নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
অ্যাটাক-সেট-হিট, বাংলাদেশ দলের নতুন ফিল্ডিং কোচ জেমস প্যামেন্টের এই তিন শব্দের দর্শন যেন দুবাইয়ের গরমেও অনুপ্রেরণা ইমন-শরীফুলদের। মুম্বাই ইন্ডিয়ানসে কাজ করার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন প্যামেন্টের অধীনে গত দুই দিন আইসিসি একাডেমি মাঠে নিবিড় অনুশীলন করেছে বাংলাদেশ দল। আগ্রাসী মানসিকতা, আত্মবিশ্বাসী শরীরী ভাষা আর ফুরফুরে মেজাজ—সব মিলিয়ে প্রস্তুতিতে ছিল পেশাদারির ছোঁয়া।
ফিল্ডিং অনুশীলনে এবার গুরুত্ব পেয়েছে শারীরিক সক্ষমতা যাচাই ও বিশেষ ক্যাচিং ড্রিল। প্যামেন্ট এককভাবে সেশন পরিচালনা করলেও পাশে ছিলেন ম্যানেজার নাফিস ইকবাল, সিনিয়র সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাহ উদ্দীন ও প্রধান কোচ ফিল সিমন্স। সবাই ছিলেন দায়িত্বশীল ও মনোযোগী। কারণটা পরিষ্কার—এই সংযুক্ত আরব আমিরাত সিরিজ পাকিস্তান সিরিজের প্রস্তুতির মঞ্চ।
আগামী দেড় মাসে বাংলাদেশ দলকে খেলতে হবে পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও ভারতের মতো বড় দলের বিপক্ষে অন্তত ১২টি টি-টোয়েন্টি। আর র্যাঙ্কিংয়ে তাদের অবস্থান বাংলাদেশের ওপরে। ফলে র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতির সুযোগ থাকলেও আপাতত লক্ষ্য একটি—দুবাই মিশনে সফল হয়ে আত্মবিশ্বাসে বলীয়ান হওয়া।
তা ছাড়া অতীতও সাবধান করে দিচ্ছে। ২০২২ সালের সফরে আমিরাতের বিপক্ষে সিরিজে জয় এলেও প্রথম ম্যাচে জয়ের জন্য শেষ ওভার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছিল বাংলাদেশকে। সেই অভিজ্ঞতা থেকে এবার বাড়তি সতর্কতায় সিরিজ শুরু করতে চায় টাইগাররা। আজ শারজায় বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় মাঠে নামছে দুই দল।
বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপে জমাট প্রতিযোগিতা। স্কোয়াডে পাঁচজন ব্যাটার রয়েছেন, যাদের সবাইকে খেলাতে চাইলে শীর্ষ চারে জায়গা করে দিতে হবে। তানজিদ হাসান ও সৌম্য সরকার ওপেনার হিসেবে এগিয়ে থাকলেও এরপর অধিনায়ক লিটন দাস ও নাজমুল হোসেন শান্তর অবস্থান নিয়ে রয়েছে কৌতূহল। শান্তর সাম্প্রতিক টি-টোয়েন্টি ফর্ম ও স্কোয়াডে অন্তর্ভুক্তি নিয়ে বিতর্ক থাকলেও একাদশে জায়গা পেলে হয়তো অপেক্ষায় থাকতে হবে পারভেজ হোসেন ইমনকে। মিডল অর্ডারে তাওহিদ হৃদয়, শামীম হোসেন ও জাকের আলী থাকছেন মারকুটে ভূমিকায়। রান তোলার গতি ও স্ট্রাইকরেট—দুটিই তাঁদের পক্ষে। ইনিংসের শেষ দিকে দায়িত্বে থাকবেন রিশাদ হোসেন ও মেহেদী হাসান, যাঁদের ওপর ভরসা করা যায় যে তাঁরা ম্যাচ শেষ করে আসবেন।
পেস বোলিং আক্রমণেও রয়েছে বৈচিত্র্য। অভিজ্ঞ মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে থাকছেন ফর্মে থাকা তানজিম হাসান সাকিব। বিকল্প হিসেবে দলে রয়েছেন শরীফুল ইসলাম, হাসান মাহমুদ ও নাহিদ রানা। স্পিন বিভাগে রিশাদ ও মেহেদীর পর বাঁহাতি বিকল্প হিসেবে রয়েছেন তানভীর ইসলাম।
গত বছর ক্যারিবীয় সফরে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করেছিল বাংলাদেশ। নতুন বছরের টি-টোয়েন্টি অভিযানেও জয় দিয়ে শুরু করতে চায় টাইগাররা। নতুন অধিনায়ক লিটন দাস নেতৃত্বে প্রশংসিত হলেও ব্যাট হাতে এখনো নিজেকে ফিরে পাননি। তবে আত্মবিশ্বাসে তাঁর কমতি নেই। ঢাকা ছাড়ার আগে বলে গেছেন, ‘অধিনায়কত্বে আমার কোনো রোল মডেল নেই। অধিনায়কত্ব ছাড়াও খারাপ খেলেছি, আবার অধিনায়ক হয়ে ভালো খেলতেও পারি।’
