০ গোলে হারলেও বাহরাইনকে ২-২ গোলে রুখে দেয় তারা। দুবার এগিয়ে গিয়েও অবশ্য জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেনি।

শেষ ম্যাচের আগে তাই সতর্ক বাংলাদেশ অধিনায়ক আফঈদা খন্দকার, ‘দলের পরিস্থিতি খুবই ভালো। সবাই খুব ফুরফুরে মেজাজে আজ (গতকাল) ভালোই অনুশীলন করলাম। কাল (আজ) আমাদের শেষ ম্যাচ, এই ম্যাচের জন্য সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।’

বরাবরের মতো গতকালও সকালে ২ ঘণ্টা অনুশীলন করান বাটলার। তাই প্রস্তুতিতে কোনো কমতি যে থাকছে না, তা বোঝা যায়। তবে চোটের সমস্যা রয়েছে বলে জানিয়েছেন গোলকিপিং কোচ মাসুদ আহমেদ উজ্জ্বল, ‘ছোটখাটো কিছু চোটের সমস্যা রয়েছে, কোচ ওই খেলোয়াড়দের রিকভারি করার সময় দিয়েছে এবং অন্যদের নিয়ে আমরা মাঠে কাজ করেছি।’

এশিয়ান কাপের টিকিট কাটতে পারার উৎসবটা জয় দিয়ে করতে চান উজ্জ্বল, ‘আগামীকালের (আজ) ম্যাচ নিয়ে মেয়েরা খুবই সিরিয়াস ও মনোযোগী। আমরাও তাদের প্রতিনিয়ত বলছি, আমাদের বাছাই এখনো শেষ হয়নি এবং যেহেতু উদ্‌যাপন করিনি। আগামীকালের ম্যাচে জয় দিয়ে টুর্নামেন্ট শেষ করে উদ্‌যাপন করব ইনশা আল্লাহ।’

শক্তিমত্তায় বাহরাইন ও মিয়ানমার এগিয়ে থাকলেও বাটলার দেখিয়েছেন সাহসিকতা। হাই প্রেসিং কৌশলে নিচে তিন ডিফেন্ডার রাখেন বাংলাদেশ কোচ। যে কারণে প্রতিপক্ষের পাল্টা আক্রমণ ঠেকাতে বেশ কয়েকবার গোলপোস্ট ছেড়ে ওপরে উঠে আসেন রুপনা চাকমা। উইং দিয়ে ঋতুপর্ণা চাকমাও হয়ে ওঠেন আক্রমণাত্মক। তাঁর দুই গোলে মিয়ানমারকে চুপ করিয়ে দেয় বাংলাদেশ। কোচের প্রশংসায় এই ফরোয়ার্ড বলেন, ‘সবকিছু মিলিয়ে ভালো। আমরা একটা ভালো কোচ পেয়েছি। তিনি সব সময় আমাদের ভালোই চান। তিনি যে প্রশংসা করেছেন, জানি না এর কতটুকু প্রাপ্য।’

মিয়ানমার থেকে আসার পর আফঈদাদের পরিকল্পনা থাকবে এশিয়ান কাপকে ঘিরে। আগামী বছরের মার্চে অস্ট্রেলিয়ায় হবে এশিয়া কাপ। সেখানে ২০২৭ বিশ্বকাপে ওঠার সুযোগ হাতছাড়া করতে চান না বাংলাদেশ অধিনায়ক, ‘বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল এই প্রথম এশিয়ান কাপে কোয়ালিফাই করেছে, এটা খুবই আনন্দের। দলকে আমি বিশ্বকাপের মঞ্চে দেখতে চাই। যেহেতু আমাদের সামনে সুযোগ আসছে; অবশ্যই চেষ্টা করব সুযোগ কাজে লাগাতে।’