২০১৭ সালে মাশরাফি বিন মর্তুজাকে দিয়ে শুরু। একে একে এরপর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিকে বিদায় বললেন তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান। চার সিনিয়র ক্রিকেটারের পর বাংলাদেশের জার্সিতে পঞ্চপান্ডবদের মধ্যে শেষ টি-টোয়েন্টিটাও গত রাতে খেলে ফেললেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে গতকাল বাংলাদেশ-ভারত তৃতীয় টি-টোয়েন্টিটা ছিল মাহমুদউল্লাহর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে শেষ ম্যাচ। বিদায়ী ম্যাচে বাংলাদেশ হেরেছে ১৩৩ রানের বিশাল ব্যবধানে। মাহমুদউল্লাহর ব্যক্তিগত স্কোরও ছিল না মনে রাখার মতো (৯ বলে ৮ রান)। সে যা-ই হোক, দীর্ঘ ১৭ বছরের ক্যারিয়ারে খেলেছেন ১৪১ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি। তামিম, মাশরাফি, মুমিনুল হকসহ অনেক সতীর্থের সঙ্গে খেলেছেন তিনি (মাহমুদউল্লাহ)। বাংলাদেশের জার্সিতে শেষ টি-টোয়েন্টি খেলার পর মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে আবেগঘন পোস্ট দিয়েছেন মুমিনুল হক। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে মুমিনুল লিখেছেন, ‘রিয়াদ ভাই বাইশ গজের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে আপনার অর্জন নিশ্চয়ই সবাই স্মরণ করবে। আপনার নেতৃত্ব এবং অনুপ্রেরণায় আমরা অনেক কিছু শিখেছি। দেশের ক্রিকেটে আপনার অবদান তরুণদের উজ্জীবিত করবে। আপনার ক্যারিয়ারের বাকিটা পথ সাফল্যমণ্ডিত হোক। ভবিষ্যতের জন্য শুভকামনা রইল।’
বাংলাদেশ-ভারত তৃতীয় টি-টোয়েন্টি শুরুর আগেই গতকাল রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে শুরুর আগেই অন্য রকম এক আবহ সৃষ্টি হয়। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ খেলতে নামার আগে মাহমুদউল্লাহর হাতে বিশেষ স্মারক তুলে দেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে করমর্দন করেন ধারাভাষ্যকার হিসেবে কাজ করা তামিম ইকবাল। ম্যাচ শুরুর আগে মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে শান্ত নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লিখেছেন, ‘আপনি আমাদের অনেকের জন্য অনুপ্রেরণা। পরবর্তী প্রজন্মের জন্যও। ধন্যবাদ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ভাই।’
মাহমুদউল্লাহর বিদায়ী ইনিংসে তাঁকে নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে গতকাল অনেক পোস্ট দেখা গেছে। আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজি চেন্নাই সুপার কিংস তাঁকে সম্মান জানিয়ে বিশেষ পোস্ট করেছে। নিজেদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে বিপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস লিখেছে, ‘টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে আপনার অসাধারণ অবদানের জন্য ধন্যবাদ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। নতুন অধ্যায়ের জন্য অসংখ্য শুভকামনা।’ মুশফিকুর রহিম, সৌম্য সরকাররাও গতকাল আবেগঘন বার্তা দিয়েছেন মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে।
২০০৭ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ১৪১ ম্যাচ খেলেছেন মাহমুদউল্লাহ। ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়েছেন ১৩০ ইনিংসে। ১১৭.৩৮ স্ট্রাইকরেটে করেন ২৪৪৪ রান। করেছেন ৮ ফিফটি। শেষ ইনিংস খেলে গত রাতে বিদায় নেওয়ার সময় তাঁর (মাহমুদউল্লাহ) পিঠ চাপড়ে দেন ভারতীয় অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব।
