নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ইনিংসের ১৪তম বলে ফ্লিক করে সিঙ্গেল নিলেন লিটন দাস। ধারাভাষ্যের কক্ষ থেকে ভেসে এল, ‘অবশেষে রানের দেখা পেল বাংলাদেশ।’ আগের ১৩টি বলে যা হয়েছে, তা এক অর্থে দুঃস্বপ্ন বলা ভালো। সেই দুঃস্বপ্নের রেশ থেকে যায় শেষ পর্যন্ত। জাকের আলী ও শামীম পাটোয়ারীর মান বাঁচানো জুটিতে শ্রীলঙ্কাকে ১৪০ রানের লক্ষ্য দিয়েছে বাংলাদেশ।
আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে এশিয়া কাপের লড়াইয়ে টস জিতে বাংলাদেশকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠায় শ্রীলঙ্কা। লিটনও তা সাদরে গ্রহণ করে নেন। কিন্তু ওপেনাররা ঠিকমতো নিতে পারেননি। বাংলাদেশের জন্য বরাবর আতঙ্কের নাম নুয়ান থুশারা। প্রথম ওভারের শেষ বলে ইনসুইং ডেলিভারিতে তানজিদ হাসান তামিমের স্টাম্প উপড়ে ফেলেন তিনি। তাঁর দেখাদেখি পরের ওভারে উইকেট মেডেন নেন দুশমন্থ চামিরাও। সাজঘরে ফেরান পারভেজ হোসেন ইমনকে।
বাংলাদেশের দুই ওপেনারকে তাই কাটা পড়তে হয় শূন্য রানে। কোনো রান ছাড়া দুই উইকেট হারানোর ঘটনা এবারই প্রথম। শুধু তা-ই নয়, প্রথম দুই ওভারে রান না পাওয়াও প্রথম অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের জন্য। প্রথম দুই ওভারে কোনো রান না করতে পারার এমন ঘটনা ঘটেছে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সাতবার। তবে আইসিসির পূর্ণ দুই সদস্যের মধ্যকার ম্যাচে এমনটি হলো দ্বিতীয়বার। তা-ও ১৫ বছর পর। ২০১০ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ত্রিনিদাদে ঠিক এভাবে প্রথম দুই ওভারে কোনো রান করতে পারেনি জিম্বাবুয়ে।
আগের ম্যাচে হংকংয়ের বিপক্ষে ৩৫ রানের প্রশ্নবিদ্ধ ইনিংস খেলা তাওহীদ হৃদয়ও ছন্দ খুঁজে পাননি। রানআউট হওয়ার আগে ৯ বলে করেন ৮ রান।
ষষ্ঠ ওভারে দাসুন শানাকাকে ৩ চার মেরে রানের গতি কিছুটা বাড়ান লিটন। ৬ ওভারে ৩ উইকেটে ৩০ রান নিয়ে পাওয়ারপ্লে শেষ করে বাংলাদেশ। লিটন সর্বশেষ ৫ ইনিংসে ৫০-এর নিচে কখনো আউট হননি। ছন্দে ফেরা বাংলাদেশ অধিনায়ক দিচ্ছিলেন হাল ধরার বার্তা। ঠিক যেভাবে হংকংয়ের বিপক্ষে প্রথমে সময় নিয়ে পরে হাত খুলে খেলেছেন। কিন্তু ২৬ বলে ৪ চারে ২৮ রানে ভানিন্দু হাসারাঙ্গাকে সুইপ করতে গিয়ে ক্যাচ দেন তিনি। বাংলাদেশ ৫৩ রানে হারায় ৫ উইকেট। এর আগে শেখ মেহেদীও (৯) হাসারাঙ্গার পাতা এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন।
বাংলাদেশের সংগ্রহ যে বড় হবে না, তা বোঝা যায় আগেই। জাকের আলী ও শামীম পাটোয়ারী উইকেটে থিতু হয়ে তাই ছুটতে থাকেন লড়াকু সংগ্রহের দিকে। ১৯তম ওভারে মাহিশ পাতিরানার কাছ থেকে ১৯ রান আদায় করেন দুজনে। শেষ ওভারে আসে ৮ রান। সব মিলিয়ে শেষ ৫ ওভারে ৪৬ রান নিয়েছেন তাঁরা। তাঁদের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ৫ উইকেটে হারিয়ে ১৩৯ রানে থামে বাংলাদেশ। জুটিটি ছিল ৬১ বলে ৮৬ রানের। জাকের ৩৪ বলে ২ চারে অপরাজিত থাকেন ৪১ রানে। অপরপ্রান্তে শামীম ৩৪ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় করেন অপরাজিত ৪২ রান।
এশিয়া কাপের ইতিহাসে ষষ্ঠ বা নিচের উইকেটের জুটিতে এর চেয়ে বেশি রান আর দেখা যায়নি। শুধু তা-ই নয়, বাংলাদেশের ইতিহাসেও ষষ্ঠ উইকেটে এটি রেকর্ড জুটি। তিন বছর আগে ২০২২ সালে আরব আমিরাতের বিপক্ষে দুবাইয়ে অবিচ্ছিন্ন ৮১ রানের জুটি গড়েন আফিফ হোসেন ও নুরুল হাসান সোহান।
শ্রীলঙ্কার দুই পেসার থুশারা ও চামিরা ৪ ওভারে ১৭ রান দিয়ে শিকার করেন ১ উইকেট। ২ উইকেট নেওয়া হাসারাঙ্গার খরচ ২৫ রান।
ইনিংসের ১৪তম বলে ফ্লিক করে সিঙ্গেল নিলেন লিটন দাস। ধারাভাষ্যের কক্ষ থেকে ভেসে এল, ‘অবশেষে রানের দেখা পেল বাংলাদেশ।’ আগের ১৩টি বলে যা হয়েছে, তা এক অর্থে দুঃস্বপ্ন বলা ভালো। সেই দুঃস্বপ্নের রেশ থেকে যায় শেষ পর্যন্ত। জাকের আলী ও শামীম পাটোয়ারীর মান বাঁচানো জুটিতে শ্রীলঙ্কাকে ১৪০ রানের লক্ষ্য দিয়েছে বাংলাদেশ।
আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে এশিয়া কাপের লড়াইয়ে টস জিতে বাংলাদেশকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠায় শ্রীলঙ্কা। লিটনও তা সাদরে গ্রহণ করে নেন। কিন্তু ওপেনাররা ঠিকমতো নিতে পারেননি। বাংলাদেশের জন্য বরাবর আতঙ্কের নাম নুয়ান থুশারা। প্রথম ওভারের শেষ বলে ইনসুইং ডেলিভারিতে তানজিদ হাসান তামিমের স্টাম্প উপড়ে ফেলেন তিনি। তাঁর দেখাদেখি পরের ওভারে উইকেট মেডেন নেন দুশমন্থ চামিরাও। সাজঘরে ফেরান পারভেজ হোসেন ইমনকে।
বাংলাদেশের দুই ওপেনারকে তাই কাটা পড়তে হয় শূন্য রানে। কোনো রান ছাড়া দুই উইকেট হারানোর ঘটনা এবারই প্রথম। শুধু তা-ই নয়, প্রথম দুই ওভারে রান না পাওয়াও প্রথম অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের জন্য। প্রথম দুই ওভারে কোনো রান না করতে পারার এমন ঘটনা ঘটেছে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সাতবার। তবে আইসিসির পূর্ণ দুই সদস্যের মধ্যকার ম্যাচে এমনটি হলো দ্বিতীয়বার। তা-ও ১৫ বছর পর। ২০১০ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ত্রিনিদাদে ঠিক এভাবে প্রথম দুই ওভারে কোনো রান করতে পারেনি জিম্বাবুয়ে।
আগের ম্যাচে হংকংয়ের বিপক্ষে ৩৫ রানের প্রশ্নবিদ্ধ ইনিংস খেলা তাওহীদ হৃদয়ও ছন্দ খুঁজে পাননি। রানআউট হওয়ার আগে ৯ বলে করেন ৮ রান।
