রানা আব্বাস, সিলেট থেকে
ব্লেসিং মুজারাবানির ওই ওভারের পরই শুরু হতো চা-বিরতি। মুজারাবানির চতুর্থ বলে মুশফিকুর রহিম করলেন কী, ব্যাক অব লেংথ থেকে উঠে আসা অফ স্টাম্পের বাইরের বল খোঁচা মারতে গিয়ে ক্রেইগ আরভিনের সহজ ক্যাচ। প্রথম ইনিংসে করেছিলেন মোটে ৪ রান, কালও ফিরলেন সেই ৪ রানে। সিলেট টেস্টে চা-বিরতির আগমুহূর্তে চারের চক্রে আটকে পড়া মুশফিকের দিকে আবারও ছুটে যাচ্ছে সমালোচনার তির।
সিলেট টেস্টে দুই ইনিংসের কোনোটিতেই ডাবল ডিজিট স্পর্শ না করতে পারায় মুশফিককে দায় দিতে রাজি নন মুমিনুল হক। বরং নিজে থিতু হয়েও বড় ইনিংস খেলতে না পারায় নিজেকে কাঠগড়ায় তুলছেন মুমিনুল, ‘সেট হয়ে আউট হলে দায় নিতে হবে। সেট হয়ে আউট হলে তার দায় বেশি। ১০ রানের নিচে আউট হলে তার আর কিছু করার থাকে না।’
ওয়ানডেতে টানা রানখরায় ভুগতে থাকা মুশফিক চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দুই ম্যাচে ব্যর্থ হওয়ার পর যখন তুমুল সমালোচিত হচ্ছিলেন, সমালোচনার যন্ত্রণা সহ্য না করতে পেরে দেশে ফিরেই তিনি বিদায় জানিয়ে দেন ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে। ২০২২ সালে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিয়েছিলেন। মুশফিক এখন খেলছেন শুধু টেস্ট। তাঁর স্বপ্ন প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ১০০ টেস্ট খেলবেন। ৯৫ টেস্ট খেলা মুশফিকের এ বছরই সুযোগ আছে স্বপ্নটা পূরণ করার। কিন্তু শুধু স্বপ্নপূরণ করতেই নয়, তিনি নিশ্চয়ই চাইবেন ধারাবাহিক ভালো খেলে দলে টিকে থাকতে।
গত আগস্টে রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৯১ রানের দুর্দান্ত ইনিংসটা খেলার পর মুশির ব্যাটে মরচে পড়েছে! সর্বশেষ ১২ ইনিংসে নেই একটিও ফিফটি। টেস্টেও মুশফিকের ভবিষ্যৎ নিয়ে উঠে যাচ্ছে প্রশ্ন। গত পরশু সিনিয়র সহকারী কোচ সালাহ উদ্দীন প্রসঙ্গটা কোনোভাবে এড়িয়ে গেছেন। কাল দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসা মুমিনুলকেও দিতে হলো মুশফিককে নিয়ে উত্তর।
অস্বস্তিকর প্রশ্নে মুমিনুল তাঁর সিনিয়র সতীর্থের পাশেই থাকছেন, ‘তাঁকে (মুশফিক) নিয়ে কোনোভাবে উদ্বিগ্ন নই। তিনি এত দিন ধরে ক্রিকেট খেলছেন, তিনি জানেন কীভাবে ব্যাট করতে হয়, রান করতে হয়।’ বাংলাদেশ টেস্ট দলে মুশফিকের অবদানের কথাও মনে করিয়ে দিলেন মুমিনুল, ‘সবার ভুলে যাওয়া উচিত না, বাংলাদেশ দলের জন্য তিনি কী করেছেন। তিনি যখন খেলেন, ম্যাচসেরা হওয়ার মতো ইনিংস খেলেন। টেস্টে যা যা তাঁর অর্জন, তা কোনোভাবে ভুলে যাওয়ার নয়।’
এখন সময়টা খারাপ গেলেও মুশফিকই বাংলাদেশের একমাত্র ব্যাটার, টেস্টে যাঁর তিনটি ডাবল সেঞ্চুরি আছে। মুশফিক অসাধারণ খেলেছেন আর বাংলাদেশে টেস্টে হেরেছে, এ রকম উদাহরণ কমই আছে। মুমিনুল সে কারণেই বলছেন, মুশি খেললে ম্যাচসেরা হওয়ার মতো ইনিংস খেলেন। কিন্তু সেই দ্যুতিময় ইনিংস কম দেখা যাচ্ছে বলেই তো এত প্রশ্ন।
মুমিনুলের আশা, যেহেতু এখন মুশফিক মাত্র একটি সংস্করণে খেলছেন, ৩৭ বছর বয়সী ব্যাটারের সুযোগ আছে আরও ভালো করার, ‘দুই ফরম্যাট থেকে অবসর নিয়েছেন, এখন যেহেতু এক ফরম্যাটে মনোযোগী, তিনি আগের চেয়ে আরও ভালো করতে পারবেন। যখন একটা সংস্করণ খেলবেন, তখন একটা লাইনে থাকা হয়, পারফর্ম করা সহজ হয়ে যায়।’
ক্যারিয়ারের এ পর্যায়ে নিজেকে আর প্রমাণের কিছু নেই তাঁর। তবে মুশফিকের মতো লড়াকু, পরিশ্রমী খেলোয়াড়েরা নিশ্চয়ই পেছনের রেকর্ড-পরিসংখ্যানকে পুঁজি করে চলতে পছন্দ করেন না। ক্যারিয়ারের শেষ বেলায় এসে মুশফিকের চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, মানসিকভাবে শক্ত থেকে মাথা উঁচু করে তুলির শেষ আঁচড়টা দেওয়া।
ব্লেসিং মুজারাবানির ওই ওভারের পরই শুরু হতো চা-বিরতি। মুজারাবানির চতুর্থ বলে মুশফিকুর রহিম করলেন কী, ব্যাক অব লেংথ থেকে উঠে আসা অফ স্টাম্পের বাইরের বল খোঁচা মারতে গিয়ে ক্রেইগ আরভিনের সহজ ক্যাচ। প্রথম ইনিংসে করেছিলেন মোটে ৪ রান, কালও ফিরলেন সেই ৪ রানে। সিলেট টেস্টে চা-বিরতির আগমুহূর্তে চারের চক্রে আটকে পড়া মুশফিকের দিকে আবারও ছুটে যাচ্ছে সমালোচনার তির।
সিলেট টেস্টে দুই ইনিংসের কোনোটিতেই ডাবল ডিজিট স্পর্শ না করতে পারায় মুশফিককে দায় দিতে রাজি নন মুমিনুল হক। বরং নিজে থিতু হয়েও বড় ইনিংস খেলতে না পারায় নিজেকে কাঠগড়ায় তুলছেন মুমিনুল, ‘সেট হয়ে আউট হলে দায় নিতে হবে। সেট হয়ে আউট হলে তার দায় বেশি। ১০ রানের নিচে আউট হলে তার আর কিছু করার থাকে না।’
ওয়ানডেতে টানা রানখরায় ভুগতে থাকা মুশফিক চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দুই ম্যাচে ব্যর্থ হওয়ার পর যখন তুমুল সমালোচিত হচ্ছিলেন, সমালোচনার যন্ত্রণা সহ্য না করতে পেরে দেশে ফিরেই তিনি বিদায় জানিয়ে দেন ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে। ২০২২ সালে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিয়েছিলেন। মুশফিক এখন খেলছেন শুধু টেস্ট। তাঁর স্বপ্ন প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ১০০ টেস্ট খেলবেন। ৯৫ টেস্ট খেলা মুশফিকের এ বছরই সুযোগ আছে স্বপ্নটা পূরণ করার। কিন্তু শুধু স্বপ্নপূরণ করতেই নয়, তিনি নিশ্চয়ই চাইবেন ধারাবাহিক ভালো খেলে দলে টিকে থাকতে।
গত আগস্টে রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৯১ রানের দুর্দান্ত ইনিংসটা খেলার পর মুশির ব্যাটে মরচে পড়েছে! সর্বশেষ ১২ ইনিংসে নেই একটিও ফিফটি। টেস্টেও মুশফিকের ভবিষ্যৎ নিয়ে উঠে যাচ্ছে প্রশ্ন। গত পরশু সিনিয়র সহকারী কোচ সালাহ উদ্দীন প্রসঙ্গটা কোনোভাবে এড়িয়ে গেছেন। কাল দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসা মুমিনুলকেও দিতে হলো মুশফিককে নিয়ে উত্তর।
অস্বস্তিকর প্রশ্নে মুমিনুল তাঁর সিনিয়র সতীর্থের পাশেই থাকছেন, ‘তাঁকে (মুশফিক) নিয়ে কোনোভাবে উদ্বিগ্ন নই। তিনি এত দিন ধরে ক্রিকেট খেলছেন, তিনি জানেন কীভাবে ব্যাট করতে হয়, রান করতে হয়।’ বাংলাদেশ টেস্ট দলে মুশফিকের অবদানের কথাও মনে করিয়ে দিলেন মুমিনুল, ‘সবার ভুলে যাওয়া উচিত না, বাংলাদেশ দলের জন্য তিনি কী করেছেন। তিনি যখন খেলেন, ম্যাচসেরা হওয়ার মতো ইনিংস খেলেন। টেস্টে যা যা তাঁর অর্জন, তা কোনোভাবে ভুলে যাওয়ার নয়।’
এখন সময়টা খারাপ গেলেও মুশফিকই বাংলাদেশের একমাত্র ব্যাটার, টেস্টে যাঁর তিনটি ডাবল সেঞ্চুরি আছে। মুশফিক অসাধারণ খেলেছেন আর বাংলাদেশে টেস্টে হেরেছে, এ রকম উদাহরণ কমই আছে। মুমিনুল সে কারণেই বলছেন, মুশি খেললে ম্যাচসেরা হওয়ার মতো ইনিংস খেলেন। কিন্তু সেই দ্যুতিময় ইনিংস কম দেখা যাচ্ছে বলেই তো এত প্রশ্ন।
মুমিনুলের আশা, যেহেতু এখন মুশফিক মাত্র একটি সংস্করণে খেলছেন, ৩৭ বছর বয়সী ব্যাটারের সুযোগ আছে আরও ভালো করার, ‘দুই ফরম্যাট থেকে অবসর নিয়েছেন, এখন যেহেতু এক ফরম্যাটে মনোযোগী, তিনি আগের চেয়ে আরও ভালো করতে পারবেন। যখন একটা সংস্করণ খেলবেন, তখন একটা লাইনে থাকা হয়, পারফর্ম করা সহজ হয়ে যায়।’
ক্যারিয়ারের এ পর্যায়ে নিজেকে আর প্রমাণের কিছু নেই তাঁর। তবে মুশফিকের মতো লড়াকু, পরিশ্রমী খেলোয়াড়েরা নিশ্চয়ই পেছনের রেকর্ড-পরিসংখ্যানকে পুঁজি করে চলতে পছন্দ করেন না। ক্যারিয়ারের শেষ বেলায় এসে মুশফিকের চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, মানসিকভাবে শক্ত থেকে মাথা উঁচু করে তুলির শেষ আঁচড়টা দেওয়া।
কাশ্মীরের পেহেলগামে নৃশংস হামলায় ২৬ পর্যটক নিহত হয়েছেন। ভারত দাবি করেছে, এর পেছনে পাকিস্তানের সম্পৃক্ততা রয়েছে। এ ইস্যুতে দুই দলের মধ্যে বিরাজ করছে উত্তেজনা। ভারত সরকার তাদের দেশে পাকিস্তানের বিভিন্ন নিউজ সাইট, ইউটিউব চ্যানেল ব্লক কেরে দিয়েছে। ক্রিকেটাররাও জড়িয়ে গেছেন বাগ্যুদ্ধে। শোয়েব আখতারের ইউটি
৪ ঘণ্টা আগেসাত বছর চলছে সাদমান ইসলামের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের। চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় দিন দেখা পেয়েছেন নিজের দ্বিতীয় টেস্ট সেঞ্চুরি, সঙ্গে পূর্ণ করলেন ১০০০ রান। বাংলাদেশের ১৮ তম ক্রিকেটার হিসেবে ১ হাজার রান সাদমানের।
৫ ঘণ্টা আগে৩ উইকেটে ২০৪ রান নিয়ে চা বিরতিতে যায় বাংলাদেশ দল। তৃতীয় সেশনেও ব্যাটিংটা ভালোই করছিলেন স্বাগতিক ব্যাটাররা। দলীয় ২৫৯ রান পর্যন্ত ছিল সেই তিন উইকেটই। কিন্তু শেষ বিকেলে ভিনসেন্ট মাসেকেসার ঘূর্ণি জাদুতে বেশ এলোমেলো হয়ে যায় ব্যাটিং। শেষ ৩০ রানে ৪ উইকেট হারিয়েছে তারা। তবু ৬৪ রানের লিড নিয়ে তৃতীয় দিন শেষ
৬ ঘণ্টা আগে