নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাংলাদেশের অনূর্ধ্ব-১৬ নারী সাফ জয়ের পেছনে গোলরক্ষক ইয়ারজান বেগমের ভূমিকা বিশাল। ভারতের বিপক্ষে টাইব্রেকারে পোস্টের নিচে ইয়ারজান দেয়াল হয়ে না দাঁড়ালে হয়তো আজ খালি হাতেই দেশে ফেরা লাগত বাংলাদেশের মেয়েদের।
গতকাল কাঠমান্ডুর ফাইনালে ১-১ গোলে সমতায় শেষ হওয়া ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। ভাগ্যের পরীক্ষায় প্রথমে শট নিতে এসেছিলেন বাংলাদেশ দলের অভিজ্ঞ ও সেরা খেলোয়াড় সৌরভী আকন্দ প্রীতি। কিন্তু সৌরভীর শট ঠেকিয়ে বাংলাদেশকে চাপে ফেলে দেন ভারত গোলরক্ষক সুরাজমুনি কুমারী।
দলের প্রথম শট নষ্ট হলে চাপে পড়ে যান অভিজ্ঞ গোলরক্ষকরাও। সেখানে ইয়ারজান সাফেই প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন, গতকালকের ফাইনালটাও তার প্রথম ফাইনাল। কিন্তু নিজের অনভিজ্ঞতাকে একবারও টের পেতে দেননি ইয়ারজান। চাপ সামলে ভারতের তিন শট ঠেকিয়ে বাংলাদেশকে এনে দেন অনূর্ধ্ব-১৬ সাফের শিরোপা। দলকে জিতিয়ে কেঁদে ফেলেন মাঠেই।
ইয়ারজানের বীরত্ব ছুঁয়ে গেছে বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীদের হৃদয়। তার চেয়েও বেশি টেনেছে তার সহজ-সরলভাবে ফুটবলার হওয়ার সংগ্রামের গল্প। গতকাল ফাইনালের পর নিজের অনুভূতি জানাতে গিয়ে কেঁদে ফেলেছিলেন ইয়ারজান। শিরোপা হাতে আজ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জের বাইরে তার গল্প আবেগতাড়িত করল আরেকবার।
ইয়ারজানের বাবা আবদুর রাজ্জাক শ্বাসকষ্টে শয্যাশায়ী। চারজনের পরিবারকে চালাতে তাই অন্যের বাসায় কাজ করতে হয় মা রেনু বেগমকে। মাকে সেই কাজ থেকে ছাড়িয়ে এবার সংসারে হাল ধরতে চান অনূর্ধ্ব-১৬ সাফের সেরা গোলরক্ষক ইয়ারজান, ‘চিন্তাভাবনা আছে সংসারের হাল ধরার। মা-বাবার কষ্ট যেন দূর করতে পারি—এটাই চেষ্টা।’
পঞ্চগড়ের হাড়িভাসা ইউনিয়নের মেয়ে ইয়ারজান ট্রায়াল দিয়েছিলেন অনূর্ধ্ব-১৯ দলের নারী দলে গোলরক্ষক হওয়ার জন্য। বয়স কম হওয়ায় জায়গা পান অনূর্ধ্ব-১৬ দলে। অনূর্ধ্ব-১৬ দল পর্যন্ত আসার পেছনে ইয়ারজান পুরো কৃতিত্বটা দিয়েছেন তার কোচ আবু তালেব টুকুকে। শিরোপা জেতানো গোলরক্ষক কোচকে ধন্যবাদ জানিয়ে বললেন, ‘ওনাকে তো স্যার বলি না, ভাই বলি। উনি আমাকে অনেক সাহায্য করেছে। আমার যাতায়াত ভাড়াও ছিল না। উনি আমাকে ব্যবস্থা করে দিতেন।’
‘আমার কোচের কারণে এখানে আসতে পেরেছি। অনেক মানুষের কথা শুনেছেন উনি, তবু আমাকে নিয়ে হাল ছাড়েনি। বলছে, তোমাকে ঢাকায় নিয়ে খেলাব, জাতীয় দলে খেলাব, ক্লাবে নিয়ে যাব। গ্রামের মানুষ তো অনেক কিছুই বলবে। ওনাকে বলতাম, মানুষ নানান কথা বলছে কিন্তু তিনি আমাকে বলতেন, এসবে কানে দেবে না। যখন ভালো কিছু করবে তখন সবাই বাহবা দেবে।’
ইয়ারজান এখন সত্যি বাহবা পাচ্ছেন। সাফের পারফরম্যান্সে খুলে যেতে পারে জাতীয় দলের দুয়ারও। জাতীয় দলে জায়গা পেলে পরিবারকে স্বাবলম্বী করার স্বপ্নটা হয়তো দ্রুতই পূরণ হয়ে যাবে শিরোপাজয়ী গোলরক্ষকের।
বাংলাদেশের অনূর্ধ্ব-১৬ নারী সাফ জয়ের পেছনে গোলরক্ষক ইয়ারজান বেগমের ভূমিকা বিশাল। ভারতের বিপক্ষে টাইব্রেকারে পোস্টের নিচে ইয়ারজান দেয়াল হয়ে না দাঁড়ালে হয়তো আজ খালি হাতেই দেশে ফেরা লাগত বাংলাদেশের মেয়েদের।
গতকাল কাঠমান্ডুর ফাইনালে ১-১ গোলে সমতায় শেষ হওয়া ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। ভাগ্যের পরীক্ষায় প্রথমে শট নিতে এসেছিলেন বাংলাদেশ দলের অভিজ্ঞ ও সেরা খেলোয়াড় সৌরভী আকন্দ প্রীতি। কিন্তু সৌরভীর শট ঠেকিয়ে বাংলাদেশকে চাপে ফেলে দেন ভারত গোলরক্ষক সুরাজমুনি কুমারী।
দলের প্রথম শট নষ্ট হলে চাপে পড়ে যান অভিজ্ঞ গোলরক্ষকরাও। সেখানে ইয়ারজান সাফেই প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন, গতকালকের ফাইনালটাও তার প্রথম ফাইনাল। কিন্তু নিজের অনভিজ্ঞতাকে একবারও টের পেতে দেননি ইয়ারজান। চাপ সামলে ভারতের তিন শট ঠেকিয়ে বাংলাদেশকে এনে দেন অনূর্ধ্ব-১৬ সাফের শিরোপা। দলকে জিতিয়ে কেঁদে ফেলেন মাঠেই।
ইয়ারজানের বীরত্ব ছুঁয়ে গেছে বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীদের হৃদয়। তার চেয়েও বেশি টেনেছে তার সহজ-সরলভাবে ফুটবলার হওয়ার সংগ্রামের গল্প। গতকাল ফাইনালের পর নিজের অনুভূতি জানাতে গিয়ে কেঁদে ফেলেছিলেন ইয়ারজান। শিরোপা হাতে আজ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জের বাইরে তার গল্প আবেগতাড়িত করল আরেকবার।
ইয়ারজানের বাবা আবদুর রাজ্জাক শ্বাসকষ্টে শয্যাশায়ী। চারজনের পরিবারকে চালাতে তাই অন্যের বাসায় কাজ করতে হয় মা রেনু বেগমকে। মাকে সেই কাজ থেকে ছাড়িয়ে এবার সংসারে হাল ধরতে চান অনূর্ধ্ব-১৬ সাফের সেরা গোলরক্ষক ইয়ারজান, ‘চিন্তাভাবনা আছে সংসারের হাল ধরার। মা-বাবার কষ্ট যেন দূর করতে পারি—এটাই চেষ্টা।’
