নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে যেতে সুপার এইটে নিজেদের শেষ ম্যাচে ১২.১ ওভারে ১১৬ করতে হতো বাংলাদেশ দলকে। রশিদ খানের ঘূর্ণি জাদু আর নাভিন উল হকের তোপে সেটি আর করতে পারেনি তারা। ডাকওয়ার্থ লুইস স্টার্ন (ডিএলএস) পদ্ধতিতে ৮ রানে হেরে সুপার এইট থেকে বিদায় নিয়েছে বাংলাদেশ। প্রথমবারের মতো সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে ইতিহাস গড়ল আফগানিস্তান।
সেন্ট ভিনসেন্টে বোলারদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে আফগানিস্তানকে ১১৫ রানে আটকে ফেলে বাংলাদেশ। কয়েক ধাপে বৃষ্টির পর ডিএলএস পদ্ধতিতে বাংলাদেশের লক্ষ্য স্থির হয় ১৯ ওভারে ১১৪ রান। ১৭.৫ ওভারে ১০৫ রানে তাদের থামিয়ে দেন আফগান বোলাররা।
দলকে জেতাতে না পারলেও তিন সংস্করণ মিলিয়ে ২৮ ইনিংস পর লিটন দাস পেয়েছেন ফিফটি। ওপেনিংয়ে নেমে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে দলকে না জেতাতে পারার আক্ষেপ হয়তো করছেন এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটার।
সেমিফাইনালের যেন সমীকরণ অনুযায়ী ১২.১ ওভারে বাংলাদেশ তুলতে সক্ষম হয় ৮৩ রান। ১১৬ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে প্রথম ওভারে ১৩ রান তোলে বাংলাদেশ। লিটন মেরেছেন ১টি করে ছক্কা ও চার। দ্বিতীয় ওভার থেকেই খেই হারাতে শুরু করে তাদের ব্যাটিং অর্ডার। ফজলহক ফারুকির দুর্দান্ত এক ইনসুইংয়ে এলবিডব্লুর ফাঁদে পড়েন তানজিদ তামিম। ১৬ রানে ভাঙে ওপেনিং জুটি। ৩ বলে কোনো রান তুলতে পারেননি এই বাঁহাতি ব্যাটার। এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তামিম তৃতীয়বারের মতো ‘ডাক’ মেরে আউট হয়েছেন।
তৃতীয় ওভারে জোড়া আঘাত হানেন নাভিন উল হক। পরপর দুই বলে নাজমুল হোসেন শান্তকে ৫ ও সাকিব আল হাসানকে ফেরান গোল্ডেন ডাকে। ২৩ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বেশ বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। চতুর্থ উইকেটে সৌম্য সরকারকে নিয়ে ধাক্কা সামলানোর চেষ্টা করেন লিটন।
দ্রুত উইকেট হারানোয় স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যাট চালাতে পারছিলেন না লিটন-সৌম্য। পাওয়ার-প্লেতে ৪৬ রান তোলে বাংলাদেশ। সপ্তম ওভারে বোলিং আক্রমণে এসে রশিদ খান দিয়েছেন দারুণ ব্রেক-থ্রু। ১০ বলে ১০ রানে রশিদের বলে বোল্ড হন সৌম্য। লিটনের সঙ্গে ভাঙে তাঁর ২২ বলে ২৫ রানের জুটি। তারপর তাওহিদ হৃদয় (১৪), মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (৬) ও রিশাদ হোসেনকে (০) ফিরিয়ে বাংলাদেশ ব্যাটিং অর্ডারে ধস নামান রশিদ।
মাঝের ওভারে ২৩ রান দিয়ে ৪টি উইকেট নিয়েছেন রশিদ। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে টিম সাউদির পর দ্বিতীয় বোলার হিসেবে দেড় শ উইকেটের মাইলফলক ছুঁলেন তিনি। শেষ দিকে তাসকিন, মোস্তাফিজ ও তানজিম সাকিব সঙ্গে দিতে পারেননি লিটনকে। ৪৯ বলে ৫৫ রানের লড়াকু এক ইনিংস খেলেছেন লিটন। ২৬ রান দিয়ে নাভিন নিয়েছেন ৪টি উইকেট।
আফগানিস্তানের জয়ে বিদায় নিল অস্ট্রেলিয়াও। সমীকরণ ছিল আফগানিস্তান জিতলেই বিদায় নেবে অজিরা। আর্নস ভেল গ্রাউন্ডে সেমিফাইনালের জটিল সমীকরণের ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন আফগানিস্তান অধিনায়ক রশিদ। এই বিশ্বকাপে আফগানিস্তান এত দূর যাওয়ার পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে দুই ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরানের।
এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ৩ ম্যাচে অন্তত ১০০ রানের জুটি গড়েছেন গুরবাজ-ইব্রাহিম। বাংলাদেশ ম্যাচের আগ পর্যন্ত এই বিশ্বকাপে ওপেনিং জুটিতে সর্বোচ্চ গড় (৭৬.৬০) এই জুটির। এ ম্যাচেও দারুণ শুরু পেয়েছিলেন তাঁরা। তবে তাঁদের কঠিন পরীক্ষা নিয়েছেন তাসকিন আহমেদ-রিশাদ হোসেনরা। নিজেদের ধরন অনুযায়ী খেলতে দেননি তাঁদের।
পাওয়ার প্লেতে ২৭ রান তুলতে পারে আফগানিস্তান। ওভারপ্রতি আফগান ওপেনাররা রান তুলতে পেরেছেন ৪.৫০ ইকোনমিতে। সংগ্রাম করছিলেন দুজনে। একটু দেরি হলেও রিশাদ হোসেনের ঘূর্ণি জাদুতে ৫৯ রানে ভাঙে গুরবাজ-ইব্রাহিমের জুটি।
১১তম ওভারে চতুর্থ বলে জায়গা বানিয়ে তুলে মেরেছিলেন ইব্রাহিম। লং অফ থেকে অনেকটা ছুটে গিয়ে ক্যাচ নিয়েছেন তানজিম হাসান সাকিব। ২৯ বলে ২৮ রান আসে ইব্রাহিমের ব্যাট থেকে।
ইব্রাহিমকে ফিরিয়ে অনন্য এক রেকর্ড গড়েন রিশাদ। এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এই লেগ স্পিনারের শিকার এখন ১৪ উইকেট। ছাড়িয়ে গেছেন সাকিব আল হাসানকে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এক আসরে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ১১ উইকেট শিকার করেছিলেন এই অলরাউন্ডার। এবার তাঁকে পেছনে ফেললেন রিশাদ।
১৬তম ওভারে আজমতউল্লাহ ওমরজাইকে ফেরান (১০) মোস্তাফিজুর রহমান। ১৭তম ওভারে আরেক ওপেনার গুরবাজকেও ফেরান রিশাদ। ৫৫ বলে ৪৩ রানের মন্থর এক ইনিংস খেলেছেন এই তরুণ ব্যাটার। একই ওভারে গুলবাদিন নায়েবকেও (৩) ফেরান রিশাদ। শেষ দিকে রশিদ খানের ৩ ছক্কায় ১০ বলে ১৯ রানের ইনিংসের কল্যাণে ৫ উইকেটে ১১৫ রান তোলে আফগানিস্তান। ২৬ রান দিয়ে ৩টি উইকেট শিকার রিশাদের। মোস্তাফিজ ও তাসকিন নিয়েছেন ১টি করে উইকেট।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে যেতে সুপার এইটে নিজেদের শেষ ম্যাচে ১২.১ ওভারে ১১৬ করতে হতো বাংলাদেশ দলকে। রশিদ খানের ঘূর্ণি জাদু আর নাভিন উল হকের তোপে সেটি আর করতে পারেনি তারা। ডাকওয়ার্থ লুইস স্টার্ন (ডিএলএস) পদ্ধতিতে ৮ রানে হেরে সুপার এইট থেকে বিদায় নিয়েছে বাংলাদেশ। প্রথমবারের মতো সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে ইতিহাস গড়ল আফগানিস্তান।
সেন্ট ভিনসেন্টে বোলারদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে আফগানিস্তানকে ১১৫ রানে আটকে ফেলে বাংলাদেশ। কয়েক ধাপে বৃষ্টির পর ডিএলএস পদ্ধতিতে বাংলাদেশের লক্ষ্য স্থির হয় ১৯ ওভারে ১১৪ রান। ১৭.৫ ওভারে ১০৫ রানে তাদের থামিয়ে দেন আফগান বোলাররা।
দলকে জেতাতে না পারলেও তিন সংস্করণ মিলিয়ে ২৮ ইনিংস পর লিটন দাস পেয়েছেন ফিফটি। ওপেনিংয়ে নেমে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে দলকে না জেতাতে পারার আক্ষেপ হয়তো করছেন এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটার।
সেমিফাইনালের যেন সমীকরণ অনুযায়ী ১২.১ ওভারে বাংলাদেশ তুলতে সক্ষম হয় ৮৩ রান। ১১৬ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে প্রথম ওভারে ১৩ রান তোলে বাংলাদেশ। লিটন মেরেছেন ১টি করে ছক্কা ও চার। দ্বিতীয় ওভার থেকেই খেই হারাতে শুরু করে তাদের ব্যাটিং অর্ডার। ফজলহক ফারুকির দুর্দান্ত এক ইনসুইংয়ে এলবিডব্লুর ফাঁদে পড়েন তানজিদ তামিম। ১৬ রানে ভাঙে ওপেনিং জুটি। ৩ বলে কোনো রান তুলতে পারেননি এই বাঁহাতি ব্যাটার। এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তামিম তৃতীয়বারের মতো ‘ডাক’ মেরে আউট হয়েছেন।
তৃতীয় ওভারে জোড়া আঘাত হানেন নাভিন উল হক। পরপর দুই বলে নাজমুল হোসেন শান্তকে ৫ ও সাকিব আল হাসানকে ফেরান গোল্ডেন ডাকে। ২৩ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বেশ বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। চতুর্থ উইকেটে সৌম্য সরকারকে নিয়ে ধাক্কা সামলানোর চেষ্টা করেন লিটন।
দ্রুত উইকেট হারানোয় স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যাট চালাতে পারছিলেন না লিটন-সৌম্য। পাওয়ার-প্লেতে ৪৬ রান তোলে বাংলাদেশ। সপ্তম ওভারে বোলিং আক্রমণে এসে রশিদ খান দিয়েছেন দারুণ ব্রেক-থ্রু। ১০ বলে ১০ রানে রশিদের বলে বোল্ড হন সৌম্য। লিটনের সঙ্গে ভাঙে তাঁর ২২ বলে ২৫ রানের জুটি। তারপর তাওহিদ হৃদয় (১৪), মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (৬) ও রিশাদ হোসেনকে (০) ফিরিয়ে বাংলাদেশ ব্যাটিং অর্ডারে ধস নামান রশিদ।
মাঝের ওভারে ২৩ রান দিয়ে ৪টি উইকেট নিয়েছেন রশিদ। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে টিম সাউদির পর দ্বিতীয় বোলার হিসেবে দেড় শ উইকেটের মাইলফলক ছুঁলেন তিনি। শেষ দিকে তাসকিন, মোস্তাফিজ ও তানজিম সাকিব সঙ্গে দিতে পারেননি লিটনকে। ৪৯ বলে ৫৫ রানের লড়াকু এক ইনিংস খেলেছেন লিটন। ২৬ রান দিয়ে নাভিন নিয়েছেন ৪টি উইকেট।
আফগানিস্তানের জয়ে বিদায় নিল অস্ট্রেলিয়াও। সমীকরণ ছিল আফগানিস্তান জিতলেই বিদায় নেবে অজিরা। আর্নস ভেল গ্রাউন্ডে সেমিফাইনালের জটিল সমীকরণের ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন আফগানিস্তান অধিনায়ক রশিদ। এই বিশ্বকাপে আফগানিস্তান এত দূর যাওয়ার পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে দুই ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরানের।
এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ৩ ম্যাচে অন্তত ১০০ রানের জুটি গড়েছেন গুরবাজ-ইব্রাহিম। বাংলাদেশ ম্যাচের আগ পর্যন্ত এই বিশ্বকাপে ওপেনিং জুটিতে সর্বোচ্চ গড় (৭৬.৬০) এই জুটির। এ ম্যাচেও দারুণ শুরু পেয়েছিলেন তাঁরা। তবে তাঁদের কঠিন পরীক্ষা নিয়েছেন তাসকিন আহমেদ-রিশাদ হোসেনরা। নিজেদের ধরন অনুযায়ী খেলতে দেননি তাঁদের।
পাওয়ার প্লেতে ২৭ রান তুলতে পারে আফগানিস্তান। ওভারপ্রতি আফগান ওপেনাররা রান তুলতে পেরেছেন ৪.৫০ ইকোনমিতে। সংগ্রাম করছিলেন দুজনে। একটু দেরি হলেও রিশাদ হোসেনের ঘূর্ণি জাদুতে ৫৯ রানে ভাঙে গুরবাজ-ইব্রাহিমের জুটি।
১১তম ওভারে চতুর্থ বলে জায়গা বানিয়ে তুলে মেরেছিলেন ইব্রাহিম। লং অফ থেকে অনেকটা ছুটে গিয়ে ক্যাচ নিয়েছেন তানজিম হাসান সাকিব। ২৯ বলে ২৮ রান আসে ইব্রাহিমের ব্যাট থেকে।
ইব্রাহিমকে ফিরিয়ে অনন্য এক রেকর্ড গড়েন রিশাদ। এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এই লেগ স্পিনারের শিকার এখন ১৪ উইকেট। ছাড়িয়ে গেছেন সাকিব আল হাসানকে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এক আসরে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ১১ উইকেট শিকার করেছিলেন এই অলরাউন্ডার। এবার তাঁকে পেছনে ফেললেন রিশাদ।
১৬তম ওভারে আজমতউল্লাহ ওমরজাইকে ফেরান (১০) মোস্তাফিজুর রহমান। ১৭তম ওভারে আরেক ওপেনার গুরবাজকেও ফেরান রিশাদ। ৫৫ বলে ৪৩ রানের মন্থর এক ইনিংস খেলেছেন এই তরুণ ব্যাটার। একই ওভারে গুলবাদিন নায়েবকেও (৩) ফেরান রিশাদ। শেষ দিকে রশিদ খানের ৩ ছক্কায় ১০ বলে ১৯ রানের ইনিংসের কল্যাণে ৫ উইকেটে ১১৫ রান তোলে আফগানিস্তান। ২৬ রান দিয়ে ৩টি উইকেট শিকার রিশাদের। মোস্তাফিজ ও তাসকিন নিয়েছেন ১টি করে উইকেট।
কাশ্মীরের পেহেলগামে নৃশংস হামলায় ২৬ পর্যটক নিহত হয়েছেন। ভারত দাবি করেছে, এর পেছনে পাকিস্তানের সম্পৃক্ততা রয়েছে। এ ইস্যুতে দুই দলের মধ্যে বিরাজ করছে উত্তেজনা। ভারত সরকার তাদের দেশে পাকিস্তানের বিভিন্ন নিউজ সাইট, ইউটিউব চ্যানেল ব্লক কেরে দিয়েছে। ক্রিকেটাররাও জড়িয়ে গেছেন বাগ্যুদ্ধে। শোয়েব আখতারের ইউটি
১০ ঘণ্টা আগেসাত বছর চলছে সাদমান ইসলামের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের। চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় দিন দেখা পেয়েছেন নিজের দ্বিতীয় টেস্ট সেঞ্চুরি, সঙ্গে পূর্ণ করলেন ১০০০ রান। বাংলাদেশের ১৮ তম ক্রিকেটার হিসেবে ১ হাজার রান সাদমানের।
১১ ঘণ্টা আগে৩ উইকেটে ২০৪ রান নিয়ে চা বিরতিতে যায় বাংলাদেশ দল। তৃতীয় সেশনেও ব্যাটিংটা ভালোই করছিলেন স্বাগতিক ব্যাটাররা। দলীয় ২৫৯ রান পর্যন্ত ছিল সেই তিন উইকেটই। কিন্তু শেষ বিকেলে ভিনসেন্ট মাসেকেসার ঘূর্ণি জাদুতে বেশ এলোমেলো হয়ে যায় ব্যাটিং। শেষ ৩০ রানে ৪ উইকেট হারিয়েছে তারা। তবু ৬৪ রানের লিড নিয়ে তৃতীয় দিন শেষ
১৩ ঘণ্টা আগে