দলের নির্ভরতার প্রতীকে পরিণত হয়েছেন জাকের আলী। অভিষেকে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দারুণ সূচনা করেছিলেন, যদিও বিশ্বকাপে ফর্ম হারান। তবে ক্যারিবীয় সফরে দুই ফরম্যাটে দারুণ ইনিংস খেলে আবারও আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছেন। মিডল অর্ডারে তাঁর লেগসাইডে টাইমিং বিশেষ নজর কাড়ে, যা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাঁকে আলাদা করে চিনিয়ে দিয়েছে। হৃদয় ও শামীম থাকলেও জাকের আলী এখন বাংলাদেশের মিডল অর্ডারে সবচেয়ে বড় ভরসা। মিরপুরে হৃদয়কে নিয়ে সিমন্স ও সালাহ উদ্দীন অফসাইডে বিশেষ কিছু স্কিলের অনুশীলন করিয়েছেন। সেই পরিশ্রমের ফল পাওয়ার আশা আজ থেকে শুরু হতে যাওয়া সিরিজে।
অপর দিকে আরব আমিরাত ব্যস্ত সূচি শেষে সিরিজ খেলতে নামবে। বিশ্বকাপ লিগ-২ খেলতে গিয়ে তারা স্কটল্যান্ড ও স্বাগতিক নেদারল্যান্ডসের কাছে হেরে এসেছে। জিতেছে মাত্র একটি ম্যাচ। তাই তাদের জন্য সিরিজটি হবে জয়ে ফেরার মঞ্চ।
অ্যাটাক-সেট-হিট, বাংলাদেশ দলের নতুন ফিল্ডিং কোচ জেমস প্যামেন্টের এই তিন শব্দের দর্শন যেন দুবাইয়ের গরমেও অনুপ্রেরণা ইমন-শরীফুলদের। মুম্বাই ইন্ডিয়ানসে কাজ করার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন প্যামেন্টের অধীনে গত দুই দিন আইসিসি একাডেমি মাঠে নিবিড় অনুশীলন করেছে বাংলাদেশ দল। আগ্রাসী মানসিকতা, আত্মবিশ্বাসী শরীরী ভাষা আর ফুরফুরে মেজাজ—সব মিলিয়ে প্রস্তুতিতে ছিল পেশাদারির ছোঁয়া।
ফিল্ডিং অনুশীলনে এবার গুরুত্ব পেয়েছে শারীরিক সক্ষমতা যাচাই ও বিশেষ ক্যাচিং ড্রিল। প্যামেন্ট এককভাবে সেশন পরিচালনা করলেও পাশে ছিলেন ম্যানেজার নাফিস ইকবাল, সিনিয়র সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাহ উদ্দীন ও প্রধান কোচ ফিল সিমন্স। সবাই ছিলেন দায়িত্বশীল ও মনোযোগী। কারণটা পরিষ্কার—এই সংযুক্ত আরব আমিরাত সিরিজ পাকিস্তান সিরিজের প্রস্তুতির মঞ্চ।
আগামী দেড় মাসে বাংলাদেশ দলকে খেলতে হবে পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও ভারতের মতো বড় দলের বিপক্ষে অন্তত ১২টি টি-টোয়েন্টি। আর র্যাঙ্কিংয়ে তাদের অবস্থান বাংলাদেশের ওপরে। ফলে র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতির সুযোগ থাকলেও আপাতত লক্ষ্য একটি—দুবাই মিশনে সফল হয়ে আত্মবিশ্বাসে বলীয়ান হওয়া।
তা ছাড়া অতীতও সাবধান করে দিচ্ছে। ২০২২ সালের সফরে আমিরাতের বিপক্ষে সিরিজে জয় এলেও প্রথম ম্যাচে জয়ের জন্য শেষ ওভার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছিল বাংলাদেশকে। সেই অভিজ্ঞতা থেকে এবার বাড়তি সতর্কতায় সিরিজ শুরু করতে চায় টাইগাররা। আজ শারজায় বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় মাঠে নামছে দুই দল।
বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপে জমাট প্রতিযোগিতা। স্কোয়াডে পাঁচজন ব্যাটার রয়েছেন, যাদের সবাইকে খেলাতে চাইলে শীর্ষ চারে জায়গা করে দিতে হবে। তানজিদ হাসান ও সৌম্য সরকার ওপেনার হিসেবে এগিয়ে থাকলেও এরপর অধিনায়ক লিটন দাস ও নাজমুল হোসেন শান্তর অবস্থান নিয়ে রয়েছে কৌতূহল। শান্তর সাম্প্রতিক টি-টোয়েন্টি ফর্ম ও স্কোয়াডে অন্তর্ভুক্তি নিয়ে বিতর্ক থাকলেও একাদশে জায়গা পেলে হয়তো অপেক্ষায় থাকতে হবে পারভেজ হোসেন ইমনকে। মিডল অর্ডারে তাওহিদ হৃদয়, শামীম হোসেন ও জাকের আলী থাকছেন মারকুটে ভূমিকায়। রান তোলার গতি ও স্ট্রাইকরেট—দুটিই তাঁদের পক্ষে। ইনিংসের শেষ দিকে দায়িত্বে থাকবেন রিশাদ হোসেন ও মেহেদী হাসান, যাঁদের ওপর ভরসা করা যায় যে তাঁরা ম্যাচ শেষ করে আসবেন।
পেস বোলিং আক্রমণেও রয়েছে বৈচিত্র্য। অভিজ্ঞ মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে থাকছেন ফর্মে থাকা তানজিম হাসান সাকিব। বিকল্প হিসেবে দলে রয়েছেন শরীফুল ইসলাম, হাসান মাহমুদ ও নাহিদ রানা। স্পিন বিভাগে রিশাদ ও মেহেদীর পর বাঁহাতি বিকল্প হিসেবে রয়েছেন তানভীর ইসলাম।
গত বছর ক্যারিবীয় সফরে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করেছিল বাংলাদেশ। নতুন বছরের টি-টোয়েন্টি অভিযানেও জয় দিয়ে শুরু করতে চায় টাইগাররা। নতুন অধিনায়ক লিটন দাস নেতৃত্বে প্রশংসিত হলেও ব্যাট হাতে এখনো নিজেকে ফিরে পাননি। তবে আত্মবিশ্বাসে তাঁর কমতি নেই। ঢাকা ছাড়ার আগে বলে গেছেন, ‘অধিনায়কত্বে আমার কোনো রোল মডেল নেই। অধিনায়কত্ব ছাড়াও খারাপ খেলেছি, আবার অধিনায়ক হয়ে ভালো খেলতেও পারি।’
দলের নির্ভরতার প্রতীকে পরিণত হয়েছেন জাকের আলী। অভিষেকে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দারুণ সূচনা করেছিলেন, যদিও বিশ্বকাপে ফর্ম হারান। তবে ক্যারিবীয় সফরে দুই ফরম্যাটে দারুণ ইনিংস খেলে আবারও আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছেন। মিডল অর্ডারে তাঁর লেগসাইডে টাইমিং বিশেষ নজর কাড়ে, যা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাঁকে আলাদা করে চিনিয়ে দিয়েছে। হৃদয় ও শামীম থাকলেও জাকের আলী এখন বাংলাদেশের মিডল অর্ডারে সবচেয়ে বড় ভরসা। মিরপুরে হৃদয়কে নিয়ে সিমন্স ও সালাহ উদ্দীন অফসাইডে বিশেষ কিছু স্কিলের অনুশীলন করিয়েছেন। সেই পরিশ্রমের ফল পাওয়ার আশা আজ থেকে শুরু হতে যাওয়া সিরিজে।
অপর দিকে আরব আমিরাত ব্যস্ত সূচি শেষে সিরিজ খেলতে নামবে। বিশ্বকাপ লিগ-২ খেলতে গিয়ে তারা স্কটল্যান্ড ও স্বাগতিক নেদারল্যান্ডসের কাছে হেরে এসেছে। জিতেছে মাত্র একটি ম্যাচ। তাই তাদের জন্য সিরিজটি হবে জয়ে ফেরার মঞ্চ।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড ছিল ১৫৮। ২০০৯ সালে ব্রিসবেনে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এবং ২০২২ সালে পার্থে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এই রান তাড়া করে জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া। সেই রেকর্ড ভেঙে গতকাল কেয়ার্নসে নতুন রেকর্ড গড়ল অস্ট্রেলিয়া।
৯ ঘণ্টা আগেপাকিস্তান শাহিনসের কাছে বাজেভাবে হেরে অস্ট্রেলিয়ায় টপ এন্ড টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু করেছিল বাংলাদেশ ‘এ’। তবে দ্বিতীয় ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। আজ ডারউইনে নেপাল জাতীয় দলকে হারিয়েছে ৩২ রানে।
১০ ঘণ্টা আগেআসছে অক্টোবরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সংযুক্ত আরব আমিরাতে সাদা বলের সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। ৩টি টি-টোয়েন্টি ও সমান ম্যাচের একটি ওয়ানডে সিরিজের সূচিও গতকাল আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেছে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (এসিবি)।
১২ ঘণ্টা আগেএএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগে একই গ্রুপে পড়েছে ভারতীয় ক্লাব এফসি গোয়া ও সৌদি ক্লাব আল নাসর। সব ঠিক থাকলে ভারতে আসছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। সেজন্য ম্যাচটি রূপ নিয়েছে ঐতিহাসিকে। এফসি গোয়ার প্রধান নির্বাহী রবি পুষ্কুরের কাছে তা জীবনে একবার আসার মতো মুহূর্ত।
১২ ঘণ্টা আগে