নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সাইডলাইনের বাইরে থেকে নির্দেশ দিচ্ছেন গলা ফাটিয়ে। কখনো সেটা ইংরেজিতে, আবার কখনো আরবিতে। ১০ বছর বয়সী ছেলেকে ১৫ বছর বয়সী ছেলেদের সঙ্গে খেলতে দেখে খানিকটা বিরক্তও। ছেলের দল যেমন ভালো করলে হাততালি দিচ্ছেন, খারাপ খেললে হচ্ছেন হতাশ। সবকিছু মিলিয়ে ভিনদেশি মানুষটা কাড়লেন আগ্রহ।
সামনে আগ বাড়িয়ে জানতে চাইলে ভদ্রলোক নিজেকে পরিচয় দিলেন মরোক্কান হিসেবে। মরক্কো! কাতার বিশ্বকাপে ফুটবল বিশ্বকে চমকে দিয়ে সেমিফাইনাল খেলার পর থেকেই দেশটিকে ঘিরে কৌতূহল সব দেশেই। সেই দেশের একজন ফুটবলপ্রেমীর সঙ্গে কথা বলতে চাওয়ার আগ্রহের জন্ম হওয়াই স্বাভাবিক!
ফর্টিস গ্রুপের মাঠে গতকাল ৯টি যুব একাডেমি নিয়ে হয়েছে ফর্টিস ফুটবল একাডেমি ইয়ুথ কাপ। ১০ বছরের ইলিয়াস ও ৮ বছর বয়সী ইসমাইলকে টুর্নামেন্টে খেলতে নিয়ে এসেছিলেন হাকিম মাহবুবুস। জাতিতে মরোক্কান হলেও স্ত্রী ও তিন সন্তানকে নিয়ে হাকিমের বসবাস ডেনমার্কে। ড্যানিশ দূতাবাসে কর্মরত স্ত্রীর সুবাদেই মূলত ছয় মাস আগে বাংলাদেশে আসা। আগামী গ্রীষ্মে আবার পাড়ি জমাবেন অন্য কোনো দেশে।
মধ্যবয়সী হাকিম ফুটবলকেই করেছেন তাঁর পেশা। খেলেছেন ডেনমার্ক, সুইডেন, পোল্যান্ডের ক্লাবে। ফুটবল ছাড়ার পর এখন শখের কোচ। বাংলাদেশে এসেও বেকার বসে নেই। বাংলাদেশে থাকা ভিনদেশি কিশোরদের শেখাচ্ছেন ফুটবল। আবার নিজের ছেলেদেরও দিচ্ছেন ফুটবলের তালিম। ফর্টিসের যুব একাডেমিতে নিয়মিত ছেলেদের ফুটবল খেলাতে নিয়ে আসেন। সেই সুবাধেই একাডেমি ইয়ুথ কাপে খেলেছে তাঁর দুই ছেলে।
৮ বছর বয়সী ইসমাইল ঠিকঠাক পার করে গেলেও ১৫ বছর বয়সী বড়দের সঙ্গে ঠিক নিজেকে মেলে ধরতে পারছে না দেখে খানিকটা বিরক্তই হচ্ছিলেন হাকিম। পাঁচ বছরের বড় ছেলেদের সঙ্গে কেন খেলতে হচ্ছে ছেলেকে সেই উত্তরটাই খুঁজছিলেন তিনি। পরে অবশ্য নিজেই উত্তরটা দিলেন। জানালেন, মাঠ সংকটে বয়সভিত্তিক একাডেমির ভীষণ অভাব ঢাকায়। আর সংকটের কারণেই দল গড়াটাও কঠিন। এ কারণেই তাঁর ছেলেকে খেলতে হচ্ছে বড়দের সঙ্গে। পরামর্শ দিলেন কৃত্রিম টার্ফ বসিয়ে মাঠের ব্যবস্থাও করার।
বাংলাদেশে এসেছেন মাত্র ছয় মাস, কিন্তু হাকিম এরই মধ্যে ধরতে পেরেছেন বাংলাদেশের ফুটবলের রোগটাও। মাঠের দুই প্রান্তের গোলরক্ষকদের দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘গোলরক্ষকদের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে বলে অহেতুক শট নেওয়া বন্ধ করতে হবে। বাংলাদেশে দেখেছি ফুটবলাররা লম্বা লম্বা শটে খেলে। এই যে বাচ্চারা খেলছে, এদের বল কীভাবে পায়ে রাখতে হয় সেটাও শেখাতে হবে। মাঠজুড়ে বল নিয়ে খেলতে হবে। আর বয়স অনুযায়ী সঠিক দল গড়তে হবে।’
কথা প্রসঙ্গে এল বিশ্বকাপে মরক্কোর সাফল্যের কথাও। দেশকে সেমিফাইনালে খেলতে দেখাটা তাঁর কাছেও ছিল চমকের মতো। আশরাফ হাকিমি, হাকিম জিয়েশদের শেষ চারে খেলার পেছনে কোচ ওয়ালিদ রেগরাগি আর মরক্কোর ফুটবল ব্যবস্থারই প্রশংসা করলেন তিনি, ‘কোচ নিজেও জাতীয় দলে খেলেছেন। তিনি ফুটবলারদের ভেতর থেকে সেরাটা বের করে এনেছেন। এই দলটার অনেকেই মরক্কোর বাইরে জন্মেছে। কিন্তু কোচ সবার মধ্যে মরক্কোর জন্য ভালোবাসা তৈরি করে দিতে পেরেছেন। যাদের অন্য দেশে জন্ম তারাও মরক্কোর সংস্কৃতি নিজেদের ভেতরে ধারণ করে, ভালোবাসে। আর মরক্কোতেও ফুটবলের ব্যবস্থা দারুণ। তিনটি বেশ ভালো একাডেমি আছে সেখানে। ভালো মানের ফুটবলার তৈরি হচ্ছে নিয়মিত।’
অন্য দেশে জন্মালেও মরোক্কানদের স্বদেশপ্রেম প্রবল বলে জানালেন হাকিম। তিনি নিজেও জন্মেছেন সুইডেনে। থাকেন ডেনমার্কে। কিন্তু আরবি বলতে পারেন অনর্গল। ছেলেদের সঙ্গেও আছে আরবির চর্চা। হাকিমি-জিয়েশদের মতো ছেলেদের বিশ্বমানের ফুটবলার বানানোর স্বপ্ন হাকিমের। সেই স্বপ্নে খানিকটা বাধা পরেছে বাংলাদেশে উন্নত ফুটবল অবকাঠামো না থাকায়। তাই ইউরোপে ফিরে ছেলেদের নিয়ে স্বপ্নপূরণের লক্ষ্যে আবারও নেমে পড়তে চান শখের এই কোচ, ‘ইউরোপে যখন আমরা থাকি, তখন চেষ্টা করি ছেলেদের কঠোর অনুশীলনে রাখার। বাংলাদেশে অবকাঠামোর অভাব আছে ঠিকই, কিন্তু কিছু করার নেই। ইউরোপে ফিরে গেলে আবার আমরা অনুশীলনে নেমে পড়ব। আমার ছেলেরা যদি কখনো জাতীয় দলে খেলতে পারে সেটাই হবে আমার জীবনের সবচেয়ে আনন্দের দিন।’
সাইডলাইনের বাইরে থেকে নির্দেশ দিচ্ছেন গলা ফাটিয়ে। কখনো সেটা ইংরেজিতে, আবার কখনো আরবিতে। ১০ বছর বয়সী ছেলেকে ১৫ বছর বয়সী ছেলেদের সঙ্গে খেলতে দেখে খানিকটা বিরক্তও। ছেলের দল যেমন ভালো করলে হাততালি দিচ্ছেন, খারাপ খেললে হচ্ছেন হতাশ। সবকিছু মিলিয়ে ভিনদেশি মানুষটা কাড়লেন আগ্রহ।
সামনে আগ বাড়িয়ে জানতে চাইলে ভদ্রলোক নিজেকে পরিচয় দিলেন মরোক্কান হিসেবে। মরক্কো! কাতার বিশ্বকাপে ফুটবল বিশ্বকে চমকে দিয়ে সেমিফাইনাল খেলার পর থেকেই দেশটিকে ঘিরে কৌতূহল সব দেশেই। সেই দেশের একজন ফুটবলপ্রেমীর সঙ্গে কথা বলতে চাওয়ার আগ্রহের জন্ম হওয়াই স্বাভাবিক!
