রানা আব্বাস, সেন্ট ভিনসেন্ট থেকে

আশঙ্কা, সংশয়ের চোরাস্রোত বয়ে গেল ঈদের সকালে! ২০০৩ বিশ্বকাপের সেই স্মৃতি ফিরে আসবে না তো? ২১ বছর আগে কোরবানির ঈদ বিষাদে ভরে গিয়েছিল বাংলাদেশের দর্শকদের মন। বিশ্বকাপে বাংলাদেশ হেরে গিয়েছিল কানাডার কাছে। আজ আরেকটি কোরাবানির ঈদ, জয়-পরাজয়ের দোলাচলে বাংলাদেশ—তবে শেষ পর্যন্ত আনন্দের সকালে আনন্দ, আরেকটি লো স্কোরিং ম্যাচ জিতে শান্ত-সাকিবরা দেশবাসীকে জানালেন ঈদ মোবারক!
সেন্ট ভিনসেন্টের আর্নস ভেলেই দক্ষিণ আফ্রিকার ঘাম ছুটিয়ে দিয়েছিল নেপাল। সে ম্যাচে ১ রানে হারা নেপালিরা বাংলাদেশের বিপক্ষে যে আরও আত্মবিশ্বাসী হয়ে মাঠে নেমেছিল। সেন্ট ভিনসেন্টের ঘূর্ণি উইকেটে টস জিতে আগে ফিল্ডিং নিয়ে বাংলাদেশের ব্যাটারদের নাকাল করে ছাড়লেন নেপালের স্পিনাররা। পুরো ২০ ওভারও খেলতে পারেনি বাংলাদেশ, ১৯.৩ ওভারে অলআউট ১০৬ রানে।
উইকেট যতই কঠিন হোক, প্রতিপক্ষ যেই হোক টি-টোয়েন্টিতে ১০৬ রানকে কখনোই ‘নিরাপদ’ ভাবার সুযোগ নেই। কিন্তু বাংলাদেশের মূল শক্তিই তো বোলিং। আর্নস ভেলকে মিরপুর ভেবে শুরু থেকেই তোপ দাগতে শুরু করলেন তানজিম সাকিব। বিশ্বকাপ দলে যাঁর অন্তর্ভুক্ত নিয়ে কত প্রশ্ন, সেই তানজিম এমন দুর্দান্ত বোলিং করছেন বিশ্বকাপে, টুর্নামেন্ট শুরুর আগে চোটে পড়া শরীফুল ইসলাম এখন একাদশেই সুযোগ পাচ্ছেন না।
অল্প পুঁজি নিয়ে পাওয়ার প্লেতে টানা স্পেলে নেপালি টপঅর্ডার তছনছ করে দিলেন তানজিম। শুধু বোলিংয়েই নয়, তরুণ পেসারের আক্রমণাত্মক শরীরী ভাষাও ছিল দেখার মতো। যেভাবে রোহিত পৌডেলের সঙ্গে তাঁর কথার লড়াই হলো, দেখার মতো এক দৃশ্য।
২৪ বলের মধ্যে ২১টা ডট দিলেন, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ডট বলের রেকর্ড। ২ মেডেন দিয়ে তানজিম নিয়েছেন ক্যারিয়ারসেরা ৪ উইকেট। তাঁর বোলিং অসাধারণ বললেও কম বলা হবে, বাংলাদেশ জয়ের পথই তো তৈরি করে দিয়েছেন তিনি।
২৬ রানে ৫ উইকেট ফেলে দেওয়ার পরও বাংলাদেশের সামনে দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন দীপেন্দ্র সিং ঐরি ও কুশল মাল্লা। দুজনের ষষ্ঠ উইকেট জুটি যোগ করে ফেলে ৫৮ বলে ৫২ রান। হুমকি হয়ে ওঠা জুটি ভাঙার কাজটা করেন মোস্তাফিজুর রহমান। নাজমুল হোসেন শান্তর দারুণ এক ক্যাচ হয়ে মাল্লা ফেরেন ২৭ রানে। মোস্তাফিজ ফেরান ঐরিকেও (২৫)। তানজিম সাকিব যদি দুর্দান্ত শুরু এনে দেন ডেথ ওভারের ‘ত্রাস’ ফিজ। তিনি ৭ রানে পেয়েছেন ৩ উইকেট। শেষ ৭ রানের মধ্যে বাকি ৫ উইকেট হারিয়ে নেপাল ১৯.২ ওভারে অলআউট ৮৫ রানে। আর তাতে বাংলাদেশের জয় ২১ রানে। বাংলাদেশ যখন সেন্ট ভিনসেন্টে ব্যাটিংয়ে ধুঁকছিল, তখন বারবার সেন্ট লুসিয়ার দিকেও চোখ রাখতে হচ্ছিল, নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কা কী করে।
শেষ পর্যন্ত অন্য কোনো দলের দিকেই তাকিয়ে থাকতে হয়নি বাংলাদেশকে। ৩ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশ ডি-২ হিসেবেই উঠে গেল সুপার এইটে। সেখানে তাদের প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া, ভারত ও আফগানিস্তান।
গ্রুপ পর্বের তিনটি ম্যাচই বোলাররা জেতালেও চিন্তার কারণ হয়ে থাকল ব্যাটিং। সেন্ট ভিনসেন্টে আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পেয়ে পাওয়ার প্লেতেই ৩০ রানে ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। টপ অর্ডারের দুরবস্থা আগের মতোই থেকে গেছে। লম্বা সময় ধরে ভঙ্গুর ব্যাটিং অর্ডারে বাংলাদেশের কিছুটা স্বস্তি ছিল মিডল অর্ডারে। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ-তাওহিদ হৃদয়রা আজ সুবিধা করতে পারেননি। দায়িত্ব নিতে পারেননি বাকিরাও। নেপালের দুই লেগ স্পিনার সন্দ্বীপ লামিচান ও কুশল ভুরটালের ৩-৪ ডিগ্রি টার্ন বুঝতেই পারছিলেন না তাঁরা। বাংলাদেশ পুরো ২০ ওভারও খেলতে পারেনি, অলআউট ১০৬ রানে। আইসিসির সহযোগী কোনো দেশের বিপক্ষে বাংলাদেশের এটিই সর্বনিম্ন স্কোর।
নেপালের বিপক্ষ জয় এবং সুপার এইট নিশ্চিত হলেও যে বিবর্ণ ব্যাটিং নিয়ে বাংলাদেশ সেরা আটে উঠল, তাতে বড় আশা করা কঠিনই। তবু ঈদের সকালটা যে মাটি হয়নি, আপাতত এটাই বাংলাদেশের দর্শকদের বড় স্বস্তি!
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ: ১৯.৩ ওভারে ১০৬
নেপাল: ১৯.২ ওভারে ৮৫
ফল: বাংলাদেশ ২১ রানে জয়ী
আরও পড়ুন—

আশঙ্কা, সংশয়ের চোরাস্রোত বয়ে গেল ঈদের সকালে! ২০০৩ বিশ্বকাপের সেই স্মৃতি ফিরে আসবে না তো? ২১ বছর আগে কোরবানির ঈদ বিষাদে ভরে গিয়েছিল বাংলাদেশের দর্শকদের মন। বিশ্বকাপে বাংলাদেশ হেরে গিয়েছিল কানাডার কাছে। আজ আরেকটি কোরাবানির ঈদ, জয়-পরাজয়ের দোলাচলে বাংলাদেশ—তবে শেষ পর্যন্ত আনন্দের সকালে আনন্দ, আরেকটি লো স্কোরিং ম্যাচ জিতে শান্ত-সাকিবরা দেশবাসীকে জানালেন ঈদ মোবারক!
সেন্ট ভিনসেন্টের আর্নস ভেলেই দক্ষিণ আফ্রিকার ঘাম ছুটিয়ে দিয়েছিল নেপাল। সে ম্যাচে ১ রানে হারা নেপালিরা বাংলাদেশের বিপক্ষে যে আরও আত্মবিশ্বাসী হয়ে মাঠে নেমেছিল। সেন্ট ভিনসেন্টের ঘূর্ণি উইকেটে টস জিতে আগে ফিল্ডিং নিয়ে বাংলাদেশের ব্যাটারদের নাকাল করে ছাড়লেন নেপালের স্পিনাররা। পুরো ২০ ওভারও খেলতে পারেনি বাংলাদেশ, ১৯.৩ ওভারে অলআউট ১০৬ রানে।
উইকেট যতই কঠিন হোক, প্রতিপক্ষ যেই হোক টি-টোয়েন্টিতে ১০৬ রানকে কখনোই ‘নিরাপদ’ ভাবার সুযোগ নেই। কিন্তু বাংলাদেশের মূল শক্তিই তো বোলিং। আর্নস ভেলকে মিরপুর ভেবে শুরু থেকেই তোপ দাগতে শুরু করলেন তানজিম সাকিব। বিশ্বকাপ দলে যাঁর অন্তর্ভুক্ত নিয়ে কত প্রশ্ন, সেই তানজিম এমন দুর্দান্ত বোলিং করছেন বিশ্বকাপে, টুর্নামেন্ট শুরুর আগে চোটে পড়া শরীফুল ইসলাম এখন একাদশেই সুযোগ পাচ্ছেন না।
অল্প পুঁজি নিয়ে পাওয়ার প্লেতে টানা স্পেলে নেপালি টপঅর্ডার তছনছ করে দিলেন তানজিম। শুধু বোলিংয়েই নয়, তরুণ পেসারের আক্রমণাত্মক শরীরী ভাষাও ছিল দেখার মতো। যেভাবে রোহিত পৌডেলের সঙ্গে তাঁর কথার লড়াই হলো, দেখার মতো এক দৃশ্য।
২৪ বলের মধ্যে ২১টা ডট দিলেন, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ডট বলের রেকর্ড। ২ মেডেন দিয়ে তানজিম নিয়েছেন ক্যারিয়ারসেরা ৪ উইকেট। তাঁর বোলিং অসাধারণ বললেও কম বলা হবে, বাংলাদেশ জয়ের পথই তো তৈরি করে দিয়েছেন তিনি।
২৬ রানে ৫ উইকেট ফেলে দেওয়ার পরও বাংলাদেশের সামনে দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন দীপেন্দ্র সিং ঐরি ও কুশল মাল্লা। দুজনের ষষ্ঠ উইকেট জুটি যোগ করে ফেলে ৫৮ বলে ৫২ রান। হুমকি হয়ে ওঠা জুটি ভাঙার কাজটা করেন মোস্তাফিজুর রহমান। নাজমুল হোসেন শান্তর দারুণ এক ক্যাচ হয়ে মাল্লা ফেরেন ২৭ রানে। মোস্তাফিজ ফেরান ঐরিকেও (২৫)। তানজিম সাকিব যদি দুর্দান্ত শুরু এনে দেন ডেথ ওভারের ‘ত্রাস’ ফিজ। তিনি ৭ রানে পেয়েছেন ৩ উইকেট। শেষ ৭ রানের মধ্যে বাকি ৫ উইকেট হারিয়ে নেপাল ১৯.২ ওভারে অলআউট ৮৫ রানে। আর তাতে বাংলাদেশের জয় ২১ রানে। বাংলাদেশ যখন সেন্ট ভিনসেন্টে ব্যাটিংয়ে ধুঁকছিল, তখন বারবার সেন্ট লুসিয়ার দিকেও চোখ রাখতে হচ্ছিল, নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কা কী করে।
শেষ পর্যন্ত অন্য কোনো দলের দিকেই তাকিয়ে থাকতে হয়নি বাংলাদেশকে। ৩ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশ ডি-২ হিসেবেই উঠে গেল সুপার এইটে। সেখানে তাদের প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া, ভারত ও আফগানিস্তান।
গ্রুপ পর্বের তিনটি ম্যাচই বোলাররা জেতালেও চিন্তার কারণ হয়ে থাকল ব্যাটিং। সেন্ট ভিনসেন্টে আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পেয়ে পাওয়ার প্লেতেই ৩০ রানে ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। টপ অর্ডারের দুরবস্থা আগের মতোই থেকে গেছে। লম্বা সময় ধরে ভঙ্গুর ব্যাটিং অর্ডারে বাংলাদেশের কিছুটা স্বস্তি ছিল মিডল অর্ডারে। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ-তাওহিদ হৃদয়রা আজ সুবিধা করতে পারেননি। দায়িত্ব নিতে পারেননি বাকিরাও। নেপালের দুই লেগ স্পিনার সন্দ্বীপ লামিচান ও কুশল ভুরটালের ৩-৪ ডিগ্রি টার্ন বুঝতেই পারছিলেন না তাঁরা। বাংলাদেশ পুরো ২০ ওভারও খেলতে পারেনি, অলআউট ১০৬ রানে। আইসিসির সহযোগী কোনো দেশের বিপক্ষে বাংলাদেশের এটিই সর্বনিম্ন স্কোর।
নেপালের বিপক্ষ জয় এবং সুপার এইট নিশ্চিত হলেও যে বিবর্ণ ব্যাটিং নিয়ে বাংলাদেশ সেরা আটে উঠল, তাতে বড় আশা করা কঠিনই। তবু ঈদের সকালটা যে মাটি হয়নি, আপাতত এটাই বাংলাদেশের দর্শকদের বড় স্বস্তি!
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ: ১৯.৩ ওভারে ১০৬
নেপাল: ১৯.২ ওভারে ৮৫
ফল: বাংলাদেশ ২১ রানে জয়ী
আরও পড়ুন—
রানা আব্বাস, সেন্ট ভিনসেন্ট থেকে

আশঙ্কা, সংশয়ের চোরাস্রোত বয়ে গেল ঈদের সকালে! ২০০৩ বিশ্বকাপের সেই স্মৃতি ফিরে আসবে না তো? ২১ বছর আগে কোরবানির ঈদ বিষাদে ভরে গিয়েছিল বাংলাদেশের দর্শকদের মন। বিশ্বকাপে বাংলাদেশ হেরে গিয়েছিল কানাডার কাছে। আজ আরেকটি কোরাবানির ঈদ, জয়-পরাজয়ের দোলাচলে বাংলাদেশ—তবে শেষ পর্যন্ত আনন্দের সকালে আনন্দ, আরেকটি লো স্কোরিং ম্যাচ জিতে শান্ত-সাকিবরা দেশবাসীকে জানালেন ঈদ মোবারক!
সেন্ট ভিনসেন্টের আর্নস ভেলেই দক্ষিণ আফ্রিকার ঘাম ছুটিয়ে দিয়েছিল নেপাল। সে ম্যাচে ১ রানে হারা নেপালিরা বাংলাদেশের বিপক্ষে যে আরও আত্মবিশ্বাসী হয়ে মাঠে নেমেছিল। সেন্ট ভিনসেন্টের ঘূর্ণি উইকেটে টস জিতে আগে ফিল্ডিং নিয়ে বাংলাদেশের ব্যাটারদের নাকাল করে ছাড়লেন নেপালের স্পিনাররা। পুরো ২০ ওভারও খেলতে পারেনি বাংলাদেশ, ১৯.৩ ওভারে অলআউট ১০৬ রানে।
উইকেট যতই কঠিন হোক, প্রতিপক্ষ যেই হোক টি-টোয়েন্টিতে ১০৬ রানকে কখনোই ‘নিরাপদ’ ভাবার সুযোগ নেই। কিন্তু বাংলাদেশের মূল শক্তিই তো বোলিং। আর্নস ভেলকে মিরপুর ভেবে শুরু থেকেই তোপ দাগতে শুরু করলেন তানজিম সাকিব। বিশ্বকাপ দলে যাঁর অন্তর্ভুক্ত নিয়ে কত প্রশ্ন, সেই তানজিম এমন দুর্দান্ত বোলিং করছেন বিশ্বকাপে, টুর্নামেন্ট শুরুর আগে চোটে পড়া শরীফুল ইসলাম এখন একাদশেই সুযোগ পাচ্ছেন না।
অল্প পুঁজি নিয়ে পাওয়ার প্লেতে টানা স্পেলে নেপালি টপঅর্ডার তছনছ করে দিলেন তানজিম। শুধু বোলিংয়েই নয়, তরুণ পেসারের আক্রমণাত্মক শরীরী ভাষাও ছিল দেখার মতো। যেভাবে রোহিত পৌডেলের সঙ্গে তাঁর কথার লড়াই হলো, দেখার মতো এক দৃশ্য।
২৪ বলের মধ্যে ২১টা ডট দিলেন, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ডট বলের রেকর্ড। ২ মেডেন দিয়ে তানজিম নিয়েছেন ক্যারিয়ারসেরা ৪ উইকেট। তাঁর বোলিং অসাধারণ বললেও কম বলা হবে, বাংলাদেশ জয়ের পথই তো তৈরি করে দিয়েছেন তিনি।
২৬ রানে ৫ উইকেট ফেলে দেওয়ার পরও বাংলাদেশের সামনে দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন দীপেন্দ্র সিং ঐরি ও কুশল মাল্লা। দুজনের ষষ্ঠ উইকেট জুটি যোগ করে ফেলে ৫৮ বলে ৫২ রান। হুমকি হয়ে ওঠা জুটি ভাঙার কাজটা করেন মোস্তাফিজুর রহমান। নাজমুল হোসেন শান্তর দারুণ এক ক্যাচ হয়ে মাল্লা ফেরেন ২৭ রানে। মোস্তাফিজ ফেরান ঐরিকেও (২৫)। তানজিম সাকিব যদি দুর্দান্ত শুরু এনে দেন ডেথ ওভারের ‘ত্রাস’ ফিজ। তিনি ৭ রানে পেয়েছেন ৩ উইকেট। শেষ ৭ রানের মধ্যে বাকি ৫ উইকেট হারিয়ে নেপাল ১৯.২ ওভারে অলআউট ৮৫ রানে। আর তাতে বাংলাদেশের জয় ২১ রানে। বাংলাদেশ যখন সেন্ট ভিনসেন্টে ব্যাটিংয়ে ধুঁকছিল, তখন বারবার সেন্ট লুসিয়ার দিকেও চোখ রাখতে হচ্ছিল, নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কা কী করে।
শেষ পর্যন্ত অন্য কোনো দলের দিকেই তাকিয়ে থাকতে হয়নি বাংলাদেশকে। ৩ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশ ডি-২ হিসেবেই উঠে গেল সুপার এইটে। সেখানে তাদের প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া, ভারত ও আফগানিস্তান।
গ্রুপ পর্বের তিনটি ম্যাচই বোলাররা জেতালেও চিন্তার কারণ হয়ে থাকল ব্যাটিং। সেন্ট ভিনসেন্টে আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পেয়ে পাওয়ার প্লেতেই ৩০ রানে ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। টপ অর্ডারের দুরবস্থা আগের মতোই থেকে গেছে। লম্বা সময় ধরে ভঙ্গুর ব্যাটিং অর্ডারে বাংলাদেশের কিছুটা স্বস্তি ছিল মিডল অর্ডারে। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ-তাওহিদ হৃদয়রা আজ সুবিধা করতে পারেননি। দায়িত্ব নিতে পারেননি বাকিরাও। নেপালের দুই লেগ স্পিনার সন্দ্বীপ লামিচান ও কুশল ভুরটালের ৩-৪ ডিগ্রি টার্ন বুঝতেই পারছিলেন না তাঁরা। বাংলাদেশ পুরো ২০ ওভারও খেলতে পারেনি, অলআউট ১০৬ রানে। আইসিসির সহযোগী কোনো দেশের বিপক্ষে বাংলাদেশের এটিই সর্বনিম্ন স্কোর।
নেপালের বিপক্ষ জয় এবং সুপার এইট নিশ্চিত হলেও যে বিবর্ণ ব্যাটিং নিয়ে বাংলাদেশ সেরা আটে উঠল, তাতে বড় আশা করা কঠিনই। তবু ঈদের সকালটা যে মাটি হয়নি, আপাতত এটাই বাংলাদেশের দর্শকদের বড় স্বস্তি!
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ: ১৯.৩ ওভারে ১০৬
নেপাল: ১৯.২ ওভারে ৮৫
ফল: বাংলাদেশ ২১ রানে জয়ী
আরও পড়ুন—

আশঙ্কা, সংশয়ের চোরাস্রোত বয়ে গেল ঈদের সকালে! ২০০৩ বিশ্বকাপের সেই স্মৃতি ফিরে আসবে না তো? ২১ বছর আগে কোরবানির ঈদ বিষাদে ভরে গিয়েছিল বাংলাদেশের দর্শকদের মন। বিশ্বকাপে বাংলাদেশ হেরে গিয়েছিল কানাডার কাছে। আজ আরেকটি কোরাবানির ঈদ, জয়-পরাজয়ের দোলাচলে বাংলাদেশ—তবে শেষ পর্যন্ত আনন্দের সকালে আনন্দ, আরেকটি লো স্কোরিং ম্যাচ জিতে শান্ত-সাকিবরা দেশবাসীকে জানালেন ঈদ মোবারক!
সেন্ট ভিনসেন্টের আর্নস ভেলেই দক্ষিণ আফ্রিকার ঘাম ছুটিয়ে দিয়েছিল নেপাল। সে ম্যাচে ১ রানে হারা নেপালিরা বাংলাদেশের বিপক্ষে যে আরও আত্মবিশ্বাসী হয়ে মাঠে নেমেছিল। সেন্ট ভিনসেন্টের ঘূর্ণি উইকেটে টস জিতে আগে ফিল্ডিং নিয়ে বাংলাদেশের ব্যাটারদের নাকাল করে ছাড়লেন নেপালের স্পিনাররা। পুরো ২০ ওভারও খেলতে পারেনি বাংলাদেশ, ১৯.৩ ওভারে অলআউট ১০৬ রানে।
উইকেট যতই কঠিন হোক, প্রতিপক্ষ যেই হোক টি-টোয়েন্টিতে ১০৬ রানকে কখনোই ‘নিরাপদ’ ভাবার সুযোগ নেই। কিন্তু বাংলাদেশের মূল শক্তিই তো বোলিং। আর্নস ভেলকে মিরপুর ভেবে শুরু থেকেই তোপ দাগতে শুরু করলেন তানজিম সাকিব। বিশ্বকাপ দলে যাঁর অন্তর্ভুক্ত নিয়ে কত প্রশ্ন, সেই তানজিম এমন দুর্দান্ত বোলিং করছেন বিশ্বকাপে, টুর্নামেন্ট শুরুর আগে চোটে পড়া শরীফুল ইসলাম এখন একাদশেই সুযোগ পাচ্ছেন না।
অল্প পুঁজি নিয়ে পাওয়ার প্লেতে টানা স্পেলে নেপালি টপঅর্ডার তছনছ করে দিলেন তানজিম। শুধু বোলিংয়েই নয়, তরুণ পেসারের আক্রমণাত্মক শরীরী ভাষাও ছিল দেখার মতো। যেভাবে রোহিত পৌডেলের সঙ্গে তাঁর কথার লড়াই হলো, দেখার মতো এক দৃশ্য।
২৪ বলের মধ্যে ২১টা ডট দিলেন, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ডট বলের রেকর্ড। ২ মেডেন দিয়ে তানজিম নিয়েছেন ক্যারিয়ারসেরা ৪ উইকেট। তাঁর বোলিং অসাধারণ বললেও কম বলা হবে, বাংলাদেশ জয়ের পথই তো তৈরি করে দিয়েছেন তিনি।
২৬ রানে ৫ উইকেট ফেলে দেওয়ার পরও বাংলাদেশের সামনে দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন দীপেন্দ্র সিং ঐরি ও কুশল মাল্লা। দুজনের ষষ্ঠ উইকেট জুটি যোগ করে ফেলে ৫৮ বলে ৫২ রান। হুমকি হয়ে ওঠা জুটি ভাঙার কাজটা করেন মোস্তাফিজুর রহমান। নাজমুল হোসেন শান্তর দারুণ এক ক্যাচ হয়ে মাল্লা ফেরেন ২৭ রানে। মোস্তাফিজ ফেরান ঐরিকেও (২৫)। তানজিম সাকিব যদি দুর্দান্ত শুরু এনে দেন ডেথ ওভারের ‘ত্রাস’ ফিজ। তিনি ৭ রানে পেয়েছেন ৩ উইকেট। শেষ ৭ রানের মধ্যে বাকি ৫ উইকেট হারিয়ে নেপাল ১৯.২ ওভারে অলআউট ৮৫ রানে। আর তাতে বাংলাদেশের জয় ২১ রানে। বাংলাদেশ যখন সেন্ট ভিনসেন্টে ব্যাটিংয়ে ধুঁকছিল, তখন বারবার সেন্ট লুসিয়ার দিকেও চোখ রাখতে হচ্ছিল, নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কা কী করে।
শেষ পর্যন্ত অন্য কোনো দলের দিকেই তাকিয়ে থাকতে হয়নি বাংলাদেশকে। ৩ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশ ডি-২ হিসেবেই উঠে গেল সুপার এইটে। সেখানে তাদের প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া, ভারত ও আফগানিস্তান।
গ্রুপ পর্বের তিনটি ম্যাচই বোলাররা জেতালেও চিন্তার কারণ হয়ে থাকল ব্যাটিং। সেন্ট ভিনসেন্টে আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পেয়ে পাওয়ার প্লেতেই ৩০ রানে ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। টপ অর্ডারের দুরবস্থা আগের মতোই থেকে গেছে। লম্বা সময় ধরে ভঙ্গুর ব্যাটিং অর্ডারে বাংলাদেশের কিছুটা স্বস্তি ছিল মিডল অর্ডারে। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ-তাওহিদ হৃদয়রা আজ সুবিধা করতে পারেননি। দায়িত্ব নিতে পারেননি বাকিরাও। নেপালের দুই লেগ স্পিনার সন্দ্বীপ লামিচান ও কুশল ভুরটালের ৩-৪ ডিগ্রি টার্ন বুঝতেই পারছিলেন না তাঁরা। বাংলাদেশ পুরো ২০ ওভারও খেলতে পারেনি, অলআউট ১০৬ রানে। আইসিসির সহযোগী কোনো দেশের বিপক্ষে বাংলাদেশের এটিই সর্বনিম্ন স্কোর।
নেপালের বিপক্ষ জয় এবং সুপার এইট নিশ্চিত হলেও যে বিবর্ণ ব্যাটিং নিয়ে বাংলাদেশ সেরা আটে উঠল, তাতে বড় আশা করা কঠিনই। তবু ঈদের সকালটা যে মাটি হয়নি, আপাতত এটাই বাংলাদেশের দর্শকদের বড় স্বস্তি!
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ: ১৯.৩ ওভারে ১০৬
নেপাল: ১৯.২ ওভারে ৮৫
ফল: বাংলাদেশ ২১ রানে জয়ী
আরও পড়ুন—

বিপিএলের খেলোয়াড় নিলামে এবার সবচেয়ে বেশি ১ কোটি ১০ লাখ টাকা পেয়েছেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ। কোটি টাকার ওপরে দাম পাওয়া একমাত্র ক্রিকেটারও তিনি। কিন্তু যে প্রত্যাশায় এই দামে তাঁকে কিনে নিয়েছিল চট্টগ্রাম রয়্যালস...
৩ ঘণ্টা আগে
বিজয় হাজারে ট্রফিতে আজকের দিনটা দুই রকমের হয়ে থাকল বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মার জন্য। দিল্লির হয়ে দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে এদিন বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন কোহলি। অন্যদিকে শূন্য রানে আউট হয়ে তেতো অভিজ্ঞতা নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন রোহিত।
৫ ঘণ্টা আগে
দলে ছিলেন নিলামে রেকর্ড দামে বিক্রি হওয়া নাঈম শেখ। ১ কোটি ১০ লাখ টাকায় এই ব্যাটারকে কিনেছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। কিন্তু প্রথম ম্যাচে ব্যাট হাতে চরমভাবে হতাশ করেছেন তিনি।
৬ ঘণ্টা আগে
ইউনেক্স-সানরাইজ বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল সিরিজের পুরুষ দ্বৈতে অল বাংলাদেশ ফাইনালে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে গৌরব সিংহ ও আবদুল জহির তানভীর জুটি। শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ ইনডোর স্টেডিয়ামে আজ পুরুষ দ্বৈতের ফাইনালে গৌরব-তানভীর জুটি ২১-১৯, ১৭-২১ ও ২২-২০ সেটে মিজানুর রহমান ও রাহাতুন নাঈম জুটিকে হারিয়ে সোনা জিতেছে।
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিপিএলের খেলোয়াড় নিলামে এবার সবচেয়ে বেশি ১ কোটি ১০ লাখ টাকা পেয়েছেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ। কোটি টাকার ওপরে দাম পাওয়া একমাত্র ক্রিকেটারও তিনি। কিন্তু যে প্রত্যাশায় এই দামে তাঁকে কিনে নিয়েছিল চট্টগ্রাম রয়্যালস, দলের প্রথম ম্যাচে অন্তত সে প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছেন ২৬ বছর বয়সী এই ব্যাটার। করেছেন মাত্র ১১ রান। আর তাঁর দল বিপিএলে নবাগত নোয়াখালী এক্সপ্রেসের বিপক্ষে ৬ উইকেট হারিয়ে তুলেছে ১৭৪ রান। পরে ব্যাটিংয়ে নেমে ১০৯ রানে অলআউট হয়ে ৬৫ রানে হেরেছে নোয়াখালী এক্সপ্রেস।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বারবার ব্যর্থ হলেও ঘরোয়া ক্রিকেটে মোহাম্মদ নাঈমের ব্যাট বরাবরই চওড়া। সব সময়ই রান পান তিনি। ঘরোয়া ক্রিকেটে তাঁর ব্যাটিং ধারাবাহিকতার দিকে তাকিয়েই সম্ভবত সবচেয়ে বেশি দামে তাঁকে কিনে নিয়েছিল চট্টগ্রাম রয়্যালস। উইকেটে এসে ১১টি বল খেলেছেন। ২টি চারে ১১ রান করে মেহেদী হাসান রানার বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন সাব্বির হোসেনের হাতে। নাঈম আউট হয়ে গেলেও আরেক ওপেনার মির্জা বেগ এক প্রান্ত ধরে রেখে খেলতে থাকেন। আর তাতেই টস জিতে আগে ব্যাটিং বেছে নেওয়া চট্টগ্রামের স্কোর দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ১৭৪ রান।
ওপেনিংয়ে ২৯ রানের জুটির পর মাহফিজুল ইসলামকে নিয়ে ২৫ বলে ৩৫ রান যোগ করেন মির্জা বেগ। দলের ৬৪ রানে ব্যক্তিগত ১৬ করে ফিরে যান মাহফিজুল। তবে এরপরই জাতীয় দলের টেস্ট ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়কে নিয়ে ৪১ বলে ৫৮ রানের বড় জুটিটি গড়েন পাকিস্তানি ব্যাটার মির্জা বেগ। মাহমুদুল হাসান জয়ও তেমন রান করতে পারেননি। নোয়াখালী এক্সপ্রেসের বোলারদের তৃতীয় শিকার হওয়ার আগে ১২ বলে করেন ১৭ রান। চট্টগ্রাম রয়্যালসের অধিনায়ক মেহেদী হাসান উইকেটে এসে অবশ্য রান তোলার গতি বাড়িয়ে নিতে মনোযোগী হন। সাব্বির হোসেনের শিকার হওয়ার আগে ১৩ বলে করেন ২৬ রান। ৩টি চার ও ১টি ছয়ে সাজানো তাঁর ইনিংস।
১৭৫ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ১৬.৫ ওভারেই অলআউট নোয়াখালী। ওপেনার মাজ সাদাকাত ২৭ বলে ইনিংস-সর্বোচ্চ ৩৮ রান করেন। হায়দার আলী ২৪ বলে করেন ২৮ রান। নোয়াখালী এক্সপ্রেসের ইনিংসে আর মাত্র একজনই—হাবিবুর রহমান সোহান রানের দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেন।
ইনিংসের শেষ বলে বোলার হাসান মাহমুদকে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে পরাস্ত হয়ে এলবিডব্লুর ফাঁদে পড়েন। শেষ পর্যন্ত ৬৯ বলে ৮০ রান করেন তিনি। ৭টি চার ও ২ ছয়ে সাজানো তাঁর ইনিংস। বল হাতে সবচেয়ে সফল তানভির ইসলাম; ৩৯ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন শরীফুল, মেহেদী হাসান ও মুকিদুল ইসলাম।

বিপিএলের খেলোয়াড় নিলামে এবার সবচেয়ে বেশি ১ কোটি ১০ লাখ টাকা পেয়েছেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ। কোটি টাকার ওপরে দাম পাওয়া একমাত্র ক্রিকেটারও তিনি। কিন্তু যে প্রত্যাশায় এই দামে তাঁকে কিনে নিয়েছিল চট্টগ্রাম রয়্যালস, দলের প্রথম ম্যাচে অন্তত সে প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছেন ২৬ বছর বয়সী এই ব্যাটার। করেছেন মাত্র ১১ রান। আর তাঁর দল বিপিএলে নবাগত নোয়াখালী এক্সপ্রেসের বিপক্ষে ৬ উইকেট হারিয়ে তুলেছে ১৭৪ রান। পরে ব্যাটিংয়ে নেমে ১০৯ রানে অলআউট হয়ে ৬৫ রানে হেরেছে নোয়াখালী এক্সপ্রেস।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বারবার ব্যর্থ হলেও ঘরোয়া ক্রিকেটে মোহাম্মদ নাঈমের ব্যাট বরাবরই চওড়া। সব সময়ই রান পান তিনি। ঘরোয়া ক্রিকেটে তাঁর ব্যাটিং ধারাবাহিকতার দিকে তাকিয়েই সম্ভবত সবচেয়ে বেশি দামে তাঁকে কিনে নিয়েছিল চট্টগ্রাম রয়্যালস। উইকেটে এসে ১১টি বল খেলেছেন। ২টি চারে ১১ রান করে মেহেদী হাসান রানার বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন সাব্বির হোসেনের হাতে। নাঈম আউট হয়ে গেলেও আরেক ওপেনার মির্জা বেগ এক প্রান্ত ধরে রেখে খেলতে থাকেন। আর তাতেই টস জিতে আগে ব্যাটিং বেছে নেওয়া চট্টগ্রামের স্কোর দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ১৭৪ রান।
ওপেনিংয়ে ২৯ রানের জুটির পর মাহফিজুল ইসলামকে নিয়ে ২৫ বলে ৩৫ রান যোগ করেন মির্জা বেগ। দলের ৬৪ রানে ব্যক্তিগত ১৬ করে ফিরে যান মাহফিজুল। তবে এরপরই জাতীয় দলের টেস্ট ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়কে নিয়ে ৪১ বলে ৫৮ রানের বড় জুটিটি গড়েন পাকিস্তানি ব্যাটার মির্জা বেগ। মাহমুদুল হাসান জয়ও তেমন রান করতে পারেননি। নোয়াখালী এক্সপ্রেসের বোলারদের তৃতীয় শিকার হওয়ার আগে ১২ বলে করেন ১৭ রান। চট্টগ্রাম রয়্যালসের অধিনায়ক মেহেদী হাসান উইকেটে এসে অবশ্য রান তোলার গতি বাড়িয়ে নিতে মনোযোগী হন। সাব্বির হোসেনের শিকার হওয়ার আগে ১৩ বলে করেন ২৬ রান। ৩টি চার ও ১টি ছয়ে সাজানো তাঁর ইনিংস।
১৭৫ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ১৬.৫ ওভারেই অলআউট নোয়াখালী। ওপেনার মাজ সাদাকাত ২৭ বলে ইনিংস-সর্বোচ্চ ৩৮ রান করেন। হায়দার আলী ২৪ বলে করেন ২৮ রান। নোয়াখালী এক্সপ্রেসের ইনিংসে আর মাত্র একজনই—হাবিবুর রহমান সোহান রানের দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেন।
ইনিংসের শেষ বলে বোলার হাসান মাহমুদকে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে পরাস্ত হয়ে এলবিডব্লুর ফাঁদে পড়েন। শেষ পর্যন্ত ৬৯ বলে ৮০ রান করেন তিনি। ৭টি চার ও ২ ছয়ে সাজানো তাঁর ইনিংস। বল হাতে সবচেয়ে সফল তানভির ইসলাম; ৩৯ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন শরীফুল, মেহেদী হাসান ও মুকিদুল ইসলাম।

আশঙ্কা, সংশয়ের চোরাস্রোত বয়ে গেল ঈদের সকালে! ২০০৩ বিশ্বকাপের সেই স্মৃতি ফিরে আসবে না তো? ২১ বছর আগে কোরবানির ঈদ বিষাদে ভরে গিয়েছিল বাংলাদেশের দর্শকদের মন। বিশ্বকাপে বাংলাদেশ হেরে গিয়েছিল কানাডার কাছে। আজ আরেকটি কোরাবানির ঈদ, জয়-পরাজয়ের দোলাচলে বাংলাদেশ—তবে শেষ পর্যন্ত আনন্দের সকালে আনন্দ আরেকটি লো
১৭ জুন ২০২৪
বিজয় হাজারে ট্রফিতে আজকের দিনটা দুই রকমের হয়ে থাকল বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মার জন্য। দিল্লির হয়ে দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে এদিন বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন কোহলি। অন্যদিকে শূন্য রানে আউট হয়ে তেতো অভিজ্ঞতা নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন রোহিত।
৫ ঘণ্টা আগে
দলে ছিলেন নিলামে রেকর্ড দামে বিক্রি হওয়া নাঈম শেখ। ১ কোটি ১০ লাখ টাকায় এই ব্যাটারকে কিনেছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। কিন্তু প্রথম ম্যাচে ব্যাট হাতে চরমভাবে হতাশ করেছেন তিনি।
৬ ঘণ্টা আগে
ইউনেক্স-সানরাইজ বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল সিরিজের পুরুষ দ্বৈতে অল বাংলাদেশ ফাইনালে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে গৌরব সিংহ ও আবদুল জহির তানভীর জুটি। শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ ইনডোর স্টেডিয়ামে আজ পুরুষ দ্বৈতের ফাইনালে গৌরব-তানভীর জুটি ২১-১৯, ১৭-২১ ও ২২-২০ সেটে মিজানুর রহমান ও রাহাতুন নাঈম জুটিকে হারিয়ে সোনা জিতেছে।
৬ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

বিজয় হাজারে ট্রফিতে আজকের দিনটা দুই রকমের হয়ে থাকল বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মার জন্য। দিল্লির হয়ে দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে এদিন বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন কোহলি। অন্যদিকে শূন্য রানে আউট হয়ে তেতো অভিজ্ঞতা নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন রোহিত।
বেঙ্গালুরুতে গুজরাটের বিপক্ষে ৬১ বলে ৭৭ রানের ইনিংস খেলেন কোহলি। এই ইনিংস খেলার পথে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে অন্তত ৫ হাজার রান করেছেন এমন ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ গড়ের মালিক বনে গেছেন সাবেক এই অধিনায়ক। আগের রেকর্ডটি ছিল মাইকেল বেভানের দখলে। অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি ব্যাটারের গড় ৫৭.৮৬। ৫৭.৮৭ গড় নিয়ে তাঁকে পেছনে ফেললেন কোহলি।
তিনে আছেন স্যাম হেইন। এই ইংলিশ ব্যাটারের গড় ৫৭.৭৬। পরের স্থান দুটিতে আছেন চেতেশ্বর পূজারা (৫৭.০১) ও রুতুরাজ গায়কোয়াড় (৫৬.৬৮)। বিশ্ব রেকর্ডের ম্যাচে ৭৭ রানের ইনিংসের পাশাপাশি দুটি ক্যাচ নিয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতেন কোহলি। আগের ম্যাচে অন্ধ্রপ্রদেশের বিপক্ষে ১৩১ রানের ইনিংস খেলে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটের ইতিহাসে দ্রুততম ১৬ হাজারি রানের ক্লাবে প্রবেশ করেন তিনি। পেছনে ফেলেন ব্যাটিং মাস্টার শচীন টেন্ডুলকারকে।
একই দিন মুম্বাইয়ের হয়ে উত্তরখন্ডের বিপক্ষে মাঠে নামেন রোহিত। জয়পুরে ওপেনিং করতে নেমে পেসার দেবেন্দ্র বোরার বলে জগমোহন নগরকোটির হাতে ধরা পড়েন তিনি। তাতেই দীর্ঘ ১৩ বছর পর লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে প্রথম বলে আউট হলেন। এর আগে সবশেষ ২০১২ সালের জুলাইয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গোল্ডেন ডাক মারেন রোহিত।

বিজয় হাজারে ট্রফিতে আজকের দিনটা দুই রকমের হয়ে থাকল বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মার জন্য। দিল্লির হয়ে দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে এদিন বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন কোহলি। অন্যদিকে শূন্য রানে আউট হয়ে তেতো অভিজ্ঞতা নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন রোহিত।
বেঙ্গালুরুতে গুজরাটের বিপক্ষে ৬১ বলে ৭৭ রানের ইনিংস খেলেন কোহলি। এই ইনিংস খেলার পথে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে অন্তত ৫ হাজার রান করেছেন এমন ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ গড়ের মালিক বনে গেছেন সাবেক এই অধিনায়ক। আগের রেকর্ডটি ছিল মাইকেল বেভানের দখলে। অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি ব্যাটারের গড় ৫৭.৮৬। ৫৭.৮৭ গড় নিয়ে তাঁকে পেছনে ফেললেন কোহলি।
তিনে আছেন স্যাম হেইন। এই ইংলিশ ব্যাটারের গড় ৫৭.৭৬। পরের স্থান দুটিতে আছেন চেতেশ্বর পূজারা (৫৭.০১) ও রুতুরাজ গায়কোয়াড় (৫৬.৬৮)। বিশ্ব রেকর্ডের ম্যাচে ৭৭ রানের ইনিংসের পাশাপাশি দুটি ক্যাচ নিয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতেন কোহলি। আগের ম্যাচে অন্ধ্রপ্রদেশের বিপক্ষে ১৩১ রানের ইনিংস খেলে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটের ইতিহাসে দ্রুততম ১৬ হাজারি রানের ক্লাবে প্রবেশ করেন তিনি। পেছনে ফেলেন ব্যাটিং মাস্টার শচীন টেন্ডুলকারকে।
একই দিন মুম্বাইয়ের হয়ে উত্তরখন্ডের বিপক্ষে মাঠে নামেন রোহিত। জয়পুরে ওপেনিং করতে নেমে পেসার দেবেন্দ্র বোরার বলে জগমোহন নগরকোটির হাতে ধরা পড়েন তিনি। তাতেই দীর্ঘ ১৩ বছর পর লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে প্রথম বলে আউট হলেন। এর আগে সবশেষ ২০১২ সালের জুলাইয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গোল্ডেন ডাক মারেন রোহিত।

আশঙ্কা, সংশয়ের চোরাস্রোত বয়ে গেল ঈদের সকালে! ২০০৩ বিশ্বকাপের সেই স্মৃতি ফিরে আসবে না তো? ২১ বছর আগে কোরবানির ঈদ বিষাদে ভরে গিয়েছিল বাংলাদেশের দর্শকদের মন। বিশ্বকাপে বাংলাদেশ হেরে গিয়েছিল কানাডার কাছে। আজ আরেকটি কোরাবানির ঈদ, জয়-পরাজয়ের দোলাচলে বাংলাদেশ—তবে শেষ পর্যন্ত আনন্দের সকালে আনন্দ আরেকটি লো
১৭ জুন ২০২৪
বিপিএলের খেলোয়াড় নিলামে এবার সবচেয়ে বেশি ১ কোটি ১০ লাখ টাকা পেয়েছেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ। কোটি টাকার ওপরে দাম পাওয়া একমাত্র ক্রিকেটারও তিনি। কিন্তু যে প্রত্যাশায় এই দামে তাঁকে কিনে নিয়েছিল চট্টগ্রাম রয়্যালস...
৩ ঘণ্টা আগে
দলে ছিলেন নিলামে রেকর্ড দামে বিক্রি হওয়া নাঈম শেখ। ১ কোটি ১০ লাখ টাকায় এই ব্যাটারকে কিনেছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। কিন্তু প্রথম ম্যাচে ব্যাট হাতে চরমভাবে হতাশ করেছেন তিনি।
৬ ঘণ্টা আগে
ইউনেক্স-সানরাইজ বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল সিরিজের পুরুষ দ্বৈতে অল বাংলাদেশ ফাইনালে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে গৌরব সিংহ ও আবদুল জহির তানভীর জুটি। শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ ইনডোর স্টেডিয়ামে আজ পুরুষ দ্বৈতের ফাইনালে গৌরব-তানভীর জুটি ২১-১৯, ১৭-২১ ও ২২-২০ সেটে মিজানুর রহমান ও রাহাতুন নাঈম জুটিকে হারিয়ে সোনা জিতেছে।
৬ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