পঞ্চগড়ের হাড়িভাসা ইউনিয়নের মেয়ে ইয়ারজান ট্রায়াল দিয়েছিলেন অনূর্ধ্ব-১৯ দলের নারী দলে গোলরক্ষক হওয়ার জন্য। বয়স কম হওয়ায় জায়গা পান অনূর্ধ্ব-১৬ দলে। অনূর্ধ্ব-১৬ দল পর্যন্ত আসার পেছনে ইয়ারজান পুরো কৃতিত্বটা দিয়েছেন তার কোচ আবু তালেব টুকুকে। শিরোপা জেতানো গোলরক্ষক কোচকে ধন্যবাদ জানিয়ে বললেন, ‘ওনাকে তো স্যার বলি না, ভাই বলি। উনি আমাকে অনেক সাহায্য করেছে। আমার যাতায়াত ভাড়াও ছিল না। উনি আমাকে ব্যবস্থা করে দিতেন।’
‘আমার কোচের কারণে এখানে আসতে পেরেছি। অনেক মানুষের কথা শুনেছেন উনি, তবু আমাকে নিয়ে হাল ছাড়েনি। বলছে, তোমাকে ঢাকায় নিয়ে খেলাব, জাতীয় দলে খেলাব, ক্লাবে নিয়ে যাব। গ্রামের মানুষ তো অনেক কিছুই বলবে। ওনাকে বলতাম, মানুষ নানান কথা বলছে কিন্তু তিনি আমাকে বলতেন, এসবে কানে দেবে না। যখন ভালো কিছু করবে তখন সবাই বাহবা দেবে।’
ইয়ারজান এখন সত্যি বাহবা পাচ্ছেন। সাফের পারফরম্যান্সে খুলে যেতে পারে জাতীয় দলের দুয়ারও। জাতীয় দলে জায়গা পেলে পরিবারকে স্বাবলম্বী করার স্বপ্নটা হয়তো দ্রুতই পূরণ হয়ে যাবে শিরোপাজয়ী গোলরক্ষকের।
আইপিএল থেকে মাঝপথেই দক্ষিণ আফ্রিকায় ফিরে গিয়েছিলেন কাগিসো রাবাদা। গত তিন এপ্রিল তাঁর দেশে ফিরে যাওয়া কী কারণে, সেটিরও ব্যাখ্যা না রাবাদা, না তাঁর দল গুজরাট টাইটানস—কেউই দেয়নি। শুধু বলা হয়েছিল ব্যক্তিগত কারণেই দেশে ফিরে যাচ্ছেন তিনি।
৪০ মিনিট আগেতিন ম্যাচ পর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ফুটবলে জয়ের দেখা পেল ফকিরেরপুল ইয়ংমেন্স ক্লাব। পাঁচ গোলের লড়াইয়ে তলানির দল চট্টগ্রাম আবাহনীকে আজ ৩-২ ব্যবধানে হারিয়েছে তারা। জোড়া গোল করেছেন বেন ইব্রাহিম।
১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণের পর আট মাস পার করেছেন ফারুক আহমেদ। এ সময়ের মধ্যে নানা বিতর্কে নাম এসে গেছে ফারুকের। বোর্ডের স্থায়ী আমানত (এফডিআর) কয়েকটি ব্যাংকে স্থানান্তর, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ‘গোল্ডেন ভিসা’ সুবিধায় ব্যবসা পরিচালনা, আওয়ামী লীগ সরকারের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত এ
২ ঘণ্টা আগেআর্চারি বিশ্বকাপে নিয়মিতই খেলে থাকে বাংলাদেশ। তবে পদক কেবল একটি। চার বছর আগে মিশ্র দলীয় ইভেন্টে (রিকার্ভ) রুপা পেয়েছেন রোমান সানা ও দিয়া সিদ্দিকী। এই তারকা দম্পতি খেলা থিতু হয়েছেনর যুক্তরাষ্ট্রে। তবে দেশের আর্চারি থেমে নেই।
২ ঘণ্টা আগে