ফর্টিস গ্রুপের মাঠে গতকাল ৯টি যুব একাডেমি নিয়ে হয়েছে ফর্টিস ফুটবল একাডেমি ইয়ুথ কাপ। ১০ বছরের ইলিয়াস ও ৮ বছর বয়সী ইসমাইলকে টুর্নামেন্টে খেলতে নিয়ে এসেছিলেন হাকিম মাহবুবুস। জাতিতে মরোক্কান হলেও স্ত্রী ও তিন সন্তানকে নিয়ে হাকিমের বসবাস ডেনমার্কে। ড্যানিশ দূতাবাসে কর্মরত স্ত্রীর সুবাদেই মূলত ছয় মাস আগে বাংলাদেশে আসা। আগামী গ্রীষ্মে আবার পাড়ি জমাবেন অন্য কোনো দেশে।
মধ্যবয়সী হাকিম ফুটবলকেই করেছেন তাঁর পেশা। খেলেছেন ডেনমার্ক, সুইডেন, পোল্যান্ডের ক্লাবে। ফুটবল ছাড়ার পর এখন শখের কোচ। বাংলাদেশে এসেও বেকার বসে নেই। বাংলাদেশে থাকা ভিনদেশি কিশোরদের শেখাচ্ছেন ফুটবল। আবার নিজের ছেলেদেরও দিচ্ছেন ফুটবলের তালিম। ফর্টিসের যুব একাডেমিতে নিয়মিত ছেলেদের ফুটবল খেলাতে নিয়ে আসেন। সেই সুবাধেই একাডেমি ইয়ুথ কাপে খেলেছে তাঁর দুই ছেলে।
৮ বছর বয়সী ইসমাইল ঠিকঠাক পার করে গেলেও ১৫ বছর বয়সী বড়দের সঙ্গে ঠিক নিজেকে মেলে ধরতে পারছে না দেখে খানিকটা বিরক্তই হচ্ছিলেন হাকিম। পাঁচ বছরের বড় ছেলেদের সঙ্গে কেন খেলতে হচ্ছে ছেলেকে সেই উত্তরটাই খুঁজছিলেন তিনি। পরে অবশ্য নিজেই উত্তরটা দিলেন। জানালেন, মাঠ সংকটে বয়সভিত্তিক একাডেমির ভীষণ অভাব ঢাকায়। আর সংকটের কারণেই দল গড়াটাও কঠিন। এ কারণেই তাঁর ছেলেকে খেলতে হচ্ছে বড়দের সঙ্গে। পরামর্শ দিলেন কৃত্রিম টার্ফ বসিয়ে মাঠের ব্যবস্থাও করার।
বাংলাদেশে এসেছেন মাত্র ছয় মাস, কিন্তু হাকিম এরই মধ্যে ধরতে পেরেছেন বাংলাদেশের ফুটবলের রোগটাও। মাঠের দুই প্রান্তের গোলরক্ষকদের দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘গোলরক্ষকদের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে বলে অহেতুক শট নেওয়া বন্ধ করতে হবে। বাংলাদেশে দেখেছি ফুটবলাররা লম্বা লম্বা শটে খেলে। এই যে বাচ্চারা খেলছে, এদের বল কীভাবে পায়ে রাখতে হয় সেটাও শেখাতে হবে। মাঠজুড়ে বল নিয়ে খেলতে হবে। আর বয়স অনুযায়ী সঠিক দল গড়তে হবে।’
কথা প্রসঙ্গে এল বিশ্বকাপে মরক্কোর সাফল্যের কথাও। দেশকে সেমিফাইনালে খেলতে দেখাটা তাঁর কাছেও ছিল চমকের মতো। আশরাফ হাকিমি, হাকিম জিয়েশদের শেষ চারে খেলার পেছনে কোচ ওয়ালিদ রেগরাগি আর মরক্কোর ফুটবল ব্যবস্থারই প্রশংসা করলেন তিনি, ‘কোচ নিজেও জাতীয় দলে খেলেছেন। তিনি ফুটবলারদের ভেতর থেকে সেরাটা বের করে এনেছেন। এই দলটার অনেকেই মরক্কোর বাইরে জন্মেছে। কিন্তু কোচ সবার মধ্যে মরক্কোর জন্য ভালোবাসা তৈরি করে দিতে পেরেছেন। যাদের অন্য দেশে জন্ম তারাও মরক্কোর সংস্কৃতি নিজেদের ভেতরে ধারণ করে, ভালোবাসে। আর মরক্কোতেও ফুটবলের ব্যবস্থা দারুণ। তিনটি বেশ ভালো একাডেমি আছে সেখানে। ভালো মানের ফুটবলার তৈরি হচ্ছে নিয়মিত।’
