Ajker Patrika

হোয়াইটওয়াশের পর ভারতের আরও অবনতি

ক্রীড়া ডেস্ক    
নিজের শেষ পাঁচ টেস্টে বিরাট কোহলির শুধু এক ফিফটি। ছবি: এএফপি
নিজের শেষ পাঁচ টেস্টে বিরাট কোহলির শুধু এক ফিফটি। ছবি: এএফপি

সময়টা ভালো যাচ্ছে না ভারতের। নিউজিল্যান্ডের কাছে ৩ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ধবলধোলাই হয়েছে ভারত। যেখানে ভারত তাদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ঘরের মাঠে ৩-০ ব্যবধানে টেস্টে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে। প্রভাব পড়েছে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চক্রের পয়েন্ট টেবিলেও।

নিউজিল্যান্ড সিরিজে ভারতের পারফরম্যান্স কতটা হতশ্রী ছিল, সেটা বোঝাতে মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে তৃতীয় টেস্টের স্কোরকার্ডই স্পষ্ট। নিউজিল্যান্ডের দেওয়া ১৪৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে রোহিত শর্মার দল গুটিয়ে গেছে ১২১ রানে। টেস্ট সিরিজে ধবলধোলাই হয়ে ২০২৩-২৫ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চক্রের পয়েন্ট টেবিলে দুইয়ে নেমে গেল ভারত। এশিয়ার দলটির সাফল্যের হার ৫৮.৩৩। তারা এই চক্রে খেলেছে ১৪ টেস্ট। অথচ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ শুরুর আগে ৭৪.২৪ শতাংশ সফলতার হার নিয়ে সবার ওপরে ছিল ভারত।

ভারতের হারানো সিংহাসন এখন অস্ট্রেলিয়ার দখলে। ১২ ম্যাচ খেলা অজিদের সফলতার হার ৬২.৫। এই দুটি দলই পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে মুখোমুখি হচ্ছে এ মাসের শেষে। ২২ নভেম্বর পার্থে শুরু হচ্ছে ভারত-অস্ট্রেলিয়া প্রথম টেস্ট। উড়তে থাকা ভারতের জন্য ফাইনাল খেলা অনেকটা শঙ্কার মুখেই পড়েছে। কারণ ভারতের কাছে এই পাঁচ ম্যাচই শেষ সুযোগ ফাইনালে উঠতে।

ভারতের মাঠে ভারতের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো ৩-০ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজ জয়ের পর নিউজিল্যান্ডের উচ্ছ্বাস। ছবি: ক্রিকইনফো
ভারতের মাঠে ভারতের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো ৩-০ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজ জয়ের পর নিউজিল্যান্ডের উচ্ছ্বাস। ছবি: ক্রিকইনফো

ভারতের মাঠে ঐতিহাসিক টেস্ট সিরিজ জয়ের পর উন্নতি হয়েছে নিউজিল্যান্ডের। পাঁচ থেকে চারে উঠেছে ব্ল্যাকক্যাপসরা। কিউইদের সফলতার হার এখন ৫৪.৫৫। টম লাথামের নেতৃত্বাধীন নিউজিল্যান্ড এবারই ভারতকে তাদের মাঠে টেস্ট সিরিজে ধবলধোলাই করেছে। কিউইরা এগিয়ে যাওয়ায় পেছাল দক্ষিণ আফ্রিকা। চার থেকে পাঁচে নেমে যাওয়া প্রোটিয়াদের সফলতার হার এখন ৫৪.১৯।

পয়েন্ট টেবিলের প্রথম পাঁচ দলের মধ্যে এখন ফাইনালে ওঠার প্রতিযোগিতা জমে উঠেছে। শ্রীলঙ্কার এখনো বাকি চার ম্যাচ। যার মধ্যে দুটি খেলবে ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। বাকি দুই ম্যাচ লঙ্কানরা খেলবে দক্ষিণ আফ্রিকার মাঠে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে। নিউজিল্যান্ডের হাতে বাকি রয়েছে ৩ ম্যাচ। ২৮ নভেম্বর ক্রাইস্টচার্চে শুরু হচ্ছে নিউজিল্যান্ড-ইংল্যান্ড তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ।

ভারত-নিউজিল্যান্ড তৃতীয় টেস্টের পর ২০২৩-২৫ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চক্রের পয়েন্ট টেবিল। ছবি: ক্রিকইনফো
ভারত-নিউজিল্যান্ড তৃতীয় টেস্টের পর ২০২৩-২৫ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চক্রের পয়েন্ট টেবিল। ছবি: ক্রিকইনফো

দক্ষিণ আফ্রিকার হাতে থাকা ৪ ম্যাচের ৪টি খেলবে ঘরের মাঠে। শ্রীলঙ্কা-পাকিস্তান দুই দলের বিপক্ষেই দুটি করে ম্যাচ খেলবে প্রোটিয়ারা। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়ার বাকি থাকল ৭ ম্যাচ। তবে পয়েন্ট টেবিলের ছয়, সাত, আট ও নয় নম্বরে থাকা ইংল্যান্ড, পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের ফাইনাল খেলার সুযোগ শেষ। বাংলাদেশের এই চক্রে বাকি কেবল ২ ম্যাচ। দুটি ম্যাচই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তাদের মাঠে খেলবে বাংলাদেশ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কোয়ালিফিকেশনে উজ্জ্বল রামকৃষ্ণ-হিমু

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
কোয়ালিফিকেশন রাউন্ডে ষষ্ঠ হয়েছেন রামকৃষ্ণ সাহা। ছবি: আর্চারি ফেডারেশন
কোয়ালিফিকেশন রাউন্ডে ষষ্ঠ হয়েছেন রামকৃষ্ণ সাহা। ছবি: আর্চারি ফেডারেশন

এশিয়ান আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপে মাঠের লড়াই শুরু হয়েছে আজ থেকে। কোয়ালিফিকেশন রাউন্ডে রিকার্ভে রামকৃষ্ণ সাহা ও কম্পাউন্ডে আলো ছড়িয়েছেন হিমু বাছার। দুজনেই নিজের প্রথম রাউন্ডে তাই বাই পেয়েছেন।

জাতীয় স্টেডিয়ামে আজ সকাল ৯টায় শুরু হয়েছে কোয়ালিফিকেশন রাউন্ড। রিকার্ভ পুরুষে বাংলাদেশের চার আর্চারের মধ্যে বাকিরা রামকৃষ্ণর ধারেকাছেও ছিলেন না। ৭২০ স্কোরের মধ্যে ৬৬৮ স্কোর নিয়ে ষষ্ঠ হয়েছেন রামকৃষ্ণ। বুলসআই ছিল ১৪টি। ৬৮৭ স্কোর নিয়ে প্রথম ভারতের যশদীপ সঞ্জয় ভোগে। ৬৪২ স্কোর নিয়ে রাকিব মিয়া ৩২তম, ৬৩৯ স্কোর নিয়ে সাগর ইসলাম ৩৮তম, ৬৩৭ স্কোর নিয়ে আব্দুর রহমান আলিফ ৪১তম হয়েছেন। তৃতীয় রাউন্ডে নকআউট পর্ব শুরু করবেন রামকৃষ্ণ, ‘বাতাসের প্রভাব ছিল। তারপরও আমার যে মৌলিকতা ছিল, সেটা ধরে রেখেছি। এখন যে স্কোর হয়েছে, সেটা ভালো। নকআউট এমন একটা রাউন্ড যেখানে যে কেউ যে কাউকে হারিয়ে দিতে পারে। আমি নিজের সেরা পারফরম্যান্স করতে পারলে অবশ্যই ভালো হবে। পদক আশা করতে পারি।’

রিকার্ভ নারী এককে সিমা আক্তার শিমু ২৪, সোনালি রায় ৩২, ইতি খাতুন ৩৭ ও মনিরা আক্তার ৩৮তম হয়েছেন। কম্পাউন্ড পুরুষ এককে ৭০৪ স্কোর নিয়ে দশম হয়েছেন হিমু বাছাড়। মোহাম্মদ আশিকুজ্জামান ৩৫, নেওয়াজ আহমেদ রাকিব ৪১ ও সোহেল রানা হয়েছেন ৪৫তম।

কম্পাউন্ড নারী এককে ক্যারিয়ারসেরা ৬৯৩ স্কোর নিয়ে ১২তম হয়েছেন বন্যা আক্তার। কুলসুম আক্তার মনি ১৭, পুষ্পিতা জামান ২৪, মিথিলা আক্তার ৩২ এ থেকে কোয়ালিফিকেশন রাউন্ড শেষ করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নড়বড়ে নব্বইয়ের ঘরে আটকালেন নাঈম-সৌম্য

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ১৮: ২০
নড়বড়ে নব্বইয়ের ঘরে আউট হয়েছেন নাঈম-সৌম্য। ফাইল ছবি
নড়বড়ে নব্বইয়ের ঘরে আউট হয়েছেন নাঈম-সৌম্য। ফাইল ছবি

প্রথম দিন শেষে ৫৫ রানে অপরাজিত ছিলেন নাঈম শেখ। দ্বিতীয় দিন ব্যাট করতে নেমেও ক্রিজে টিকে যান। সেঞ্চুরির দিকেই এগোচ্ছিলেন। কিন্তু নড়বড় নব্বইয়ের ঘরে আটকে যান এই বাঁ হাতি ওপেনার। নাঈমের মতো সেঞ্চুরি মিসের আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন আরেক বাঁ হাতি ব্যাটার সৌম্য সরকার।