২ টেস্ট ও ৩ টি-টোয়েন্টির বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপক্ষীয় সিরিজ শেষ হয়েছে গত রাতে। এই সিরিজকে ‘অবসরের সিরিজ’ বললেও ভুল হবে না। কারণ সিরিজ চলাকালীন আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ও টেস্ট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছিলেন সাকিব। পরবর্তীতে মাহমুদউল্লাহ দিল্লিতে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টির আগে সংবাদ সম্মেলনে অবসরের ঘোষণা দেন মাহমুদউল্লাহ। নীরবে-নিভৃতে কাজ করে যেতেন বলে উপাধি পেয়েছিলেন ‘সাইলেন্ট কিলার’। ২০১৮ নিদহাস ট্রফিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশকে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ জেতানোর পর মাহমুদউল্লাহর সেই উচ্ছ্বাসের ছবিটা তো অনেক ভক্ত-সমর্থকের স্মৃতিতে টাটকা।
‘পঞ্চপান্ডবের’ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে শেষ ম্যাচের পারফরম্যানস
পারফরম্যানস প্রতিপক্ষ ফল সাল
মাশরাফি বিন মর্তুজা ০(১), ১/৩০ শ্রীলঙ্কা ৪৫ রানে জয় ২০১৭
তামিম ইকবাল ৪১(৩৩) জিম্বাবুয়ে ৪৮ রানে জয় ২০২০
মুশফিকুর রহিম ৪(৫) শ্রীলঙ্কা ২ উইকেটে হার ২০২২
সাকিব আল হাসান ০(১) আফগানিস্তান ৮ রানে হার (বৃষ্টি আইনে) ২০২৪
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ৮ (৯), ১/২৬ ভারত ১৩৩ রানে হার ২০২৪
২০১৭ সালে মাশরাফি বিন মর্তুজাকে দিয়ে শুরু। একে একে এরপর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিকে বিদায় বললেন তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান। চার সিনিয়র ক্রিকেটারের পর বাংলাদেশের জার্সিতে পঞ্চপান্ডবদের মধ্যে শেষ টি-টোয়েন্টিটাও গত রাতে খেলে ফেললেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে গতকাল বাংলাদেশ-ভারত তৃতীয় টি-টোয়েন্টিটা ছিল মাহমুদউল্লাহর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে শেষ ম্যাচ। বিদায়ী ম্যাচে বাংলাদেশ হেরেছে ১৩৩ রানের বিশাল ব্যবধানে। মাহমুদউল্লাহর ব্যক্তিগত স্কোরও ছিল না মনে রাখার মতো (৯ বলে ৮ রান)। সে যা-ই হোক, দীর্ঘ ১৭ বছরের ক্যারিয়ারে খেলেছেন ১৪১ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি। তামিম, মাশরাফি, মুমিনুল হকসহ অনেক সতীর্থের সঙ্গে খেলেছেন তিনি (মাহমুদউল্লাহ)। বাংলাদেশের জার্সিতে শেষ টি-টোয়েন্টি খেলার পর মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে আবেগঘন পোস্ট দিয়েছেন মুমিনুল হক। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে মুমিনুল লিখেছেন, ‘রিয়াদ ভাই বাইশ গজের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে আপনার অর্জন নিশ্চয়ই সবাই স্মরণ করবে। আপনার নেতৃত্ব এবং অনুপ্রেরণায় আমরা অনেক কিছু শিখেছি। দেশের ক্রিকেটে আপনার অবদান তরুণদের উজ্জীবিত করবে। আপনার ক্যারিয়ারের বাকিটা পথ সাফল্যমণ্ডিত হোক। ভবিষ্যতের জন্য শুভকামনা রইল।’
বাংলাদেশ-ভারত তৃতীয় টি-টোয়েন্টি শুরুর আগেই গতকাল রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে শুরুর আগেই অন্য রকম এক আবহ সৃষ্টি হয়। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ খেলতে নামার আগে মাহমুদউল্লাহর হাতে বিশেষ স্মারক তুলে দেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে করমর্দন করেন ধারাভাষ্যকার হিসেবে কাজ করা তামিম ইকবাল। ম্যাচ শুরুর আগে মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে শান্ত নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লিখেছেন, ‘আপনি আমাদের অনেকের জন্য অনুপ্রেরণা। পরবর্তী প্রজন্মের জন্যও। ধন্যবাদ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ভাই।’
মাহমুদউল্লাহর বিদায়ী ইনিংসে তাঁকে নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে গতকাল অনেক পোস্ট দেখা গেছে। আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজি চেন্নাই সুপার কিংস তাঁকে সম্মান জানিয়ে বিশেষ পোস্ট করেছে। নিজেদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে বিপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস লিখেছে, ‘টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে আপনার অসাধারণ অবদানের জন্য ধন্যবাদ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। নতুন অধ্যায়ের জন্য অসংখ্য শুভকামনা।’ মুশফিকুর রহিম, সৌম্য সরকাররাও গতকাল আবেগঘন বার্তা দিয়েছেন মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে।
২০০৭ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ১৪১ ম্যাচ খেলেছেন মাহমুদউল্লাহ। ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়েছেন ১৩০ ইনিংসে। ১১৭.৩৮ স্ট্রাইকরেটে করেন ২৪৪৪ রান। করেছেন ৮ ফিফটি। শেষ ইনিংস খেলে গত রাতে বিদায় নেওয়ার সময় তাঁর (মাহমুদউল্লাহ) পিঠ চাপড়ে দেন ভারতীয় অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব।
২ টেস্ট ও ৩ টি-টোয়েন্টির বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপক্ষীয় সিরিজ শেষ হয়েছে গত রাতে। এই সিরিজকে ‘অবসরের সিরিজ’ বললেও ভুল হবে না। কারণ সিরিজ চলাকালীন আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ও টেস্ট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছিলেন সাকিব। পরবর্তীতে মাহমুদউল্লাহ দিল্লিতে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টির আগে সংবাদ সম্মেলনে অবসরের ঘোষণা দেন মাহমুদউল্লাহ। নীরবে-নিভৃতে কাজ করে যেতেন বলে উপাধি পেয়েছিলেন ‘সাইলেন্ট কিলার’। ২০১৮ নিদহাস ট্রফিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশকে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ জেতানোর পর মাহমুদউল্লাহর সেই উচ্ছ্বাসের ছবিটা তো অনেক ভক্ত-সমর্থকের স্মৃতিতে টাটকা।
‘পঞ্চপান্ডবের’ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে শেষ ম্যাচের পারফরম্যানস
পারফরম্যানস প্রতিপক্ষ ফল সাল
মাশরাফি বিন মর্তুজা ০(১), ১/৩০ শ্রীলঙ্কা ৪৫ রানে জয় ২০১৭
তামিম ইকবাল ৪১(৩৩) জিম্বাবুয়ে ৪৮ রানে জয় ২০২০
মুশফিকুর রহিম ৪(৫) শ্রীলঙ্কা ২ উইকেটে হার ২০২২
সাকিব আল হাসান ০(১) আফগানিস্তান ৮ রানে হার (বৃষ্টি আইনে) ২০২৪
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ৮ (৯), ১/২৬ ভারত ১৩৩ রানে হার ২০২৪
গলে ম্যাচ ড্র হওয়া অনেকটা চোখ কপালে ওঠার মতো। সমুদ্রঘেঁষা এই ভেন্যুতে সবশেষ ২৬ ম্যাচে কোনো দলই ড্রয়ের জন্য সমঝোতা করেনি। বাংলাদেশের ম্যাচ দিয়ে ইতি টানল সেই ধারাবাহিকতার। ম্যাচটি কি জেতার জন্য খেলতে পারত না বাংলাদেশ? পারত না আরেকটু আগে ইনিংস ঘোষণা করতে? সেই প্রশ্নগুলোই রাখা হয়েছিল সংবাদ সম্মেলনে...
৮ ঘণ্টা আগেএক টেস্টে জোড়া সেঞ্চুরি আগেও দেখেছে বাংলাদেশ। নাজমুল হোসেন শান্ত প্রায় দুই বছর আগে সেই ক্লাবে নাম লেখান। এবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গলে জোড়া সেঞ্চুরি করে নতুন কীর্তি গড়লেন তিনি। বাংলাদেশের কোনো অধিনায়কই এর আগে এক টেস্টে দুই সেঞ্চুরি হাঁকাতে পারেননি। এই রেকর্ডে নাম লেখানোর কথা আগে থেকে জানতেন না শান্ত।
১০ ঘণ্টা আগেকিছু কি মনে পড়ছে? না পড়লেও অবশ্য দোষের কিছু নেই। মেলবোর্নে গত বছর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৩৭ বলে ২৮ রানের ইনিংস খেলে তোপের মুখে পড়েন ঋষভ পন্ত। তাঁর আউটের ধরন দেখে রীতিমত ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন কিংবদন্তি সুনীল গাভাস্কার। ধারাভাষ্যকক্ষে মাইক হাতে তিরস্কার করতে থাকেন ‘স্টুপিড, স্টুপিড, স্টুপিড’ বলে
১১ ঘণ্টা আগেদিন শেষ হতে তখনো বাকি আরও ৫ ওভার। ৩০ বলে শ্রীলঙ্কার ৬ উইকেট পড়ে যাবে এমন ভাবাটা আকাশ-কুসুম কল্পনার মতো। বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত তাই বাস্তবতা মেনে নিয়ে ছুটে গেলেন লঙ্কান অধিনায়ক ধনঞ্জয়া ডি সিলভার সঙ্গে করমর্দন করতে। বাকিরাও তা অনুসরণ করতে থাকেন।
১১ ঘণ্টা আগে