Ajker Patrika

পাগলাটে ম্যাচ শেষে সাইফের হাসি 

পাগলাটে ম্যাচ শেষে সাইফের হাসি 

মনে রাখার মতো একটা ম্যাচই যেন আজ হয়ে গেল বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে। গোলের জন্য মরিয়া হয়ে খেলেছে আবাহনী। তবে শেষ হাসি হেসেছে সাইফ স্পোর্টিং। বৃষ্টি ভেজা ভারী মাঠে আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণের খেলায় ৩-২ গোলে জিতে আবাহনীর লিগ রানার্সআপ হওয়ার স্বপ্ন প্রায় কেড়ে নিয়েছে সাইফ স্পোর্টিং। 

লিগে নিজেদের তৃতীয় হারে পয়েন্ট টেবিলের তিনে অবস্থান আবাহনীর। ২১ ম্যাচে ৪০ পয়েন্ট দলটির। এক ম্যাচ কম খেলে ৪২ পয়েন্টে দুইয়ে আছে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। ২০ ম্যাচে ৩৫ পয়েন্টে নিয়ে ষষ্ঠস্থানে সাইফ। 

লিগের সেরা দুইয়ে থাকার স্বপ্ন নিয়ে দল গড়ে একের পর এক হারে লম্বা সময় পর্যন্ত পয়েন্ট টেবিলের সাতে পড়েছিল সাইফ স্পোর্টিং। খেসারত হিসেবে দুই ম্যাচ আগে ছাঁটাই হন ব্রিটিশ কোচ স্টুয়ার্ট হল। সাইফের দায়িত্ব পান বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক ফুটবলার জুলফিকার মাহমুদ মিন্টু। দেশি কোচের হাত ধরে তিন দিন আগে শেখ রাসেলকে হারিয়েছিল সাইফ। আর আজ জয় পেল আবাহনীর বিপক্ষে। 

তবে ম্যাচের শুরুতে আবাহনীর আক্রমণের ঝড়ে ভেসে যাওয়ার অবস্থা হয়েছিল সাইফের। প্রথমার্ধে গোলের চারটি সহজ সুযোগ হারিয়েছে আবাহনী। ১৬ মিনিটে ফাঁকা পোস্ট পেয়েও গোল করতে পারেননি ফয়সাল আহমেদ শীতল। ২৭ মিনিটে কেভিন বেলফোর্টের কাট ব্যাক থেকে জায়গা মতো বল পেয়েও জুয়েল রানা বল জালে জড়াতে না পারায় আফসোস বাড়ে আবাহনীর। 

৩৪ মিনিটে আবাহনীর ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার রাফায়েল অগুস্তোর পাস থেকে পাওয়া বল নিয়ে ডি বক্সের মধ্যে ঢুকে পড়েছিলেন হাইতিয়ান বেলফোর্ট। সাইফের দুই ডিফেন্ডারকে পেছনে ফেলে বেলফোর্ট শট নিলেও ঝাঁপিয়ে রক্ষা করেন সাইফ গোলরক্ষক পাপ্পু হোসেন। চার মিনিটে জুয়েল রানার আরেকটি শট ঠেকিয়ে দেন পাপ্পু। 

গোলের জন্য মরিয়া হয়ে প্রায় ওপরেই উঠে খেলছিলেন আবাহনীর খেলোয়াড়রা। এই সুযোগটাই কাজে লাগিয়েছে সাইফ। ম্যাচের ৪৩ মিনিটে দারুণ কাউন্টার অ্যাটাকে স্বদেশি জন ওকোলির সহায়তায় সাইফকে এগিয়ে দেন নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড কেনেথ ইকেচুকু। 

প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়েই আরেক গোল হজম করে আবাহনী। ২৫ গজ দূর থেকে জন ওকোলির শট ঠেকানোর সাধ্য হয়নি আবাহনী গোলরক্ষক সুলতান আহমেদ শাকিলের। দুই গোলে পিছিয়ে থাকা আবাহনী সমতায় ফেরে ৭৬ মিনিটে। ডি-বক্সে সাইফের খেলোয়াড়দের জটলাকে কাজে লাগিয়ে ব্যবধান কমান কেভিন বেলফোর্ট। দুই মিনিট পরেই ম্যাচ জমিয়ে তোলেন জুয়েল রানা। 

ম্যাচের ৭৮ মিনিটে দীপক রায়ের কাট ব্যাক থেকে পাওয়া বল ফাঁকা জায়গায় দাঁড়ানো জুয়েল রানার শট সাইফ গোলরক্ষককে দর্শক বানিয়ে জড়ায় জালে। সমতায় ফিরলেও স্বস্তিটা বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি আবাহনী। ৮১ মিনিটে ফয়সাল আহমেদ ফাহিমের মাটি কামড়ানো ক্রসে সাইফকে টানা তৃতীয় জয়ের স্বাদ দেন কেনেথ ইকেচুকু।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

‘ভারতে ঢুকে’ পাকিস্তানি সেনাদের গুলি, সীমান্তে সংঘাত গড়াল ষষ্ঠ দিনে

বন্ধুকে ছাত্রলীগ সাজিয়ে পুলিশে দিয়ে তাঁর প্রেমিকাকে ধর্ষণ করলেন ছাত্রদল নেতা

মানিকগঞ্জে রাতের আঁধারে স্থানান্তর করা বিদ্যালয় ভবন পরিদর্শনে কর্মকর্তারা

পরিপাকতন্ত্রের ওষুধের পেছনেই মানুষের ব্যয় সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত