Ajker Patrika

বাংলাদেশের বোলারদের পিটিয়ে ভারতের অবিশ্বাস্য রেকর্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক, কানপুর থেকে 
আপডেট : ০১ অক্টোবর ২০২৪, ০০: ২৩
বাংলাদেশের বোলারদের পিটিয়ে ভারতের অবিশ্বাস্য রেকর্ড

কানপুরে এখন কী চলছে? টি-টোয়েন্টি নাকি টি-টেন—এই প্রশ্নটা অনেকের কাছে অদ্ভুতুড়ে মনে হতে পারে। কারণ, গ্রিন পার্ক স্টেডিয়ামে তো সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট খেলছে বাংলাদেশ-ভারত। কিন্তু যাঁরা টিভিতে খেলা দেখছেন, তাঁরা বুঝেছেন সাদা পোশাকে ভারতীয় ব্যাটাররা বাংলাদেশের বোলারদের ওপর কীভাবে তাণ্ডব চালাচ্ছেন। ওলটপালট হয়েছে রেকর্ড বইয়ের পাতা।

চার-ছক্কা ছাড়া ভারতীয় ব্যাটাররা এখন যেন কিছুই বুঝছেন না। নাজমুল হোসেন শান্ত যাঁকেই বোলিংয়ে আনছেন, তিনিই খাচ্ছেন বেধড়ক পিটুনি। ৬১ বলে ১০০ করে টেস্ট ইতিহাসে দ্রুততম দলীয় সেঞ্চুরির রেকর্ডটা গড়ে ফেলল বাংলাদেশের বিপক্ষেই। এর আগে ক্রিকেটের রাজকীয় সংস্করণে দ্রুততম দলীয় সেঞ্চুরির রেকর্ডটা ছিল ভারতেরই। ত্রিনিদাদে গত বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৭৪ বলে সেঞ্চুরি করেছিল ভারত।

ঢাকঢোল–ভুভুজেলায় যশস্বী জয়সওয়াল–রোহিত শর্মাদের মারকাটারি ব্যাটিংয়ে তালে গ্রিন পার্কের গ্যালারিতে শুরু হলো উন্মাদনা। সবচেয়ে বড় ঝড়টা গেছে ইনিংসের তৃতীয় ওভার বোলিংয়ে আসা পেসার খালেদ আহমেদের ওভারে। কানপুর টেস্টে খালেদের করা প্রথম ওভারের তৃতীয় বলে লং অনের ওপর দিয়ে বিশাল ছক্কা মারলেন রোহিত। বল গিয়ে পড়ল একতলা গ্যালারির অস্থায়ী কাপড়ের ছাদে। সেখান থেকে বল উদ্ধার করতে হলো বাঁশ ও কাঠের সাহায্য নিয়ে। এমন ছক্কা দেখে রীতিমতো তাজ্জব বনে গেলেন ধারাভাষ্যকার দিনেশ কার্তিক। ধারাভাষ্য কক্ষ থেকে কার্তিক বলে উঠলেন, ‘কেউ রোহিতকে বলুন যে সে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিয়েছে।’

রোহিত যেখানে খালেদকে পেটানো শেষ করেছেন, সেখান থেকেই আবার শুরু করলেন জয়সওয়াল। খালেদের করা ওভারের চতুর্থ বলে ছক্কা মারলেন জয়সওয়াল। ভারতীয় বাঁহাতি ব্যাটার শেষ দুই বলে মারলেন দুটি চার। ৩ ওভারে ফিফটি করে টেস্ট ইতিহাসে দ্রুততম দলীয় ফিফটির রেকর্ডটাও নিজেদের নামে করে নেয় ভারত।

পেসারদের এমন ম্যাড়মেড়ে বোলিংয়ে তাই পরিবর্তন আনতে বাধ্য হন নাজমুল হোসেন শান্ত। দুই পাশ থেকেই মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাইজুল ইসলামকে দিয়ে বোলিং শুরু করান। তাতেই মেলে সফলতা। যেখানে চতুর্থ ওভারের চতুর্থ বলে মেহেদী হাসান মিরাজ এলবিডব্লিউর আবেদন করেন রোহিতের বিপক্ষে। আম্পায়ার সাড়া না দেওয়ায় রিভিউ নেন শান্ত। ইমপ্যাক্ট আউটসাইড লেগ হওয়াতে নষ্ট হয় বাংলাদেশের রিভিউ। ঠিক তাঁর পরের বলেই রোহিতকে অসাধারণ এক ডেলিভারিতে বোল্ড করেন মিরাজ। ১১ বলে ১ চার ও ৩ ছক্কায় ২৩ রান করেন ভারতীয় টেস্ট অধিনায়ক।

