ক্রীড়া ডেস্ক
কথায় আছে, টাকায় বাঘের দুধও মেলে। তবে এ কথার যথার্থতা নিয়ে আপত্তি তুলতে পারেন নাসের আল খেলাইফি। উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতে পিএসজিকে জাতে তোলার জন্য কী-ই না করেছেন তিনি। দেদার খরচ করেছেন। বিভিন্ন দল থেকে ধরে এনে পিএসজিকে বানিয়েছেন চাঁদের হাট। সে ‘হাটে’ কে না ছিলেন। লিওনেল মেসি, নেইমার, কিলিয়ান এমবাপ্পে, সার্জিও রামোস—সবাই ছিলেন। কিন্তু বস্তা বস্তা টাকা খরচ করে তারার হাট বসিয়েও চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতা হয়নি কাতারি নাসের আল খেলাইফির মালিকানাধীন পিএসজির।
সময়ের আবর্তে সেই তারার হাট ভেঙে গেছে। ক্যারিয়ারের সূর্য মধ্যগগনে থাকলেও ইউরোপ ছেড়ে নেইমার পাড়ি জমান সৌদি প্রো লিগের দল আল হিলালে। পরিবার নিয়ে মার্কিন মুলুকে থিতু হওয়ার লক্ষ্যে পিএসজি ছেড়ে লিওনেল মেসি চলে যান ইন্টার মায়ামিতে। পরে সেখান থেকে এমবাপ্পেও পাড়ি জামান রিয়াল মাদ্রিদে। তারাশূন্য সেই পিএসজি এবার খেলছে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে।
মেসি-নেইমার-এমবাপ্পেদের অনুপস্থিতিতে পিএসজিকে ‘তারাশূন্য’ বলা যেতেই পারে, কিন্তু তারার শূন্যতা, সে তো মাঠে। দলটির ডাগআউটে যে এখনো তারকা কোচ লুইস এনরিকে রয়ে গেছেন। তাঁর অধীনে সাফল্যের নতুন দিগন্ত খোলার দুয়ারে দাঁড়িয়ে পিএসজি। আগামীকাল ফাইনালে ইন্টারকে হারিয়ে দিলে প্রথমবারের মতো জিতবে চ্যাম্পিয়নস লিগ।
তারার হাটের ভাঙনের মুখেই পিএসজির দায়িত্ব নিয়েছিলেন এনরিকে। পিএসজিতে যোগ দেওয়ার আগে কোচ হিসেবে তাঁর অভিজ্ঞতা ভালো ছিল না। ২০২২ বিশ্বকাপে মরক্কোর বিপক্ষে শেষ ষোলোয় হেরে স্পেন বিদায় নিলে তাঁকে চাকরিচ্যুত হতে হয়। তাই যখন পিএসজির দায়িত্ব নেন, তখন অনেকে তাঁর জন্য চাকরিটি জেনেশুনে বিষপানের মতো মনে করেছিলেন। কারণ, মেসি, নেইমার ও এমবাপ্পে যে দলে; সেই দলের কোচ হওয়ার অর্থই নিজের দর্শন ও স্বকীয়তা বিসর্জন দেওয়া। সাফল্যের সব কৃতিত্ব তারকাদের, ব্যর্থতা সব কোচের।
সেই তারকারা একে একে যখন বিদায় নিলেন, তখন পিএসজিতে নতুন একটা দল গড়ার সুযোগ পেলেন কোচ এনরিকে। পিএসজির কাতারি মালিকও তারকাখচিত দল গড়ে সাফল্যের পেছনে ছোটার নীতি থেকে তত দিনে সরে এসেছিলেন। গত মৌসুমের শুরুতে পিএসজির মালিক নাসের আল খেলাইফি চ্যাম্পিয়নস লিগে তাঁরা আর আবিষ্ট নন জানিয়ে বলেছিলেন, ‘আমরা একটা নতুন পরিচয়, নিজেদের খেলার ধরন ও সংস্কৃতি তৈরি করছি।’ লুইস এনরিকে ক্লাবের মালিককে বোঝাতে পেরেছিলেন, নামীদামি তারকাদের ছাড়াও পিএসজি ভালো একটা দল হতে পারে। গত বছর ফেব্রুয়ারিতে তিনি বলেছিলেন, ‘সবকিছু ঠিকমতো চললে আমি নিশ্চিত, এবার আমরা দল হিসেবে আরও ভালো হয়ে উঠব।’
