হাসনাত শোয়েব, ঢাকা
শেষের গান শুনছে ইউরো ২০২০ ও কোপা আমেরিকা ২০২১। ১১ জুলাই দুই মহাদেশে ভিন্ন দুটি ফাইনালে নামবে চার দল। মারাকানায় ফুটবলের চিরন্তন এক দ্বৈরথে মাঠে নামবে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা। একই রাতে ওয়েম্বলিতে ইউরোপ শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে মুখোমুখি দুই পরাশক্তি ইতালি ও ইংল্যান্ড।
দুই মহাদেশীয় এই ফুটবল আয়োজনের পার্থক্যটা অন্যবারের তুলনায় এবার যেন বেশি চোখে ধরা পড়ছে। গুণে–মানে যেমন যোজন যোজন পার্থক্য, দর্শকের আকর্ষণ বিবেচনায়ও ব্যবধানটা চোখে পড়ার মতো। এ দুই আয়োজনে পার্থক্যের ধরনটা মূলত দুই রকম। একটা খেলার মাঠে, অন্যটা মাঠের বাইরে।
এবার কোপা আমেরিকা আয়োজন করার কথা ছিল কলম্বিয়া ও আর্জেন্টিনার। রাজনৈতিক সহিংসতায় কলম্বিয়া বাদ পড়ে আগেই। করোনা মহামারিতে আর্জেন্টিনাও ছিটকে পড়ে। হঠাৎ আয়োজনের দায়িত্ব পড়ে ব্রাজিলের কাঁধে। একরকম প্রস্তুতি ছাড়াই টুর্নামেন্ট চলে যায় নেইমারদের দেশে। অপ্রস্তুত সেই আয়োজনের দুর্বলতা বেরিয়ে আসে দ্রুতই। মাঠগুলো খেলার অনুপযোগী, যার সমালোচনা করে জরিমানা গুনেছেন ব্রাজিল কোচ তিতে। ব্রাজিলের মানহীন এই মাঠের সঙ্গে ইউরোপের ব্যয়বহুল ও নান্দনিক মাঠগুলোর পার্থক্যও বিশাল।
একটা সময় ছিল, যখন একটি দলকে একজন তারকা টেনে নিতেন। ম্যারাডোনা লম্বা সময় এককভাবে টেনেছেন আর্জেন্টিনাকে। কিন্তু ফুটবল ট্যাকটিকস ধীরে ধীরে বদলে গেছে। সেই বিবর্তনে একক নৈপুণ্যের ফুটবলেরও মৃত্যু ঘটে গেছে। সময়ের সঙ্গে ফুটবল ক্রমশ আরও বেশি দলগত খেলা হয়ে উঠেছে। কিন্তু লাতিন ফুটবল পুরোনো ছবি থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি। লিওনেল মেসি কিংবা নেইমারের ওপর তারা সব দায়িত্ব চাপিয়ে নির্বিকার থাকতে চেয়েছে! এই নির্ভরতার ফল যা হওয়ার তাই হয়েছে। প্রত্যাশার চাপে মেসি-নেইমাররা মাঝে মাঝেই নুইয়ে পড়েছেন। ফুটবলের কক্ষপথ থেকে ছিটকে গেছে লাতিন পরাশক্তিরা। যার ফল হচ্ছে ২০০২ সালের পর লাতিন দেশে আর কোনো বিশ্বকাপ না ফেরা।
বিশ্বায়নের পৃথিবীতে সবকিছুই এখন করপোরেট পুঁজির অংশ। ফুটবলও সে জুতোয় পা ঢুকিয়েছে বহু আগে; বিশেষ করে ইউরোপিয়ান ফুটবল। ‘বসম্যান’ আইনের মতো উদ্যোগ ইউরোপিয়ান খেলোয়াড়দের মিথস্ক্রিয়ার সুযোগ অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে। ফলে দক্ষতার দিক দিয়ে দলগুলো বৈচিত্র্য নিয়ে আসতে পারে। যেটি ইউরোপে ছোট দল–বড় দলের যে পার্থক্য অনেক কমিয়ে দিয়েছে। ক্রোয়েশিয়া বিশ্বকাপ ফাইনালে খেলে। ডেনমার্ক–ইউক্রেন–সুইজারল্যান্ডের মতো দেশগুলো কাঁপিয়ে দিতে পারে জায়ান্টদের। অন্যদিকে লাতিন দেশগুলো এখনো একমাত্রিক ফুটবল খেলে যাচ্ছে। পাওয়ার ও প্রেসিং ফুটবলের সামনে দলগুলো তাসের ঘরের মতো ধসে পড়ে।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, খেলোয়াড় তৈরির পাইপলাইন। লাতিন আমেরিকার দলগুলোয় একমাত্র উরুগুয়েতে জুনিয়র ফুটবল ভালোভাবে সক্রিয়। তার পেছনে আছেন ‘এল মায়েস্ত্রো’খ্যাত কোচ অস্কার তাবারেজ। তিনি নিজে এই স্তরগুলোয় কাজ করেন। আর্জেন্টিনা–ব্রাজিলের পাইপলাইন তৈরির কাঠামো এতটা সক্রিয় নয়। সম্ভাবনাময় প্রচুর ফুটবলার ঝরে পড়েন অকালে। এর মাঝেও যাঁরা টিকে থাকেন, তাঁদের অনেকেই ইউরোপে পাড়ি জমান। এভাবে তাঁরা নিজেদের বিশ্বসেরার কাতারে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ পান। যাঁরা যেতে পারেন না, তাঁরা অনেক পেছনে পড়ে যান। এই ব্যবধান দিনে দিনে বেড়েই চলেছে।
লাতিন ক্লাবগুলোও তাদের ঐতিহ্য হারিয়ে এখন ধুঁকতে শুরু করেছে। বড় মাছ যেভাবে ছোট মাছকে খেয়ে ফেলে, একইভাবে ইউরোপিয়ান ফুটবলের দাপটে ম্লান হয়ে যাচ্ছে বর্তমান লাতিন ফুটবল। ফেডারেশনগুলোর অনিয়ম, দুর্নীতি ও অর্থনৈতিক সমস্যা লাতিন ও ইউরোপিয়ান ফুটবলকে দুই মেরুতে ঠেলে দিয়েছে। এই ব্যবধান শিগগির কমবে—সে আশাও নেই।
শেষের গান শুনছে ইউরো ২০২০ ও কোপা আমেরিকা ২০২১। ১১ জুলাই দুই মহাদেশে ভিন্ন দুটি ফাইনালে নামবে চার দল। মারাকানায় ফুটবলের চিরন্তন এক দ্বৈরথে মাঠে নামবে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা। একই রাতে ওয়েম্বলিতে ইউরোপ শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে মুখোমুখি দুই পরাশক্তি ইতালি ও ইংল্যান্ড।
দুই মহাদেশীয় এই ফুটবল আয়োজনের পার্থক্যটা অন্যবারের তুলনায় এবার যেন বেশি চোখে ধরা পড়ছে। গুণে–মানে যেমন যোজন যোজন পার্থক্য, দর্শকের আকর্ষণ বিবেচনায়ও ব্যবধানটা চোখে পড়ার মতো। এ দুই আয়োজনে পার্থক্যের ধরনটা মূলত দুই রকম। একটা খেলার মাঠে, অন্যটা মাঠের বাইরে।
এবার কোপা আমেরিকা আয়োজন করার কথা ছিল কলম্বিয়া ও আর্জেন্টিনার। রাজনৈতিক সহিংসতায় কলম্বিয়া বাদ পড়ে আগেই। করোনা মহামারিতে আর্জেন্টিনাও ছিটকে পড়ে। হঠাৎ আয়োজনের দায়িত্ব পড়ে ব্রাজিলের কাঁধে। একরকম প্রস্তুতি ছাড়াই টুর্নামেন্ট চলে যায় নেইমারদের দেশে। অপ্রস্তুত সেই আয়োজনের দুর্বলতা বেরিয়ে আসে দ্রুতই। মাঠগুলো খেলার অনুপযোগী, যার সমালোচনা করে জরিমানা গুনেছেন ব্রাজিল কোচ তিতে। ব্রাজিলের মানহীন এই মাঠের সঙ্গে ইউরোপের ব্যয়বহুল ও নান্দনিক মাঠগুলোর পার্থক্যও বিশাল।
একটা সময় ছিল, যখন একটি দলকে একজন তারকা টেনে নিতেন। ম্যারাডোনা লম্বা সময় এককভাবে টেনেছেন আর্জেন্টিনাকে। কিন্তু ফুটবল ট্যাকটিকস ধীরে ধীরে বদলে গেছে। সেই বিবর্তনে একক নৈপুণ্যের ফুটবলেরও মৃত্যু ঘটে গেছে। সময়ের সঙ্গে ফুটবল ক্রমশ আরও বেশি দলগত খেলা হয়ে উঠেছে। কিন্তু লাতিন ফুটবল পুরোনো ছবি থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি। লিওনেল মেসি কিংবা নেইমারের ওপর তারা সব দায়িত্ব চাপিয়ে নির্বিকার থাকতে চেয়েছে! এই নির্ভরতার ফল যা হওয়ার তাই হয়েছে। প্রত্যাশার চাপে মেসি-নেইমাররা মাঝে মাঝেই নুইয়ে পড়েছেন। ফুটবলের কক্ষপথ থেকে ছিটকে গেছে লাতিন পরাশক্তিরা। যার ফল হচ্ছে ২০০২ সালের পর লাতিন দেশে আর কোনো বিশ্বকাপ না ফেরা।
বিশ্বায়নের পৃথিবীতে সবকিছুই এখন করপোরেট পুঁজির অংশ। ফুটবলও সে জুতোয় পা ঢুকিয়েছে বহু আগে; বিশেষ করে ইউরোপিয়ান ফুটবল। ‘বসম্যান’ আইনের মতো উদ্যোগ ইউরোপিয়ান খেলোয়াড়দের মিথস্ক্রিয়ার সুযোগ অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে। ফলে দক্ষতার দিক দিয়ে দলগুলো বৈচিত্র্য নিয়ে আসতে পারে। যেটি ইউরোপে ছোট দল–বড় দলের যে পার্থক্য অনেক কমিয়ে দিয়েছে। ক্রোয়েশিয়া বিশ্বকাপ ফাইনালে খেলে। ডেনমার্ক–ইউক্রেন–সুইজারল্যান্ডের মতো দেশগুলো কাঁপিয়ে দিতে পারে জায়ান্টদের। অন্যদিকে লাতিন দেশগুলো এখনো একমাত্রিক ফুটবল খেলে যাচ্ছে। পাওয়ার ও প্রেসিং ফুটবলের সামনে দলগুলো তাসের ঘরের মতো ধসে পড়ে।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, খেলোয়াড় তৈরির পাইপলাইন। লাতিন আমেরিকার দলগুলোয় একমাত্র উরুগুয়েতে জুনিয়র ফুটবল ভালোভাবে সক্রিয়। তার পেছনে আছেন ‘এল মায়েস্ত্রো’খ্যাত কোচ অস্কার তাবারেজ। তিনি নিজে এই স্তরগুলোয় কাজ করেন। আর্জেন্টিনা–ব্রাজিলের পাইপলাইন তৈরির কাঠামো এতটা সক্রিয় নয়। সম্ভাবনাময় প্রচুর ফুটবলার ঝরে পড়েন অকালে। এর মাঝেও যাঁরা টিকে থাকেন, তাঁদের অনেকেই ইউরোপে পাড়ি জমান। এভাবে তাঁরা নিজেদের বিশ্বসেরার কাতারে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ পান। যাঁরা যেতে পারেন না, তাঁরা অনেক পেছনে পড়ে যান। এই ব্যবধান দিনে দিনে বেড়েই চলেছে।
লাতিন ক্লাবগুলোও তাদের ঐতিহ্য হারিয়ে এখন ধুঁকতে শুরু করেছে। বড় মাছ যেভাবে ছোট মাছকে খেয়ে ফেলে, একইভাবে ইউরোপিয়ান ফুটবলের দাপটে ম্লান হয়ে যাচ্ছে বর্তমান লাতিন ফুটবল। ফেডারেশনগুলোর অনিয়ম, দুর্নীতি ও অর্থনৈতিক সমস্যা লাতিন ও ইউরোপিয়ান ফুটবলকে দুই মেরুতে ঠেলে দিয়েছে। এই ব্যবধান শিগগির কমবে—সে আশাও নেই।
গলে ম্যাচ ড্র হওয়া অনেকটা চোখ কপালে ওঠার মতো। সমুদ্রঘেঁষা এই ভেন্যুতে সবশেষ ২৬ ম্যাচে কোনো দলই ড্রয়ের জন্য সমঝোতা করেনি। বাংলাদেশের ম্যাচ দিয়ে ইতি টানল সেই ধারাবাহিকতার। ম্যাচটি কি জেতার জন্য খেলতে পারত না বাংলাদেশ? পারত না আরেকটু আগে ইনিংস ঘোষণা করতে? সেই প্রশ্নগুলোই রাখা হয়েছিল সংবাদ সম্মেলনে...
৯ ঘণ্টা আগেএক টেস্টে জোড়া সেঞ্চুরি আগেও দেখেছে বাংলাদেশ। নাজমুল হোসেন শান্ত প্রায় দুই বছর আগে সেই ক্লাবে নাম লেখান। এবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গলে জোড়া সেঞ্চুরি করে নতুন কীর্তি গড়লেন তিনি। বাংলাদেশের কোনো অধিনায়কই এর আগে এক টেস্টে দুই সেঞ্চুরি হাঁকাতে পারেননি। এই রেকর্ডে নাম লেখানোর কথা আগে থেকে জানতেন না শান্ত।
১০ ঘণ্টা আগেকিছু কি মনে পড়ছে? না পড়লেও অবশ্য দোষের কিছু নেই। মেলবোর্নে গত বছর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৩৭ বলে ২৮ রানের ইনিংস খেলে তোপের মুখে পড়েন ঋষভ পন্ত। তাঁর আউটের ধরন দেখে রীতিমত ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন কিংবদন্তি সুনীল গাভাস্কার। ধারাভাষ্যকক্ষে মাইক হাতে তিরস্কার করতে থাকেন ‘স্টুপিড, স্টুপিড, স্টুপিড’ বলে
১১ ঘণ্টা আগেদিন শেষ হতে তখনো বাকি আরও ৫ ওভার। ৩০ বলে শ্রীলঙ্কার ৬ উইকেট পড়ে যাবে এমন ভাবাটা আকাশ-কুসুম কল্পনার মতো। বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত তাই বাস্তবতা মেনে নিয়ে ছুটে গেলেন লঙ্কান অধিনায়ক ধনঞ্জয়া ডি সিলভার সঙ্গে করমর্দন করতে। বাকিরাও তা অনুসরণ করতে থাকেন।
১১ ঘণ্টা আগে