দলে ছিলেন নিলামে রেকর্ড দামে বিক্রি হওয়া নাঈম শেখ। ১ কোটি ১০ লাখ টাকায় এই ব্যাটারকে কিনেছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। কিন্তু প্রথম ম্যাচে ব্যাট হাতে চরমভাবে হতাশ করেছেন তিনি। নাঈম ব্যর্থ হলেও দলের হাল ধরেন আরেক ওপেনার মির্জা তাহির বেগ। তাঁর ফিফটিতে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে নোয়াখালী এক্সপ্রেসের বিপক্ষে ১৭৪ রানের পুঁজি পেয়েছে চট্টগ্রাম।
দেখেশুনেই ব্যাট চালাচ্ছিলেন দুই ওপেনার নাঈম ও তাহির। কখনো ধীরগতি আবার কখনো সুযোগ পেলে হাত খুলে খেলে ইনিংসের শেষ বলে আউট হন এই পাকিস্তান ক্রিকেটার। বিপরীত চিত্র নাঈমের। উইকেটে থিতু হতে পারেননি তিনি। টস জিতে আগে ব্যাট করতে নামা চট্টগ্রাম শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন মেহেদি হাসান রানা। তাঁর করা চতুর্থ ওভারের শেষ বলে সাব্বির হোসেনের হাতে ধরা পড়েন নাঈম। ১১ বলে ২ বাউন্ডারিতে সমান রান করেন এই ব্যাটার। বাকি ৩ রান দৌঁড়ে নেন।
এই পরিসংখ্যান নাঈমের চিরাচরিত দূর্বলতাই তুলে ধরছে। সিঙ্গেলে দুর্বল হওয়ায় শক্তিশালী বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে সাবলীয় ব্যাটিং করতে বেগ পেতে হয় তাঁকে। আছে ফুটওয়ার্কের সমস্যা। বাউন্ডারি আদায় করে রানের চাকা সচল রাখার চেষ্টা করেন নাঈম। যেদিন বাউন্ডারি মারতে ব্যর্থ হন সেদিন বেশ ধুঁকতে দেখা যায় তাঁকে। কিংবা ফেরেন শুরুতেই। আজ তেমন অভিজ্ঞতার সাক্ষীই হলেন ২৬ বছর বয়সী এই ব্যাটার। নিলামে সিলেট টাইটান্স, নোয়াখালী এবং রংপুর রাইডার্সের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নাঈমকে দলে ভেড়ায় চট্টগ্রাম। প্রথম ম্যাচে ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি কর্তৃপক্ষের চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ালেন নাঈম।
নাঈম প্যাভিলিয়নে বসে দেখেছেন তাহিরের দায়িত্বশীল ব্যাটিং। হাসান মাহমুদের করা ২০তম ওভারের শেষ বলে এলবিডব্লু হওয়ার আগে ৮০ রান করেন তাহির। ৬৯ বল খেললেও চট্টগ্রামের দুর্বল ব্যাটিং লাইনের বিবেচনায় তাঁর এই ইনিংসের গুরুত্ব অনেক। ১৩ বলে ২৬ রান এনে দেন শেখ মেহেদি হাসান। এছাড়া মাহমুদুল হাসান জয় ১৭ ও মাহফিজুল ইসলাম করেন ১৬ রান। নোয়াখালীর হয়ে ৯ রানে ২ উইকেট নেন সাব্বির। মাজ সাদাকাত, জহির খান, রানা ও মাহমুদ নেন একটি করে উইকেট।

দলে ছিলেন নিলামে রেকর্ড দামে বিক্রি হওয়া নাঈম শেখ। ১ কোটি ১০ লাখ টাকায় এই ব্যাটারকে কিনেছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। কিন্তু প্রথম ম্যাচে ব্যাট হাতে চরমভাবে হতাশ করেছেন তিনি। নাঈম ব্যর্থ হলেও দলের হাল ধরেন আরেক ওপেনার মির্জা তাহির বেগ। তাঁর ফিফটিতে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে নোয়াখালী এক্সপ্রেসের বিপক্ষে ১৭৪ রানের পুঁজি পেয়েছে চট্টগ্রাম।
দেখেশুনেই ব্যাট চালাচ্ছিলেন দুই ওপেনার নাঈম ও তাহির। কখনো ধীরগতি আবার কখনো সুযোগ পেলে হাত খুলে খেলে ইনিংসের শেষ বলে আউট হন এই পাকিস্তান ক্রিকেটার। বিপরীত চিত্র নাঈমের। উইকেটে থিতু হতে পারেননি তিনি। টস জিতে আগে ব্যাট করতে নামা চট্টগ্রাম শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন মেহেদি হাসান রানা। তাঁর করা চতুর্থ ওভারের শেষ বলে সাব্বির হোসেনের হাতে ধরা পড়েন নাঈম। ১১ বলে ২ বাউন্ডারিতে সমান রান করেন এই ব্যাটার। বাকি ৩ রান দৌঁড়ে নেন।
এই পরিসংখ্যান নাঈমের চিরাচরিত দূর্বলতাই তুলে ধরছে। সিঙ্গেলে দুর্বল হওয়ায় শক্তিশালী বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে সাবলীয় ব্যাটিং করতে বেগ পেতে হয় তাঁকে। আছে ফুটওয়ার্কের সমস্যা। বাউন্ডারি আদায় করে রানের চাকা সচল রাখার চেষ্টা করেন নাঈম। যেদিন বাউন্ডারি মারতে ব্যর্থ হন সেদিন বেশ ধুঁকতে দেখা যায় তাঁকে। কিংবা ফেরেন শুরুতেই। আজ তেমন অভিজ্ঞতার সাক্ষীই হলেন ২৬ বছর বয়সী এই ব্যাটার। নিলামে সিলেট টাইটান্স, নোয়াখালী এবং রংপুর রাইডার্সের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নাঈমকে দলে ভেড়ায় চট্টগ্রাম। প্রথম ম্যাচে ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি কর্তৃপক্ষের চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ালেন নাঈম।
নাঈম প্যাভিলিয়নে বসে দেখেছেন তাহিরের দায়িত্বশীল ব্যাটিং। হাসান মাহমুদের করা ২০তম ওভারের শেষ বলে এলবিডব্লু হওয়ার আগে ৮০ রান করেন তাহির। ৬৯ বল খেললেও চট্টগ্রামের দুর্বল ব্যাটিং লাইনের বিবেচনায় তাঁর এই ইনিংসের গুরুত্ব অনেক। ১৩ বলে ২৬ রান এনে দেন শেখ মেহেদি হাসান। এছাড়া মাহমুদুল হাসান জয় ১৭ ও মাহফিজুল ইসলাম করেন ১৬ রান। নোয়াখালীর হয়ে ৯ রানে ২ উইকেট নেন সাব্বির। মাজ সাদাকাত, জহির খান, রানা ও মাহমুদ নেন একটি করে উইকেট।

আশঙ্কা, সংশয়ের চোরাস্রোত বয়ে গেল ঈদের সকালে! ২০০৩ বিশ্বকাপের সেই স্মৃতি ফিরে আসবে না তো? ২১ বছর আগে কোরবানির ঈদ বিষাদে ভরে গিয়েছিল বাংলাদেশের দর্শকদের মন। বিশ্বকাপে বাংলাদেশ হেরে গিয়েছিল কানাডার কাছে। আজ আরেকটি কোরাবানির ঈদ, জয়-পরাজয়ের দোলাচলে বাংলাদেশ—তবে শেষ পর্যন্ত আনন্দের সকালে আনন্দ আরেকটি লো
১৭ জুন ২০২৪
বিপিএলের খেলোয়াড় নিলামে এবার সবচেয়ে বেশি ১ কোটি ১০ লাখ টাকা পেয়েছেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ। কোটি টাকার ওপরে দাম পাওয়া একমাত্র ক্রিকেটারও তিনি। কিন্তু যে প্রত্যাশায় এই দামে তাঁকে কিনে নিয়েছিল চট্টগ্রাম রয়্যালস...
৩ ঘণ্টা আগে
বিজয় হাজারে ট্রফিতে আজকের দিনটা দুই রকমের হয়ে থাকল বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মার জন্য। দিল্লির হয়ে দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে এদিন বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন কোহলি। অন্যদিকে শূন্য রানে আউট হয়ে তেতো অভিজ্ঞতা নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন রোহিত।
৫ ঘণ্টা আগে
ইউনেক্স-সানরাইজ বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল সিরিজের পুরুষ দ্বৈতে অল বাংলাদেশ ফাইনালে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে গৌরব সিংহ ও আবদুল জহির তানভীর জুটি। শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ ইনডোর স্টেডিয়ামে আজ পুরুষ দ্বৈতের ফাইনালে গৌরব-তানভীর জুটি ২১-১৯, ১৭-২১ ও ২২-২০ সেটে মিজানুর রহমান ও রাহাতুন নাঈম জুটিকে হারিয়ে সোনা জিতেছে।
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইউনেক্স-সানরাইজ বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল সিরিজের পুরুষ দ্বৈতে অল বাংলাদেশ ফাইনালে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে গৌরব সিংহ ও আবদুল জহির তানভীর জুটি। শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ ইনডোর স্টেডিয়ামে আজ পুরুষ দ্বৈতের ফাইনালে গৌরব-তানভীর জুটি ২১-১৯, ১৭-২১ ও ২২-২০ সেটে মিজানুর রহমান ও রাহাতুন নাঈম জুটিকে হারিয়ে সোনা জিতেছে।
তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ প্রথম সেটে গৌরব সিংহ ও আবদুল জহির তানভীর জুটি ২১-১৯ পয়েন্টে জেতে। দ্বিতীয় সেটে কোর্ট পরিবর্তন করার পর ভাগ্য বদলে যায় মিজানুর রহমান ও রাহাতুন নাঈম জুটির। টানা পয়েন্ট পেতে শুরু করেন তাঁরা। এই সেটে ৭-১ পয়েন্টে পিছিয়ে পড়েও ১৫-১৩ পয়েন্টে এগিয়ে যায় গৌরব-তানভীর জুটি। মিজান ও নাঈম জুটি ২১-১৭ পয়েন্টে জিতলে ১-১ সেটে ড্র হয় খেলা।
তৃতীয় সেটেও তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তোলে উভয় জুটি। ২০-২০ পয়েন্টে সমান ছিল দুই জুটিই। কিন্তু শেষপর্যন্ত টানা দুই পয়েন্ট পেয়ে ২২-২০ পয়েন্টে শেষ সেট জিতে ২-১ সেটে চ্যাম্পিয়ন হয় গৌরব-তানভীর জুটি।

ইউনেক্স-সানরাইজ বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল সিরিজের পুরুষ দ্বৈতে অল বাংলাদেশ ফাইনালে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে গৌরব সিংহ ও আবদুল জহির তানভীর জুটি। শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ ইনডোর স্টেডিয়ামে আজ পুরুষ দ্বৈতের ফাইনালে গৌরব-তানভীর জুটি ২১-১৯, ১৭-২১ ও ২২-২০ সেটে মিজানুর রহমান ও রাহাতুন নাঈম জুটিকে হারিয়ে সোনা জিতেছে।
তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ প্রথম সেটে গৌরব সিংহ ও আবদুল জহির তানভীর জুটি ২১-১৯ পয়েন্টে জেতে। দ্বিতীয় সেটে কোর্ট পরিবর্তন করার পর ভাগ্য বদলে যায় মিজানুর রহমান ও রাহাতুন নাঈম জুটির। টানা পয়েন্ট পেতে শুরু করেন তাঁরা। এই সেটে ৭-১ পয়েন্টে পিছিয়ে পড়েও ১৫-১৩ পয়েন্টে এগিয়ে যায় গৌরব-তানভীর জুটি। মিজান ও নাঈম জুটি ২১-১৭ পয়েন্টে জিতলে ১-১ সেটে ড্র হয় খেলা।
তৃতীয় সেটেও তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তোলে উভয় জুটি। ২০-২০ পয়েন্টে সমান ছিল দুই জুটিই। কিন্তু শেষপর্যন্ত টানা দুই পয়েন্ট পেয়ে ২২-২০ পয়েন্টে শেষ সেট জিতে ২-১ সেটে চ্যাম্পিয়ন হয় গৌরব-তানভীর জুটি।

আশঙ্কা, সংশয়ের চোরাস্রোত বয়ে গেল ঈদের সকালে! ২০০৩ বিশ্বকাপের সেই স্মৃতি ফিরে আসবে না তো? ২১ বছর আগে কোরবানির ঈদ বিষাদে ভরে গিয়েছিল বাংলাদেশের দর্শকদের মন। বিশ্বকাপে বাংলাদেশ হেরে গিয়েছিল কানাডার কাছে। আজ আরেকটি কোরাবানির ঈদ, জয়-পরাজয়ের দোলাচলে বাংলাদেশ—তবে শেষ পর্যন্ত আনন্দের সকালে আনন্দ আরেকটি লো
১৭ জুন ২০২৪
বিপিএলের খেলোয়াড় নিলামে এবার সবচেয়ে বেশি ১ কোটি ১০ লাখ টাকা পেয়েছেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ। কোটি টাকার ওপরে দাম পাওয়া একমাত্র ক্রিকেটারও তিনি। কিন্তু যে প্রত্যাশায় এই দামে তাঁকে কিনে নিয়েছিল চট্টগ্রাম রয়্যালস...
৩ ঘণ্টা আগে
বিজয় হাজারে ট্রফিতে আজকের দিনটা দুই রকমের হয়ে থাকল বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মার জন্য। দিল্লির হয়ে দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে এদিন বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন কোহলি। অন্যদিকে শূন্য রানে আউট হয়ে তেতো অভিজ্ঞতা নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন রোহিত।
৫ ঘণ্টা আগে
দলে ছিলেন নিলামে রেকর্ড দামে বিক্রি হওয়া নাঈম শেখ। ১ কোটি ১০ লাখ টাকায় এই ব্যাটারকে কিনেছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। কিন্তু প্রথম ম্যাচে ব্যাট হাতে চরমভাবে হতাশ করেছেন তিনি।
৬ ঘণ্টা আগে