এনরিকের এই কথা তখন বিশ্বাস করা কঠিন ছিল। ওই সময়ে গ্রীষ্মকালীন দলবদলে নতুন কোনো স্ট্রাইকার কেনেনি পিএসজি। বলের দখল ধরে রেখে উচ্চগতির প্রেসিং ফুটবল—এটি এনরিকের কোচিং দর্শন। তিনি এই দর্শনে সফল হয়েছেন। সাদামাটা খেলোয়াড়দের নিয়ে অসাধারণ একটা দলের রূপ দিয়েছেন পিএসজিকে। চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলো, কোয়ার্টার ফাইনাল ও সেমিফাইনালে তারা হারিয়েছে তিন ইংলিশ জায়ান্ট লিভারপুল, অ্যাস্টন ভিলা ও আর্সেনালকে। স্বীকৃত কোনো ‘নাম্বার নাইনের’ অনুপস্থিতিতেও তেমন বেগ পেতে হয়নি পিএসজিকে। উল্টো উইঙ্গার উসমান দেম্বেলে পরিণত হয়েছেন ভয়ংকর এক গোল স্কোরারে। চলতি মৌসুমে তাঁর গোল ৩৩টি।
সব মিলিয়ে বলা যায়, এমবাপ্পেকে ছাড়াও পিএসজি ভালো দল। আর এর কৃতিত্ব লুইস এনরিকের। আগামীকালের ফাইনাল জিতলে ভিন্ন দুটি দলের হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ বিজয়ী কোচদের তালিকায় নাম লেখাবেন তিনি। ২০১৫ সালে বার্সাকে নিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছিলেন এনরিকে। তখন অবশ্য কাতালান দলটিতে মেসি-নেইমার-সুয়ারেজদের উদ্ভাসিত পারফরম্যান্স। সে সময় চ্যাম্পিয়নস লিগে যে কোচ এনরিকের ভূমিকা ছিল, সেটা সবাই মানতে চান না। এনরিকে বলছেন, ‘বার্সেলোনায় আমার কাজ ছিল অসাধারণ। যদিও অনেকে বলে, এই দল নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কথা। তবু কাজটা সহজ ছিল না।’ কিন্তু এবার পিএসজির ফাইনালে ওঠার পর নিন্দুকেরাও কোচ এনরিকেকে অন্য চোখে দেখবেন।
কথায় আছে, টাকায় বাঘের দুধও মেলে। তবে এ কথার যথার্থতা নিয়ে আপত্তি তুলতে পারেন নাসের আল খেলাইফি। উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতে পিএসজিকে জাতে তোলার জন্য কী-ই না করেছেন তিনি। দেদার খরচ করেছেন। বিভিন্ন দল থেকে ধরে এনে পিএসজিকে বানিয়েছেন চাঁদের হাট। সে ‘হাটে’ কে না ছিলেন। লিওনেল মেসি, নেইমার, কিলিয়ান এমবাপ্পে, সার্জিও রামোস—সবাই ছিলেন। কিন্তু বস্তা বস্তা টাকা খরচ করে তারার হাট বসিয়েও চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতা হয়নি কাতারি নাসের আল খেলাইফির মালিকানাধীন পিএসজির।
সময়ের আবর্তে সেই তারার হাট ভেঙে গেছে। ক্যারিয়ারের সূর্য মধ্যগগনে থাকলেও ইউরোপ ছেড়ে নেইমার পাড়ি জমান সৌদি প্রো লিগের দল আল হিলালে। পরিবার নিয়ে মার্কিন মুলুকে থিতু হওয়ার লক্ষ্যে পিএসজি ছেড়ে লিওনেল মেসি চলে যান ইন্টার মায়ামিতে। পরে সেখান থেকে এমবাপ্পেও পাড়ি জামান রিয়াল মাদ্রিদে। তারাশূন্য সেই পিএসজি এবার খেলছে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে।
মেসি-নেইমার-এমবাপ্পেদের অনুপস্থিতিতে পিএসজিকে ‘তারাশূন্য’ বলা যেতেই পারে, কিন্তু তারার শূন্যতা, সে তো মাঠে। দলটির ডাগআউটে যে এখনো তারকা কোচ লুইস এনরিকে রয়ে গেছেন। তাঁর অধীনে সাফল্যের নতুন দিগন্ত খোলার দুয়ারে দাঁড়িয়ে পিএসজি। আগামীকাল ফাইনালে ইন্টারকে হারিয়ে দিলে প্রথমবারের মতো জিতবে চ্যাম্পিয়নস লিগ।
তারার হাটের ভাঙনের মুখেই পিএসজির দায়িত্ব নিয়েছিলেন এনরিকে। পিএসজিতে যোগ দেওয়ার আগে কোচ হিসেবে তাঁর অভিজ্ঞতা ভালো ছিল না। ২০২২ বিশ্বকাপে মরক্কোর বিপক্ষে শেষ ষোলোয় হেরে স্পেন বিদায় নিলে তাঁকে চাকরিচ্যুত হতে হয়। তাই যখন পিএসজির দায়িত্ব নেন, তখন অনেকে তাঁর জন্য চাকরিটি জেনেশুনে বিষপানের মতো মনে করেছিলেন। কারণ, মেসি, নেইমার ও এমবাপ্পে যে দলে; সেই দলের কোচ হওয়ার অর্থই নিজের দর্শন ও স্বকীয়তা বিসর্জন দেওয়া। সাফল্যের সব কৃতিত্ব তারকাদের, ব্যর্থতা সব কোচের।
সেই তারকারা একে একে যখন বিদায় নিলেন, তখন পিএসজিতে নতুন একটা দল গড়ার সুযোগ পেলেন কোচ এনরিকে। পিএসজির কাতারি মালিকও তারকাখচিত দল গড়ে সাফল্যের পেছনে ছোটার নীতি থেকে তত দিনে সরে এসেছিলেন। গত মৌসুমের শুরুতে পিএসজির মালিক নাসের আল খেলাইফি চ্যাম্পিয়নস লিগে তাঁরা আর আবিষ্ট নন জানিয়ে বলেছিলেন, ‘আমরা একটা নতুন পরিচয়, নিজেদের খেলার ধরন ও সংস্কৃতি তৈরি করছি।’ লুইস এনরিকে ক্লাবের মালিককে বোঝাতে পেরেছিলেন, নামীদামি তারকাদের ছাড়াও পিএসজি ভালো একটা দল হতে পারে। গত বছর ফেব্রুয়ারিতে তিনি বলেছিলেন, ‘সবকিছু ঠিকমতো চললে আমি নিশ্চিত, এবার আমরা দল হিসেবে আরও ভালো হয়ে উঠব।’
এনরিকের এই কথা তখন বিশ্বাস করা কঠিন ছিল। ওই সময়ে গ্রীষ্মকালীন দলবদলে নতুন কোনো স্ট্রাইকার কেনেনি পিএসজি। বলের দখল ধরে রেখে উচ্চগতির প্রেসিং ফুটবল—এটি এনরিকের কোচিং দর্শন। তিনি এই দর্শনে সফল হয়েছেন। সাদামাটা খেলোয়াড়দের নিয়ে অসাধারণ একটা দলের রূপ দিয়েছেন পিএসজিকে। চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলো, কোয়ার্টার ফাইনাল ও সেমিফাইনালে তারা হারিয়েছে তিন ইংলিশ জায়ান্ট লিভারপুল, অ্যাস্টন ভিলা ও আর্সেনালকে। স্বীকৃত কোনো ‘নাম্বার নাইনের’ অনুপস্থিতিতেও তেমন বেগ পেতে হয়নি পিএসজিকে। উল্টো উইঙ্গার উসমান দেম্বেলে পরিণত হয়েছেন ভয়ংকর এক গোল স্কোরারে। চলতি মৌসুমে তাঁর গোল ৩৩টি।
সব মিলিয়ে বলা যায়, এমবাপ্পেকে ছাড়াও পিএসজি ভালো দল। আর এর কৃতিত্ব লুইস এনরিকের। আগামীকালের ফাইনাল জিতলে ভিন্ন দুটি দলের হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ বিজয়ী কোচদের তালিকায় নাম লেখাবেন তিনি। ২০১৫ সালে বার্সাকে নিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছিলেন এনরিকে। তখন অবশ্য কাতালান দলটিতে মেসি-নেইমার-সুয়ারেজদের উদ্ভাসিত পারফরম্যান্স। সে সময় চ্যাম্পিয়নস লিগে যে কোচ এনরিকের ভূমিকা ছিল, সেটা সবাই মানতে চান না। এনরিকে বলছেন, ‘বার্সেলোনায় আমার কাজ ছিল অসাধারণ। যদিও অনেকে বলে, এই দল নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কথা। তবু কাজটা সহজ ছিল না।’ কিন্তু এবার পিএসজির ফাইনালে ওঠার পর নিন্দুকেরাও কোচ এনরিকেকে অন্য চোখে দেখবেন।
গলে ম্যাচ ড্র হওয়া অনেকটা চোখ কপালে ওঠার মতো। সমুদ্রঘেঁষা এই ভেন্যুতে সবশেষ ২৬ ম্যাচে কোনো দলই ড্রয়ের জন্য সমঝোতা করেনি। বাংলাদেশের ম্যাচ দিয়ে ইতি টানল সেই ধারাবাহিকতার। ম্যাচটি কি জেতার জন্য খেলতে পারত না বাংলাদেশ? পারত না আরেকটু আগে ইনিংস ঘোষণা করতে? সেই প্রশ্নগুলোই রাখা হয়েছিল সংবাদ সম্মেলনে...
১০ ঘণ্টা আগেএক টেস্টে জোড়া সেঞ্চুরি আগেও দেখেছে বাংলাদেশ। নাজমুল হোসেন শান্ত প্রায় দুই বছর আগে সেই ক্লাবে নাম লেখান। এবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গলে জোড়া সেঞ্চুরি করে নতুন কীর্তি গড়লেন তিনি। বাংলাদেশের কোনো অধিনায়কই এর আগে এক টেস্টে দুই সেঞ্চুরি হাঁকাতে পারেননি। এই রেকর্ডে নাম লেখানোর কথা আগে থেকে জানতেন না শান্ত।
১২ ঘণ্টা আগেকিছু কি মনে পড়ছে? না পড়লেও অবশ্য দোষের কিছু নেই। মেলবোর্নে গত বছর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৩৭ বলে ২৮ রানের ইনিংস খেলে তোপের মুখে পড়েন ঋষভ পন্ত। তাঁর আউটের ধরন দেখে রীতিমত ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন কিংবদন্তি সুনীল গাভাস্কার। ধারাভাষ্যকক্ষে মাইক হাতে তিরস্কার করতে থাকেন ‘স্টুপিড, স্টুপিড, স্টুপিড’ বলে
১৩ ঘণ্টা আগেদিন শেষ হতে তখনো বাকি আরও ৫ ওভার। ৩০ বলে শ্রীলঙ্কার ৬ উইকেট পড়ে যাবে এমন ভাবাটা আকাশ-কুসুম কল্পনার মতো। বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত তাই বাস্তবতা মেনে নিয়ে ছুটে গেলেন লঙ্কান অধিনায়ক ধনঞ্জয়া ডি সিলভার সঙ্গে করমর্দন করতে। বাকিরাও তা অনুসরণ করতে থাকেন।
১৩ ঘণ্টা আগে