তারকা ফুটবলারদেরও তো অফফর্ম যায়। সেখান থেকে আবার তাঁরা ঘুরে দাঁড়াতেও জানেন। দলের প্রয়োজনে পার্থক্য করে দিতে পারেন। লিওনেল মেসি আজ তেমনি ইন্টার মায়ামিকে বাঁচালেন নিশ্চিত পরাজয়ের হাত থেকে। ম্যাচে তাঁকে শাস্তিও পেতে হয়েছে।
বাংলাদেশ সময় আজ ভোরে চেজ স্টেডিয়ামে শার্লটের বিপক্ষে মায়ামির শুরুর একাদশে ছিলেন মেসি। মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) ম্যাচটিতে খেলেছেন শেষ অব্দিও। শার্লটের বিপক্ষে মায়ামি দাপট দেখিয়ে খেলেছে। ৬১ শতাংশ বল দখলে রেখে প্রতিপক্ষের লক্ষ্য বরাবর মায়ামির শট ছিল ৮। মেসিদের দাপট দেখানোর ম্যাচে চলেছে ফাউলের বন্যা। ১৭ ফাউল হয়েছে ম্যাচে (মায়ামি ৯, শার্লট ৮)। রেফারিকে ছয়বার হলুদ কার্ড বের করতে হয়েছে, যেখানে মায়ামিই দেখেছে ৫টি। মেসি রেফারির সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে শেষ মুহূর্তে দেখলেন হলুদ কার্ড।
ইন্টার মায়ামি-শার্লট ম্যাচে প্রথম গোলটা হজম করে মায়ামি। ৫৭ মিনিটে গোল করেন শার্লট ফরোয়ার্ড ক্যারল সুইডারস্কি। তাঁকে অ্যাসিস্ট করেন ব্র্যান্ড বনিকো। গোল শোধ করতে এরপর মরিয়া হয়ে ওঠে মায়ামি। ৬১ মিনিটে মেসির থ্রু বল রিসিভ করে শার্লটের লক্ষ্য বরাবর শট করেন লুইস সুয়ারেজ। তবে শার্লটের গোলরক্ষক ক্রিস্টিজান কাহলিনা সেই শট প্রতিহত করেন। ঠিক তার পরের মিনিটে গোল প্রায় পেয়েই গিয়েছিল মায়ামি। ৬২ মিনিটে জদি আলবার পাস রিসিভ করে দুর্দান্ত এক হেড দেন মেসি। এবারও মায়ামিকে হতাশ করেন শার্লট গোলরক্ষক।
বারবার হতাশ হতে থাকা মায়ামি দিশা খুঁজে পেয়েছে মেসিতেই। ৬৭ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে বাঁ পায়ের জোরালো শটে লক্ষ্য ভেদ করেন মেসি। আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডকে অ্যাসিস্ট করেন মার্সেলো উইগান্ড। সমতায় ফেরার ১০ মিনিট পর মায়ামি হয়তো ভেবেছিল, জয়সূচক গোলটাও পেতে যাচ্ছে। কারণ ৭৭ মিনিটে শার্লট ডিফেন্ডার আদিলসন মালান্দা বক্সের মধ্যে ফেলে দেন মায়ামির দিয়েগো গোমেজকে। রেফারি ফাউলের বাঁশি বাজিয়ে পেনাল্টিও দিয়েছেন। তবে ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি (ভিএআর) সেটা পর্যালোচনা করার পর পেনাল্টির সিদ্ধান্ত বাতিল হয়ে যায়।
শেষের দিকে মেসি, মাতিয়াস রোহা, লিওনার্দো কাম্পানারা মায়ামিকে এগিয়ে নেওয়ার সর্বাত্মক চেষ্টা করেছেন। তবে ফিনিশিংয়ে যেমন মায়ামির দুর্বলতা দেখা গেছে, তেমনি শার্লট গোলরক্ষকও হয়ে ওঠেন দুর্দান্ত। ম্যাচ ড্র হওয়ায় পেনাল্টি না দেওয়ার রাগটা মেসি উগড়ে দেন রেফারির ওপর। রেফারিও নির্দ্বিধায় বের করেছেন হলুদ কার্ড।