কক্সবাজার একাডেমি গ্রাউন্ডে ঢাকার বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৩৩৬ রানে অলআউট হয়েছে ময়মনসিংহ। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ ৯০ রান করেন নাঈম। ১৫৬ বলে ১১ চারে সাজানো তাঁর ইনিংস। শহিদুল ইসলামের অবদান ৭৯ রান। শুভাগত হোম চৌধুরী করেন ৩৭ রান। আব্দুল মজিদের ব্যাট থেকে আসে ৩৪ রান। জবাবে বিনা উইকেটে ১৭ রান করে দিনের খেলা শেষ করেছে ঢাকা।

কক্সবাজার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দিনের শুরুতেই ১৯৯ রানের গুটিয়ে যায় সিলেট। লক্ষ্য তাড়ায় ১৮৭ রানে ৮ উইকেট হারিয়েছে রংপুর। সর্বোচ্চ ৪৯ রান করেন তানভীর হায়দার। ৩৬ রানে ৪ উইকেট নেন আবু জায়েদ রাহী।

বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ইনিংস থেমেছে ৩৫১ রানে। ৫ উইকেট নেন সফর আলী। দ্বিতীয় দিন শেষে খুলনার সংগ্রহ ৮ উইকেটে ২৪৯ রান। সেঞ্চুরি থেকে ৮ রান দূরে থাকতে ফেরেন সৌম্য। ৫৫ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করবেন জিয়াউর রহমান। ৫৫ রানে ৪ ব্যাটারকে ফেরান মেহেদি হাসান।

খুলনা বিভাগীয় স্টেডিয়ামে বরিশালের করা ২১২ রানের জবাবে রাজশাহীর ইনিংস থেমেছে ২৩৫ রানে। ৬৫ রান করেন প্রীতম কুমার। ৪৫ রান আসে আলী মোহাম্মদ ওয়ালিদের ব্যাট থেকে। বরিশালের হয়ে ৫ উইকেট নেন তানভীর। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ২২ রানে ১ উইকেট হারিয়েছে বরিশাল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

টানা আট ছক্কায় ভারতীয় ক্রিকেটারের বিশ্ব রেকর্ড

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ১৮: ৩৩
টানা আট ছক্কা মেরে বিশ্ব রেকর্ড গড়লেন আকাশ কুমার। ছবি: সংগৃহীত
টানা আট ছক্কা মেরে বিশ্ব রেকর্ড গড়লেন আকাশ কুমার। ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এখনো অভিষেক হয়নি আকাশ কুমার চৌধুরীর। পেশাদার ক্রিকেটেও বলার মতো কিছু করতে পারেননি। সেই আকাশ আজ রঞ্জি ট্রফিতে চালিয়েছেন তাণ্ডব। টেস্টে ‘বাজবল’ নামের যে ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের আবিষ্কার কয়েক বছর আগে ইংল্যান্ড করেছে, সেটা প্রয়োগ করলেন ২৫ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার।

সুরাটের পিথওয়ালা স্টেডিয়ামে গতকাল শুরু হয়েছে রঞ্জি ট্রফির প্লেট গ্রুপের মেঘালয়-অরুণাচল প্রদেশ ম্যাচ। অরুণাচলের বিপক্ষে আজ দ্বিতীয় দিনে টানা আট ছক্কা মেরেছেন আকাশ। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে টানা আট বলে ছক্কা মেরে রেকর্ডটা নিজের নামে লিখিয়ে নিলেন মেঘালয়ের এই ব্যাটার। এখানেই তিনি থেমে থাকেননি। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১১ বলে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ডও এখন আকাশের।

মেঘালয়ের আকাশ আজ আট নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে নিজের মুখোমুখি হওয়া প্রথম বলে ডট দিয়েছেন। এরপর টানা দুই বলে নিয়েছেন সিঙ্গেল। রয়েসয়ে শুরু করা আকাশ যে তাণ্ডব চালিয়েছেন, সেটাকে সাইক্লোন, টর্নেডো, সুনামি—কোনো শব্দ দিয়েই ব্যাখ্যা করার মতো নয়। টানা আট ছক্কা মেরে ১১ বলে ফিফটির বিশ্ব রেকর্ড করেছেন। ঝড়টা বয়ে গেছে অরুণাচলের বাঁহাতি স্পিনার লিমার দেবীর ওপর দিয়ে। ইনিংসের ১২৬তম ওভারে ছয় ছক্কা মেরেছেন আকাশ।

ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে আজ আকাশ নাম লিখিয়েছেন এক এলিট ক্লাবেও। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এক ওভারে ছয় ছক্কা মারা তৃতীয় ক্রিকেটার এখন মেঘালয়ের এই ব্যাটার। এর আগে এই কীর্তি গড়েছেন স্যার গ্যারি সোবার্স ও রবি শাস্ত্রী। ১৯৬৮ সালে ইংল্যান্ডের কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে নটিংহামশায়ারের জার্সিতে ৬ বলে ৬ ছক্কা মেরেছিলেন সোবার্স। সেবার তিনি পিটিয়েছিলেন গ্লামরগানের ম্যালকম ন্যাশকে। এরপর বোম্বের (বর্তমান মুম্বাই) হয়ে ১৯৮৫ সালে দ্বিতীয় ইনিংসে ছয় ছক্কা মেরেছিলেন শাস্ত্রী। ১২৩ বলে ২০০ রান করে অপরাজিত ছিলেন তিনি। বরোদার তিলক রাজকে শাস্ত্রী ছয় ছক্কা মেরেছিলেন।

আকাশের তাণ্ডবে এখন ইনিংসে জয়ের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে মেঘালয়ের সামনে। প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেটে ৬২৮ রানে ইনিংস ঘোষণা করেছে মেঘালয়। ইনিংস সর্বোচ্চ ২০৭ রান করেছেন অর্পিত ভাটেওয়ারা। অরুণাচল এরপর তাদের প্রথম ইনিংসে ৭৩ রানে গুটিয়ে গেছে। দ্বিতীয় ইনিংসে ২৯ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে দলটি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

তামিমের সেঞ্চুরিতে সিরিজ হার এড়াল বাংলাদেশ

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ১৮: ০৬
২–২ সমতায় সিরিজ শেষ করল বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান। ছবি: বিসিবি
২–২ সমতায় সিরিজ শেষ করল বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান। ছবি: বিসিবি

সময়মতোই জ্বলে উঠলেন আজিজুল হাকিম তামিম। বাঁচা–মরার লড়াইয়ে খেললেন অধিনায়কোচিত ইনিংস। তাঁর সেঞ্চুরিতে ভর দিয়ে শেষ ওয়ানডেতে আফগানিস্তান অনূর্ধ্ব ১৯ দলকে ২ উইকেটে হারাল বাংলাদেশ। এই জয়ে সিরিজ হার এড়াল স্বাগতিক দল।

জয় দিয়েই সিরিজ শুরু করেছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচ বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হওয়ার পর টানা দুই ম্যাচ হেরে যায় দলটি। তাই সিরিজ হার এড়াতে চাইলে শেষ ম্যাচে জিততেই হতো বাংলাদেশকে। সেটাই করে দেখাল তারা। এই জয়ে ২–২ সমতায় সিরিজ শেষ করল বাংলাদেশ।

রাজশাহীর বিভাগীয় স্টেডিয়ামে স্টেডিয়ামে এদিন বোলাররাই বাংলাদেশের জয়ের ভীত গড়ে দেয়। সাদ ইসলাম, শাহরিয়া আল আমিন, সামিউন বাশির রাতুলদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২০৮ রানের বেশি তুলতে পারেনি আফগানিস্তান। জবাবে ২৫ বল হাতে রেখে জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ।

জয়ের পথটা অবশ্য মসৃণ ছিল না বাংলাদেশের জন্য। ছোট লক্ষ্য তাড়ায় নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে হারের শঙ্কায় পড়ে যায় স্বাগতিকরা। তবে একপ্রান্ত আগলে রেখে ব্যাট দলের জয়ের কাণ্ডারি বনে যান তামিম। বাংলাদেশ জয় থেকে ২ রান দূরে থাকতে সাজঘরে হাঁটেন এই ওপেনার। তার আগে ১১৮ বলে ৭ চার ও ৩ ছক্কায় খেলেন ১০০ রানের ইনিংস।

ছোট দুটি ইনিংস খেলে তাঁকে সঙ্গ দেন রিজান হোসেন ও ফরিদ হোসেন ফয়সাল। রিজান ২৭ ও ফরিদ করেন ২৩ রান। ১৭ রান আসে আল আমিনের ব্যাট থেকে। দল হারলেও বল হাতে দিনটা রাঙিয়েছেন ওয়াহিদুল্লাহ জাদরান। ২৫ রানে ৪ উইকেট নেন তিনি। সালাম খান ও ওজাইরউল্লাহ নিয়াজাইয়ের শিকার দুটি করে উইকেট।

এর আগে আফগানিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৮ রান করেন উসমান সাদাত। মাহবুব খানের অবদান ৪০ রান। এছাড়া নিয়াজাই ৩২ ও আজিজুল্লাহ মিয়াখিল এনে দেন ১৯ রান। বাংলাদেশের হয়ে ৩৩ রান খরচায় ২ ব্যাটারকে ফেরান সামিউন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত