চ্যাম্পিয়নস ট্রফি শুরু আজ
অনলাইন ডেস্ক
এক-দুই বছর নয়, ২৯টা বছর পেরিয়ে গেছে। সেই যে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে ১৯৯৬ বিশ্বকাপের ফাইনাল হলো, এরপর পাকিস্তানিরা শুধুই দূর থেকে দেখেছে টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর আইসিসির ইভেন্ট আয়োজন। প্রায় তিন দশক পর পাকিস্তানে ফিরতে যাচ্ছে ক্রিকেটের কোনো বৈশ্বিক আসর। পাকিস্তানিদের কাছে ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি শুধুই তো একটা টুর্নামেন্ট নয়, যেন ক্রিকেটের বড় উৎসব আয়োজনের অধিকার ফিরে পাওয়া।
২০০৯ সালে লাহোরে শ্রীলঙ্কা টিম বাসে সন্ত্রাসী হামলার পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আয়োজন থেকে বঞ্চিত হয়ে পড়ে পাকিস্তান। টানা ছয় বছর সেখানে ক্রিকেট খেলতে পা রাখেনি কোনো দল। কালো অধ্যায় পেছনে ফেলে ধীরে ধীরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফেরাতে শুরু করে পাকিস্তান। ভারত বাদে প্রায় সব টেস্ট খেলুড়ে দেশই গত ছয় বছরে ভ্রমণ করেছে সেখানে। তাতে উবে যেতে থাকে নিরাপত্তার ভয়। আর সেই পথ ধরে অবশেষে আইসিসির টুর্নামেন্ট আয়োজনের সুযোগ মিলেছে পাকিস্তানের।
এবার চ্যাম্পিয়নস ট্রফি তাই পাকিস্তানের কাছে ক্রিকেটের চেয়ে বড় কিছু। অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ানের কণ্ঠে সে কথাই ফুটে উঠল। গতকাল সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ‘২৯ বছর পর বৈশ্বিক ইভেন্ট আয়োজন করছে পাকিস্তান। এই ঐতিহাসিক উপলক্ষকে উপভোগ করা উচিত পুরো জাতির। সবাই জানে, আমাদের অনেক কঠিন সময়ে (নির্বাসনে) যেতে হয়েছে৷ তবে এই সময়ের ভেতর আল্লাহ আমাদের বেশ কিছু অর্জনও দিয়েছেন। আমরা চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জিতেছি, টেস্ট ক্রিকেটে এক নম্বর দল হয়েছি, যা বুঝিয়ে দেয়, আমাদের দেশ সবকিছু করার সামর্থ্য রাখে।’
নিরাপত্তার শঙ্কা কাটিয়ে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিকে উৎসবে রূপ দিতে চেষ্টার কমতি রাখছে না পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। তারই ফল হিসেবে ২৯ বছর পর আইসিসি টুর্নামেন্ট আয়োজনের সুযোগ পেয়েছে তারা। আনন্দের মাঝেও পুরো টুর্নামেন্ট নিজেদের মাঠে না করতে পারার আক্ষেপ আছে পাকিস্তানের। ভারতের আপত্তিতে গত এশিয়া কাপের মতো চ্যাম্পিয়নস ট্রফিও হচ্ছে ‘হাইব্রিড মডেলে’। শুধু ভারতের ম্যাচগুলো হবে দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে। পিসিবি শুরুতে বাধা দিলেও পরে বাধ্য হয়ে সমঝোতায় আসতে হয়েছে তাদের।
সব বাধাবিপত্তি পেরিয়ে করাচিতে আজ মাঠে গড়াচ্ছে খেলা। উদ্বোধনী ম্যাচে স্বাগতিকদের মুখোমুখি হচ্ছে নিউজিল্যান্ড। ঘরের মাঠে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন তকমা নিয়েই টুর্নামেন্ট শুরু করবে পাকিস্তান। গত টুর্নামেন্টে (২০১৭) তাদের গোনায় ধরার লোক খুব কমই ছিল। ‘আনপ্রেডিক্টেবল’ তো আর এমনি এমনি বলা হয় না পাকিস্তানকে! ফাইনালে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতকে উড়িয়ে ঠিকই শিরোপা উল্লাস করে তারা।
শিরোপা ধরে রাখার পথটা যদিও সহজ হবে না রিজওয়ানদের জন্য। ঘরের মাঠে কিছুদিন আগেই নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরেছে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালসহ দুটি ম্যাচে। উপমহাদেশে বরাবরই ভালোভাবে ‘হোমওয়ার্ক’ করে আসে নিউজিল্যান্ড। তবে কদিন আগে অধিনায়কত্ব পাওয়া মিচেল স্যান্টনারের জন্য এটি বড় চ্যালেঞ্জিং অভিযান।
একই গ্রুপের আরেক ম্যাচে বাংলাদেশ ভারতের মুখোমুখি হবে আগামীকাল। বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত বড় স্বপ্ন দেখালেও বাস্তবতা ভিন্নই বলা যায়। পরশু প্রস্তুতি ম্যাচে পাকিস্তানের দ্বিতীয় সারির দলের বিপক্ষে পাত্তাই পাননি তাঁরা। গ্রুপের বাকি দলগুলোর শক্তির কথা বিচার করলে বাংলাদেশকে নিয়ে বড় আশা করা কঠিনই। তবু সবশেষ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনাল খেলার সুখস্মৃতি থেকে অনুপ্রেরণা তো নেওয়াই যায়।