ষষ্ঠ ওভারে দাসুন শানাকাকে ৩ চার মেরে রানের গতি কিছুটা বাড়ান লিটন। ৬ ওভারে ৩ উইকেটে ৩০ রান নিয়ে পাওয়ারপ্লে শেষ করে বাংলাদেশ। লিটন সর্বশেষ ৫ ইনিংসে ৫০-এর নিচে কখনো আউট হননি। ছন্দে ফেরা বাংলাদেশ অধিনায়ক দিচ্ছিলেন হাল ধরার বার্তা। ঠিক যেভাবে হংকংয়ের বিপক্ষে প্রথমে সময় নিয়ে পরে হাত খুলে খেলেছেন। কিন্তু ২৬ বলে ৪ চারে ২৮ রানে ভানিন্দু হাসারাঙ্গাকে সুইপ করতে গিয়ে ক্যাচ দেন তিনি। বাংলাদেশ ৫৩ রানে হারায় ৫ উইকেট। এর আগে শেখ মেহেদীও (৯) হাসারাঙ্গার পাতা এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন।
বাংলাদেশের সংগ্রহ যে বড় হবে না, তা বোঝা যায় আগেই। জাকের আলী ও শামীম পাটোয়ারী উইকেটে থিতু হয়ে তাই ছুটতে থাকেন লড়াকু সংগ্রহের দিকে। ১৯তম ওভারে মাহিশ পাতিরানার কাছ থেকে ১৯ রান আদায় করেন দুজনে। শেষ ওভারে আসে ৮ রান। সব মিলিয়ে শেষ ৫ ওভারে ৪৬ রান নিয়েছেন তাঁরা। তাঁদের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ৫ উইকেটে হারিয়ে ১৩৯ রানে থামে বাংলাদেশ। জুটিটি ছিল ৬১ বলে ৮৬ রানের। জাকের ৩৪ বলে ২ চারে অপরাজিত থাকেন ৪১ রানে। অপরপ্রান্তে শামীম ৩৪ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় করেন অপরাজিত ৪২ রান।
এশিয়া কাপের ইতিহাসে ষষ্ঠ বা নিচের উইকেটের জুটিতে এর চেয়ে বেশি রান আর দেখা যায়নি। শুধু তা-ই নয়, বাংলাদেশের ইতিহাসেও ষষ্ঠ উইকেটে এটি রেকর্ড জুটি। তিন বছর আগে ২০২২ সালে আরব আমিরাতের বিপক্ষে দুবাইয়ে অবিচ্ছিন্ন ৮১ রানের জুটি গড়েন আফিফ হোসেন ও নুরুল হাসান সোহান।
শ্রীলঙ্কার দুই পেসার থুশারা ও চামিরা ৪ ওভারে ১৭ রান দিয়ে শিকার করেন ১ উইকেট। ২ উইকেট নেওয়া হাসারাঙ্গার খরচ ২৫ রান।
বাজতে শুরু করেছে ঘরোয়া ফুটবলের দামামা। গতকাল বাফুফে ভবনে হয়ে গেল ফেডারেশন কাপের ড্র। যেখানে একই গ্রুপে পড়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস ও মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব।
৩১ মিনিট আগেআবুধাবিতে শ্রীলঙ্কার কাছে ৬ উইকেটে হেরে এশিয়া কাপের সুপার ফোরে ওঠার পথটা কঠিন হয়ে গেছে বাংলাদেশের। পয়েন্ট টেবিলে বাংলাদেশ এখন তিনে। শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তানের সমান ২ পয়েন্ট থাকলেও নেট রানরেটে বাংলাদেশ (০.৬৫০) লঙ্কান (২.৫৯৫) ও আফগানদের (৪.৭০০) নিচে।
৩২ মিনিট আগেপ্রথম ৫ ওভারে বাংলাদেশের রান ৩ উইকেট ১৬। প্রথম পাঁচ ওভারে শ্রীলঙ্কা তুলেছে ১ উইকেটে ৫৫। প্রথম ১০ ওভারে দুই দলের স্কোর যথাক্রমে—৫৪ / ৫ ও ১০৭ /১। এরপর ম্যাচে কারা জিততে যাচ্ছে—সেটি বোঝায় যাচ্ছিল। দেখার ছিল একটাই, কত ব্যবধানে হারে বাংলাদেশ, কত ব্যবধানে জেতে শ্রীলঙ্কা।
২ ঘণ্টা আগেভারত-পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে মাঠের বাইরে কথার লড়াই চলে সমানে সমান। এবার সেই লড়াইয়ে যোগ দিলেন ভারতের সাবেক ক্রিকেটার যুবরাজ সিংয়ের বাবা যোগরাজ সিং। তাঁর মতে, ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের কোনো তুলনাই হয় না।
২ ঘণ্টা আগে