অন্য দেশে জন্মালেও মরোক্কানদের স্বদেশপ্রেম প্রবল বলে জানালেন হাকিম। তিনি নিজেও জন্মেছেন সুইডেনে। থাকেন ডেনমার্কে। কিন্তু আরবি বলতে পারেন অনর্গল। ছেলেদের সঙ্গেও আছে আরবির চর্চা। হাকিমি-জিয়েশদের মতো ছেলেদের বিশ্বমানের ফুটবলার বানানোর স্বপ্ন হাকিমের। সেই স্বপ্নে খানিকটা বাধা পরেছে বাংলাদেশে উন্নত ফুটবল অবকাঠামো না থাকায়। তাই ইউরোপে ফিরে ছেলেদের নিয়ে স্বপ্নপূরণের লক্ষ্যে আবারও নেমে পড়তে চান শখের এই কোচ, ‘ইউরোপে যখন আমরা থাকি, তখন চেষ্টা করি ছেলেদের কঠোর অনুশীলনে রাখার। বাংলাদেশে অবকাঠামোর অভাব আছে ঠিকই, কিন্তু কিছু করার নেই। ইউরোপে ফিরে গেলে আবার আমরা অনুশীলনে নেমে পড়ব। আমার ছেলেরা যদি কখনো জাতীয় দলে খেলতে পারে সেটাই হবে আমার জীবনের সবচেয়ে আনন্দের দিন।’
৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে বাংলাদেশ দলের পাকিস্তান সফর শুরু হচ্ছে আগামী ২১ মে। তার আগে আরব আমিরাতে একটি দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। আরব আমিরাতের বিপক্ষে বাংলাদেশ সবশেষ দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলেছে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে।
৬ ঘণ্টা আগেআর্চারি ফেডারেশনের অ্যাডহক কমিটি নিয়ে বিতর্ক যেন কাটছেই না। এবার এই কমিটিকে স্বীকৃতি দিতে নারাজ বিশ্ব আর্চারি সংস্থা। গত ২৮ এপ্রিল অ্যাডহক কমিটির সাধারণ সম্পাদক তানভীর আহমেদকে পাঠানো চিঠিতে এমনটা জানায় তারা।
৭ ঘণ্টা আগেসকালের সূর্যোদয় দেখলেই বোঝা যায় দিনটা কেমন যাবে। স্প্যানিশ বিস্ময় বালক লামিন ইয়ামাল মাত্র ১৭ বছর বয়সেই স্পেনের হয়ে ইউরো জিতেছেন। লা লিগার এবারের মৌসুমেই নিয়মিত আলো ছড়াচ্ছেন প্রতি ম্যাচেই। তাঁর পারফরম্যান্স নজর কেড়েছে কিংবদন্তিদেরও। লিওনেল মেসি থেকে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো সবার মুখেই প্রশংসা
৭ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রাম টেস্টের তৃতীয় সেশনেই ৮ উইকেট হারিয়েছে জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশের সম্মিলিত স্পিন আক্রমণে দিশেহারা হয়ে উঠে তাদের ব্যাটিং অর্ডার। ম্যাচশেষে বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত জানিয়েছেন, খেলা আজই শেষ করতে চেয়েছেন তাঁরা। চতুর্থ দিন না গড়াতে কঠিন বল করে গেছেন বোলাররা।
৭ ঘণ্টা আগে