এমএলএসের এক মৌসুমে সর্বোচ্চ ৭৩ পয়েন্টের রেকর্ড ২০২১ সালে গড়েছে নিউ ইংল্যান্ড। তিন বছর পর রেকর্ডটি নিজের নামে লিখে নেওয়ার দারুণ সম্ভাবনা রয়েছে মায়ামির। রেকর্ড গড়ার কাছাকাছি আসতেই ধাক্কা খাচ্ছে মায়ামি। নিউইয়র্ক সিটি, শার্লট—টানা দুই ম্যাচে মায়ামি ১-১ গোলে ড্র করেছে। ইস্টার্ন কনফারেন্সে এখন ৩১ ম্যাচে ৬৫ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে ইন্টার মায়ামি। নিউ ইংল্যান্ডের রেকর্ড ভাঙতে হলে নিজেদের শেষ তিন ম্যাচের তিনটিই জিততে হবে মায়ামিকে।
এমএলএসে এক মৌসুমে সর্বোচ্চ পয়েন্ট পাওয়া তিন দল
দল পয়েন্ট সাল
নিউ ইংল্যান্ড ৭৩ ২০২১
লস অ্যাঞ্জেলেস এফসি (এলএএফসি) ৭২ ২০১৯
নিউইয়র্ক রেড বুলস ৭১ ২০১৮
আরও খবর পড়ুন:
তারকা ফুটবলারদেরও তো অফফর্ম যায়। সেখান থেকে আবার তাঁরা ঘুরে দাঁড়াতেও জানেন। দলের প্রয়োজনে পার্থক্য করে দিতে পারেন। লিওনেল মেসি আজ তেমনি ইন্টার মায়ামিকে বাঁচালেন নিশ্চিত পরাজয়ের হাত থেকে। ম্যাচে তাঁকে শাস্তিও পেতে হয়েছে।
বাংলাদেশ সময় আজ ভোরে চেজ স্টেডিয়ামে শার্লটের বিপক্ষে মায়ামির শুরুর একাদশে ছিলেন মেসি। মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) ম্যাচটিতে খেলেছেন শেষ অব্দিও। শার্লটের বিপক্ষে মায়ামি দাপট দেখিয়ে খেলেছে। ৬১ শতাংশ বল দখলে রেখে প্রতিপক্ষের লক্ষ্য বরাবর মায়ামির শট ছিল ৮। মেসিদের দাপট দেখানোর ম্যাচে চলেছে ফাউলের বন্যা। ১৭ ফাউল হয়েছে ম্যাচে (মায়ামি ৯, শার্লট ৮)। রেফারিকে ছয়বার হলুদ কার্ড বের করতে হয়েছে, যেখানে মায়ামিই দেখেছে ৫টি। মেসি রেফারির সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে শেষ মুহূর্তে দেখলেন হলুদ কার্ড।
ইন্টার মায়ামি-শার্লট ম্যাচে প্রথম গোলটা হজম করে মায়ামি। ৫৭ মিনিটে গোল করেন শার্লট ফরোয়ার্ড ক্যারল সুইডারস্কি। তাঁকে অ্যাসিস্ট করেন ব্র্যান্ড বনিকো। গোল শোধ করতে এরপর মরিয়া হয়ে ওঠে মায়ামি। ৬১ মিনিটে মেসির থ্রু বল রিসিভ করে শার্লটের লক্ষ্য বরাবর শট করেন লুইস সুয়ারেজ। তবে শার্লটের গোলরক্ষক ক্রিস্টিজান কাহলিনা সেই শট প্রতিহত করেন। ঠিক তার পরের মিনিটে গোল প্রায় পেয়েই গিয়েছিল মায়ামি। ৬২ মিনিটে জদি আলবার পাস রিসিভ করে দুর্দান্ত এক হেড দেন মেসি। এবারও মায়ামিকে হতাশ করেন শার্লট গোলরক্ষক।
বারবার হতাশ হতে থাকা মায়ামি দিশা খুঁজে পেয়েছে মেসিতেই। ৬৭ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে বাঁ পায়ের জোরালো শটে লক্ষ্য ভেদ করেন মেসি। আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডকে অ্যাসিস্ট করেন মার্সেলো উইগান্ড। সমতায় ফেরার ১০ মিনিট পর মায়ামি হয়তো ভেবেছিল, জয়সূচক গোলটাও পেতে যাচ্ছে। কারণ ৭৭ মিনিটে শার্লট ডিফেন্ডার আদিলসন মালান্দা বক্সের মধ্যে ফেলে দেন মায়ামির দিয়েগো গোমেজকে। রেফারি ফাউলের বাঁশি বাজিয়ে পেনাল্টিও দিয়েছেন। তবে ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি (ভিএআর) সেটা পর্যালোচনা করার পর পেনাল্টির সিদ্ধান্ত বাতিল হয়ে যায়।
শেষের দিকে মেসি, মাতিয়াস রোহা, লিওনার্দো কাম্পানারা মায়ামিকে এগিয়ে নেওয়ার সর্বাত্মক চেষ্টা করেছেন। তবে ফিনিশিংয়ে যেমন মায়ামির দুর্বলতা দেখা গেছে, তেমনি শার্লট গোলরক্ষকও হয়ে ওঠেন দুর্দান্ত। ম্যাচ ড্র হওয়ায় পেনাল্টি না দেওয়ার রাগটা মেসি উগড়ে দেন রেফারির ওপর। রেফারিও নির্দ্বিধায় বের করেছেন হলুদ কার্ড।
এমএলএসের এক মৌসুমে সর্বোচ্চ ৭৩ পয়েন্টের রেকর্ড ২০২১ সালে গড়েছে নিউ ইংল্যান্ড। তিন বছর পর রেকর্ডটি নিজের নামে লিখে নেওয়ার দারুণ সম্ভাবনা রয়েছে মায়ামির। রেকর্ড গড়ার কাছাকাছি আসতেই ধাক্কা খাচ্ছে মায়ামি। নিউইয়র্ক সিটি, শার্লট—টানা দুই ম্যাচে মায়ামি ১-১ গোলে ড্র করেছে। ইস্টার্ন কনফারেন্সে এখন ৩১ ম্যাচে ৬৫ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে ইন্টার মায়ামি। নিউ ইংল্যান্ডের রেকর্ড ভাঙতে হলে নিজেদের শেষ তিন ম্যাচের তিনটিই জিততে হবে মায়ামিকে।
এমএলএসে এক মৌসুমে সর্বোচ্চ পয়েন্ট পাওয়া তিন দল
দল পয়েন্ট সাল
নিউ ইংল্যান্ড ৭৩ ২০২১
লস অ্যাঞ্জেলেস এফসি (এলএএফসি) ৭২ ২০১৯
নিউইয়র্ক রেড বুলস ৭১ ২০১৮
আরও খবর পড়ুন:
ঘুমিয়ে পড়া বাংলাদেশ ফুটবল জেগে ওঠার স্বপ্ন দেখছে প্রবাসী ফুটবলারদের ঘিরে। ১০ জুন সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচে শুরুর একাদশে ৫ জনই ছিলেন প্রবাসী। যদিও ম্যাচটি জিততে পারেনি বাংলাদেশ, হেরেছে ২-১ গোলে। শুরুতে ধাক্কা খেলেও সফলতার খোঁজে বাংলাদেশ চোখ রাখতে পারে সুরিনামের দিকে।
৮ মিনিট আগেক্লাব বিশ্বকাপে আজ নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামছে রিয়াল মাদ্রিদ ও ম্যানচেস্টার সিটি। রাত ১টায় রিয়াল খেলকে পাচুয়ার বিপক্ষে। নিজেদের প্রথম ম্যাচে আল হিলালের সঙ্গে ড্র করেছে তারা। কাল সকাল ৭টায় ম্যানসিটি মাঠে নামবে সৌদির ক্লাব আল আইনের বিপক্ষে।
১৬ মিনিট আগেআর্জেন্টিনা জিতল সবশেষ ফুটবল বিশ্বকাপ। ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপেও লাতিনের দলগুলো যেভাবে দাপট দেখাচ্ছে—তাহলে কি এবার এই টুর্নামেন্টও জিতবে লাতিন আমেরিকার কোনো ক্লাব? এই প্রশ্নে ব্রাজিলিয়ান ক্লাব ফ্ল্যামেঙ্গোর কোচ ফিলিপে লুইসের উত্তর অন্তত ‘হ্যাঁ’।
৩২ মিনিট আগেগলে ম্যাচ ড্র হওয়া অনেকটা চোখ কপালে ওঠার মতো। সমুদ্রঘেঁষা এই ভেন্যুতে সবশেষ ২৬ ম্যাচে কোনো দলই ড্রয়ের জন্য সমঝোতা করেনি। বাংলাদেশের ম্যাচ দিয়ে ইতি টানল সেই ধারাবাহিকতার। ম্যাচটি কি জেতার জন্য খেলতে পারত না বাংলাদেশ? পারত না আরেকটু আগে ইনিংস ঘোষণা করতে? সেই প্রশ্নগুলোই রাখা হয়েছিল সংবাদ সম্মেলনে...
১৪ ঘণ্টা আগে