আজকের পত্রিকা ডেস্ক
ইচ্ছা ছিল, ছিল চেষ্টা আর দারুণ আত্মবিশ্বাস—তাতেই শেষ পর্যন্ত জয়ের বন্দরে নোঙর করেছে বাংলাদেশ। বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় আজ মালদ্বীপের বিপক্ষে বছরের শেষ ম্যাচ খেলতে নামে হাভিয়ের কাবরেরার শিষ্যরা। শুরুর দিকে মালদ্বীপ লিড নিলেও ম্যাচটা ঠিকই ২-১ ব্যবধানে জিতে নেয় লাল-সবুজের জার্সিধারীরা।
যে জয়ের নায়ক পাপন সিং। অতিরিক্ত সময়ে তাঁর গোলেই শেষ হাসি ফোটে বাংলাদেশের মুখে। যদিও এটা ২০২৪ সালে বাংলাদেশের দ্বিতীয় জয়। এদিন প্রথম ম্যাচের মতো শুরুতেই খেই হারায় বাংলাদেশ। রক্ষণের ভুলে দ্রুতই গোল হজম করেন স্বাগতিকেরা। আর মালদ্বীপের গত ম্যাচের জয়ের নায়ক আলী ফাসিরই কাঁপিয়ে দেন বাংলাদেশের রক্ষণভাগ। ম্যাচের ২৩ মিনিটে ইব্রাহিম মাহুদের বাড়ানো বল ডি বক্সে পান ফাসির। তাঁর পাশেই ছিলেন বাংলাদেশের তপু বর্মণ। আর একটু সামনে সাদ উদ্দিন। কিন্তু ফাসিরকে আটকাতে ব্যর্থ হন তপু ও সাদ। এই সুযোগে নিখুঁত শটে বাংলাদেশের জালে বল জড়ান মালদ্বীপের এই মিডফিল্ডার। প্রথম ম্যাচেও ফাসিরের গোলে হেরে যায় বাংলাদেশ। এর পাঁচ মিনিট পর পাল্টা আক্রমণ থেকে গোলের সুযোগ তৈরি করলেও মালদ্বীপের রক্ষণ দেয়াল টপকাতে পারেননি মোরসালিনরা।
এক গোল হজম করে কিছুটা তেড়েফুঁড়ে আক্রমণ সাজানোর চেষ্টা করে বাংলাদেশ। তবে স্বাগতিকদের বেশ কয়েকটি আক্রমণ মাঝমাঠেই নস্যাৎ করে দেয় মালদ্বীপ। ৩৯ মিনিটে মাঝ মাঠ দিয়ে আক্রমণে উঠে বাংলাদেশ। বক্সের একেবারে মাঝখানে জায়গা পেয়ে শট নেন ফাহিম। কিন্তু তার শট প্রতিপক্ষ গোলকিপার শরিফ হোসাইনের নাগালে থাকায় রুখে দেন তিনি। তবে শটে গতি থাকায় বল গ্লাভসবন্দী না করে ফিস্ট করে দেন মালদ্বীপের গোলকিপার। আলগা বল পেয়ে ফিরতি শট নেন মোরসালিন। কিন্তু তাঁর শট পোস্টের ওপর দিয়েই চলে যায়। ৪৩ মিনিটে আর ভুল হয়নি। ডান পাশে ধরে আক্রমণ শানায় হাভিয়ের কাবরেরার শিষ্যরা। ডি বক্সের বাইরে বল পেয়ে মজিবুর রহমান জনি শুরুতে দেন শেখ মোরসালিনকে। মোরসালিন শট নেওয়ার জায়গা না পেয়ে বলটা আবার জনিকে ফেরত দেন। আর সেই বল ডান পায়ের বুলেট গতির শটে পোস্টের বাঁ পাশ দিয়ে জালে পাঠান এই মিডফিল্ডার। ম্যাচে সমতায় ফেরে বাংলাদেশ।
বিরতির পর ৪৯ মিনিটে রাকিবের জোরালো শট পোস্টের ওপর দিয়ে তুলে দেন মালদ্বীপের গোলকিপার শরিফ। তাতে কর্নার পায় বাংলাদেশ। তবে সেই কর্নার থেকে আশা জাগানিয়া কোনো সুযোগ তৈরি করা যায়নি। ৫৩ মিনিটে বাংলাদেশের গোলকিপার মিতুল মার্মার দারুণ সেভ নিশ্চিত গোল বাঁচিয়ে দেয়। বাঁ পাশ থেকে গোলমুখে ক্রস পাঠান মালদ্বীপের নাঈজ হাসান। সেই ক্রসে মাথা ঠুকলেও পজিশনমতো থেকে বল রুখে দেন আহমেদ রিজওয়ান। ৫৮ মিনিটে মালদ্বীপের আরেকটি গোছানো আক্রমণ নিজেদের ভুলেই সফলতা পায়নি। এর এক মিনিট পর ফাঁকা রক্ষণ পেয়েও বল ক্রস করতে পারেননি বাংলাদেশের ফাহিম। ম্যাচে লিড নিতে এভাবেই নিয়মিত আক্রমণ চালিয়ে যায় বাংলাদেশ। ৬০ থেকে ৭৫ মিনিটে আরো তিনবার আক্রমণ করেও দ্বিতীয় সাফল্যের দেখা পায়নি লাল সবুজের দল।
সময় যত গড়ায় ফাউলের সংখ্যাও তত বাড়তে থাকে। দুই দলই মরিয়া হয়ে উঠে দ্বিতীয় গোলের জন্য। বাংলাদেশের কোচ একাদশে আনেন তিন বদল। মোরসালিনকে উঠিয়ে নামানো হয় পিয়াস আহমেদ নোভাকে। যেটা বাংলাদেশের জার্সিতে তাঁর প্রথম ম্যাচ। তাতে আক্রমণে গতি বাড়লেও মালদ্বীপের শক্ত রক্ষণ টপকানো কঠিনই হয়ে যায়। চার ডিফেন্ডারের সঙ্গে আরও দু-একজনকে দেখা যায় রক্ষণ পাহারায়। যে কারণে একের পর এক আক্রমণ করেও আর গোলের দেখা পাওয়া যায়নি। তবে ৮৪ মিনিটে প্রতিপক্ষের গোলকিপারকে একা পেয়েও জালে বল জড়াতে পারেননি জাতীয় দলে অভিষেক হওয়া নোভা। যোগ করা মিনিটে বাংলাদেশের গোছানো আক্রমণে শেষ পর্যন্ত আসে জয়সূচক গোলটি। বক্সের মধ্যে প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারদের চোখ ফাঁকি দিয়ে মালদ্বীপের জাল কাঁপান সোহেল রানার বদলি হিসেবে নামা পাপন সিং। যার সুবাদে ধরা দেয় দারুণ এক জয়।
ইচ্ছা ছিল, ছিল চেষ্টা আর দারুণ আত্মবিশ্বাস—তাতেই শেষ পর্যন্ত জয়ের বন্দরে নোঙর করেছে বাংলাদেশ। বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় আজ মালদ্বীপের বিপক্ষে বছরের শেষ ম্যাচ খেলতে নামে হাভিয়ের কাবরেরার শিষ্যরা। শুরুর দিকে মালদ্বীপ লিড নিলেও ম্যাচটা ঠিকই ২-১ ব্যবধানে জিতে নেয় লাল-সবুজের জার্সিধারীরা।
যে জয়ের নায়ক পাপন সিং। অতিরিক্ত সময়ে তাঁর গোলেই শেষ হাসি ফোটে বাংলাদেশের মুখে। যদিও এটা ২০২৪ সালে বাংলাদেশের দ্বিতীয় জয়। এদিন প্রথম ম্যাচের মতো শুরুতেই খেই হারায় বাংলাদেশ। রক্ষণের ভুলে দ্রুতই গোল হজম করেন স্বাগতিকেরা। আর মালদ্বীপের গত ম্যাচের জয়ের নায়ক আলী ফাসিরই কাঁপিয়ে দেন বাংলাদেশের রক্ষণভাগ। ম্যাচের ২৩ মিনিটে ইব্রাহিম মাহুদের বাড়ানো বল ডি বক্সে পান ফাসির। তাঁর পাশেই ছিলেন বাংলাদেশের তপু বর্মণ। আর একটু সামনে সাদ উদ্দিন। কিন্তু ফাসিরকে আটকাতে ব্যর্থ হন তপু ও সাদ। এই সুযোগে নিখুঁত শটে বাংলাদেশের জালে বল জড়ান মালদ্বীপের এই মিডফিল্ডার। প্রথম ম্যাচেও ফাসিরের গোলে হেরে যায় বাংলাদেশ। এর পাঁচ মিনিট পর পাল্টা আক্রমণ থেকে গোলের সুযোগ তৈরি করলেও মালদ্বীপের রক্ষণ দেয়াল টপকাতে পারেননি মোরসালিনরা।
এক গোল হজম করে কিছুটা তেড়েফুঁড়ে আক্রমণ সাজানোর চেষ্টা করে বাংলাদেশ। তবে স্বাগতিকদের বেশ কয়েকটি আক্রমণ মাঝমাঠেই নস্যাৎ করে দেয় মালদ্বীপ। ৩৯ মিনিটে মাঝ মাঠ দিয়ে আক্রমণে উঠে বাংলাদেশ। বক্সের একেবারে মাঝখানে জায়গা পেয়ে শট নেন ফাহিম। কিন্তু তার শট প্রতিপক্ষ গোলকিপার শরিফ হোসাইনের নাগালে থাকায় রুখে দেন তিনি। তবে শটে গতি থাকায় বল গ্লাভসবন্দী না করে ফিস্ট করে দেন মালদ্বীপের গোলকিপার। আলগা বল পেয়ে ফিরতি শট নেন মোরসালিন। কিন্তু তাঁর শট পোস্টের ওপর দিয়েই চলে যায়। ৪৩ মিনিটে আর ভুল হয়নি। ডান পাশে ধরে আক্রমণ শানায় হাভিয়ের কাবরেরার শিষ্যরা। ডি বক্সের বাইরে বল পেয়ে মজিবুর রহমান জনি শুরুতে দেন শেখ মোরসালিনকে। মোরসালিন শট নেওয়ার জায়গা না পেয়ে বলটা আবার জনিকে ফেরত দেন। আর সেই বল ডান পায়ের বুলেট গতির শটে পোস্টের বাঁ পাশ দিয়ে জালে পাঠান এই মিডফিল্ডার। ম্যাচে সমতায় ফেরে বাংলাদেশ।
বিরতির পর ৪৯ মিনিটে রাকিবের জোরালো শট পোস্টের ওপর দিয়ে তুলে দেন মালদ্বীপের গোলকিপার শরিফ। তাতে কর্নার পায় বাংলাদেশ। তবে সেই কর্নার থেকে আশা জাগানিয়া কোনো সুযোগ তৈরি করা যায়নি। ৫৩ মিনিটে বাংলাদেশের গোলকিপার মিতুল মার্মার দারুণ সেভ নিশ্চিত গোল বাঁচিয়ে দেয়। বাঁ পাশ থেকে গোলমুখে ক্রস পাঠান মালদ্বীপের নাঈজ হাসান। সেই ক্রসে মাথা ঠুকলেও পজিশনমতো থেকে বল রুখে দেন আহমেদ রিজওয়ান। ৫৮ মিনিটে মালদ্বীপের আরেকটি গোছানো আক্রমণ নিজেদের ভুলেই সফলতা পায়নি। এর এক মিনিট পর ফাঁকা রক্ষণ পেয়েও বল ক্রস করতে পারেননি বাংলাদেশের ফাহিম। ম্যাচে লিড নিতে এভাবেই নিয়মিত আক্রমণ চালিয়ে যায় বাংলাদেশ। ৬০ থেকে ৭৫ মিনিটে আরো তিনবার আক্রমণ করেও দ্বিতীয় সাফল্যের দেখা পায়নি লাল সবুজের দল।
সময় যত গড়ায় ফাউলের সংখ্যাও তত বাড়তে থাকে। দুই দলই মরিয়া হয়ে উঠে দ্বিতীয় গোলের জন্য। বাংলাদেশের কোচ একাদশে আনেন তিন বদল। মোরসালিনকে উঠিয়ে নামানো হয় পিয়াস আহমেদ নোভাকে। যেটা বাংলাদেশের জার্সিতে তাঁর প্রথম ম্যাচ। তাতে আক্রমণে গতি বাড়লেও মালদ্বীপের শক্ত রক্ষণ টপকানো কঠিনই হয়ে যায়। চার ডিফেন্ডারের সঙ্গে আরও দু-একজনকে দেখা যায় রক্ষণ পাহারায়। যে কারণে একের পর এক আক্রমণ করেও আর গোলের দেখা পাওয়া যায়নি। তবে ৮৪ মিনিটে প্রতিপক্ষের গোলকিপারকে একা পেয়েও জালে বল জড়াতে পারেননি জাতীয় দলে অভিষেক হওয়া নোভা। যোগ করা মিনিটে বাংলাদেশের গোছানো আক্রমণে শেষ পর্যন্ত আসে জয়সূচক গোলটি। বক্সের মধ্যে প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারদের চোখ ফাঁকি দিয়ে মালদ্বীপের জাল কাঁপান সোহেল রানার বদলি হিসেবে নামা পাপন সিং। যার সুবাদে ধরা দেয় দারুণ এক জয়।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড ছিল ১৫৮। ২০০৯ সালে ব্রিসবেনে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এবং ২০২২ সালে পার্থে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এই রান তাড়া করে জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া। সেই রেকর্ড ভেঙে গতকাল কেয়ার্নসে নতুন রেকর্ড গড়ল অস্ট্রেলিয়া।
৬ ঘণ্টা আগেপাকিস্তান শাহিনসের কাছে বাজেভাবে হেরে অস্ট্রেলিয়ায় টপ এন্ড টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু করেছিল বাংলাদেশ ‘এ’। তবে দ্বিতীয় ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। আজ ডারউইনে নেপাল জাতীয় দলকে হারিয়েছে ৩২ রানে।
৭ ঘণ্টা আগেআসছে অক্টোবরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সংযুক্ত আরব আমিরাতে সাদা বলের সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। ৩টি টি-টোয়েন্টি ও সমান ম্যাচের একটি ওয়ানডে সিরিজের সূচিও গতকাল আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেছে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (এসিবি)।
৯ ঘণ্টা আগেএএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগে একই গ্রুপে পড়েছে ভারতীয় ক্লাব এফসি গোয়া ও সৌদি ক্লাব আল নাসর। সব ঠিক থাকলে ভারতে আসছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। সেজন্য ম্যাচটি রূপ নিয়েছে ঐতিহাসিকে। এফসি গোয়ার প্রধান নির্বাহী রবি পুষ্কুরের কাছে তা জীবনে একবার আসার মতো মুহূর্ত।
১০ ঘণ্টা আগে