Ajker Patrika

সাগরিকার হ্যাটট্রিকে নেপালকে উড়িয়ে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২১ জুলাই ২০২৫, ২১: ৩৩
সাগরিকার হ্যাটট্রিকে নেপালকে উড়িয়ে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। ছবি: বাফুফে
সাগরিকার হ্যাটট্রিকে নেপালকে উড়িয়ে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। ছবি: বাফুফে

আত্মবিশ্বাস নাকি জেদ—কোনটি বেশি কাজ করছিল মোসাম্মত সাগরিকার। জেদকে এগিয়ে রাখলে মন্দ হবে না। কারণ, নেপালের বিপক্ষেই লাল কার্ড দেখে তিন ম্যাচ মাঠের বাইরে থাকতে হয়েছে তাঁকে। ফেরার ম্যাচেও প্রতিপক্ষ নেপাল। প্রতিশোধের মঞ্চে নেপালকে একাই গুঁড়িয়ে দিলেন সাগরিকা। হ্যাটট্রিকসহ ৪ গোল করে বাংলাদেশকে ভাসালেন শিরোপার আনন্দে।

দরকার ছিল শুধু ড্রয়ের। সাগরিকার জ্বলে ওঠার ম্যাচে নেপালকে ৪-০ গোলে হারিয়ে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েই সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপ শেষ করে বাংলাদেশ। ৬ ম্যাচে পূর্ণ ১৮ পয়েন্ট অর্জন করে নিয়েছে পিটার বাটলারের দল।

বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় ম্যাচের শুরু থেকে নেপালকে চেপে ধরে স্বাগতিকেরা। দ্বিতীয় মিনিটে সাগরিকার নেওয়া শট ঠেকিয়ে দেন নেপাল গোলরক্ষক সুজাতা তামাং। পরের মিনিটে স্বপ্নার কর্নার থেকে বল পেয়েছিলেন মুনকি আক্তার। কিন্তু লক্ষ্যে শট নিতে পারেননি তিনি। পঞ্চম মিনিটে আবারও কর্নার পায় বাংলাদেশ। এবার সাগরিকার হেড গোললাইন থেকে ফিরিয়ে দেন আনিশা রায়।

অষ্টম মিনিটে সাগরিকাকে আর আটকে রাখতে পারেনি নেপালের ফুটবলাররা। মাঝমাঠ থেকে স্বপ্নার থ্রু বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ক্ষিপ্রগতিতে এগিয়ে যান তিনি। তাঁর পেছনে ছুটছিলেন অন্য ফুটবলাররা। সামনে কেবল সুজাতা। তাঁকে সহজেই পরাস্ত করে জালে বল ফেলেন সাগরিকা। অবশ্য গোল হওয়ার আগেই উদ্‌যাপন শুরু করে দেন তিনি। বুঝিয়ে দেন লাল কার্ডের জন্য আগের তিন ম্যাচে নিষেধাজ্ঞা কতটা গোলক্ষুধায় রেখেছিল তাঁকে।

১৯ মিনিটে বিপদের সামনে পড়ে বাংলাদেশ। আনিশার শট তালুবন্দী করতে গিয়ে তালগোল পাকিয়ে ফেলেন বাংলাদেশ গোলরক্ষক মিলি আক্তার। মিনার দুবার ওভারহেড কিক আফঈদা খন্দকার হেডে ক্লিয়ারের চেষ্টা করলেও বল চলে যায় পূর্ণিমা রায়ের কাছে ৷ তাঁর বল পোস্টে লাগার পর শুকরিয়া রায়ের হেড তালুবন্দী করেন মিলি।

২১ মিনিটে ফাঁকা জাল পেয়েছিলেন মুনকি। কিন্তু তাঁর শট গোললাইনের আগ থেকে ফেরান আনিশা। এরপর আক্রমণ হলেও সেভাবে আর বিপদ তৈরি করতে পারেনি দুই দল।

বিরতির পর দ্রুতই লিড দ্বিগুণ করে বাংলাদেশ। ৫১ মিনিটে নিজেদের অর্ধ থেকে পূজার পাসে ডান প্রান্তে বল পান উমেহলা। তাঁর পাস থেকে বক্সের সামনে বল পান সাগরিকা। দারুণভাবে নেপালের অধিনায়ক বীরসানা চৌধুরীকে কাটিয়ে বক্সের ভেতর ঢুকে কোনাকুনি শটে কাঁপান জাল। হ্যাটট্রিক পূরণ করতেও খুব বেশি সময় নেননি তিনি। ৫৬ মিনিটে মাঝমাঠ থেকে উড়ে আসা বলে আনিশার আগে দৌড়ে এগিয়ে যান এই ফরোয়ার্ড। চিপ শটে সুজাতার মাথার ওপর দিয়ে বল পাঠিয়ে বাংলাদেশের জয় একপ্রকার নিশ্চিতই করে দেন ঠাকুরগাঁওয়ের এই মেয়ে।

৭২ মিনিটে সাগরিকা হালি পূরণ করে ফেলেছিলেন। কিন্তু অফসাইডে বাতিল হয় সেই গোল। ৭৪ মিনিটে তাঁর শট ঠেকিয়ে দেন সুজাতা। ৭৭ মিনিটে আর কোনো ভুল করেননি সাগরিকা। মুনকির পাস থেকে দারুণ শটে পূরণ করেন হালি। টুর্নামেন্টে তিন ম্যাচ খেলে এটি তাঁর অষ্টম গোল। শেষদিকে নেপাল চেষ্টা করলেও আর সফল হতে পারেনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মৌচাকে গাড়িতে লাশ: ২৫ লাখ টাকায় যুক্তরাষ্ট্রের কথা বলে জাকিরকে শ্রীলঙ্কায় নিয়েছিল দালাল

যেভাবে শেখ হাসিনাকে ফেরানোর পরিকল্পনা চলছিল, স্বীকারোক্তিতে জানালেন মেজর সাদিকের স্ত্রী জাফরিন

পুলিশের এডিসিকে ছুরি মেরে পালিয়ে গেল ছিনতাইকারী

টেলিটক এখন গলার কাঁটা পর্যায়ে চলে এসেছে: ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব

সিন্ধু পানিবণ্টন নিয়ে আন্তর্জাতিক আদালতের রায় পাকিস্তানের বড় জয়: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত