রানা আব্বাস, কলম্বো থেকে
কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে গত পরশু অনুশীলনেই কিছুটা বোঝা যাচ্ছিল—সংবাদমাধ্যম দেখলেই সাকিব আল হাসানের মেজাজ যেন সপ্তমে চড়ে যাচ্ছে! গতকাল দুপুরে জিম করে টিম হোটেলে ফেরার সময় এক সাংবাদিক তাঁকে ভিডিও করতে গেলেই দুই হাত উঁচু করে ইঙ্গিত করলেন, ‘এটা কী?’
এরপর বিকেলে যে সংবাদ সম্মেলনটা হলো, সেটি এরই মধ্যে ফেসবুকের কল্যাণে দেশের ক্রিকেট সমাজের দেখে ফেলার কথা। প্রথমে প্রশ্ন হলো, আপনিই বলেছিলেন, দ্বিপক্ষীয় সিরিজে ভালো দল। তবে বড় টুর্নামেন্টে আমাদের সমস্যা হয়...কথা শেষ না হতেই সাকিবের পাল্টা প্রশ্ন, ‘আমরা কি এখানে কালকের (আজ) ভারত ম্যাচ নিয়ে কথা বলছি?
এরপর যখন প্রশ্নকর্তা বললেন, ‘হ্যাঁ, সেটা নিয়েই বলছি। ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সিরিজ জিতেছেন, এখন বড় টুর্নামেন্ট। এবার কঠিন হবে নাকি সহজ?’ এবার সাকিবের উত্তর, ‘এটা তো খেলার পরে বলতে পারব। খেলার আগে কীভাবে বলি, সহজ হবে না কঠিন হবে। আমরা (মাঠে) যাব, জেতার জন্য আমাদের যতটা ভালো করা সম্ভব, চেষ্টা করব। খেলার পরে এই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারব।’
এরপরের প্রশ্ন, ভারতের সঙ্গে ম্যাচ, লক্ষ্য কী থাকবে?
আবারও সাকিবের পাল্টা প্রশ্ন: আপনি নামলে কী করতেন? নামার আগে?
প্রশ্নকর্তা: অবশ্যই জেতার চেষ্টা…।
সাকিব: আমরাও সেটা চেষ্টা করছি।
এক ভারতীয় সাংবাদিক প্রশ্ন করলেন, এশিয়া কাপে বাংলাদেশের ব্যর্থতা বিশ্বকাপে প্রভাব ফেলতে পারে কি না? জবাবে সাকিব প্রথম বললেন, ‘পারে…।’ একটু থেমে বললেন, ‘আবার না-ও পারে। আমি জানি না।’ ভারতীয় সাংবাদিকের আরও একটি প্রশ্ন, আজ বাংলাদেশের জন্য কে বেশি ভয়ংকর হবেন—লোকেশ রাহুল, নাকি বিরাট কোহলি। বাংলাদেশ অধিনায়কের ঝটপট উত্তর, ‘পুরো ভারতীয় দল।’
গতকাল কলম্বোর টিম হোটেলের লবিতে যখন সাকিব সাংবাদিক বৈঠকে একের পর এক পুল-হুক খেলে চলেছেন, এরই মধ্যে বোধ হয় একটা লোপ্পা ফুলটসও পেলেন। প্রশ্ন হলো, নিউজিল্যান্ড সিরিজে তিনি বিশ্রামে থাকবেন কি না, যেহেতু চারদিকে এ বিষয় নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। সাকিবের পাল্টা প্রশ্ন, ‘কে আলোচনা করেছে আপনার সঙ্গে? শোনা কথা বলবেন না। কংক্রিট নিউজ থাকলে সেটা বলবেন।’
এমনকি দলের বর্তমান পারফরম্যান্সে সন্তুষ্টি-অসন্তুষ্টির প্রসঙ্গ উঠলে সাকিব সরাসরি বলে দিলেন, ‘এগুলো আসলে সংবাদমাধ্যমে বলার বিষয় নয়—কোন জায়গা নিয়ে আমি সন্তুষ্ট, কোন জায়গা নিয়ে আমি সন্তুষ্ট না। এগুলো টিম ম্যানেজমেন্টের আলোচনা করার বিষয় এবং ওখান থেকে সমাধান বের করার বিষয়।’
সাকিব দু-একটি প্রশ্নে অবশ্য বিস্তারিত ক্রিকেটীয় উত্তর কিংবা ব্যাখ্যাও দিয়েছেন। যেমন আজ ভারত ম্যাচটা টুর্নামেন্টের ‘ডেড রাবার’ হয়ে গেছে। তবে গুরুত্বহীন এই ম্যাচে সাকিবের চাওয়া-পাওয়ার অনেক কিছুই আছে, ‘চাওয়া-পাওয়ার আছে। আমরা যদি শেষ ম্যাচ জিতে দেশে যেতে পারি, তাহলে আমাদের জন্য ভালো হবে। এই ম্যাচ থেকে অন্য কিছু চাই না। শুধু জিততেই চাই।’
বিশ্বকাপের আগে সাকিবের বার্তাও পরিষ্কার, ‘একটা বিষয় হচ্ছে, সব দায়িত্ব আমার না এখানে। সবার সব দায়িত্ব আছে। আমি নিশ্চিত, সবাই যার যার জায়গা থেকে কাজ করবে। সবাই কাজ করলে আমাদের দল হিসেবে ভালো করার সম্ভাবনা বেশি থাকবে। সবাই পারফরম্যান্স যোগ করলে আমরা ভালো করতে পারব। আমি জানি, কেউ তার জায়গা থেকে কম কাজ করবে না, যাতে সে বিশ্বকাপে ভালো করতে না পারে। আমি আশাবাদী যে আমাদের দল ভালো করবে বিশ্বকাপে।’
মেজাজ যেমনই থাকুক, সাকিব কিন্তু অনেক বড় বার্তা দিয়েছেন সতীর্থদের।
কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে গত পরশু অনুশীলনেই কিছুটা বোঝা যাচ্ছিল—সংবাদমাধ্যম দেখলেই সাকিব আল হাসানের মেজাজ যেন সপ্তমে চড়ে যাচ্ছে! গতকাল দুপুরে জিম করে টিম হোটেলে ফেরার সময় এক সাংবাদিক তাঁকে ভিডিও করতে গেলেই দুই হাত উঁচু করে ইঙ্গিত করলেন, ‘এটা কী?’
এরপর বিকেলে যে সংবাদ সম্মেলনটা হলো, সেটি এরই মধ্যে ফেসবুকের কল্যাণে দেশের ক্রিকেট সমাজের দেখে ফেলার কথা। প্রথমে প্রশ্ন হলো, আপনিই বলেছিলেন, দ্বিপক্ষীয় সিরিজে ভালো দল। তবে বড় টুর্নামেন্টে আমাদের সমস্যা হয়...কথা শেষ না হতেই সাকিবের পাল্টা প্রশ্ন, ‘আমরা কি এখানে কালকের (আজ) ভারত ম্যাচ নিয়ে কথা বলছি?
এরপর যখন প্রশ্নকর্তা বললেন, ‘হ্যাঁ, সেটা নিয়েই বলছি। ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সিরিজ জিতেছেন, এখন বড় টুর্নামেন্ট। এবার কঠিন হবে নাকি সহজ?’ এবার সাকিবের উত্তর, ‘এটা তো খেলার পরে বলতে পারব। খেলার আগে কীভাবে বলি, সহজ হবে না কঠিন হবে। আমরা (মাঠে) যাব, জেতার জন্য আমাদের যতটা ভালো করা সম্ভব, চেষ্টা করব। খেলার পরে এই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারব।’
এরপরের প্রশ্ন, ভারতের সঙ্গে ম্যাচ, লক্ষ্য কী থাকবে?
আবারও সাকিবের পাল্টা প্রশ্ন: আপনি নামলে কী করতেন? নামার আগে?
প্রশ্নকর্তা: অবশ্যই জেতার চেষ্টা…।
সাকিব: আমরাও সেটা চেষ্টা করছি।
এক ভারতীয় সাংবাদিক প্রশ্ন করলেন, এশিয়া কাপে বাংলাদেশের ব্যর্থতা বিশ্বকাপে প্রভাব ফেলতে পারে কি না? জবাবে সাকিব প্রথম বললেন, ‘পারে…।’ একটু থেমে বললেন, ‘আবার না-ও পারে। আমি জানি না।’ ভারতীয় সাংবাদিকের আরও একটি প্রশ্ন, আজ বাংলাদেশের জন্য কে বেশি ভয়ংকর হবেন—লোকেশ রাহুল, নাকি বিরাট কোহলি। বাংলাদেশ অধিনায়কের ঝটপট উত্তর, ‘পুরো ভারতীয় দল।’
গতকাল কলম্বোর টিম হোটেলের লবিতে যখন সাকিব সাংবাদিক বৈঠকে একের পর এক পুল-হুক খেলে চলেছেন, এরই মধ্যে বোধ হয় একটা লোপ্পা ফুলটসও পেলেন। প্রশ্ন হলো, নিউজিল্যান্ড সিরিজে তিনি বিশ্রামে থাকবেন কি না, যেহেতু চারদিকে এ বিষয় নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। সাকিবের পাল্টা প্রশ্ন, ‘কে আলোচনা করেছে আপনার সঙ্গে? শোনা কথা বলবেন না। কংক্রিট নিউজ থাকলে সেটা বলবেন।’
এমনকি দলের বর্তমান পারফরম্যান্সে সন্তুষ্টি-অসন্তুষ্টির প্রসঙ্গ উঠলে সাকিব সরাসরি বলে দিলেন, ‘এগুলো আসলে সংবাদমাধ্যমে বলার বিষয় নয়—কোন জায়গা নিয়ে আমি সন্তুষ্ট, কোন জায়গা নিয়ে আমি সন্তুষ্ট না। এগুলো টিম ম্যানেজমেন্টের আলোচনা করার বিষয় এবং ওখান থেকে সমাধান বের করার বিষয়।’
সাকিব দু-একটি প্রশ্নে অবশ্য বিস্তারিত ক্রিকেটীয় উত্তর কিংবা ব্যাখ্যাও দিয়েছেন। যেমন আজ ভারত ম্যাচটা টুর্নামেন্টের ‘ডেড রাবার’ হয়ে গেছে। তবে গুরুত্বহীন এই ম্যাচে সাকিবের চাওয়া-পাওয়ার অনেক কিছুই আছে, ‘চাওয়া-পাওয়ার আছে। আমরা যদি শেষ ম্যাচ জিতে দেশে যেতে পারি, তাহলে আমাদের জন্য ভালো হবে। এই ম্যাচ থেকে অন্য কিছু চাই না। শুধু জিততেই চাই।’
বিশ্বকাপের আগে সাকিবের বার্তাও পরিষ্কার, ‘একটা বিষয় হচ্ছে, সব দায়িত্ব আমার না এখানে। সবার সব দায়িত্ব আছে। আমি নিশ্চিত, সবাই যার যার জায়গা থেকে কাজ করবে। সবাই কাজ করলে আমাদের দল হিসেবে ভালো করার সম্ভাবনা বেশি থাকবে। সবাই পারফরম্যান্স যোগ করলে আমরা ভালো করতে পারব। আমি জানি, কেউ তার জায়গা থেকে কম কাজ করবে না, যাতে সে বিশ্বকাপে ভালো করতে না পারে। আমি আশাবাদী যে আমাদের দল ভালো করবে বিশ্বকাপে।’
মেজাজ যেমনই থাকুক, সাকিব কিন্তু অনেক বড় বার্তা দিয়েছেন সতীর্থদের।
গল টেস্টে বাংলাদেশের বিপক্ষে ১৮ সদস্যের দল ঘোষণা করেছিল শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট। পরশু কলম্বোর সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাব মাঠে শুরু হবে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট। এর আগে ধাক্কা খেয়েছে স্বাগতিকেরা। পিঠের বাঁ পাশে চোটের কারণে দ্বিতীয় টেস্টে খেলতে পারবেন পেসার মিলান রত্নায়েকে। গলে খেলার সময় ব্যথা পান তিনি।
৪ ঘণ্টা আগেতাঁর কোচিং ক্যারিয়ারের সবচেয়ে উজ্জ্বল দিকের কথা বললে বাংলাদেশের নামই উঠে আসবে সবার প্রথমে। ২০১৫ সালে বিদায় নেওয়ার পর কোচিংয়ের চেয়ে তিনি বেশি জড়িত ছিলেন পারিবারিক ব্যবসায়। সেই ডাচ কোচ লুডভিক ডি ক্রুইফ আবার আলোচনায় দেশের ফুটবলে।
৫ ঘণ্টা আগেজিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্টে হার, সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হার—সব মিলিয়ে বাজে সময় পার করা বাংলাদেশ দলের জন্য কদিন আগে শেষ হওয়া গল টেস্টটা আসলেই বিশেষ কিছু। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জোড়া সেঞ্চুরি করেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। মুশফিকুর রহিমের ব্যাটেও এসেছে সেঞ্চুরি।
৫ ঘণ্টা আগেকয়েক মাস আগেও নাজমুল হোসেন শান্ত ছিলেন বাংলাদেশের তিন সংস্করণের অধিনায়ক। এবার সেই শান্ত নেতৃত্ব দিচ্ছেন কেবল টেস্টে। কারণ, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে নেতৃত্বের গুরুদায়িত্ব কদিন আগেই উঠেছে মেহেদী হাসান মিরাজ ও লিটন দাসের কাঁধে...
৬ ঘণ্টা আগে