অন্য গ্রুপে রয়েছে ইংল্যান্ড, আফগানিস্তান, অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা। গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের সেমিফাইনাল খেলার স্মৃতি এখনো অমলিন। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতেও তারা দারুণ কিছু করে ফেললে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। ইংল্যান্ড যেন নিজেকে হারিয়ে খুঁজছে। সম্প্রতি ধবলধোলাই হয়েছে ভারতের কাছে। অনভিজ্ঞ দল নিয়ে স্বপ্ন দেখছে অস্ট্রেলিয়া। দক্ষিণ আফ্রিকাও ফেবারিটদের বাইরে নয়।
বিশ্বকাপের মতো বিশাল ক্যানভাসে না হলেও চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ৫০ ওভারের ক্রিকেটের সবচেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ টুর্নামেন্ট বলতেই হবে। সেরা ৮টি দল খেলে এই টুর্নামেন্টে। ১৯ দিনব্যাপী টুর্নামেন্টে যে বিনোদনের রসদের কোনো খামতি থাকবে না, তা বলাই যায়!
এক-দুই বছর নয়, ২৯টা বছর পেরিয়ে গেছে। সেই যে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে ১৯৯৬ বিশ্বকাপের ফাইনাল হলো, এরপর পাকিস্তানিরা শুধুই দূর থেকে দেখেছে টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর আইসিসির ইভেন্ট আয়োজন। প্রায় তিন দশক পর পাকিস্তানে ফিরতে যাচ্ছে ক্রিকেটের কোনো বৈশ্বিক আসর। পাকিস্তানিদের কাছে ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি শুধুই তো একটা টুর্নামেন্ট নয়, যেন ক্রিকেটের বড় উৎসব আয়োজনের অধিকার ফিরে পাওয়া।
২০০৯ সালে লাহোরে শ্রীলঙ্কা টিম বাসে সন্ত্রাসী হামলার পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আয়োজন থেকে বঞ্চিত হয়ে পড়ে পাকিস্তান। টানা ছয় বছর সেখানে ক্রিকেট খেলতে পা রাখেনি কোনো দল। কালো অধ্যায় পেছনে ফেলে ধীরে ধীরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফেরাতে শুরু করে পাকিস্তান। ভারত বাদে প্রায় সব টেস্ট খেলুড়ে দেশই গত ছয় বছরে ভ্রমণ করেছে সেখানে। তাতে উবে যেতে থাকে নিরাপত্তার ভয়। আর সেই পথ ধরে অবশেষে আইসিসির টুর্নামেন্ট আয়োজনের সুযোগ মিলেছে পাকিস্তানের।
এবার চ্যাম্পিয়নস ট্রফি তাই পাকিস্তানের কাছে ক্রিকেটের চেয়ে বড় কিছু। অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ানের কণ্ঠে সে কথাই ফুটে উঠল। গতকাল সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ‘২৯ বছর পর বৈশ্বিক ইভেন্ট আয়োজন করছে পাকিস্তান। এই ঐতিহাসিক উপলক্ষকে উপভোগ করা উচিত পুরো জাতির। সবাই জানে, আমাদের অনেক কঠিন সময়ে (নির্বাসনে) যেতে হয়েছে৷ তবে এই সময়ের ভেতর আল্লাহ আমাদের বেশ কিছু অর্জনও দিয়েছেন। আমরা চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জিতেছি, টেস্ট ক্রিকেটে এক নম্বর দল হয়েছি, যা বুঝিয়ে দেয়, আমাদের দেশ সবকিছু করার সামর্থ্য রাখে।’
নিরাপত্তার শঙ্কা কাটিয়ে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিকে উৎসবে রূপ দিতে চেষ্টার কমতি রাখছে না পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। তারই ফল হিসেবে ২৯ বছর পর আইসিসি টুর্নামেন্ট আয়োজনের সুযোগ পেয়েছে তারা। আনন্দের মাঝেও পুরো টুর্নামেন্ট নিজেদের মাঠে না করতে পারার আক্ষেপ আছে পাকিস্তানের। ভারতের আপত্তিতে গত এশিয়া কাপের মতো চ্যাম্পিয়নস ট্রফিও হচ্ছে ‘হাইব্রিড মডেলে’। শুধু ভারতের ম্যাচগুলো হবে দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে। পিসিবি শুরুতে বাধা দিলেও পরে বাধ্য হয়ে সমঝোতায় আসতে হয়েছে তাদের।
সব বাধাবিপত্তি পেরিয়ে করাচিতে আজ মাঠে গড়াচ্ছে খেলা। উদ্বোধনী ম্যাচে স্বাগতিকদের মুখোমুখি হচ্ছে নিউজিল্যান্ড। ঘরের মাঠে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন তকমা নিয়েই টুর্নামেন্ট শুরু করবে পাকিস্তান। গত টুর্নামেন্টে (২০১৭) তাদের গোনায় ধরার লোক খুব কমই ছিল। ‘আনপ্রেডিক্টেবল’ তো আর এমনি এমনি বলা হয় না পাকিস্তানকে! ফাইনালে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতকে উড়িয়ে ঠিকই শিরোপা উল্লাস করে তারা।
শিরোপা ধরে রাখার পথটা যদিও সহজ হবে না রিজওয়ানদের জন্য। ঘরের মাঠে কিছুদিন আগেই নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরেছে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালসহ দুটি ম্যাচে। উপমহাদেশে বরাবরই ভালোভাবে ‘হোমওয়ার্ক’ করে আসে নিউজিল্যান্ড। তবে কদিন আগে অধিনায়কত্ব পাওয়া মিচেল স্যান্টনারের জন্য এটি বড় চ্যালেঞ্জিং অভিযান।
একই গ্রুপের আরেক ম্যাচে বাংলাদেশ ভারতের মুখোমুখি হবে আগামীকাল। বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত বড় স্বপ্ন দেখালেও বাস্তবতা ভিন্নই বলা যায়। পরশু প্রস্তুতি ম্যাচে পাকিস্তানের দ্বিতীয় সারির দলের বিপক্ষে পাত্তাই পাননি তাঁরা। গ্রুপের বাকি দলগুলোর শক্তির কথা বিচার করলে বাংলাদেশকে নিয়ে বড় আশা করা কঠিনই। তবু সবশেষ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনাল খেলার সুখস্মৃতি থেকে অনুপ্রেরণা তো নেওয়াই যায়।
অন্য গ্রুপে রয়েছে ইংল্যান্ড, আফগানিস্তান, অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা। গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের সেমিফাইনাল খেলার স্মৃতি এখনো অমলিন। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতেও তারা দারুণ কিছু করে ফেললে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। ইংল্যান্ড যেন নিজেকে হারিয়ে খুঁজছে। সম্প্রতি ধবলধোলাই হয়েছে ভারতের কাছে। অনভিজ্ঞ দল নিয়ে স্বপ্ন দেখছে অস্ট্রেলিয়া। দক্ষিণ আফ্রিকাও ফেবারিটদের বাইরে নয়।
বিশ্বকাপের মতো বিশাল ক্যানভাসে না হলেও চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ৫০ ওভারের ক্রিকেটের সবচেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ টুর্নামেন্ট বলতেই হবে। সেরা ৮টি দল খেলে এই টুর্নামেন্টে। ১৯ দিনব্যাপী টুর্নামেন্টে যে বিনোদনের রসদের কোনো খামতি থাকবে না, তা বলাই যায়!
পাকিস্তান শাহিনসের কাছে বাজেভাবে হেরে অস্ট্রেলিয়ায় টপ এন্ড টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু করেছিল বাংলাদেশ ‘এ’। তবে দ্বিতীয় ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। আজ ডারউইনে নেপাল জাতীয় দলকে হারিয়েছে ৩২ রানে।
৩২ মিনিট আগেআসছে অক্টোবরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সংযুক্ত আরব আমিরাতে সাদা বলের সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। ৩টি টি-টোয়েন্টি ও সমান ম্যাচের একটি ওয়ানডে সিরিজের সূচিও গতকাল আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেছে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (এসিবি)।
২ ঘণ্টা আগেএএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগে একই গ্রুপে পড়েছে ভারতীয় ক্লাব এফসি গোয়া ও সৌদি ক্লাব আল নাসর। সব ঠিক থাকলে ভারতে আসছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। সেজন্য ম্যাচটি রূপ নিয়েছে ঐতিহাসিকে। এফসি গোয়ার প্রধান নির্বাহী রবি পুষ্কুরের কাছে তা জীবনে একবার আসার মতো মুহূর্ত।
৩ ঘণ্টা আগেরাজনৈতিক দ্বন্দ্বের কারণে লম্বা সময় ধরে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলছে না ভারত-পাকিস্তান। সেই দ্বন্দ্বের আঁচ পড়ে ক্রিকেটারদের মধ্যেও। বন্ধুত্বের আড়ালে উঠে আসে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ের ঘটনা। তেমনই এক ঘটনা শোনালেন ভারতের সাবেক পেসার ইরফান পাঠান। ২০০৬ সালে করাচি থেকে লাহোরে যাওয়ার সময় পাকিস্তানের সাবেক অলরাউন্ডা
৫ ঘণ্টা আগে