রোহিতের বিদায়ে ৩.৫ ওভারে ১ উইকেটে ৫৫ রানে পরিণত হয় ভারত। তিনে ব্যাটিংয়ে নামেন শুবমান গিল। ৬৩ বলে ৭২ রানের জুটি দ্বিতীয় উইকেটে গড়েন যশস্বী জয়সওয়াল ও গিল। যেখানে ১৫তম ওভারের দ্বিতীয় বলে জয়সওয়ালকে বোল্ড করেন হাসান। ৫১ বলে ১২ চার ও ২ ছক্কায় ৭২ রান করেন জয়সওয়াল। ১৬ ওভারে ২ উইকেটে ১৩৮ রানে থেকে চা পানের বিরতিতে গেল ভারত। গিল ৩০ বলে ৩৭ রানে অপরাজিত। পন্ত ব্যাটিং করছেন ৫ বলে ৪ রানে। 

ইনিংসের প্রথম ওভারে হাসানকে হ্যাটট্রিক চার মেরে শুরু করেন জয়সওয়াল। ব্যক্তিগত ১২ রানে রোহিত অবশ্য আউট হতে পারতেন। হাসানের বলে রোহিত কাট করার পর বল জমা হয় উইকেটরক্ষক লিটন দাসের হাতে। তবে কেউ জোরালো আবেদন করেননি। স্নিকোমিটারে দেখা যায় এজ হয়েছে।

টেস্টে দ্রুততম দলীয় সেঞ্চুরি

বল                দল               প্রতিপক্ষ             সাল               ভেন্যু
৬১             ভারত              বাংলাদেশ           ২০২৪             কানপুর
৭৪             ভারত             ওয়েস্ট ইন্ডিজ        ২০২৩           ত্রিনিদাদ 
৮০             শ্রীলঙ্কা              বাংলাদেশ          ২০০১            কলম্বো
৮১              ইংল্যান্ড          দক্ষিণ আফ্রিকা       ১৯৯৪        দ্য ওভাল, লন্ডন
৮২              বাংলাদেশ        ওয়েস্ট ইন্ডিজ        ২০১২             মিরপুর

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

৮ বছর পর খেলতে নেমে ক্রেমারের ঘূর্ণি বোলিং

ক্রীড়া ডেস্ক    
১৪৪ রানে ৯ উইকেট নিয়েছেন ক্রেমার। ছবি: সংগৃহীত
১৪৪ রানে ৯ উইকেট নিয়েছেন ক্রেমার। ছবি: সংগৃহীত

৭ বছরের বিরতি কাটিয়ে সম্প্রতি আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ দিয়ে জিম্বাবুয়ে দলে ডাক পান গ্রায়েম ক্রেমার। তবে মাঠে নামা হয়নি তাঁর। এবার লম্বা সময় পর প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট খেলতে নেমে বল হাতে নজরকাটা পারফরম্যান্স উপহার দিলেন ক্রেমার।

এর আগে সবশেষ ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট খেলেছিলেন ক্রেমার। ৮ বছরের বিরতি কাটিয়ে লোগান কাপে রাইনোর হয়ে সাউদার্ন রকসের বিপক্ষে খেলতে নেমেছিলেন এই লেগস্পিনার। প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তনটা বেশ ভালোভাবেই রাঙালেন ৩৯ বছর বয়সী ক্রেমার। দুর্দান্ত বোলিয়য়ে তুলে নিয়েছেন ৯ উইকেট।

কিউ কিউ স্পোর্টস ক্লাব মাঠে বৃষ্টির কারণে কোনো দল জিততে পারেনি। তবে অসাধারণ বোলিংয়ে ম্যাচের পুরো আলোটাই কেড়ে নিলেন ক্রেমার। ম্যাথু ক্যাম্পবেলকে আউট করে এর শুরুটা করেন তিনি। মাঝে কেবল রয় কাইয়ার উইকেট নেন মাইকেল চিনুয়া। বাকি সব উইকেট পকেটে পুরেন ক্রেমার। ৯ উইকেট নেওয়ার পথে ৪৬.২ ওভারে ১৪৪ রান খরচ করেন এই স্পিনার।

জিম্বাবুয়ের চতুর্থ বোলার হিসেবে প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে ৯ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়লেন ক্রেমার। ৯ উইকেট নেওয়া দেশটির বাকি তিনজন হলেন মাইক প্রক্টর, জন রেনি ও স্টিভেন পিয়াল।

ক্রেমারের ঘূর্ণি বোলিংয়ে অলআউট হওয়ার আগে ৩৪৭ রান তোলে রকস। সর্বোচ্চ ১০০ রানের ইনিংস খেলেন তাফাজাওয়া সিগা। পানাশে তারুভিঙ্গার অবদান ৯৩ রান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হ্যাটট্রিক করে দুই কিংবদন্তির পাশে লেভা

ক্রীড়া ডেস্ক    
হ্যাট্রটিকের পর লেভা যেন উড়তে চাইলেন। ছবি: এক্স
হ্যাট্রটিকের পর লেভা যেন উড়তে চাইলেন। ছবি: এক্স

চোটের কারণে এক মাস মাঠের বাইরে থাকার পর লা লিগায় সেলতা ভিগোর বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে প্রথমবার শুরুর একাদশে নামেন রবার্ট লেভানডভস্কি। ম্যাচটি স্মরণীয় করে রাখলেন ব্যক্তিগত নৈপুণ্যে। হ্যাটট্রিক করেছেন এই পোলিশ স্ট্রাইকার। তাতেই দুই কিংবদন্তি ফুটবল ফেরেঙ্ক পুসকাস ও আলফ্রেডো ডি স্টেফানোর পাশে বসেছেন ৩৭ বছর বয়সী লেভা।

লা লিগায় এটা লেভার তৃতীয় হ্যাটট্রিক। ডি স্টেফানো ও পুসকাসের পর তৃতীয় ফুটবলার হিসেবে ৩৫ পেরোনোর পর স্পেনের শীর্ষ লিগে তিনটি হ্যাটট্রিকের কীর্তি গড়লেন বার্সেলোনার এই ফরোয়ার্ড। বায়ার্ন মিউনিখ ছেড়ে ২০২২-২৩ মৌসুমে কাতালান ক্লাবে যোগ দেন লেভা। দ্বিতীয় মৌসুমে বার্সার হয়ে প্রথম হ্যাটট্রিকের দেখা পান–প্রতিপক্ষ ভ্যালেন্সিয়া। গত মৌসুমে আলাভেসের বিপক্ষে দ্বিতীয় হ্যাটট্রিক করেন তিনি। এবার সেলতার জালে তিনবার বল পাঠিয়ে পুসকাস ও ডি স্টেফানোর রেকর্ডে ভাগ বসালেন লেভা।

তাঁর হ্যাটট্রিকের দিনে সেলতাকে ৪-২ গোলে হারিয়েছে বার্সা। বালাইদোস স্টেডিয়ামে প্রথমার্ধেই দুইবার জালের দেখা পান লেভা। বিরতির পরও আরও এক গোল করেন। সফরকারী দলের হয়ে বাকি গোলটি করেন লামিনে ইয়ামাল। নিজেদের মাঠে দুই দফা সমতায় ফিরে লড়াইয়ের আভাস দিলেও আর বার্সার সঙ্গে পেরে উঠেনি সেলতা।

বার্সার জয়ের দিনে স্কোরশিটে নাম উঠেনি মার্কাশ রাশফোর্ডের। এরপরও দলের পূর্ণ পয়েন্ট পাওয়ায় অবদান আছে এই ইংলিশ ফরোয়ার্ডের। জোড়া অ্যাসিস্ট করেছেন তিনি। সব মিলিয়ে দারুণ একটা দিনই পার হলো বার্সার ফরোয়ার্ডদের জন্য।

এই জয়ে রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে ব্যবধান তিনে নামিয়ে এনেছে বার্সা। একি দিন রায়ো ভায়োকানোর সঙ্গে হোঁচট খেয়েছে লস ব্লাঙ্কোসরা। তাদের সংগ্রহ ৩১ পয়েন্ট। বার্সার নামের পাশে আছে ২৮ পয়েন্ট। উভয় দলই খেলেছে সমান ১২ ম্যাচ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আসিফ ক্ষমা না চাইলে অ্যাকশনে যাওয়ার হুমকি ফুটবলারদের

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১০ নভেম্বর ২০২৫, ১২: ৪৫
ফুটবল নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন আসিফ। ছবি: সংগৃহীত
ফুটবল নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন আসিফ। ছবি: সংগৃহীত

দেশের ৬৪ জেলার ক্রিকেট কোচ, সংগঠক ও ক্রীড়া কর্মকর্তাদের নিয়ে গতকাল শুরু হয়েছে বিসিবির ক্রিকেট কনফারেন্স। সেখানে ফুটবল নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেছেন বিসিবি পরিচালক ও গায়ক আসিফ আকবর। ফুটবলের জন্য ক্রিকেট খেলা যাচ্ছে না বলে দাবি তাঁর। সেই কথার পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে ফুটবল অঙ্গনে। আসিফ ক্ষমা না চাইলে বড় অ্যাকশনে যাবেন সাবেক ও বর্তমান ফুটবলাররা।

আজকের পত্রিকাকে জাতীয় দলের সাবেক স্ট্রাইকার জাহিদ হাসান এমিলি বলেন, ‘তিনি যদি ক্ষমা না চান, তাঁর বিরুদ্ধে বিশাল অ্যাকশনে যাব। বিসিবিতে আমরা চিঠি দেব তাঁকে বিতাড়িত করার। তাঁর এ কথা শুনে দেখলাম বুলবুল ভাইয়েরা তালি দিচ্ছে। এটার বিরুদ্ধে চরম অ্যাকশন হবে। মানহানির মামলা দেওয়া হবে।’

কোন ফুটবলার আসিফের সঙ্গে বাজে ব্যবহার করেছেন, তা জানতে চান জাতীয় দলের ডিফেন্ডার শাকিল আহাদ তপু। ফেসবুকে এক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তি হিসেবে ফুটবল ও ফুটবলারদের নিয়ে এমন বক্তব্যকে ধিক্কার ও তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। ক্রিকেট, ফুটবল, হকিসহ সব খেলাই আমাদের। কোনো খেলাকে ছোট করে দেখার নেই। তবে আসিফ আকবরের এমন বক্তব্য মেনে নেওয়া যায় না। অবশ্যই এর জন্য ক্ষমা চাইতে হবে। উনার কাছে আমি জানতে চাওয়া, কোন ফুটবল খেলোয়াড় উনার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছেন?’

আসিফের বক্তব্যে বৈষম্যের ছায়া দেখতে পাচ্ছেন আরেক ডিফেন্ডার জাহিদ হাসান শান্ত, ‘কোনো সময় ক্রিকেটকে ছোট করে দেখিনি। পদ পেয়ে আপনার মাথা নষ্ট হয়ে গেছে। ইউরোপের দেশগুলো যদি ক্রিকেট খেলত, তাহলে বাংলাদেশের ক্রিকেট কোথায় থাকত? বিশ্বে কয়টা দেশ ক্রিকেট খেলে, আর কয়টা দেশে ফুটবল খেলে? এভাবে ফুটবলকে ছোট করে আপনার কথা বলা ঠিক হয়নি। আপনি ফুটবল আর ক্রিকেটের মধ্যে বৈষম্য সৃষ্টি করলেন। আশা করি, লাইভে এসে বিষয়টা সমাধান করবেন। শেষে মারামারির কথাটা বলে বোঝালেন আপনি একটা অযোগ্য এবং সেবনকারী।’

জাতীয় দলের স্ট্রাইকার আল আমিন তাঁর ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘ফুটবল পৃথিবীর সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা। জনাব আসিফ আকবর সাহেব, যে অভিব্যক্তিতে কথা বলেছেন—সেটি স্পোর্টসের ভাষা নয়। তিনি ডিসিপ্লিন ইস্যুতে কথা বলেছেন। ফুটবল অনেক শারীরিক খেলা হলেও ধৈর্য ধারণ করতে হয়, প্রতিপক্ষকে সম্মান জানিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়। অসদাচরণ কিংবা ফাউলের জন্য রেফারির ইনস্ট্যান্ট সিদ্ধান্ত মেনে মাঠও ছাড়তে হয়। তা ছাড়া ন্যাশনাল ক্যাম্পে খাবার থেকে শুরু করে টাইম ম্যানেজমেন্ট সব চলে নিয়মমাফিক। নিয়মের হেরফের হলেই গুনতে হয় শাস্তি। তাই ফুটবলারদের দয়া করে ডিসিপ্লিন শেখাতে আসবেন না। আপনাকে অবশ্যই এর জন্য অনুতপ্ত হওয়া উচিত!’

ফেসবুক পোস্টে আবাহনী লিমিটেডের প্রধান কোচ মারুফুল হক লিখেছেন, ‘ওনার স্কুল বা কলেজের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান করছিলেন স্টেডিয়ামে বিপিএল এর খেলা বন্ধ করে, একজন মাঠ প্রেমিক হলে স্টেডিয়ামে অন্য অনুষ্ঠান কিভাবে করেন? বাফুফে ফুটবল চালায় ৪ জেলায়, বাকি ৬০ জেলায় ক্রিকেট এর খবর রাখেন কি জনাব?

এর আগে গতকাল ঢাকার একটি পাঁচতারকা হোটেলে ক্রিকেট কনফারেন্সে আসিফ বলেন, ‘ফুটবলারদের জন্য (ক্রিকেট) খেলা যাচ্ছে না সারা দেশে। তারা উইকেট ভেঙে ফেলল, উইকেট নষ্ট করে ফেলেছে। আবার ২৪ তারিখ আবাহনী-মোহামেডান ফুটবল খেলা কুমিল্লা স্টেডিয়ামে। এই সমস্যাটা শুধু কুমিল্লার না। প্রতিটা জেলার স্টেডিয়াম দখল করে রেখেছে ফুটবল, প্রতিটা জেলার যেখানে ফুটবলের কাজ নেই, সেখানেও ফুটবল দখল করে রেখেছে এবং ফুটবলারদের ব্যবহার খুব খারাপ।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নিউজিল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচে জিতে গেল বৃষ্টি

ক্রীড়া ডেস্ক    
বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ হওয়ার আগে মাঠে গড়িয়েছে ৬.৩ ওভার। ছবি: এক্স
বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ হওয়ার আগে মাঠে গড়িয়েছে ৬.৩ ওভার। ছবি: এক্স

দুই দলের জন্যই ম্যাচটি ছিল গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু নিউজিল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার সিরিজের চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে জিতল না কেউ। নেলসনের সাক্সটন ওভালে বৃষ্টির কারণে ম্যাচটি পরিত্যক্ত হয়েছে।

বৃষ্টির পূর্বাভাস ছিল আগে থেকেই। শেষ পর্যন্ত হয়েছেও তাই। প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে তাই শুরুর পর ম্যাচ পরিত্যক্ত করেছেন অফিসিয়ালরা। প্রথম ৩ টি-টোয়েন্টি শেষে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে ছিল নিউজিল্যান্ড। চতুর্থ ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ায় একটা বিষয় এখন নিশ্চিত–সিরিজ হারছে না নিউজিল্যান্ড। চ্যালেঞ্জ থেকেই গেল ওয়েস্ট ইন্ডিজের। সিরিজ বাঁচাতে চাইলে শেষ ম্যাচে জিততেই হবে সফরকারী দলকে। ১৩ নভেম্বর শেষ টি-টোয়েন্টিতে মাঠে নামবে দুই দল।

বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকলেও এদিন যথাসময়েই টস হয়। ম্যাচও শুরু হয় নির্ধারিত সময়ে। পঞ্চম ওভারে প্রথমবার ম্যাচে বৃষ্টি হানা দেয়। এজন্য কিছুক্ষণ খেলা বন্ধ ছিল। বৃষ্টি থামার পর ফের মাঠে বল গড়ায়। কিন্তু বেশিক্ষণ খেলা হয়নি। ৯ বল পর ফের বৃষ্টি নামলে দ্বিতীয়বারের মতো খেলা বন্ধ হয়। এই দফায় আর বৃষ্টি থামেনি।

বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হওয়ার আগে ৬.৩ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ৩৮ রান করেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পরিসংখ্যানই বলছে–কঠিন পরীক্ষা দিতে হয়েছে অতিথি ব্যাটারদের। কাইল জেমিসন, জ্যাকব ডাফি, জেমস নিশামদের বোলিংয়ের সামনে হাতখুলে খেলতে পারেননি আমির জাঙ্গু, আলিক আথানেজরা। নিশামের করা ষষ্ঠ ওভারে ড্যারেল মিচেলের হাতে ধরা পড়েন আথানেজ। ১৮ বলে ২১ রান করেন এই ওপেনার। ১২ রান করতেই ১৮ বল খেলেন আরেক ওপেনার জাঙ্গু।

এর আগে প্রথম ৩ টি-টোয়েন্টিতে দারুণ লড়াই করেছে নিউজিল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তিনটি ম্যাচই ফয়সালা হয় শেষ ওভারে। তাই আরও একটি জমজমাট লড়াই দেখার অপেক্ষায় ছিল ভক্তরা। সেটা হতে দিল না প্রকৃতি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত